#ভুলবশত_প্রেম পর্ব ৪২
#লেখনীতে:সারা মেহেক
৪২
” আমার মনে রোহান ভাইয়া আপুকে উনাদের ফার্ম হাউজে রেখেছেন।”
আদ্রিশ ঈষৎ বিস্মিত কণ্ঠে বললেন,
” ওদের ফার্ম হাউজও আছে!”
” হ্যাঁ। মেইন শহরের বাইরে। ”
” কোথায়? ঠিকানা বলো। ”
এবার আমি কিছুটা সংকুচিত হলাম। মিনমিনে কণ্ঠে বললাম,
” আমার না এ ব্যাপারে কিছুই মনে নেই। শুধু জানি, রোহান ভাইয়াদের শহরের বাইরে ফার্ম হাউজ আছে। কিন্তু কোথায়, কত দূরে তা জানি না। ”
আদ্রিশ ও ইমাদ ভাইয়া আমার কথায় হতাশার নিঃশ্বাস ছাড়লেন। ইমাদ ভাইয়া নিরাশ কণ্ঠে বললেন,
” শেষ আশাটুকুও আর রইলো না। এখন নাফিসাকে….”
ইমাদ ভাইয়কে সম্পূর্ণ কথা শেষ করতে না দিয়েই বললাম,
” আশা হারাচ্ছেন কেনো ইমাদ ভাইয়া। আমি রিতুকে জিজ্ঞেস করবো এ ব্যাপারে। ও নিশ্চয়ই বলে দিবে। ”
আদ্রিশ আমার দিকে সন্দিহান চাহনিতে চাইলেন। উনার এরূপ চাহনি দেখেই আমি উনার মনে চলমান প্রশ্নটি চট করে ধরে ফেললাম। ফলে ঈষৎ হাসার চেষ্টা করে বললাম,
” রিতু ওমন না। ও রোহান ভাইয়ার থেকে একদম আলাদা। বরং ও তো রোহান ভাইয়াকে ভয় পায়। আর এ ব্যাপারে ওর কাছে নিশ্চয়ই সরাসরি জিজ্ঞেস করবো না আমি। কথা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করতে হবে। আর এ কাজটা করতে হবে সরাসরি, আগামীকাল সকালে। কারণ এখন প্রায় রাত হয়ে গিয়েছে। আর এ সময়ে রিতুর কাছে ফার্ম হাউজের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করলে ওর মনে অনেক প্রশ্ন ঘুরতে পারে। ”
আদ্রিশ কিছুক্ষণ আমার দিকে চেয়ে কিছু ভাবলেন। অতঃপর চট করে দাঁড়িয়ে প্রলম্বিত নিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন,
” চল ইমাদ। কিছু খেয়েনে৷ দুপুরে কিছু খাসনি৷ এখন একটু খেয়েদেয়ে রেস্ট নে। আগামীকাল সকাল থেকে আমাদের কাজ শুরু করবো। ”
ইমাদ ভাইয়া নিস্তরঙ্গ কণ্ঠে বললেন,
” ক্ষিধে নেই রে। ওদিকে নাফিসা ঐ হা** কব্জায় আর এখানে আমি খেয়েদেয়ে ঘুমাবো! অসম্ভব কথাবার্তা বলিস কেনো। আজ রাতটা আমার নির্ঘুম কাটবে। তোরা খেয়েদেয়ে রেস্ট নে। ”
এই বলে ইমাদ ভাইয়া উঠে দাঁড়ালেন। দূর্বল পদগতিতে হেঁটে আমাদের রুম হতে বেরিয়ে গেলেন।
উনি বেরিয়ে যেতেই আমি আদ্রিশের দিকে চাইলাম। আদ্রিশ ক্লান্ত ভঙ্গিতে আমার পাশে বসে পড়লেন। ঈষৎ নিরাশযুক্ত কণ্ঠে বললেন,
” নাফিসা ভাবীকে পাবো তো আমরা? যদি নাফিসা ভাবীর কোনো ক্ষতি হয় তাহলে আমি কোনোদিনও নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না মিশমিশ। এখন আমারও মনে হচ্ছে এ ঘটনার সম্পূর্ণ দায়ভার আমার একারই। ”
উনার কথার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ আমি তৎক্ষনাৎ উনার হাত দুটো নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বললাম,
” আপুর কিচ্ছু হবে না। ভরসা রাখুন আল্লাহর উপর৷ আর এসবের জন্য নিজেকে দায়ী করা বন্ধ করুন আদ্রিশ। আপনার জন্য আপুকে কিডন্যাপ করেনি। আপনার কাছ থেকে ড্রাগ ফর্মুলাটা পাওয়ার জন্য আপুকে শুধু একটা মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। ব্যস। আর আপনি এভাবে ভেঙে পড়ছেন কেনো? আপনি ভেঙে পড়লে আমাকে কে সামলাবে শুনি?”
