#নীলচে_তারার_আলো
#নবনী_নীলা
#পর্বঃ২
” বাবা! আর যাই বলো এটা কিন্তু তুমি অন্যায় করেছো। তুমি কি একবার ভেবে দেখেছো শুভ্রের বিয়ের কথা শুনলে প্রভা কিভাবে রিয়েক্ট করবে? ছোটো বেলা থেকে প্রভা আমাদের পরিবারের সাথে মিশে আছে আর আজ অন্য একটা মেয়ের জন্য তুমি ওর এতো বড়ো ক্ষতি করলে?”, রবীউল সাহেবের ইজি চেয়ারের সামনে বসে আছে মোহনা। মোহনা রবীউল সাহেবের বড়ো মেয়ে। রবীউল সাহেবের মাথা গরম থাকলে একমাত্র মেয়ের কথাই সে শুনেন।
রবীউল সাহেব চোখ বন্ধ করে ছিলেন মোহনার কথায় এবার তিনি চোখ খুলে তাকালেন। কতক্ষন স্থির দৃষ্টিতে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন,”তোর ভাইকে আমি জোর করে বিয়ে দিয়েছি ঠিকই কিন্তু সে তো বিয়ের পর কাউকে না জানিয়ে ফিরেও এসেছে। আমার মান সম্মানের কথা একবারো ভেবেছে? তাকে তো আমি সংসার করার জন্য জোর করিনি। হিয়ার বাবা আমার খুব কাছের কিছু মানুষের মধ্যে একজন ছিলেন। তোদের কোনোদিন বলিনি কিন্তু আজ শোন। ঐ লোকটা যদি সেদিন নিজের সঞ্চয়পত্র না ভেঙে আমার অপারেশন করাতো আজ হয়তো আমি হুইল চেয়ারে বসা থাকতাম।”
বাবার মুখে এমন কথা শুনে মোহনা চমকে তাকালো। রবীউল সাহেব একটু দম নিয়ে বললেন,” তখন আমি নতুন এ শহরে, চাকরির খোঁজে এসেছিলাম। আমি থাকতাম রফিক মানে হিয়ার বাবার বাসায় তখন রফিকের ছোট্ট একটা বাসা। রফিকের মা, ভাবি, রফিক আর আমি। তখন আমি ছোট্ট একটা কারখানায় কাজ করতাম। একদিন বাড়ি ফেরার সময় একটা দুর্ঘটনায় আমার পা প্রায় অচল হয়ে যাবার উপায় হয়। সে লোকটা তখন নিজের কথা না ভেবে আমার জিবনটা অচল হওয়া থেকে বাঁচায়।”
বলেই কিছুক্ষণ চুপ থেকে নিজেকে সামলে নিয়ে আবার বললেন,” বিয়ের এগারো বছর পর রফিকের ঘর আলো করে এসেছিল হিয়া। খুব আদরের ছিলো হিয়া। এই মেয়েকে মাথায় তুলে রাখতো সে, আজ সে নেই বলে তার মেয়ে মামীর অত্যাচারে বড়ো হবে। লোকটা অনেক ঋণ রেখে গেছে আমার কাছে। আমি যে মরেও শান্তি পেতাম না রে।” বলতে বলতে রবীউল সাহেবের চোখ ভিজে এলো। তিনি চোখ বন্ধ করে ইজি চেয়ারের হ্যান্ডেলে হাত রেখে চোখ চেপে ধরলেন। মেয়ের সামনে তিনি চোখের জল ফেলতে চান না।
মোহনা এসেছিল বাবাকে কথা শুনাবে বলে কিন্তু এসব শুনে সে নিজেও থমকে গেলো। তার বাবা যে কাজটা করেছে সেটা সে অন্যায় কিছু করেনি, গভীর ভালবাসার বশে করেছে। কিন্তু এতে যে তিনটা জিবন নষ্ট হবে। শুভ্র যদি কোনোদিনই মেনে না নেয় হিয়াকে। মোহনা বাবার হাতটা শক্ত করে ধরে বলল,” কিন্তু বাবা এতে যে ওরা কেউই সুখী হবে না।”
