#ধূসর_রঙের_প্রজাপতি
#ফাতেমা_তুজ
#part_21
গুগল ম্যাপ লোকেশনে ডিমের চরে আকৃতি টা খানিক টা ডিমের মতোই বটে অর্থাৎ ডিম্বাকৃতির। চর টি খুব ই নির্জন আর পরিচ্ছন্ন। বেলাভূমি জুড়ে দেখা যায় নানান কাঁকড়ার শিল্পকর্ম। অন্য পাশে রয়েছে বিশাল কাশবন।
ঝিল মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে। কাশফুল গুলো যেন ওকে ডাকছে। চরের বেশ খানিকটায় ঢেউয়ের আস্তরন পরে আছে।এগুলো হলো সব জোয়ারের চিহ্ন।জোয়ার আসলে ঐ পর্যন্ত ঢেউ আসে। আস্তরনের উপর পলি মাটি জমে কালচে রঙ ধারন করেছে। ঝিল খানিকটা ঝুঁকে আঁকি বুকি করতে লাগলো। অভিনব ঘুরে ঘুরে দেখছিলো। ঝিল কে উবু হয়ে থাকতে দেখে অভিনব ভ্রু কুঁচকালো। ক্যামেরা হাতে চলে আসলো ঝিলের কাছে। ঝিলের ডান পাশে একটু ধাক্কা দিলো। ঝিল ঘুরে পাশে ঘুরে দেখলো কেউ নেই। আবার বা পাশে ধাক্কা অনুভব করলো। এবারো ও কেউ নেই। ঝিল উঠে পেছন ঘুরে তাকালো। না কেউ নেই। ঝিল খানিকটা ভরকে গেল। এতো মানুষের মাঝে ভুত কি করে আসবে?
অভিনব মুখ চেপে হাসতে লাগলো। ঝিলের ঘাড়ের কাছে মুখ নিয়ে বলল
_ ঝিল।
ঝিল চমকে তাকিয়েছে। অভিনব পেট চেপে হাসতে লাগলো। ঝিল সরু চোখে তাকিয়ে বুকে থু থু দিলো।
_ অভিনব আপনি আমার সাথে মজা নিচ্ছেন? আমি ভয় পেয়ে মরে যাচ্ছিলাম। আর আপনি কি না হেসে যাচ্ছেন।
অভিনব এখনো হেসে যাচ্ছে। ঝিলের রাগ হলো। খানিকটা বালু নিয়ে অভিনবর দিকে তাক করলো। অভিনব ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে বলল
_ নো নো প্লিজ ঝিল। প্লিজ প্লিজ ডোন্ট ডু দিস।
ঝিল ডেভিল স্মাইল দিলো। অভিনব অসহায় মুখ করে নিলো। ঝিল কারো কথা শুনতে নারাজ। ভেজা বালুর মুঠো অভিনবর দিকে ছুঁড়ে দিলো। অভিনবর পাশ কাটিয়ে বালু গুলো পরলো। ঝিল আবার বালু উঠিয়ে নিলো। অভিনব খপ করে ঝিলের হাত ধরে ফেললো।
_ অভিনব হাত ছাড়ুন , অনেক মজা উড়িয়েছেন। আজ আপনার রেহাই নেই। আমার হাতে আপনার অন্ত নিশ্চিত।
_ ঝিল ডোন্ট ডু দিস। বালু গুলো ফেলে দিন। অনেক জায়গায় যাবো আমরা।
_ উহহহু ফেলবো না। আপনার গাঁয়ে বালু ফেলেই আমার শান্তি।
_ ফেলবেন না তাই তো?
_ উহুহহ
ওয়েট দেখাচ্ছি মজা। অভিনব এক হাতে ঝিলের হাত চেপে ধরে কোলে তুলে নিলো। ঝিল নিজেকে ছাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পরলো। কিন্তু অভিনব ছাড়তে নারাজ। নদীর ধারে গিয়ে দাঁড়িয়ে বাঁকা হেসে বলল
_ ফেলে দেই এবার?
