সুখের নেশায় পর্ব-২২

0
706

#সুখের_নেশায়
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব___২২

চৈত্রিকাকে চেয়ারে বসিয়ে রুমের সাথে এট্যাচ ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ে সাফারাত। পরক্ষণেই ফিরে এসে গায়ের জ্যাকেট টা খুলে চৈত্রিকার উপর ফেলল। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক,হতভম্ব হয়ে গেল চৈত্রিকা। মুখের উপর থেকে জ্যাকেট সরিয়ে বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে সামনে তাকালো। গটগট পায়ে পুনরায় ওয়াশরুমে ঢুকে পড়েছে সাফারাত। এই লোকের মতিগতি চৈত্রিকার মাথায় ধরছে না। সাফারাত কি ইচ্ছে করে তার উপর জ্যাকেট ছুঁড়ে মারল?এটাই তো মনে হচ্ছে। কিন্তু কিসের জন্য? জেদ,রাগ?মুখে পানি দিয়ে সাফারাত ফিরে এসে চৈত্রিকার ওড়নার একপাশ টেনে হাতে নিয়ে নিল। এহেন কান্ডে চৈত্রিকা হকচকালো, থমকালো। চেয়ার ছেড়ে দাড়িয়ে পড়ল তৎক্ষনাৎ। ভড়কে যাওয়া কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,

‘ কি করছেন?’

সাফারাত কোনো জবাব দিল না। চোখ জোড়া চৈত্রিকার চিন্তিত চেহারার দিকে একটা বার রাখল কেবল। পুনরায় ওড়না ধরে টান দিতেই চৈত্রিকা এক পা পিছিয়ে গেল। সাফারাত সম্পূর্ণ ওড়না হাতে টেনে নিয়ে মুখের পানি মুছতে শুরু করে অন্যদিকে চেয়ে। চৈত্রিকা ঝটপট জ্যাকেট টা পড়ে নেয়। ভাবুক চোখে এদিক সেদিক চেয়ে বিছানার উপর থেকে তোয়ালে নিয়ে সাফারাতের সামনে ধরে বললো,

‘ আপনার তোয়ালে চায় বললেই হত। ‘
‘ তোয়ালে দরকার হলে তো বলতাম তাই না?বউ এর ওড়না দরকার ছিল তাই ওড়না নিয়েছি। ‘

ভরাট কন্ঠে কথাটা বলে সাফারাত ওড়না টা বিছানায় ফেলে দিল। শার্টের কয়েকটা বোতাম খুলে ফ্যান টা লাগিয়ে আধশোয়া হলো খাটে। ফর্সা উন্মুক্ত বুক দেখে বক্ষে প্রবল কম্পন চৈত্রিকার। লজ্জায় দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। চোখের উপর হাত ঠেকিয়ে শুয়ে আছে সাফারাত। চৈত্রিকা জ্যাকেট টা গা থেকে খুলে বিছানার উপর হতে নিঃশব্দে, অতি সাবধানে ওড়না নিয়ে গায়ে জড়িয়ে নেয়। ধীরস্থির ভাবে দরজার অভিমুখে যেতেই সাফারাতের কর্কশ, রাগান্বিত স্বর শোনা গেল।

‘ কোথায় যাচ্ছেন চৈত্র? ‘

চৈত্রিকা হালকা ঘুরে তাকালো। সাফারাত উঠে বসেছে ইতোমধ্যে। তার দিকেই তাকিয়ে জবাবের আশায় নিষ্পলক। তবে চোখ দুটো আগের মতোই রক্তবর্ণ। রাগের ছটা ভেসে আছে বিশদ,স্পষ্ট। শুকনো ঢোক গিলল চৈত্রিকা। ক্ষীণ স্বরে বলে,

‘ বাহিরে যাচ্ছি। সবাই তো বাহিরে। ‘
‘ ওই লম্পট টাকে দেখতে যাচ্ছেন?যার কাছে আপনার সৌন্দর্য, দেহ প্রিয়?এতো দয়া হলো আপনার যে কেঁদে যাচ্ছিলেন আমাকে থামাতে। ‘

সাফারাতের ঠোঁটে বিদ্রুপের হাসি। চৈত্রিকার মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে এলো মুহুর্তেই। বুঝানোর ভঙ্গি করে বললো,

‘ আসলে আপনি,, ‘
‘ এদিকে আসুন। ‘

চৈত্রিকার গোছানো শব্দগুলো কন্ঠনালিতে আঁটকা পড়ল। গুটি গুটি পায়ে সাফারাতের সন্নিকটে আসে। ক্লান্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে সাফারাত উঠে দাঁড়ায়। রাশভারি গলায় বলে,