আদ্রিশ দূর্বলভাবে হেসে বললেন,
” আমার সামলানোর কোনো প্রয়োজন নেই মিশমিশ৷ উল্টো তুমিই আমাকে সামলাচ্ছো। জানতাম না, তুমি এতোটা শক্ত থাকতে পারবে এ পরিস্থিতিতে। তোমার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো এখন অনেক কান্নাকাটি করতো। কিন্তু তুমি স্ট্রং দেখাচ্ছো নিজেকে। ”
আদ্রিশের কথায় আমি ক্ষীণ শব্দে হেসে উঠে বললাম,
” আমি কিন্তু এতোটা স্ট্রং নই যতোটা এখন দেখাচ্ছি নিজেকে। আজ আমার কি হয়েছে জানি না৷ কিন্তু আমি শক্ত থাকতে চেষ্টা করছি এবং পারছিও। আমি জানি, আমি শক্ত থাকতে না পারলে আম্মুকে সামলানো কষ্ট হয়ে যাবে। কারণ আভা যথেষ্ট স্ট্রং থাকতে পারবে। কিন্তু আমি চিন্তা করছি আম্মুকে নিয়ে। অবশ্য আম্মুকে অনেকক্ষণ দেখিনি৷ ঘুমিয়ে পড়েছে না কি আল্লাহ জানে। দেখে আসি গিয়ে।”
এই বলে আমি উঠে পড়লাম। দরজার দিকে পা বাড়াতেই আদ্রিশ পিছন থেকে আমার হাত ধরলেন। আমি খানিক চমকে উঠলাম। জিজ্ঞাসু চাহনিতে পিছনে ফিরে তাকাতেই উনি পেলব গলায় বললেন,
” একটু জড়িয়ে ধরি তোমায়?”
অকস্মাৎ উনার এ অনুরোধে খানিক ভড়কে গেলাম আমি। উনার চোখে এ মুহূর্তে বিরাজ করছে প্রবল ক্লান্তির ছাপ। চেহারা যেনো ক্লান্তিতে নুয়ে পড়েছে। উনার সুন্দর চেহারাখানাও এ মুহূর্তে
মলিন দেখাচ্ছে। আদ্রিশের এহেন পরিস্থিতি দেখে উনার এ অনুরোধ নাকচ করতে পারলাম না আমি। ধীর লয়ে মাথা দুলিয়ে সায় দিতেই উনি উঠে দাঁড়ালেন। আমার হাত ধরে কাছে টেনে নিয়ে দৃঢ়ভাবে জড়িয়ে ধরলেন আমায়। যেনো উনার সকল ক্লান্তি এখানে গড়িয়ে দিচ্ছেন উনি৷
ক্ষণিক বাদে আদ্রিশ হতাশ গলায় বললেন,
” এখনও মনে খুঁট খুঁট করছে। ভালো লাগছে না কিছু। সবকিছু কেমন ওলোটপালোট হয়ে গেলো। আমি সবসময় স্বাভাবিক থাকতে চাই মিশমিশ। কিন্তু পরিস্থিতি কি করে যেনো আমার সামনে কিছু বিপদ, কিছু অশান্তি এনে দেয়। এরপর আমি আর সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে পারি না। আর প্লিজ, এখন এ নিয়ে কিছু বলো না। আমার বুকে কিছুক্ষণ থাকো। আরাম লাগছে খুব। ”
আদ্রিশের শেষোক্ত কথার পিঠে আমি আর কথা বাড়ালাম না। উনায় জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। অতঃপর আরো কিছুক্ষণ পর উনি আমায় ছেড়ে দিলেন। বললেন,
” যাও আম্মুকে দেখে আসো। কিছু খাইয়েও দিয়ে এসো। ”
এই বলে উনি ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ালেন। আমিও খানিক বাদে রুম থেকে বেরিয়ে এলাম।
.
