তোমাকে বলার ছিল
চতুর্দশ পর্ব
লেখনীতে অনিমা হাসান
কাল রাত থেকে মনটা অসম্ভব খারাপ হয়ে আছে তৃণার I নিজের উপর ভীষন রাগ হচ্ছে I কাল এভাবে সুজনের বাসায় যাওয়াটা উচিত হয়নি I ওর কাছ থেকে উপহার নেয়াটাও ঠিক হয়নি I যেটা হবেনা, সেটাকে শুধু শুধু বাড়তে দেয়া ঠিক নয় I ওর সঙ্গে কথা বলতে হবে I এমনটা যে হবে এটা তৃণা আগে থেকেই জানত ,তবু কেন যে এত কষ্ট হচ্ছে I কাল হঠাৎ করে নিজের স্বপ্নটাকে চোখের সামনে দেখে হয়তো নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি I কিন্তু আর নয় I যে সম্পর্কের কোন ভবিষ্যৎ নেই, সেটাকে আর না এগিয়ে নেওয়াই ভালো I
তৃণা ঠিক করেছে হলে উঠে যাবে I আজই ফর্ম ফিলাপ করে ফেলতে হবে I এখন বাসায় কাউকে জানাবে না I দাদি বলছিল এবার ঈদ করে যাবে I সেরকম হলে ঈদের পরে উঠে যাবে I
বিকেল তিনটায় টিউশনিতে যেতে হবে I এগারোটার দিকে তৃণা রেডি হয়ে ব্যাগ হাতে নিতে গেলে হঠাৎ খেয়াল করলো, ব্যাগের মধ্যে শাড়ীটা এখনো রয়ে গেছে I কি মনে করে তৃণা প্যাকেটটা খুলল I আকাশী নীল রঙের একটা শাড়ি; সাদা আর ধূসর পার I দেখে মনে হচ্ছে শরতের এক টুকরো আকাশ I তৃণার একবার মনে হল ফিরিয়ে দেবে, পরমুহুর্তেই মনে হোলো থাক একটাইতো স্মৃতি; থাকলো না হয় ওর কাছে I তৃণা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শাড়িটা আলমারিতে তুলে রাখলো I তারপর দাদির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে গেল I
জাহানারা বেগম ঠিক করেছেন ছেলের সঙ্গে কথা বলবেন I মেয়েটা যখন ,এখন বিয়ে করতে চাইছে না তখন জোর করার দরকার নেই I এক বছর পরে না হয় দেখা যাবে I ততদিনে ওর ফাইনাল পরীক্ষাটা শেষ হয়ে যাবে I জাহানারা বেগম ছেলের ঘরে গিয়ে দরজায় টোকা দিলেন I সামাদ সাহেব আর রেহানা ভেতরেই ছিলেন , মাকে দেখে তাড়াতাড়ি ভেতরে নিয়ে এলেন I উনি কিছু বলার আগেই সামাদ সাহেব বললেন
– দেখেন আম্মা , রেহানা কি করেছে I তৃণার জন্য কি সুন্দর একটা শাড়ি কিনেছে I আপনি তো শুধু মনে করেন আমরা তৃণাকে ভালোবাসি না I দেখেন বিয়ের কথাটা তো রেহানাই এনেছে I এত ভালো ছেলে I ওরা যদি তৃনাকে পছন্দ না করে টুম্পাকে করতো, তাহলে ও আমি দিয়ে দিতাম I কিন্তু তৃনাকে পছন্দ করেছে তাতেও আমি খুশি I তৃণাও তো আমার মেয়ে I আপনি ওকে একটু বুঝিয়ে বলেন I এত ভালো ছেলে সব সময় পাওয়া যায় না I ওদের তৃণার পড়াশোনা নিয়ে কোন আপত্তি নেই I এমন কি চাকরি নিয়েও না I
জাহানারা বেগমকে বেশ আশ্বস্ত মনে হল I এতদিন শুধু শুধু ছেলেকে ভুল বুঝে এসেছেন I সামাদ সাহেব মায়ের মুখ ভঙ্গি দেখে কিছুটা আচ করতে পারলেন I একবার স্ত্রীর দিকে তাকালেন I দুজনের চোখে চোখে কথা হয়ে গেল I এবার মা-এর কাছাকাছি এসে বসে বললেন
– দেখেন আম্মা তৃণার বয়স অল্প, এখন বুঝতেছেনা I আমি বলি কি আগামী শুক্রবার দিন ছেলে আর ওর মা আসতে চায় I এখনই বেশি কিছু বলার দরকার নাই; তারা আসুক I কথাবার্তা ঠিকঠাক হোক তারপর দেখা যাবে I ছেলে, ছেলের মা আসবে; পছন্দ হলে আংটি পরিয়ে যাবে I
-ঠিক আছে তুমি যেটা ভালো মনে করো I বাপ মা থাকতেও নাই I আল্লাহ যেন মেয়েটার ভালো করেন এই দোয়াই করি I
