গ্রামের ছেলেটি -(পর্ব- ১৬ তম)

0
389

#গ্রামের_ছেলেটি

পর্ব- ১৬ তম

স্বপন

রাজিবের মা নিলিমার কাছে এসে বসে আমি রাজিবের কাছে যাই।
রাজিবের মা নিলিমার কাছে ওর শরিরের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করে তার পর নিলিমাকে বলে,,,,

,,,নিলিমা তোমার কাছে কিছু জানতে যাইবো,,,,

নিলিমা আন্টির কথা শুনে অবাক হয়ে যায়, নিলিমা মনে করেছে , হয় তো আন্টি আমাদের কথা বাইরে থেকে শুনে ফেলেছে, তাই নিলিনা ঘাবরে যায়, কাপা কাপা গলায় বলে,,

,,,কি আন্টি বলুন,,
,,,আরে তেমন কিছু না, শিমুলের সম্পর্কে কিছু জানার ছিলো,,,
,,,শিমুলের ব্যাপারে কেন আন্টি কিছু হয়েছে নাকি,,,

তারপর আন্টি বলে, আমার আর তামান্না বিষয়ে। আমাকে আর তামান্নাকে না দেখলেও কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছে। আমাকে বের হতে দেখার পর তামান্নাকে আসতে দেখে

আন্টিঃ আমাকে বলে ও নাকি শিমুলকে ভালোবাসে, তাকে না পেলে নাকি মরে যাবে। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না।

আন্টির কথা শুনে নিলিমার মুখে মেঘের মতো ছায়া নেমে আসে। নিজের অজান্তেই মনের ভিতরে হারানো ভয় কাজ করছে নিলিমার। আন্টি কি বলছে তা নিলিমার সেদিকে কোন মন নেই, সে শুধু শিমুলের কথা ভাবছে। কিন্তু কেন এতো ভাবছে নিলিমা তা হয় তো তার বুঝতে দেরি হয় নি৷ পুরো ক্ষনেই আন্টির ডাকে নিলিমার ঘোর কাটে,,,,

নিলিমাঃ হা,,,,
আন্টিঃ কি হয়েছে তোমার সেই কখন থেকে তোমাকে ডেকে যাচ্ছি।
নিলিমাঃ না কিছু হয় নি, তামান্না সিমুলকে বলেছে এসব।
আন্টিঃ ওতো বলল বলেছে, সিমুল নাকি ওকে মানা করে দিয়েছে। এখন তুমি যদি কিছু করতে,,
নিলিমাঃ আমি এখানে কি করতে পারি,,,
আন্টিঃ দেখো সিমুলকে বলে ও যদি তোমার কথা শুনে হয় তো না করতে পারবে না।
নিলিমাঃ আমার মনে হয় না সে আমার কথা রাজি হবে আপনি বরং বলে দেখুন হয় তো আপনি বলায় রাজি হয়েও যেতে পারে,,,,
আন্টিঃ আমি বলল,,,

কিছু একটা চিন্তা করে আমাকে ডাকে এনে, এখন আমি নিলিমা আর আন্টি তিন জন। সবাই চুপ করেছে কেউ কিছু বলছে না। আমি জিজ্ঞেস করি৷,

আমিঃ কি হয়েছে কেউ কিছু বলছে না কেন,,?
নিলিমাঃ আসলে আন্টি তোমাকে কিছু বলতে চায়,,

এরপর আন্টির কথা শুনে আশ্চর্য হয়ে যাই। আমি না বলা সত্যেও তামান্না ওর মাকে যানিয়েছে। আমি নিলিমার দিকে তাকালে নিলিমা ও আমার দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে আমি কি বলব তা শোনার জন্য। আমি আন্টিকে বলি, আমি তামান্নাকে বলেছি যা বলার আমি পারবো না।

আমার এই কথা শুনে নিলিমা একটু খুসি হয়েছে দেখে বুঝতে পারছি। তারপর তিনি আমাকে অনেক ভাবে বুঝায় শেষ মেশ আমি বলি আমার মায়ের কথা তিনি আমার বিয়ের ব্যাপারে ঠিক করবেন। আমি তার মত না নিয়ে কিছু করতে পারবো না বিয়ের বিষয় এ।

