#হৃদয়েশ্বরী
#লেখিকাঃ সাদিয়া মেহরুজ দোলা
#পর্ব-১৮
__________________
ট্রেনের দরজা হতে ঠিক মাঝে টিমটিম করে জ্বলছে সোডিয়াম লাইট। হলদেটে রশ্মিতে মীরা উশানের মুখোশ্রীর ভাষা পড়ার চেষ্টা করলো। তবে সম্ভব হলো না তা। হতাশ হয়ে মৃদু শ্বাস ফেলে বহির্ভাগে দৃষ্টি ফেলে আনমনে বলল,
-‘ লাইফ ইজ নট এ সার্কাস! ইচ্ছে হলে মরে যাওয়া যায় নাকি? আমি অসাবধান বশত পড়ে যেতে নিয়েছিলাম। এতটুকুই! ‘
উশান জবাবহীন রইল ফের। মীরা বিরক্ত হলো বড্ড! একটু আগে কৌতুকের ছলে কথা বলে এখন মুখোশ্রীতে এমন গাম্ভীর্যতা, থমথমে ভাব ফুটিয়ে তোলার মানে কি? উশানকে বোঝা বড় দায়। এই লোক হাসতে হাসতে রেগে যায় আবার রাগতে গিয়ে হেঁসে ফেলে। উদ্ভট! দ্বিতীয় বার বার্তা পেশ করে উত্তর না পেয়ে মীরা অপমানিত বোধ করে। ঘাড় বাঁকিয়ে দৃষ্টিপাত উশানের পানে ফেলে ফিরে যেতে নিতেই উশানের কড়া কন্ঠ তার পদচারণ থমকে দেয়।
-‘ ডোন্ট মুভ! সামওয়ান ইজ ফলোয়িং আস(us)।’
মীরা বিমূঢ়! উশান নেত্র ইশারায় মীরাকে আগের স্থানে ফিরে আসতে বললে সে তাই করলো। উশান এগোল সেদিকে। মীরার পাশে দাঁড়িয়ে তার এক হাত আঁকড়ে নিলো সন্তর্পণে। মীরার মুখোশ্রীতে ফুটে ওঠা ভীতি দেখে কন্ঠের খাদ নামিয়ে বলল,
-‘ ভয় পেয়ো না মীরা। আমি আছি না? আই উইল সেভ ইউ! ‘
হাতের বাঁধন শক্ত হলো আরেকটু। ‘ আমি আছি না ‘ বাক্যটিতে থাকা আশ্বাস মীরাকে শান্ত করে দিলো তৎক্ষনাৎ। আঁড়চোখে তাকালো উশানের পানে। তার এই মূর্হতে কাঁদতে ইচ্ছে করে। হাত – পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে কান্না করার প্রবল ইচ্ছে জাগ্রত হয়েছে অন্তঃকরণে। এই মানবের থেকে যতই সে দূরে যাওয়ার পরিকল্পনা করুক না কেনো! সেই কিভাবে যেনো তারা ক্ষণে ক্ষণে একই ভাবে জরীয়ে যায়। উশানের বাদামী মনি বিশিষ্ট নেত্র যুগলে নম্রতা বিরাজ করছে। মীরার বক্ষঃস্থল কাঁপুনি দিলো। এই নম্র চাহনি-ই তো মীরাকে প্রথম প্রেমে ফেলেছিলো। রাতের ঘুম, নির্ঘুম হওয়ার মতো প্রেমে।
-‘ চশমা ছাড়া কি কিছুই দেখতে পাওনা মীরা?’