জাহানারা বেগম ঘর থেকে বেরোনোর পরে স্বামী স্ত্রী মিলে সবটা গুছিয়ে ফেললেন I এই শুক্রবারে কাজ সেরে ফেলতে হবে I ওদেরকে বলতে হবে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে আসতে I আজকে এক সোমবার, আগামী সোমবার থেকে রোজা শুরু হয়ে যাবে; যা করার এই শুক্রবারেই করে ফেলতে হবে I মা বা তৃণাকে এখনই কিছু জানানো যাবে না I একদিন আগে জানালেই চলবে I
হলের কাজকর্ম শেষ হতে বেশি সময় লাগল না I যদিও ওর ফাইনাল ইয়ার; সিঙ্গেল রুম পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এত তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না I তৃণা তবু আপত্তি করেনি; জানিয়েছে এক রকম হলেই হবে I মাত্র একটা বাজে I দু’ঘণ্টা কি করবে বুঝতে পারছে না তৃণা I হিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে একটু আগে I ও শপিং করতে গেছে বসুন্ধরা মলে I আসতে বলেছিল তৃণাকে I রাজি হয়নি ও I কি দরকার শুধু শুধু দুজনের মাঝে গিয়ে ঝামেলা বাড়ানোর I ওরা দুজন আনন্দে আছে, থাকুক I তৃণা হল থেকে বেরিয়ে ভুত দেখার মত চমকে গেল I সুজন দাঁড়িয়ে আছি গেটের কাছেই I তৃণাকে দেখে কাছে এগিয়ে এসে বলল
– তোমাকে ফোন দিচ্ছি সকাল থেকে ধরছো না কেন ?
তৃণা ইচ্ছা করেই ফোন ধরেনি সকাল থেকে I তবুও বলল
– খেয়াল করিনি I
– তুমি কি এখন বাসায় যাচ্ছ ?
– না টিউশনি তে যেতে হবে I
– সেটা তো তিনটায় I চলো তাহলে বসি I
– হু I
ওরা হাঁটতে হাঁটতে টিএসসির দিকে চলে গেল I তৃণা খুব গম্ভীর হয়ে আছে I কোন কথা বলছে না I ভেতরে ঢুকে বসার পর সুজন জানতে চাইল
-কি হয়েছে তৃণা ? কোন সমস্যা ?
– আমার মনে হয় আমাদের একটু কথা বলা উচিত I
সুজন হেসে ফেললো I বলল
– আমরা তো কথাই বলছি I
– আমার মনে হয় আমাদের ব্যাপারটা এখানেই শেষ হওয়া উচিত I
– সব তো ঠিকই ছিল I হঠাৎ কি হল ?
– না কোন কিছুই ঠিক ছিল না I
– কিরকম ?
– তোমার ওখানে যাওয়াটা আমার উচিত হয়নি I যে সম্পর্কের কোন ফিউচার নেই সেটা বাড়তে না দেওয়াই ভালো I
-সম্পর্কের কি ধরনের ফিউচার চাও তুমি ?
– আমি কি চাই তাতে কিছু যায় আসে না I আর সেটা ইম্পর্টেন্টও নয় I
– তাহলে আমি যেটা চাই সেটা ইম্পর্টেন্ট ?
– তুমি কি চাও ? তৃণা জানতে চাইল
– আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই I
এই ধরনের সরাসরি জবাবে তৃণা একটু হকচকিয়ে গেল I তবে দ্রুতই নিজেকে সামলে নিয়ে বললো
– তোমার ফ্যামিলি এটা কখনো মেনে নেবে না I
-না নেওয়ার কোনো কারণ দেখি না I
– আমার সম্পর্কে সব জানলে উনারা কখনই রাজি হবেন না I
– কি জানলে ? তোমার বাবা মা নেই I তুমি চাচা-চাচীর কাছে বড় হয়েছে I এটাই তো ?
– আমার বাবা-মা নেই কথাটা ঠিক না I তারা দুজনেই বেঁচে আছেন I কিন্তু তারা আমাকে চান না I
– এতে তো কোন কিছু বদলে যাচ্ছে না I
– তোমার জন্য হয়তো না কিন্তু তোমার ফ্যামিলি……
– আমার ফ্যামিলি তোমার কথা জানে I তাদের কোন সমস্যা নেই I
এক মুহুর্তে তৃণা বলার মত কিছু খুঁজে পেল না I পরমুহুর্তেই নিজেকে সামলে নিয়ে বললো
– শুধু তো এটা না I
– আর কি ?
