প্রজাপতির_রং🦋 Part_27

0
1190

প্রজাপতির_রং🦋
Part_27
#Writer_NOVA

সময় এখন ৯ টা বেজে ৫০ মিনিট। যতদ্রুত সম্ভব অফিসে যেতে হবে।আদর কল করে জলদী যেতে বললো।সকালে যা কাজ করেছি তাতে আজ অফিসে যেতেই ইচ্ছে করছিলো না।কিন্তু চাকরী বাঁচাতে হলে এখন অফিসে যেতে হবে।তায়াং ভাইয়ার সাথে দুদিন ধরে কোন কথা হয়নি।সেই যে দুই নাম্বার শ্বশুর বাড়ি থেকে ফিরলাম।তারপর থেকে তায়াং ভাইয়া খুব ব্যস্ত থাকে।কি আর্জেন্ট কাজ ছিলো তাও বলেনি।ওর জন্য ঐ ঠিকানাবিহীন বাড়িতে সবার সাথে সময় কাটাতে পারলাম না।ওর ওপর হেব্বি রেগে আছি আমি।এখন তো আরো বেশি রাগ লাগছে।কোন রিকশা দেখছি না।গাড়ির হর্ণের শব্দে ধ্যান ভাঙলো।একটানা কেউ হর্ণ বাজিয়ে যাচ্ছে। রাগটা এবার সাত আসমানে উঠলো।পেছনে ঘুরে দেখি একটা কুচকুচে কালো প্রাইভেট কার।রাগটাকে হজম করে হাঁটতে লাগলাম। আবারো হর্ণ বাজাচ্ছে। এবার রাগটা হজম করতে পারলাম না।পেছনে ঘুরে দ্রুত গাড়ির সামনে গিয়ে জানলার কাচে টোকা দিলাম।

আমিঃ সমস্যা কি আপনাদের? রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কি নীরবে যেতে পারেন না।সবাইকে কি বাদ্য বাজিয়ে শুনাতে হয় যে আপনি এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন।এত হর্ণ বাজাচ্ছেন কেন?

গাড়ির কাচ খুলে গাড়ির মালিক আমার দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে কখন থেকে তাকিয়ে আছে। সেদিকে আমার খেয়াল নেই। আমি একটানা তাকে বকেই যাচ্ছি। আর সে এক হাত গালে দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তার দিকে নজর যেতেই আমি থমকে গেলাম।এতো দেখছি রোশান দেওয়ান। এই বেটা এখানে কি করে?

রোশানঃ আমার পাখি মনে হচ্ছে অনেক রেগে গেছে। কুল ডাউন বেবী।এত রাগ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।তবে তোমাকে রাগলে অনেক বেশি কিউট লাগে।একদম গুলুমুলু বাচ্চাদের মতো।

কেমনডা লাগে কন তো আপনারা?এমনি আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে এসব গা জ্বালানো পিরিতির আলাপ শুনলে কে বা ঠিক থাকে।রাস্তার মধ্যে কোন সিনক্রিয়েট করতে চাইছি না।

আমিঃ হাতটা কি খুব বেশি নিসপিস করে? এতই যখন হাতটা পিড়পিড় করে তাহলে সেই হাতটা পকেটে ঢুকিয়ে রাখলেই তো পারেন।হর্ণ বাজিয়ে শব্দ দূষণ করার কি দরকার?কানটা পচিয়ে ফেললেন।

রোশানঃ কখন থেকে তোমাকে ডাকছি।কিন্তু তোমার কোন হুশ নেই। হাত নাড়িয়ে কি জানি বিরবির করছো।তাইতো বাধ্য হয়ে আমাকে এই ব্যবস্থা নিতে হলো।তা যাচ্ছো কোথায়?

