#প্রণয়ের_সুর
#পর্ব২৬
#মহুয়া_আমরিন_বিন্দু
বসার ঘরে উপস্থিত সবাই।থমথমে মুখ নিয়ে বসে আছেন বড়রা।কি থেকে কি হলো কিছুই যেনো বোধগম্য হলো না কারোর।টয়া বার বার বলছে নিখিল তার সাথে খারা’প কিছু করেছে কিন্তু নিখিল এখনো নিশ্চুপ সে বিরো”ধীতাও করছে না আবার মেনেও নিচ্ছে না।
কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় এসআই উপস্থিত হলো।নিখিলের বড় মামার পরিচিত ভদ্রলোক। এসেই কুশল বিনিময় করলো!
মধ্য বয়স্ক পুলিশ অফিসার কিছুক্ষণ সবার দিকে তাকিয়ে থেকে বললো–,,আসলে আলাউদ্দিন সাহেব আপনার ভাগনে হঠাৎ ফোন দিয়ে বললো জরুরি কিছু কাজ আছে যাতে আমি নিজেই একবার আসি!
বলুন এবার কি হয়েছে!
সবাই উৎসুক দৃষ্টি রাখলো নিখিলের উপর।টয়া এবার কিছুটা ঘাবড়ে গেলো।নিখিল কি তবে সব জেনে গেলো কিন্তু প্রমান করবে কি করে।কিছুতেই নিজেকে দুর্বল দেখানো যাবে না!
নিখিল বলে উঠলো–,,আমার ওয়াইফ কে মা’রার চেষ্টা আর মানহা’নীর কেইস করতে চাই আমি অফিসার!
পর পর চ’মকে উঠলো সবাই।রুবি বেগম এবার ভয় পেলেন কম কিছুতো করেননি এই পর্যন্ত তবুও রূপার বাবা আলাউদ্দিন ভাইয়ের কথায় তাকে শেষ সুযোগ দিয়েছিলো আবার মেয়ের কেলে”ঙ্কারির কথা জানলে তো বাড়ি থেকেই বের করে দিবে!
–,,কার নামে এই মাম’লা করতে চান আপনি?
নিখিল বলে উঠলো–,,টয়া ও তার দুই সহকারী রুবি বেগম আর তার মেয়ে রূপার নামে!
রুবি বেগম তেতে উঠে বললেন–,, কি যা তা বলছো নিখিল,আমরা কি করেছি উল্টো তো আমাদের তোমার নামে এসব কে”ইস করা উচিত!
টয়া আবার কেঁদে উঠলো নিখিলের খালা রুনা বেগম রেগে বলে উঠলো–,,নিখিল বারাবারি করবি না।আমার মেয়ের সাথে এতো কিছু করে এখন আমার মেয়ের নামে মা’মলা দিতে চাচ্ছিস?তোর নামে আমি ধর্ষ”নের মা’মলা দিবো!
টয়া কেঁদে কেটে এসে নিখিল কে ধরে বলে–,,নিখিল তুমি আমাকে বিয়ে করার বদলে এখন পুলিশে দিতে চাচ্ছো?
নেহার দিকে এগিয়ে এসে বললো–,,তুমি তো বলেছিলে আমার পাশে থাকবে, একটা মেয়ে হয়ে একটা মেয়ের পাশো থাকবে না তুমি?
নেহা এসে ঠা’স ঠা’স করে পর পর চারটা চ’ড় মারলো!
রাগে চেঁচিয়ে বললো–,,তোকে বলেছিলাম না আমার আর আমার স্বামীর থেকে দূরে থাকবি।তুই এতো বেহা’য়া নির্লজ্জ যে একজন বিবাহিত পুরুষের দিক নজর দেস!তোকে কতো বার নিখিল না করেছে তুই তার পরেও বার বার আমাদের মাঝে চলে এসেছিস।
রুনা বেগম চেঁচিয়ে বললো–,,আমার মেয়েকে এতো কিছু বলছো কোন সাহসে?নিজের স্বামীকে ঠিক রাখতে পারোনি?
–,,ওই একদম চুপ থাকবেন বলে দিচ্ছি!এমন বেহা”য়া মেয়ে জন্ম দেওয়ার আগে আপনার ম’রে যাওয়া উচিত ছিলো আগের বার শুধু আত্মীয়তা রক্ষার্থে আপনার গুনবতী মেয়ের কার্যকলাপ আপনাকে জানানো হয়নি কিন্তু কে জানতো আপনি আর আপনার স্বামী সন্তান জন্ম ঠিকই দিয়েছেন মানুষ করতে পারেননি।একটা অমা’নুষ জন্ম দিয়েছেন।নেহা হামিদা বেগমের দিক তাকিয়ে বললো–,,বড় মা তোমার ছেলের দিক আঙুল তুলছে এ মহিলা আজও কিছু বলবে না?
