#বাতাসী_বউ
পর্ব ১৬
—– অন্না
,
আবির ::::: সুপ্তি তুমি??? তো এটা কে???
,
আবির ঘোমটা টা তুলে দেখে ওটা আর কেউ না অলি,,,,
,
আবির:::: তুমি এখানে???
,
রাজ :::: ইয়েস ব্রাদার্স আমার অর্ধাঙ্গীনি,,,,,, হা হা হা হা
,
আবির ;;;; তার মানে তোমার সাথে সুপ্তির বিয়ে হয় নাই,,,,,
,
সুপ্তি দৌড়ে এসে আবিরকে এলোপাথারি মারতে থাকে,,,,
,
সুপ্তি- কুত্তা, বানর, হাতি, জলহস্তি,বুনোহাঁস, বনমানুষ ,,,, যদি আমার বিয়ে হয়ে যেতো তুই খুব খুসি হইতি না???
,
আবির সুপ্তিকে দুহাত এ শক্ত করে জরিয়ে ধরে প্রসান্তির একটা হাসি দিলো,,, কারন সে তার জানকে পুনরায় বরাবরের মতো কাছে পেলো,,, ,,,
,
সুপ্তি- কুত্তা তুই একদম ছুবিনা আমায়,,,, তুই আমায় একদম ভালোবাসিস না,,, ভালোবাসলে আমায় এভাবে অন্য কারো হাত এ তুলে দেবার চেষ্টা করতি না,,,
,
আবির::::: আর কেনোদিন ও তোমায় ছেরে যাবো না,, মরার আগে পর্যন্ত তোমার সাথে থাকবো,,,
,
সুপ্তি :::: এত্ত ভালোবাসো আমায় তো ওর হাত ধরে বুঝতে পারো নি ওটা আমার হাত না,,,,, এই তোমার ভালোবাসা???
,
আবির :::: আরে আমি তো,,,
,
আমরা কি এবার আসতে পারি????
সুপ্তি দৌড়ে গিয়ে আবিরের মা কে জরিয়ে ধরে,,,,
,
আবির তো হা হয়ে দেখতে লাগলো,,,, সুপ্তির বাবা, মা, ওর বাবা,মা, সবাই খুব জোরে জোরে হাসছে,,,,
,
আবির::::: ওহ্ তার মানে সব তোমাদের প্ল্যান,,,,,,
,
স্বস্তি ::::: দুলাভাই প্ল্যান কি তুমি একাই করতে পারো আমি ও পারি হ্যা,,,,,,
সবাই হেসে উঠলো,,,
,
আবির::::: সব জেনে শুনে আমাকে এভাবে কষ্ট দিতে তোমাদের আমার কথা একবার মনে হইলো না, আমার ওপর দিয়ে কি য্চ্ছিলো তোমরা জানো না????
,
সুপ্তি- একদম কথা বলবা না,,, drama তুমি একাই পারো আমি কি পারি না নাকি???? বাসার কেউ কিছুই জানতো না একটু আগেই সব জানছে,,,, আর এই সমস্ত প্ল্যান goes to my little sister shosti,,,
,
স্বস্তি ::::: thank you,, thank you,, thank you everybody,,,
আবির ভাইয়া সবাইকে নিয়ে যেদিন আপুকে নিয়ে প্ল্যা করে সেদিন আমি সব আমার এই ছোট্ট ফোনে সুট করে রাখি,,,,,
তারপর আপুকে দেখাই,,, তার পর আমিই এই দুর্দান্ত প্ল্যান টা আপুকে বলি,,, তারপর আপি,,,
,
সুপ্তি- আমি বলছি…. সেদিন অফিস এ আমায় রাজ ড্রপ করে আসে সেদিন পরে আমি চলে আসার পর বিকাল এ অলি আর রাজকে পার্কে দেখি,, অলি কাদছিলো,,, বুঝলাম ডাল মে কুছ কালা হে ,,,,, অলি কে শক্ত করে ধরলাম,, অলি বললো রাজ আর ওর রিলেসন ছিলো,,, একটা মিসটেক এর জন্য রাজ এর সাথে অলির ব্রেকাপ হয়,,,, পুরোনো প্রেম আমি তাজা করে দিলাম। আর দুজনকে আমার প্ল্যান এ এড করে নিলাম,,,, আর তুমি ও ফেসে গেলে,,,
,
আবির :::::: আমি তোমায় দেখে নিবো…. :-/ :-/
…
সুপ্তি- আচ্ছা যা দেখার পরে আমি নিজেই তোমায় দেখাবো,,, এখন তারাতারি চলো,,, কাজি সাহেব অনেকক্ষন বসে আছে,,,,,
,
আবির ::;; কোথায় যাবো????