” বিয়েটা না করালে হিয়ার মামী ঝামেলা করতো। আমার কাছে আর কোনো উপায় ছিলো না। আমি তো বলেছি হিয়ার বয়স উনিশ হলেই শুভ্রর সাথে ওর ডিভোর্স করিয়ে দিবো। এক রুমেও তো থাকতে বলিনি। তোমার ভাইয়ের ইচ্ছে মতোই তো সব হচ্ছে।একটা কাগজে সই করে বিয়ে হয়েছে আরেকটা কাগজে সই করলেই ডিভোর্স হয়ে যাবে। চিন্তার কি আছে? হ্যা মেয়েটাকে সারা জিবন নিজের কাছে আগলে রাখবো ভেবেছিলাম তা তো আর হবে না। থাক তাও তোমার ভাই সুখী হোক।” শেষের কথাটা যে তার বাবা এক রাশ অভিমান নিয়ে বলেছে সেটা মোহনার বুঝতে বাকি রইলো না।
শুভ্রের সকালের আচরণে তার বাবা সত্যি ব্যাথিত। এমনিতেই বিয়ের পর পরই সে ঢাকায় রওনা দেয়। এতেও অভিমান জমে আছে তার বাবার মনে। তবে এতে তার বাবার ও ভুল হয়েছে শুভ্রকে না জানিয়ে নিয়ে গিয়ে হুট করে জোর জবদস্তি করাও উচিৎ হয় নি।
” যা করার সেটা তো তুমি করেই ফেলেছো। এখন চিন্তা করে করে ব্লাড প্রেসার বাড়িয়ে দয়া করে আমাকে আর জ্বালিয় না।”, মায়ের কণ্ঠে মোহনা দড়জার দিকে তাকালো। রান্না ঘরে মাকে তো প্রচন্ড রেগে আছে মনে হয়েছিল হটাৎ এমন শান্ত হয়ে গেলো কেনো? তাহলে কি সবটা জেনে মায়ের ও রাগ কমেছে?
সাহারা খাতুন তোয়ালে হাতে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে আরো বললেন,” বিয়েটা কি খেলা মনে হয় তোমার? একবার সই করে বিয়ে আবার সই করে ডিভোর্স। আমি পরিষ্কার করে বলছি আমার ছেলে খুশী না থাকলে ওদের ডিভোর্সের জন্যে আমি তোমার কাছেও অনুমতি নিবো না।”, কড়া গলায় বলেই তোয়ালে এগিয়ে দিলেন রবীউল সাহেবের দিকে।
রবীউল সাহেব স্থির দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ নিজের স্ত্রীর তাকিয়ে থেকে তোয়ালে হাতে ফ্রেশ হতে গেলেন। মোহনা কখনো বাবা মাকে ঝগড়া কিংবা চিৎকার চেঁচামেচি করতে দেখেনি। এদের রাগটা এরা কিভাবে জানি সামলে নিয়ে সবটা স্বাভাবিক করে রাখে। বাবা চেঁচামেচি করতে চাইলেও মা এতে বাবাকে উৎসাহমুলুক কোনো সঙ্গ দেন না।
হিয়া গোসল সেরে বেড়িয়ে এলো মাথায় তোয়ালে পেঁচিয়ে। এখন তার অসস্তি কিছুটা কমলেও ভয় লাগছে কেনো জানি। নিচে শাশুড়ির মুখটাও বেশ ভার হয়ে ছিলো। এর চেয়ে তো মামী বেশী ভালো ছিলো আর যাই হোক চিল্লাচিল্লি করে সব রাগ ঝেড়ে ফেলতো। এরা কি সব রাগ ফিক্স ডিপোজিট করে রাখে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়েছে। কেনো জানি খুব ঘুম পাচ্ছে হিয়ার। মাথা থেকে তোয়ালেটা খুলতেই মোহনা রুমে এসে বললো,” অনুমতি না নিয়েই ভীতরে চলে এলাম। কিছু মনে করোনি তো?”