_ অভিনব খারাপ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। দেখুন আমি ভিজে যাবো। আর ভেজা গাঁয়ে এতো টা পথ। না না ছাড়ুন প্লিজ। প্লিজ অভিনব
_ ওকে ছেড়ে দিচ্ছি।
_ আরে আরে কি করছেন আমি তো পানিতে পরবো।
_ কেন আপনি ই তো বললেন ছেড়ে দিতে।
_ অভিনব।
ঝিলের ভ্যাগা ভ্যাগা মুখ দেখে অভিনব ফিক করে হেসে দিলো। ঝিল রিকোয়েস্ট করে যাচ্ছে যাতে পানি তে না ছাড়ে ওকে। বেশ কিছুক্ষণ পর অভিনব ঝিল কে কোল থেকে নামিয়ে দিলো। ঝিল সরু চোখে তাকিয়ে পানিতে হাত ধুইয়ে ফেললো। অভিনব ফিস ফিস করে বলল
_ এতো সহজ? আমার সাথে লাগবেন তো সিউর ফাঁসবেন। একদম নদীতে ফালায় দিবো।
_ অভিনব।
_ হুমম।
_ আমি নদীতে পরে গেলে আপনি খুশি হবেন?
ঝিলের কথাতে অভিনব মুখ টা কুঁচকে নিলো। অভিনব স্পষ্ট লক্ষ্য করলো মেয়েটার চোখে পানি চিক চিক করছে। কিন্তু হুটহাট কেন এমন করে মেয়েটা?
_ কি হলো বলেন?
_ আপনি কাঁদছেন?
_ কই না তো। আমি কেন কাঁদতে যাবো।
ঝিল পেছন ঘুরে ফেললো। অভিনব হেচকা টান মেরে ঝিল কে ঘুরিয়ে নিলো। ঝিল দৃষ্টি এদিক সেদিক ঘোরাতে লাগলো। অভিনব দু হাতে ঝিলের মুখ টা কাছে নিয়ে আসলো। ঝিল চমকে তাকালো। অভিনবর দৃষ্টি স্থির। ঝিলের হাত পা কাঁপনি দিয়ে উঠলো।
_ অভিনব
_ হুসসস
_ কি করছেন
অভিনব রাগি চোখে তাকালো। ঝিল দমে গেল। অভিনব ধীরে ধীরে ঝিলের মুখে ফু দিলো। আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো ঝিল। অদ্ভুত ভালো লাগায় ছেয়ে গেল পুরো শরীর। অভিনব অধর কোনে হাসি রেখে বলল
_ হুটহাট চোখে পানি একদম পছন্দ নয় আমার। ঠাস করে থাপ্পর লাগিয়ে দিবো কিন্তু।
ঝিল ভ্রু কুঁচকে নিলো। অভিনব হাসলো। ঝিলের হাত ধরে খানিকটা দৌড়ে কাশবনের দিকে গেল। ঝিল ও অভিনবর পায়ের সাথে পা মেলাতে লাগলো। একটু পর কাশবনে এসে পরলো। ঝিল হাঁফাতে লাগলো। অভিনব লম্বা করে শ্বাস নিয়ে বলল
_ এতো তাড়াতাড়ি হাঁফিয়ে যাওয়া ভালো কথা নয় । নিয়মিত এক্সাইজ করবেন। কেমন যেন মুটিয়ে যাচ্ছেন।
_ হোয়াট! আমি মুটিয়ে যাচ্ছি? আপনি নিজেকে দেখুন তো। দৈত্যের মতো দেখতে। ইয়া লম্বা, আর চরা বডি। আমার মতো দুজন আপনার পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারবে।
অভিনব হো হো করে হেসে উঠলো। ঝিল দাঁতে দাঁত চেপে রইলো। অভিনবর থেকে দূরে সরে যেতে লাগলো সাথে অভিনব কে দু চারটা গালি ও মেরে দিলো।
অভিনব কাশ ফুলের ছবি তুলে নিলো। ঝিল কাশবনে বাচ্চাদের মতো করতে লাগলো। অভিনব যত্ন সহকারে ছবি ক্লিক করে নিলো কিছু। মেয়েটার প্রতি অদ্ভুত টান অনুভব করে ওহহ।অভিনব ক্ষীন হাসলো। মোহনীয় দৃষ্টিতে ঝিলের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছু সময়। ছিম ছাম উজ্বল রঙের মেয়েটা ওর বউ ভাবতেই অভিনবর হাসি পাচ্ছে।তা ও আবার পাক্কা দশ বছরের ছোট ভাবা যায়?