,
সুপ্তি- কোথায় আবার বিয়ে করতে,,,,
,
আবির::::: আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না,,,,,
,
চলবে,,,,,#বাতাসী_বউ
পর্ব ১৭
____ অন্না
,
আবির::::: আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবে না,,,,,
,
সুপ্তি- কিইইইইইইইইইইইই্ তুই করবি না তোর বাপ করবে,,,,,,,
,
বলে সুপ্তি আবিরের হাত ধরে,,, আবির হাত ছারিয়ে নেয়,,,,,
,
আবিরের বাবা::;; ছিঃ মা কি বলছিস তুই???
,
সুপ্তি- সরি আংকেল,,,, এই তুমি বিয়ে করবে কি না বলো??
,
নীল:::: ব্রো তুই না বলে দে না রে বিয়ে টা আমি করে দেই,,,,,
,
আবিরের বাবা:::: আরে তুই এতো দেরি করলি কেনো??? জানিস কতো কি হয়ে গেলো,,,,
,
নীল ঃ আমি এত্ত কিছু করলাম আর আমায় ছেরে সব হয়ে গেলো,,,
,
আবির দেখলো সুপ্তি,আর ওর বাবা মিটমিট করে হাসছে,,,,
,
আবির :::: তুই আবার কি করলি???
,
নীল ::;; বা রে সেদিন এত্ত কষ্ট করে সুপ্তিকে জরিয়ে ধরলাম,,, তোকে জ্বলানোর জন্য কত্ত কি বললাম,,, তোকে দেখিয়ে দেখিয়ে সুপ্তির চুল এ হাত দিলাম আর তোর হিংসা থাপ্পর হিসাবে সুপ্তির গালে পরলো মনে নাই তোর???
,
আবির :::: তোকে এই সব করতে কে বলছে???
,
সুপ্তি- আমি বলছি,,,,
,
আবির ::::-বা বাহ্ বাহ্ খুব ভালো জেনে শুনে সবাই আমায় ঠকালো,,,, আমায় মিথ্যে বলে কাজটা একদমই ঠিক করোনি,,,,, তোমার যা ইচ্ছা হইছে তাই করছো,,,, আমার কথাটা ভাবোনি আমার ওপর দিয়ে কি যাবে,,,, হাতের মোবাইলটা সজোরে আছার মেরে আবির বেরিয়ে গেলো,,,,,
,
সুপ্তি ভাবতেও পারেনি আবির এমন কাজ করবে,,, ও দৌরে গিয়ে রুমে ঢুকে বাথরুম লক করে সাওয়ার ছেরে কাদতে লাগলো,,,,,
,
আবির ::: নাহ্ শাস্তি তো ওকে দিতেই হবে আমার সাথে drama, বাতাসী তুমি খুব হাওয়ায় উড়ছো,,, তোমার উড়া আমি বের করছি দারাও,,, তোমাকে বিশ্বাস নাই কখন কি করে দিবা,,, তোমায় আমার কাছে রেখেই শাস্তি দিবো,,,,,
,
আবির আবার বাড়ির মধ্যে চলে আসে,,,এসে শুনে যে সুপ্তি রুম লক করছে, শুনেই আবিরের বুকের মধ্যে তরাস করে উঠে,,,,,, আবির আর রাজ মিলে দরজা ভাঙে,,,, আর বাথরুমের দরজায় একটা লাথি মারতেই খুলে যায়,,,, আবিরকে দেখে সুপ্তি বসা থেকে দারিয়ে যায়,,,, আবির ভয়ানোক রেগে গেছে,,,,, সুপ্তি আবিরের থেকে আস্তে আস্তে পিছেতে থাকে,,,,,
আবির আচমকাই সুপ্তির হাত ধরে টানতে টানতে কাজী সাহেবের কাছে চলে যায়,,, কাজী সাহেব কে বলে বিয়ে পরাতে,,,, কাজী সাহেব বিয়ে পরাতে শুরু করে,,,,
,
আবিরের বাবা ::::; আবির বৌমাকে কাপড়টা পাল্টাতে দাও,,,, ওর ঠান্ডা লেগে যাবে,,
,
আবির:::: লাগুক,,, কেউ কোনো কথা বলবানা,,,
,
আবিরের লুক দেখে কেউ কিছু বলার সাহস পেলো না,,
,
কাজী সাহেবের বিয়ে পরানো শেষ হলে ওরা সবাইকে সালাম করে,,,, তারপর আবির সুপ্তির হাত ধরে টানতে টানতে গাড়ির কাছে নিয়ে আসে,,,, গাড়ির দরজা খুলে দিয়ে,,,,
,
আবির ::::: গাড়িতে উঠেন,,,
,
সুপ্তি-আমি তোমার বাড়ি যাবো না,,,
,
আবির:::: মানে্????