আম্মু এখনও কাঁদছে। কাঁদতে কাঁদতে আম্মুর গাল দুটো চিটচিটে হয়ে এসেছে। কিন্তু আম্মুর কান্না থামানো যাচ্ছে না। শেষমেশ আব্বু আম্মুর সামনে পুলিশের মাধ্যমে আপুর খবর পাওয়ার মিথ্যা অভিনয় করলো। এতে কাজ হলো বটে। আম্মু একটু হলেও শান্ত হলো। অতঃপর আম্মু ধীরেধীরে কান্না থামাতেই আমি আম্মুকে খাইয়ে দিলাম। খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর আম্মু ঘুমিয়ে গেলো।
আমি ও আভা রুম থেকে বেরিয়ে ড্রইংরুমে এলাম। ড্রইংরুমে কামাল আংকেল, আব্বু, আদ্রিশের আব্বু, ইমাদ ভাইয়া, আদ্রিশ, জেবা ভাবী ও ইমতিয়াজ ভাইয়া বসে আছেন। আমি ও আভা গিয়ে খালি সোফায় বসলাম।
উপস্থিত সকলের চোখেমুখে উদ্বিগ্নতা বিরাজ করছে। কথায় কথায় কামাল আংকেল ইমাদ ভাইয়াকে বললেন,
” ইমাদ? শাহেদের নাম্বার বন্ধ পাচ্ছি কেনো? তোর কি কথা হয়েছে শাহেদের সাথে? নাফিসার খোঁজ খবর জানিয়েছে? ”
ইমাদ ভাইয়া বললেন,
” আমারও ওর সাথে আর কথা হয়নি। ওর ফোনে হয়তো চার্জ শেষ তাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তুমি আর ফোন দিও না আব্বু৷ আমি আবারো রাতে ওকে ফোন দিয়ে ওর সাথে কথা বলবো। ”
কামাল আংকেল ঈষৎ উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বললেন,
” আচ্ছা, আমাকে জানাস কিন্তু। ”
কামাল আংকেলের সাথে আব্বুও বললো,
” একটু তাড়াতাড়ি ফোন দিও ইমাদ। বুঝতেই পারছো তো..”
ইমাদ ভাইয়া দূর্বল হাসলেন। বললেন,
” আপনি চিন্তা করবেন না আব্বু। নাফিসার কিছু হবে না। আর ওর ব্যাপারে কিছু জানলে তো আপনাকে জানাবোই। আপনি আর আব্বু বরং এখন ঘুমিয়ে পড়ুন। আপনাদের একটু বিশ্রাম দরকার। ”
আব্বু ইমাদ ভাইয়ার প্রস্তাবে প্রথমে রাজি না হলেও পরে কামাল আংকেলের জোরাজোরিতে নিচের একটা রুমে চলে যান। অতঃপর জেবা ভাবী ও ইমতিয়াজ ভাইয়াও তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন।
সকলে চলে যাওয়ার পর আমি আভাকে আমাদের রুমে পাঠিয়ে দিলাম। প্রথমে সে যেতে রাজি না হলেও পরে আমার ধমকে সে চলে যায়। আভা রুমে চলে যেতেই আমি ইমাদ ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম,
” শাহেদ কে ইমাদ ভাইয়া?”
