#
মেইড_ফর_ইচ_আদার🌻
#কাজিন_রিলেটেড
#পর্বঃ২৪
#মেইড_ফর_ইচ_আদার🌻
#কাজিন_রিলেটেড
#পর্বঃ২৪
#অনামিকা_রহমান (লিখনিতে)
আবির চায়ের কাপ টা নিয়ে তৃনার ছুয়ে দেওয়া জায়গায় চুমুক দিলো, চোখ টিপ দিয়ে বলল, এবার চিনি ঠিক আছে।
তৃনা কটমট চোখে চাইলো, পাশে থাকা বালিস টা নিতেই আবির বুঝলো সাইক্লোনের আবাস। চায়ের কাপ কাবার্টে রেখেই দৌড়ে বের হলো কক্ষ থেকে,
অতঃপর..
তার পিছু পিছু ছুটলো তৃনা। দরজা থেকে বের হতেই ছুরে মারলো বালিশটা। ততক্ষণে রেহানা খান এসে হাজির হল।তার পেছনে আবির দাঁড়িয়ে লাগাতার হেসেই চলেছে৷
রেহানা খান, বালিশটা তুলে তৃনাকে বলল,আরে আরে এমন দুজনে বালিশ ছোড়াছুড়ি করছিস কেনো।
তৃনা শ্বাস টেনে কোমড়ে হাত দিয়ে দাড়ালো,প্রতিউত্তরে বলল,তোমার ওই ফাজিল ছেলেকে যে ধলেশ্বরী নদীতে নিয়ে চুবাই নি, এটাই তার কপাল। আমি কত কষ্ট করে চা বানিয়ে নিয়ে এসেছি, সেইটা নিয়ে আবার ফাজলামো।
আবির এখনও হেসে চলেছে, তৃনার কথা শুনে।
রেহানা খান আবিরের বাহুতে চাপড় মারলো আর বলল ,তুই আসলেই একটা ফাজিল।
রেহানা খান তৃনার কাছে এসে তৃনাকে নিয়ে রুমে ঢুকলো,তৃনা পিছনে ফিরে এখনও আবিরকে ভেংচি কেটে যাচ্ছে, আর আবির হেসেই চলেছে। রেহানা খান তৃনাকে নিয়ে ঢোকার সাথে সাথে আবির ও পিছনে আসলো, কিন্তু দরজায় দাঁড়িয়ে রইলো আবির। আবিরের এমন দাঁড়ানো দেখে, রেহেনা খান ভ্রু কুচকালো, আর বলে উঠল, দাঁড়িয়ে আছিস কেনো।
আবির তৃনার পানে চেয়ে খিলখিল করে হেসে বলল, বউয়ের বানানো চা টা নিতে আসলাম।
ওমনি আবির কাবার্ড থেকে চায়ের কাপটা নিয়ে ছুটে বেড়িয়ে গেলো।
রেহানা খান এদের খুনসুটি দেখে একগাল হেসে বলে উঠল, দুইটাই পাগল।
____
কতদিন ধরে রাইদের সঙ্গে তোর প্রেমের সম্পর্ক।
বসার ঘরে সবার মাঝে মাথা নিচু করে আন্নি তনয় আহমেদকে জবাব দিলো, তন্ময় ভাইয়ের বিয়ের পর থেকে।
সবাই হতভম্ব, আন্নির কথা শুনে।
তনয় আহমেদ গম্ভীর কণ্ঠে বললো, তোমার আজ থেকে ফোন চালানো বন্ধ। আমি এখন এই মুহুর্ত থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম, রোদেলার বিয়ের দিনেই তোমায় আমি বিয়ে দিব। আর সেটাও আমার পছন্দের ছেলের সাথে।
বাবার কথা শুনে আন্নির চোখ ছলছল করে উঠল।
আন্নি দিশেহারা অবস্থায় চেচিয়ে বলে উঠল, আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। তাকে ছাড়া আমি কাউকে বিয়ে করতে পারবো না।
তনয় আহমেদ কিছু বললেন না,সোফা হতে উঠে, আন্নির নিকট আসলেন। আন্নির সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, ১তারিখ হতে আর মাত্র ১০দিন বাকি। তাই আমি যা বলবো, তাই তোমাকে মেনে নিতে হবে।
