প্রেমাসুখ #পর্ব_৩৭ (বিয়ে) #লেখনীতে_নবনীতা_শেখ

0
127

#প্রেমাসুখ
#পর্ব_৩৭ (বিয়ে)
#লেখনীতে_নবনীতা_শেখ

কাল রাতে সাঁঝ একা ঘরে চিন্তায় মরছিল। যদি বিয়ে হয়ে যায়, সাঁঝ বাঁচবে না। পালিয়ে গেলে, বাবা-মায়ের মানসম্মান নষ্ট হবে। এতে তার বাবার যে-কোনো কিছু হয়ে যেতে পারে।

সাঁঝ আবারও ভাবল, যদি বিয়ে হয়ে যায়; তাকে অন্য পুরুষ ছোঁবে। তখন! ভাবতেই সাঁঝের গা গুলিয়ে উঠল। পারছে না, কিছুই ভাবতে পারছে না। ফোন হাতে নিয়ে হৃদের ছবি দেখল, কনভারসেশন দেখল। এই লোকটাকে ছাড়া কীভাবে থাকবে! কী ভাবে অন্য কারোর ঘরনী হবে?

হঠাৎ সাঁঝের সুপ্ত মস্তিস্ক বলে দিল, “সাঁঝ! মরে যা!”

সাঁঝ এখন আর ভাবল না। তৎক্ষনাৎ বাড়ির পাশের, তাদের সবজি বাগান থেকে কীটনাশকের বোতল নিয়ে রুমে ফিরে এলো। তবে এবার কী করবে, কিছুই বুঝতে পারল না। সারা রাত ভাবল। কান্না করতে করতে ভোরের দিকে কীটনাশকের বোতল হাতে নিয়েই মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়ল সাঁঝ। ঘুমানোর আগে অবশ্য একটা সুইসাইড নোট লিখেছিল, “আমি তার; নয়তো কারো না।”

সবাই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সুমিতা বেগম অশ্রুসজল নয়নে তাকিয়ে আছে সাঁঝের পানে। অর্ণব দরজার সামনে জড়ো হওয়া মানুষজনের উদ্দেশ্যে বলল, “আপনারা একটু স্পেস দিন, প্লিজ।”

সবাই চলে গেল। অর্ণব এগিয়ে এসে আচমকা সাঁঝকে একটা থাপ্পড় মারল। সাঁঝ মাথা নিচু করে অঝোরে কান্না করে দিল।

অর্ণব কোমরের দু’পাশে হাত রেখে এদিক-সেদিক তাকিয়ে আবারও সাঁঝকে দেখল। সাঁঝের গালের দু’পাশে হাত রেখে তার মুখটা নিজের দিকে তুলে বলল, “যদি ঐ ভুলটা করতিস?”

কিছুক্ষণ থেমে আবারও বলল, “তুই কখোনো আমার কাছে এমন কিছু চেয়েছিস, যা আমি দিইনি?”

“সব দিয়েছিস।”

“তবে? আমাকে কেন বললি না? বলেই তো দেখতিস একবার!”

সাঁঝ ফুঁপিয়ে কেঁদে যাচ্ছে। অর্ণবকে জড়িয়ে ধরে বলল, “ভাইয়া আমার মাথা কাজ করছিল না।”

অর্ণব সাঁঝের মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, “মৃত্যু কোনো উপায় না রে।”

“হুম, ভাইয়া।”

“তুই কী জানিস তোর বিয়ে ভেঙে গেছে?”

সাঁঝ মাথা তুলে তাকাল। চোখে-মুখে বিস্ময়। প্রণব বলল, “সিরিয়াসলি সোনু! কীটনাশক খাইতে গেছিলি? এরচেয়ে ইঁদুর মারার বিষ খাইতিস! যাই হোক, এই আহাম্মকটা মরে গেলে জানতই না, ওর বিয়া ভাইঙ্গা গেছে। যা, এখন এই খুশিতে বিষ খা। আমি আরও তিনটা শিশি আইনা দিতাছি। সবটি গিলবি। এক ফোঁটাও যেন না থাকে।”

আয়াত, উপমা কেউ ওর সাথে কথা বলল না। সুমিতা বেগম এক দৃষ্টিতে তাকিয়েই আছেন।

ঘুম থেকে উঠে আরিফ সাহেব সাঁঝের রুমে এলেন। সবাই সাঁঝের আশেপাশে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সাঁঝ মাথা নিচু করে বসে আছে। আরিফ সাহেব হালকা কেশে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করলেন।

সবাই তাকাতেই জিজ্ঞেস করলেন, “কী হয়েছে?”

উপমা বলল, “কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে। কোনটা আগে বলব?”