উশানের নিচু স্বর। মীরা চশমায় হাত দিলো। নিম্ন সুরে বলল,
-‘ দেখতে পাই কিন্তু ঝাপসা। কেনো? ‘
উশানের ওষ্ঠাধর দ্বারা ছিটকে আসলো ব্যার্থতার সুর। মীরার করা প্রশ্নে জবাব দিলো না। ইশারায় ঠোঁটে আঙুল রেখে চুপ থাকতে বলল। পদধ্বনির শব্দ শোনা যাচ্ছে। খুব কাছেই হয়তো! উশান চটজলদি নিচু হয়ে ডান পায়ের কাছে গুঁজে রাখা ধারালো ছু’রি বের করলো। হলদেটে, স্বল্প আলোয় চকচক করছে ছু’রিটা। মীরার হাত ছেড়ে দিয়ে হাত উঁচু করে লাল, কালো দু’টো তার কেটে ফেললো অভ্যস্ত হাতে। সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকারের রাজত্ব শুরু হলো সেখানটায়। মীরা আঁতকে উঠে বলল,
-‘ লাইটের তার কে’টে ফেললেন কেনো? ‘
-‘ দরকার ছিলো বলে। আসো আমার সাথে। ‘
-‘ কেবিনে ফিরে যাবেন? ‘
উশান মীরার হাত ধরে খালি এক কেবিনের দিকে এগোচ্ছে। পথিমধ্যে জবাব দিলো ক্ষীণ সুরে,
-‘ উঁহুম! আমাদের জন্য অন্য কাওকে বিপদে ফেলবো কেনো? আপু অসুস্থ এমনিতেই। আপাতত যেখানে নিয়ে যাচ্ছি চলো। ‘
ট্রেনের উত্তর দিকের কেবিনগুলো প্রায় খালি। মানুষ জন নেই। মীরার হাত ধরে সেদিকেই এগোচ্ছে উশান। সচেতন ষষ্ঠী ইন্দ্রীয় তার জানান দিচ্ছে পিছন থেকে পদধ্বনির শব্দ জোরদার হয়েছে। তার মানে তাদের অনুসরণ করা লোক দু’টো এবার দৌড় শুরু করেছে। উশান এক খালি কেবিনে প্রবেশ করে দরজা ভিড়িয়ে রাখলো। মীরা উত্তেজিত হয়ে প্রশ্ন করলো,
-‘ দরজা লাগালেন না কেনো? যারা আমাদের ফলো করছে তারা যদি এসে পড়ে ভেতরে? ‘
উশান হেঁটে এসে আয়েশ করে বসলো।কোমড়ের কাছে গুঁজে রাখা কালো ধাতব যন্ত্রটি বের করলো। আঁধারের মাঝে হটাৎ রশ্মির উৎস থেকে মীরার বোধগম্য হলো উশানের হাতের যন্ত্রটি পি’স্ত’ল। দুই, তিন সেকেন্ড পর উশান বলল,
-‘ আমি তো এটাই চাই। ওরা ভেতরে আসুক। আমার আপ্যায়ন গ্রহণ করুক। ‘
মীরা হতভম্ব হয়ে রইল। উশানের কথা গুলো ঠিক তার মাথার ওপর দিয়ে শা শা করে উড়ে যাচ্ছে। আসলে কি করতে চাচ্ছে এই লোক? অন্তঃকরণে প্রশ্নের আদান-প্রদান কালীন কর্ণকুহরে ভেসে এলো উশানের ভরাট কন্ঠ,
-‘ আমার বাম পাশে এসে বসো। ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা সেইফ না। ‘
মীরা ত্রস্ত পায়ে এগোল। উশানের বাম পাশে গিয়ে বসলো। তার ভীষণ ভয় করছে। বারংবার অন্তরাল থেকে বার্তা আসছে, অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হতে চলেছে। মীরা ভয়ার্ত কন্ঠে বলল,
-‘ আপনি আসলে কি করতে চাইছেন উশান? ‘
উশান ব্যাস্ত হাতে পি’স্ত’লে বু’লে’ট চেক করছিলো। মীরার ভয়ার্ত কন্ঠ তাকে এবার থমকে দিলো। মেয়েটা ভয় পাচ্ছে? তাহলে তো মুশকিল বেশ!সে তার কার্য সমাপ্ত করতে পারবে না কিছুতেই তাহলে।পিস্তলটা হাতের মুঠোয় রেখে শীতল কন্ঠে উশান বলে উঠলো,
-‘ মারপিট, র’ক্ত! এসবে ভয় পাও? র’ক্তে ফোবিয়া আছে?’
