#হৃদয়েশ্বরী
#লেখিকাঃ সাদিয়া মেহরুজ দোলা
#পর্ব-২৮.
___________________
-‘ মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী মিস. মীরা কখনো মা হতে পারবেনা স্যার। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম প’য়ে’জ’ন যাতে গুরুতর ক্ষতি না করে কিন্তু আপনি একটু বেশিই লেট করে ফেলেছেন পেশেন্টকে হসপিটালে আনতে।এন্ড দিস টাইম! উই হ্যাভ নাথিং ইলস্ টু ডু স্যার! ‘
উশান কিংকর্তব্যবিমূঢ়! নিষ্প্রাণ, অনুভূতিশূন্য নেত্রে চাইলো সম্মুখে। কাঁচের দেয়ালের ওপারে মীরা। মাহদির কোলে মাথা রেখে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে।আচ্ছা মেয়েটা যদি জানতো সে আর কখনোই মা হতে পারবেনা তখনো কি এমনই ভাবে শান্তিতে ঘুমোত? নিজেকে বোকার মতো একটা প্রশ্ন করে বসলো উশান। তার অন্তঃকরণের দশা বেহাল প্রায়। মীরার এ অবস্থার জন্য অবশ্যই সে দায়ী। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলো উশান নিজের থেকে মীরাকে দূরে দূরে রাখার। কতো অপমান, অবহেলা করেছে মেয়েটাকে সে, একমাত্র মীরার সুরক্ষার কথা চিন্তা করে। কিন্তু সেই তো মেয়েটাকে ঠেলে দিলো সে বিপদ সম্মুখে।
ডা.রাহি গভীর দৃষ্টিতে দেখছিলেন উশানকে।তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক সময়কার পাথর মনের অধিকারী মানুষটার পরিবর্তন স্ব-চোখে বিষ্ময় নিয়ে দর্শন করছেন। তীব্রের থেকে শুনেছিলো সে যদিও। তবুও বিশ্বাস করেননি। এবার স্পষ্টত নিজ নেত্র দ্বারা দর্শন করে তার হতভম্ব হওয়ার উপক্রম।রাহি ধাতস্থ করে নিজেকে। গলা ঝেড়ে ফের বলে,
-‘ স্যার! উনাকে প’য়ে’জ’ন দেয়াই হয়েছিলো যেনো সে আর কখনো মা না হতে পারে তারজন্য। যার কারণে পেশেন্ট মারা যায়নি। জীবিত এবং সুস্থ আছে। জাস্ট রক্তক্ষরণ হয়েছে একটু। এতটুকুই! ‘
-‘ আপনি যান। ‘ রাশভারী কন্ঠের জবাব।
রাহি দ্রুত সেখান হতে প্রস্থান করলো। উশান কাঁচের দরজা ঠেলে কেবিনে প্রবেশ করে। মাহদি উশানকে দেখে নড়েচড়ে বসলো। জিজ্ঞেস করলো,
-‘ বাবা? ডাক্তারের সাথে কথা বলছিলে দেখলাম। কি বলল সে? মীরা সুস্থ আছে না? গুরুতর কিছু? ‘
তন্দ্রাচ্ছন্ন মীরার প্রতি নরম চোখে তাকালো উশান। কন্ঠের খাদ নামিয়ে জবাব দিলো,
-‘ মীরা সুস্থ আছে আঙ্কেল। কিন্তু.., প’য়ে’জ’ন এর ব্যাড এফেক্টের কারণে ও কখনো মা হতে পারবে না। এমনিতে ও এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। ‘
মাহদি মৌন! লোকটার অন্তঃকরণের ভাষা পড়তে পারলো না উশান। চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। মাহদি এখন কিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাবে? তা সম্পর্কে তার ধারণা নেই। তবে সে চাইছে, বাবা হিসেবে মাহদি শক্ত থাকুক। মীরাকে সামলাতে হবে তো! মিনিট খানেক পর মাহদি বলল,
-‘ মেয়েটা আমার বেচে আছে এটাই আমার কাছে যথেষ্ট উশান। ও মা হতে পারবে না! এটা নিয়ে আমার আপাতত কোনো দুঃখ, কষ্ট নেই। মেয়েটা আমার এই কঠিন সত্যটা সহ্য করতে পারলেই হলো। ‘
নিভৃতে ভীষণ স্বস্তি পেলো উশান। মাহদির থেকে এমন ব্যাবহার, এমন বক্তব্যই আশা করছিলো সে। ঈষৎ বাদে সে বলল,
-‘ আই থিঙ্ক! মীরাকে এখন এই ব্যাপারটা না জানানোই ব্যাটার হবে আঙ্কেল। এমনিতেই ও এখন মেন্টালি ডিপ্রেসড! এই কথাটা শুনলে আরো অবস্থা খারাপ হতে পারে। ‘
-‘ হুম। ‘