– তুমি একটা মেয়ের কাছ থেকে রিফিউজড হয়ে হাতের কাছে যাকে পেয়েছ তাকেই ভালবাসতে চাইছ I এটাও ঠিক না I কদিন পর তোমার আর আমাকে ভাল লাগবে না I
– তুমি মোটেও হাতের কাছে পাওয়া যেকোনো মেয়ে নও I আমার কাছে তুমি অনেক স্পেশাল I
তৃণা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলল
– যে তার বাবা-মায়ের কাছে স্পেশাল হতে পারেনি, সে তোমার কাছে কি স্পেশাল হবে I
– তোমার বাবা মায়ের ব্যাপারটা আমি জানিনা I তবে আমি আমার নিজের ব্যাপারটা জানি I -শুরু থেকে আমার, তোমার সঙ্গে একটা কানেকশন ছিল I হিয়ার সঙ্গে ছিলনা I আমি জানি তুমি আমাকে কবিতাগুলো পাঠাতে I মেসেঞ্জারেও আমার তোমার সঙ্গেই কথা হতো I শুরু থেকেই আমি তোমাকেই ভালোবেসেছি তৃণা; অন্য কাউকে না I
-তোমাকে এসব কে বলেছে ?
– কে বলেছে সেটা ইম্পর্টেন্ট নয় I এটাই সত্যি এবং এটা আমি জানি I আমি ইচ্ছা করে তোমাকে এতদিন বলিনি I আমি চেয়েছিলাম তুমি নিজে থেকে আমার কাছে আসো; কোনো অপরাধবোধ থেকে নয় I
তৃণা দুই হাত দিয়ে ওর মাথার দুই পাশে চেপে ধরল I তারপর থেমে থেমে বলল
– সুজন , এটা সম্ভব না I এটা এখানেই শেষ হবে প্লিজ I পরবর্তীতে কষ্ট পাওয়ার চাইতে এখন মিউচুয়ালি সবটা শেষ করা ভালো I তুমি আর আমাকে ফোন করবে না I কোনরকম কবিতাও পাঠাবে না I
তৃণা ঝড়ের বেগে উঠে দাঁড়ালো তারপর হাঁটতে গিয়ে খেয়াল করল সুজন ওর হাত ধরে আছে I সুজন খুব শান্ত গলায় বলল
– বস I
তৃণা বসলো না I ওর ভয় করছে I সুজন কে না, নিজেকেই ভয় করছে I মনে হচ্ছে হঠাৎ করেই ও এমন কিছু একটা করে ফেলবে, যে সুজনের সামনে ধরা পড়ে যাবে I
সুজন উঠে দাঁড়ালো I তারপর কাছে এগিয়ে এসে বলল
– আমি তোমাকে ফোনও করব আর কবিতাও পাঠাবো I তোমার ইচ্ছা না হলে তুমি রিপ্লাই দিও না I কেমন ?
তৃণা সত্যিসত্যি সুজনের ফোন ধরল না I তবে রাত গভীর হলেই ও ছাদে চলে যায়; অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে কখন কবিতাটা আসবে I এক মিনিট এদিক-ওদিক হলেই ওর অস্থির লাগে I মনে হয় দম বন্ধ হয়ে আসছে I ফোন না ধরলে সুজন মেসেজ পাঠায় I সেই মেসেজগুলোর ভাষা অত্যন্ত অদ্ভুত I তৃণার রাগ হওয়া উচিৎ কিন্তু ও রাগ করতে পারে না; বরং কান্না পায় I আজ রাত 10 টা থেকে ফোন দিয়ে যাচ্ছে I তৃণা ধরেনি সাড়ে দশটার পর মেসেজ এল
আমার মাথায় জলভরা একটি আকাশ
তার নাম তুমি,
খর গ্রীষ্মে আমার উঠোনে অঝোর বর্ষণ
তুমি তার নাম;
ভীষণ তৃষ্ণার্ত এই পথিকের ক্লান্ত চোখে সুশীতল মেঘ
একমাত্র তুমি-
দুপুরের খরতাপ শেষে আমার জীবনে এই শান্ত সন্ধ্যা
তুমি, তুমি, তুমি;
মরুময় এই ভূপ্রকৃতি জুড়ে ঘন প্রেইরীর সবুজ উদ্যান
তুমি তার নাম,
আমার ধূসর দুই চোখে চিরসবুজের গাঢ় হাতছানি
তার নাম তুমি;
আমার স্মৃতির অববাহিকায় একটি স্বপ্নের প্রিয় নদী
তুমি নিরবধি।
