#গ্রামের_ছেলেটি
পর্ব- ২০ তম
স্বপন
ঘুমিয়ে আছি স্বপ্নে দেখেতেছি মনে হচ্ছে, নিলিমা একটা কালো শাড়ি পড়েছে সাথে হালকা সাজ ম্যাচিং করা সব কিছু,। একটা কালো টিপ পড়েছে,,, হাত দিয়ে সামনে থেকে চুল নিয়ে কানে গুজে দিলো লজ্জা মুখে হাসি। আসতে আসতে করে এসে আমার সামনে এসে বসে। আমার ঠোঁটের কনে হাসি চলে আসে, আমি হাত দিয়ে ওর গালে হাত দেই আমি আসতে করে বলি উঠি, নিলিমা,,,,
নিলিমাঃ কি ভাবছো আমি স্বপ্নে এসেছি জেগে দেখো, আমি সত্যি নাকি স্বপ্ন তোমার,,,
এই বলে নিলিমা চলে গেলো আমি সব কিছু কেমন যেন ঝাপ্সা দেখলাম সব কিছু, ঘুমিয়ে আছি,,,কিছুক্ষন পর খেয়াল হলো, আমি যদি স্বপ্ন দেখতাম তাহলে ওর গালে স্পর্শ করেছিলাম কিভাবে,,,
আমি উঠে আমার ফোন খুজি তারপর বাইরে চলে আসি, রাকিবকেও দেখছি না। আমি রকিব কে ফোন করলাম,,,
আমিঃ রাকিব কোথায় তুই,,,
রাকিবঃ কেন আমি তো রাইসাদের বাড়ি গায়ে হ্লুদের আয়োজন চলছে,,,
আমিঃ বুঝলাম তুই গেলি আমাকে ডাক দিলি না কেন,,,
রাকিবঃ আমাকে তো নিলিমা উঠিয়েছে,, নিলিমা বলল ও তোকে উঠাবে তাই আমি চলে এসেছি,,রাইসাকে সাহায্য করতে,,
আমিঃ নিলিমা ও কখন এলো,,
রাকিবঃ সেটা তার কাছেই জিজ্ঞেস করেনিস এসে,,আমি এখন বিজি আছি।
এই বলে রাকিব ফোন কেটে দিলো, আমি ফ্রেশ হয়ে গেলাম রাইসাদের বাড়ি,,
নিলিমা দাঁড়িয়ে আছে আর ওর চুল গুলো বাতাসে উড়ছে বার বার নিলিমা হাত দিয়ে ঠিক করছে। সাথে সুমা আর ইসরাত আপু মিলে কথা বলছে । আমি তাদের কাছে চলে গেলাম, আমি নিলিমার দিকে তাকিয়ে আছি,, আমাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ইসরাত আপু বলল,,,,
ইসরাত আপুঃ কিরে শিমুল ওভাবে তাকিয়ে কি দেখছিস,,,
আমিঃ হা আপু,,,কিছু না,,,
ইসরাত আপুঃ তা তুই কোথা ছিলি এতো ক্ষন রাকিব মেহমান হয়ে কি কাজ করছে বেচারা, আর তুই পালিয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছিস নাকি,,,শুধু কাজে ফাকিবাজি,,,
আমিঃ না আপু আসলে ঘুমিয়ে ছিলাম,,,
ইসরাত আপুর ফোন চলে আসে সে চলে গেলো,, সুমা নিলিমাকে নিয়ে চলে গেলো মুচকি হেসে। একটু কথা বলব তাও হলো না। কিন্তু কেন, নিলিমার কি বিয়ে হয়েগেছে, তাহলে কি রাজিবকে নিয়ে এসেছে নাকি একা,,,,এই ভেবে মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন উঠছে,,বসে আছি স্টেজের দিকে চোখ জেতেই দেখি রাকিব আর রাইসার, আমি বসে বসে ওদের তামাশা দেখছি,,,। কিছুক্ষন পর গেলাম ওদের কাছে ,,,
আমিঃ তোরা এখানে কি করছিস,,,
আমার কথা শুনে কে কি করবে বুঝতে পারছে না,,
রাকিবঃ তুই এখানে কখন এলি,,,
আমিঃ তা দেখবি কি করে মন তো অন্য কোথাও লাগিয়ে রেখেছিস,,এই তোর বিজি , কাজ,,,
রাকিব আমার কাছে এসে,,,
রাকিবঃ কিরে নিলিমার সাথে দেখা হয়েছে, ,
আমিঃ গাড়ি ইউটান করিস কেন,,,ভালোই মজায় আছিস তো দেখছি,,,