” আমার বন্ধু। নাফিসার ব্যাপারে ওকেই জানিয়েছি আমি। যেহেতু রোহান পুলিশের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রাখতে বলেছে সেহেতু আপাতদৃষ্টিতে ওর সাথে যোগাযোগ বন্ধ আছে আমার। কিন্তু ওকে আমি সবটা জানিয়ে রেখেছি। আগামীকাল রোহানদের ফার্ম হাউজের ঠিকানা জানার পরপরই আমরা বেরিয়ে পড়বো। পুলিশের ড্রেসআপে যেনো সমস্যা না হয় তাই শাহেদ বলে দিয়েছি ও যেনো ক্যাজুয়াল ড্রেসআপে আসে। ”
” আপনারা সবাই একসাথেই যাবেন?”
আদ্রিশ এবার বললেন,
” না। আমি আর ইমাদ যাবো প্রথমে। এরপর আমাদের ফলো করতে করতে ইন্সপেক্টর শাহেদ ও তার টিমও চলে আসবে।
আর শোনো তোমার কাজ হবে, সকালে রিতুর সাথে দেখা করে ফার্ম হাউজের লোকেশন নিয়ে আমাদের লোকেশন সেন্ট করা। এরপর আমাদের লোকেশন দিয়ে চুপচাপ বাসায় চলে আসা। কারণ বাকি কাজ আমরা সামলে নিতে পারবো।”
” সেই ফর্মুলার কি হবে? ”
” ফেক কিছু কাগজপত্র নিয়ে যাবো আমার সাথে। প্রথম দেখায় রোহান তা ধরতে পারবে না। এ ব্যাপারে ওর বুঝে উঠতে উঠতেই আমরা আমাদের কাজ করে ফেলবো। ”
আদ্রিশ ও ইমাদ ভাইয়ার এ প্ল্যানিং শুনে বেশ স্বস্তি অনুভব করলাম। তারপরেও খুঁতখুঁতে মন নিয়ে কিঞ্চিৎ সন্দিহান হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
” যা প্ল্যানিং করেছেন তা সাকসেসফুল হবে তো?”
আদ্রিশ অসংশয়ে হাসলেন। ইমাদ ভাইয়ার দিকে বললেন,
” সাকসেসফুল না হয়ে যাবে কোথায়। ব্যস তুমি তোমার কাজটুকু ঠিকঠাক করো। বাকিটা আমাদের উপর ছেড়ে দাও। ”
অতঃপর আদ্রিশ আমার দিকে চেয়ে বললেন,
” এখন রুমে যাও। আভাকে সাথে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। ”
এখানে বসে থাকার ইচ্ছা থাকলেও শরীর দূর্বল অনুভব করায় আদ্রিশের আদেশ মানতে বাধ্য হলাম। কোনোরূপ কথাবার্তা ছাড়াই সিঁড়ি বেয়ে রুমে চলে এলাম।
.
