কল্পকুঞ্জে_কঙ্কাবতী লেখনীতে: নবনীতা শেখ |পর্ব ১৭|

0
1

#কল্পকুঞ্জে_কঙ্কাবতী
লেখনীতে: নবনীতা শেখ
|পর্ব ১৭|

“প্রেমে বাঁচি; প্রেমেতে মরি। প্রেম যে বিষ, সে তো সর্বাঙ্গে মাখি।
এ’বুকেতে খরার বসত। অনুরোধ, প্রিয়া! এক পশলা প্রেম-বৃষ্টি, দেবে কি?”

কানে বাজতে লাগল সে কথা। রাতে আর আমার ঘুম হলো না। এভাবে কীভাবে ঘুমোই? প্রচণ্ড অস্থির লাগছে, অস্বস্তি হচ্ছে। পুরাই দমবন্ধকর একটা অবস্থা।
আমার এক পাশে আপি শুয়েছে, আরেক পাশে রাহী। পায়ের দিকে শুয়েছে সুপ্তি; যার পা আমার পেটের উপর। দিদি ফ্লোরে বসে, সোফায় মাথা রেখে ঘুমিয়েছে। সোফার উপরে শুয়েছে দিয়া। আর নীতি! সে তো আমার গলার উপর পা আর রাহীর বালিশের কিছুটা উপরে পিঠ এলিয়ে শুয়ে আছে। বাড়ি ভর্তি মানুষ। রুম যে একেবারে খালি নেই, ব্যাপারটা এমনও না।
তবুও একসাথে শোবার বায়না ধরেছিলাম। এটা যে কতটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, এখন তা বুঝতে পারছি। বেশ ভালো ভাবেই বুঝতে পারছি। গলাটা ভীষণ ব্যথা হওয়ায় ডান কাত করতে গেলাম। ওমনিই নীতি বিরক্তিকর ‘চ’ শব্দ করে বলল, “উমম… ঘুমোতে দাও।”

উফফ! এ কী জ্বালা! রাহীর ঘুম যথেষ্ট ভালো। কোনো নড়চড় নেই। যেভাবে শুয়েছিল, সেভাবেই আছে। কিন্তু, এই নীতি আর সুপ্তি! আল্লাহ গো আল্লাহ! বাঁচাও। আমার অবস্থা প্রায় মরি মরি।

‌রাতটা এভাবেই তন্দ্রা-জাগরণের মধ্যেই কেটে গেল। ভোর হওয়ার পরপরই সবাই মিলে হাঁটতে বেরোলাম। না, সবাই না। আমি, দিদি, আপি, নীতি, রাহী, কুঞ্জ ভাই, আকাশ ভাই আর আসিফ ভাই। সুপ্তি আর দিয়া ঘুম থেকে ওঠেনি, তাই আসতে পারেনি।

হাত ঘড়িতে দেখে নিলাম, ঘণ্টার কাটা ছ’টায় আছে আর মিনিটের কাটা দশ পেরোল। এতক্ষণ দু’চোখ ঘুমুঘুমু হয়ে থাকলেও, প্রাকৃতিক এই দৃশ্যটা নজরে বদ্ধ হতেই তন্দ্রারেশ হুট করেই কেটে গেল। আশেপাশে গভীর দৃষ্টি মেলে ধরলাম। আমরা বাড়ির গলি পেরিয়ে এসেছি বহুদূর। এখন একটা সরু, পাকা রাস্তায়। দু’ধারে সব একমাপের বিশালকার গাছগুলো। আর রাস্তার দু’পাশে ঢালু জমি, এখানে বিভিন্ন ফসলের আবাদি হয়ে থাকে। তবে এখন তা খালি। গাছের শুষ্ক পাতা ঝরে গিয়ে, এ-পথে বিছানো; যেন চমৎকারভাবে সজ্জিত করেছে এই সড়কপথকে।
নয় পাড়া নিয়ে গঠিত গ্রাম, কামান্না। আমরা যাচ্ছি এর পূর্ব দিকটাতে। মাত্র উদিত সূর্যের মিষ্টি কিরণ, সবকিছুতেই যেন প্রাণ ঢেলে দিচ্ছে। ঠোঁট এলিয়ে হেসে উঠলাম। ইশ! সবকিছু কেমন সুন্দর লাগছে। তবে, হ্যাঁ! নয়া প্রেমে পাগল প্রেয়সীর কাছে আম গাছের মুকুলও ফুলের চেয়ে কম না লাগে।