মীরা নতজানু হয়ে জবাব দিলো,
-‘ উঁহু নেই। আপনি কি ওদের কে মা’র’বে’ন? ‘
-‘ হু, অবশ্যই! ওদের থেকে কথা বের করতে হবেনা? কেনো আমাদের ফলো করছে?সোজাসাপ্টা ভাবে উত্তর দিবে বলে তো মনে হচ্ছে না। ‘
মীরা মৌন রইল কিয়ৎক্ষণ। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তার। অতিরিক্ত যখন সে চিন্তিত হয় তখন তার হার্ট দূর্বল হয়ে শ্বাস – প্রশ্বাসে ঝামেলা তৈরি করে। মীরা বিচলিত হয়ে বলল,
-‘ আমার ভীষণ ভয় করছে উশান। ‘
হাতের কাজ ফেলে উশান তপ্তশ্বাস ফেললো। তার বোধগম্য হয়েছিলো বহু আগেই, মীরা ভয় পাচ্ছে। হাতের ধা’রা’লো ছু’রি টাকে পায়ে গুঁজে নিয়ে উশান মীরার দিকে কাত হয়ে বসলো। প্রথমবারের মতো স্ব-ইচ্ছায় মীরার গালে আদুরে, উষ্ণ হাত স্থাপন করলো। নম্র কন্ঠে বলল,
-‘ কেনো ভয় পাচ্ছো মীরা? আমি আছি না? আমার ওপর তোমার ভরসা নেই? আমি ঠিক তোমায় আগলে রাখবো। কিছু হবেনা তোমার। হতে দিবো না। বুঝেছো? শান্ত হও এবার! এমন ভয় পেলে চলে নাকি? আমার পাশে থাকলে দুনিয়ার কোনো বিপদ তোমাকে স্পর্শ করতে দিবো না মীরা। ‘
মীরা চোখ তুলে তাকালো না উশানের দিকে। তার হটাৎ – ই ভীষণ লজ্জা করছে৷ উশানের আকস্মিক স্পর্শ তার বক্ষঃস্থলে উথাল-পাতাল ঝড় তুলেছে। ইচ্ছে করছে এ লহমায় কোথাও লুকিয়ে পড়তে। নির্মেদ গাল দু’টোর লাল আভা লুকাতে চেয়েও পারলো না মীরা৷ রাশ রাশ অনুভূতি গুলো হানা দিলো মন গহীনে। ইশ! কি ভয়ানক অনুভূতির ক্ষণ। প্রেমিকের আদুরে স্পর্শ বুঝি এমনই মারাত্মক ভয়ংকর? হাত – পা হীম হয়ে আসছে তার। বারংবার কর্ণকুহরে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে উশানের আশ্বাস ভরা কন্ঠ এবং সেই মন – মাতানো চমৎকার কথা গুলো। আচ্ছা কি মিশে ছিলো কথা গুলোয়?মাদকতা? অবশ্যই! মাদকতার সাগরে মাখো মাখো ছিলো নিশ্চয়ই এই কথা গুলো। নয়তো মীরাকে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মাদকতা গ্রাস করবে কেনো? নিজেকে সামলে কোনোমতে মীরা বলল,
-‘ আমি ঠিক আছি। নিজেকে সামলাতে পারবো। ‘
উশান স্বস্তির শ্বাস ফেলে মীরার গাল থেকে হাত সরালো। আদুরে ভাবে আলত করে গাল টেনে দিয়ে বলল,
-‘ গুড গার্ল! ‘
উশান আচানক খেয়াল করলো মীরার মুখোশ্রীতে উপচে পড়া লজ্জার রেশ। শ্যামবর্ণের গাল দু’টো টকটকে লাল, গোলাপি আভায় সেজে উঠেছে যেনো। নেত্র জোড়া স্পষ্টত জানান দিচ্ছে তাদের ভীষণ লজ্জা পাওয়ার কথা। মীরা’র লাজুক রূপে দৃষ্টি দিয়ে উশান ঠোঁট চেপে হাসলো। শেষে কৌতুক মাখা কন্ঠে বলে উঠলো,