‘ এখানে বসুন। রুম থেকে তখনই বের হবেন যখন আমি বলব। ‘

বাধ্য মেয়ের মতো চৈত্রিকা বিছানায় উঠে বসল। কিন্তু কেন বসল তা জানে না। সাফারাত আদেশ করেছে বলেই বসেছে। সেকেন্ডের ব্যবধানেই রন্ধ্রে রন্ধ্রে শিহরণ বয়ে গেল চৈত্রিকার। হাত দু’টো অজান্তেই আঁকড়ে ধরে সাফারাতের মাথাভর্তি চুলগুলো। বক্ষস্থল কাঁপছে ধুপধাপ শব্দ করে। পেটে গরম নিঃশ্বাসের দাপটে চৈত্রিকার চক্ষুদ্বয় নির্মীলিত হয়ে আসছে। আঁখিপল্লব চোখের নিম্ন অংশ ছুঁয়ে দিল বিনা বাঁধায়। সাফারাত পেটে মুখ গুঁজে কড়া সুরে বলে উঠল,

‘ ঘুমাব আমি কিছুক্ষণ। ডিস্টার্ব করবেন না। ‘

ঘুমাবে মানে কি?বাহিরে তুফান চলছে। মারামারি করে এসে কত নির্লিপ্তভাবে বলছে ঘুমাব। একটু আগে যেন কিছু হয় নি। একটা মানুষ কি করে পারে এতটা হেয়ালিপনা করতে?সাফারাতের এই নতুন নতুন রূপ সহ্য হচ্ছে না চৈত্রিকার। মস্তিষ্কে ঝিম ধরিয়ে দেয়। সমস্ত বক্ষে খেলা করে বেড়ায় নতুন নতুন অনুভূতিরা। চৈত্রিকা বেসামাল হয়ে পড়ে। নিজেকে আবিষ্কার করে কিশোরী জীবনের সেই দুর্বল,ভয়ার্ত চৈত্রিকা হিসেবে। ভালোবাসার মানুষের সম্মুখে কি এমন অনুভব হয়!সকল সাহস কি লজ্জা গিলে নেয় না-কি ভয়?চৈত্রিকা চিন্তার জগত থেকে বেরিয়ে এলো। সাফারাতের দিকে সামান্য একটু ঝুঁকে আমতা আমতা করে বললো,

‘ ঘুমিয়ে পড়েছেন?দুপুরের খাবার খাবেন না?’

কোনো শব্দ হলো না। বরং কোমর জরিয়ে ধরল সাফারাত বলিষ্ঠ হাতে। চৈত্রিকার পিলে চমকে উঠল। দরজার দিকে নজর যেতেই দেখে হালকা করে ভেজানো। এখন যদি কেউ এসে এই অবস্থায় দেখে ফেলে?তড়িঘড়ি করে বলে উঠল,

‘ দরজা খোলা সাফারাত। উঠুন প্লিজ। লাগিয়ে আসি। ‘

সাফারাত মাথা তুলে ঈগল চোখের সূক্ষ্মতা নিয়ে চৈত্রিকার ভয়ার্ত মুখশ্রী টা দেখল। ভীত হয়ে উঠল চৈত্রিকার আঁখি যুগল। সাফারাত কঠিন স্বরে প্রশ্ন করে,

‘ ওই আর ম্যারিড,রাইট?’

মাথা উপর নিচ করল চৈত্রিকা। কর্ণে ভেসে এলো সাফারাতের কঠোর কন্ঠস্বর পুনরায়।

‘ মাথামোটা মেয়ে। গাঁধি একটা। কেউ নক ছাড়া নিউলি ম্যারিড কাপলের রুমে ঢুকবে না নিশ্চয়ই। ‘

চৈত্রিকার কপালে ভাঁজ পড়ে। সাফারাত তাকে মাথামোটা বলল কথাটা ঠিক হজম হচ্ছে না তার। নিউলি ম্যারিডদের রুমে আবার মানুষ ঢুকবে না কেন?

‘ কেন ঢুকবে না?’