*
কাশবন থেকে ঝিল কে টেনে বের করলো অভিনব। ঝিল যেন কাশবনের মধ্যে ই লুটিয়ে পরছিলো। বেশ কাঠ খড় পুরিয়ে ঝিল কে বের করলো অভিনব। চরের একটু দূরে ঘন জঙ্গল। সেখানে প্রচুর হরিন দেখা যায় তাছাড়া বন্য শুকর তো রয়েছেই। একজন গাইড সবাই কে ডেকে পাঠালেন।সবাই এক সাথে জড়ো হতেই ওনি ব্রিফিন দেওয়া শুরু করলেন।
” ধন্যবাদ সবাই কে। এখন অব্দি আপনাদের আচারনে আমরা বেশ সন্তুষ্ট। মনে হচ্ছে আমরা ও যেন বন্ধুদের সাথেই এসেছি। তো যাই হোক আপনারা জানেন এই চরের নাম ডিমের চর। এর আশে পাশে ও অনেক চর রয়েছে। আমরা বেশ কয়েকটায় ঘুরবো। সাথে পক্ষী খালে ও যাবো। একটু পাশেই দেখুন গভীর জঙ্গল। জঙ্গলে বিভিন্ন প্রানী থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা ওদের সাথেই দেখা করতে এসেছি। আশা করি কোনো প্রানী কে কেউ আঘাত করবেন না। আর একটা কথা এখানে বাঘের পদচিহ্ন ও পাওয়া গেছে। বাঘ থাকতে পারে , তাই সবাই সাবধান। দলবদ্ধ হয়ে সবাই ঘুরবেন। আর একে অপরের সাহায্য করবেন। আমরা একটু পর গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করবো। এখানে বড় বড় গাছ নেই তবে ছোট গাছের অভাব ও নেই। তাই পোকা মাঁকড় থেকে সাবধান। আর যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তারা গাছের সংস্পর্শে আসবেন না। ”
ব্রিফিন দেওয়া শেষে সবাই আবার ঘুরতে লাগলো। মাহেরা বার বার অভিনবর সাথে লেপ্টে যাচ্ছে। আর তা দেখে ঝিলের রাগে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মেয়েটার মতি গতি সুবিধার নয়। নিঃসন্দেহে মেয়েটা ঝিলের থেকে অধিক সুন্দরী। আর তার জন্য ই ঝিলের চিন্তা। তবে এই চিন্তার আসল কারন ঝিলের জানা নেই।
অবশ্য ওহ মাথা ঘামাচ্ছে ও না। তবে অভিনব মাহেরার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে তা আর ও নিতে পারছে না ঝিল। হাতে থাকা কাশ ফুল টা ঝটকা মেরে ফেলে দিলো। একা একাই হাঁটতে লাগলো।
অভিনব সব কিছুই লক্ষ্য করেছে। ঝিলের দিকে ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে অভিনব ও ছুট লাগালো। এই মেয়েটা উল্টো দিকে যাচ্ছে কেন?