আমিঃ মরতে, যাবেন।

রোশানঃ চুপ।(ধমক দিয়ে)

রোশান এতো জোরে ধমক দিয়েছে যে আশেপাশের যতলোক ছিলো সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। রোশান মরার কথা শুনে যে এতটা রেগে যাবে তা আমি বুঝতে পারিনি।ওর মুখটা রক্তিম হচ্ছে। আমি ভয় পেয়ে মানে মানে কেটে পরতে চাইলাম।চলে যাওয়ার জন্য সামনে ঘুরলেই রোশান ডাকলো।আমি জিহ্বায় কামড় দিয়ে পিটপিট করে ওর দিকে তাকালাম।

রোশানঃ এসব কি ধরনের কথাবার্তা? এরপর থেকে উল্টো পাল্টা কথা বললে ভুলে যাবো তুমি আমার কি হও? যত্তসব ফালতু কথা।

রোশানের কথা শুনে আমি বোকার মতো প্রশ্ন করে বসলাম।

আমিঃ আমি আবার আপনার কি হই?

রোশানঃ হবু বউ।

আমিঃ আশায় থাকে কাউয়া, পাকলে খাইবো ডেওয়া।এরে দেখলেই আমার এই প্রবাদ বাক্য মনে পরে যায়।আমার স্বামী বেঁচে না থাকলেই তোমাকে চান্দু বিয়ে করতাম না।আর এখন তো সে বেঁচেই আছে। আহারে, রসুন মহাশয়।আপনার জন্য অনেক খারাপ লাগছে। যেদিন জানবেন আমার জামাই বেঁচে আছে সেদিন আপনার রিয়েকশনটা কেমন হবে?সেটা ভেবে এখন মাথা নষ্ট করতে চাই না।(মনে মনে)

রোশান আমার চোখের সামনে তুড়ি বাজালো।আমি চমকে হুশে ফিরলাম।

রোশানঃ তুমি হুটহাট কোথায় চলে যাও বলো তো?

আমিঃ কোথাও না।আমার যেতে হবে।দেরী হয়ে গেছে। (হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে) আল্লাহ, ১০ টা ০৫ বেজে গেছে।

রোশানঃ চলো আমি তোমায় পৌঁছে দিচ্ছ।

আমিঃ না না লাগবে না। আমি চলে যেতে পারবো।

রোশানঃ আমি তোমার কোন কথা শুনছি না।জলদী গাড়িতে উঠো।নয়তো আমি সবার সামনে তোমাকে কোলে তুলে নিতে বাধ্য হবো।

এই পোলা বহুত রেগে আছে আমার ওপর।এরে দিয়া বিশ্বাস নাই।যদি কোলে তুলে ফেলে।তাই আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য বললাম।

আমিঃ আপনি শুধু শুধু আমার জন্য কষ্ট করছেন।আপনার কাজ আছে তো।

রোশানঃ বর্তমানে তোমার থেকে বেশি ইম্পর্টেন্ট কাজ আমার নেই। চুপচাপ গাড়িতে উঠো।

এমনি দেরী হয়ে গেছে। তাই কথা না বাড়িয়ে গাড়িতে উঠে বসলাম।গাড়ির সিট বেল্ট বেঁধে নিলাম।

রোশানঃ তুমি কি এখন অফিসে যাবে?

আমিঃ হুম।

রোশান কোন কথা না বলে গাড়ি স্টার্ট দিলো।ধীর গতিতে প্রাইভেট কারটা চলতে লাগলো আমার জামাইয়ের কোম্পানির দিকে।

🦋🦋🦋

রোশান আমাকে অফিসের সামনে নামিয়ে দিয়ে বিদায় জানিয়ে চলে গেল। আমি একপলক ওর যাওয়ার পানে তাকিয়ে জলদী জলদী ভেতরে ঢুকে গেলাম।নিজের ডেস্কে এসে চেয়ারে বসে বোতল খুলে পানি খেলাম।তখুনি আদরের আগমন।

আদরঃ ম্যাম,স্যার আপনাকে ডাকছে।আজকে বিদেশী ক্লায়েন্টের সাথে কিছু ডিল করা আছে। সেই প্রেজেন্টেশন আপনাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই ফাইলগুলো নিয়ে স্যারের কাছে যেতে বলেছে।

