শিশির_ভেজা_রোদ্দুর Part_29

0
1087

শিশির_ভেজা_রোদ্দুর
Part_29
#Writer_NOVA

—তুমি!

আমার চিৎকারে অপরপাশে থাকা ব্যক্তিটা কানে হাত দিয়ে বললো,
— চুপ কর নোভি। আমার কান গেলো।

আমি এগিয়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম
— নূর আপি তুমি! তুমি তো অনেক বড় সারপ্রাইজ দিয়ে দিলা৷ কার সাথে এলে?

— তোর মামীর সাথে।

— মামী কোথায়?

— ভেতরে।

— তুমি আসবা তা কালকে বললা না কেন?

— এটাই তো সারপ্রাইজ।

— হুহ যাও কাট্টি তোমার সাথে। তুমি বলো নাই।

নূর আপি আমার কান টেনে ধরে বললো,
— তোর কাট্টি বের করতাছি।

— আহ্ নূর আপি ছাড়ো। ব্যাথা পাচ্ছি তো। তোমরা পইছো কি হুম?একজন রাগলে চুল টানে, আরেকজন কান। আমি কি লুটের মাল নাকি?

— কে আবার চুল টানে?

— কে হতে পারে বলো? তায়াং ভাইয়া ছাড়া কি অন্য কারো সাহস আছে?

— একদম ঠিক করে।

নূর আপি আমার কান ছেড়ে দিলো।আমি তন্বীর দিকে তাকিয়ে বললাম
—ঐ ছেমড়ির কি হইছে? পিঠে হাত দিয়ে বসে আছে কেন?

নূর আপি মিটমিট করে হেসে বললো,
— ওর পিঠেও একটা তাল ফালাইছি।

— আহারে বেচারীর মেরুদণ্ড বোধহয় ভেঙে ফেলছো।

কথাটা বলে আমরা দুজন একসাথে হো হো করে হেসে উঠলাম। তন্বী আমাদের দিকে তাকিয়ে কাঁদো কাঁদো ফেস করে বললো,

— হুম হাসো, হাসো।বেশি করে হাসো তোমরা। দিন আমারও আসবো। আর নূর আপি কেউ এমনে মারে?আমার পিঠ বাঁকা হয়ে গেছে।

নূর আপি তন্বীর সামনে গিয়ে বললো,
— কি বললি আবার বল? তোদের দুটোকে তো আরো জোরে মারা উচিত। তোদের কল দিয়ে পাওয়াই যায় না। কি বিজি মানুষ! অনলাইনে থাকলেও নো রিপ্লাই। এই জন্য আসতে চাইনি। মা জোর করে নিয়ে এলো।

তন্বী মুখ ভেংচি দিয়ে বললো,
— আসছো কেন তাহলে চলে যাও।

— এখন তো তুই বললেও যাবো না। আমার আন্টির বাসায় আসছি তোকে বলে কি যাবো?

আমি দৌড়ে এসে দুজনকে হাত দিয়ে থামিয়ে বললাম,
— থামো, থামো। ঝগড়া করো না বাচ্চারা। ঝগড়া করা ভালো নয়।

নূর আপি দাঁত চেপে বললো,
— ঝগড়া করা ভালো না। তোর ভালো ছুটাইতাছি। তোরে তো আমি এখন বানামু।

— ধরতে পারলে তো বানাবে। আমি এখন দৌড়ে মামীর কাছে চলে যাবো।

আমি দাঁত কেলিয়ে দৌড় লাগালাম। নূর আপি অল্প একটু ধাওয়া করেছিলো। আমি তার আগেই ছুট। আমার দুই মামা। বড় মামার তিন মেয়ে। তাদের কোন ভাই নেই। নূর আপি বড় মামার ছোট মেয়ে। বড় দুই আপুর বিয়ে হয়ে গেছে। বড় আপুর দুই ছেলে,
মেজো আপুর এক ছেলে। তারা তাদের শ্বশুর বাড়ি থাকে। নূর আপি এখনো অবিবাহিত। নূর আপির পুরো নাম আয়েশা খান। ডাকনাম নূর।পড়াশোনা শেষ করে একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে।ছোট মামার দুই মেয়ে। তারও কোন ছেলে নেই। আর আমারও ভাই নেই। সাধারণত দেখা যায় ভাগ্নিরা মামার পাগল হয়।কিন্তু আমরা উল্টো। আমি,ইভা, তায়াং ভাইয়া, তন্বী এই চারজন দুই মামীর পাগল। মামী বলতে আমরা অজ্ঞান। আমাদের দুই মামীর মতো মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি। তারাও ভাগ্নে-ভাগ্নী পেলে বাকিসব ভুলে যায়। আমার দেখা বেস্ট মামীদের মধ্যে আমার দুই মামী আছে। হয়তো ভাবছেন একটু বেশি বলছি। কিন্তু না আমি আরো কম বললাম। তাদের গুণগান সারাদিনও শেষ করতে পারবো না।

দৌড়ে গিয়ে খালামণির রুমে চলে গেলাম। বড় মামী সবেমাত্র বোরখা খুলে ফ্যানের নিচে বসেছে।আমি গিয়ে কুশালদি জিজ্ঞেস করলাম।

— আসসালামু আলাইকুম মামী। কেমন আছেন?

— আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি মামী। তুমি কেমন আছো?

— আলহামদুলিল্লাহ। পথে আসতে কোন অসুবিধা হয়নি তো?

— না কোন অসুবিধা হয়নি। সকাল সকাল চলে আসছি। তাই যামেও পরতে হয়নি। গুলিস্তান থেকে একেবারে ডাইরেক্ট সিএনজি নিয়ে চলে এলাম।

— ও তাহলে সিএনজি দিয়ে আপনারা আসছেন। আমি ভাবলাম কোন ফ্ল্যাটে আবার মেহমান এলো।এখন দেখি আমাদের ফ্ল্যাটেই।

মামী খালামণিকে জিজ্ঞেস করলো,
— তানভীরের মা, তানভীর কোথায়?

খালামণি বড় করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
— একটু আগে বন্ধুগো নিয়া বের হয়ে গেলো। তার কত কাজ আছে না। এর একটা গতি করতে পারলে ওর আব্বুর আর আমার একটু শান্তি হইতো। সারাদিন টই টই করে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে, আড্ডা দিয়ে বেড়ায়।

আমি মুখ টিপে হেসে বললাম,
— খালামণি তায়াং ভাইয়া কাজ করেতো। এই যে টো টো কোম্পানির ম্যানেজার। সারাদিন টই টই করে ঘুরাও তো একটা কাজ। সেটা বা কয়জন পারে।

খালামণি আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
— হইছে আর ভাইয়ের গুণগান গাইতে হবে না। যা গিয়ে তোর মামীর জন্য এক গ্লাস লেবুর শরবত বানিয়ে নিয়ে আয়। তন্বীকে বললাম কিন্তু ওর কোন খবর নেই।

— তন্বীর হয়তো মনে নেই। আমি নিয়ে আসতেছি।

আমি বের হয়ে দরজা পর্যন্ত আসতেই বড় মামী ডাকলো,
— নোভা শুনো।

— জ্বি মামী।

— এখন এতো তাড়াহুড়ো করতে হবে না। আমি তো আছি। কয়েকদিন থাকবো।তাই এতো ব্যস্ত হওয়ার কিছু নেই। তুমি আমার পাশে বসো। তোমার শরীর কেমন এখন?

— আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায়
আলহামদুলিল্লাহ ভালো।

—গত সপ্তাহে তোমার কি অবস্থা গেলো। আমার শরীরও ভালো ছিলো না। নয়তো পরেরদিন চলে আসতাম। তখন আসতে পারিনি বলে এখন চলে এলাম। কালকের থেকে শরীরটা একটু ভালো। তাই নূররে বললাম চল তোর আন্টির বাসা থেকে ঘুরে আসি। কবের থেকে সবাইকে দেখি না। তাছাড়া আমার বড় ভাগ্নির কি অবস্থা গেলো একটু দেখাও করতে পারলাম না। কালকে রাতে হুট করে ঠিক করলাম আজকে এই বাসায় আসবো। তাই চলে এলাম।

— আমিও তো বলতেছি খালামণি তো কিছু বললোও না। আপনারা আগে থেকে জানায় আসলে তো খালামণি বলতোই। মামার শরীরটা কেমন?

— আছে আলহামদুলিল্লাহ। তোমার মামা তিনদিনের তাবলীগে গিয়েছে সেই সুযোগে আমরাও চলে এলাম।

— একদম ভালো করছেন। আপনি বসেন আমি আসতেছি। এতদূর থেকে যার্নি করে আসছেন। এখন একটু বিশ্রাম নেন। খালামণি তুমি একটু কিচেনে আসো। সকালে কি রান্না করবা হেল্প করে দিবোনি। আজ আর কলেজ যাবো না😁। বাসায় মেহমান রেখে কলেজ যেতে ইচ্ছে করছে না।

খালামণি বাহুতে আলতো করে চাপর মেরে বললো,
— এই তো পাইছে দুই বোন ছুতা। মামী আসছে সেই খুশিতে ভাগ্নীরা বাসাই থাকবে।

খালামণির কথা শুনে মামী মুচকি হাসলো। আমি দাঁত কেলিয়ে কিচেনের দিকে ছুটলাম। কি মজা আজ কলেজে যাবো না। ইউরেকা🥳।

💖💖💖

পরেরদিন সন্ধ্যায়……..

