ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড #পর্ব_১৮

0
141

#ওয়েলকাম_টু_মাই_ডার্কসাইড
#পর্ব_১৮
#সারিকা_হোসাইন

মাউন্ট সিনাই হসপিটাল থেকে যুবরাজকে চির জীবনের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শুধু তাই নয় নিউইয়র্ক সিটির কোনো হসপিটাল এই যুবরাজ আর ডাক্তারি পেশায় নিয়োজিত হতে পারবে না।হসপিটালের ডিন যুবরাজের সকল মেডিকেল স্টাডির ডকুমেন্টস মুখ বরাবর ছুড়ে মারলেন।

“ইউ আর এ মার্ডারার,উই ডোন্ট ওয়ান্ট ইউ এনিমোর।গেট আউট অফ হেয়ার বিফোর আই স্নাপ ইউর নেক'”

ডিনের মুখের এমন কঠিন শব্দ গুলো যুবরাজের কর্ণকুহরে বার বার বাজতে লাগলো।যেই ডিন যুবরাজের সাফল্যে কতো শত বাহবা দিয়েছে সেই মুখেই আজ সে তাকে একজন খুনি উপাধি দিচ্ছেন!

নিজের সাথে ঘটে যাওয়া সবকিছুই যুবরাজের কাছে অবিশ্বাস্য লাগছে।হসপিটাল ডিনের রাগী আগ্রাসী চেহারা দেখে যুবরাজের দৃষ্টি স্থির হয়ে রইলো।ডিনের মুখের এমন অসহনীয় বাণী সহ্য করতে না পেরে নিজের দুই কান চেপে ধরে হাটু মুড়ে ফ্লোরে বসে পড়লো যুবরাজ।
ডিন আরো কিছু বিশ্ৰী অশ্রাব্য গালাগাল করে পুলিশকে নির্দেশ দিলো
“প্লিজ এরেস্ট হিম।

নিউইয়র্ক পুলিশ যখন যুবরাজের হাতে হ্যান্ডকাফ লাগায় যুবরাজের তখন মনে হতে থাকে সে কোনো ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখছে।একটু পরেই ঘুম ভেঙে গেলে হয়তো স্বপ্নটাও ভেঙে যাবে।সেই ভরসায় যুবরাজ নির্বিকার হয়ে মেঝেতেই বসে থাকে।

যুবরাজের শার্টের কলার ধরে টেনে হিচড়ে দাঁড় করিয়ে চারজন পুলিশ হসপিটাল এর বাইরে টানতে টানতে নিয়ে যায়।
পেছন থেকে অসহায় ম্যাগান যুবরাজকে বাঁচানোর প্রানপন চেষ্টা করে যাচ্ছে।কিন্তু তাকে যেনো কেউ শুনতেই পাচ্ছে না।

“প্লিজ ইউভি কে ছেড়ে দিন।তার কোনো দোষ নেই।যেখানে আমার বাবার মৃত্যুতে আমি কোনো আইনি ঝামেলায় যাচ্ছি না সেখানে আপনারা কেনো নাক গলাচ্ছেন?

ম্যাগান এর ভাঙা গলার ফ্যাসফ্যাসে আওয়াজ কারো কানেই প্রবেশ করলো না।শেষমেশ উপায় না পেয়ে অষ্টাদশী অসহায় বালিকা যুবরাজের কোমর পেঁচিয়ে জাপ্টে ধরে আটকাবার চেষ্টা করে।মেয়েটিকে পাগল আখ্যা দিয়ে সজোড়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার।যুবরাজ কিছু ঠাহর করার আগেই পুলিশ ক্যাবের দরজা খুলে ভেতরে ঠেসে বসিয়ে গাড়ির দরজা লাগিয়ে পুলিশ স্টেশনের দিকে চলতে থাকে।

এদিকে শীর্ন শরীরটা ধাক্কার টাল সামলাতে না পেরে পাশে থাকা খুঁটির সাথে বাড়ি খেয়ে পড়ে যায়।সহসাই ধবধবে সাদা কপাল কেটে ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসে লাল রঙের উষ্ণ তরল।

**********
আশেপাশে কি হচ্ছে না হচ্ছে সেটা নিয়ে ডক্টর রেহানের কোনো মাথাব্যথা নেই।তার মাথায় একটা চিন্তাই বার বার ঘুরছে।

“কেউ ইচ্ছে করেই যুবরাজকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।যে করেই হোক আমাকে সত্য উদঘাটন করতে হবে।ঘৃণ্য চক্রান্ত থেকে যুবরাজকে আমার বের করতেই হবে”!