রাইসা চলে গেলো,,,,
রাকিবঃ তুই ও মজা করনা কে মানা করেছে তোকে,,,
এই বলে রাকিব ও চলে গেলো, আমি ও চলে যাওয়া দিলে সামনে দাঁড়িয়ে আছে নিলিমা,,,
নিলিমাঃ কেমন আছো,,,
আমিঃ দেখে কি মনে হয় কেমন থাকতে পারি,,,,
নিলিমাঃ দেখে তো মনে হচ্ছে খুব আনন্দই আছো, তা নতুন কাউকে পেলে নাকি,,,
আমিঃ আমার মতো ছেলের সাথে কোন মেয়ে প্রেম করবে,,
নিলিমাঃ হুম তাই তোমার যা চেহারা তা দেখে। কোন মেয়ে পছন্দ করবে, আমি দেখে,,,,
আমি ওর কাছে গিয়ে একদম কাছাকাছি,,
আমিঃ হুম আমার চেহারা খারাপ, চেহারাই সব কিছু না, ব্যবহার গুন এসবও ভালো থাকা লাগে, তুমি আমাকে কি দেখে পছন্দ করেছিলে,,,,
নিলিমা কিছু বলছে না আমি দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছি,,,
সুমাঃ আপু তুমি এখানে আর আমি তোমাকে খুজে বেরাচ্ছি চলো,,, ( সুমার কথা শুনে আমি নিলিমার সামনে থেকে সরে দাড়ালাম, ,)
নিলিমার হাসি দিয়ে,,,
নিলিমাঃ হুম আসছি,,,,,
আমি নিলিমার দিকে তাকিয়ে আছি,,কিছু দূর গিয়ে পিছনে ঘুরে তাকিয়ে চলে গেলো।।।
আমি এখানে একা কি করবো তাই আমি চলে গেলাম,,,,,,
সন্ধ্যা হয়ে গেছে সবাই গায়েহলুদ অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত, আমি রাকিব ফয়সাল এরা একসাথে বসে আছি কথা বলছি,,,
সুমা আসছে সাথে দেখি মেম্বারের মেয়ে আছে,,,,
আমি সুমাকে ডাক দিলাম,,,
সুমাঃ কি হয়েছে ভাইয়া,,,
আমিঃ কোথায় গিয়েছিলি,,,,
সুমাঃ একটু নিশির সাথে ওর বাড়িতে গিয়েছিলাম, কিছু বলবে ভাইয়া,,,,
আমিঃ না যা এই সময় ওর সাথে যাওয়ার কি দরকার ছিলো একা যেতে পারে না,,,
সুমাঃ এমনি ওর সাথে গিয়েছিলাম বেশি সময় হয় নি,,,,
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে যা আর ও কিন্তু থাক যা,,,,
কিছু বললাম না সুমা চলে গেলো ওই মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে । সুমা ওর কাছে যেতেই সুমাকে জিজ্ঞেস করে আমার কথা,,,। সুমা আমার দিকে তাকিয়ে বলে আমি ওর ভাই,,,,
ওরা চলে গেলো কিছুক্ষন পর রাকিবের ফোনে কল আসে ও উঠে চলে গেলো। আমাদের থেকে দূরে গিয়ে ফোন ধরলো,,,
কিছুক্ষন পর নিলিমা আর রাইসা চলে আসে, রাইসা চলে গেলো রাকিবের কাছে,,নিলিমা এসে আমার কাছে সুমার কথা জিজ্ঞেস করলে আমি বলি দেই সুমার কথা। নিলিমা চলে গেলো সুমার কাছে,,,,,
রাকিব দাঁড়িয়ে আছে রাইসা ফোনে কথা বলছে। মনে হয় রাকিবের মা বাবার সাথে কথা বলছে,,,,
রাকিব চলে আসে আমাদের কাছে ফয়সাল চলে গেলো বাড়িতে বললাম সময় মতো চলে আসতে,,,,,, আমি আর রাকিব চলে গেলাম রেডি হতে,,,,,,,
নিলিমা চলে গেলো সুমার কাছে,। সুমার আর নিশি কথা বলছিলো,৷ নিশি সুমার কাছে আমাকে নিয়ে কথা বলছিলো নিলিমা তা পিছন থেকে শুনতে পায়,,,,,
নিলিমাঃ সুমা কোথায় গিয়েছিলে তুমি,,?