-‘ কি ব্যাপার বলো তো? এমন ভাবে লজ্জা পাচ্ছো কেনো? তোমায় দেখে কি মনে হচ্ছে জানো? তুমি বাসর ঘরে বসে আছো! সিনিয়র সিটিজেন তোমায় দুষ্টু দুষ্ট উপদেশ দিচ্ছে আর তুমি লজ্জায় মিনিটে, মিনিটে চুপসে যাচ্ছো। কিন্তু ম্যাম! আমি তো এমন দুষ্টু কথা বলিনি। এমন লজ্জা পাওয়ার কারণটা যদি বলতেন।’
মীরার গাল দু’টো রক্তিম হয়ে উঠলো ফের৷ লজ্জায় লাল, নীল হয়ে সে অন্যদিকে তাকালো।অন্তরালে উশানকে আচ্ছা মতোন কয়েকটা বকা ছুঁড়ে দিলো। উশান চোখে হাসলো এবার। ওষ্ঠাধর তার স্থির। মীরা মনে মনে প্রার্থনা করলো, যেনো এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। ইশ! কি বিব্রতকর অবস্থা। নেত্র যুগল বন্ধ করে মীরা শান্ত হলো। এমন লজ্জা পাওয়ার কোনো মানে হয় না। তেজ নিয়ে পরিশেষে বলল,
-‘ একদম উল্টোপাল্টা কথা বলবেন না। আমি অবশ্যই লজ্জা পাচ্ছি না। আমার ঠান্ডা লাগছিলো তাই গাল হয়তো লাল হয়ে আছে। ‘
মীরার উদ্ভট, অযৌক্তিক উত্তর শ্রবণ করে উশান গলায় শব্দ করে হাসলো। হাস্যরত অবস্থাতেই বলল, ‘ আচ্ছা তাই ম্যাডাম? ‘
উশান হুট করে হাসি থামিয়ে সচেতন হলো। বিড়াল পায়ে হেঁটে আসা মানুষ দু’টোর মৃদু শব্দ কর্ণপাত হলো। হাতে পি’স্ত’ল টা তুলে নিয়ে কায়দা করে এক পাশে দাঁড়ালো। মীরার হাত টেনে দাঁড় করিয়ে নিজের কাছে আনলো। মীরার কোমড় একহাত রেখে মৃদু কন্ঠে বলল,
-‘ একদম চুপ মীরা। শব্দ করো না কোনো। ওরা এসে গেছে। ‘
মীরা তটস্থ হলো। আধারের মাঝে দেখলো দু’টো বলিষ্ঠ দেহ কেবিনে ঢুকছে।উঁচু করে রাখা হাতে পিস্তল। মীরা চিন্তায় পড়লো বেশ। এই বলিষ্ঠ দেহী দু’জন পুরুষকে উশান সামলাবে কি করে? মীরাকে চমকে দিয়ে উশান এক অদ্ভুত কর্ম করে বসলো। ট্রেন টানেলে প্রবেশ করতেই অন্ধকারে বিনাশব্দে উশান এগোল লোক দু’টোর দিকে। তারপর কি হলো কিছু দেখতে পারলো না মীরা। দুই মিনিট পর উশানের উপস্থিতি ফের নিজের সন্নিকটে আবিষ্কার করলো। ট্রেন টানেল থেকে বের হতেই মীরা দেখলো বলিষ্ঠ দেহের এক ব্যাক্তি মাটিতে পড়ে রয়েছে। ২য় লোকটা বিষ্ময়কর দৃষ্টিতে দেখছে তাকে।
উশান এবার ছুটলো সেদিকে। পিছন থেকে ২য় লোকটার ভোকাল কর্ড চেপে ধরে দু’হাত পিছনে মুড়িয়ে ধরলো। পিছন থেকেই লাথি মারলো সজোরে লোকটার গুপ্ত স্থানে। ব্যাথায় চেঁচিয়ে উঠে লোকটা মেঝেতে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে। লোকটার মাথার চুলের একাংশ শক্ত করে মুঠোয় নিয়ে চোয়াল বরাবর ঘুষি মারে উশান। ক্ষীণ রশ্মিতে মীরার দর্শন হলো লোকটার ঠোঁট দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়েছে।
ব্যাথাতুর, আর্তনাদ জরানো কন্ঠে লোকটি বলল,
-‘ তুমি আমার ভাইয়ের সাথে কি করেছো?’