,
সুপ্তি- না মানে আমার তো শাড়ি ভেজা তোমার গাড়ির সিট ভিজে যাবে,, আমি বরং চেন্জ করে সবার থেকে বিদায়,,,,
,
সুপ্তি কথাটা শেষ করতেই পারে না তার আগেই আবির সুপ্তির কোলে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে সিট বেল্ট বেধে দেয়,,,,
তারপর নিজে গাড়িতে উঠে সিট বেল্ট বেধে ড্রাইভ করতে থাকে,,,,,, আর সুপ্তি মনে মনে আবিরের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করতে থাকে,,,,,
সুপ্তি- (( শালা বজ্জাত ব্যাটা, আস্ত একটা বনমানুষ, আমার ওপর রাগ দেখানো??? আমার সাথে এই ব্যবহার। জীবনে সুখি হবিনা,,, দেখে নিবো তোকে,,,, দেখছো দেখছো আমার দিকে তাকায় কেমনে,,, মনে হয় আস্ত গিলে খাবে,,,, বলি কেনো রে কোনদিন কিছু খাসনি নাকি?? )))
,
আবির :::::: যতই গালি দাও ক্ষমা সহজে পাবে না,,,,,
,
সুপ্তি- (((( ব্যাটা খচ্চর আমি কি করছি রে তোর কাছে ক্ষমা চাইবো,,, ক্ষমা তো তুই চাবি,,, রাগ করার কথা আমার আর রাগ তুই করছিস???))) লাগবে না আমার কারো ক্ষমা,,,,
,
আবির সুপ্তির দিকে তাকালো আর সুপ্তির সাথে সাথে অন্য দিকে তাকালো,,,,আবার বাসায় এসে গাড়ি থামিয়ে সুপ্তিকে গাড়ি থেকে বের করিয়ে দাড় করালো,,,, সুপ্তির দিকে আবির তাকিয়ে দেখলো ভেজা শারি সুপ্তিকে পুরা জরিয়ে ধরেছে,,, ফলে সুপ্তির শরীরের প্রতিটা অঙ্গে ফুটে উঠে এক সৌন্দর্যময় শোভা ফুটিয়ে তুলেছে,,, সুপ্তি আবিরের চাহনি দেখে লজ্জায় লাল হয়ে গেলো,,,,,, কিন্তুু এসৌন্দর্য দেখার অধিকার আবিরের একার,,, বাসার মধ্যে অনেক এ আছে, তাই আবির ওর কোর্ট টা খুলো সুপ্তির গায়ে দিয়ে দিলো তারপর কোলে করে সুপ্তিকে ওর রুমে নিয়ে গেলো,,, রুমে নামিয়ে আবির ফ্রেস হয়ে এসে দেখে সুপ্তির বিছানায় বসে আছে,,,,,
,
আবির::::: এই মেয়ে পাগল হয়ে গেলে এইভাবে বসে আছো কেনো বিছানায়??? বিছানা ভিজে যাচ্ছে না,,, আর চেন্জ না করে বসে আছে কেনো.????