মোহনার এমন কথায় হিয়া অপ্রস্তুত হয়ে না সূচক মাথা নাড়লো। এ বাড়ি তো তার নয় তাই এই রূমের আসার জন্য তার অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না। মোহনা ভিতরে এসে দেখলো টেবিলে এখনো নাস্তার প্লেট ঢাকা পরে আছে। সঙ্গে সঙ্গে মোহনা ভ্রু কুঁচকে বললো,” কি ব্যাপার তুমি এখনও নাস্তা করোনি?”
মোহনার প্রশ্নে হিয়া খাবারের প্লেটের দিকে তাকালো। নাস্তা না করেই সে গোসলে গিয়েছে আর হিয়ার গোসলে অনেক সময় লাগে। হিয়া নিচু গলায় বললো,” ভুলে গেছিলাম আর গোসল সারতেও দেরী হয়েগেছে।”
” জলদি নাস্তা করো, বাবা শুনলে রাগ করবে কিন্তু।”, একটু রাগ দেখিয়ে বললো মোহনা আবার পরক্ষনেই হিয়ার মাথায় হাত রেখে বলল,” এতো ভয় পেয়ো না।আমাকে আর বাবাকে তো একদমই না। বাবা আর আমি একরকম খালি ভাই আর মা একটু সাধু সন্ন্যাসী টাইপ। মানে গম্ভীর মুখে কথা বলে আর কি! দেখবে ভালো কথা বলার সময়ও এদের কপালে ভাজ পরে।”
মোহনার কোথায় হিয়া হেসে ফেললো। মুহূর্তেই কেনো জানি খুব আপন হয়ে গেলো মোহনাকে, যার দিকে তাকিয়ে হিয়া সস্থির নিশ্বাস ফেলতে পারে। ভাবতেই অবাক লাগছে তোয়ালেওয়ালাটা নাকি এর ভাই! মোহনা যেতে যেতে বলল,” হাসলে সুন্দর লাগে, হাসবে সবসময়। আর আমি আবার আসবো এসে যেনো দেখি খাবার শেষ করেছো।”
মোহনাকে হিয়ার ছোটো মামার মতন লাগলো। ছোটো মামাও এমনভাবে আদর করে কথা বলেন।
✨
” সারাদিন কোথায় ছিলি? ভার্সিটিতেও নাকি যাস নি?”, সাহারা খাতুনের এমন প্রশ্নে হিয়া সামনে তাকালো। তাকাতেই বুঝতে অসুবিধে হলো না যে কাকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্নটি করা হয়েছে। সামনে তাকাতে শুভ্রের চোখে চোখ পরতেই হিয়া চোখ নামিয়ে ফেললো।
“কিছু না এমনিই।”, জবাবে বললো শুভ্র। মোহনা কিছু বলার আগেই শুভ্র সিড়ি বেয়ে নিজের ঘরের দিকে চলে গেলো।রবীউল সাহেব হিয়ার দুই চেয়ার পরে ঠিক মাঝের চেয়ারে বসে চুপ করে আছেন। ডাইনিং টেবিলের পরিবেশ হটাৎ কিছুটা থমথমে হয়ে গেলো।
শুভ্র নিজের ঘরের দিকে যাচ্ছিল কিন্তু দড়জার সামনে এসে একটু চমকালো। প্রভা ভীত চেহারায় দাড়িয়ে আছে। এতো রাতে প্রভা কি করছে? শুভ্র ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,” কি ব্যাপার তুই? আমার ঘরের সামনে পায়চারি করছিস কেনো?”
শুভ্রের আওয়াজে অশ্রু চোখে প্রভা তাকালো। নিজেকে সামলাতে না পেরে ছুটে এসে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো। শুভ্র স্তম্ভিত হয়ে দাড়িয়ে আছে। প্রভার এমন অদ্ভূত আচরণের কারণ শুভ্রর জানা নেই। মেয়েটা এইভাবে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছেই বা কেনো?