“সিরিয়ালি বলতে থাকো।”

“প্রথমে রুমে এসে দেখি সাঁঝ বিষ হাতে নিয়ে ফ্লোরে পড়ে আছে। সবাই মনে করি, ও সুইসাইড এটেম্ট করেছে। পরে শুনি ও সুইসাইড করবে কী না, এই ডিসিশন নিতে গিয়ে সারারাত জেগে, ভোরে ঘুমিয়ে পড়েছে।”

আরিফ সাহেবের চোখে মুখে ভয়-ভীতি ছেয়ে আছে। তার কলিজার টুকরো এটা কী করতে যাচ্ছিল! হঠাৎ বুকে ব্যাথা অনুভব করল। এক হাতে বুক ডলতে ডলতে মনে মনে বলল, “আমাকে ক্ষমা করে দাও, মা। আমি বুঝিনি এরকম কিছু হবে।”

এটা ভেবেই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সুমিতা বেগমের উদ্দেশ্যে বললেন, “বিয়ে ক্যান্সেল। কিন্তু তাদের কীভাবে মানা করব। নিমন্ত্রণ করা শেষ।”

উপমা আবার বলল, “পরের ঘটনা হলো, আমরা যখন সাঁঝকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, তখন প্রহর ভাইয়া কল দিয়ে বলে দিয়েছে, সে বিয়ে করবে না।”

আরিফ সাহেব বললেন, “তাহলে তো হলোই।”

সুমিতা বেগম এতক্ষণে সাঁঝকে বলল, “ছেলের পরিচয় বল।”

সাঁঝ মিনমিনে গলায় বলল, “উপমাকে জিজ্ঞেস কর।”

সুমিতা বেগম এগিয়ে এসে সাঁঝের মাথায় মেরে বলল, “প্রেম ও করেছে না কি তুই?”

“আমিই।”

“তাহলে বল।”

সাঁঝ বলল, “হৃদ।”

সুমিতা বেগম বিস্মিত কন্ঠে বলল, “ঐ ডাক্তারটা?”

সাঁঝ ছোট্ট করে বলল, “হু।”

“আমি বুঝি নাই এই জেনারেশনের পোলাপানের চয়েজ এত খারাপ কী করে হয়!”

“না, মা। আমার এবারের চয়েজ একদম খারাপ না। উনি ভীষণ ভালো।”

“আমি তোর চয়েজের কথা বলি নাই, ওর কথা বলতেছি। ছেলেটার চয়েজ এত খারাপ হবে, দেখে বুঝি নাই। কীভাবে তোকে পছন্দ করল?”

সাঁঝ অসহায় চোখে তাকাল। আরিফ সাহেব বললেন, “তবে তাকে কল দিয়ে আজ পরিবার নিয়ে আসতে বল। বিয়ে পড়িয়ে দিই।”

___________________
সকালে প্রহরের সাথে কথা বলেই হৃদ টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। সাঁঝ কী বলতে পারবে, তার জানা আছে। তাই তো নিজেই কথা বলতে চলে এলো। সুমিতা বেগমকে বললে, নিশ্চয়ই রাজি হবে। ছেলে হিসেবে তো সে দেখতে-শুনতে খারাপ না।

বাড়ির সামনে পৌঁছাতেই হৃদ খেয়াল করল, বিয়ে বাড়ির মতো শোরগোল নেই। কেমন একটা নিস্তব্ধ, বিদ্ধস্ত। হৃদ ভেতরে প্রবেশ করতেই কানে এলো, “আমি জানতাম এই মেয়ের চরিত্র ভালো না।”

পাশ থেকে আরেকজন বলল, “কীভাবে জানতেন? আমি ভাবি এসব বুঝিনি, আমার কাছে তো ভালোই লাগত। কিন্তু… আজকে যা হলো না!”

হৃদ সাঁঝের দুঃসম্পর্কের এক চাচীকে বলল, “আন্টি, কী হয়েছে?”

“তুমি জানো না?”

“না।”

“মাইয়া কোন নাগরের জন্য না জানি বিষ খাইসে।”

হৃদ থমকে গেল। পা-জোড়া মাটির সাথে লেগে গেল। সাঁঝ এটা কী করল? এটা কখনই আশা করেনি সাঁঝের কাছ থেকে। সে তো সবটা ঠিক করেই ফেলেছিল! তবে?

হৃদ থামা থামা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল, “হসপিটালে নেওয়া হয়েছে?”

“না।”

“রুমটা কোনদিকে?”