দুইদিন ধরে আমি ও তন্বী দুজনের কেউ কলেজে যাইনা। মামী, নূর আপি এসেছে সেই ছুতোয় কলেজ যাওয়া বন্ধ। গতকালও যাইনি। আজও নয়। তায়াং ভাইয়া দুদিন ধরে সকাল সকাল বের হয়ে যায়। বাসায় ফিরে রাত দশটার পর। এসে খেয়ে, ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পরে। তাই আমাদের খোঁজ খবরও নেয় না। সেই সুযোগে আমরা কলেজ ফাঁকি দেই। মাগরীবের আজান হচ্ছে। আমরা তিন বোন মিলে লুডু খেলছি। নূর আপি, তন্বী মিলে আনার সব পাকনা গুটিগুলো খেয়ে কাঁচা করে দিয়েছে। তার মধ্যে একটা ছক্কাও উঠছে না যে আমি একটা গুটি উপরে উঠাবো সেই দুঃখে আমার এক গ্লাস পানিতে ডুবে মরতে ইচ্ছে করছে। খেলায় টানটান উত্তেজনা। তখন পাশের রুম থেকে খালামণি আমায় ডেকে বললো,

— নোভা, এই নোভা।

আমি এতোই খেলায় মগ্ন যে খালামণির কথা শুনতে পেয়েও উত্তর দিতে ভুলে গেছি। নূর আপি আমায় ধাক্কা মেরে বললো,

— এই নোভি, আন্টি তোকে ডাকে।

আমি চেচিয়ে উত্তর দিলাম,
— হ্যাঁ খালামণি বলো।

— তোর তায়াং ভাইয়ার রুমের জানালাগুলো একটু বন্ধ করে দে। আজান দিতেছে। ঐ রুমের জানালা, বারান্দার দরজা কিছুই আটকানো হয়নি। আর এখন খেলা বন্ধ কর। আজান দিছে ওযু করে নামাজ পরে নে। যদি খেলার তালে নামাজ কাযা করিস তাহলে তিনটারই খবর আছে।

— আচ্ছা খালামণি আমি বন্ধ করে দিতেছি।

খেলা ছেড়ে উঠে তায়াং ভাইয়ার রুমে গেলাম। দরজা,জানালা বন্ধ করে লাইট ধরিয়ে দিলাম। আসার সময় চোখ পরলো ছোট টেবিলের ওপর কালো একটা ডায়েরির দিকে।সেটা হাতে নিয়ে কপাল কুঁচকে তাকালাম। নিজের মনে বিরবির করে বললাম,

— এটা আবার কার? তায়াং ভাইয়াকে তো কখনো ডায়েরি লিখতে দেখি নি। যার মন চায় তার হোক বাবা। আমি অন্যের জিনিস ধরছি না। না বলে ধরাটা ঠিক হবে না।

উপরে বড় করে ইংরেজিতে তানভীর লেখা। এতে সিউর হলাম এই ডায়েরি আমার গুনধর ভাইয়ের।
ভীষণ কৌতুহল লাগছে ভেতরে কি লিখা আছে তা নিয়ে। কিন্তু অন্যের জিনিস না বলে ধরাটাও একটা অন্যায়। তাই ডায়েরিটা না খুলে যথাস্থানে রেখে দিলাম। টেবিলের সাইড কেটে যাওয়ার সময় তার পায়ার সাথে বারি খেয়ে ধপাস করে পরে গেলাম। ব্যালেন্স রাখতে টেবিলের ওপরের দিকটা ধরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ফলাফল জিরো। টাখনুতে বেশ ভালো ব্যাথা পেয়েছি। নিচে বসেই পা ধরে ডলতে লাগলাম। চিন চিন ব্যাথা করছে।তখুনি ধপ করে মাথার ওপর ডায়েরিটা পরলো।আউচ বলে মাথাও ধরলাম। ডায়েরিটা আমার কোলে মেলে পরেছে।

যখন ব্যালেন্স রাখতে চেয়েছিলাম তখন ডায়েরিটা টেবিলের কোণার দিকে ছিলো। হাত লেগে অল্প একটু বেজে ছিলো। আরেকবার নাড়া খেতেই আমার মাথার ওপর পরেছে। পৃথিবীর যতকিছু আছে সবকিছুর সাথে আমার খালি ধাক্কাই লাগে। আর আমি শুধু ব্যাথাই পাই। ডায়েরিটা দুই পার্টে পুরো খুলে আছে। সেদিকে চোখ যেতেই চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেলো। এক পৃষ্ঠায় ছোট করে লিখা, “অনেক ভালোবাসি”। তার নিচে ছোট করে একটা নাম লেখা,যেটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না দূর থেকে।এতটুকু দেখে অনেক বেশি কৌতুহল হলো। ডায়েরি হাতে নিয়ে নিচের নামটা পড়ে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। সবাই দাঁড়ানো থেকে বসে পরে আর আমি বসা থেকে দাড়িয়ে গেলাম। ব্যাথার কথাও ভুলে গেছি। নামটা দিকে আমি অবিশ্বাস্য চোখে তাকিয়ে রইলাম।

