সুখের নেশায় পর্ব-৩৯

0
707

#সুখের_নেশায়
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব___৩৯

আকাশে ঘনঘটা অন্ধকার। তারাদের উপস্থিতি নেই। মাঝে মাঝে গুড়ুম গুড়ুম শব্দে ডেকে চলেছে অন্তরিক্ষ। মেঘেরা গলে বৃষ্টিরূপে পৃথিবীতে ঝরে পড়ার তোরজোর চালাচ্ছে। চৈত্রিকা শাড়ি সামলে দ্রুত বেরিয়ে এলো। মায়ের বুকে পড়ে বধূবেশে সজ্জিত লাল টুকটুকে বেনারসি পড়া মেয়েটাকে কাঁদতে দেখে ওর চক্ষু কোল ভিজে উঠল। শূণ্যতায় খা খা করে উঠে মন। কত দ্রুত হয়ে গেল সবকিছু। পিচ্চি বোন টা আজ অন্য কারো বউ হয়ে বিদায় নিচ্ছে। খুশিতে অশ্রু ভিড় জমিয়েছে চৈত্রিকার নেত্রযুগলে। সবকিছু এত সুন্দর হচ্ছে কেন?বুঝ হওয়ার পর থেকে একটু একটু করে ভিতরে ভিতরে প্রতিনিয়ত দুঃখ নিয়ে বাড়ন্ত মেয়েটার আজ মনে হচ্ছে জীবনটা সুন্দর। সুন্দর!জীবনে এক ফালি সুখ নিয়ে আগমন করা ব্যক্তি টা। সামান্য দূরে দৃষ্টি স্থির করল চৈত্রিকা। সাফারাত পাঞ্জাবির হাতা গুটিয়ে দাঁড়িয়ে আছে গাড়িতে হেলান দিয়ে। নিমিষেই তার অপলক চাহনিতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল ধূসর রঙা দু’টো চোখ। ভ্রুঁ উঁচিয়ে তাকালো মানুষ টা। চৈত্রিকা হতভম্ব হয়ে পড়ল। লজ্জায় অল্প সল্প আড়ষ্ট হয়ে চোখ দুটো সরিয়ে ফেলল তৎক্ষনাৎ। তড়িৎ বেগে হেঁটে এলো গাড়িগুলোর কাছে। ফাহমিদার বুক থেকে মাথা তুলে মিম ঝাপসা দৃষ্টিতে তাকালো পিছনে দাঁড়ানো বোনের দিকে। মায়ের কাছ থেকে সরে হামলে পড়ল সে বোনের বুকে। শাড়ি আঁকড়ে ধরে ফুপিয়ে উঠল। কেঁপে উঠল শরীর খানা। চৈত্রিকা মিম কে জড়িয়ে ধরল। মাথায় ঠোঁট ছুঁয়ে মৃদু হাসল। বললো,

‘ কেঁদে মুখের অবস্থা খারাপ করে ফেলছিস মিমু। দিহান কিন্তু অনেক মজা করবে পরে তোকে নিয়ে। কান্না থামা। কাল যাব তো তোকে দেখতে। আর মা তোর কাছেই থাকবে এখন থেকে। ‘

মিম তবুও ছাড়ছে না চৈত্রিকাকে। কেউ বুঝিয়েও ওকে গাড়িতে তুলতে পারছে না। দিহানের ইচ্ছে করছে নিজের কপালে ঠুকতে দেয়ালে। এই মেয়ে যে এত ছিঁচকাদুনে সে ঘুণাক্ষরেও টের পায় নি। পাশে দাঁড়ানো সাফারাতের দিকে অসহায় দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। মিনমিন করে বললো,

‘ ভাই পুরো রাত এখানেই পেরিয়ে যাবে। একটা কিছু কর। বউ কিভাবে নিয়ে যাব?বেচারির কান্নাই আমার সহ্য হচ্ছে না। আমারও কান্না পাচ্ছে। একটা মাত্র বউ আমার। কেঁদে কে’টে দুর্বল হয়ে পড়ছে। যদি বেঁহুশ হয়ে যায়?’