সুমাঃ ওহ আপু ওর সাথে একটু ওর বাড়িতে গিয়েছিলাম কেন আপু,,,
নিলিমাঃ না এমনি,,,
মেয়েরা তাদের সাজগোজ নিয়ে ব্যস্ত ,ছেলেরা সবাই এক কালারের লাল পাঞ্জাবি পরেছে, মেয়েরা হলুদ কাপড় সাথে মেকাপ,,,আমি নিলিমাকে ফোন করলাম ফোন কেটে দিলো,, রাকিব আর আমি ভিতরে চলে গেলাম। ভিতরে সুমা এসে ওর হাত আমার সামনে দিয়ে বলে,,
সুমাঃ ভাইয়া আমার মেহেদি দেয়া কেমন হয়েছে,,,
আমিঃ অনেক সুন্দর লাগছে কে দিয়েছে এতো সুন্দর করে,,
নিশিঃ আমি দিয়ে দিয়েছি,,,,,( নিশি আমাদের কাছে এসে)
একে একে ওরা একসাথে আরো কয়েকটা মেয়ে আসে,,,
সুমাঃ ভাইয়া দেখো তো কারটা বেশি লাল হয়েছে,,,,
আমি আর রাকিব দুজনেই চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি। কি করবো বুঝতে পারছি না,,, এরা কি শুরু করেছে, আমি কি এখানে মাপার মেশিন নাকি এদের কে বোঝাবে,,,
আমি বললাম সবারটাই অনেক লাল হয়েছে,, নিশি আমার কাছে ওর হাত দিয়ে বলে,,,
নিশিঃ আমার টা কেমন হয়েছে,,,
আমিঃ তোমার টাও সুন্দর হয়েছে,,,
পাশ দিয়ে রাইসা আর নিলিমা চলে গেলো মনে হলো আমাদের দেখেও না দেখা করে চলে গেলো। আমি আর রাকিব চলে গেলাম ওদের কাছে,,, কিন্তু আমরা যেতেই ওরা একটা রুমে চলে গেলো, দরজা লাগিয়ে দিলো।
রাকিব আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,,
আমিঃ কি আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন, আমি কি করেছি,,,,
রাকিবঃ আমি কিছু বলেছি তোকে,,,
আমি আর রাকিব বাইরে চলে এলাম। এসে দেখি ফয়সাল চলে এসেছে,,। স্টেজের কাছে তালেব আরো কয়েকটা ছেলে ,,,,। কিছুক্ষন পর দেখি নিলিমা বের হলো আমি ওর কাছে গেলাম কিন্তু নিলিমা আমাকে এরিয়ে চলে গেলো।
আমি নিলিমাকে ডাক দিলাম কিন্তু নিলিমা না শুনে চলে যায়।
গায়ে হলুদের সময় হয়েগেছে সবাই স্টেজে উঠেছে সাথে নিলিমাও আছে আমি গিয়ে নিলমার কাছে গিয়ে দাড়াই,,, এখনো গায়ে হলুদ দেয়া শুরু হয় নি,,,
নিলিমার ফোনে কল আসে আর নিলিমা সেখন থেকে চলে গেলো, দূরে গিয়ে একা ফোনে কথা বলছে। আমিও চলে গেলাম নিলিমার কাছে,,আমি কাছে যেতেই শুনি বিয়ে শেষ করে চলে যাবে,,,
ফোনে কথা বলা শেষ করে ঘুরতেই দেখে আমি,,একটু চমকে উঠে,,,
নিলিমাঃ তুমি এখানে কখন এলে,,( চলে যাওয়া দেয়)
আমিঃ কল কে করেছিলো রাজিব,,, তুমি এই বিয়ে উপলক্ষে এসেছো তাই না,,,
নিলিমাঃ কি মনে হয় তোমার,,,
আমিঃ আমি কি করে বলব,,,
নিলিমাঃ জানি না এখন মনে হচ্ছে এই বিয়ে উপলক্ষেই আসা,,,( নিলিমা চলে যাওয়া দিলে আমি ওর হাত ধরি,,,হাত ধরার পর ওর হাতের দিকে আমার চোখ আটকে যায়। নিলিমার হাত ওর এনগেজডমেন্ট রিং নেই। আমি সেই আংগুলে ধরে নিলিমার দিকে তাকিয়ে আছি,,,
