#যে_গল্পের_নাম_ছিলনা পর্ব ৩৬

0
604

#যে_গল্পের_নাম_ছিলনা পর্ব ৩৬
-Farhina Jannat

৩৬.
পরদিন সন্ধ্যার পর আদেশজারি করল রাইয়্যান, রেডি হতে হবে, ওরা নাকি বাইরে ডিনার করতে যাবে। সিদ্রাও শর্ত দিল, যদি বুবু আর খালা যায়, তাহলেই শুধু ও যাবে, নাহলে না। বেচারা রাইয়্যান, আগে ওকে হুমকি ধামকি দিয়ে কত কিছু করিয়েছে, কিন্তু এখন যেন আর কিছুতেই পারছেনা, বাধ্য হয়ে রাজি হল।

“ঠিক আছে, আমরা রেডি হয়ে বুবুর বাসায় গিয়ে বুবুকে নিয়ে তারপর যাব”

কিন্তু বুবুর বাসায় গিয়ে দেখা গেলো বুবুর মাথা ধরেছে, বাইরে যেতে পারবেনা, ওদের দুজনকে যেতে বলল। কিছুতেই রাজি হলনা সিদ্রা, শেষমেশ চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে হোম ডেলিভারি আনার সিদ্ধান্ত হল।

দেড় ঘণ্টা পর ডেলিভারি দিয়ে গেলে সবাই মিলে খেতে বসল ওরা। যথারীতি গল্পগুজবের মধ্য দিয়ে খাওয়া দাওয়া চলছিল। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো যখন বুবু শুনল যে সিদ্রা এখনো রাইয়্যানকে আপনি করে বলছে।

“তুই এই মুহূর্ত থেকে ওকে তুমি করে বলবি, নাহলে তোর সাথে কোন কথা নাই আমার” মুখ ঘুরিয়ে বলল বুবু।

“ছাড়োনা বুবু, আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি, কিছুই মনে হয়না আমার। ডাক দিয়ে কি এসে যায় বলো, ভালবাসাটাই তো আসল” সিদ্রা হা করে তাকিয়ে রইল রাইয়্যানের দিকে। ঠিক শুনছি আমি? উনি বুবুকে সাপোর্ট না করে আমাকে সাপোর্ট করছেন!

“উঁহু, তুই মাঝখানে ঢুকবিনা, এটা আমার আর ওর মধ্যের ব্যাপার। আমি দেখতে চাই আমার কথার কোন গুরুত্ব ওর কাছে আছে কি নেই!”

বুবুর সিরিয়াস কথা শুনে ভয় পেয়ে গেল সিদ্রা, বুবু সত্যি সত্যি রাগ করে ফেললে তো মুশকিল হয়ে যাবে, তার থেকে সামান্য একটা তুমিই তো, কি আর হবে!

“আচ্ছা আচ্ছা, রাগ করোনা বুবু প্লিজ, বলো, কি বলতে হবে?”

“কি বলতে হবে মানে? যা খুশি বল, যেমন ধর, আমি তোমাকে ভালবাসি” চোখ টিপল বুবু।

নিজের অজান্তেই গাল দুটো টকটকে লাল হয়ে গেল সিদ্রার, কেন যে এত লজ্জা পেল নিজেও বুঝতে পারলনা, মাথা নিচু করল ও। হাসল বুবু,
“আচ্ছা বাবা ঠিক আছে, লজ্জা পেতে হবেনা, ওইসব পার্সোনাল সময়েই বলিস, এখন অন্যকিছু বল”

কিছুক্ষণ পর মুখ খুলল সিদ্রা, “আচ্ছা, বলছি” এখনো মুখ নিচু করে আছে, যেন সাহস সঞ্চয় করছে। পিনপতন নিরবতা ঘরের মধ্যে, সবাই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে কি বলবে ও। অবশেষে মুখ তুলল ও, রাইয়্যানের দিকে তাকিয়ে সিরিয়াস ভঙ্গিতে উচ্চারণ করলো পৃথিবীর সবথেকে সহজ তিনটা শব্দ।

“তুমি কেমন আছো?”

টেবিল কাঁপিয়ে হেসে উঠল সবাই, অবশ্যই সিদ্রা বাদে, বেচারি লজ্জায় মাথা নিচু করে ফ্রাইড রাইস ভর্তি চামচ মুখে পুরল। রাইয়্যানের তো হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে আসল, অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বলল,
“ভাল আছি, খুব ভাল আছি এন্ড স্যরি এভাবে হাসার জন্য”

এরপর সিদ্রা খাওয়াদাওয়ার মাঝে ভয়ে আর কোন কথাই বললনা রাইয়্যানকে উদ্দেশ্য করে।

খাওয়ার পর গল্প চলতে লাগল সোফায় বসে। খানিকক্ষণ পর বুবু জিজ্ঞেস করলো, “খালিমুখে আড্ডা জমেনা, কি খাবি বল? চা না কফি?”