আন্টিঃ একটা তো ভালো কথা, ঠিক আছে তোমার মা কোথায় থাকে আমায় তার ঠিকানা দেও আমি গিয়ে তার সাথে কথা বলব,।
আমিঃ মা গ্রামে থাকেন,,
আন্টিঃ আচ্ছা তাহলে আমাকে তোমার গ্রামের ঠিকানা দেও,,,,

আমি তাকে আমার গ্রামের ঠিকানা দিয়ে দিলাম। নিলিমা আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে। আমি কিছু জিজ্ঞেস করি না, যা হবার হবে এসব নিয়ে এখন ভেবে কি হবে।

,,,,,,

সকালে রাকিব বাসায় একা বাইরে কেন যেন,, রাকিব দরজা খুলতেই চোখ মাথায়,,
রাকিব তাকিয়ে দেখে রাইসা রাগে আগুন হয়ে গেছে।

রাকিবঃ তুমি এখানে,,,

রাইসা রাকিবের কথার কোন উত্তর না দিয়ে ভিতরে চলে গেলো,,,

রাইসাঃ তুমি কাল রাকিব(একটু থেকে বলে) মুসাব্বিরকে মেরেছ,,,
রাকিবঃ তুমি বসো আমি সব কিছু খুলে বলছি,,,
রাইসাঃ না আমি যা জিজ্ঞেস করেছি তার জবাব দেও আমি যা শুনেছি তা কি ঠিক,,,,
রাকিবঃ,,, হা,,, কেন মে,,,(বলতেই চর মারে রাইসা রাকিব কে)
রাইসাঃ আমি নষ্ট মেয়ে তাই না,,,তোমাকে ভালো ভেবে আমার পিছনের সব কথা বলেছি। আর তুমি আমাকে এতোটা খারাপ ভাববে তা যানলে আমি কোন দিনো তোমার সাথে শেয়ার করতাম না। তোমাদের মতো ছেলেদের কারনে মেয়েদের খারাপ হতে হচ্ছে।
রাকিবঃ বিশ্বাস করও আমি এসবের কিছু বলি নি, আর আমি কেন বা এসব বলতে যাবো। শান্ত হয়ে বসে আমার কথাটা একটু বোঝার চেষ্টা করো, ওই ছেলে উল্টো তোমায় নিয়ে এসব বলেছে,,,
রাইসাঃ দেখো কে সত্যি আর কে মিথ্যে বলছে তা তো আমি নিজেই দেখতে পাচ্ছি,,আমি এসব ওর কাছে বলি নি, তাহলে কিভাবে যানবে হুম,,,
রাকিবঃ আমি কি করে বলব,,কিন্তু বিশ্বাস করো আমি কিছু বলি নি।

রাইসা রাকিবের কোন কথা না শুনে চলে গেলো রাকিব রাইসার পিছনে পিছনে চলে গেলো। রাকিব এতো করে বলে কিন্তু রাইসা তার কথা শুনেছে না। রাইসা চলে গেলো রাকিব সেদিকেই তাকিয়ে আছে আমি ওকে গিয়ে বলি কি হয়েছে।

তারপর রাকিব সব কিছু বলে কি হয়েছে,

আমিঃ কি বলিস কেন তুই সব কিছু খুলে বলতি কেন তুই অকে মেরেছিস,।
রাকিবঃ রাইসাকে বলেছে উল্টো আমি নাকি রাইসার নামে খারাপ খারাপ কথা বলেছি।
,,,,,,,
কিছুদিন পর নিলিমাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়৷ নিলিমা এখনো ঠিক ভাবে হাটতে পারে না,। নিলিমার আমি নিলিমাকে ধরে ওর রুমে নিয়ে যাই,আমার সাথে অংকেল ও আসে নিলিমার রুমে । নিলিমাকে বিছানায় শুয়ে দেই। আংকেল চলে গেলেন বাইরে আমি নিলিমাকে বললাম, ” আচ্ছা তোমার দেখা শোনা করার জন্য কাউকে বলো নি”.। নিলিমা আমার কথা শুনে বলে,,

নিলামঃ কেন তুমি থাকতে আবার অন্য কেউ কেন,,,
আমিঃ মানে আমি এখন তোমার বাসাও সেবা করতে হবে, এটা কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে।
নিলিমাঃ হুম তাই তো তুমি তো এখন তামান্নাকে নিয়ে ঘুরবে ফিরবে, আমার কাছে থাকবে কেন এখন।