তনয় আহমেদ এই বলেই আন্নির হাতখানা ধরে টেনে কক্ষে ডুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলেন। আন্নির ফোন খানা তনয় আহমেদ নিয়ে নিলেন।
আন্নি রুমের মধ্যে চিৎকার করতে লাগলো অনবরত।
বাসার সবাই নিশ্চুপ।
বসার রুম তনয় আহমেদ ত্যাগ করলেন।
ছাদে গিয়ে ফোন লাগালেন রাইদকে আন্নির ফোন থেকে।
কিছুক্ষন বাদেই অপর প্রান্তে রিসিভ হলো কল।
~আসসালামু অলাইকুম।
~ওয়ালাইকুম আসসালাম।আমি আন্নির বাবা বলছি। আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই।
~আংকেল, কি হয়েছে। আপনি কেনো দেখা করতে চাইছেন ।
~দেখা হলে, না হয় বলবো। এখন রাখছি। কাল ৯টায় মিরপুর ২ এ এসো।
তনয় আহমেদ কল কেটে মোবাইলটা বন্ধ করে দিলেন।
____
পুতুল, তোমায় ছেড়ে থাকতে আমার কষ্ট হবে।
তৃনা হাসলো তার বিজ্ঞানী মশাইয়ের কথা শুনে।
টিটকারির সুরে শুধালো তার বিজ্ঞানী মশাইকে।
জানেন তো সবুরে মেওয়া ফলে।তাই সবুর করেন তাহলে কাক্ষিত মেওয়া পেয়ে যাবেন।
তৃনার কথা শুনে চোখ কপালে উঠে গেলো আবিরের।
আচমকা কাছে টেনে অধর ছুয়ে দিলো তার পুতুলের। তৃনা হাসলো আবিরের কান্ডে। আবির মুচকি হেসে বলল, আচ্ছা রইলাম মেওয়ার আশায়।
আবির বিদায় নিলো তার পুতুলের কাছ থেকে।
কিছুক্ষন বাদেই খান সদস্যরা বিদায় নিলো আহমেদ ভিলা থেকে।
কিন্তু আবিরের মন যে পরে রইল তার পুতুলের নিকট , তারপর গাড়িতে উঠে স্টার্ট দিলো। উদ্দেশ্য উত্তরা যাওয়া।
______
আমার মেয়েকে কতটুকু ভালোবাসো!
রাইদ মন ভার করে বলে উঠল, সীমাহীন ভালোবাসা আপনার মেয়ের জন্য। আপনার মেয়ে কখনও প্রতারিত হবে না, আমার জীবনে আসলে।
তনয় আহমেদ খুব ভালো ভাবেই জানে রাইদ ছেলেটা খুবই ভালো। তার সততা ও সাহস দেখে তনয় আহমেদ মুগ্ধ।
কিছু সময় নিরব থেকে রাইদকে শুধালো, বাসায় কে কে আছে তোমার?
রাইদ জবাব দিলো, বাবা-মা,একমাত্র বোন আয়ানা,দাদা-দাদি।
তনয় আহমেদ আবার প্রশ্ন করলো রাইদকে, কে কে জানে আন্নির সাথে তোমার যে একটা সম্পর্ক।
রাইদ মুচকি হাসলো, জবাবে বলল, বাসায় সবাই জানে আন্নির কথা।
তারা চাইছিলো, আপনাদের বাসায় যেতে কিন্তু আমিই বারণ করেছি, শুনলাম রিয়াদের সাথে রোদেলা আপুর সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে তাই আপনাদের চাপে ফেলতে চাই নি। তাছাড়া রোদেলা আপুর বিয়ে না হলে আমরা কিভাবে আগাতাম বলুন।
তনয় আহমেদ রাইদের কথা শুনে বলে উঠল, কাল তোমার পরিবার নিয়ে চলে আসবে আমাদের বাসায়, বাকি কথা ওখানেই হবে। আর শোনো আমি কখনওই চাবো না, আমার মেয়ে কষ্টে থাকুক।আমি চাই তোমরা একসাথে জীবনটা গুছিয়ে নেও।
রাইদ হাপ ছেড়ে বাচলো।
সে এখন নিশ্চিন্ত। তনয় আহমেদকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে, বাইকে স্টার্ট দিয়ে চলে গেলো রাইদ ।
