রিদ_মায়ার প্রেমগাঁথা #লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া ৪৪

0
16

রিদ_মায়ার প্রেমগাঁথা
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া

৪৪
ফেইরী লাইটের আলোয় উজ্জ্বল চারপাশ। চাকচিক্য আলোয় মুখরিত খান বাড়ির সদর গেইট হতে বিশাল বাড়িটি। অন্ধকার সন্ধ্যায় তাঁরা নেয় ঝলমল করছে চারিপাশ। মায়া এমনই সন্ধ্যায় রিদের পাঠানো গাড়ি থেকে নামল আড়ষ্ট ভঙ্গিতে। জড়তার দৃষ্টি ফেলল আশেপাশে। অসংখ্য মানুষের আনাগোনা দেখা গেল ব্যস্ততার পা চালিয়ে। মায়া নিরবে শুধু রিদকেই খোঁজল আশেপাশে। কিন্তু কোথাও সন্ধানকৃত মানুষটিকে দেখতে না পেয়ে তাকাল সামনে। খান বাড়ির সামনে কিছু পরিচিত মুখ দেখল দাঁড়িয়ে। তারমধ্যে আরাফ খান, ফাহাদ আর রাদিফকে দেখল একত্রে দাঁড়িয়ে কাজের লোকদের তদারকি করছে ব্যস্তায়। মায়া সেইদিকেই তাকিয়ে রইল রিদকে দেখতে পাওয়ার আশায়। হয়তো তাদের আশেপাশে আছে কোথাও। জুই গাড়ির অপর দরজা খোলে নামতে নামতে চারপাশে দৃষ্টি ফেলল খান বাড়ির বিশাল আয়োজন দেখে। ছোট ছোট ফেইরী লাইটের আলোয় সন্ধ্যাটা যেন দারুণ লাগল জুইয়ের। মন ছুঁইয়ে যাওয়ার মতো শীতল হাওয়া আছে পরিবেশে। জুই বেশ উৎফুল্লতা নিয়েই আশপাটা দেখতে লাগল এরমধ্যে রাহাত গাড়ির ডিক্কি খোলে মায়াদের ব্যাগ হাতে নিয়ে বিনয়ে ঢাকল মায়াকে। মায়ার ধ্যান ভাঙতেই রাহাত বলল…

‘ ভাবি বাড়ির ভিতরে চলুন।

ইতস্তত মায়া দ্বিধা বোধ করলো বাড়ির ভিতরে যেতে। মায়ার জানা নেই খান বাড়িতে কে কে জানে রিদ-মায়ার সম্পর্কের কথাটা। সবাই কেমন দৃষ্টিতে দেখবে মায়াকে। রিদের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাড়াহুড়ো করে তো চলে তো আসল মায়া কিন্তু খান বাড়িতে পা রেখে মনে হলো মায়ার এখানে আসাটা উচিত হয়নি। বরং ওহ ভুল করেছে। সবার মুখোমুখি হওয়ার সাহস মায়া এখনো যুগিয়ে উঠতে পারেনি। খান বাড়ির ফাংশনে, খান পরিবারের প্রতিটি সদস্য হতে তাদের আত্মীয় স্বজনরা পযন্ত উপস্থিত
থাকবে। সবাই যদি রিদ-মায়ার সম্পর্কের কথা জানে তাহলে এর জন্য অবশ্যই মায়াকে নানান প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। তাছাড়া খান বাড়ির প্রতিটা পারিবারিক ফাংশনে শশীর উপস্থিতি দেখা যায়। আজকে থাকবে স্বাভাবিক। যেখানে শশী আছে সেখানে মায়াকে কেউ সহজে মেনে নিবে না এটাও স্বাভাবি। তাছাড়া শশীই বা মায়াকে কিভাবে মেনে নিবে তার ভালোবাসার মানুষের বউ হিসাবে? আদৌও সেটা সম্ভব হবে শশীর জন্য? হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু তাই বলে মায়ার বা কি করার আছে এতে? মায়াতো আর প্রেমিকা নয় যে রিলেশন ব্রেকআপ করে নিবে। মায়া রিদ খানের বিয়ে করা বউ। আর বউদের সাথে স্বামীদের কখনো ব্রেকআপ হয়না বরং তালাক হয়। আর এখানে মায়া বা ওর স্বামী কখনোই তালাক চাই না। তাই যতো কিছুই হোকনা কেন মায়া কোনো কিছুর বিনিময়ে নিজের স্বামীকে ছাড়বে না অন্য কারও জন্য। শশী যদি ওর স্বামীর পাস্ট হয়ে থাকে তাহলে মায়া প্রেজেন্ট। অতীত সবসময় অতীত হয়। অতীত কখনো বর্তমান হতে পারে না। আর না মায়া কখনো হতে দিবে এবার যতো ঝড়-তুফান আসুক না কেন। মায়া সবকিছু সাথে লড়াই করে নিবে। তারপরও ছাড়বে না। অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পরে মায়া বুক ভারি হয়ে আসল তিক্ত ভাবনায়। হুট করেই মায়ার মনে হলো ওর সামনের পরিস্থিতি বেশ জটিল হতে যাচ্ছে। সবকিছু কেমন অন্ধকারে ঘেরা। একদিকে মায়ার পরিবার তো অন্যদিকে রিদের পরিবার, সাথে বড়ো বোনের সংসারে অশান্তির কারণটা ও মায়া হতে চলেছে। তিক্ততা ভাবনা, অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পরে মায়া গায়ের ওড়নাটা মুঠোয় চাপল। নিরব চোখে আবারও রিদের সন্ধান করে রাহাত প্রশ্ন করে বলল….