নিজের হাতের রক্তে রঞ্জিত গ্লাভস খুলে কোনো মতে ঝুড়িতে ফেলে দৌড়ে ওটি রুমের দিকে চলে গেলো রেহান।চারপাশে একবার চোখ মেলে ভালো করে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা চাই।

“এখানে অবশ্যই বড় কোনো ব্ল্যান্ডার আছে এবং এই মুহূর্তে সেটা আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে।”

নিজের এপ্রোন টেনে খুলে দ্রুত হাতে সেটাকে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে শার্টের হাতা ফোল্ড করে নিলো রেহান।এরপর নিজের দুই হাতের সাহায্যে উপুড় হয়ে সারা ওটি রুমের ছড়িয়ে থাকা জিনিস গুলো একত্র করলো।
একটা তুলার টুকরো থেকে শুরু করে সিরিঞ্জ পর্যন্ত বাদ রাখলো না রেহান।

কিছুক্ষন তল্লাশির পর সেরকম সন্দেহ জনক কিছু না পেয়ে আশেপাশে আরো খুঁজতে লাগলো সচেতন নজরে।
অদূরে পরিত্যক্ত একটি ডাস্ট বিন নজর কাড়ে ডক্টর রেহানের।

“এটা এখানে কিভাবে এলো?গতকাল যখন ওটিতে এসেছিলাম তখন তো এটা একদম কর্নারে সিটিয়ে রাখা হয়েছিলো!

যুবরাজের চিন্তায় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে চতুর রেহান সেই ঝুড়ির দিকে এগিয়ে গেলো।
একহাতে ঝুড়িটিকে ধরে অন্যহাতে সার্জারির বড় লাইট অন করে অপারেশন টেবিলের উপর সেই ঝুড়ি কাত করে সব কিছু ঢেলে দিলো।

ঝুড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা জিনিসের দিকে তাকিয়ে রেহানের চক্ষু কোটর ছেড়ে বেরিয়ে আসার উপক্রম।
দ্রুত হাতে রেহান সবগুলো সিরিঞ্জ আর কাচের ছোট মেডিসিন কীট চোখের সামনে তুলে নাম পড়তে লাগলো
একে একে সাতটা প্রাণঘাতী মেডিসিন দেখে রেহানের প্রাণ কন্ঠনালী পর্যন্ত চলে এলো।শ্বাস নিতেও যেনো তার কষ্ট হচ্ছে।মুহূর্তে মুহূর্তে পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে রক্ত ছলকে উঠে মস্তিষ্ককে উত্তপ্ত করছে।
ঝটপট এভিডেন্স গুলো গুছিয়ে নিজের ফোন বের করে দ্রুত ছবি তুলে জিনিস গুলো নিয়ে নিজের এপার্টমেন্টের দিকে ছুটে চললো রেহান।

**********
স্পেশাল বেল নিয়ে এক ঘন্টার জন্য যুবরাজের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে রেহান।
দুদিনেই ছেলেটা অনেকটা শুকিয়ে গিয়েছে।ফর্সা মুখটি মলিনতায় কালো বর্ণ ধারণ করেছে।ক্লীন শেভের চকচকে গাল দুটো খোঁচা খোঁচা দাঁড়িতে ভরে গিয়েছে।চোখের নিচেও জমেছে অনেকটা কালি।তার গায়ের কমলা রঙা অপরাধীর পোশাক দেখে মনে হচ্ছে হাজার বছরের অত্যাচারিত কয়েদী সে।হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে একজন কনস্টেবল কাঁচের ক্রিমিনাল ভিজিটিং রুমে যুবরাজকে নিয়ে এসে চেয়ারে বসিয়ে টেবিলে থাকা হ্যান্ডকাফ স্টাক এর সাথে হ্যান্ডকাফ এর চেইন আটকে দিয়ে বেরিয়ে গেলো।

সামনা সামনি যুবরাজ আর রেহান তবুও শরীর স্পর্শ করে বুকে টেনে পিঠ হাতড়ে শান্তনা দেবার কোনো উপায় নেই।সামনে থাকা মজবুত কাঁচের দেয়ালটি যেনো দুজনের মধ্যে যোজন যোজনের দূরত্ব তৈরি করেছে।

“কেনো এসেছিস এখানে?নিজের ভালো চাইলে চলে যা।আমার সাথে তোকে মাখামাখি অবস্থায় দেখলে ও তোকেও আস্ত ছাড়বে না”

আহত নরম স্বরে কথা গুলো বলে নিজের চোখের ফুঁসে উঠা জলকে নিয়ন্ত্রণ এর ব্যার্থ চেষ্টা করতে লাগলো যুবরাজ।
পকেট থেকে নিজের ফোন বের করে গ্যালারী অপশনে গিয়ে ফোনটা যুবরাজের সামনে মেলে ধরলো রেহান।
প্রথমে উদাসীন ভঙ্গিতে নজর দিলেও অপরিচিত বিষাক্ত মেডিসিন দেখে থমকে গেলো যুবরাজ।
না চাইতেও নিজের বাদামি চোখের মণি থেকে টুপ টুপ করে অশ্রু ঝরতে লাগলো।

“তার মানে অপারেশন জটিলতার জন্য জ্যাকব গ্যাব্রিয়েল এর মৃত্যু হয়নি?