“কি হলো কাদছিস কেনো এভাবে?”, চিন্তিত হয়ে প্রশ্ন করলো শুভ্র। এমনভাবে প্রভাকে সে আর কোনোদিন কাদতে দেখে নি।
“শোন কাদতে এতই ইচ্ছে করলে পর্দা জরিয়ে ধরে কান্না কর, আমার শার্টটা ভিজিয়ে দিস না।”, তাও প্রভার কান্না থামছে না। শুভ্রের কাছে কান্না জিনিসটা খুবই অপছন্দের।
” বুঝলাম না, বিয়ে হয়েছে আমার কান্না করার কথা আমার তুই কেদে ভাসাচ্ছিস কেনো?”, ভ্রূ কুচকে প্রশ্ন করলো শুভ্র।
হিয়া সবে উপরে উঠে নিজের রূমের দিকে যাবে এমন সময়ে শুভ্র আর প্রভাকে এতো ঘনিষ্ট দেখে একটু থমকে দাড়ালো। তার এখন নিজের রূমের দিকে যাওয়া ঠিক হবে না। পরে ঐ লোকটা আবার বলবে সে ইচ্ছে করে ওদের মাঝে আসতে চাইছে। এমনিতেই কম কথা শোনায় নি তোয়ালেওয়ালাটা। কিন্তু কি করবে সে? এইখানে দাড়িয়ে থাকাটাও ভালো দেখাবে না। এদিকে ওদিক তাকাতেই ছাদের সিড়ির দিকে চোখ গেলো হিয়ার। আপাদত ছাদে উঠে বসে থাকলেই হয়। পরে নেমে আসা যাবে।
শুভ্র প্রভার বাহু ধরে বুক থেকে সরালো। তারপর ধমকের সুরে বলল,” কাদছিস কেনো এভাবে? ”
শুভ্রের এমন ধমকে প্রভা চোখ বড় বড় করে তাকালো তারপর চোখের জল মুছে রেগে গিয়ে বললো,” তুই বিয়ে করেছিস কেনো?একবারও কি তোর আমার কথা মনে পরে নি। এতো সার্থপর কেনো তুই?”
” কি যে বলিস তুই মাঝে মধ্যে? নিজেও জানিস? আর এই বিয়ে আমি ইচ্ছে করে করিনি। আর তুই নিশ্চই বিয়ের দাওয়াতের জন্য কেঁদে ভাসাচ্ছিস না?”, বলেই শুভ্র নিজের রূমের ভিতরে চলে গেলো।
প্রভা হা হয়ে তাকিয়ে রইলো। এই ছেলেটা কি কোনদিন বুঝবে না তার ভালোবাসা? নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করে।
শুভ্রের মা প্রভাকে সবটা বুঝিয়ে বললেও প্রভা ভীষন ভয়ে আছে। শুভ্র যদি ঐ মেয়ের প্রেমে পড়ে যায়? প্রভার মনের অস্থিরতা কিছুতেই দূর হচ্ছে না। প্রভা শুভ্রের রূমের ভিতরে যাওয়ার আগে থমকে দাড়ালো। তারপর মুখ বাঁকিয়ে বললো,” আসবো তোর রূমে? নইলে তো আবার চেঁচিয়ে উঠবি।”
” হ্যা আয়। কিন্তু কান্নাকাটি করা আরো বাকি থাকলে শেষ করে আয়।”, বলতে বলতে শুভ্র এসির রিমোট হাতে নিয়ে এসি অন করে দিলো। তারপর শার্টের হাতা ভাজ করে কনুই পর্যন্ত তুলতে ব্যস্ত সে। প্রভা দরজায় হেলান দিয়ে অপলকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো শুভ্রের দিকে। শার্টের বুকের কাছের প্রথম দুইটা বোতাম খোলা থাকায় শুভ্রকে সুন্দর লাগছে অনেক। আচ্ছা সে যেভাবে শুভ্রকে দেখে থমকে যায়, ঐ মেয়েটাও কি?