,
সুপ্তি বিছানা থেকে নেমে,,,,
,
সুপ্তি- না মানে কি ভিজে তো তখন গাড়িও যাচ্ছিলো,,, তখন কিছু হলোনা তো এখন হবে কেন??? আর আমাকে তো এখানে কাপরের factory ধরে এনে দিছেন না??? তো কেনটা পরবো বুঝতেই পারছি না,,,,
,
আবির সুপ্তির হাত ধরে বাথরুমে নিয়ে গেলো,,,,, একটা ওয়্যারড্রপ ভর্তি শাড়ি, সালোয়ার সব সুন্দর করে সাজানো,,,,
,
সুপ্তি- আবির একট প্রশ্ন করি???
,
আবির::: এগুলো নীলার না,,, আমার বউ এর জন্য,,,
,
আবির বেরিয়ে আসলো,,, সোফায় বসে ল্যাপটপ এ কাজ করতে থাকে,,,, সুপ্তি আবিরের কথায় মুচকি হেসে একটা নীল সুতি শাড়ি পরে নেয়,,,, আয়নায় নিজেকে দেখে নিজেই ক্রাস খাচ্ছে সুপ্তি,, বাহ্ বজ্জাতটার চয়েজ আছে ,, আমাকে দেখে না জানি আবিরের কি হবে,,,,,,,,
,
সুপ্তি ওয়াসরুম থেকে বের হয়েই দেখে আবির সোফায় বসে কাজ করছে,,,,
,
আবির একবার সুপ্তির দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নেয়,,, আবার তারাতারি সুপ্তির দিকে তাকিয়েই আছে,,, ভেজা চুল টপটপ করে জল পরছে,,, নীল শাড়ি হালকা সাজ,,, উফ্ মেয়েটা এমন করে আমায় রাগ করে থাকতে দিবে না,,,, রাজ ভাবতে ভাবতেই দেখে শুপ্তি শারি পরে হাটতে পারছে না, বার বার শাড়ির কুচির ওপর পা তুলে দিচ্ছে, যে কোনো সময় পরে,,,,,,,,,,,,,বলতে বলতেই আবিরের ওপর উল্টে,,,, আর আবিরের হাত এথাকা ল্যপটপ টা ছিটকে দূরে গিয়ে পরে চানাচুর এর মত ভেঙে যায়,,,, আবির তো ল্যাপটপ এর কথা মনেই নাই ও সুপ্তিকে দেখতে ব্যাস্ত হয়ে পরে,,,, আর সুপ্তি তারাতারি আবিরের গায়ের ওপর থেকে উঠে দাড়ায়,,,, উঠে দেখে শুধু শাড়ির কুচি নয় আচলটাও আবিরের গাএর ওপর ছরিয়ে গেছে,,,, সুপ্তি নিজেকে আচলবিহীন দেখে লজ্জায় পরে গেছে,,, তারাতারি আচলটা নিতে গেলে আবার আচলটা ধরে টান দেয়,,,, সুপ্তি পুনরায় আবিরের ওপর পরে যায়,,,, আবির সুপ্তিকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে,,, তখন সুপ্তি আবিরের কানে কানে বলে,,,,,
,
সুপ্তি- ফ্লোরের দিকে তাকাও আবির,,,,
,
আবির :::: পরে,,,,
,
সুপ্তি- আহ্ হা একবার দেখইনা প্লিজ,,,
,
আবির ফ্লোরে তাকিয়ে ল্যপটপ টা দেখে তারাতারি সুপ্তিকে ছেরে উঠে যায়, এই ফাকে সুপ্তি নিজেকে গুছিয়ে নেয়,,,,
,
আবির ল্যপটপ টার ভাঙাচোরা টুকরা হাতে নিয়ে সুপ্তির দিকে ডেভিল লুক নিয়ে তাকায়,,,, সুপ্তির তো জান শুকিয়ে যায়,,,
,
সুপ্তি তারাতারি ওর হাত থেকে দুটো বালা খুলে আবিরের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,,,,
,
সুপ্তি- এগুলো আমার মা এর গহনা,,,, এটা দিয়ে তোমার ল্যপটপ হয়ে যাবে,,, কিন্তুু প্লিজ আমায় মেরো না,,,
,
আবির :::: টেনে ঠাস্ করে দুটো লাগিয়ে দিবো,,,, চল্লিয়ে,,,,,,,
,
সুপ্তি- এ্যা,,,,,,,এ্যা,,,,,,
,
আবির :::: চুপ একদম চুপ,,, সাহস হয় কি করে মা এর বালা হাত থেকে খুলে দেবার???? এই একটা কেন ১০০ টা ল্যপটপ ভাঙলেও আমার কিছু যাবে আসবে না,,,, but যে importance document গুলা ছিলো ওইগুলা কই পাবো,,,,,
,
সুপ্তি- এ্যা,,,,, আমি কি ইচ্ছা করে পরছি নাকি???