আজ বুধবার I সামনে শনিবার থেকে ক্লাস শুরু হবে I তৃণা ছাদে পায়চারি করছে I একটু আগে বড় চাচা ভয়ঙ্কর একটা কথা বলেছেন I এই শুক্রবারে মামুন আর ওর মা আসবে I ওদের তৃণাকে পছন্দ হয়েছে I ফাইনাল কথা বলতে আসবে ওরা I সব ঠিকঠাক হলে আংটি পরিয়ে যাবে I তৃণার মাথা কাজ করছে না I দাদিকে অনেক করে বুঝানোর পরও কোনো লাভ হলো না I কান্নাকাটি শুরু করে দিল শেষমেষ I ঝড়ের মত একটা দিন কেটে গেল I দাদি সারাক্ষণ আঠার মতো লেগে রইলেন I সুজনের মেসেজটা পর্যন্ত পড়তে পারল না I হিয়াকে দুইবার ফোন করেছে I নট রিচেবল দেখাচ্ছে I মেসেঞ্জারে একটা মেসেজ দিয়ে জানিয়ে রেখেছে তৃণা I হিয়ার সঙ্গে একটু কথা বলতে পারলে ভালো হতো I
ব্যাপারটাকে যতটা হালকাভাবে নিয়েছিল, ব্যাপারটা যে সেরকম না, সকালে উঠে সেটা বুঝতে পারল তৃণা I খুব ভোরে উঠে বড় চাচা বাজারে চলে গেছেন I বাজার থেকে ফেরার পর সবাইকে ডাকা হল দেখার জন্য I বিশাল সাইজের রুই মাছ, গরুর গোশত, দেশি মুরগি, ইত্যাদি ইত্যাদি আরও নানান কিছু আনা হয়েছে I কোনটার দাম কত তা মোটামুটি ঘোষণা দিয়ে বলা হচ্ছে I জাহানারা বেগম অত্যন্ত খুশি I রেহানা রান্নার তদারকিতে ব্যস্ত I টুম্পা ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়াচ্ছ I ফুল ভলিউম এ হিন্দি গান চলছে I তৃণার সবকিছু অসহ্য লাগছে I কোথাও ছুটে পালিয়ে যেতে ইচ্ছা করছে I
বাজার দেখে রেহানার মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে I একেতো এতো খরচা, তার ওপর আবার রান্নার ঝামেলা I তৃণাকে এখনো বিয়ের ব্যাপারটা জানানো হয়নি I জাহানারা বেগমকে একটা আভাস দেয়া হয়েছে I তিনি সম্মত বলেই মনে হলো I হুট করে তৃণাকে রেডি করতে হবে I ওর কোন বান্ধবী উপস্থিত থাকলে ভাল হত I কিন্তু ওর সেই ফিচেল বান্ধবীটাকে ডাকার কোনো আগ্রহ নেই রেহানার I মা মেয়ে দুটোই বদ I
সকাল থেকে তৃণাকে রেডি করার জন্য সবাই ব্যস্ত হয়ে পরলো I যেহেতু আজ শুক্রবার, শুভ কাজ শেষ করে সবাই জুম্মার নামাজে যাবে I তাই সকাল সকাল ছেলেপক্ষ চলে এলো I নাস্তার আয়োজন করা হয়েছে I পরোটা,গরুর মাংস , বুটের ডাল , খাসির পায়া এলাহি অবস্থা I তৃণা শুনেছিল শুধু মা ছেলে আসবে; কিন্তু বাইরে আরো লোকজনের গলা পাওয়া যাচ্ছে I তৃণাকে একটা মেরুন রঙের কাতান শাড়ি দিয়েছে বড় চাচি I সেটা পড়েই যখন সামনে এলো, মামুনের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল I তৃনাকে মামুনের মায়ের পাশে বসানো হলো I ভদ্রমহিলা ওর একটা হাত টেনে নিয়ে বললেন
– মেয়ে তো আমাদের কবে থেকেই পছন্দ I এখন আংটি পরিয়ে দেই I জুম্মার নামাজের পর বিয়েটা পড়িয়ে ফেলা যাবে I
তৃণার মনে হলো ও ভুল শুনছে I তৃণা বড় চাচার দিকে তাকালো I উনি বিগলিত হাসি হেসে বললেন
– মেয়ে তো এখন আপনাদেরই I যখন ইচ্ছা বিয়ে করাবেন, যখন ইচ্ছা নিয়ে যাবেন I
তৃণা হতভম্ব হয়ে গেল I ও দাদির দিকে তাকালো I জাহানারা বেগমের মুখ হাসি হাসি I তার মানে তিনিও আগে থেকে জানতেন I তৃণার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে I এখন ও কি করবে ?
চলবে………