কথা খানা বলে লম্বা আঙ্গুলির সহায়তায় থুতনি সমেত নিজের মুখ চেপে ধরলো যুবরাজ।

“না তাকে কার্ডিয়াক এরেস্ট এর ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে।শুধু তাই নয় তার বয়সের তুলনায় বেশি পরিমাণে এনেস্থেসিয়া ইনজেক্ট করা হয়েছে তার শরীরে।নরমাল এনস্থিসিয়ার পরিবর্তে তাকে সোডিয়াম থিউপেন্টাল বারবিটুরেট এনেস্থেসিয়া দেয়া হয়েছে।এজন্যই সে এতো দ্রুত অবচেতন হয়েছিলো।সবচেয়ে মারাত্মক খেলা ও কি খেলেছে জানিস?

যুবরাজের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে বিজ্ঞের ন্যায় তাকিয়ে রইলো রেহান।

অবুঝ শিশুর ন্যায় যুবরাজ রেহানের চোখে চোখ রেখে আহত কন্ঠে জানতে চাইলো
“কি করেছে?

“আমাদের সামনেই ও জ্যাকব গ্যাব্রিয়েলকে পটাশিয়াম ক্লোরাইড পুশ করেছে।যার জন্য ধীরে ধীরে কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়ে জ্যাকব গ্যাব্রিয়েল মৃত্যু বরন করেছেন কিন্তু আমরা কেউ টের পাইনি।

রেহানের মুখে শেরহামের এমন হৃদয়হীনের মতো খুনর বর্ণনা শুনে নিজের চুল খামচে ধরে টেবিলে কপাল ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে কষ্টে বেরিয়ে আসা চিৎকার রোধ করে যুবরাজ।কোনো কিছুই যেনো তার মাথায় ঢুকছে না।শেরহাম কেনো তার পিছনে এভাবে লেগেছে এটাও তার অজানা।

“তুই আমাকে শেরহামের সকল আপডেট কালকের মধ্যে জানাবি।আগামী দুই দিনের মধ্যে আমাকে কোর্টে তোলা হবে।এতবড় গেইম যেহেতু শেরহাম আমার সাথে খেলেছে তাহলে এতো দ্রুত ও আমাকে ছাড়বে না।অবশ্যই বড় কিছু করার অপেক্ষার প্রহর সে গুনছে।তাই যা করার তোকে আজ রাতের মধ্যেই করতে হবে।

যুবরাজের কথা শেষ হতে না হতেই কনস্টেবল নম্র ভাবে জানিয়ে দিলো
“ইউর টাইমস আপ”
যাবার আগে যুবরাজের গভীর চোখের দিকে একবার চাইলো রেহান।চোখে চোখে নিজেদের প্রয়োজনীয় কথা সারতেই জেল থেকে বেরিয়ে নিজের গাড়িতে উঠে বসলো রেহান।

_________
“তোকে আমার খুব ভালো লাগে যুবরাজ শাহীর।আর ভালো লাগে বলেই তোকে আমি এভাবে কষ্ট দেই।তোর কান্না আমাকে যে, কি পরিমাণ তৃপ্তি দেয় এটা ভাষায় প্রকাশ করার জো নেই!
উফ কি সুন্দর চোখ তোর!তোর চোখের কাতরতা আর জল দুটোই আমার বেশ পছন্দের।

মৃদু হলুদ আলোর নির্জন কক্ষে ইজি চেয়ারে বসে হুইস্কির গ্লাসে বরফ ঢেলে তা নাড়তে নাড়তে বির বির করে কথা গুলো বলে চলেছে শেরহাম।
বিশাল বড় এপার্টমেন্টের বৃহৎ কক্ষ জুড়ে যুবরাজের বড় বড় ছবি আর লেখালেখি তে পরিপূর্ণ।

“তুই না চাইতেও অনেক বড় ভুল করে ফেলেছিস যুবরাজ।তোর প্রথম অপরাধ তুই আমার মনে ধরেছিস।মনে ধরার একটা কারণ আছে অবশ্য।তোর জন্য আমি আমার পাপার কাছে অবহেলিত হয়েছি।আমার পাপার ভালবাসায় ভাগ বসানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিস তুই।তোর জীবনের সব ভালো আমি আস্তে আস্তে কেড়ে নেবো দেখিস।