‘ আপনার ভাই কোথা…

মায়াকে কথাটা শেষ করতে হলো না। তার আগেই রাহাত চট করে বুঝে নিয়ে বলল…

‘ রিদ ভাই তো বাড়িতে নেই ভাবি। ভাই আছেন উনার বাবার সাথে। আসলে সামনে নির্বাচন তো, তারপর আবার ভাই অনেক দিন পর চট্টগ্রামে আসল, সেজন্য দলের সদস্যের সাথে আলোচনা মিটিং করছেন তিনি। মধ্যরাতের আগে ভাই বাড়িতে ফিরতে পারবে না ভাবি।

মায়ার বুক ভাবির কষ্টটা যেন দ্বিগুণ হলো। রিদের আশায় এ বাড়িতে এসেছিল সে এখন রিদকে না পেয়ে মায়া যেন মূহুর্তে অসহায় হয়ে পড়ল।
একদিকে রিদের পরিবার তো অন্য দিকে সবার কঠিন কঠিন সব প্রশ্নের মুখোমুখি সে কিভাবে করবে? রিদতো মায়ার পাশে নেই। কিভাবে জবাব দিবে মায়া?

‘ আমি এখানে এসেছি সেটা আপনার ভাই জানেন?

আগের নেয় রাহাতের ঝটপট উত্তর আসলো তক্ষুনি…

‘ কি বলেন ভাবি, ভাই জানবেন না আপনি এসেছেন সেটা? ভাইতো আমাকে দিয়ে গাড়ি পাঠালো আপনাকে এখানে নিয়ে আসতে। ভাই বাসায় ফিরে যেন আপনাকে দেখে এজন্য।

অস্বস্তির মায়া ছোট করে উত্তর করলো রাহাতকে…
‘ ওহ!

‘ জ্বি ভাবি চলুন।

মায়া সামনে হাঁটতে গিয়েও থেমে যায়। পিছন ফিরে ইতস্ততায় রাহাতকে বলল…

‘ সবাই কি আমার উপর রেগে আছেন রাহাত ভাই?

মায়া কথাটা প্রথমে বুঝতে না পেরে খানিকটা আবাক সুরেই মায়াকে শুধিয়ে রাহাত বলল…

‘ সবাই আপনার উপর কেন রাগ করবেন ভাবি? কিসের জন্য?