উশানের ফোন বেজে উঠলো। পকেট হাতড়ে ফোন বের করে কর্ণারে যায় উশান। পুলিশ অফিসার ফোন দিয়েছে। রিসিভ করার সঙ্গে সঙ্গে অপাশ হতে ব্যাস্ত কন্ঠে বলা হলো,
-‘ স্যার আপনি শুভ্রকে এতোটা বাজে ভাবে মেরে ফেলেছেন।এখন হেড ডিপার্টমেন্টে আমরা কি জবাব দিবো স্যার? ‘
উশান রাশভারী কন্ঠে প্রতিত্তুর করলো,
-‘ হেড ডিপার্টমেন্টকে আমি দেখবো অফিসার। আপনি লাশ নিয়ে থানায় ফিরুন। ‘
-‘ ও.কে স্যার! বাট আপনাকে এখনই থানায় আসতে হবে। এসিপি স্যার, আপনাদের গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসেছেন সেখানে। এখনই কথা বলে নিলে ভালো হতো। ‘
-‘ আসছি আমি। ‘
ফোন কেটে পকেটে ঢোকায় উশান। লম্বা লম্বা পা ফেলে এগোলো সামনে। মাহদির নিকট এগিয়ে এসে বলল,
-‘ আঙ্কেল! আমাকে যেতে হবে একটু। আসি? আমি রাতে আসবো৷ থানায় যেতে হবে এখন। মীরাকে যে কিডন্যাপ করেছে, কেনো করেছে তা সম্পর্কে! ‘
-‘ আচ্ছা বাবা। তোমার আছে আমি কৃতজ্ঞ। তুমি আছো তাই হয়তো আমার মেয়েটা এখনো বেঁচে আছে। পুলিশের কাছে বললে হয়তো তাদের খুঁজতে খুঁজতে আমার মেয়েটাই মারা যেতো। ‘
উশান বিড়বিড়িয়ে নিম্ন কন্ঠে শুধালো, ‘ আমার জন্যই আজ আপনার মেয়ের এ অবস্থা আঙ্কেল। শুধুমাত্র আমার জন্য। ‘
তীব্রকে সঙ্গে করে উশান চলে যায়। মাহদি মীরার মাথায় আদুরে হাত বুলিয়ে দিয়ে মেয়ের গায়ে কাঁথা টেনে উঠে দাঁড়ায়। তার নেত্র কার্নিশে অশ্রুকণা। সে কাঁদছে? আজকের এই পরিস্থিতিতে মাহদি একবার ভেবেই নিয়েছিলো মেয়ে হয়তো তার আর সুস্থ রূপে ফিরে আসবে না৷ এশারের নামাজ শেষে আল্লাহ তায়ালার নিকট মাহদি দু’হাত তুলে দোয়া করলো, শুকরিয়া আদায় করলো আল্লাহর নিকট। ছেলেরা কাদেনা সহজে। কিন্তু বাবার সন্তানের কষ্টে অল্পতেই কেঁদে ফেলে! মাহদি কাঁদলো কিয়ৎক্ষণ। নিরবে, নিভৃতে, আপনমনে!
________
তখন সাঝবেলা! ঘুমের ঔষধের প্রকোপ কেটে গিয়ে মীরার তন্দ্রা কেটেছে ক্ষীণ সময় পূর্বে। রুহি তাকে স্যুপ খাওয়াচ্ছে। মায়ান মীরার কোলে মাথা রেখে বোনের সাথে নানান কথা বলছে, মাহদি নেই কেবিনে! বাহিরে গিয়েছে জরুরি কিছু ঔষধ আনতে৷ সবাই ব্যাস্ত। জাগতিক ভুবন হতে বিছিন্ন কেবল মীরা। সে ভাবছে কিছু। মনোযোগ সহিত।তার বারংবার মনে হচ্ছে জ্ঞান হারানোর পূর্বে সে এক বলিষ্ঠ দেহী পুরুষকে জরিয়ে ধরেছিলো৷নিবিড় বন্ধনে আবেষ্টিত ছিলো। কিন্তু কে ছিলো সেই পুরুষ? তা মস্তিষ্কের ওপর তুমুল জোর দিয়েও মীরা মনে করতে পারছেনা। অচেতন হওয়ার পূর্বকার কোনো ঘটনাই তার মনে নেই। মনে করতে পারছে না।দেখা যায়, মনে করতে গেলেই মাথায় তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। মীরা এদিক সেদিক তাকালো।কাওকে খোঁজার চেষ্টা করলো। মন পিপাসু যাকে চাচ্ছে, স্নায়ুকোষ বলছে সে নেই! নেই এখানে, তার আশেপাশে। এতকিছুর পরও বেহায়া মন সেই সুদর্শন মুখোশ্রী দর্শণ করার লালসায় ছটফট করে ভীষণ। ভীষণ করে! খাওয়ার মাঝে নাক সিটকেঁ নিলো মীরা। বলল,
-‘ কি ছাইপাঁশ খাওয়াচ্ছিস? আমি খাবোনা আর। ‘
রুহি আরেক চামচ মীরার ওষ্ঠাধর সম্মুখে তুলে ধরে বলল,
-‘ ছাইপাঁশ না জান৷ ইট’স পুষ্টি! হা করো। ‘
কড়া দৃষ্টিতে তাকালো মীরা। রুহি হাসঁফাসঁ করলো।উদ্বেগ নিয়ে বলল,
-‘ এভাবে তাকাবি না কতদিন বলছি? আমার রুহ্ বের হয়ে আসতে চায়। এই অসময় মরে গিয়ে নিজের জামাইটাকে আমি বিপত্নীক করতে চাই না?’