সাফারাত মুখ দিয়ে ‘চ’ উচ্চারণ করতে গিয়েও করল না। বিরক্ত হয়ে একটা চাপড় মাড়ল দিহানের মাথায়। মাথা ঝিমঝিম করে উঠে দিহানের। সাফারাত রাগী গলায় বলে উঠল,

‘ হারা’মি লজ্জা শরম কর। আমার শালী সাহেবা তোর বউ। উল্টা পাল্টা বললেই মা’ইর খাবি। যা বউ কে কোলে তুলে নিয়ে গাড়িতে বসা। নয়ত এই রাত পার হয়ে যাবে বউ বিহীন। ‘

চৈত্রিকা মিম কে বুক থেকে সরিয়ে দিল। দিহান ইতস্তত হয়ে একবার তাকালো সাফারাতের দিক। ফলস্বরূপ চোখ রাঙানো দেখে ঝটপট কোলে তুলে নিল মিম কে। গাড়িতে বসিয়ে নিজে বসে পড়ল। লজ্জায়, শরমে মাথা কা’টা যাচ্ছে ওর। সাহস তো করল কিন্তু এখন লজ্জা লাগছে। মিম এক নাগাড়ে,অবিরত কেঁদেই যাচ্ছে। চলা শুরু হতেই আরো ডুকরে কেঁদে উঠল মেয়েটা। সহ্য করতে না পেরে দিহান টেনে বুকে নিয়ে এলো। শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ব্যগ্র, উত্তেজিত স্বরে বলে উঠল,

‘ এই মিম-ডিম কাঁদবে না একদম। কষ্ট লাগে তো ভাই। কেঁদো না। কাল অথবা পরশু মা’কে আমাদের বাসায় নিয়ে যাব। কেঁদো না প্লিজ। ‘

বুক থেকে মুখ তুলে চোখ ছোট ছোট করে তাকায় মিম। আক্রোশে ফেটে পড়ে দিহানের দিকে চেয়ে।

‘ আমি আপনার ভাই লাগি?’

থতমত খেয়ে গেল দিহান। মিমের কপালে অকস্মাৎ চুমু খেয়ে মৃদু হেসে প্রতুত্তর করল,

‘ বউ লাগো। দিহানের একটা মাত্র, একমাত্র বউ। ‘

জবাবে হাসি পেল মিমের। হাসল ও স্মিত। বুকে মাথা এলিয়ে রেখে বিড়বিড় করল,

‘ সুখের মুহুর্ত গুলো দীর্ঘ হোক আমাদের সবার জীবনে। কষ্ট আমি ভীষণ ভয় পাই। আপুর মতো শক্ত হয়ে সামলে নেবার সামর্থ্য আমার নেই। ‘


ফাহমিদা জ্ঞান হারিয়েছেন মিমের বিদায় লগ্নে। এক সপ্তাহের মাঝে প্রাণপ্রিয় দুটো মেয়ের বিদায়ে ভেঙে পড়েছেন তিনি। চৈত্রিকা মলিন মুখে পানি ঢালল মায়ের মাথায়। তোয়ালে দিয়ে মুছে দিয়ে গালে হাত ছুঁয়ে ডাকতে লাগল,

‘ আম্মু,,এই আম্মু। চোখ খুলো। ভালো লাগছে না। খারাপ লাগছে আম্মু। আজ আমাদের জীবনে সুখের দিন। আমাদের মিমু কে ভালো একটা মানুষের হাতে তুলে দিতে পেরেছি। বাবা থাকলে হয়ত খুশিতে কেঁদে দিত। আমিও অনেক সুখী। তুমি তো আমার সুখের সংসার দেখতে চেয়েছিলে। আমি অনেক বেশিই সুখী। তোমার দোয়ায় আল্লাহ আমাকে এমন একজন জীবনসঙ্গী দিয়েছেন যার সান্নিধ্যে কোনো দুঃখ আমায় স্পর্শ করতে পারবে না। ‘

ফাহমিদার জ্ঞান ফিরতেই চৈত্রিকার গালে,কপালে এলোপাতাড়ি চুমু খেলেন তিনি। অতঃপর বসে রইলেন শান্ত হয়ে,নিরবে। মা’য়ের কাছে কিছুক্ষণ বসে দরজা ভিড়িয়ে চৈত্রিকা বেরিয়ে এলো। ড্রইং রুমে বসে ছিল সাফারাত। চৈত্রিকা কে বেরিয়ে আসতে দেখেই রুমে গেল বড় বড় পা ফেলে। পিছু পিছু ঢুকল চৈত্রিকা। বাড়িতে মেহমান নেই। আত্মীয় স্বজন না থাকায় বিল্ডিংয়ের সবাই উপস্থিত ছিল বিয়েতে। খুব বেশি আন্তরিক ছিল সকলে। মনে হচ্ছিল পুরো একটা পরিবার। বাড়িওয়ালা সাফারাত কে দেখে চৈত্রিকার মাথায় হাত রেখে বললেন তুমি খুব ভাগ্যবতী মা। তোমার হাসবেন্ড অনেক ভালো। বাড়িওয়ালার মুখে এমন কথা শুনে কিয়ৎক্ষণ ঘোরে ডুবে ছিল চৈত্রিকা। সাফারাতের কোনোদিন উনার সাথে সাক্ষাৎ হয় নি। বিয়েতে দেখলেও কথা হয় নি। তাহলে উনি এত প্রশংসা কেন করলেন?মিছে মিছে তো করেন নি। সাফারাতের অগোচরে চৈত্রিকা বাড়িওয়ালাকে চেপে ধরে। অনুরোধ করে বলার জন্য দু’মাসের ভাড়া তিনি কেন নিলেন না। কারণ ওর মনে খটকা লাগছিল। বাড়িওয়ালা যখন উত্তর দিল তখন সবটা ক্লিয়ার হয়ে যায়। ভাড়া না নেওয়ার কারণসহ। সাফারাত পিছে পিছে ঢাল হয়ে সব সামলেছে। এমনকি বাসা ভাড়া পর্যন্ত দিয়েছে। এই মানুষটা কে ধন্যবাদ জানানোর ভাষার অভাব চৈত্রিকার কাছে। দেওয়ার মতো কিছু নেই শুধুমাত্র ভালোবাসা ছাড়া। চৈত্রিকা মনে মনে পণ করে নিজের সবটুকু ভালোবাসা উজার করে দিবে সে। সাফারাত এর মতো করে ভালোবাসতে পারবে না তবে তাকে কখনও দুঃখ পেতে দিবে না। সুন্দর একটা পরিবার উপহার দিবে ও সাফারাতকে।