নিলিমা কিছু বলছে না,,এরি মধ্যে রাইসা চলে আসে,,,,
রাইসাঃ নিলিমা ম্যাডাম আপনারা এখানে চলুন গায়েহলুদ শুরু হয়েগেছে,,,,(আমি নিলিমার হাত ছেড়ে দিলাম)তুই ও চল,,
আমিঃ হ্যা,,,
নিলিমাকে রাইসা নিয়ে গেলো, রাইসা আর রাকিব দুজনে দুজনের হাত ধরে যায় স্টেজে উঠেছে।
বকাটে ছেলে গুলো মেয়েদের দেখে সিটি মারে আর আজেবাজে কথা বলে,৷
আমি আর নিলিমা একসাথে উঠলাম,, ছেলে গুলো নিলিমাকে দেখে বাজে বাজে কমেন্ট করে আমি কিছু বলতে যাবো তখনি নিলিমা আমার হাত ধরে যেতে দেয় না, আমার রাগে গা জ্বলছে,,,গায়ে হলুদ দিয়ে চলে এলাম। নিলিমা সেখানেই বসে রইল,,,,
আমি এখা দাঁড়িয়ে আছি একটু পর দেখি নিলিমা আমার কাছে আসছে,,,
নিলিমাঃ কি হলো এখনো এরকম করেছো কেন,,,,
আমিঃ কিরকম করে থাকবো শুনি,,,
নিলিমাঃ আচ্ছা বুঝলাম না কথাগুলো তো আমাকে বলেছে তাই না, আমার যেহেতু খারাপ লাগে নি তাহলে তোমার কেন লাগবে,,,
আমিঃ মানে,,,এসব কি বলছ আমার খারাপ লাগবে না, ঠিকি তো আমার কি আমি কে,,,? আমারি ভুল সরি,,,,
নিলিমাঃ তোমার সাথে ওই মেয়েটার কতদিনের পরিচয়,,,
আমি নিলিমার দিকে আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে বলি,,,
আমিঃ কোন মেয়ের,,
নিলিমাঃ ভালোই কিছুক্ষন আগে যার হাত দেখে প্রশংসা করলে, এমন ভাব করছো যেন কিছুই যানো না,,,
এই বলে নিলিমা বাড়ির বাইরের দিকে যাওয়া ধরে,,,
আমিঃ কোথা যাচ্ছ এদিকে,,,, (আমি নিলিমার সাথে যেতে যেতে)
নিলিমাঃ ভালো লাগছে না তাই একটু হেটে আসি,,,
আমি আর নিলিমা একসাথে হাটতেছি, নিলিমার ফোন বেজে উঠল,,,, তাকিয়ে দেখি রাজিব লেখা। নিলিমা দাঁড়িয়ে গেলো আমি বুঝতে পারলাম তাই আমি সামনে এগোতে লাগলাম,,আর নিলিমা কথা বলছে রাজিবের সাথে,,,।
নিলিমা কথা শেষ করে আসায় আমি ওকে জিজ্ঞেস করি,,,
আমিঃ রাজিব কি বলব,,,
নিলিমাঃ বিয়ের ঠিক হয়েছে এমাসের শেষে বিয়ে।
আমিঃ ওহ ভালোই,,,
নিলিমাঃ হুম স্পেশালি তোমাকে যেতে বলেছে,,,
আমিঃ আমাকে কেন,,,
নিলিমাঃ সেটা আমি কি করে বলব বলো। চলো ফিরে যাই ,,,,।
নিলিমা সামনে আর আমি নিলিমার পিছনে হাটতেছি,। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। বিয়ের কথা শুনে কেমন যে ভিতরে করে উঠলো।
হটাৎ নিলিমা দাঁড়িয়ে গেলে আমি ধাক্কা খেলাম নিলিমার সাথে,,,,
আমিঃ কি হলো দাড়িয়ে গেলে যে,,,,
নিলিমাঃ আমি ভেবেছি তুমি পিছন থেকে চলে গেলে নাকি,, তাই,,
আমিঃ কেন ভয় করছে বুঝি,,,