এসবের ধ্যান থেকে বেরোতেই লক্ষ করলাম, সবাই হাঁটতে হাঁটতে বেশ সামনে এগিয়ে গেছে। দৌড়ে এগোতে চাচ্ছি না। আর হেঁটে সামনে যেতেও এই বিন্দু পরিমাণ ইচ্ছে হচ্ছে না। পাশের কাঠগাছটিতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। বাতাস বইছে ভীষণ দারুণ ভাবে। উপলব্ধি করার জন্য চোখ দুটো বন্ধ করে ফেললাম। এতে যেন আমার শ্রবণশক্তি বৃদ্ধি পেল। বাতাসের সাঁইসাঁই আওয়াজটি কানে কোনো গানের জন্য তোলা সুরের মতোই লাগছে। ঘ্রাণ-ইন্দ্রিয় সচেতন হলো। সেই চেনা স্মেল নাকে পেলাম। পরপরই মুখের উপর বাতাসের কড়া ঝাপটায় আর চেয়েও জোরপূর্বক নেত্র-যুগল আটকে রাখার প্রয়াস চালাবার সময় পেলাম না।

দ্রুত গতিতে চোখ খুলতেই সামনে কুঞ্জ ভাইকে দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। উনিও যেন এদের মতো গাছ হয়ে গেছে, ঠাই দাঁড়িয়ে আছে।

আমি একটু রেগেমেগেই বললাম, “সবসময় এভাবে হুটহাট চলে আসেন কোত্থেকে?”

কুঞ্জ ভাই বাঁকা হেসে বললেন, “ভুত পাওয়ার ইউজ করি।”

আমার মেজাজ খারাপের চেয়েও খারাপ হচ্ছে। তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বললাম, “আজেবাজে বকবেন না।”

“কেন? আমার মুখ, তোর কথামতো কথা বলবে? অবশ্য তুই চাইলে, তাই বলাতে পারিস।”

“কুঞ্জ্জজ ভাইইই!”

“ইশ! কান ফেটে যাচ্ছে রে।”

চোখ বন্ধ করে বড়ো বড়ো দুটো শ্বাস টেনে নিজেকে শান্ত করলাম। আমি হাইপার হচ্ছি কোন দুঃখে? সুযোগ থাকতেও ওঁকে না জ্বালিয়ে, নিজে হাইপার হওয়ার লজিক কোথায়? কোত্থেকে উদয় হলো? বুঝলাম না।

“কী ভাবছিস?”

আমি তাকালাম ওঁর দিকে। আমার কিছু বলার আগে তাঁর দিকে স্থির করা চাহনিটা লক্ষ করেই উনি বললেন, “উমম… ওয়েট! আমাকে জ্বালানোর ফন্দি আঁটছিস?”

আমি চোখে হাসলাম। কুঞ্জ ভাই প্রায় দু’কদম পিছিয়ে গিয়ে চোখ কুঁচকে বললেন, “এই ছিল তোর মনে? ছি! নবু, ছি! শ্যেইম অন ইউ!”

আমি হাসির রেখা সামান্য প্রশস্ত করে এক কদম এগিয়ে গেলাম। উনি আমার দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে। ইশ! কেমন কেমন লাগে। মনের এই কেমন কেমন লাগাটা আপাতত পজ করে দিলাম। কুঞ্জ ভাইকে উদ্দেশ্য করে বললাম, “সবাই চলে গেল, আপনি যাননি যে?”

উনি মোটেও ঘাবড়ালেন না। উত্তর যেন তৈরি করাই ছিল, “ইউ নো, নবু? আমি ভীষণ রেস্পন্সিবল একটা ছেলে। পড়াশোনায় অত ভালো কোনোকালে না হলেও, ফর মাই বিহেভিয়ার, রেস্পন্সিবলিটি, অ্যাটিটিউড– আমি সবার ফেভারিট। আর এখন যখন সবাই মিলে হাঁটতে বেরিয়েছি, নিশ্চয়ই সবদিকেই চোখ রেখেছি। তুই থেমে গেলি বলেই তো এখানে থেকে গেলাম আমি। বলা যায় না– বাচ্চা মানুষ তুই, যদি হারিয়ে যাস! তা তো হতেও দেওয়া যায় না। ওয়েট! বাই এনি চান্স, নবু! তুই কি আমাকে ফাঁসানোর জন্যই এমন করেছিস?”

আমি তপ্ত শ্বাস ফেলে বললাম, “এই মনে হয় আপনার?”

কুঞ্জ ভাই কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন, “ছি! নবু, ছি! শ্যেইম অন ইউ।”

“আপনি ভুল বুঝছেন। আসলে এই জায়গাটা ভালো লেগেছে, তাই থেমে গেছি।”

কুঞ্জ ভাই আমার চোখে চোখ রেখে বললেন, “যেটা পারিস না, সেটা করতে যাস কেন? লাই ডাজেন্ট স্যুট ইউ, নবনী। অ্যান্ড ইউ নো-না? আই ডোন্ট লাইক অ্যা লায়ার!”