পুরো রাত আধো আধো ঘুমে কাটিয়ে দিলাম। ঘুম আসলেও আপুর চিন্তায় কিছুক্ষণ পর পর ঘুম ভাঙছিলো আমার। অপেক্ষায় ছিলাম কখন সকাল হবে আর আমি কখন রিতুর কাছে গিয়ে সবটা শুনবো।
অবশেষে সে সময় এলো। প্রথমে আটটার দিকে যাওয়ার কথা হলেও খুব বেশি সকাল হয়ে যায় বলে সে সময় পিছিয়ে সকাল দশটা করা হলো। আমি রিতুর সাথে ফোনে যোগাযোগ করে একটা রেস্টুরেন্টে আসতে বললাম ওকে। আমাকে সেখানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আদ্রিশ গেলেন আমার সাথে। আমরা দুজনে রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে আসার আগে বাসার সবাইকে মিথ্যে অজুহাত দেখিয়ে বের হলাম৷ কারণ এ প্ল্যানিং যত কম মানুষ জানবে ততই তা সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
আদ্রিশ আমাকে রেস্টুরেন্টে নামিয়ে দিয়ে হাইওয়ের দিকে চলে গেলেন। আমিই বলেছিলাম কাজটা এগিয়ে রাখার জন্য পূর্ব হতেই হাইওয়েতে চলে যেতে। যেনো এদিকে আমি উনাকে ঠিকানা বলার মুহূর্তমধ্যেই উনি ফার্ম হাউজে চলে যেতে পারেন।
আমি আর রিতু চেয়ারে বসে টুকটাক গল্প করতে লাগলাম। রিতু যেনো আমায় কোনোরূপ সন্দেহ করে না বসে এজন্য তার সাথে নানা রকম কথাবার্তা বললাম। যে কথা এখন একদমই বলে সময় নষ্ট করা উচিত নয়, সে কথাও বললাম ওর সাথে। এরপর ধীরেধীরে কথার মাঝে তাদের ফার্ম হাউজের কথা আনলাম। রিতুকে জিজ্ঞেস করলাম,
” রিতু? তোদের ফার্ম হাউজের কি খবর রে? আদ্রিশরা ওদিকে জায়গা কিনবে তো তাই জানতে চাইছিলাম। ”
রিতু আমাদের ওর্ডার করা খাবার খেতে খেতে বললো,
” অনেকদিন সেখানে যাওয়া হয় না আমাদের। আব্বু হয়তো গত মাসে গিয়েছিলো। ”
” তাহলে এখন কি ওটা বন্ধ থাকে? মানে কেউ যায় না ওখানে?”
” নাহ। আব্বুর পর আর কেউ যায়নি। ”
” আচ্ছা? জায়গাটা কেমন হবে বল তো? মানে আশেপাশে মানুষজন আছে না কি সুনসান পরিবেশ? ”
” আর বলিস না মিম। একেবারে সুনসান একটা জায়গা। আমার ওখানে যেতেই ভয় করে। কে বলেছে আব্বুকে ওখানে ফার্ম হাউজ বানাতে যেখানে আমরা সবসময় যেতেই পারি না!”
” তা ঠিক বলেছিস। জায়গাটা কি হাইওয়ে থেকে অনেক দূরে?”
” আরে না। মাত্র দেড় কিলোমিটারের রাস্তা। খুব বেশিদূর না। কিন্তু তবুও আমার কাছে দূর……”
রিতুর কথা সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পূর্বেই ওর ফোনে কল এলো। টেবিলের উপর তার ফোন থাকায় স্ক্রিনে স্পষ্ট দেখতে পেলাম ‘ভাইয়া’ লেখা ভেসে উঠেছে। অর্থাৎ রোহান ভাইয়া কল করেছে। রিতুর ফোনে এ মুহূর্তে রোহান ভাইয়ার কল দেখেই আমার হাত পা প্রায় অসার হয়ে এলো। হৃদপিণ্ড প্রচণ্ড তেজে ধুকপুক শব্দ তোলার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়লো। মস্তিষ্কে ভয়ংকর কিছু সম্ভাবনার প্রশ্ন ঘুরপাক খেলো,
” এখন যদি রিতু রোহান ভাইয়াকে আমাদের দেখা হওয়ার সম্পর্কে বলে দেয় তবে? আমাদের সব প্ল্যানিং কি তাহলে ভেস্তে যাবে? আপুর শেষ রক্ষা করতে পারবো তো?”
®সারা মেহেক(পাঠকদের জন্য একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ খোলা হয়েছে। যারা এড হতে চান বা হননি তারা আমার আইডিতে ম্যাসেজ রিকুয়েষ্ট দিয়ে রাখবেন। এতে আপনাদের এড করতে সুবিধা হবে)
#চলবে
(জানি বড্ড অনিয়মিত হয়ে পরেছি এ গল্পে। আসলে এতো বড় গল্প লেখা আমার সাধ্যের বাইরে। আবার রোজকার পড়ার প্যারা তো আছেই। এজন্য এতো দেরি হয় গল্প দিতে। দুঃখিত। আর পর্বগুলো অগোছালো মনে হলে জানানোট অনুরোধ। )