#তবু_আছি_কাছাকাছি(Doctors love)💕
#writer_Sumaia_Islam_Mim
#part_34
💕
.
.
তিন মাস পর❤❤❤❤
সাদিঃ সুমু! তাড়াতাড়ি করো! ১০টায় ট্রেন!
—আরে হয়ে গেছে! হিজাবের পিনটা লাগাইতে দাও!
সুমু রেডি হয়ে বাইরে আসলো।
—হ্যাঁ চলো! হয়ে গেছে আমার!
সাদি ঘড়ির দিক তাকিয়ে বলল,
সাদিঃ আচ্ছা প্লেনে গেলে কি ক্ষতিটা হইতো?
—এই তুমি এমন কেন?
সাদিঃ কেমন?
—আনরোমান্টিক!
সাদিঃ(অবাক হয়ে) আমি আনরোমান্টিক? কালকে রাতে…
সাদির কথা সুমু শেষ করতে দেয় নি। তার আগেই ঠোঁট হাত দিয়ে চেপে ধরেছে।
—এক নাম্বারের একটা অসভ্য! মুখে কিচ্ছু আটকায় না! লাগামহীন মানুষ একটা!(নাক মুখ কুঁচকে) আমরা ট্রাভেলিং করতে যাচ্ছি! যেটা তোমার ভাষায় হানিমুন! সুন্দর পাহাড় দেখতে দেখতে যাবো তাই ট্রেনের কথা বলেছি! এবার চুপচাপ চলো।
সাদিঃ যথা আজ্ঞা, প্রিন্সেস!
—হুহ!
সাদি আর সুমু দীর্ঘ ১১ ঘন্টা জার্নি করে রাঙামাটি পৌছালো। সুমু সারা রাস্তাই এঞ্জয় করেছে। আর সাদি! সে সুমুর কাধে মাথা দিয়ে আরাম করে ঘুমিয়েছে। তারা সিংগেল এসি কেবিন নিয়েছিলো তবুও সাদি সুমুকে ছেড়ে উপরের বিছানায় গেলো না। সুমুর কোলে মাথা দিয়ে আরামসে ঘুমিয়েছে! সাদি আর সুমুর হোটেল পৌছতে প্রায় রাত হয়ে গেলো। তাই সাজেকের উদ্দেশ্যে আর না গিয়ে একটা হোটেলে উঠলো। কাল সকালে ১০ টার মধ্যে পাস দিয়ে সাজেক ঢুকবে।
.
সাদি খুব ফুরফুরে মেজাজে আছে। কিন্তু সুমু বেশ ক্লান্ত! সে সারারাস্তায় এক বিন্দুও ঘুমোয় নি। হয়তো এক্সাইটমেন্টের জন্য ঘুমই আসে নি।
সাদিঃ এই চলোনা রাতের আকাশ দেখবো! পাহাড়ের উপর থেকে ভিউটা অসাধারণ হবে।
—ডাক্তারসাহেব! নিজে তো সারা রাস্তা ঘুমাইছো! তাও ঠিক আছে! আমি এখন বেশ ক্লান্ত! একটু রেস্ট নেবো দ্যান ডিনার করবো তারপর হোটেল থেকে বের হবো! ওকে?
সাদিঃ আচ্ছা! তুমি রেস্ট নাও! আমি একটু আসছি!
—খবরদার বলতেছি, যদি দেখি সিগারেটের আসে পাশে গেছো, তোমার একদিন কি আমার! তোমার হানিমুনকে আমি বিটারগোয়ার্ড মুন বানাই দিবো!
সাদি(কনফিউজড হয়ে) মানে?
—মানে মধুচন্দ্রিমা থেকে করল্লাচন্দ্রিমা হয়ে যাবে!
সাদিঃ হে খোদা! আমি খাই তো সিগারেট!
—পাইলে ছাড়োও না! খবরদার বলতেছি আগেই! যদি এমন কিছু দেখছি তো তুমি শেষ! হুহ! আমি ফ্রেশ হতে গেলাম!
সুমু ওয়াশরুমে যেতেই সাদি হাফ ছেড়ে বলল,
সাদিঃ নারীশক্তির জয় আমার সুমু করেই ছাড়বে! হাহ! আল্লাহ বাঁচাইও!
সাদি হোটেলের ম্যানেজমেন্টের সম্পর্কে জানলো। এখানে রাতে বের হলেও সমস্যা নেই। তবে বেশ সাবধানতা অবলম্বন করতে বলে।
.
সাদি রুমে এসে দেখে সুমু ঘুম! সাদি মুচকি একটা হাসি দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলো। সাদি শাওয়ার অন করে দিলো। শাওয়ারের পানি সাদির পিঠ গড়িয়ে পড়ছে! আর সাদি মাথা নিচে দিয়ে এক হাত দেওয়ালে ঠেকিয়ে ভাবছে!
” সুমু আজ তার! শুধুই তার! সে একটা সময় আশা ছেড়েই দিয়েছিলো সুমুকে পাবার! নিলার প্রতি কখনই সাদির ফিলিংস ছিলো না। তাই সে কখনই উল্টাপাল্টা ভাবে নি। সুমুই ছিলো তার প্রথম অনুভূতি! কিন্তু সেদিন সুমুকে কাঁদতে দেখে তার বুকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিলো। যা শুধু সে নিজেই জানে। মেয়ে হলে হয়তো কেঁদে মনটা শান্ত করতে পারতো৷ কিন্তু ছেলে বলেই হয়তো তাকে শক্ত হয়ে থাকতে হয়েছিল। সুমুকে চড় মারার শাস্তিও নিলা পেয়েছে। সাদি নিজেই দিয়েছে! ফল কাটার ছুড়ি দিয়ে হাতের তালু বেশ কয়েকবার কেটেছে। আবার নিজেই ওষুধ লাগিয়ে দিয়েছে। নিলা যখন সাদির প্রতি বেশি অ্যান্ডিক্টেড হয়ে যাচ্ছিলো তখনই সাদির পাগলামিগুলো প্রকাশ পেয়েছিলো। সুমুর খেয়াল তার মধ্যে এমনভাবে ঝেঁকে ছিলো সে তার হিতাহিতজ্ঞান ভুলে যাচ্ছিলো। নিলা সাদির পাগলামিগুলোর ভয়েই এই দেশ ছেড়েছে। কিন্তু এগুলো তো সুমুকে জানতে দেওয়া যাবে না। থাক না কিছু কথা সুমুর অজানা।”
ভেবেই সাদি একটু বাঁকা হাসলো। সে কখনই সুমুকে পায় নি, বরং সে সুমুকে অর্জন করেছে।
,,
,,
,,
,,
(চলবে)……..
(সাদির রহস্য আশা করি কিছুটা ক্লিয়ার করলাম! আস্তে আস্তে গল্পে টুইস্ট আসবে! আর পার্ট ছোট হওয়ার জন্য দুঃখিত)
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।