দাঁতে দাঁত পিষে কথা গুলো বলেই হো হো করে হেসে উঠলো শেরহাম।মুহূর্তেই সেই হাসি বিলীন হয়ে তা ক্রোধে রূপ নিলো।
সেই ক্রোধ ঠেকাতে না পেরে হুইস্কির বোতল দিয়ে নিজের মাথায় নিজেই বাড়ি মারলো শেরহাম।শক্ত বোতলের সজোড় আঘাতে সাথে সাথেই মাথা ফেটে উষ্ণ রক্ত ধারা গড়িয়ে পড়লো শেরহামের চিবুক আর কপাল বেয়ে।

কিঞ্চিৎ আলোতে বেলকনির বিশাল থাই পার্টিশনে নিজের রক্তাক্ত ভয়ংকর অবয়ব দেখে কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো শেরহাম।

“শেরহাম ফাইয়াজ ইজ দ্যা মোস্ট হ্যান্ডসাম ম্যান ইন দ্যা ওয়ালর্ড”

কথাটা সগর্বে বলে কিছুক্ষন হাসার পর আপনা আপনি হাসি বন্ধ করে কঠিন রাগে ফুঁসতে লাগলো সে।নিজের মুখায়বে দুই হাতের আঙ্গুলি সঞ্চালন করতে করতে ভাবতে লাগলো―

“আমিই যদি পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ হই তাহলে ম্যাগান গ্যাব্রিয়েলা যুবরাজের হাত ধরলো কেনো?তাহলে কি যুবরাজ বেশি সুদর্শন?

এবার যেনো শেরহামের রাগ গগনচুম্বী হলো।
নিজেকে নিজেই শক্ত হাতে আঘাত করতে করতে রক্তাক্ত করে ফেললো নিমিষেই।এরপর সেখান থেকে উঠে এসে একটা রিভলবার তুলে নিয়ে ওয়ালে টানানো যুবরাজের বিশালাকার ফটো তে একের পর এক গুলি চালাতে লাগলো।

এভাবে কিছুক্ষণ কেটে যাবার পর রক্তাক্ত শরীরেই ধপ করে বিছানায় শুয়ে ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেলো শেরহাম।

বেলকনির এক কর্নারে দাঁড়িয়ে সবটাই অবলোকন করলো রেহান।এরপর ধীরে সুস্থে স্টিলের পাইপ বেয়ে নীচে নেমে এলো।

_______
আজকে যুবরাজকে কোর্টে তোলা হয়েছে।প্রত্যেকে অধীর আগ্রহে হিয়ারিং এর জন্য অপেক্ষা করছে।
শহরের নামকরা বড় বড় উকিল নিয়ে কোর্টে এসে হাজির হয়েছে ম্যাগান।এই টুকু একটা বাচ্চা মেয়ে যুবরাজের জন্য এতো কিছু করে যাচ্ছে এটা ভাবতেই যুবরাজের বুক খাঁ খাঁ করে উঠছে থেকে থেকে।চঞ্চল উৎফুল্ল হাসিখুশি ছোট মেয়েটাকে আজকে অনেকটাই ম্যাচিউর আর বড় বড় ঠেকছে যুবরাজের কাছে।

ঘড়ির ঘন্টা পড়তেই পক্ষ বিপক্ষের উকিলদের জেরা শুরু হয়ে যায়।এমন একটা কেস সলভড করতে এসে জাজ নিজেও বেকায়দায় পড়েছেন।হসপিটাল থেকে বলা হচ্ছে খুনের কেস কিন্তু যাদের পেশেন্ট তারা চুপচাপ।
এমন বিরল কেস কখনোই যেনো দেখেন নি বেচারা জাজ।

এদিকে সমানে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময়ের প্রহর গুনছে যুবরাজ।সকল প্রমান নিয়ে রেহানের কোর্টে হাজির হবার কথা।

“তবে কি কোনো বিপদ হলো?

অজানা আতঙ্কে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে এলো যুবরাজের।পানি পিপাসায় বুকটা খাঁ খাঁ করে উঠলো।
“তবে কি রেহান আমার জন্য শেরহামের ফাঁদে পড়ে গেলো?

#চলবে

[পেইজের রিচ কমে গিয়েছে একদম।নিয়মিত গল্পটি পড়তে চাইলে একটা ফলো দিয়ে গঠন মূলক মন্তব্য করবেন।ধন্যবাদ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here