হামিদা বেগম বোনের দিক তিক্ত চোখে তাকালো বিরক্তি নিয়ে বললো কয়েক মাস আগের সব ঘটনা।
টয়ার মা এবার মেয়ের দিক তাকালো সন্দেহের দৃষ্টিতে।
নেহা আবার বলে উঠলো–,,মেয়ে কেনো দিনের পর দিন অন্যের বাড়িতে গিয়ে পড়ে থাকে তা তো খেয়াল রাখেন না।আন্টি অন্যের দিক আঙুল তোলা অনেক সহজ।তবে ভুলে যাবেন না অন্যের দিক এক আঙুল তুললে বাকি চারটা আঙুল নিজের দিকে উঠে!
আপনার মেয়ের নামে এসব কথা প্রমান ছাড়া বলছি না।প্রমান আছে দেখেই বলছি,নিজের মেয়ের কু’কাজ দেখে আবার বেহুঁ”শ হয়ে যাবেন না!কিছু বলার আগে ভেবে চিন্তে বলুন।আর যদি কোনো প্রমান না ও থাকতো তাও আমি আমার স্বামী কেই বিশ্বাস করতাম।আমার স্বামী যথেষ্ট ভদ্র, মার্জিত চরিত্রবান একজন মানুষ! আপনাদের কারো কথায় আমি তার চরি’ত্র বিচার করি না।আমি তাকে চিনি বিশ্বাস করি!
একশো টা মেয়ের সামনে তাকে ছেড়ে দিলেও কোনো দিন চোখে তুলে তাকাবে না।বিশ্বাস আছে দেখেই স্বামীকে বেঁধে রাখতে হয় না!
আপনার মেয়ে কে যদি একটা বেঁধে রাখতেন, নিজের সম্মান কিভাবে বাঁচাতে হয় শিখাতেন তবে আজ এই দিন দেখা লাগতো না।
প্রশান্তি তে ছেয়ে গেলো নিখিলের মন!নেহা তাকে এতোটা বিশ্বাস করে,মেয়েটা তাকে কতোটা ভালোবাসলে কতোটা সম্মান করলে এই রকম একটা পরিস্থিতিতেও তার হয়ে সবার ল’ড়াই করতে পারে!এতোটা ও কি প্রাপ্য ছিলো নিখিলের?নেহাকে কি কখনো ওতোটা ভালোবাসতে পারতো নিখিল,এরকম পরিস্থিতিতে নেহাকে বিশ্বাস করতো বিনা বাক্যে!হয়তো নেহার মতো পারতো না।নিখিলের আজ কেনো যেনো চোখ জলে চিক চিক করে উঠলো,পুরুষ মানুষ তো লোক সম্মুখে কাঁদে না!
নিখিল সাব্বিরের আর জেরিনের কাছে ফোন চাইলো।দুজন এগিয়ে দিতেই।ভিডিও গুলো পুলিশের সামনে তুলে ধরলো নিখিল!
একে একে বাড়ির সবাই দেখলো।রাগে লজ্জায় মাথা কা’টা গেলো সবার,টয়া নিজের পোশাক নিজে টেনে ছিঁড়েছে ঘরে ঢুকা থেকে শুরু করে সব জায়গায় রুবি বেগম রূপা তার সাথে ছিলো!সব কিছি দেখে টয়ার বাবা মা লজ্জায় মাথা নিচু করলেন।কতোই না গলা বাজি করেছে এই মেয়ের জন্য একবার ও নিজের বাবা মায়ের কথা ভাবলো না?সত্যি নেহার কথাই সত্যি ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে তারা সন্তান মানুষ করতে পারেনি।মাফ চাওয়ার মুখটাও যেনো রইলো না।টয়ার বাবা আনসার সাহেব বললেন
–,,ইন্সপেক্টর কঠিন থেকে কঠিন শা”স্তি দিবেন এই কুলা’ঙ্গার টাকে।যাতে পরবর্তী এসব কথা মাথাও না আসে।
পরিবারের সবার দিকে তাকিয়ে বললো–,,পারলে মাফ করবেনে এই অভাগা বাবা কে,নিখিল বাবা মা’ফ চাওয়ার মুখ নেই জানি তবুও!
