বাতাসী বউ -পর্ব ১৯ +২১ এবং শেষ

0
856

#বাতাসী_বউ
পর্ব ১৯
—- অন্না

,
আবির রাগের চোটে সুপ্তিকে ঝারি দিয়ে চুপ করে থাকে কিন্তুু ফোন কাটে না,,, আর এদিকে সুপ্তি আবিরের নিশ্চুপ থাকা দেখে ভাবে যে হয়তো ফোন কেটে দিছে,,, তাই ফোনটা চেক না করেই চিল্লাতে থাকে,,,

,
সুপ্তি- খচ্চর লোক একটা আমার বকা দেওয়া,,, ,, আমার কি থাকার জায়গার কম পরছে নাকি হ্যাঁ ,,, তুরি মারলেই হাজার টা ছেলে এই সুপ্তিকে নিয়ে যাবার জন্য লাইন লাগবে জানিস তুই,,, নিহাত তোকে ভালোবাসি তাই,,,, তোর বাসায় যেতে বারন করলি তো যাবো না তোর বারিতে,,, আমি তো পুরাতন হইয়ে গেছি না তাই আমায় আর ভালো লাগে না,,, নিশ্চয় কেউ আমার জায়গাটা নিয়ে নিছে,,,, আমি যদি একবার জানতে পারি তো দেখিস কোথায় চলে যাই। , একবার তো খুজতে ৩ বছর নিছিলি এবার জীবনেও খুজে পাবি না,,,, বজ্জাত পোলা,,, আমায় কথায় কথায় ঝারি দেওয়া না,,,,,
,
এদিকে আবির সুপ্তির কথা শুনে হাই ভোল্টেজ ও ক্ষেপে উঠে,,,
,
স্বস্তি::::: কিরে পাগলের মতো কারে এত্ত ঝারি মারছিস,,,,

,
সুপ্তি- আমাকে তোর পাগল মনে হয়???? কেউ ভালোবাসিস না আমায়,,, যখন পাবি না আমায় তখন বুঝবি কেমন লাগে,,, ধর তোর ফোন,,, আমি গেলাম

,
স্বস্তি :;;; এই আপু শোন টাকা টা নিয়ে যা,,,,

,
সুপ্তি- আমার জিয়ারতে দিস,,, লগবেনা তোদের টাকা,,,

,
স্বস্তি ::::: (ফোন টা হাতে নিয়ে দেখে আবির লাইন এ) কিরে দুলাভাই সকাল সকাল বউ এর ঝারি খেতে কেমন লাগলো,,,,
,
আবির:::: ওরে বাসায় আটকে রাখো,,, আমি এখনি আসছি,,,

,
স্বস্তি ::::: ওতো তখনই বের হইয়ে গেছে,,,, আমার কাছে কিছু টাকা নিতে আসছিলো,,, ওর কাছে নাকি টাকা নাই,,, কিন্তুু টাকা না নিয়েই চলে গেলো,,,

,
আবির::;; তোমার বোনকে নিয়ে যে আমি কি করি,,, আজ ওর কপাল কি যে আছে নিজেই যানে না,,,,

,
স্বস্তি ::::: দুলাভাই রাগ করেন না,,, ওনেক বেলা হয়ে গগেছে,,, ও কিছু খায়নি,,, আর চাপ নিয়েন না,,, এমনি বাসায় চলে আসবে,,, হয় আপনার না হয় এ বাড়ি,,,,

,
আবির:::;: দেখছি আমি,, রাখি ভালো থেকো,,,

,

আবিরের মা:::: কিরে সুপ্তির খবর পেলি,,,

,
আবির কিছু না বলেই নিজের রুম এ চলে গেলো,,, ফ্রেস হয়ে নাস্তা না করেই প্রথমে কলেজে যায়,,, সেখানে হুন্নেহয়ে সুপ্তিকে খোজে,,, কিন্তুু সুপ্তিকে পাবে কি করে সে যে পার্কে বসে দোলনায় দোল খাচ্ছিলো,, ,
এর মধ্যে স্নেহা আসে,,,,

,
স্নেহা:::: কি রে পাগলি তুই এখানে বাচ্চাদের মতো বসে বসে দোল খাচ্ছিস কেনো???

,
সুপ্তি- এইটাতে তোর ও প্রবলেম,, তোদের জন্য কি আমি শান্তিতে দোল ও খাইতে পারবে না ,,

,
স্নেহা::::: আরে না না পাগলি,,, বাচ্চারা এসব তো করেই থাকে,,,

,
সুপ্তি- দুর হ আমার চোখের সামনে থেকে,,,
,

স্নেহা :::: যাচ্ছিলামই তো তোকে দেখেই তো আসলাম,,,
,
সুপ্তি- তোকে আসতে বলছি আমি,, দেখছিস এখন যা,,,

,
স্নেহা:::: রাগ করিস না ময়না,, এসেই যখন পরছি আমার একটা হেল্প করনা রে,,, প্লিজ প্লিজ প্লিজ।।।।