,
আবির :::; না বাতাসী তুমি কেনো ইচ্ছা করে পরবে,,,, ছোটো মানুষেরা এমনি যেখানে সেখানে পরে যায়,,,,,
,
সুপ্তি- আমি বাড়ি যাবো এ্যা,,,,,
,
আবির::::: ঠাস্ করে থাপ্পর মেরে তোমার মুখ ফাটিয়ে
দিবো আর একটা সাউন্ড করলে,,,,
,
আবিরের মা ::::: কিরে আসবো????
,
সুপ্তি- আসুন না মা,,,
,
আবিরের মা ::: অনেক তো রাত হলো এবার খেয়ে নে তোরা,,,, খাবার ঘরে রেখে গেলাম,,,,
,
আবির :::: আপনাকে খাবার আনতে বলছে কে??? নিয়ে জান এইগুলো,, আমি হোটেল থেকে খাবার আনিয়ে নিবো,,,
,
সুপ্তি- দুর কি বলো তুমি,,, মা এর হাতের এত্ত মজার খাবার ফেলে হোটেল এর কেনো বলেই সুপ্তি প্লেট থেকে কিছু নিয়ে খেতে লাগে,, তখনই আবির সুপ্তির হাত এর খাবার ফেলে দেয়,,,,
,
আবির :::: আমি বলছি হোটের থেকে খাবার আনাবো শুনতে পাও নি??? এত্ত বাচ্চামি কেনো??? খাওনি কখনও???
,
আবিরের মা ;;;; থাক ওকে আর বকতে হবে না,,, আমি খাবারগুলা খেয়ে দেখাচ্ছি তোরে,,,,,,,,, কি দেখলি বিষ মেশাইনি খাবার এ ,,,, বলেই কাদতে কাদতে চলে গেলো,,, সুপ্তি ও কাদতে কাদতে বেলকুনিতে চলে যায়,,,,,,,,
,
,
চলবে,,,,,,,,,♥♥♥#বাতাসী_বউ
পর্ব ১৮
—- অন্না
,
সুপ্তি কাদতে কাদতে বেলকুনিতে এসে দারিয়ে থেকে ভাবতে থাকে,,,,
,
সুপ্তি- আমি থাকবো না তোমার সাথে তুমি আর আমায় আগের মতো ভালোবাসোনা,, আন্টির সাথে তোমার সম্পর্ক ঠিক করে দিয়ে চলে যাবো আমি,,,
,
এর মধ্যে আবির আসে,,,,
,
আবির ::::: চলো খেয়ে নেবে,,, খাবার এসে গেছে,
,
সুপ্তি- আমার ক্ষুদা নাই,আপনি গিয়ে খেয়ে নিন,,,
,
আবির:::: আমি চাইনা তোমার আবার কেউ কোনো ক্ষতি করুক,,, এতে তোমার রাগ করা চলেনা,,, যার জন্য এতো কিছু তাকে তুমি এতো সহজেই মাফ করে দিবে ভাবিনি,,,
,
সুপ্তি- এখানে ভাবাভাবির তো কিচ্ছু নাই,মানুষ মাত্রই ভুল হয়,, আন্টির ও ভুল হইছে আর উনি যথেষ্ট শাস্তি পেয়েছে,,, আপনার উচিৎ তাকে মাফ করে দেওয়া,,,,
,
আবির:::: হয়ে গেছে আপনার??? চলেন খবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে,,,,,
,
সুপ্তি- বললাম তো আমার ক্ষুদা নাই,আমি খাবো না,,,
,
আবির রাগের চোটে ঘরে চলে আসে,, সুপ্তি তার জন্য ওরে ভুল বুঝছে যার জন্য ওদের জীবনের মোড় টাই ঘুরে গেছে,,, যার জন্য সুপ্তিকে ওত্ত কষ্ট পেতে হয়েছে আবিরকে কষ্ট পেতে হয়েছে প্রতি নিয়তো,,, রাগের চোটে হোটেল থেকে আনা সব খাবার ফেলে দেয়,,,,
সুপ্তি শব্দ সুনে ঘরে এসে দেখে পুরা ফ্লোর খাবার দিয়ে মেখে গেছে , আর আবির সুপ্তির দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে,,,,,,, এর মধ্যে সুপ্তি বলে উঠে
,
সুপ্তি- আমি বাসায় যাবো,,,,
,