ভাবতেই বুকের ভিতরটা ধুক ধুক করে উঠলো। পরক্ষনেই মুখটা কালো হয়ে গেলো প্রভার। বেরিয়ে এলো সে। শুভ্র প্রভার এমন অদ্ভূত ব্যাবহারের মাঝে মাঝে কোনো কারণ পায় না। হটাৎ এমন স্ট্রেঞ্জ বেহেভ করছে কেনো কে জানে?
প্রভা সিড়ি বেয়ে নীচে নামলো, যতক্ষণ না সে ঐ মেয়েকে দেখছে তার শান্তি হবে না। শুভ্রের পাশের ঘরটা সে দেখেছে মেয়েটি নেই। রহিমা খালাকে জিজ্ঞেস করে আবার উপরে এলো প্রভা।
এতক্ষণে হিয়া ছাদ থেকে সবে মাত্র নামলো। প্রভাকে সামনে দেখেই সে থতমত খেয়ে গেল। কি বলবে বুঝে না উঠায় পাশ কাটিয়ে চলে যেতেই প্রভা সামনে এসে দাড়ালো। প্রভা ভঙ্গিতা না করে সোজাসুজি জিজ্ঞেস করলো,” তুমিই কি হিয়া?”
হিয়া প্রভার দিকে তাকিয়ে হা সূচক মাথা নাড়ল। প্রভার চোখ লাল হয়ে আছে। মেয়েটা অনেক কেঁদেছে হয়তো। এই কান্নার কারণ হিয়ার বুঝার বাকি রইলো না, এতটা বোকাও সে নয়।
প্রভা কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলো। প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে তার। চলে যেতে নিয়েও থেমে গিয়ে বললো,” শোনো শুভ্রকে আমি ভালোবাসি। তুমি চাইলেও ওকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। তাই ওর কাছে যাওয়ার একদম চেষ্টা করবে না।” কড়া গলায় বলে প্রভা জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিতে লাগলো। তারপর এক মুহুর্ত দেরী না করে চলে গেলো। অস্থিরতায় সে কি বলে ফেলেছে নিজেও জানে না। মেয়েটার উপড় যে উচু গলায় কথা বলেছে সেটা বাড়ী থেকে বের হয়েই বুঝতে পারলো প্রভা।
হিয়া অপলকে তাকিয়ে রইলো। খুব খারাপ লাগছে তার কারণ সবাই অকারনেই তাকে ভুল বুঝছে। সে কোনো নোংরা ট্রিকস খেলতেও আসেনি কিংবা কারোর প্রিয় কাউকে কেড়ে নিতে। মেয়েটাকে বলতে পারলে ভালো হতো যে, সে কোনোদিন শুভ্রকে কেড়ে নিবে না, কোনোদিন না। হয়তো কথাটা শুনলে মেয়েটা শান্তি পেতো কিন্তু সে সুযোগটা মেয়েটাই দিলো না।
হিয়া আনমনে নিজের রুমের দিকে যাচ্ছিল। নিজের রুমে পা ফেলার আগেই আবার সেই আওয়াজ কানে এলো হিয়ার।
” এই মেয়ে দাড়াও।”, শুভ্রের হটাৎ এমন ডাকে ভয়ে আতকে উঠলো হিয়া। আরেকটু হলেই আত্মাটা বেড়িয়ে আসছিল। হিয়া পরক্ষনেই চোখ বড় বড় করে রুমটা দেখে নিলো ভুল করে এই ছেলের রুমে পা ফেলেনি তো। না! না! ওনার রুম না, একটা সস্থির নিশ্বাস ফেলতে যাবে তখনই মনে হলো সে তো ঠিক রুমেই এসেছে তাহলে লোকটা ডাকছে কেনো তাকে? আবার কি অঘটন ঘটিয়েছে সে।
[ #চলবে ]
গল্পটা গুছিয়ে লিখতে চাই আশা করি সবাই একটু ধৈর্য ধরে পড়বেন।