বেরিয়ে গেলেন ভদ্রলোক, টয়া অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকালো,কি করে ফেললো এটা নিখিল তো একটা মরিচীকা তার পিছনে ছুটতে গিয়ে আজ সব হারিয়ে ফেললো! বাবা মা তাকে কোনো দিন ক্ষমা করবে না কাছে টেনে নিবে না।নিজের জীবন টা এভাবে নষ্ট করে ফেললো?ভেবেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো।
নিখিলের মেজো মামা মোশারফ স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললো–,,বেরিয়ে যাও আমার বাড়ি থেকে।ভাইজান আজকে আমাকে বাঁধা দিবেন না দয়া করে,এই মহিলা আমার মান সম্মান সব শেষ করেছে জীবনের সুখ শান্তি কেঁড়ে নিয়েছে, একে বিয়ে করাই ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল মেয়েটা কে ও নিজের মতো বানিয়েছে।এরকম চরিত্র”হীনা কন্যা,স্ত্রীর দরকার নেই আমার!ওরা এই বাড়িতে থাকলে বাড়ি আমি ছেড়ে দিবো!
মহিলা কনস্টেবল এগিয়ে এসে টয়া সহ বাকিদের নিয়ে গেলো।টয়া যাওয়ার আগে একটু সময় চাইলো।
নেহার সামনে হাত জোর করে বললো–,,আমাকে ক্ষমা করে দিও নেহা সত্যি আমি অপ”রাধী।অন্যা”য় করেছি আমি জে’দে বসে ভুল করে ফেলেছি।আমার বাবা মায়ের কোনো দোষ নেই তাদের কে কথা শুনিয়ো না প্লিজ!আমি আর কোনো দিন ফিরে আসবো না,কথা দিচ্ছি নিজেকে পরিবর্তন করে নতুন ভাবে বাঁচবো! নিজের সম্মান আবার অর্জন করবো যদিও বা সম্মান দ্বিতীয় বার ফিরে পাওয়া বহু তপস্যার!
টয়া সহ বাকিদের নিয়ে বের হলেন পুলিশ অফিসার।
শাহআলম চৌধুরী বলে উঠলো–,,আমরা আজই ফিরবো,মন মেজা’জ ভালো নেই আলাউদ্দিন ভাই,ছেলের বিয়ে তো হলো এবার ফিরে যাবো আবার আসবো ছুটিতে।সৌরভ আর বউমা কে পাঠিয়ো!
আলাউদ্দিন মাহমুদা কোন মুখে থাকতে বলবেন বুঝলেন না!যা হলো পরিবারের কারোই মন স্থির নেই,তবুও ছেলের বিয়ে বউভাতের অনুষ্ঠান দিন বাদে কাল মহা আয়োজন। সব বিষন্নতা ভুলে জীবন তো এগিয়ে নিতে হবেই এটাই তো জীবনের নিয়ম।কোনো কিছুই থেমে থাকে না কারো অপেক্ষায়!
বিকেলেই বেড়িয়ে পড়লো নিখলদের পরিবার।সকাল নাগাদ পৌঁছে যাবে তারা।আপন নিড়ে!
————–
নতুন ভোর নতুন সূচনা কালো অধ্যায় গুলো আমরা ফেলে আসি ভাবি এইতো নিশ্চিন্ত। তবে কি তাই?জীবন মানেই আসবে নতুন মোড় নতুন সুখ, দুঃখ, ভালোবাসা,ভালোলাগা কিংবা তীব্র বিষাদের নিদারুণ য”ন্ত্রণা!তবুও মানুষ বাঁচে খড়কুটো কে আঁকড়ে ধরে হলেও বাঁচে।জীবন মানেই নতুন সংগ্রাগ নয়া দিগন্তে ছুটে চলা বিরতিহীন!মৃত্যু ছাড়া যার থামার পথ নেই!
বাড়িতে ফিরে এসেছে তাড়া সেতারা বেগম সাথে যায়নি।বাড়িতে ফোন দিয়ে খোঁজ নেওয়া হলেও চোখের দেখা আর দূর থেকে খবর নেওয়ার মাঝে বিস্তর ফারাক।
পর পর নেহাকে ডেকেই যাচ্ছে নিখিল।
নেহা ঘুম ঘুম কন্ঠে বলে উঠলো –,, আর একটু ঘুমাই না প্লিজ!
—,,রুমে গিয়ে যত খুশি ঘুমাবি এখন চল না! দেখ বাড়ি এসে গেছি আমরা।
নেহা আরো আঁকড়ে ধরলো নিখিল কে।নিখিল এবার নেহাকে ঠেলে সরিয়ে নিজে নামলো গাড়ি থেকে সবাই বাড়িতে চলে গেছে তার বউটা ও হয়েছে একটা নড়তে চড়তে বারো মাস লাগে মহিলার।
নেহা চেঁচিয়ে বলে উঠলো–,,ওই ব্যাটা বউ রেখে কই যাস!মায়া দয়া কি কিছু নাই নাকি?
নিখিল গাড়ির দরজা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে বললো–,,তার মানে এতোক্ষণ ইচ্ছে করে ঘুমের ভান ধরছিলি?