রাহাতের প্রশ্নে মায়ার অস্থিরতা দ্বিগুণ হলো। এলোমেলো দৃষ্টি এদিক সেদিক ঘুরাতে গিয়ে জুইয়ের সঙ্গে চোখাচোখি হলো। জুই মায়ার কথায় ওর দিকেই কৌতূহল দৃষ্টিতে তাকিয়ে। আপাতত সেও রাহাতের মতোন জানতে চাই খান বাড়ির সবাই কেন মায়ার উপর রাগ করে থাকবে? কিসের জন্য? মায়া নিজের অপরাধীর দৃষ্টি জুই থেকে সরিয়ে তাকাল রাহাতে দিকে মিহি স্বরে পুনরায় বলল…

‘ আপনার ভাইয়ের সঙ্গে আমার বিয়ের ব্যাপারটা নিয়ে কেউ..

আবারও মায়ার অল্প কথাতে চট করে বুঝে গেল রাহাত। মায়াকে আশ্বস্ত করে বলল…

‘ না ভাবি আপাতত কেউ রেগে নেই আপনার উপর। সবাই আপনাকে ফাহাদ ভাইয়ের শালী বলেই জানেন এই বাড়িতে। আমার মনে হয় রিদ ভাইয়ের বাবা-মা ছাড়া বাকিরা কেউ আপনাদের বিয়ের ব্যাপারটা এখনো জানে না। যদি জানতো তাহলে অবশ্যই এই নিয়ে দাদা-দাদি অথবা অন্য কেউ আমাকে প্রশ্ন করতো। তাছাড়া বিয়ের ব্যাপারটা এতোদিনে আপনাদের বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়তো। যেহেতু এসব কিছুই হয়নি তারমানে এখনো কেউ জানে না রিদ ভাইয়ের বিয়ের ব্যাপারটা নিয়ে। আপনি নিশ্চিতে থাকুন ভাবি। এসব বিষয়ে আপনার টেনশন করতে হবে না, ভাই আছেন! তিনি দেখবেন সবটা। আপনি ভিতরে চলুন ভাবি। আপনাকে বাসার ভিতরে দিয়ে আমাকে আবার ভাইয়ের কাছে ফিরতে হবে। চলুন!

রাহাতে কথায় মায়া আশ্বস্ত হলো। মনে হলো আসলেই রিদ আছে ওর পাশে যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে রিদ কখনোই মায়াকে একা ছাড়বে না। মায়া স্বস্তির হতে হতে পা চালাল সামনে। সঙ্গে জুইও হাঁটল। কিছুটা পথ সামনে যেতেই চোখে পরলো রাদিফের। তৎক্ষনাৎ উৎফুল্লতা ভাবি বলে মায়াকে চিৎকার করে ডাকতে গিয়েও থেমে গেল আশেপাশের কোলাহল পরিস্থিতি দেখে। এতো মানুষের সামনে মায়াকে ভাবি বলে ডাকাটা দৃষ্টিকটু দেখাবে। যেহেতু এখনো রিদ পারিবারিক ভাবে মায়াকে নিজের বউ বলে পরিচয় করানি সেহেতু রাদিফের এই মূহুর্তে মায়াকে ভাবি ডাকাটা যুক্তিসঙ্গত দেখাবে না। এতে মায়া অসম্মান হতে পারে। আবার ভাবিকে বিয়াইন বলে ডাকাটাও রাদিফের পযন্ত নয়। সেজন্য চুপ করে গিয়ে নিজের কাজে মন দিল। যেদিন সসম্মানে মায়াকে সবার সামনে ভাবি ডাকতে পারবে সেদিন না-হয় ভাবি ডাকবে ততদিন না-হয় সবার অগোচরেই ভাবি ডাকল মায়াকে। তারপরও বড় ভাইয়ের বউকে অসম্মান জনক কিছুই ডাকবে না সে। রাদিফের সঙ্গে দাঁড়ানো ফাহাদ দুই শালীকে দেখতে পেয়েই হাসি মুখে এগিয়ে আসল মায়া আর জুইকে দিকে। বড়ভাইয়ের মতোন স্নেহময় হাত বুলাল মায়া, জুইয়ের মাথায়। কুশলাদি বিনিময় করেই রাহাত থেকে মায়াদের কাপড়ের ব্যাগটা নিতেই রাহাত তাড়াহুড়ো চলে গেল রিদের উদ্দেশ্যে। ফাহাদ মায়াদের নিয়ে প্রথমেই গেল আরাফ খানের কাছে। তিনি মায়া, জুইকে দেখতে পেয়ে উজ্জ্বল হাসতেই মায়ার সালাম দিয়ে বিনয়ে বলল…

‘ আসসালামু আলাইকুম দাদাভাই। কেমন আছেন?