‘ তারা দিন-রাত রোমান্সে ব্যস্ত থাকে তাই। ‘

মাথার উপর ঘূর্ণায়মান পাখা টা যেমন গোল গোল করে ঘুরছে তেমনি চৈত্রিকার মাথা ঘুরছে। সাফারাত তার সাদামাটা উত্তর দিয়ে শুয়ে রইল। অভিব্যক্তি, মুখভঙ্গি নির্বিকার। খুব সিরিয়াস একটা কথা বলে চৈত্রিকার দেহ বরফের মতো জমিয়ে দিয়েছে সে। সেই বরফের ঠান্ডায়,শীলতায় ঠকঠক করে কাঁপছে ভিতরটা। চৈত্রিকা না পারছে এখান থেকে যেতে, না পারছে শরীরের কম্পন ঠেকাতে। হৃদপিণ্ডের উঠানামা তীব্র থেকে তীব্রতর। মোবাইল বেজে উঠতেই চোখ মুখ কুঁচকে উঠে বসল সাফারাত। চৈত্রিকা এতক্ষণে নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পেল। মন ভরে নিঃশ্বাস ফেলল,প্রাণ ভরে প্রশ্বাস টেনে নিল নিজের মাঝে। রিসিভ করে লাউড স্পিকারে দিল সাফারাত। ঘাড়ে হাত বুলাতে বুলাতে বললো,

‘ বল। ‘
‘ কি করছিস ভাই?’
‘ বিয়ের পর মানুষ যা করে। ‘
‘ তার জন্যই তো সরাসরি রুমে এলাম না। ফোন দিলাম। সাবধানের তো মাইর নেই। ‘

চৈত্রিকা তব্দা খেয়ে গেল দিহানের কথায়। গালের তপ্ত আভা অনুভব করতে পারছে বেশ। সাফারাত সেদিকে তাকিয়ে দিহানকে জিজ্ঞেস করল,

‘ বাহিরের পরিবেশ কেমন?’
‘একদম ঠান্ডা। ফার্স্ট ক্লাস। আমি ধরে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে এসেছি। বেচারার অবস্থা দেখে মনে হলো ওর ভবিষ্যত বউয়ের কপাল খারাপ। ‘

চৈত্রিকা টিকে থাকতে পারল না আর। ছি!কিসব কথা বার্তা। দ্রুত উঠে ওয়াশরুমের চলে এলো। সাফারাত তাচ্ছিল্যের সহিত বলে উঠল,

‘ কেস করবে না আমার নামে?’
‘ তোর কি এসবের ভয় আছে ভাই?মনে হয় না করবে। তবে লাথিটা আস্তে দিলেই পারতি। ‘
‘ হাত-পা কেটে ফেলে দেই নি এটাই অনেক বেশি। মিম সবকিছু না বললে কিছুই জানতে পারতাম না। ‘

দাঁতে দাঁত চেপে ক্রোধান্বিত কন্ঠে বলে উঠল সাফারাত। লাউড স্পিকার বন্ধ করে কানে মোবাইল চেপে ধরল। দিহান নিচু স্বরে বললো,

‘ চৈত্রিকাকে স্পর্শ করেছে বলেই এতো রাগ,এতো হিংস্রতা? ‘

সাফারাত কোনো প্রকার বিড়ম্বনা না করে গম্ভীর স্বরে উত্তর দিল,

‘ অনেক ত্যাগ করেছি। নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করে দাঁড়িয়েছি সুখের দুয়ারে। চৈত্র আমার। একান্তই আমার। ‘

চৈত্রিকা ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে আসতেই ডাক পড়ে মিমের। ফাহমিদা খাবার গরম করে আবারও সাজিয়েছেন টেবিলে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক, শীতল। তবে চৈত্রিকার অকারণেই লজ্জা লাগছে সবার সামনে যেতে। এতক্ষণ এক রুমে সাফারাতের সাথে ছিল। কাছাকাছি ছিল। ভাবতেই শরীরে অদ্ভুত শিহরণ তরঙ্গিত হচ্ছে।
______________

ঘড়ির কাটা আট টা ছুঁই ছুঁই। সারা আলমিরা তন্ন তন্ন করে খুঁজে একটা ভালো ড্রেস পেল না চৈত্রিকা। অফিসে তো রেগুলার ইউজের ড্রেস পড়ে চলে যাওয়া যাবে না। চৈত্রিকার হুট করে মনে হলো প্রায় এক বছর ধরে কোনো ভালো ড্রেস কিনে নি সে। রেগুলার ইউজের জন্য দু’টো জামা কিনেছিল শুধু। এখন কি পড়ে ইন্টারভিউ দিতে যাবে ভেবে মনটা নিমিষেই কালো আঁধারে ছেয়ে গেল। মায়ের রুমে গিয়ে কন্ঠে কোমলতা নিয়ে বললো,

‘ একটা ভালো শাড়ি হবে আম্মু?’

