তোমাকে খোঁজে- (পর্বঃ০৫)

0
357

তোমাকে_খোঁজে
পর্বঃ০৫

আদিবার পেট থেকে গলগল করে রক্ত বের হতে থাকে।নেহাল দেখেই সকট খাই।দ্রুত এসে আদিবাকে ধরে পেট থেকে ছুরিটা বের করে।তারপর আদিবাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে চিৎকার করে বলে, এ তুমি কি করলে জান? কেউ আছো….? ডাক্তার….? নেহাল চিৎকার করতে থাকে আর কাঁদতে থাকে।তারপর ডাক্তারকে ফোন করে দিলে আধা ঘন্টার মধ্যে ডাক্তার অপারেশনের সব জিনিসপত্র নিয়ে চলে আসে।আর বাড়িতেই আদিবার চিকিৎসা হয়।ডাক্তার নেহালকে বলে দেয় প্রচুর রক্ত ঝড়েছে চারব্যাগ রক্ত না হলে আদিবাকে বাঁচানো যাবে না।তারজন্য নেহাল নিজের শরীরের সবটুকু রক্ত পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত।কিন্তু ডাক্তার একজন মানুষের থেকে এতো রক্ত নিতে চাই নি।তাই নেহাল ভয় দেখিয়ে ডাক্তারকে বাধ্য করে আদিবাকে বাঁচানোর।রক্তের গ্রুপের মিল থাকায় আর নেহালের হুমকির ভয়ে ডাক্তারও রাজি হয়ে যায়।অতঃপর অপারেশন হয়।আর তা সাকসেসফুলি হয়।এক দিন পর গিয়ে আদিবার জ্ঞান ফেরে।

জ্ঞান ফিরতেই আদিবা চোখ মেলে মিটিমিটি করে চেয়ে দেখে একটা মেয়ে তার পাশে বসে আছে।মেয়েটাকে খুব চেনাচেনা লাগছে।ভালোভাবে তাকিয়ে দেখে, হ্যাঁ এতো মিতি।হালকা ভাবে কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে আদিবা মিতিকে ডাকতে যায়।আর ঠিক তখনই পেটে এক অসহনীয় ব্যাথা অনুভব করে।মিতি তার হাতের ম্যাগাজিনটা রেখে পিছনে ঘুরে তাকাতেই আদিবাকে চেয়ে থাকতে দেখে এক প্রকার জোড়েই নেহালকে ডেকে ওঠে।ভাইয়া! ভাইয়া! করে চিৎকার জুড়ে দেয় মিতি।বলে, তারাতারি এসো ভাইয়া ভাবির জ্ঞান ফিরেছে।মিতির চিৎকার শুনে নেহাল যে অবস্থাতে ছিলো ঠিক সেই অবস্থাতেই পাশের রুম থেকে ঢুলতে ঢুলতে চলে আসে।তখন আদিবাকে চারব্যাগ রক্ত দেওয়ায় নেহাল এখন বড় ক্লান্ত।পারছে না ঠিকভাবে দাড়াতে।রুমে এসে আদিবার কাছে বসলে আদিবার অসহ্য বোধ হতে লাগে।নেহাল আস্তে করে আদিবার মাথায় হাত রাখে তারপর আদিবাকে কিছু বলতে যায় তার আগেই আদিবা রাগ, ঘৃণা ও কস্টে নেহালকে এক ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়।সেই ধাক্কার তাল সামলাতে না পেরে নেহাল দুম করে নিচে পরে যায়।তারপর আস্তে করে নেহালের চোখদুটো বন্ধ হয়ে আসে।

মিতি গিয়ে নেহালকে ধরে উঠাতে থাকে। আর কাঁদতে কাঁদতে ডাকে নেহালকে, ভাইয়া! এই ভাইয়া ওঠ! চোখ খোল বলছি।আদিবার দিকে তাকিয়ে বলে, এটা তুমি কি করলে ভাবি? কিসের এতো রাগ তোমার আমার ভাইয়ের উপর যে এভাবে কস্ট দিচ্ছো ভাইয়াকে?

কস্ট? এই লোকটার আবার কস্ট আছে নাকি? একটা পাগল! উন্মাদ! যে নিজের খুশীর জন্য আমাকে এভাবে বন্দি করে রেখেছে।আমার পরিবার, বাবা-মা, ভালোবাসা সবকিছু আজ এর জন্য আমি হারিয়েছি।আর হ্যাঁ আমি একটা ভুল করেছি।তো কি হয়েছে? মানুষ চাইলে তো ক্ষমা করতে পারে। কিন্তু সে কি করলো এটা? তোমার ভাই কি এটা বোঝে না ভালোবাসা ধরে বেঁধে হয় না।এটা অর্জন করতে হয়। আদিবা কাঁদতে কাঁদতে বলে কথাগুলো।

তাই? এখন এতো কিছু বলছো।কই একদিন তো আমার ভাইকে তুমিই ভালোবাসা শিখিয়ে ছিলে।ভাইয়ের কি খেতে পছন্দ, কি কি ভালোবাসে সেগুলোই করে এসেছো।তাহলে আজ কি হলো ভাবি?

ভাবি? মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোমার।এই লোকটাকে আমি কখনো বিয়ে করবো না।দয়া করে এই নামে ডাকা বন্ধ করো আমায়।আর কি বলছিলে তুমি? ভালোবাসা! ওটা একটা খেলা ছিলো।কিন্তু তার জন্য সত্যিই আজ আমি অনুতপ্ত। আমাকে না বুঝিয়ে তোমার ভাইকে বোঝাও।কথাগুলো হাঁপাতে হাঁপাতে বলে আদিবা।

কিছুক্ষণ চুপ থেকে,,,কাকে কি বোঝাবো আমি? তুমি তো এটাও যানো না তোমার অজান্তেই আমার ভাইয়া তোমার স্বামী। কথাটা বলে নেহালকে নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায় মিতি।

চলবে,,,,,

(পরবর্তী পর্বগুলো আমার পেইজে দেওয়া হবে আমার প্রোফাইলে পেইজ এ গিয়ে চেক করে নিবেন। তাই শুধু next না লিখে আমার পেইজ ফলো করলে ভালো হবে। ধন্যবাদ। তাছাড়া স্টোরি পার্ট গুলো খুঁজে পাবেন না তাই অনুগ্রহ করে পেজটি ফলো করেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here