সুপ্তির কথা শুনে আবির এর রাগ হাই ভোল্টেজ এর উঠে যায়,, সুপ্তির হাত ধরে টেনে ফ্লোরে বসিয়ে দেয়, তারপর ওর মা এর আনা সব খাবার সুপ্তির সামনে এনে বলে নে সব খাবি তুই,,,, সুপ্তি ভয়ের চোটে চুপ করে থাকে,,,, আবির এবার নিজে হাত এ খাবার মেখে সুপ্তির মুখের সামনে ধরে,,,,,
,
আবির :::: হা কর,,,
,
সুপ্তি- (চুপ,,,,)
,,,
আবির ::::: আমি হা করতে বলছি,,,, চিল্লিয়ে,,,
,
সুপ্তি আবিরের ধমক খেয়ে তারাতারি হা করে খাবার মুখে নেয়,,,,
,
আবির:::::: নে খা,,,যদি কোনো সমস্যা হয় উনার কপাল এ তো দুঃখ আছেই তার আগে তোকে মারবো,,,
,
আবিরের কথা শুনে সুপ্তির বিষম লেগে যায়,,, আবির তারাতারি সুপ্তির মাথায় ফু দিচ্ছে আবার, পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,, একবার পানি খাওয়াচ্ছে,,,, সুপ্তি আবিরের অবস্থা দেখে আবিরের কোলে গিয়ে বসে,,আবিরের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট টা চেপে ধরে,,, কিছুক্ষণ পর সুপ্তি আবিরকে ছেরে আরেকটা প্লেট নিয়ে আবির এর মুখের সামনে খাবার ধরে,,, আবির মুখ ঘুরিয়ে নেয়,, সুপ্তি আবার আবিরের মুখ টেনে বামহাতে আবিরের চুলের মুঠো করে ধরে এবার জোরেই আবিরের ঠোট দুটো আকরে ধরে পাগলের মতো কিস করতে থাকে,,,, আবিরের সুপ্তির কাজ দেখে সব রাগ নিমিষেই উরে যায়,,,, একটুপরে পরে সুপ্তি আবিরকে ছেরে দিয়ে খাবার মুখের সামনে নিয়ে বলে,,,,,
,
সুপ্তি- খেয়ে নাও. না জান,,,
,
আবির আর কিছু বলে না,,, সুপ্তির হাতে খেয়ে নেয়, কারন সুপ্তি নিজের হাত এ বিষ খাইয়ে দিলেও আবির তা পরম শান্তিতে খেয়ে নিবে,,,, খাওয়ে শেষ হলে সুপ্তি আবিরের কোল থেকে উঠতে গেলে আবির তাকে উঠতে দেয় না,,,,, এর মধ্যে আবিরের বাবা দরজায় নক করে,,,,
,
আবিরের বাবা ;;;;; কিরে মা সুপ্তি দরজা খোল,,,
,
সুপ্তি আবিরের কোল থেকে ধরফর করে উঠতে গেলো,,, নিজেকে ঠিক করে দরজা খুলে দেয়,,,
,
আবিরের বাবা:::: কি রে মা,,,,, ( ফ্লোরের দিকে তাকিয়েই) কিরে রুমের এ অবস্থা কেনো???
,
সুপ্তি- আংকেল আমার হাত থেকে পরে গেছে,,,
,
আবিরের বাবা ঠিকই বুঝলো কাজ টা কার,,,,,
,
আবিরের বাবা:::::: আবির তোর সাথে একটু কথা আছে,,,,
,
আবির:::: বলো বাবা
,
আবিরের বাবা:::: তোদের বিয়ে টা তো যেভাবেই হোক হয়ে গেলো তো ,,,, কিন্তুু রিসিভসন তো করতে হবে,,, আমি ভাবছি সামনের শুক্রবার তোদের বিয়ের একটা পার্টি এরেজমেন্ট কোরবো,,,, তুই কি বলিস,,,
,
আবির:::: তুমি যেটা ভালো মনে করো,,,,
,
এর মধ্যে সুপ্তির আহ্ করে ওঠে,,,, ফ্লোর পরিস্কার সময় ভাঙা কাচের প্লেট এর টুকরা লেগে সুপ্তির হাত কেটে যায়,,,,,
,
আবিরের বাবা তারাতারি সুপ্তির হাত ধরে উঠায়,,,
,
আবিরের বাবা::::এই মেয়ে তোকে এসব করতে কে বলছে,,,,,
,
সুপ্তি- না মানে,,, বকবা নাকি হাত এ কিছু লাগিয়ে দিবা????