ফাহমিদা চমকে উঠলেন। তারপর কিছু একটা ভেবে হাসলেন মৃদু। উনার ধারণা সাফারাতের সাথে ঘুরতে যাবে বোধ হয়। একটা তাঁতের শাড়ি বের করে চৈত্রিকার হাতে ধরিয়ে দেয়।

‘ পড়তে পারবি?’
‘পারব আম্মু। ‘

রুমে এসে শাড়িটা গায়ে জড়ায় চৈত্রিকা। হাতে পড়ে নেয় এক ডজন কালো চুড়ি। এই চুড়িগুলো কিনতে এক পয়সাও খরচ করে নি ও। সাজগোজের প্রতি তার ছোট থেকেই ভীষণ ভালো লাগা ছিল। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে শখটুকু বিলীন হয়ে গিয়েছে। চুড়িগুলো মিম ওর টাকা জমিয়ে কিনে এনেছিল মেলা থেকে। চৈত্রিকার তো ত্রিশ টাকার কাঁচের চুড়ি কিনতে সাহস হত না। শুধু মনে হত ত্রিশ টাকা বাঁচিয়ে রাখলে অনেক কাজে লাগবে। বুক ছিন্ন ভিন্ন করে তপ্ত, দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস বিমুক্ত হলো বাহিরে। ব্যাগ গুছিয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখে সাফারাত কোনো কল করে নি। একটাও না। প্রায় অনেক রাত পর্যন্ত চৈত্রিকা চাতক পাখির ন্যায় চেয়ে ছিল মোবাইলের দিক। কিন্তু একটা কলও আসে নি। গতকাল রাত প্রায় নয়টার দিকে কারো ফোন পেয়ে হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে যায় সাফারাত। যাওয়ার আগে জানিয়ে যায় তার দাদি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। চৈত্রিকার ইচ্ছে করছিল সাথে যাওয়ার। কিন্তু তা কোনোদিক দিয়েই সমীচীন হত না। রাতে অনেকবার ফোন দিয়েছিল সে সাফারাতকে। অনেকটা সময় পর সাফারাত কল ব্যাক করে জানায় দাদির অবস্থা ভালো। বাড়িতে রেখেই ট্রিটমেন্ট করানো হচ্ছে। আপাতত ব্যস্ত আছে পরে কল করবে। পরে আর কল আসে নি। গতকালও সাফারাত থাকবে শুনে চৈত্রিকার বুকে রণঢাক,ড্রাম ঢোল বাজছিল। অথচ সেই বুক জুড়ে আজ শূন্যতা,হাহাকার।

কাঁটায় কাঁটায় নয়টা বাজে চৈত্রিকা সাফারাতের অফিসের সামনে এসে হাজির হয়। তড়িৎ গতিতে পা চালিয়ে লিফটে উঠল। কারণ লিফটের দরজা তখন বন্ধ হওয়ার অভিপ্রায়। কোনোমতে নিজেকে সামলে লিফটের এক কর্ণারে দাঁড়াল। দু’টো ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরিহিতা মেয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে রেখেছে ওর দিকে। তা দেখেও গুটিশুটি মেরে রইল চৈত্রিকা। অতঃপর শুনতে পেল মেয়ে দু’টোর উপহাসের ফিসফিসানি।

‘ অফিসে না। মনে হয় বিয়েতে এসেছে শাড়ি পড়ে। ‘

চৈত্রিকার মন খারাপ হলেও আমলে নিল না তা। কিছু কিছু লোকের কাজই কটুক্তি করা। তাদের উপহাসে মন খারাপ করা নিছক। ছোট্ট মোবাইলটা ব্যাগ থেকে বের করে চেক করল সাইলেন্ট কিনা। তার ভ্রান্ত ধারণা ছিল সাফারাত হয়ত কল দিয়েছে। কোনো কল নেই, মেসেজ নেই। বিয়ের পরদিন স্বামীর অবহেলা মানতে পারছে না চৈত্রিকা। অবহেলা! নিজের মনকে বুঝালো চৈত্রিকা। হতে পারে সাফারাতের দাদির শরীর বেশি ভালো না। কল দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। চৈত্রিকার ধারণা আরো একবার ভেঙে তচনচ হয়ে গেল উপরে পৌঁছে। অত্যন্ত সুন্দর একটা মেয়ে ঠোঁটে বিস্তর হাসি টেনে বললো,

— সাফারাত স্যার নিজে আপনাদের ইন্টারভিউ নিবেন। যাদের নাম ডাকা হবে তারা ভিতরে যাবেন। অল দ্যা বেস্ট।

#চলবে,,,!
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পের সকল রহস্য উন্মোচন করা হবে। আপনারা ক্লান্ত হবেন না প্লিজ। শুধু সাপোর্ট করবেন আমাকে। বেশি বেশি ভালোবাসা দিবেন😇🤭।আপনাদের ভালোবাসা, সাপোর্ট, রেসপন্স লেখার আগ্রহ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। ভালোবাসা নিবেন সবাই। 💜💜)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here