মীরা বিরক্তিমাখা কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
-‘ জামাই? নতুন বয়ফ্রেন্ড পেয়ে গিয়েছিস?’
-‘ আরে না! ভবিষ্যতের কথা বলতেছি।নে খা! হা কর জলদি। উফ্! আমার মনে হচ্ছে আমি আমার বাচ্চারে খাওয়াচ্ছি। অথচ বিয়েই করলাম না এখনো।ইট’স পেইন ড্যাম!হা করো বাবু হা..।’
রুহির উদ্ভট কথা শ্রবণ করে মীরা খাওয়া শেষ করলো। হাতে স্যালাইন চলছে তার। স্যালাইন শেষ হলেই রিলিজ দেয়া হবে। মাহদি আসলো ঈষৎ বাদে। সবকিছু ভুলে বাবার সাথে আদুরে আলাপে ব্যাস্ত হলো মীরা। বাবা পাশে থাকলে তার পুরো পৃথিবীটা তখন ফিকে হয়ে পড়ে।
_____
সময় প্রবাহিত হওয়ার সাথে সাথে মীরার পুরোনো ঘটনা সব মনে পড়ছে। মনে পড়ছে শুভ্রের দলের সেই লোকদের বাজে স্পর্শ করার মূর্হত। মনে পড়ছে শুভ্রের সেই বাজে কুরুচিপূর্ণ দৃষ্টি! তিক্ততার মাঝে আবার এক মুঠো প্রশান্তির প্রয়াসে মনে পড়েছে উশানকে জরিয়ে ধরার মূর্হত। নির্মেদ গাল দু’টোর অবস্থা রক্তিমতায় ছেয়ে বেহাল তখন। সে এতোটা নির্লজ্জ কি করে হলো? হোক না উশান প্রেমিক পুরুষ তার। লোকটা তো পর-পুরুষ’ই তাই না? সে কিভাবে জরিয়ে ধরলো লোকটাকে এভাবে?
ডিভানে বসেছিলো মীরা। মাহদি দরজা ঠেলে প্রবেশ করলো রুমে। হাতে তার পানি ভর্তি গ্লাস আর ঔষধ।মীরা এগোল সম্মুখে। প্রশ্ন করলো,
-‘ ঘুমাওনি বাবা? ‘
-‘ এখনি ঘুমাবো। তোমার ঔষধটা দিতে আসলাম।’
-‘ আমিই খেয়ে নিতে পারতাম তো বাবা। যাইহোক, নিজের ঔষধ খেয়েছো? ‘
মীরা ঔষধ মুখ নিয়ে গ্লাসে ওষ্ঠাধর স্পর্শ করতে করতে জিজ্ঞেস করল। মাহদি হেঁসে সায় জানায়। মীরা ফের জিজ্ঞেস করে,
-‘ রুহি, মায়ান! ওরা দু’জন কই বাবা? ‘
-‘ ডাইনিং রুমে। খাচ্ছে! রুহি তো কাল সন্ধ্যা থেকে তোমার চিন্তায় খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে বসে আছে। মায়ানও একই! জোর করে রাতে একটু খাইয়েছিল রুহি। ‘
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাবাকে ঘুমোতে বলে মীরা এগোল ডাইনিং রুমে। পথিমধ্যে যাওয়ার সময় কলিংবেল এর শব্দে ভ্রু’কুটি কুঁচকে নেয় সে। রুহি ডাইনিং রুম থেকে মীরাকে দেখে চেঁচিয়ে বলল,
-‘ তুই ঘুম বাদে এখানে কি করিস? রেস্ট করতে বলল না ডক্টর?’