নিলিমাঃ আআমি,, ভয় পাবো কেন,,আমার অনেক সাহস,,(ভয়ে ভয়ে বলে)
আমিঃ হুম তা তো বুঝতেই পারছি,,তাহলে দাঁড়িয়ে আছো কেন চলো,,
নিলিমাঃ আমি আগে যাবো কেন,,,
আমিঃ কারণ লেডিস্ফাস্ট,,,
নিলিমা আমার হাত জড়িয়ে ধরে বলে,,,
নিলিমাঃ আমরা একসাথে যাবো,,,
নিলিমা মাথা আমার সাথে রেখে হাত জড়িয়ে ধরে হাটছে,,,,নিলিমা চুপ করে আছে,,
আমিঃ কি হলো চুপ করে আছো যে,,,,
নিলিমাঃ এমনি এভাবেই ভালো লাগছে,,,
আমিঃ ,,,,,,
নিলিমাঃ তুমি ঢাকা আসবে কবে,,,
আমিঃ জানি না,,কেন,,
নিলিমাঃ কেন,,তার মানে তুমি আর অফিসে আসবে না,,
আমিঃ এরকম টাই তো বলা হয়েছে,,,
নিলিমাঃ ঠিক আছে তাহলে আমিও আমার কাজ করবো,,,
আমিঃ মানে তুমি আবার কি কাজ করবে,,
নিলিমাঃ আচ্ছা বাদ দেও সুমা যতটুকু বুঝলাম আমার আর তোমার বিষয়ে কিছুটা হলেও যানে,,এখন তোমার মায়ের সাথে তো আমাকে পরিচয় করি দিলে না,,,
আমিঃ এখন আর করিয়ে কি হবে,,,
নিলিমাঃ মানে,, তুমি বলবে নাকি আমি গিয়ে সোজা বলব,,,
আমিঃ তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে যে এরকম কথা বলছ,,, তুমি বলছ বিয়েতে এসেছ এরপর সোজা ঢাকা চলে যাবে। এখন আবার এসব,,,,,
নিলিমাঃ ঠিকি তো আমি রাগ করেছি তুমি আমার রাগ ভাঙানো দূরে থাক তুমি কি করলে উল্টো রিজাইন করে চলে এলে, তখন মনে চাইছিলো তোমাকে ,,,,
সামনে দেখি রাইসা আর রাকিব দাঁড়িয়ে আছে। দুজনে আমাদের খেয়াল করে নি,, রাইসা রাকিবের দুই কাধে দুই হাত দিয়ে কথা বলছে ,,, হাল্কা আলোয় তা বোঝা যাচ্ছে,,
আমরা অদের কাছাকাছি আসতেই আমাদের পায়ের শব্দ পেয়ে দুজন দুজনকে ছেড়ে দিয়ে সরে যায়,,। তাকিয়ে দেখে আমরা,,
রাকিবঃ তোরা কোথায় গিয়েছিলি ওদিকে,,,,
আমিঃ এইতো একটু হাটতে, ভয়পেলি মনে হলো,,,
রাকিবঃ ধুর ভয় কেন পাবো,,
রাইসাঃ চল আমরা সবাই মিলে রাতে বেলায় একটু ঘুরে আসি আর চা খেয়ে আসি, চল ভালোই মজা হবে,,।
তারপর ফয়সালকে কল করে আসতে বললাম আমাদের কাছে,, সবাই মিলে গেলাম,,,,,,
আমরা দাঁড়িয়ে কথা বলছি আর চা খাচ্ছি সবাই,,এরি মধ্যে মনে হলো সামনে কেউ আসছে লাইট মারতে দেখি তিনটা মেয়ে সাথে সুমাও আছে,,,
আমিঃ কোথায় যাচ্ছিস এতো রাতে,,,,
সুমাঃ ভাইয়া নিশিকে এগিয়ে দিতে ও একা যেতে ভয় পাচ্ছে তাই,,,
আমিঃ তাই বলে তোর আসতে হবে অন্য কেউ নেই তাদের সাথে আসতো, তোরা বাড়ি যা ও এখন যেতে পারবে কাছেই বাড়ি,,,
সুমাঃ না আসলে ভাইয়া নিশি ভয় পাচ্ছে তালেব নাকি ওকে হুমকি দিয়েছে, আবার সাথে ওই ছেলে গুলোকে নিয়ে এসেছে। তাই ওই ছেলে গুলোর যানার আগেই,,,,,,