নিলিমার মুখ কালো করে বলে, আমি ও ওর কথায় বলি,,,
আমিঃ হুম ঠিকি ধরেছো আমি যদি এখন তোমার বাসায় থাকি তাহলে তারা যদি আবার সন্দেহ করে বসে যে তোমার আর আমার মধ্যে কিছু আছে।
নিলিমাঃ বাহ এখনি আমাকে ভুলে গিয়ে তামান্নাকে নিয়ে তোমার চিন্তা
আমিঃ আমি তামান্নার কথা বলি নি রাজিবের কথা বলেছি।

নিলিমার বিছানা থেকে একা দাড়াতে যায়, আমি দেখে ওকে ধর‍তে যাই,,

আমিঃ কি হয়েছে উঠছো কেন,,,,

নিলিমা আমাকে সরি দেয়ার চেষ্টা করে আমি ওকে তার পর ধরে বলি,,,

আমিঃ দেখছো দাড়াতে পারছো না তারপরো তোমার জিদ কমে না।
নিলিমাঃ আমার কারাও ধরা লাগবে না, আমি একাই পারবো,,(এই বলে আমালে ছাড়িয়ে হাটতে যায় কিন্তু পারে না)
আমিঃ হুম সেটা তো দেখতেই পাচ্ছি,(নিলিমা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছে ইনোসেন্ট কিছু জানে না, কিন্তু এই ইনোসেন্ট এর মধ্যে যে কি অহংকার রাগ জেদি মেয়ে তা কেউ দেখলে বুঝবে না।)
নিলিমাঃ কি হলো,,,
আমিঃ কিছু না,, কোথায় যাবে,,,
নিলিমাঃ ওয়াশ রুমে যাবো,,,

আমি নিলিমাকে ওয়াশ রুমে দিয়ে বাইরে আসি। আমি নিলিমার কথা ভাবতে থাকি নিলিমা কি করতে চাচ্ছে বুঝি না আমার সাথে এরকম আচরণ করছে কেন।

কিছুক্ষন পর নিলিমা ওয়াশ রুম থেকে আমাকে ডাক দিলো আমি গিয়ে জিজ্ঞেস করি ,,,

আমিঃ কি হয়েছে,,,
নিলিমাঃ আমার তোয়ালেটা দেও তো,,,

আমি গিয়ে নিলিমার তোয়ালে নিয়ে আসি। নিলিমা মুখে পানি দিচ্ছে আমাকে আয়নায় আমাকে দেখে ভিতরে যেতে বলে। আমি বাইরে দাঁড়িয়ে তোয়ালে দেই। নিলিমাকে কাছে যেতে নিলিমা বলে,,

নিলিমাঃ আচ্ছা আমি তোমার এতো কাছে যাই তোমাকে জড়িয়ে ধরি। তোমার ভিতরে কিছু হয় না,,,( আমার খুব কাছে মুখের সামনে এসে বলে)
আমি ওর ওই নেশা ভরা চোখের দিকে তাকিয়ে আছি,,,
আমিঃ কি বলছ চাচ্ছ তুমি,,,
নিলিমাঃ মানে তোমার শারিরীক কোন সমস্যা আছে নাকি,,( মুচকি হাসি দিয়ে বলে)
আমিঃ কি বলছ এসব আর যাই বললো একজন পুরুষ মানুষের পুরুষত্ব নিয়ে কথা বলবে না, একটা পুরুষ কি করতে পারে দেখবে,,
নিলিমাঃ ঘোড়ার ডিম করতে পারে,,(এই বলে নিলিমা আমার সামনে থেকে সরে যাওয়া ধরে)

আমি নিলিমার কমড়ে হাতদিয়ে আমার কাছে টান দিয়ে আনি। নিলিমা কিছু বলছে না, আমার দিকে মায়াবি চোখে তাকিয়ে আছে। মুখে মৃদু হাসি আমি আর নিজেকে সামলাতে না পেরে নিলিমাকে কিস করে দিলাম ওর ঠোঁটে। নিলিমাও আমাকে মানা করলো না, কিছুক্ষন পর নিলিমার ফোনটা বেজে উঠল। আমি ছেড়ে দূরে সরে দাঁড়িয়ে আছি, নিলিমা মাথা নিচু করে আছে ওর মুখে হাসি,। আমি ভাবতে লাগলাম কি করলাম এসব,। আমি নিলিমার দিকে না তাকিয়ে ভাবছি। ফোনটা বাজতে বাজতে কেটে যায়। নিলিমাকে ওর বিছানায় দিয়ে আসতে বলে। আমি ওকে ধরে আনতে গেলে বলে ওকে কলে করে নিতে।