,
সুপ্তি- হইছে,, কি করতে হবে ,
,
স্নেহা:::: আমি একটু শপিং এ যাবো,,, আমার সাথে চলনা রে,,,

,
সুপ্তি- চল আমার এখন কোনো কাজ নাই,,,,

,
স্নেহার শপিং করতে দুপুর গরিয়ে গেলো,,,

,
স্নেহা:::: সুপ্তি চল রে,,, অনেক ক্ষুধা লাগছে,,, কিছু খেয়ে আসি,,, কিরে কথা বলছিস না কেন,,,,

,
সুপ্তি কথা বলবে কি করে,,, সামনে যে নীলা আর আবিরকে একসাথে দেখছে ও,,,

,
স্নেহা::::: আবির স্যার এখানে,,, সাথে ওইটা কেরে,,, স্যারের গালফ্রেন্ড নাকি???

,
সুপ্তি-………..

,
ওদের মধ্যে কিছু কথা হচ্ছিলো,,, কথার মধ্যে নীলা আবির কে জরিয়ে ধরে,,, আবীর ও নীলার পিঠে হাত দেয়,,,

,
স্নেহা:::::আমি ১০০% সিউর যে উনি স্যারের গালফ্রেন্ড,,, না হলে কেউ এভাবে পাবলিক প্লেসে জরিয়ে ধরতে পারে,,, তুই থাক আমি স্যারের সাথে কথা বলে আসি,,,

.
,স্নেহা”:::: আসসামুয়ালাইকুম স্যার,,, কেমন আছেন???
,
আবির”;;;; ওয়ালাইকুম আসসালাম,,,, ভালো আছি তুমি কেমন আছো???

,
স্নেহা:::: জি স্যার ভালো,,, উনি কি আমাদের ম্যাম নাকি,,,

,
আবির:::: না না ও আমার কাজিন,,, তা তুমি একাই শপিং এ এসেছো???

,
স্নেহা :::: না তো স্যার সুপ্তি ও আসছে,,,

,
আবির::: সুপ্তি কই,,,

,
স্নেহা:::: ওই তো স্যার,,, আপনাদের ওই তো প্রথম দেখছে,,, এখানেই তো ছিলো স্যার,, কই যে গেলো,,,,

,
আবির আর এক মুহুর্ত ও দেরি করে না চারদিকে খুজতে থাকে সুপ্তিকে,,, আবির বুঝতে পারে যে নীলা যে ওকে জরিয়ে ধরছিলো এইটা সুপ্তি দেখছে,,,

,
আবির:::; সুপ্তি তুমি কোথায়,, প্লিজ আমার কাছে ফিরে এসো,,, আবার কোনো ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি তোমাকে হারাতে পারবো না,,,,

,
আবির সুপ্তিকে খুজতেই থাকে,, সাথে স্নেহা আর নীলাও খুজতে থাকে,,,,
,
এদিকে সুপ্তি আবিরকে নীলার সাথে ওভাবে দেখে দৌরে বের হইয়ে যায়,,,, সুপ্তি ফুটপাত দিয়ে হাটতে আর কান্না করছে,,, ভাবছে,,,,

—– সবই কি তাহলে তোমার আবেক ছিলো আবির,,, আমা কি সত্তই তাহলে ভুল মানুষ কে ভালো বেসেছি, আর ধারনাই তহলে ঠিক ছিলো,, তুমি আমায় বিয়ে করতে চাও নি,,, বিয়ের দিন যদি আমি তোমায় ফোন না করতাম তাহলে তুমি কখনও আসতানা আমার কাছে,,,, আসবা কি করে,, তুমি তো নীলাকে,,,, ঠিক আছে,,, লোকে বলে যাকে ভালোবাসা যায়, তার জন্য নিজের জীবনটাও দিয়ে দেওয়া যায়,,, আমি মরবোনা আবির,,, আমি মরে গেলে যে আমার ভালোবাসাও মরে যাবে,,, আমার ভালোবাসা জীবিত থাকবে যতদিন আমি বেচে থাকি,,,,, তোমরা ভালো থেকো,,, আমি চলে যাবো অনেক দুরে,,,, কিন্তুু আমার কাছে তো কোনো টাকা নেই,,,

,
তখন সুপ্তির নজর পরলো ওর হাত এর বালার দিকে,,, ও একটা জুয়েলারি দোকান এ গিয়ে বালা দুটো বিক্রি করে দেয়,,,, আর বাস স্টোপ এ চলে যায়,,,, গিয়ে বাস কাউন্টারে কথা বলে,,,

,
সুপ্তি- ভাইয়া বাস কখন ছারবে,,,

,
লোকটা:::: এইতো ৫ মিনিট পরে,,,

,
সুপ্তি ::: আমায় একটা টিকিট দেন,,,

,
লোকটা:::: কোথায় জাবেন আপা,,,

,

সুপ্তি- এই বাসটা কতদুর যাবে,,,, যতদুর যাবে সেখানকার একটা টিকিট দিন। ,,

,
সুপ্তি টিকিট টা নিয়ে বাসে উঠবে সেই সময় আবির পিছে থেকে সুপ্তির হাত টান দিয়ে কষে ওর গালে থাপ্পর মারে,,, সুপ্তি আচমকা বুঝতে না পেরে উল্টে পরে যায়,,,,