এদের যে কি বাজে অভ্যাস, রাতের বেলা চা কফি খাওয়া। রাতে ঘুমায় কিভাবে কে জানে, মনে মনে বলল সিদ্রা।

“বুবু তুমি ওর হাতের কফি খেয়েছো?” জিজ্ঞেস করলো রাইয়্যান।

মাথা নাড়লো বুবু, “নাতো, জানিইতোনা যে ও কফি বানাতে পারে”

“ইশ! কি মিসটাই না করেছো এতদিন! মিস সিদ্রাতুল মুনতাহা, আপনার হাতের টেস্টি কফি পান করার সৌভাগ্য কি আমাদের হতে পারে?” শেষের কথাটা সিদ্রার দিকে তাকিয়ে নাটুকে ভঙ্গিতে বলল রাইয়্যান। তুমি কান্ডের লজ্জাটা এখনো কাজ করছিল মনের মধ্যে, “আমি এক্ষুনি বানিয়ে আনছি” বলে কোনমতে ওদের সামনে থেকে পালিয়ে বাঁচল সিদ্রা।

সিদ্রা যাবার পর রাইয়্যানের মাথায় একটা চাটি মারল বুবু, “এই গাধা! নিজের মিসেসকে মিস বানিয়ে দিচ্ছিস?!”

“উপস! ভুল হয়ে গেছে” জিভে কামড় দিল রাইয়্যান। তবে ওর মুখটা একটু বিষণ্ণ হয়ে উঠল বলে মনে হল বুবুর।

“কিরে, ফুটো বেলুনের মত চুপসে গেলি কেন হঠাৎ?”

“উঁ! কি, কই নাতো? আচ্ছ কফি আসতে আসতে আমি একটু ওয়াশরুম থেকে আসি”

কেমন যেন মনে হল পালিয়ে গেল, কিছু কি হয়েছে ওদের মধ্যে? হুম্ম, মাঠে নামার সময় এসে গেছে, মনে মনে বলল বুবু।

***
কফি বানাতে বানাতে ভাবছে সিদ্রা, এহ! কত ঢঙ! সৌভাগ্য হতে পারে! বাসায় তো ডিরেক্ট হুকুম, কফি বানা। আর এখন বুবুর সামনে কি আহ্লাদ! কিন্তু স্বীকার তো করেছে যে আমার বানানো কফি টেস্টি, মুখ টিপে হাসল সিদ্রা।

কিন্তু লোকটা হঠাৎ এত অদ্ভুত ব্যবহার করছে কেন? আমাকে তো উনি এখানে বন্দী বানিয়ে রেখেছেন, তাহলে আজকে বাইরে খেতে যাওয়ার কথা কেন বললেন? আমি তো পালিয়েও যেতে পারতাম! নাকি উনি বুঝে গেছেন যে আমি পালাবনা? আর নাকি এটা উনার নতুন কোন প্ল্যান? অনেকদিন নতুন কিছু করেনি লোকটা। ধুর! এই লোকটা না একদম আনপ্রেডিক্টেবল, কখন যে কি করে!

এদিকে আবার বুবুর নতুন শর্ত! এদের ভাইবোনের অত্যাচারে আমি পাগল না হয়ে যাই! যাকগে, এমন কিছু একটা বলতে হবে যাতে বুবু কনভিন্স হয়ে যায়, আর সন্দেহ না করে। নাহলে বাংলোয় ফিরে কি রুদ্রমূর্তি যে দেখতে হবে আল্লাহই জানে। মনে মনে কয়েকবার আউড়ে প্রস্তুত হয়ে নিল সিদ্রা।

হাসিমুখে রান্নাঘর থেকে বের হয়ে এল ও, ট্রে থেকে একে একে সবার হাতে মগ ধরিয়ে দিল। রাইয়্যানকে দেয়ার সময় বলল, “এই নাও, এটা তোমার”

রাইয়্যান এতটাই চমকে গেল যে, আরেকটু হলে কফির মগ মিস করে ফেলছিল। ভাগ্যিস সিদ্রা ওর রিএকশন খেয়াল করে মগটা ছাড়েনি। কোনমতে মগটা নিয়ে বলল, “থ্যাংকস”

সিদ্রা নিজের মগ নিয়ে বুবুর পাশে গিয়ে বসল আর মনে মনে বলল, এখন কেমন লাগে মিস্টার! অপ্রস্তুত শুধু আপনি না, আমিও করতে পারি!