আমিঃ এসে বসতেও পারলাম না। শুরু হয়ে গেছে আমাকে জ্বালানো। একটু শান্তিতে থাকতেও দিবে না। আমাকে না জ্বালালে তার পেটের ভাত বোধহয় হজম হয় না।এতো জ্বালা আমার ভালো লাগে না। ধূর,সবকিছু অসহ্য।এখানে বাপ জ্বালায়, বাসায় ছেলে।দুজন আমার জীবনটা তেজপাতা করে দিলো।থাকবো না আর এখানে।(বিরবির করে)

আদরঃ ম্যাম কিছু বলছেন?

আমিঃ না না কিছু না ভাইয়া।আপনি যান, আমি এখুনি সবকিছু রেডী করে আসছি।

আদরঃ ম্যাম, ডিলটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট আমাদের জন্য। তাই আপনাকে জলদী করে আসতে বলেছিলাম।আপনি আবার আমার ওপর রাগ করেন নি তো?

আমিঃ আপনার ওপর রাগ করবো কেন?আমার যত রাগ সব তো আমার বজ্জাত জামাইয়ের ওপর।

আদরকে মিটমিট করে হাসতে দেখে আমার হুশ ফিরলো।কি বলছিলাম আমি!! নিজের মাথায় নিজেই একটা চাপর মেরে ইচ্ছে মতো নিজেকে বকলাম।

আদরঃ আচ্ছা ম্যাম।আপনি আসুন,আমি যাচ্ছি। তবে বেশি দেরী করেন না।

আমিঃ মিস্টার আদর।

আদর ঘুরে চলে যাচ্ছিলো।আমার ডাক শুনে পেছনে ঘুরে বললো।

আদরঃ জ্বি ম্যাম।

আমিঃ আপনার স্যারের মেজাজ আজ কিরকম? না মানে উনি কি স্বাভাবিক আছে নাকি রেগে আছে?

আদর কিছু সময় কপাল,নাক কুঁচকে স্বাভাবিক স্বরে উত্তর দিলো।

আদরঃ উনি তো স্বাভাবিক আছে ম্যাম।কেন কোন সমস্যা হয়েছে।

আমিঃ না না তেমন কিছু নয়।আপনি এখন আসতে পারেন।

আদরঃ ওকে ম্যাম।

আদর রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। আমার ভীষণ ভয় করছে।তখন তো বেশ মজা নিয়েছিলাম।কিন্তু এখন কি হবে? এই খবিশ ব্যাটা তো আমাকে ছাড়বে না। আল্লাহর নাম নিতে নিতে ফাইল গুছিয়ে তাজের কেবিনের দিকে ছুটলাম।কেবিনের সামনে আসতেই হাত-পা কাঁপা-কাঁপি শুরু হয়ে গেছে।আল্লাহ জানে ভেতরে গেলে কি করে?আমি থাই গ্লাসে কয়েকবার হাত দিয়ে বারি দিলাম।

তাজঃ কাম ইন।

দুই বার আয়াতুল কুসরী পড়ে বুকে ফু দিয়ে ভেতরে ঢুকলাম।উপর দিয়ে নিজেকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক রেখেছি।

তাজঃ দরজাটা আটকে দিন, মিসেস আহমেদ।

দরজা আটকানোর কথা শুনে ভয়টা আরো জরালো হলো।বড়সড় একটা ঢোক গিলে অসহায় দৃষ্টিতে তাজের দিকে তাকালাম।কিন্তু সে আমার দিকে ভুলেও নজর দেয়নি।কাচের দেয়ালের সামনে মুখ করে কি জানি পড়ছে।পড়ছে নাকি জানি না। কিন্তু পৃষ্ঠা উল্টাতে দেখছি।আমার দিকে হালকা করে ঘাড় ঘুরিয়ে বললো।

তাজঃ আমি কিছু বলেছি।

আমিঃ জ্বি।

তাজঃ তাহলে সেটা মানছো না কেন?