অভিনব ঝিলের পাশে এসে দম ফেললো। ঝিল এক পলক তাকিয়ে আপন মনে হাঁটতে লাগলো। অভিনব মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল
_ এই দিকে যাচ্ছেন কেন? সবাই তো এখন জঙ্গলে যাবে।
_ তো কি হয়েছে? আমি যাচ্ছি না ব্যাস।
_ হোয়াট।
_ এতো চেঁচাচ্ছেন কেন? আপনি সরেন আমার কাউকে দরকার নেই। আমি একাই ঘুরতে পারি।
_ ঝিল। একটু পর পর ই রেগে যাচ্ছেন কেন? সমস্যা টা খুলে বলুন প্লিজ।
ঝিল রেগে গেল। কাঁধের ব্যাগ টা খুলে ধুম করে অভিনবর হাতে রাখলো। অভিনব প্রশ্ন বোধক দৃষ্টি তে তাকিয়ে রইলো।
_ শুনেন আমার কোনো সমস্যা নেই। আপনার ই বরং আমাকে নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। মাহেরা আপু কে ঠিক ঠাক সময় দিতে পারছেন না।একটু পর পর ই আমার দিকে চলে আসতে হচ্ছে।
_ ঝিল।
_ একদম কথা বলবেন না আমার সাথে। যান আপনি আমার লাগবে না আপনাকে।
_ কি হয়েছে এমন করছেন কেন?
ঝিল মুখ ফিরিয়ে নিলো। একা একাই হাঁটতে লাগলো। অভিনব তাচ্ছিল্যর হাসি দিলো।একটু দূর গিয়েই আহহ বলে চিৎকার করে উঠলো। দৌড়ে এসে অভিনব কে জড়িয়ে ধরলো। অভিনব বোকার মতো তাকিয়ে রইল। ঝিল চোখ খিচে বন্ধ করে আছে।
_ কি হয়েছে? চিৎকার করে উঠলেন কেন?
_ আমার পায়ে কি যেন উঠেছিলো।
_ দেখি , কোথায় এখন তো নেই।
_ ছিলো তখন।
_ আচ্ছা আমার সাথে আসুন দেখছি আমি।
ঝিল অভিনবর জ্যাকেট খামচে ধরলো। অর্থাৎ সে যাবে না। অভিনব ফোঁস করে দম ফেলে বলল
_ যদি এমন কোনো প্রানী হয় যার জন্য আপনার এলার্জি উঠে যেতে পারে। তাই আমাকে দেখতে যেতেই হবে।
আসুন আমার সাথে
_ অভিনব
_ আমি আছি তো? কিচ্ছু হবে না। এবার ব্যাগ টা ধরুন।
ঝিল কাঁদো কাঁদো মুখ করে অভিনবর জ্যাকেটের হাতা ধরে হাঁটতে লাগলো। ঝিল যেখানে ছিলো এখানে এসে অভিনব ভ্রু কুঁচকালো। কোন এক প্রানী দেখা যাচ্ছে । খানিকটা কচ্ছপ এর মতো। তবে একটা লম্বা সুর ও দেখা যাচ্ছে। অভিনব উবু হয়ে সেটা কে ধরতে যেতেই ঝিল বাঁধা দিলো। অভিনব আশ্বস্ত করলো ঝিল কে। কিন্তু ঝিল মানতে নারাজ। ওহহ কিছু তেই অভিনব কে এই প্রানী টা কে ধরতে দিবে না। অভিনব ঝিল কে উপেক্ষা করে ধরতে যেতেই ঝিল ডুকরে কেঁদে উঠলো। অভিনব বুঝতে পারে না এই মেয়েটা এতো কাঁদে কেন?
ন্যাকা কান্না করলে ও হতো। তবে এটা সত্যি সত্যি ই কাঁদে। কি আজব!
একটা গাইড এসে অভিনব আর ঝিল কে ডাকলো। অভিনব সরস হেসে বলল
_ আচ্ছা দেখুন তো এটা কোন ধরনের প্রানী ।
লোকটা ভ্রু কুঁচকে প্রানী টা কে উল্টোলো। তারপর লম্বা হেসে বললেন
_ আরে এটা তো কাঁকড়া।
ঝিল অবাক হয়ে বলল
_ কাঁকড়া?