বুবুর চোখে খুশি ঝিলিক দিয়ে উঠল, “এবার একদম ঠিক আছে” সিদ্রার দিকে তাকিয়ে বলল বুবু।

আর রাইয়্যান, কফিতে চুমুক দিতে দিতে ভাবছিল, সামান্য কয়টা শব্দও যে কানে এতটা মধু বর্ষণ করতে পারে, আগে তো জানা ছিলনা!

“তোদের হানিমুনের কোন প্ল্যান নেই?” একসময় বলে উঠল বুবু।

সিদ্রা আর রাইয়্যান দুজনেই একসাথে বিষম খেলো, ভ্রু কুঁচকাল বুবু।

“বিয়ের পর হানিমুনে যাওয়া তো নরমাল ব্যাপার। এমন রিএকশন কেন তোদের?”

“কিসের রিএকশন! দুজন মানুষ একসাথে বিষম খেতে পারেনা?” সামলে নিয়ে বলল রাইয়্যান।

“আচ্ছা! তাহলে উত্তর দে আমার কথার। বিয়ের এতদিন হয়ে গেল, হানিমুনে যাচ্ছিসনা কেন?” চোখ গরম করে বলল বুবু।

সিদ্রার বুকে হাতুড়িপেটা শুরু হয়ে গেল, এই লোকের সাথে আমি একা রেস্টুরেন্ট এ গেলামনা, আর বুবু কি বলছে এসব!

“যাবো তো ভেবেইছিলাম, কিন্তু ব্যস্ততা কমছেইনা, একটার পর একটা ঝামেলা সামাল দিতে হচ্ছে, হানিমুন প্ল্যান করার ফুরসৎই পাচ্ছিনা। এখানে আসলেও সারাদিন কাজ নিয়ে থাকি, এর জন্য তো ওর অভিযোগের শেষ নেই” সিদ্রার দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে ইশারা করলো রাইয়্যান।

“হ্যাঁ বুবু, সারাদিন মোবাইল আর ল্যাপটপ নিয়ে পড়ে থাকে, আসলেই অনেক ব্যস্ততা যাচ্ছে” ইশারা বুঝে তাল মেলাল সিদ্রা।

“ব্যস্ততা তো থাকবেই, কিন্তু এ দিনগুলো কি আর ফিরে পাবি তোরা! হানিমুনে কোথায় যাবি সেটা তোদের ব্যাপার, কিন্তু এ সপ্তাহের মধ্যেই যেতে হবে। এর নড়চড় হলে না, বুবুর রাগ কি জিনিস হাড়েহাড়ে টের পাবি! হাতে পায়ে ধরেও কোন কাজ হবেনা।”

***
পরদিন রাতে খাওয়া দাওয়ার পর রাইয়্যানের জন্য কফি বানাতে সিদ্রা রান্নাঘরে ঢুকলে পেছন পেছন রাইয়্যানও ঢুকলো।

“একি, আপনি এখানে কেন?”

“উম্ম, আমি হেল্প করতে এলাম”

সিদ্রার মনে হল ও ভুল শুনেছে, “কি বললেন আপনি?”

“কিছুনা, আমারও কফি বানাতে ইচ্ছে করছে” কফি মেকারে পানি ভরল রাইয়্যান।

“তাহলে আমি যাই?” কফি ফেটান বন্ধ করে বলল সিদ্রা।

“না না, আমি তোরটাই খাব”

“তাহলে আপনারটা কি হবে?”

“তুই খাবি” সিদ্রার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করল রাইয়্যান। হতভম্ব হয়ে গেল সিদ্রা, স্বপ্ন দেখছি নাকি আমি? হাতে জোরে চিমটি কেটে উহ! করে উঠল।

“কি হল? গরম পানি ফেলে দিয়েছিস? সাবধানে কাজ করবি তো!” সিদ্রা কিছু বলে ওঠার আগেই ওর হাতদুটো ধরে সিংকে নিয়ে পানি ছেড়ে দিল রাইয়্যান।

“আমার হাত পুড়েনি, পানিই তো এখনো ফুটেনি” বলল সিদ্রা।

অপ্রস্তুত হয়ে গেল রাইয়্যান, “ইয়ে মানে, তাহলে উহ করলি যে?”