_____
তনয় আহমেদ বসার ঘরে বসে আছে। বাকিরাও সেখানে উপস্থিত। তন্নিকে জড়িয়ে কেদেই চলেছে আন্নি।
তনয় আহমেদ আন্নির উদ্দেশ্যে বলল, কেদে কোনো লাভ নেই অনু।
আমি কাল বলে দিয়েছি, কাল বিকালে তারা দেখতে আসবে। আর বিয়েটা ১তারিখেই হবে।
তন্নি ওকে নিয়ে যাও রুমে। ফোন চাইলেও দিবে না। তাহলে আমি কি করতে পারি, তা তোমরা সবাই ভালো করেই জানো।
আন্নিকে নিয়ে তন্নি রুমে চলে গেলো।
ভাবি, একবার কথা বলব শুধু। কেউ কিচ্ছু জানবে না৷ ও ভাবি, ভাবি।
আন্নির কান্না তন্নি সহ্য করতে পারলো না৷
গিয়ে আটকে দিলো দরজা।মোবাইল খানা হাতে দিলো আন্নির।
আন্নি দুহাতের উল্টো পাশ দিয়ে চোখের পানি মুছলো। ধুপধাপ নাম্বার ডায়েল করলো, কিন্তু ফলাফল শূন্য। মোবাইলে মধ্যে থেকে ভেসে আসলো,❝ আপনার ডায়েলকৃত নাম্বারটি এই মুহুর্তে বন্ধ আছে,কিছুক্ষন পর আবার চেষ্টা করুন।❞
আন্নি আবার হু হু করে কেদে উঠল। সে যদি রাইদকে না পায় তবে সে বিষ খাবে, মনে মনে ভেবে নিলো।
অভিমান করে বসে রইল, খিড়কির পানে। তন্নি কি করবে তার ননদের এই হাল দেখে, তাই ভেবে পাচ্ছে না। অত:পর বেরিয়ে গেলো কক্ষ থেকে।
~চলবে
(আজকের পর্ব কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। সুন্দর মন্তব্য আশা করছি। আর সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। হ্যাপি নিউ ইয়ার।)
#অনামিকা_রহমান (লিখনিতে)
আবির চায়ের কাপ টা নিয়ে তৃনার ছুয়ে দেওয়া জায়গায় চুমুক দিলো, চোখ টিপ দিয়ে বলল, এবার চিনি ঠিক আছে।
তৃনা কটমট চোখে চাইলো, পাশে থাকা বালিস টা নিতেই আবির বুঝলো সাইক্লোনের আবাস। চায়ের কাপ কাবার্টে রেখেই দৌড়ে বের হলো কক্ষ থেকে,
অতঃপর..
তার পিছু পিছু ছুটলো তৃনা। দরজা থেকে বের হতেই ছুরে মারলো বালিশটা। ততক্ষণে রেহানা খান এসে হাজির হল।তার পেছনে আবির দাঁড়িয়ে লাগাতার হেসেই চলেছে৷
রেহানা খান, বালিশটা তুলে তৃনাকে বলল,আরে আরে এমন দুজনে বালিশ ছোড়াছুড়ি করছিস কেনো।
তৃনা শ্বাস টেনে কোমড়ে হাত দিয়ে দাড়ালো,প্রতিউত্তরে বলল,তোমার ওই ফাজিল ছেলেকে যে ধলেশ্বরী নদীতে নিয়ে চুবাই নি, এটাই তার কপাল। আমি কত কষ্ট করে চা বানিয়ে নিয়ে এসেছি, সেইটা নিয়ে আবার ফাজলামো।
আবির এখনও হেসে চলেছে, তৃনার কথা শুনে।
রেহানা খান আবিরের বাহুতে চাপড় মারলো আর বলল ,তুই আসলেই একটা ফাজিল।
রেহানা খান তৃনার কাছে এসে তৃনাকে নিয়ে রুমে ঢুকলো,তৃনা পিছনে ফিরে এখনও আবিরকে ভেংচি কেটে যাচ্ছে, আর আবির হেসেই চলেছে। রেহানা খান তৃনাকে নিয়ে ঢোকার সাথে সাথে আবির ও পিছনে আসলো, কিন্তু দরজায় দাঁড়িয়ে রইলো আবির। আবিরের এমন দাঁড়ানো দেখে, রেহেনা খান ভ্রু কুচকালো, আর বলে উঠল, দাঁড়িয়ে আছিস কেনো।