,
আবিরের মা আসে এর মধ্যে,,,,,,
,
আবিরের মা :::: কি হইছে হাত এ???
,
সুপ্তি- একটু কেটে গেছে,,,, অনেক জ্বলছে,,,,
,
আবিরের মা তারাতারি ওষুধের বক্স নিয়ে এসে সুপ্তির হাত ধরতে যাবে ঠিক তখনই আবির ওর মা এর হাত থেকে ওষুধের বক্স টা কেরে নিয়ে সুপ্তিকে বিছানায় বসিয়ে হাত এ ওষুধ লাগিয়ে বেধে দেয়,,,,,, আবিরের বাবা, মা দুজনেই নিঃশব্দে চলে যায়,,,,,
,
সুপ্তি- শান্তি হয়েছে তোমার,,,, একদম আমায় ছোবে না,,, আংকেল,আন্টি কি ভাবলো,,, তোমার ভাবতে হবে যে উনি তোমার মা,উনি যাই করুক না কেনো,,,,
,
আবির ::::: just stop shupti, আমি কিছু শুনতে চাই না ,,
,
যা ইচ্ছা করো,,,, সুপ্তি আবিরের মা এর কাছে চলে যায়,,,, গিয়ে দেখে উনি সোফায় বসে নিশ্চুপ এ কান্না করছে,,,,,
,
সুপ্তি- আন্টি,,,,
,
আবিরের মা:::: তুই কেনো এলি,,, আবির জানলে রাগারাগি করবে,,,,
,
সুপ্তি- ও যাই করুক আমার কিছু যাবে আসবে না,,আপনার ছেলের বুঝতে হবে কাজগুলা ও মোটেই ভালো করছে না,,,,
,
আবিরের মা :::::; না রে মা ওর কোনো দোষ নাই, সব আমার পাপের শাস্তি ,,,,,
,
সুপ্তি- এমন করে বলবেন না, যা হবার হয়ে গেছে,,, আপনি যে আপনার ভুল বুঝতে পারছেন এই অনেক,,, আপনি টেনসন করেন না,,, যান ঘুমিয়ে পরেন,,, আমি আপনার ছেলেকে আপনার কাছে ফিরিয়ে দিবো,,,,
,
আবিরের মা:::: তুই সত্তি পারবি,
,
সুপ্তি- ,, হ্যা আন্টি পারবো,,,, অনেক রাত হইছে যান,,,,, ,,,
,
আবিরের মা ঘরে চলে যায়,,, সুপ্তি ঘরে এসে দেখে আবির ঘুমানোর জন্য বিছানা করছে,,, সুপ্তি বুঝতেই পারলো যে আবির রেগে আছে,,,, সুপ্তি ভাবলো আর একটু রাগানো যাক,,,,,
,
—–আচ্ছা আবির একটা কথা বলি,,,,
,
আবির::: হুম,
,
—- আমি কি তোমার ওপর বোঝা হয়ে গেছি??? i mean আমায় কি তোমার বারতি ঝামেলা মনে হচ্ছে???