আমিঃ তুমি কি পাগল নাকি এরকম কেন করছো তুমি,,
নিলিমাঃ জানি না,,, আমি বলে নিতে নিবে।

আমি আর কিছু না বলে ওকে কলে করে নিয়ে বিছানায় বসাই। ফোন আবার বেজে উঠল, আমি গিয়ে ফোনটা নিয়ে দেখি রাজিবের ফোন, এসে নিলিমার কাছে দেই। ফোনের তাকিয়ে দেখে আমার দিকে তাকায় আমি কিছু না বলে বাইরে চলে আসি । স্যার সোফায় বসে টিভি দেখছে আমাকে দেখে বসতে বলে,,,

স্যারঃ নিলিমা কি করছে,,
আমিঃ ফোনে কথা বলছে রাজিবের সাথে,,,
স্যারঃ ওহ তাই,,, তোমার বাড়ির সবাই কেমন আছে, জামেলার কারনে তোমার সাথে বসে কথাই হয় না ভালো করে।
আমিঃ সবাই ভালো আছে,,
স্যারঃ তোমার বোনকে আর মাকে একদিন নিয়ে এসো। তোমার বোন তো পড়াশোনা করে তাই না,,
আমিঃ হ্যা,, অনার্স করতেছে,,,,
স্যারঃ ভালো,,, তাদের এখানে নিয়ে আসলেই তো পারো,,
আমিঃ দেখি এবার গিয়ে নিয়ে আসবো,,,

তারপর আমি নিলিমার দেখা শোনার জন্য কাউকে বলেছে কিনা তা জিজ্ঞেস করলে বলে হ্যা তার না এখন আসার কথা।

এরি মধ্যে নিলিমার ফোন আসে,,,

আমিঃ হ্যা বলো,,,
নিলিমাঃ কোথায় তুমি,,,চলে গেছো নাকি,,
আমিঃ হ্যা,,,
নিলিমাঃ কেন আমি তোমাকে যেতে মানা করলাম তারপরো চলে গেলে কেন,,,

নিলিমা শুরু দেই বলা,,আমি কান থেকে ফোন নামিয়ে নিয়ে হাসতেছি,,হটাৎ নিলিমার চিতকার। আমি শুনে ভয় পেয়ে যাই কি হলো আবার, আমি আর স্যার গিয়ে দেখি নিলিমার রুমে,,,

স্যারঃ কি হয়েছে মা,,, (স্যার ভয় পেয়ে বলে)

আমি স্যার এর পিছনে দারিয়ে নিলিমা আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।
নিলিমাঃ কিছু হয় নি বাবা, এমনি পায়ে কেমন যেন ব্যাথা করেছে তাই,,
স্যারঃ কি বলিস তাহলে তো ডাক্তার কে কল করি,,
নিলিমাঃ না বাবা তার আর দরকার নেই, তুমি যাও ,,( আমার দিকে দাত কামড়ে বলে)
আমি মনে মনে ভাবি এখন আবার কি করে আল্লাহ জানে,। আমাকে ওর পাশে বসতে বলে আমি গিয়ে বসে পরি,,,

আমিঃ কি হয়েছে এভাবে চিতকার করলে কেন শুধু শুধু জানো আমরা কত ভয় পেয়েছি। ভেবেছি কি জানি আবার হয়েছে।

নিলিমা আমার দিকে রাগি ভাবে তাকিয়ে আছে, আমাকে ওর কাছে টেনে নিয়ে বলে,,,

নিলিমাঃ তোর তামান্না কাছে যাওয়ার এতো তারা কিসের,।
আমিঃ কিসব ভুলভাল বলছ বুঝতে পারছো,,,(আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে)
নিলিমাঃ তুমি কি সত্যি তামান্নাকে বিয়ে করবে,,
আমিঃ তা নয় তো কি তুমি তো বিনদাস আছো রাজিবকে নিয়ে আর কিছুদিন পর তাকে বিয়েও করবে। আমি কি করবো আজিবন অবিবাহিত থাকবো,।