আবির তৃনার পানে চেয়ে খিলখিল করে হেসে বলল, বউয়ের বানানো চা টা নিতে আসলাম।
ওমনি আবির কাবার্ড থেকে চায়ের কাপটা নিয়ে ছুটে বেড়িয়ে গেলো।
রেহানা খান এদের খুনসুটি দেখে একগাল হেসে বলে উঠল, দুইটাই পাগল।
____
কতদিন ধরে রাইদের সঙ্গে তোর প্রেমের সম্পর্ক।
বসার ঘরে সবার মাঝে মাথা নিচু করে আন্নি তনয় আহমেদকে জবাব দিলো, তন্ময় ভাইয়ের বিয়ের পর থেকে।
সবাই হতভম্ব, আন্নির কথা শুনে।
তনয় আহমেদ গম্ভীর কণ্ঠে বললো, তোমার আজ থেকে ফোন চালানো বন্ধ। আমি এখন এই মুহুর্ত থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম, রোদেলার বিয়ের দিনেই তোমায় আমি বিয়ে দিব। আর সেটাও আমার পছন্দের ছেলের সাথে।
বাবার কথা শুনে আন্নির চোখ ছলছল করে উঠল।
আন্নি দিশেহারা অবস্থায় চেচিয়ে বলে উঠল, আমি তাকে অনেক ভালোবাসি। তাকে ছাড়া আমি কাউকে বিয়ে করতে পারবো না।
তনয় আহমেদ কিছু বললেন না,সোফা হতে উঠে, আন্নির নিকট আসলেন। আন্নির সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, ১তারিখ হতে আর মাত্র ১০দিন বাকি। তাই আমি যা বলবো, তাই তোমাকে মেনে নিতে হবে।
তনয় আহমেদ এই বলেই আন্নির হাতখানা ধরে টেনে কক্ষে ডুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলেন। আন্নির ফোন খানা তনয় আহমেদ নিয়ে নিলেন।
আন্নি রুমের মধ্যে চিৎকার করতে লাগলো অনবরত।
বাসার সবাই নিশ্চুপ।
বসার রুম তনয় আহমেদ ত্যাগ করলেন।
ছাদে গিয়ে ফোন লাগালেন রাইদকে আন্নির ফোন থেকে।
কিছুক্ষন বাদেই অপর প্রান্তে রিসিভ হলো কল।
~আসসালামু অলাইকুম।
~ওয়ালাইকুম আসসালাম।আমি আন্নির বাবা বলছি। আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই।
~আংকেল, কি হয়েছে। আপনি কেনো দেখা করতে চাইছেন ।
~দেখা হলে, না হয় বলবো। এখন রাখছি। কাল ৯টায় মিরপুর ২ এ এসো।
তনয় আহমেদ কল কেটে মোবাইলটা বন্ধ করে দিলেন।
____
পুতুল, তোমায় ছেড়ে থাকতে আমার কষ্ট হবে।
তৃনা হাসলো তার বিজ্ঞানী মশাইয়ের কথা শুনে।
টিটকারির সুরে শুধালো তার বিজ্ঞানী মশাইকে।
জানেন তো সবুরে মেওয়া ফলে।তাই সবুর করেন তাহলে কাক্ষিত মেওয়া পেয়ে যাবেন।
তৃনার কথা শুনে চোখ কপালে উঠে গেলো আবিরের।
আচমকা কাছে টেনে অধর ছুয়ে দিলো তার পুতুলের। তৃনা হাসলো আবিরের কান্ডে। আবির মুচকি হেসে বলল, আচ্ছা রইলাম মেওয়ার আশায়।
আবির বিদায় নিলো তার পুতুলের কাছ থেকে।
কিছুক্ষন বাদেই খান সদস্যরা বিদায় নিলো আহমেদ ভিলা থেকে।
কিন্তু আবিরের মন যে পরে রইল তার পুতুলের নিকট , তারপর গাড়িতে উঠে স্টার্ট দিলো। উদ্দেশ্য উত্তরা যাওয়া।
______
আমার মেয়েকে কতটুকু ভালোবাসো!