,
আবির::::: কষে দুটা থাপ্পর মারলেই উত্তর পেয়ে যাবা,,,, চুপচাপ শুয়ে পরো,,,
,
সুপ্তি চুপচাপ শুয়ে পরলো আর আবির সোফায় ঘুমিয়ে পরলো,,, সুপ্তি মনে মনে ভাবতে শুরু করলো,,
——– আবির আমায় ভালোবাসে, আমার কেয়ার রাখে, সবই ঠিক আছে,,,, ও হয়তো আমার সাথে সংসার করতে চায় নি,,,, আমায় বিয়ে করতে চায় নি,,, তবে কি আমি ওরে ফোর্স করে ভুলকরলাম,,,,, ও কি কোনো মেয়ের প্রতি,,,, নাকি নীলা,,,,,, ছি, ছি সুপ্তি তুই কি ভাবছিস,, আবির এরকম হতেই পারে না,,,, কিন্তুু কিছু নাই থাকলে ও আজ আমার থেকে দুরে কেনো,,,, ওর যদি সত্তি কিছু থেকে থাকে আর আমি যদি প্রমান পাই আমি ওকে ছেরে দিবো ,,,,
,
আর এদিকে আবির ভাবছে,,,,,,,
——– তুমি কেনো বোঝোনা পাগলি আমার মা তোমার ভালো চায় না,,, আগেও চায়নি আর ভবিৎষত এও চাইবে না,,, আমি কি করে তোমার উনার কাছে ছেরে দেই বলো,,,, তুমি জানো রাতের পর রাত আমি তোমার জন্য তিল তিল করে মরছিলাম,,, আমার মা কোনোদিন তো আমায় উনার ভুল স্বীকার করেনি,,, আর আজ এমন কি হলো যে তোমার ওপর উনার এত্ত আদিক্ষেতা,,, আমি আর তোমায় হারাতে পারবো না ,, অনেক কষ্টে তোমায় আমার কাছে পাইছি,,, কিন্তুু উনি আবার তোমায় ঠকিয়ে কিছু করবে না তার গ্যারান্টি কি বলো,,,, তোমার মাথায় তো কিছু যাবেনা,,, তুমি যাই দেখো তাই নিয়ে নাচতে শুরু করো,,, আর যা ইচ্ছা তাই করো,,,, তোমায় কন্ট্রোল এ আনার জন্য আমার তোমার ওপর রাগ দেখাইতেই হবে,,,,, নিজেকে অনেক কষ্টে আটকে রাখছি,,, এক বিছানায় ঘুমাইলে নিজেকে কন্ট্রোল করা সম্ভব না,,, তাই সোফায় ঘুমাতে এলাম,,,, সামনে তোমার জন্মদিন,,,,, সেইদিন তোমায় গিফট হিসাবে আমার ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিবো জান ,,,,, এই কদিন একটু কষ্ট করো,,,,, সব সুদ এ আসলে পুসিয়ে দিবো,,,,, সব সারপ্রাইজ জানু,,,, হা হা হা হা
,
আবির সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে সুপ্তি ঘরে নাই,, সারাবারি খুজেও সুপ্তিকে পেলো না, সুপ্তিকে ফোন করে ওর ফোন বন্ধ,আবিরের মনে হলো সুপ্তির ফোন তো ওনিজেই ভাঙছে ,, আবির চমকে উঠলো,,, ওর মা সুপ্তির কোনো ক্ষতি করছে ভেবেই দৌরে ওর মা এর কাছে যায়,,,,
,
——- সুপ্তির সাথে কি করছেন আপনি,,,,
,
আবিরের মা ::::: আমি কি করবো ওর সাথে,,, সকাল থেকে তো ওর সাথে আমার দেখা হয়নি,,,,,
,
—– মিথ্যে বলছেন আপনি আমি সুপ্তিকে কোথাও খুজে পাচ্ছিনা,,, আপনি কিছু না করলে ও কোথায় যাবে,,,,, আবিরের মা::;: দেখ বাবা,,,,
,
এর মধ্যে স্বস্তি ফোন দেয় আবিরের ফোনে,,,
,
আবির ::::: হ্যালো,,,,
,
সুপ্তি- আমি সুপ্তি বলছিলাম,,,
,
আবির::;;; তুমি ও বারি গেছো কার পারমিশন নিয়ে,,,, u ideat girl,,, ( চিল্লিয়ে)
,
সুপ্তি- না আসলে আপনি ঘুমাচ্ছিলেন, আন্টি ও ঘুমাচ্ছিলো তাই,,
,
আবির:::;; তাই??? তাই কি???? unresponsive এর মতো কাউকে কিছু না বলে চলে গেছো??? আর সকাল থেকে তোমাকে খুজতে খুজতে জান বেরিয়ে গেছে আমার,,, তোমাকে বিয়ে করাই ভুল হইছে আমার,,, খবরদার এ বারিতে আসবা না,,, থাকে ওইখানেই,,,,,
চলবে,,,,,, ♥