ওর শান্ত ভঙ্গির কথাতে নিজের বিপদের আভাস পাচ্ছি। অনিচ্ছা থাক সত্ত্বেও দরজা আটকিয়ে তার পেছনে এসে দাঁড়ালাম।

আমিঃ এখানে সব ফাইল কমপ্লিট করা আছে।

তাজঃ টেবিলের ওপর রাখো।

🦋🦋🦋

আমি ফাইলগুলো টেবিলের ওপর রাখলাম।ওড়নার কোণা গিট মারতে মারতে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলাম।তাজের কোন শব্দ না পেয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে উঁকি মারলাম।তাজ এখনো এক হাতের ওপর বইয়ের আকৃতির কিছু একটা নিয়ে আরেক হাতের মাধ্যমে তার পৃষ্ঠা উল্টাচ্ছে।সম্ভবত কিছু খুঁজছে। ভালো মতো খেয়াল করে দেখতে পেলাম সেটা আমার ডায়েরি। ইহিরে!!!আমার সব গোপনীয় তথ্য জেনে গেলো রে😖।

আমিঃ আমার ডায়েরি। এটা আপনার কাছে ছিলো।আমি সারা বাসা খুঁজে হয়রান হয়ে গেছি।দিন,আমার ডায়েরি দিন।

তাজঃ কে বললো এটা তোমার?

আমিঃ আমি!!!

তাজঃ এটা তোমার ডায়েরি প্রমাণ দেখাও।

আমিঃ দেখুন আপনার সাথে ফালতু পেচাল পারার কোন সময় আমার নেই। আমার ডায়েরি দিন।

তাজঃ রোশান দেওয়ানের সাথে আবার কেন দেখলাম তোমাকে? আমি না বলেছি ওর থেকে তোমাকে দূরে থাকতে।ওকে আমার বেশি সুবিধার মনে হয় না।

আমিঃ সুবিধার তো আমার আপনাকেও মনে হয় না।

ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে কথাগুলো বলে সামনে তাকাতেই ভয় পেয়ে গেলাম।তাজ রেগে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

তাজঃ ইদানীং একটু বেশি উড়ছো দেখছি।আমার কথার ত্যাড়ামী না করলে তোমার হয় না।

আমিঃ আপনার ফাইল চেক করুন।আর আমার ডায়েরি দিন।আমার কাজ আছে।আজাইরা কথা বলার জন্য আপনার অনেক টাইম থাকতে পারে। কিন্তু আমার নেই।

তাজ রেগে সামনে এগিয়ে আসতেই আমি কেঙ্গারুর মতো দুটো লাফ দিয়ে পিছিয়ে গেলাম।

তাজঃ আমার একটাই আফসোস।তুমি ভালো কথায় কোন কাজ করলে না।সকালে আমার ঠোঁট দুটোর বারোটা বাজিয়ে দিয়েছো।এখন আবার রোশানের সাথে এসে কথার বুলি ফুটাচ্ছো।

আমিঃ আমার যার সাথে মন চায় তার সাথে আসবো আপনার কি?আপনি আমার অফিসের বস, বসের মতো থাকেন।

তাজঃ কি বললে আবার বলো? আমি যখন তোমার বস তাহলে আমার বাসায় গিয়ে আমার খোঁজ কেন নিয়েছিলে?

আমিঃ আমি যেই কোম্পানিতে কাজ করি সেকি আসলেই ভালো নাকি লুচ্চা তা জানতে গিয়েছিলাম।

তাজঃ কি????

আমিঃ আজকাল কি কানে কম শুনেন নাকি?