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে তোরা যা আমরা দিয়ে আসবো এই রাতে তোদের যাওয়ার দরকার নেই,,।
নিলিমার আর রাইসাকে ওদের সাথে যেতে বললাম৷ নিলিমা মনে হয় একটু রাগ করেছে যাবার সময় যেমনটা করেছে তা দেখে বুঝলাম।
ওরা চলে গেলো আমি রাকিব আর ফয়সাল ওর সাথে । ফয়সাল নিশিকে জিজ্ঞেস করলো,,,
ফয়সালঃ তালেব তোর সাথে এমন করছে কেন,,,
কিছুতেই সত্যি কথা বলছে না, যাই জিজ্ঞেস করি তার ঠিক উত্তর দেয় না,,অনেক কষ্ট পেটের কথা বের করে,,,
নিশিঃ তালেবের কাছে আমার কিছু ছবি আর ভিডিও আছে যার ভয় দেখিয়ে আমার কাছে অনেক গুলো টাকা চায়। এতো দিন যা চেয়েছে তাই দিয়েছি,,। এখন আরো বেশি চাচ্ছে যা আমার পক্ষে দেয়া সম্ভব না। তাই আমি না করায় ওর বন্ধুদের নিয়ে এসেছে,,,,
ফয়সালঃ এসব করার সময় মনে ছিলো না যে পরে এর জন্য সমস্যা হতে পারে,,,
নিশি কিছু বলছে না,, কিছু দূর যেতেই দেখি তালেব সামনে দাঁড়ানো আমাদের প্রথমে খেয়াল করে নি আমরা ওর পিছনে থাকি। কারণ ওর বাড়ির কাছাকাছি চলে আসি তাই,, ভাবছি আমরা এখানে দাঁড়িয়ে থাকব আর যতক্ষনা নিশি ভিতরে যাবে,,।
নিশির কথার আয়াজ শুনে আমরা সামনে গিয়ে তালেবকে ধরি,,,
ফয়সাল ধরে জিজ্ঞেস করে,
ফয়সালঃ কি তোর সমস্যা কি ব্লাকমেইল করছিস কেন ওকে ফোন বের কর ওর ছবি আর ভিডিও ডিলিট কর,,
তালেবঃ আমাকে একা মনে করেছিস দাড়া আমি এখনি ওদের কল করছি,,তোরা সাথে আসবি যানলে ওদের সাথে করে নিয়ে আসতাম। ভেবেছি ওরা ওখানে মজা করুক লাগলে ডাক বো।
আমিঃ হুম ডাক এমনিতেও ওদের সাথে কিছু বোঝার আছে,,
তালেব ফোন করে কানে দেয়। তালেব ফোন কেটে দিলো এক দোড়, আমরা নিশিকে ভিতরে পাঠিয়ে চলে গেলাম,, এসে দেখি আর এক কান্ড। তালেব আমাদর আগে আসে পরেছে,,।
নিলিমা সেই ছেলে গুলোকে পিটিয়ে আধমরা বানিয়ে ফেলেছে,। আমরা দেখে তো হা হয়ে গেছি। আমি তো রীতি মতো ভয়ে শেষ এমেয়েকে বিয়ে করলে আমার কি হবে,,
নিলিমা আর রাইসা দুই জনেই মারছে ছেলে গুলোকে,,নিলিমা মারছে আর জিজ্ঞেস করছে,, সেই সময় কে ওকে দেখে শিষ বাজিয়েছে, কে বাজে কমেন্ট করেছে তখন,,। তালেব এসব দেখে যেই পালাতে যাবে তখনি ফয়সাল ধরে ফেলে,,
মেয়েদের থামিয়ে দিয়ে বাড়ি যেতে বলি,,,
সব কয়টাকে যেতে দিয়ে তালেবকে ধরে রাখি,,
ওকে বেধে বস্তার মধ্যে ভোরলাম,,,
রাকিবঃ এখন কি করবি,,
আমিঃ কি করবো বস্তা ধরে পানিতে ফেলে দেই,,এর আগেও তো রাস্তায় পাশে পরেছিলো কেউ জান বেও না কে করেছে,,
রাকিবঃ না ওর সাথে ছেলেগুলো দেখেছে সমস্যা হয়ে যেতে পারে।