বাহিরে ঝড় বইছে। বাতাসে গাছের পাতা লড়ছে। মনে হচ্ছে গাছগুলো ভেঙে পড়বে বাতাসের দাপটে। চৈত্রিকা দৌড়ে জানালা বন্ধ করতে গেল। লাগাতে গিয়েও থেমে গেল। বৃষ্টির পানির ছটায় ঠান্ডায় বরফ হয়ে গেছে ফর্সা মুখশ্রী। শরীর টা কেঁপে কেঁপে উঠছে। প্রাণপুরুষের তপ্ত নিঃশ্বাস ঘাড়ে পড়তেই শীতল স্রোত নেমে যায় শিরদাঁড়া বেয়ে। বুকের উঠানামা অস্বাভাবিক হয়ে পড়ল। সাফারাত হ্যাঁচকা টানে সামনে দাঁড় করালো চৈত্রিকা কে। প্রগাঢ় দৃষ্টিতে খানিকক্ষণ চেয়ে মুখ গুঁজল গলার এক পাশে। ঠকঠক করে কম্পায়মান চৈত্রিকার এক হাত মুঠোয় পুরে দীর্ঘ একটা শ্বাস টেনে নিল সাফারাত। চৈত্রিকার শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। নিস্তব্ধ রুমে শীতল বাতাসের আনাগোনা। প্রিয় মানুষটার দু চক্ষে ভয়ংকর মাদকতা। প্রতিটি উষ্ণ ছোঁয়া গাঢ়,প্রখর,গভীর।


আজ বৃষ্টি বুঝি সকল দুঃখ ধুয়ে নিচ্ছে। নতুন করে প্রকৃতিতে আগমন ঘটাবে সুখের। মিমের নাসারন্ধ্রে প্রবেশ করছে ফুলের সুবাস। সুবাস টুকু মোহনীয়। তার চেয়েও মোহনীয় দিহানের নিষ্পলক দৃষ্টি। প্রায় মিনিট দশেক হবে এক নাগাড়ে চেয়ে আছে সে মিমের দিকে। মিম আজ রাগল না। লজ্জাও লাগছে। বরঞ্চ হাসি পাচ্ছে ওর দিহানের চাহনিতে। দিহান হাত বাড়িয়ে কাছে টেনে নিল। পাঁজা কোলা করে বারান্দায় নিয়ে এল। উন্মুক্ত বারান্দা। ছাদ নেই। বৃষ্টিতে ভিজে দু’জনের জুবুথুবু অবস্থা। তবুও তাতে হেলদোল নেই কারোই। দু’জন ডুবে আছে দু’জনের মাঝে। মিমের সামনের চুল গুলো থেকে কপাল,নাক, ঠোঁট ছুঁয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। দিহান চেয়ে থাকতে থাকতে শুকনো ঢোক গিলে। নিষিদ্ধ চাওয়াগুলো সজাগ হয়ে গেল। নিষিদ্ধ কেন হবে?সম্মুখে, বক্ষস্থলের কাছাকাছি উপস্থিত মেয়েটা তার অর্ধাঙ্গিনী, বউ। ওষ্ঠাধর এগিয়ে নিতে মিম চোখ বুঁজে ফেলে। মুখ সরিয়ে নেয়। দিহান চমকে যায়। মাথা তুলতে প্রস্তুত হওয়া মাত্র মিম পাঞ্জাবি খামচে ধরে। এতেই যেন প্রকাশ পেয়ে গেল মেয়েটার সম্মতি। অনতিবিলম্বে আঁকড়ে ধরল দিহান তুলতুলে দু’টো অধর। শুষে নেয় জল। বৃষ্টির মাঝে রচনা করে নতুন এক প্রেমময় মুহুর্ত,ভালোবাসায় সিক্ত অনুভূতি।
____________________