_ হ্যাঁ এটা সামুদ্রিক কাঁকড়া।
অভিনব লম্বা হেসে বলল
_ ওহহো এটা কে তো রাজ কাঁকড়া বলে।
গাইড সম্মতি প্রদান করে হেসে বললেন
_ আপনারা আসুন।
অভিনব মাথা ঝাঁকালো , লোকটা চলে গেল। ঝিল তাজ্জব বনে গেল। অভিনব মৃদু হেসে বলল
_ সামুদ্রিক কাঁকড়া বেশ প্রয়োজনীয়। বঙ্গোপসাগরের অন্যতম জীবন্ত জীবাশ্ম রাজ কাঁকড়ার রক্ত শুধু নীলই নয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের জগতেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। রাজ কাঁকড়ার প্রতি গ্যালন নীল রক্তের দাম প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
_ 50 লাখ টাকা?
_ হুমমম
_ তাহলে তো আমি কাঁকড়ার রক্তের বিজনেস করে বড়লোক হয়ে যাবো।
ঝিলের কথা তে অভিনব মৃদু হাসলো। মেয়েটার বাচ্চা সুলভ আচারন অভিনব কে টানছে খুব। অভিনব নিজে কে সামলে নিয়ে বলল
_ ইংরেজিতে ‘ব্লু ব্লাড’ নামে একটি শব্দগুচ্ছ রয়েছে, যার অর্থ হলো অভিজাত বংশীয়। সপ্তদশ শতকে নীল রঙ ছিল খুব দামি। শুধুমাত্র অভিজাতরাই এই রঙের কাপড় কিনতে পারতো। সেখান থেকেই এসেছে শব্দগুচ্ছটি। তবে প্রকৃতিতেও এরকম এক প্রাণি আছে যার রক্ত সত্যিই নীল। রাজ কাঁকড়াই সেই জীব।
বঙ্গোপসাগরের অন্যতম ‘লিভিং ফসিল’ (জীবন্ত জীবাশ্ম) রাজ কাঁকড়ার রক্ত শুধু নীলই নয়, চিকিৎসাবিজ্ঞানের জগতে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। ৪৫০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীতে বাস করে আসা এই প্রাণিটির অস্তিত্ব আজ সঙ্কটে। অভিযোগ রয়েছে, একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূল এলাকা থেকে রাজ কাঁকড়া ধরে থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে। ফলে ক্রমেই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে প্রাণিটি।
তবে, বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে প্রাণিটি হারিয়ে গেলেও এখনও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন দ্বীপ ও ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদঘেরা কাদা-বালুময় অঞ্চলে টিকে থাকার লড়াই করে যাচ্ছে প্রাণিটি। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) এর পর্যবেক্ষণেও বাংলাদেশে প্রাণিটির অবস্থান লাল তালিকায়। তবে এটার সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এটা এ দেশের বিশাল এক সম্পদ ।
অভিনবর দিকে ঝিল হা করে তাকিয়ে আছে। অভিনব গলা ঝেরে বলল
_ কি?
_ একটা কথা বলুন তো। আপনি কি মাথায় বই নিয়ে ঘুরেন নাকি?এতো সব জানেন কি করে?
_ মাথায় বই নিয়ে না ঘুরলে ও ব্যাগে বই নিয়ে অবশ্যই ঘুরি।
কথা টা অভিনব রসিকতার ছলেই বললো। ঝিল ভেঙ্চি কেঁটে বলল
_ একদিন আমি ও বলবো আর আপনি শুনবেন দেখে নিয়েন।
_ আচ্ছা দেখে নিবো।
_ কি?
_ এই যে বললেন। আপনি বলবেন আর আমি শুনবো।
_ ইসস ঢং কম করুন আর চলেন।
অভিনব অলসের মতো হাঁটতে লাগলো। ঝিল মুখ বাঁকিয়ে অভিনবর হাত টা ধরলো। অভিনব বোকার মতো চেয়ে রইলো। ঝিল জ্বিভ দিয়ে ভেঙ্চি কেঁটে অভিনব কে নিয়ে দৌড়াতে লাগলো।
** এখনো ডিমের চর শেষ হয় নি। আরো ঘুরতে হবে হুহহ।😒 কমেন্টে রাজ কাঁকড়ার ছবি দিয়ে দিবো। আর আজকের পার্ট কেমন হয়েছে?
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাফ করবেন।
চলবে