নিলিমা আমাকে ওর কাছে নিয়ে আবার কিস করে বলে,,

নিলিমাঃ তুই শুধু আমার, তামান্নাকে বিয়ের কথা ভুলেও যেন তোর মুখে না শুনি,,,আমি সব সময় তোকে আমার চোখের সামনে রাখি কি খালি খালি। আমি আগেই বুঝেছিলাম তামান্না তোমাকে পছন্দ করে, তাই তো তোমাকে হাসপাতালে আমার চোখের সামনে রাখি।

নিলিমার কথা নিলিমার এসব আচরণ দেখে অবাক,,

আমিঃ শুধু শুধু এসব করে কি হবে বলো, তোমাকে আংটি পড়ানো হয়ে গেছে তারপর বিয়ে।
নিলিমাঃ সেটা আমি বুঝবো, তোমাকে যেন তামান্নার ধারে কাছে না দেখি তাহলে তোমার খবর আছে।

স্যার এসে পরে নিলিমার রুমে আমি তাকে দেখে দাঁড়িয়ে যাই, আমি স্যার এর সামনে নিলিমাকে বলি আমি চলে যাই আবার কাল আসবো। স্যার আমাকে বলে খেয়ে যেতে আমি না বলি, নিলিমার জন্য যে মেয়েকে বলেছে সে এসে পরেছে। তাই আমি ও চলে
আসি।
বাসায় এসে দেখি রাকিবের একে বারে বেহাল অবস্থা,,

আমিঃ কিরে তুই তো দেখি আমার থেকেও বেশি অবস্থা খারাপ। রাইসার তোকে পুরোই দিয়েছে,,,,
রাকিবঃ কি,,,
আমিঃ কি আবার ছ্যাঁকা,,,

আমার কথা শুনে রাকিব না করে বসে থাকে। আমি রাইসাকে ফোন করি, রাইসা ফোন ধরলে ওকে বলি দেখা করতে । প্রথমে না করলেও পরে আসতে রাজি হয়। আমি রাকিব কে বলি চল বাইরে যাই ও না জেতে চাইলে ওকে জোর করে নিয়ে আসি। রাইসাকে বলা জায়গায় আমি আর রাকিব বসে আছি।।

কিছু ক্ষন পর দেখি রাইসাও চলে এসেছে, আমাদের কাছে এসে বলে,,,

রাইসাঃ কি খবর তোর তোকে তো দেখাই যায় না ভালোই চাকরি করিস অফিসে না গেলোও বেতন পাচ্ছি। আর আমরা কাজ করতে করতে মরি।
আমিঃ তুই আবার জিজ্ঞেস করছিস কেমন আছি,,, (আমি রাকিব কে উদ্দেশ্য করে বলি)

রাইসা রাকিবের দিকে তাকিয়ে দেখে রাকিবের বেহাল অবস্থা রাকিব নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। রাইসার দিকে তাকাচ্ছে না, রাইসা ওর ব্যাগ থেকে কি যে বের করছে,,,

রাইসাঃ এই নে,,,
আমিঃ কি এটা,,, দেখে তো মনে হচ্ছে বিয়ের কার্ড তুই বিয়ে করছিস,,,,
রাইসাঃ সময় মতো চলে আসিস,,,
আমিঃ দুইটা কেন,ওহ ( আর একটা রাকিবের আমি ওর কাছে দিলাম)রাইসা একটা কথা বলবি তুই কি সত্যি রাকিবকে ভালোবাসিস না,,
রাইসাঃ সে কথা এখন বলে আর কি হবে বল, কেউ যদি সেটা টীকিয়ে রাখতে না চায় তাহলে আর আমার কি করার আসি বাবা তারাতাড়ি যেতে বলেছে বাসায়।
আমিঃ তারপর ও আমি যানি রাকিব ইচ্ছে করে ওকে মারেনি, তোর নামে বাজে কথা বলার কারণে একাজ করেছে।

রাইসা কিছুক্ষন রাকিবের দিকে তাকিয়ে থেকে চলে গেলো, রাইসা হয় তো ভেবেছে রাকিব কিছু বলবে। রাকিব শুধু চেয়েই রয়েছে কিছু বলছে না।