আমি মাথা নিচু করে ফেললাম। এ রাস্তায় কিছুটা এগোতেই আমার দাদার বাড়ি। বড়ো ফুপ্পি এখানেই থাকেন, সাথে তাঁর ছেলেটাও। ওর চরিত্রটা কেমন যেন নড়বড়ে। মেয়ে মানুষ তো আমি, নজর বুঝতে অসুবিধে হয় না। তার নজর পছন্দ না আমার। সুযোগসন্ধানী ফুপাতো ভাই সে। সুযোগ পেলেই বাজে ভাবে ছুঁয়ে দেওয়ার চেষ্টায় মেতে ওঠে। তাই আমি এড়িয়ে চলি। আর এই সময়ে ভাইয়া বাড়ির রাস্তার সামনেই থাকে। তাই যেতে চাচ্ছিলাম না।

কুঞ্জ ভাই আমাকে চুপ থাকতে দেখেই হয়তো জিজ্ঞেস করলেন, “কী হয়েছে? খুলে বল…”

আমি মিনমিনে কণ্ঠে বললাম, “বাড়ি যাব আমি।”

উনি আমাকে আর কিছু বললেন না। আমার ডান হাতটি নিজের হাতের মুঠোয় পুরে নিলেন। ভরসার এই হাতটা আমাকে আস্বস্ত করল, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এরপর বাড়ি ফেরার রাস্তায় এগোতে এগোতে অন্য হাত দিয়ে পকেট থেকে নিজের ফোনটা বের করলেন। এদিক-ওদিক টাইপ করে কল লাগালেন কোথাও একটা। ঠিক দেখতে পেলাম না।

কল রিসিভ হতেই কুঞ্জ ভাই স্পিকারে দিলেন। ওপাশ থেকে ভেসে এলো, দিদির স্বর, “কী রে কুঞ্জ, তোরা কই?”

উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “আমরা বাড়ি ফিরছি। তোমরা ঘুরে এসো।”

“কিন্তু, হঠাৎ এভাবে উধাও হলি কী করে? খুঁজছিলাম তো!”

“টেনশন কোরো না, শ্যামা আপু। আসলে, নবুর ভালো লাগছে না।”

“সে-কী! ওর আবার কী হলো? সকাল থেকে তো দিব্যি ছিল…”

দিদির আর কিছু বলার আগেই কুঞ্জ ভাই তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, “তেমন কিছু না। তোমরা ইনজয় করো আর তুমি আমার বড়ো বোন যেহেতু, তাই অতটা বোঝাতে পারলাম না। বুঝে নাও। রাখছি।”

উনি কল কেটে দিলেন। আমি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি ওঁর দিকে। উনি যেই না আমার দিকে তাকালেন, ওমনিই প্রশ্ন করলাম, “কী বুঝে নিতে বললেন?”

উনি অতিষ্ঠ ভঙ্গিমায় ডানে-বামে মাথা নেড়ে বললেন, “সেটা তুই বুঝলে তো হতোই!”

“আজিব! বোঝান।”

“কেন? তোর বাপে কি তোকে বোঝানোর জন্য আমাকে হায়ার করে রেখেছে? এ টু যেড বুঝিয়ে যাব কোন সুখে? খেয়ে-দেয়ে কাজ নেই নাকি আমার?”

“আমার আব্বুকে নিয়ে কিছু বলবেন না, কুঞ্জ ভাই।”

“আমি কি আর ইচ্ছে করে বলতে চাই? শিক্ষা-দীক্ষার ছিরি দেখে বলতেই হয়।”

“আপনি আমার শিক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন, কুঞ্জ ভাই? এটা কিন্তু ঠিক না।”

কুঞ্জ ভাই এদিক-ওদিক তাকিয়ে বললেন, “আচ্ছা, আমি তোর কত বছরের বড়ো যেন?”

আমি হাতের কর গুনে বললাম, “উম… ছয়।”

“তো! তোর চেয়ে ছয় বছরের বড়ো একজনকে কীভাবে নাম ধরে ডাকিস?”

“আমি আপনাকে নাম ধরে কখন ডাকলাম, কুঞ্জ ভাই?”

“সি, ‘কু-ন-জো-ভাই’। শুরুতে নামটা নিয়েছিস তো! তোর শিক্ষিত বাপ কি তোকে এই শিক্ষা দিয়েছে?”

আমি কিছুক্ষণ হা হয়ে তাকিয়ে রইলাম। এরপর থেমে থেমে বললাম, “বেশ! এখন থেকে শুধু ‘ভাইয়া’ বলে ডাকব।”

উনি তৎক্ষণাৎ বললেন, “তোর ডাকতেই হবে না। তুই কি মনে করেছিস? আমার বোন নেই। তোর মুখে ভাই ডাক শোনার জন্য আমি মরে যাচ্ছি, তাই-না?”