নেহা ইনোসেন্ট ফেইস বানিয়ে উপর নিচ মাথা নাড়লো।
নেহা দু হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো–,,কোলে নে না চাচাতো ভাই!
–,,কিহ্! আমি তোর কতো বড় আর তুই, তুই করে বলছিস?আবার কি বললি চাচাতো ভাই কানের গোড়ায় দিবো একটা?
–,,সবার সামনে তো বলিনি আচ্ছা কয়েক মিনিট পর আবার বলবো।আপনি বলতে পারলে আমি কেনো পারবো না নিজে আগে তুমি করে বলেন পরে আমিও আপনি করে বলবো।
নিখিল চোখ ছোট ছোট করে বললো–,,তোকে এখন তুমি করে বলতে হবে।এ্যাহ কি সখ জাগছে মহারানীর!
নেহা নাক ফুলিয়ে বলে উঠলো–,,ডাকতে হবে না আপনার,সরুন তো সামনে থেকে।
–,,ওও বউ রাগ করেছো?আসো বেবি কোলে করে নিয়ে যাচ্ছি তাও রাগ করে না জান!
–,,আপনার কোলে উঠার কোনে ইচ্ছাই আমার নাই।
নেহা রেগ মেগে চলে গেলো,সাব্বির পানি নিতে নিচে আসছিলো,নেহা কে আগে নিখিল কে পিছনে যেতে দেখেই বলে উঠলো–,,আসতে না আসতেই আবার ঝ’গড়া!
নিখিল বললো–,,বিয়ে কর বুঝবি!
নেহা রুমে এসে ওয়াশরুমে ঢুকলো।ফ্রেশ হয়ে বের হওয়ার সময় দেখলো নিখিল দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
নেহা মুখ ভেংচি কেটে পাশ কাটাতে গেলে নিখিল এক টানে নেহাকে কোলে তুলে নিলো।কোলে তুলেই মুখ গুঁজে দিলো গলায় নিখিলের খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি লাগতেই নেহা খিলখিল করে হেসে উঠলো নিখিলের পিঠে মার’তে মার’তে বললো–,,নিখিল সরুন না আমার সুরসুরি লাগছে!
–,,জান আদর করবো, নো নো বক বক!
–,,ছাড়ুন বলছি।আপনার আদর নিবো না আমি!
–,,তোর ইচ্ছে না হলে নিবি না।তাই বলে কি আমি দেওয়া ছেড়ে দিবো নাকি?
আজকে তোকে কোল থেকেই নামাবো না।কোলে বসিয়ে রাখবো আর চুমু খাবো!
–,,না,,,!
নিখিল নেহাকে কোলে নিয়ে গেলো বারান্দায়।বসে পড়লো দেয়ালে হেলান দিয়ে।নেহা এবার গলা জড়িয়ে বসে রইলো।
নিখিল বলে উঠলো–,,যদি টয়ার সাথে সত্যি সত্যি কিছু করতাম?এতো অন্ধ বিশ্বাস করা কি ঠিক?
–,,নিজের বউয়ের দিকই তো তাকান না আবার অন্য মেয়ে।আমি দেখে আপনাকে পাত্তা দেই অন্য কেউ তো তাকাবেই না,কি না আমার চেহারা আবার নাম রাখছে নিখিল মেহমেত চৌধুরী!
—,,নেহা শোন না দুষ্টুমি করবি না,এটা গুরুত্বপূর্ণ কথা!টয়া,,,
নেহা কানে হাত দিয়ে বললো–,,লা লা লালা,হু হা পে পে আমি কিছু শুনবো না টয়ার নাম ও নিবেন না এসব কিছু শুনতে চাই না আমি। আমাদের মাঝে কেউ আসবে না বুঝেছেন আমি আসতে দিবো না!
—,,ভালোবাসিস তবুও বলছিস না কেনো?বলনা একবার!
নেহা হেসে বলে–,,বলবো না।যা পারেন করেন!
–,,তাই না বলবি না তুই?দেখি কিভাবে না বলে থাকতে পারিস!
নিখিল নেহা কে কাতুকুতু দিতে থাকে।নেহা হাসতে হাসতে শুয়ে পড়ে তার পর ও বলে–,,বলবো না বলবো না!
——————
ভার্সিটি এসেছে আজ সাব্বির জেরিন।সাব্বির হঠাৎ চেঁচিয়ে বলে উঠে –,,ওই দেখ চশমাওয়ালা! এদিকেই আসছে মনে হয় তোকে অনেক মিস করছে রে জেরিন বইন।এবার প্রোপোজ টোপোজ না করে বসে।আমি তো সুপার এক্সাইটেড বইন!অবশেষে কানা দুলাভাইয়ের আগমন পঁচা গোলাপের স্বাগতম।
চলবে?