সুন্দর_স্পৃহা #সামিয়া_সারা #psychobasedstory পর্ব- ১০

0
2

#সুন্দর_স্পৃহা
#সামিয়া_সারা
#psychobasedstory

পর্ব- ১০

স্পৃহা টাওয়েল এনে সুন্দরের সামনে দাঁড়িয়ে ইশারায় সুন্দর
কে বসতে বলল। সুন্দর কিছু না বোঝার ভান করে ঠাই
দাঁড়িয়ে রইল। সুন্দরের ভাবগতি বুঝতে না পেরে স্পৃহা নিজেও চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। ২ মিনিট নীরবতার পর সুন্দর বলে উঠলো ,

-উফফ ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে আমার !!

স্পৃহা তখন আবার মুখে বলল ,

-বসুন !না হলে মুছাবো কি করে?

সুন্দরের স্পষ্ট জবাব ,

-জানি না ।

স্পৃহা তার দুই পা উঁচু করল ,তবুও সুন্দরের মাথায় নাগাল পাচ্ছে না ।

– তুমি তো অনেক পিচ্চি! স্পর্শ!!! সামান্য মাথা মুছাতে পারছ না।

স্পৃহার কাছে কথাটা কেমন চ্যালেঞ্জ এর মত লাগলো ,যেন তাকে পারতেই হবে যেভাবেই হোক।বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর সুন্দরের পায়ের উপর উঠে দাঁড়ালো, স্পৃহা যতবার সুন্দরের মাথার নাগাল পেতে যায় সুন্দর ততবারই তার মাথা এদিক সেদিক কাত করে নেয় ।যার ফলস্বরূপ স্পৃহা একবারও সুন্দরের মাথা স্পর্শ করতে পারে না। একসময় সুন্দরের পায়ের উপর দাঁড়িয়ে স্পৃহা তার দুই পা উঁচা করলে সুন্দর তার একহাত স্পৃহার কোমড় পেঁচিয়ে ধরে । স্পৃহার হুশ ফিরে সুন্দরের ঠান্ডা শরীরের স্পর্শে। সে যে সুন্দরের এতটা কাছাকাছি চলে এসেছিল
এতক্ষণ খেয়ালই করেনি। বড় বড় করে চোখ মেলে তাকায় সুন্দরের দিকে ,যেন এটা সে কি করছে। এত জোরে হার্টবিট
হচ্ছে যে সে নিজেই নিজের বিট শুনতে পাচ্ছে ।
সুন্দর যদি শুনে ফেলে ? ভীষণ লজ্জায় পড়ে যায় স্পৃহা। লজ্জায় তার মুখের রক্তিম আভা ফুটে উঠেছে । সুন্দর তাকে আরেকটু লজ্জায় ফেলে দেওয়ার জন্য বলল,

কি বলো আজ থেকে যাই?

স্পৃহা একদৃষ্টিতে পায়ের দিকে তাকিয়ে আছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সুন্দর গিয়ে চেয়ারে বসলো ,তারপরে স্পৃহা কে ডেকে বলল,

– অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ! দাও মাথা মুছিয়ে দাও ।

স্পৃহা আর কথা না বাড়িয়ে সুন্দরের মাথা মুছিয়ে দিতে লাগলো।

.

.

.

.

.

আরিয়ানের মুখে সুন্দরকে মেরে ফেলার কথা শুনে লিহান চমকে তার দিকে তাকালো ।

-কী বলছিস তুই ? আমার ভাইকে মেরে ফেলার জন্য সুপারিশ করতে এসেছি আমি ?

-বন্ধু ,দেখ তোর কাছে আর কোন উপায় নেই । তুই যদি তোর স্পৃহাকে পেতে চাস তবে তোর ভাইকে মা*রতেই হবে।

-কিন্তু এমন কাজ আমার দ্বারা সম্ভব নয়। আমি এই বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চাই না ।অন্য কোন উপায় থাকলে আগাতে পারি।

– আচ্ছা ঠিক আছে। তাহলে আমরা আর দুইদিন চিন্তা করি ।তোর মনের অবস্থা আমি বুঝতে পারছি ।

.

তৎক্ষণাৎ আশিক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আরিয়ান বলল,

ভাই ? তবে আমাদেরকে আর দুইটা দিন সময় দেন?

-ঠিক আছে নাও । আমাকে জানিও ,আমি পাশে আছি সমস্যা নেই। আর একটা কথা…. স্পৃহাদের স্কুল কি আমাদের ভার্সিটির পাশে ছিল?

.

অবাক লোচনে লিহান তাকিয়ে রইল,
-আমাদের ভার্সিটি মানে ভাই ? বুঝলাম না।

.