ভদ্রমহিলা রুমটি দেখিয়ে দেওয়া মাত্রই হৃদ দৌড়ে সেদিকে চলে গেল।

_______________
গৌধূলির শেষ লগ্ন। কিছুক্ষণ আগেই সাঁঝের সাথে হৃদের বিয়ে পড়ানো হয়েছে। হৃদের বাবা-মা চট্টগ্রামে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। উদয়েরও এক্সাম চলছে। তাই কেউ বিয়েতে উপস্থিত হতে পারেনি। কিন্তু বিয়েটা জরুরি, অন্যথায় সমাজে সাঁঝের নামে উলটা-পালটা কথা রটে যাবে। অগত্যা হৃদের ফ্যামিলির সাথে কলেই আলাপচারিতা করে বিয়ে পড়ানো হয়েছে। বিদায়ও হয়েছে। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করল না কেউ। গাড়িতে পাশাপাশি সিটে বসে আছে সাঁঝ ও হৃদ। বিদায়ের বেলাতেও কারো মুখে কথা ছিল না। কেউ কান্না করেনি। সবাই কেমন যেন গম্ভীর ও থমথমে মুখে বিদায় দিয়েছে।
বিদায়ের আগে আরিফ সাহেব হৃদকে নিজের রুমে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন।

রুমে গিয়ে দরজা লাগাতেই শক্ত আরিফ হাওলাদার হাউমাউ করে কেঁদে দিয়েছিলেন। হৃদ তখন ব্যস্ত ভঙ্গিতে বলল, “কাঁদবেন না, বাবা।”

আরিফ সাহেব কান্না থামিয়ে বললেন, “আমার কলিজার টুকরোকে তোমার হাতে তুলে দিলাম।”

“আমি আলগোছে নিজের কলিজায় তুলে নিলাম।”

“ভালো রাখবে তো আমার মেয়েটাকে?”

“নিজের সবটা দিয়ে চেষ্টা করব। আপনি যেভাবে রেখেছিলেন, সেভাবে হয়তো পারব না। তবে নিজের চেষ্টায় কমতিও রাখব না। আই প্রমিজ ইউ বাবা, আপনার মেয়েকে কখনো কষ্ট পেতে দেব না।”

“তোমাকে বিশ্বাস করলাম।”

“আপনার বিশ্বাস ভাঙব না।”

কথা এটুকুই হয়েছিল। এরপর বিদায় হলো। গাড়িতে এখনও চুপচাপ বসে আছে সবাই। পিনপতন নীরবতার মাঝে সাঁঝ ডেকে উঠল, “ডাক্তার সাহেব!”

হৃদ তাকাল না। গাড়ি হাইওয়ে ছেড়ে আসতেই সাঁঝ পাশ ফিরে পুনরায় হৃদের দিকে তাকাল। সামনে ড্রাইভারের পাশে প্রণব বসে আছে, তার পেছনে উপমা ও আয়াত। সবাই ঘুমে। কিছুক্ষণ হৃদের জবাবের অপেক্ষা করেও জবাব পেল না। তখন, সাঁঝ হৃদের দিকে চেপে বসল। হৃদ তবুও নির্বিকার।

সাঁঝ বলল, “আ’ম স্যরি।”

হৃদ সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলল। সাঁঝ হৃদের বুকে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে উঠল। হৃদ কিছু বলল না। সরিয়েও দিল না, আগলেও নিল না। সাঁঝ অনেক বড়ো অন্যায় করতে যাচ্ছিল। মেয়েটা বিশ্বাস রাখতে পারেনি। এটুকু শাস্তি প্রাপ্য।

__________________
ফ্ল্যাটে শুধুমাত্র হৃদ আর সাঁঝ। উপমা উপরে আসেনি। আয়াত ও প্রণবও নিজেদের বাসায় চলে গিয়েছে। ইতোমধ্যে রাতের ঘনত্ব বেড়েছে। শীতও অসহনীয় হয়ে উঠেছে। সাঁঝ হৃদের রুমের এদিক-ওদিক দেখছে। একটু ভুল সে করেছেই, সেটা মেনে নিয়েছে। আত্মহত্যার মতো পাপ দ্বিতীয়টি নেই। এই পাপের ক্ষমা নেই। শাস্তি ভীষণ ভয়াবহ!
সাঁঝ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। ভাগ্যিস সে এটা করেনি। করলে তো মরে গিয়েও শাস্তি পেত। কোনোক্রমে বেঁচে গেলে আরও শাস্তি পেত। এভাবেই সবাই ইগনোর করছে!