সুখের মুহুর্ত গুলো দীর্ঘ হয় না, লম্বা হয় দুঃখের সময়গুলো। সুখের ছন্দে কেটে গেছে তিনটে মাস। শশুড় বাড়ির মানুষগুলোর মাঝে মনের দূরত্ব বিশাল বিশাল হলেও এই তিনটে মাসে চৈত্রিকা কে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় নি। তবে সে চায় সুখ টা ধরে রাখতে। নতুন করে নতুন ছন্দে সুখ রচনা করতে। সাফারাত অফিসের জন্য বেরিয়ে যেতেই ফটাফট রেডি হয়ে নিল চৈত্রিকা। সুফিয়া বেগমের রুমে আসতেই তিনি ঠোঁট ছাড়িয়ে হাসলেন। বললেন,

‘ চিনবে তো?’
‘ চিনব দাদি। দোয়া করবেন। ‘

বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে শপিং মলের সামনে গাড়ি থেকে নেমে পড়ল চৈত্রিকা। নিজেদের গাড়ি আনে নি। কারণ ড্রাইভার বলে দিবে সাফারাতকে। ওই বাড়িতে যাওয়ার আগে কিছু নিয়ে গেলে ভালো হবে ভেবে শপিংমলে ঢুকল। ঢুকতে না ঢুকতেই যাকে দেখল তাতে বিস্ময়ের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল চৈত্রিকা। মোবাইলের গ্যালারিতে সেভ করা ছবিটা ভালোভাবে দেখে লোকটার সাথে মিলিয়ে নিল। হ্যাঁ ইনিই সেই ব্যক্তি। উনার কাছেই তো যাচ্ছিল ও। এখানেই পেয়ে গেল। উল্কার গতিতে ছুটতে শুরু করে চৈত্রিকা দু’তলায় অবস্থান করা লোকটার দিকে। কিন্তু তার পূর্বেই মাঝ পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় কেউ। বাঁধা প্রদানকারীকে দেখে ঘৃণায় রি রি করে উঠল সমস্ত দেহ,কায়া। কন্ঠে তেজ ঢেলে বলে উঠল,

‘ আপনি আমার সামনে কেন দাঁড়িয়েছেন তাহাফ ভাই? ‘

তাহাফ হাসল। প্রশ্ন করল,

‘ কেমন আছো?’
‘ আপনার না জানলেও চলবে। পথ ছাড়ুন। নইলে?’
‘ নইলে?’
‘ আপনি কি শপিংমলে সিন ক্রিয়েট করতে চাইছেন?’
‘ যদি বলি হ্যাঁ? ‘

কথাটা বলেই বাঁকা হেসে চৈত্রিকার এক হাত চেপে ধরল তাহাফ। হিসহিসিয়ে বলে উঠল,

‘ সেদিন তোর প্রেমিক আমার সাথে যা করেছে তা আজ ভরা শপিংমলে করব আমি। নিজের মান সম্মানের পরোয়া করব না। সবার সামনে বদনাম করে দিব তোকে। তোর হাসবেন্ডের জন্য আমার জব চলে গিয়েছে। নারীদের হেন/স্তা করি কেস দিয়েছে। ‘

চৈত্রিকা জোর করে টেনে হাত ছাড়িয়ে নিল। সপাটে চ’ড় বসালো তাহাফের গালে। আঙ্গুল তুলে বললো,

‘ ভুলেও দ্বিতীয় বার সাহস করবি না। সাফারাতের কানে পৌঁছালে এবার আর শ্বাস টাও ফেলতে পারবি না। কিন্তু আমি উনার কানে পৌঁছানোর আগেই তোর শরীরের সব র’ক্ত ঝরিয়ে ফেলব। স্টে অ্যা ওয়ে ফ্রম মি। ‘

গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়া তাহাফ কে পাশ কাটিয়ে উপরে উঠে এলো চৈত্রিকা। এত বাজে একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে জানলে আজ কখনোই বের হতো না। উপরের সবগুলো দোকানে লোকটা কে তন্ন তন্ন করে খুঁজল। গেল কোথায়?ট্রায়াল রুমে যায় নি তো?চৈত্রিকা একপাশে দাঁড়িয়ে পড়ল। বড় বড় শ্বাস ফেলতে লাগল। হঠাৎই অন্ধকার হয়ে আসতে শুরু করে সবকিছু। নেত্র যুগল নিমীলিত হয়ে আসে। দেহের ভার ছেড়ে লুটিয়ে পড়ল শপিং মলের মেঝেতে।

#চলবে,,,!
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাইকে ঈদ মোবারক।😍)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here