মনে হচ্ছে কেউ দ্রুত পায়ে এই রুমের দিকেই আসছে। কিন্তু আমি ডায়েরি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। মিনিট দুই পর বাইকের চাবি আঙুলের ডোগায় ঘুরাতে ঘুরাতে রুমে ঢুকলো তায়াং ভাইয়া। চাবিটা বিছানায় ছুঁড়ে মেরে আমার দিকে না তাকিয়ে বললো,

— কি রে শাঁকচুন্নি, তুই আমার রুমে কি করিস?

প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েই সে তার হাতের ব্যাসলাইট খুলতে ব্যাস্ত হয়ে গেলো। আমার কোন শব্দ না পেয়ে আমার দিকে তাকালো। তারপর ঝড়ের গতিতে এসে আমার থেকে ছোঁ মেরে ডায়েরি কেড়ে নিয়ে রেগে ঝাঁঝালো গলায় বললো,

— তুই এই ডায়েরি কার অনুমতি নিয়ে ধরছিস?

আমি ওর দিকে নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে রইলাম।তারপর নিরবতা ভেঙে ওর দিকে দৃষ্টি রেখেই ছলছল চোখে বললাম,

— এতো ভালোবাসিস! তাহলে বলে দিলি না কেন?

#চলবে

আসসালামু আলাইকুম। সবার প্রশ্ন তৃতীয় ব্যক্তিটা কে? এটা আমি ইচ্ছে করে রহস্য রেখে দিয়েছি।একটু অপেক্ষা করুন সেটাও সামনে আসবে। এই গল্পে ভিলেন আনার কোন ইচ্ছে নেই। তবে পরবর্তীতে কি হবে বলতে পারছি না। আরেকটা কথা। আমি আর বোনাস পর্ব দিবো না। আপনাদের অনুরোধে বোনাস পর্ব দেই। কিন্তু আপনাদের রেসপন্স দেখে আমি হতাশ হই। আর যারা বোনাস পর্ব পড়েননি তারা পড়ে নিন।কারণ বোনাস পর্ব ছাড়া এই পর্ব কিছুই বুঝবেন না।

গল্পের নিচে যে আমরা অনেক সময় গল্পের আলোকে কোন কথা কিংবা সমস্যার কথা উল্লেখ করে দেই সেগুলো কি আপনারা পড়েন না? আমি জানি বেশিরভাগ মানুষই পড়েন না। শুধু গল্পর নিচে চলবে অব্দি পড়ে শেষ,আর কিছুর দরকার নেই। নিচে যা খুশি তা লিখুক আমাদের কি?আমরা শুধু চলবে অব্দি গল্প পড়েছি তাতেই সব শেষ হয়ে গেছে। সবাই নয়, অনেকে এমনটা করেন। এমনটা করা বন্ধ করুন। অনেক সময় গল্পের নিচে আমরা আমাদের অসুস্থতা,অসুবিধার কথা, গল্প নিয়ে কথা কিংবা প্রশ্ন করে থাকি। সেগুলো এড়িয়ে যাবেন না। দুই-এক দিন গল্প না দিলে সেই বিষয়টাও নিচে অনেকে লিখে দেই।সেটা তো হাতে গুণা কয়েকজন ছাড়া বাকিরা ভুলেও পড়েন না। যখন দুই দিন পর গল্প দেই তখন চিল্লান, “আপু এই দুই দিন গল্প দেন কেন?” আপনি জানবেন কি করে? আপনি তো এর আগের পর্ব লেখিকার নিচের লিখাটুকু পড়েননি।

চলবের পরে যদি লেখিকা কিছু লিখে তাহলে সেটুকুও পড়ে নিবেন। আমাদের উপরে লিখে দিতে হয় নিচের কথাটুকু পড়ে নিবেন। তবেই আপনারা পড়েন।আপনারা এড়িয়ে যান বলে আমাদের উপরে লিখে দিতে হয়। অনেকদিন খেয়াল করেছি বলে আজ বললাম। চলবের পরের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েন। অনেক সময় অনেক সমস্যার কথাও আমরা লিখে দেই।আর হ্যাঁ, আমাকে কথা শোনানোর আগে আরেকবার লিখাটা পড়ে নিয়েন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here