দরজা খুলতে উঠে আসছিলো রুহি। মাঝে প্রশ্ন করলো। মীরা রুহিকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
-‘ খা তুই! আমি দেখি কে আসলো। ‘
সদর দরজা খোলার পর সম্মুখে দৃশ্যমান হয় তার উশানকে। পরনের সাদা টিশার্ট সিক্ত। সিক্ত কেশ হতে বিন্দু বিন্দু পানি গড়িয়ে পড়ছে কাঁধে। এতো রাতে উশানকে দেখে চমকালো মীরা।চমকিত স্বরে বলল,
-‘ আপনি এতো রাতে? ‘
উশান মোলায়েম কন্ঠে বলল, ‘ কথা ছিলো। তুমি কি ঘুমোচ্ছিলে? ‘
-‘ নাহ আসুন। ‘
ড্রইং রুমের সোফায় উশানকে নিয়ে আসে মীরা। সিঙ্গেল সোফায় বসে কৌতূহলী দৃষ্টিপাত ফেললো উশানের প্রতি। উশান বসেনি। তার পোশাক সিক্ত। বৃষ্টিতে ভিজে এসেছে। তোয়ালে এগিয়ে দিয়ে মীরা জিজ্ঞেস করল,
-‘ বৃষ্টির মাঝে ভিজে এলেন কেনো?ছাতা কোথায়?’
-‘ পুলিশ স্টেশন থেকে এসেছি।সেখানে যাওয়ার সময় সঙ্গে ছাতা নেইনি। ‘
সিক্ত কেশ গুচ্ছো মুছার পরও উশান বসলো না। মীরা ‘ বসুন ‘ বলতে গিয়েও থেমে যায়। ক্ষীণ দূরে রুহি আঁড়চোখে একবার দু’জনকে পরখ করে মায়ানকে খাওয়াতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।উশান থেমে থেমে বলল,
-‘ শুভ্র তোমাকে কিডন্যাপ কেনো করেছে জানো?’
-‘ হু জানি। ও মনে করেছিলো আমি আপনার প্রেমিকা। তাই আমাকে কিডন্যাপ করে আপনাকে ব্লাকমেইল করে সেখানে নিতে চাচ্ছিলো যাতে শুভ্র সহজে আপনাকে হাতের কাছে পায় আর হ’ত্যা করতে পারে। ‘
মীরার সোজাসাপ্টা উত্তর। উশান বোধহয় একটু চমকালো। জিজ্ঞেস করল,
-‘ জানলে কি করে? ‘
-‘ ওদের কথোপকথনে বুঝেছি। ‘
-‘ তো! এবার বুঝতে পেরেছো আমায় তোমাকে দূরে রাখার কারণ? অযথা, অহেতুক কারণে তোমায় অপমান করার কারণ? ‘
মীরা বেশ দেরী করে উত্তর দিলো। বলল, ‘ না।’
-‘ তোমার সেফটির জন্য মীরা। যদিও লাভ হলোনা কিছুই। তোমাকে শেষ পর্যন্ত সেইফটি দিতে পারলাম কোথায়? আমার লাইফটা অতো সহজ না মীরা যতোটা তুমি বা তোমরা মনে করো। ‘
মীরা মৌনতা পালন করলো। অতঃপর কৌতূহলী কন্ঠে প্রশ্ন ছুড়লো,
-‘ আপনার লাইফটা সহজ হলে বুঝি আমায় মেনে নিতেন? ‘
প্রতিত্তুর পাওয়া গেলো না। হাল ছেড়ে দিলো মীরা। নিজ থেকে এরূপ প্রশ্ন করাটা ভুল হয়েছে বৈকি।সে নির্লজ্জ! চরম মাপের নির্লজ্জ! হাতের কালো রঙের ঘড়িতে সময় দেখে উশান বেড়িয়ে যেতে যেতে বলল,
-‘ কিছু প্রশ্ন, প্রশ্ন আকারেই থাকা ভালো মীরা। এরূপ প্রশ্নের উত্তর না জানাই শ্রেয়।যশোরে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করো। সেখানে হয়তো হবে নতুন কিছু। নতুন যাত্রার সূচনা। এন্ড নাউ! ইউ শুড টেক রেস্ট। ‘
‘ নতুন যাত্রার সূচনা। ‘ তিনটে শব্দ বহুবার মস্তিষ্কে আওড়ালো মীরা। কিন্তু বুঝতে পারলো না কিছুই।কি আশ্চর্য! উশানের এরূপ কথা বলার মানে কি?কিসের ইঙ্গিত দিয়ে গেলো লোকটা?
চলবে