সাঁঝ মন খারাপ করে ব্যালকনিতে চলে গেল। হৃদ ফিরেই জামা-কাপড় নিয়ে অন্য রুমে চলে গিয়েছে। সাঁঝের দম-বন্ধ হয়ে আসছে। এখন শাওয়ার নেওয়া উচিত তার। লাগেজ থেকে কিছু শাড়ি বের করল। এরপর কাবার্ডে বাকিগুলো রাখতে গেল। সেখানে হৃদের সাদা শার্টে নজর গেল। সাঁঝ মুচকি হেসে শার্টটি বের করে নিল। মিষ্টি একটা সুবাস আসছে এটা দিয়ে। এই ঘ্রাণ তো হৃদের গায়ের! চেনে এটা।

আলতো করে জড়িয়ে ধরল। এত সাধনার এই লোকটা তার স্বামী! ভাবতেও অবাক লাগছে। এত দ্রুত সব হলো! কাল রাতেও এই সময়ে সে টেনশনে মরছিল! আর আজ!
আচ্ছা, হৃদ তো অভিমান করেছে, ভাঙাতে হবে না? সাঁঝ কাপড়গুলো গুছিয়ে একটা হালকা রঙের সুতির শাড়ি নিয়ে শাওয়ারে গেল।

_______________
হৃদ শাওয়ার নিয়ে রুমের ভেতরেই বসে আছে। বেরোচ্ছে না। রাতের খাবার বাইরেই খেয়ে আসা হয়েছে, তাই রান্নার ঝামেলাও নেই। কথা সেসব না। কথা হচ্ছে, এতদিন বিয়ে হয়নি বলে সাঁঝের থেকে দূরে দূরে থেকেছিল। কিন্তু আজ! আজ কী করে থাকবে? আদৌ কি থাকতে পারবে? এভাবেই লাল শাড়িতে আজ সাঁঝকে ভয়ঙ্কর মায়াবতী লাগছিল। কীভাবে যে নিজেকে সামলাচ্ছে, হৃদ বুঝতে পারছে না। যখন সাঁঝ হৃদের বুকে মাথা রাখল, হৃদ সরিয়ে দিতে পারেনি। সমগ্র শরীরের শিরা-উপশিরা তখন জানান দিচ্ছিল, তার জীবনের শ্রেষ্ট প্রাপ্তি তার বুকে।
তখন অভিমানেও হৃদ সাঁঝকে দূরে সরিয়ে দেয়নি। দেবে কী করে? সাঁঝের তো অধিকার আছে। এই রুমের পাশেই রান্নাঘর। রান্নাঘর থেকে টুংটাং শব্দ ভেসে আসছে। ইভ নয়তো! নাহ্! ইভ কী করে হবে? ও তো উপমাদের বাসায়। তবে?

হৃদ ভাবল, হয়তো সাঁঝ। হয়তো না, সাঁঝই। কিন্ত কী করছে? ভাবনার মাঝেই দরজায় নক করল সাঁঝ। হৃদ খুলবে না খুলবে না করেও দরজা খুলল।
দরজার ওপাশে সাঁঝকে এরূপে দেখতেই হৃদের চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসার উপক্রম হলো। হালকা রঙের একটা সুতির শাড়ি পরিহিত মাত্র শাওয়ার নিয়ে আসা এই স্নিগ্ধ মায়াবতীকে দেখে হৃদ থমকে গেল। চুল দিয়ে টপটপ করে পানি ঝরায় কাঁধের আংশিক ভিজে গিয়েছে। দু-হাতে দুটো কফির মগ। চেহারায় অন্য রকমের স্নিগ্ধতা। মুখশ্রীতে নেই কোনো কৃত্রিমতার ছোপ। যা আছে, সম্পূর্ণটাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। শাড়ি পরা সাঁঝকে হৃদ প্রথম দেখল। মুহূর্তেই হাঁসফাঁস করতে লাগল। সাঁঝের সামনে তার স্ট্রং থাকতে হবে।

সাঁঝ ভ্রু কুঁচকে হৃদকে বলল, “আপনি ওমন করছেন কেন? শরীর ঠিক আছে?”

“না, নেই। অসুখ করেছে আমার।”

কথাটা বলেই হৃদ সাঁঝের মুখের উপর খট করে দরজাটা লাগিয়ে দিল।
সাঁঝ বিস্ফোরিত নেত্রে তাকিয়ে রয়েছে। এদিকে হৃদ! সে বুকে হাত রেখে ঘন ঘন শ্বাস টানছে। কন্ট্রোলের রফাদফা হয়ে যাচ্ছে। এই মেয়েটা তার জানই নিয়ে নেবে।

ধীরকণ্ঠে আপনমনে বলল, “উফফ! এই শ্যামমোহিনী আমার বউ! আমার এরকম লাগছে কেন? ধ্যাৎ! শাড়িতে তাকে এতটা আবেদনময়ী না লাগলেও পারত! আমি আজ আর এই রুম থেকে বেরোচ্ছি না।”

পরক্ষণেই বন্ধ দরজার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, “কিন্তু…”

চলবে?

[আগামী পর্ব বৃহস্পতিবার পাবেন]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here