আমরা এভাবে অনেক আইডিয়া বের করলাম তালেব বেচারা ভয়ে শেষ। অনেক আকুতি মিনুতি করছে ভিতর থেকে।
আমরা শর্তের কথা বলি ও সব শর্তে রাজি হয়,,মনে হয় ভয়ে প্যান্ট ভিজিয়েছে। তারপর আমরা ওর ফোন থেকে সবকিছু ডিলেট করালাম,,,
আমিঃ আচ্ছা মেয়েটা তো দেখতে ভালোই বাপে মেম্বার ও ছিলো,, সব দিক দিয়ে তোরই তো ফায়দাছিলো,,তাহলে কেন করলি এসব,,,
তালেবঃ ভাই কি কন ও ভালো মেয়ে, তাহলে যানেনি না ওর বিষয় এ। ওরে কোন ছেলে প্রোপোজ করলেই তার সাথে প্রেম করবে। এখন ভালো ছেলে পাইছে আমাকে ছেড়ে দিছে তাই এসব কিছু করছি ভাই।
আমিঃ দেখ এসব করিস না করলে তোরই সমস্যা হবে। যানা জানি হলে তারা আইনের কাছে যাবে। তখন তোকে উল্টো হয়রানির শিকার হতে হবে,,,
তালেবের কথা শুনে মনে হলো দোষ তালেবের থেকে মেয়েরও কম না। কি করবো তালেব কে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিলাম। সব কাজ করতে মানা করলাম,
ফয়সাল বাড়ি চলে গেলো,আমি আর রাকিব দাঁড়িয়ে আছি,,
রাকিবঃ কি হলো চল,,
আমি বাড়ির দিকে চললাম,,
রাকিবঃ অই দিকে কই যাছ চল বিয়ে বাড়ি যাই।
আমিঃ নারে নিলিমাকে দেখলে এখন করে ভয়, ওই ছেলে গুলারে যেভাবে মারলো,। এমনি তেই আমার উপর বিলা, যাবার সময় আমার দিকে যেভাবে তাকিয়ে ছিলো। ওই রাগ আবার নাকি আমার উপর দেখায়,,,
আমরা বাড়ি চলে এলাম।।
সকালে রাইসা আর নিলিমার কথায় ঘুম ভেঙে গেছে,, পাশে তাকিয়ে দেখি রাকিব নাই,,আমি উঠে দেখি রাকিব ওদের কাছে। মায়ের সাথে কথা বলছে নিলিমা মায়ের কাছে বসা,,। আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম,,
ফ্রেশ হয়ে ওদের কাছে আসতেই রাইসা আমার সামনে কিছু ড্রেস দেখিয়ে বলে কোনটা বেশি সুন্দর,,
আমি বলি আমার রুচি পছন্দ কোন্টাই ভালো না।আজ পর্যন্ত কোন কিছুই ভালো পছন্দ করতে পারলাম না,,।
আমিঃ এখানের সব কয়টা তোর নাকি,,,
রাইসাঃ নাহ আমার একা হবে কেন,,
নিলিমার দিকে তাকিয়ে দেখি, আমার দিকে আর চোখে তাকিয়ে আছে,,,
আমি কিছু না বলে চুপ করে আমার ঘুমানোর ঘরে চলে আসি,,,,,
তারপর নিলিমা আমার কাছে এসে বলে,,,,
আমাকে খাটের উপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে আমার উপর উঠে আমার মুখের কাছে ওর মুখ এনে অসতে করে বলে।
নিলিমাঃ কি বললি তুই আমার দেখতে খারাপ,,,,
আমিঃ আমি আবার এসব কখন বললাম,,নামো কেউ দেখে ফেললে খারাপ ভাববে,,,
নিলিমাঃ তাতে আমার কি,, তখন তুই বললি তোর রুচি আর পছন্দ খারাপ,, তার মানে কি দাঁড়ায় আমি ও দেখতে খারাপ,,
আমিঃ আমি কি তোমাকে মিন করে বলেছি নাকি,,,এভাবে কি দেখছো খেয়ে ফেলবে নাকি,,,
,,চলবে,,,,,,,,