তাজঃ রোশানের সাথে তোমাকে আমি যেনো আরেকবারও না দেখি।তাহলে আমিও কিন্তু ভুলে যাবো তুমি আমার স্ত্রী।

আমিঃ এ্যাহ আইছে😏!!!(মনে মনে)

তাজঃ সকালে কিন্তু বেঁচে গিয়েছিলে।এখন কে বাঁচাবে? এখন তো আমি তোমার ঠোঁটে চুমু খাবোই।

তাজ এগিয়ে আসতে আসতে কথাগুলো বললো।আমি ভয় পেয়ে শুকনো ঢোক গিললাম।এদিক সেদিক তাকিয়ে কিছু খুঁজতে লাগলাম।তাজ শয়তানি হাসি দিয়ে এগিয়ে আসছে।তাজের সাথে আমার দুরত্ব মাত্র কয়েক ইঞ্চির তফাৎ।চট করে আমার মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল।একটানে থাবা মেরে তাজের থেকে আমার ডায়োরিটা কেড়ে নিলাম।তারপর মাথার মধ্যে ডায়েরি দিয়ে জোরে একটা বারি মেরে আবার ভো দৌড়। দরজা খুলে সোজা বাইরে।আমাকে আর পায় কে?ঘটনার আকস্মিকতায় তাজ পুরো হা হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।বেচারা,বুঝতে পারেনি আমি এমন কিছু করবো।আমি তার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছি।কিছু সময় বোকাবন থেকে ঘুরে এসে তাজ ফিক করে হেসে উঠলো। আজ ব্যাটাকে যা ডোজ দিয়েছি।তাতেই খুশি লাগছে।এখন আমার ঐ গানটা অনেক মনে পরছে।”আহা কি আনন্দ আকাশে, বাতাসে”। সেটাই এখন আমি ডায়েরি হাতে নিয়ে গুণগুণ করে গাইতে গাইতে আমার ডেস্কে যেতে লাগলাম।

★★

সারা সকালটা তাজের কাজ করতে করতেই গেলো।বিদেশি ক্লায়েন্টের সাথে ডিলগুলো ডিসকাসড করে দুপুরের লাঞ্চ টাইমে একটু অবসর পেলো।তাই ভাবলো লাঞ্চটা আজ নোভার সাথে করবে।যেমন ভাবা তেমন কাজ।কিন্তু নোভার ডেস্কের সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেলো।কারণ কাচের ওপর পাশের সবকিছু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। নোভা ডায়েরির ওপর দুই হাত গুজে সেখানে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরেছে।নিশ্চয়ই ডায়েরি লিখতে বসেছিলো। কতদিন পর নোভাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলো সে।তাই কাচে হাত দিয়ে সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে গভীরভাবে নোভাকে দেখতে লাগলো তাজ।একজন শান্তিতে ঘুমাচ্ছে। আরেকজন তা নিষ্পলক চাহনীতে পর্যবেক্ষণ করছে।

#চলবে

আহা, কি ভালুপাসা😏!!! একেবারে বাইয়া,চাইয়া পরতাছে।এতদিন খবর ছিলো না আর এখন আসছে।
তবে আগামী পর্বে গল্পের মোড় ঘুরে যাবে🌚।দেখা যাক কি হয়।

বাই দ্যা রাস্তা আটার বস্তা।গতকাল ১৪০০+ শব্দ দিয়েও আমাকে শুনতে হয়েছে পর্ব নাকি ছোট হয়ে গেছে। যদি ১৪০০+ শব্দে ছোট হয়ে যায় তাহলে এখন থেকে বরং টেনেটুনে ১০০০+ শব্দই দিবো।তাহলে হয়তো ১৪০০+ শব্দ বড় মনে হবে।সব সময় লেখার মানসিকতা একরকম থাকে না।যখন মন-মানসিকতা ভালো থাকবে তখন বড় পর্ব হবে আর যখন খারাপ থাকবে তখন ছোট হবে।এগুলো আপনাদেরকে বুঝে নিতে হবে। কিন্তু আপনারাই বোঝার চেষ্টাই করেন না। তাহলে আমার আর কি করার বলুন🙂!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here