মায়ার সালামের উত্তর দিতে দিতে বলল…

‘ আলহামদুলিল্লাহ ভালো নাতনীসাহেবা। তবে তুমি একদিন নানাভাই আর আজ দাদাভাই ডাকছো কেন? ব্যাপার কি? নানাভাই ডাকো সেটা না-হয় ফাহাদের সম্পর্ক ধরে কিন্তু দাদাভাই ডাকছো কার সম্পর্কের সূত্র ধরে বলো তো একটু শুনি?

আরাফ খানের কথার যুক্তিতে মায়া চুপসে গেল। রিদের সম্পর্ক ধরে আরাফ খানকে দাদাভাই ডেকেছে সেটা চট করে বলতে পারলো না মায়া। অসহায় মায়া ধরা পরে যাওয়ার ভয়ে রাদিফের দিকে তাকাল। রাদিফ মায়ার ভয়ের কারণ বুঝতে পেরে তৎক্ষনাৎ এগিয়ে আসল, মায়ার কথার উত্তর দিয়ে আরাফ খানকে বলল…

‘ তিনি হচ্ছেন আমার ভাবির স্বামী, তার বউয়ের একমাত্র শশুরের, একমাত্র বাপ, তার একমাত্র বড়ো নাতির একমাত্র বউ হিসাবে তোমাকে দাদাভাই ডেকেছে তাই মায়া?

রাদিফের সম্পর্কের মারপেঁচ আরাফ খানের মাথায় ঢুকলো না আর না ঢুকলো মায়ার মাথায়। তারপরও রাদিফের কথায় মায়া কেমন বোকার মতোন মাথা কাঁত করে সম্মতি দিল। চতুর আরাফ খান কেমন বোকার মতোন হিসাব মিলাতে বসল আসলে রাদিফ উনাকে কোন সম্পর্কের মারপেঁচ বুঝাল এখন। ফাহাদ যখন একই ভাবে হাসছিল তখন রাদিফ তাড়া দিয়ে বলল…

‘ ফাহাদ ভাই তুমি উনাদের বাসার ভিতরে নিয়ে যাও।
এইদিকটায় পুরুষ মানুষ বেশি।

ফাহাদ মায়াদের নিয়ে চলে যেতে চাইলে জুইয়ের সঙ্গে রাদিফের চোখাচোখি হয়। সৌজন্য খাতিরে জুই নিজেই আগ বাড়িয়ে রাদিফকে কুশলাদি করে, কেমন আছে জানতে চাইলে, রাদিফ হাসি মুখে উত্তর দেয়। দুজনের মধ্যে অল্প কুশলাদি বিনিময়ে জুই যখন রাদিফকে ক্রস করে সামনে যেতে চাইল তখনই চোখে পরলো অল্প দূরত্বে দাঁড়িয়ে থাকা আয়নকে। চমকে উঠার মতোন জুই পিছন তাকালে দেখল রাদিফ তখনো জুইয়ের দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে। জুইয়ের তাকানোতে রাদিফ মজা করে বলল…

‘ বিয়াইন এতো বার ঘুরে পিছনে তাকালে ঘাড় বেঁকে যাবে তো আপনার। আপনি বরং ভিতরে যান। আমি হাতের কাজটা শেষ করেই আপনার কাছে আসছি। তখন না-হয় আবার দেখলেন আমাকে।