আমিঃ কিরে কিছু বললি না কেন তুই জোর না করে মানানোর চেষ্টা করবি তো নাকি।।
রাকিবঃ কি বলব ওতো ঠিকি ওর বিয়ের কার্ড দিয়ে গেলো আর তুই সেটা রাখলি,,,
আমিঃ বাহ রে ফ্রেন্ডের বিয়ে আর আমি যাবো না তা কি করে হয়।
রাকিবঃ তুই যাইচ আমি যাবো না আর ও আমাকে কার্ড দেয়ে কে আর তুই রাখবি কেন,,

এই বলে আমাদের দুইজনের কার্ড ফেলে দিলো।

আমিঃ এটা কি করলি তুই তোর টা ফেলতি আমারটা কেন, এখন কোথায় পাবো, তারিখ টাও দেখতে পারলাম না।

আমি আর রাকিব চলে এলাম বাসায়,। সকালে অফিসে চলে গেলাম অনেক দিন ধরে যাইনা। আর এখন যেহেতু নিলিমাকে দেখার মতো কেউ আছে তাই আর গেলাম না। অফিস শেষে নিলিমার বাসায় যাই, নিলিমা ফোন করেছিলো আমি অফিসে বলেছি। তাই নিলিমা অফিস শেষে ওর বাসায় যেতে বলেছে।

আমি নিলিমার বাসায় যেতেই নিলিমাকে কাছে ডেকে নিয়ে বলে ওকে ধরতে। আমি ওকে ধরে উঠিয়ে দাড় করাতেই নিলিমা আমাকে জরিয়ে ধরে।

আমিঃ কি করছো কেউ এসে পরলে ছাড়ো
নিলিমাঃ কেউ আসবে না,,,,আগে আমাকে একটা কিস করো তারপর,,
আমিঃ কি হলো এভাবে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই ছাড়ও।
নিলিমাঃ আগে,,,

তারপর দিলাম কিস তারপর নিলিমাকে বিছানায় বসিয়ে বলি,,

আমিঃ নিলিমা আমরা যা করছে তাকি ঠিক হচ্ছে,,,
নিলিমাঃ কিসের কথা বলছ,,
আমিঃ এই যে এসব,,
নিলিমাঃ তুমি কেন এখন এসব নিয়ে ভাবছ। আমি বাবাকে বলে রাজিবের পরিবাকে না বলে দিতে বলব।
আমিঃ তারা কি সেটা মানবে,,
নিলিমাঃ তুমি এসব নিয়ে কেন ভাবছো বললাম না আমি দেখছি।

এভাবে নিলিমার পাগলামি দিন দিন বারতে থাকে। একদিন আমি বাসার কাজ করছি হটাৎ আমার রুমে তামান্না চলে আসে এসে আমাকে পিছন থেকে ধরে,,

আমি ছাড়িয়ে ঘুরে দেখি তামান্না

আমিঃ তুমি এখানে দরজা খুলে দিলো কে,,
তামান্নাঃ মানে কেন আমি কি তোমার বাসায় তোমার রুমে আসতে পারবো না।
আমিঃ বাসায় আসতে পারো কিন্তু হুট করে রুমে এসে এভাবে ধরতে পারো না।
তামান্নাঃ কেন পারি না আর কিছু দিন পর তো আমাদের বিয়ে তাহলে সমস্যা কি৷
আমিঃ বিয়ে বললেই কি আর হয়,,,

এই বলে আমি রুমথেকে বের হয়ে যাই তামান্না ও আমার পিছনে পিছনে চলে আসতে লাগলে আমার ফোন বেজে উঠে। তামান্না সামনে তাকাতে দেখে আমি নেই তাই ও আমার ফোনটা হাতে নেয়। নিয়ে দেখে নিলিমার ফোন, তামান্না কল রিসিভ করে,,

তামান্নাঃ হ্যালো,,,
নিলিমাঃ কে আর এটা তো শিমুলের ফোন,,,
তামান্নাঃ আপু আমি তামান্না শিমুল তো রুমে নেই তাই আমি ফোন রিসিভ করেছি,,,
নিলিমাঃ শিমুল রুমে নেই মানে তুমি ওর রুমে কি করো এই সময়।।
তামান্নাঃ আসলে আপু কিভাবে বলব আমার লজ্জা করচ্ছে।
নিলিমা তামান্নার কথা শুনে রাগে ফোন কেটে দিয়ে। রাগে নাগিনের মতো করছে, আমাকে তখন কাছে পেলে,,,,,

আমিঃ তুমি আমার ফোনে কার সাথে কথা বলছ,,

,,,,,,চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here