“এভাবে বলছেন কেন?”

“কীভাবে বলছি?”

“ধমকাচ্ছেন আমাকে!”

“তো কী করব? আদর করব?”

আমি প্রত্যুত্তরে কিছু বলার জন্য শব্দ পেলাম না। নির্লজ্জ এই লোকটা আমাকে ভারি লজ্জায় ফেলে দেয়! কিছু না বলেও কেমন যেন হাঁসফাঁস করতে লাগলাম। ইশ! কী বিচ্ছিরি ধরনের ভালোলাগার অনুভুতি!

আমার চুপ করে থাকাতে উনি অবাক হয়ে বললেন, “এই ছিল তোর মনে? ছি! নবু, ছি! শ্যেইম অন ইউ, বেইবি। শ্যেইম অন ইউ।”

“উফফ! আপনি আমাকে বেইবি বলছেন কেন?”

“তোর ফুলো ফুলো লাল হয়ে যাওয়া গাল দুটো এখন ঠিক বাচ্চাদের মতোই লাগছে।ইচ্ছে হচ্ছে, দু’হাতে দু’গাল টেনে ধরে টুপ করে ছ-সাতটা চুমু খেয়ে বসি। বয়সও তোর ১৮-। অ্যাডাল্ট হলে ওইভাবে বড়োদের মতো চুমু খেতাম। কিন্তু তুই তা নোস, তাই বাচ্চাওয়ালা চুমু দিতে ইচ্ছে করছে। দিই?”

আমি কী বলব এবার! কোনো কথা না বলে বাক্য-বিনিময়ের সমাপ্তি এখানেই ঘটালাম। বেশ অনেকটা রাস্তা এসে গেছি। তখনই পাশ দিয়ে এক মুরুব্বি লোক যাওয়ার সময় থেমে গেল।

আমাদের দিকে তাকিয়ে ভদ্র লোক জিজ্ঞেস করলেন, “কোন বাড়ির গো?”

আমি বললাম, “আমি শিকদার-পাড়ার।”

কুঞ্জ ভাই বললেন, “আমি দক্ষিণ-পাড়ার।”

ভদ্র লোক আমাদের বাবা-দাদাদের নাম জিজ্ঞেস করলে। আমরা বললাম। কিছুক্ষণ পরেই লোকটি আমাকে বললেন, “আরে! তুমি ঠাণ্ডুর মাইয়া! কত বড়ো হইয়া গেছ! আমি তোমার আব্বার বন্ধু আছিলাম। তোমার ইয়াসিন আঙ্কেল আমি। ঠাণ্ডুরে কইও, ও চিনব। তুমি তো আহো না। তাই চিনো না।”

বিনিময়ে আমি মুচকি হাসলাম। আব্বুর দাদি আব্বুকে ‘ঠাণ্ডু’ বলে ডাকতেন। এ-থেকে গ্রামের প্রায় সবাই আব্বুকে এই নামেই চেনে। আমি কুঞ্জ ভাইয়ের দিকে তাকালাম। উনি বিরক্ত হচ্ছেন বোধহয়। এদিকে ইয়াসিন আঙ্কেল আরও বললেন, “কাইল রাইতেও তো তোমগো বাইত দিয়া ঘুইরা আইসিলাম। তোমগোরে দেখলাম না যে!”

আমি গলা ঝেড়ে বললাম, “মামাবাড়িতে ছিলাম তো, আঙ্কেল। মামাতো বোনের বিয়ে, সেজন্য এসেছি।”

আঙ্কেল চমৎকার হাসলেন। আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন, “কী নম্র-ভদ্র মাইয়া! আমার পোলাডা, মানে তোমার আকিব ভাইয়ার কথা মনে আছে? ছোডো বেলায় তো ওর কোল থেইক্যাই নামবার চাইতা না। আর ওরে ডাকতা আতিপ বাই কইয়া!”

কথাটা বলে উনি আবারও উচ্চস্বরে হাসলেন। আমি লজ্জায় পড়ে গেলাম। এমন কিছু সত্যিই মনে পড়ছে না আমার। আঙ্কেল হাসি থামিয়ে আমার উদ্দেশ্যে বললেন, “তোমার আব্বারে নিয়া আমগোর বাইত্তে আইও।”

চলে গেলেন। এদিকে কুঞ্জ ভাইয়ের দিকে তাকাতেই বুঝলাম, উনি ফুঁসছেন। কিন্তু এরকমটা কেন? শুধু শুধু এরকম করার কী আছে? যেন ওঁর ঝাল লেগেছে। হুহ্!

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here