-‘ ড্রাগ পুশ করেছি।’
উশান ছেলেটার চিবুক ধরে মাথা কাত করে দিলো।উত্তর দিলো না। ব্যাথায় কুকিয়ে উঠে চক্ষু জোড়া বন্ধ করে নিলো ছেলেটা। উশান তেজি কন্ঠে বলল,
-‘ নাম কি তোর? কে পাঠিয়েছে তোকে? জলদি বল! ‘
-‘ আমাকে ছাড়ো! বলতে পারবো না আমি। নিষেধ আছে৷ ‘
উশান ধারালো ছু’রিটা বের করে ছেলেটার পায়ে ঢুকিয়ে দিলো। শেষে কঠিন গলায় বলল,
-‘ এখন বলবি নাকি তোর হৃদপিণ্ডে ঢোকাবো এবার? ‘
-‘ বলছি! বলছি! আমি রায়ান। আর যাকে তুমি ড্রাগ দিয়েছো ও আমার ছোট ভাই রাহিন আমরা যশোর থেকে এসেছি। আমাদের দু’জনকে এরিক ইহরাম পাঠিয়েছে তোমাকে মে’রে ফেলার জন্য। ‘
‘ এরিক ইহরাম ‘
এই ব্যাক্তিকে চেনে উশান। তূর্শীর স্বামী সে। এই কয়েকদিনে উশান অনেকটা তথ্য জোগাড় করেছে তূর্শী সম্মন্ধে। এরিক কেনো তাকে মারতে চাইছে তাও জানে সে। বিরক্ত হলো উশান! রায়ান কে ছেড়ে দিয়ে হাতের রক্ত টিস্যু দিয়ে পরিস্কার করলো। রায়ান তখন ব্যাথায় ছটফট করতে ব্যাস্ত।কারণ তাকে ছেড়ে দেয়ার পূর্বে উশান সজোরে আঘাত করেছে তার দূর্বল স্থানে।
উশান বিরক্তিমাখা কন্ঠে বিড়বিড়িয়ে বলল,
-‘ সামনে এসে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। পেছন থেকে সর্বদা আঘাত করার চেষ্টা করে। কাপুরুষ একটা! ‘
মীরা তখনও থম মেরে দাঁড়িয়ে। দৃষ্টি অন্যত্রে। এসব দেখার ক্ষমতা তার নেই। বমি পায়, হাসঁফাসঁ করে, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। উশান এগোল মীরার দিকে। কাঁধে হাত রেখে জিজ্ঞেস করলো,
-‘ ঠিক আছো তুমি? ‘
মীরা ফিরে তাকালো। বলল, ‘ হু! এদের দু’জনকে কি করবেন? ‘
উশান কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠলো, ‘ মে’রে ফেলবো। ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবো।ভালো হবে না? ‘
চলবে…
#সাদিয়া_মেহরুজ_দোলা