রাদিফের অল্প দুষ্টামিতে কেন জানি জুইয়ের খুব কষ্ট হলো। ঘাড় ঘুরিয়ে তৎক্ষনাৎ তাকাল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আয়নের দিকে। নিশ্চয়ই রাদিফের কথাবার্তা সে শুনছে সব। অথচ এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছে যেন আয়ন কিছুই শুনছে না। আর যদি শুনেও থাকে তাহলে আয়নের রাদিফ বা জুইকে নিয়ে কোনো কিছুই যায় আসে না।
জুই আর পিছনে তাকাল না বরং আয়নকে দেখতে দেখতে সামনে এগোল। কেন জানি আয়নের জুইকে ইগনোর করাটা খুব দহনে পুড়ছে জুই। যদিও জুই চেয়েছিল আয়ন জুই থেকে দূরে থাকুক কিন্তু আজ কেন জানি আয়নের দূরত্বটা স্বাভাবিক নেয় মেনে নিতে পারছে না জুই। জুইয়ের মনে হচ্ছে আবার আগের মতোন হয়ে যাক দু’জনের সম্পর্কটা। আয়নের সঙ্গে রাতভর কথা হোক জুইয়ের। আচ্ছা জুই কি আয়নের সঙ্গে একবার কথা বলে দেখবে? একটু কুশলাদি বিনিময় করলে ও তো মন্দ হয়না। ধীরস্থির চিন্তা ভাবনায় জুই আয়নের বরাবরই হতে প্রথমে আস্তে করে সালাম দিয়ে চেয়ে জুই বলল…

‘ আসসালামু…

জুইয়ের সালামটা শেষ করার আগেই আয়ন জুইকে অদেখা করে পাশ কাটিয়ে চলে গেল অন্যদিকে। উচ্ছ্বাস জুই স্তব্ধ, হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে গেল আয়নের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে। জুইয়ের বুঝতে দেরি হলো না আয়ন ওকে সরাসরি ইগনোর করছে। অকারণে জুইয়ের কান্না আসল। মূল্যবান কোনো কিছু হারিয়ে ফেলার ভয়ে তিক্ত দহনে পুড়লো। ভিতরকার হাহাকার কষ্ট চেপে মায়াদের পিছন পিছন হাঁটতে লাগলে আরাফ খান রাদিফের হাত টেনে নিজের দিকে ফেরাতে ফেরাতে বলল…

‘ আমি তো বুঝিনি! সম্পর্কে আমার কি হলো রাদিফ?

‘ তুমি ভাবো তোমার কি হলো? সম্পর্কটা তো তোমার তাই না?

আরাফ খান বোকার মতোন বলল..

‘ একটু সহজ করে বলতো রাদিফ।

আরাফ খানকে খোঁচা মারার মতোন করে রাদিফ বলল…

‘ তুমি না ইন্টেলিজেন্স মানুষ? সামান্য একটা সম্পর্কের হিসাব মিলাতে পারছো না তুমি? দাদী কি দেখে তোমার সাথে এতো বছর ঠিকে গেল আল্লাহ জানে।

রাদিফের কথায় ক্ষেপে গেল আরাফ খান। উনার বউকে নিয়ে খোঁচা মারায় গায়ে লেগেছে যেন…

‘ এই তুই আমার বউকে টানছিস কেন?

‘ তাহলে তুমি কেন বারবার আমার ভাবির স্বামীর বউয়ের শশুরের বাপের ছেলের ছেলে বউকে টানছো বলো?

এই প্রথম আরাফ খান মনে হয় কারও কথা চুপ করে গেল। মূলত তিনি চুপ করে যাননি বরং রাদিফের বলা সম্পর্কে হিসাব বলাতে ব্যস্ত হলো। এই ফাঁকে রাদিফও স্থান ত্যাগ করলো নয়তো বলা যায় কখন আবার আরাফ খান চেপে ধরে সম্পর্কে মারপেঁচ মিলাতে পেরে।

#চলিত…..

[ আমার না রোমান্টিক পার্ট লিখতে লজ্জা লাগছে। সেজন্য এই পার্টে সেটা এড করিনি। আগে মানুষ আমার গল্প কম পড়তো সেজন্য রোমান্টিক পার্ট গুলো লিখতে তেমন লজ্জা লাগতো না। কিন্তু #রিদ_মায়ার_প্রেমগাঁথার গল্পের পরিচিত বেশি সেজন্য রোমাঞ্চকর কিছু লেখতে লজ্জা লাগে আমার🙈🙈। নেক্সট পার্টে হয়তো রোমান্টিক কিছু সিন আসতে পারে সেজন্য কেউ লেখিকাকে লজ্জা দিবে না। গল্পের নেক্সট পার্ট তাড়াতাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ ]
ধন্যবাদ সবাইকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here