রাইদ মন ভার করে বলে উঠল, সীমাহীন ভালোবাসা আপনার মেয়ের জন্য। আপনার মেয়ে কখনও প্রতারিত হবে না, আমার জীবনে আসলে।
তনয় আহমেদ খুব ভালো ভাবেই জানে রাইদ ছেলেটা খুবই ভালো। তার সততা ও সাহস দেখে তনয় আহমেদ মুগ্ধ।
কিছু সময় নিরব থেকে রাইদকে শুধালো, বাসায় কে কে আছে তোমার?
রাইদ জবাব দিলো, বাবা-মা,একমাত্র বোন আয়ানা,দাদা-দাদি।
তনয় আহমেদ আবার প্রশ্ন করলো রাইদকে, কে কে জানে আন্নির সাথে তোমার যে একটা সম্পর্ক।
রাইদ মুচকি হাসলো, জবাবে বলল, বাসায় সবাই জানে আন্নির কথা।
তারা চাইছিলো, আপনাদের বাসায় যেতে কিন্তু আমিই বারণ করেছি, শুনলাম রিয়াদের সাথে রোদেলা আপুর সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে তাই আপনাদের চাপে ফেলতে চাই নি। তাছাড়া রোদেলা আপুর বিয়ে না হলে আমরা কিভাবে আগাতাম বলুন।
তনয় আহমেদ রাইদের কথা শুনে বলে উঠল, কাল তোমার পরিবার নিয়ে চলে আসবে আমাদের বাসায়, বাকি কথা ওখানেই হবে। আর শোনো আমি কখনওই চাবো না, আমার মেয়ে কষ্টে থাকুক।আমি চাই তোমরা একসাথে জীবনটা গুছিয়ে নেও।
রাইদ হাপ ছেড়ে বাচলো।
সে এখন নিশ্চিন্ত। তনয় আহমেদকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে, বাইকে স্টার্ট দিয়ে চলে গেলো রাইদ ।
_____
তনয় আহমেদ বসার ঘরে বসে আছে। বাকিরাও সেখানে উপস্থিত। তন্নিকে জড়িয়ে কেদেই চলেছে আন্নি।
তনয় আহমেদ আন্নির উদ্দেশ্যে বলল, কেদে কোনো লাভ নেই অনু।
আমি কাল বলে দিয়েছি, কাল বিকালে তারা দেখতে আসবে। আর বিয়েটা ১তারিখেই হবে।
তন্নি ওকে নিয়ে যাও রুমে। ফোন চাইলেও দিবে না। তাহলে আমি কি করতে পারি, তা তোমরা সবাই ভালো করেই জানো।
আন্নিকে নিয়ে তন্নি রুমে চলে গেলো।
ভাবি, একবার কথা বলব শুধু। কেউ কিচ্ছু জানবে না৷ ও ভাবি, ভাবি।
আন্নির কান্না তন্নি সহ্য করতে পারলো না৷
গিয়ে আটকে দিলো দরজা।মোবাইল খানা হাতে দিলো আন্নির।
আন্নি দুহাতের উল্টো পাশ দিয়ে চোখের পানি মুছলো। ধুপধাপ নাম্বার ডায়েল করলো, কিন্তু ফলাফল শূন্য। মোবাইলে মধ্যে থেকে ভেসে আসলো,❝ আপনার ডায়েলকৃত নাম্বারটি এই মুহুর্তে বন্ধ আছে,কিছুক্ষন পর আবার চেষ্টা করুন।❞
আন্নি আবার হু হু করে কেদে উঠল। সে যদি রাইদকে না পায় তবে সে বিষ খাবে, মনে মনে ভেবে নিলো।
অভিমান করে বসে রইল, খিড়কির পানে। তন্নি কি করবে তার ননদের এই হাল দেখে, তাই ভেবে পাচ্ছে না। অত:পর বেরিয়ে গেলো কক্ষ থেকে।
~চলবে
(আজকের পর্ব কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। সুন্দর মন্তব্য আশা করছি। আর সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। হ্যাপি নিউ ইয়ার।)