-ওহ লিহান ! তোকে তো বলাই হয়েছিল না । ভাই আমাদের ভার্সিটির প্রাক্তন ছাত্র। ওই জন্যই তো আমার আমার সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । ভাই তো কলেজ থেকে রাজনীতি করতো, আমিও ভাইকে কলেজে থাকতেই চিনতাম। আর তাছাড়া আমার আপু আর ভাই একই কলেজে পড়াশোনা করতেন । ভার্সিটিতে ওরা যদিও আলাদা হয়ে যায়।

-ও আচ্ছা। আমরা এখন আসি?

.

লিহান ও আরিয়ান আশিক ভাইয়ের থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলো । লিহানের মাথায় ঢুকছে না এতদিন পরে এটা সে আজ জানলো যে তারা একই ভার্সিটির। সে আরিয়ানকে জিজ্ঞেস করল ,

-তুই আমাকে আগে বলিস নি কেন ভাই আমাদের ভার্সিটিতে পড়তেন?

-বলার কথা খেয়াল ছিল না । আর এটা তো অতটা জরুরী না ।আমাদের কাজ তো আর ভার্সিটি দিয়ে না তাই না ?

-কিন্তু বিষয়টা ওইটা আরিয়ান। যদি আশিক ভাই সুন্দর ভাইয়াকে চিনে ? তখন কি হবে বুঝতে পারছিস!

-তুই কি পাগল ? তোর ভাইয়ের রাজনীতি থেকে হাজার হাত দূরে থাকে । এইসব পছন্দ করেনা ।কিভাবে সন্দেহ করিস?

-হ্যাঁ তাও ঠিক। তবুও ভয় করছে।

– না ,ভয়ের কোন প্রশ্ন ওঠেনা ।আশিক ভাইয়ের আমার অনেক কাছের মানুষ। যদি চিনত আমাকে অবশ্যই জানাত। আর আরেকটা কথা বুঝতে পারছিনা । চিনুক বা না চিনুক তাতে আমাদের কী? এমন তো না যা আশিক ভাই আমার সাহায্য করার বদলে তোর ভাইকে সাহায্য করবে! আর মেইন কথা তো তোর ভাই যে মানুষ মনে হয় জীবনে কারো সাথে কথা বলছে?

-তোর সব কথা অনেক লজিক্যাল হয় ।আমি জীবনে তোর সাথে কথায় পেরেছি ? সব ভালো হলেই ভালো।

-সিগারেট,নে ধর। ক্লাবে যাবি?

-চল্..

.

.

.

.

.

সুন্দর বাড়িতে ফিরে ভেজা কাপড় নিয়েই বেলকনিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে । বৃষ্টি এখন নেই । তবে বৃষ্টি হওয়ার পরে যেমন ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে এখন তেমন আবহাওয়া ।বাইরে ঠান্ডা বাতাস বইছে। একে তো সুন্দর ভেজা অবস্থায় রয়েছে,তার উপর ঠান্ডা বাতাস। সুন্দরের সারা শরীর কাঁপুনি দিয়ে উঠলো । তবুও তার ফ্রেশ হতে ইচ্ছে করছে না ।শাস্তি যেন কম মনে হচ্ছে। এখনো সে আরো বেশি শাস্তি পেতে চায়।
স্পৃহা তার মাথা মুছিয়ে দিয়েছিল । মাথাটা একটু শুকনা ,তাছাড়া শার্ট ভিজে গায়ের সাথে লেপ্টে আছে ।বেশ অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর সুন্দর ভেতরে গেল ।তবে তার ড্রেসের কোন পরিবর্তন করল না ,ওই অবস্থাতেই শুয়ে পড়লো।

.

.

সুন্দর ঘুম থেকে উঠে দেখল তার পাশে তার স্পর্শ বসে রয়েছে। এতে স্বপ্ন দেখছে? তার স্পর্শকে তো কোন ভাবেই তার বাসায় আনা যায় না, তার জুড়ে দেওয়া শর্তের কারণে।

তবে আজ কি হল ? সব ঠিক আছে তো?

.

(Can you guys guess that,Shundor er ekhon ki hobe?🙂context: গতকাল সে পুরো ২৪ ঘন্টা ভেজা অবস্থায় ছিল)

(চলবে…)
#Running
Story Name: #Shundor_Spriha
Written by Samia Sara©️
Episode:10

আমার প্রিয় মানুষেরা এই পর্বটি আপনাদের কেমন লেগেছে ? আগের পর্বগুলোতে এত ভালোবাসা দেয়ার জন্য আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে ।আশা করি সব সময় পাশে থাকবেন💖
Jototuk parsi lekhar try korsi,mon khule support koren🥺🙏🏻boro kore lekhar try korlam to,mon moto hoyeche? Good night 🥹

N.B. -Don’t copy

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here