“ওইটা…… এমনি” চোখ নামাল ও।

“ও” রাইয়্যান বেচারাও এত লজ্জা পেয়েছে, আর কথা বাড়ালনা। এরপর আর কোন কথা না বলে দুজনে কফি বানিয়ে মগ এক্সচেঞ্জ করল। রাইয়্যান বলল, “চল, বাগানে যাই”

“এ্যাঁ?” লোকটার মাথায় কোন প্রব্লেম হয়ে যায়নি তো? হঠাৎ একটু বেশিই অদ্ভুত আচরণ করে ফেলছেনা? ভাবলো সিদ্রা।

“কি? কোন সমস্যা আছে?” চোখ নাচাল রাইয়্যান।

“না মানে, এত রাত হয়ে গেছে তো” মাথার মধ্যে নানান চিন্তার ঘুরপাক শুরু হয়ে গেল সিদ্রার।

“আমার বেলায় রাত হয়ে গেছে, খালার সাথে তো খুব রাত বিরাতে বাগানে বসে বসে গপ্প মারিস”

খালা আর আপনি এক হলেন নাকি, মনে মনে বলল সিদ্রা, কিন্তু মুখে বলল, “আচ্ছা চলেন” আগের সেই অস্বস্তিকর ভয়টা আর পাচ্ছেনা সিদ্রা, জ্বরের সময়কার ঘটনা লোকটার প্রতি ওর মনোভাব চেঞ্জ করতে বাধ্য করেছে, লোকটা আর যাই হোক, চরিত্রহীন না। কিন্তু এর আগে লোকটা ভালো ব্যবহার করার পরপরই একটা করে ভয়ংকর কিছু করেছে। তাই প্রচন্ড টেনশন কাজ করছে ওর মধ্যে।

চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে বাগান, ঝিরিঝিরি বাতাস বইছে। একেবারে মন ভালো করে দেয়া পরিবেশ। বেতের চেয়ারগুলোতে এসে বসল ওরা। রাইয়্যানের মন তো আজকাল একটু বেশিই ফুরফুরে থাকে। কিন্তু এই সুন্দর পরিবেশ সিদ্রার মনে কোন প্রভাব ফেলছেনা। অস্বস্তিকর নিরবতা বিরাজ করছে দুজনের মধ্যে। তাড়াহুড়ো করে কফিতে চুমুক দিয়ে জিভ পুড়িয়ে ফেলল সিদ্রা।

“আগামীকাল সকাল সাতটায় রেডি হয়ে থাকবি” কফিতে চুমুক দিল রাইয়্যান।

“কেন?”

“আমরা ঘুরতে যাব”

বিষম খেল সিদ্রা, “ঘুরতে যাব? কে কে?”

“তুই আর আমি”

“অসম্ভব! আমি আপনার সাথে কোথাও যাবনা”

“কেন? আমি বাঘ না ভাল্লুক?”

“সে আপনি যা ইচ্ছে মনে করেন, আমি যাবনা”

“ভুলে গেছিস বুবু কালকে কি বলেছে! বেশ কিছুদিন হল এসব শুরু করেছে বুবু, পুরো পিছে পড়ে আছে আমার। আমি নাকি তোকে ভাগিয়ে এনে এখন কষ্ট দিচ্ছি। কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাচ্ছিনা, সারাদিনরাত ঘরে আটকে রাখছি ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন যদি আমরা কাছেপিঠে কোথাও ঘুরতে যাই, অন্তত কিছুদিনের জন্য হলেও হানিমুনের ভুত বুবুর মাথা থেকে নামানো যাবে”

হুম, লোকটা খারাপ বলেনি, ভাবল সিদ্রা। হানিমুনে যাওয়ার থেকে দিনেদিনে ঘুরে আসা ঢের নিরাপদ। কিন্তু সেই উনার সাথে একা যেতে হবে! গলা শুকিয়ে এল ওর। কিন্তু লোকটা হুকুমজারী না করে এতো নরম সুরে কথা কেন বলছে? আবার কফি বানিয়ে খাইয়ে পটাচ্ছে। এত কাহিনী না করে একবার শুধু মুনিরার ক্ষতি করার ভয় দেখালেই তো রাজি হয়ে যেতাম।
আচ্ছা, কালকে রেস্টুরেন্টে যাইনি, তার বদলে এটা করছেনা তো? দূরে কোথাও নিয়ে গিয়ে মেরে টেরে ফেলবে নাকি আমাকে? ফেললে ফেলল, এখনই বা কি এমন বেঁচে আছি! হানিমুনে যাওয়া থেকে বাঁচতে যদি লাইফ রিস্ক নিতে হয় তাও ভাল।

“এতো কি ভাবছিস?” ভ্রু নাচাল রাইয়্যান।

“আচ্ছা ঠিক আছে, যাবো আমি”

চাঁদের আলোটা যেন একটু বেশি উজ্জ্বল হয়ে গেল, বাতাসে যেন নতুন সুবাস ভেসে আসতে লাগল, আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল রাইয়্যান। চাঁদকে পেছন করে বসে থাকার জন্য রাইয়্যানের মুখে ফুটে ওঠা বিজয়ের চওড়া হাসিটা দেখতে পেলনা সিদ্রা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here