,
চলবে,,,,#বাতাসী_বউ
পর্ব ২০
—- অন্না
,
( দঃখিত আজ শেষ করতে পারলাম না)

,
আবির সুপ্তিকে টেনে তুলে টানতে টানতে গাড়িতে তুলে,,, সুপ্তি এমনিতেই সারাদিন না খেয়ে আছে তারপর আবিরের হাত এ ৫ কেজি ওজনের থাপ্পর খেয়ে ওর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়,,, গাড়িতে আবির সুপ্তির সাথে একটা কথাও বলে না,,, কিন্তুু সুপ্তি বলে ওঠে,,,,,

,
সুপ্তি- তুমি আমাকে আটকালে কেনো আবির,,, একটা মানুষ কিন্তুু দুনৌকায় পা দিয়ে থাকতে পারে না,,, যে কোনো একটা নৌকা ছারতেই হবে,,, আমাকে একবার বলতে পারতে তুমি নীলাকে চাও,,, আমি সত্তি চলে যেতাম,,, এখন ও বেশি দেরি হয় নি, আমি চলে যাবো তোমাদের মধ্যে থেকে,,,,তোমরা সুখে থাকো,,, আমার জন্য তোমরা শুধু শুধু দুরে থাকবা কেনো,,,,,

,
আবির হুট করে জোরে গাড়ি ব্রেক করে,,, আর সুপ্তির ওপর চিল্লাতে শুরু করে,,,,

,
আবির::::: আর একটা যদি কথা বলিস আগে তোকে মারবো তারপর আমি মরবো,,,,

,
আবিরের ঝারি খেয়ে সুপ্তি চুপ করে থাকে,,,,, সারা রাস্তা কোনো কথা বলেনা,,,, আবির বাসায় এসে গাড়ি থেকে সুপ্তিকে টেনে বের করে টানতে টানতে উপরে নিয়ে যেতে থাকে,,,,

,
সুপ্তি- আবির দারাও,,,,,,

,
আবির:……..

,
সুপ্তি- আবির আমার শাড়ি খুলে গেছে,,,
,
আবির সুপ্তিকে ছেরে দিয়ে দাড়ালো,, হাত ছারা পেয়ে সুপ্তি দৌড়ে গিয়ে আবিরের মা এর পিছে পালালো,,,,

,
সুপ্তি- আন্টি আমায় বাচাঁন,, আপনার ছেলে আমায় মেরে ফেলবে,,,

,
আবির::::: চুপচাপ আমার সাথে ঘরে চলো,,,, একটা কথাও না বলে,,,

,
সুপ্তি- কেনো? আমি যাবো কেনো,,,, যান না তারে নিয়ে যান,,,, যার সাথে সারাদিন ছিলেন,,, এখন আমায় লাগবে কেনো???? আমি বুঝি না মনে করছেন আপনি আমায় মেরে ওকে বিয়ে করবেন,,,,,,,

,
আবির:::::: আর একটা কথা বললে এমন একটা থাপ্পর মারবো চৌদ্দগগুষ্টির নাম ভুলে যাবা,

,
আবিরের মা ::::: থাক না বাবা ও যখন যেতে চাইছে না তুই কেনো জোর করছিস,,,,,

,
আবির::::: আপনি আমাদের মধ্যে কথা বলতে আসবেন না বলে দিচ্ছি,,,,

,
আবিরের মা:::: তুই এমন করে কেনো বলিস বল তো,, আমি তো তোর মা,,, আমায় কি মাফ করা যায় না,,,

,
এর মধ্যে সুপ্তি দৌর দেয় বাসা থেকে পালিয়ে যাবার জন্য,,, কিন্তুু আবির সুপ্তিকে ধরে ফেলে,, সুপ্তি ভালো করেই বুঝতে পারছে আজ আবির ওকে ধরতে পারলে আস্ত গিলে খাবে,,,, আবির সুপ্তিকে কোলে তুলে নিয়ে রুমের দিকে যেতে থাকে,,,,, সুপ্তি কোলের মধ্যে লাফালাফি করতে থাকে,, আর বলতে থাকে,,,,,,,

,
সুপ্তি- কত্ত সময় আমায় আটকে রাখবেন হ্যা একবার ছারা পাই তখন দেখি তখন আপনি আমার কি করেন,,,,

,
আবির::::: ঠাস করে নিচে ফেলে দিয়ে হাত পা ভেঙে দিবো,,,,

,
সুপ্তি আবিরের ধমকানিতে চুপ হয়ে যায়,,, কারন রেগে গেলে আবির যা করে এতে সুপ্তিকে ফেলে দেওয়া কোনো ব্যাপারই না,,,

,
সুপ্তিকে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে আবির পকেট থেকে বালা দুটো বের করে সুপ্তির হাত এ পরিয়ে দেয়,,,

,
সুপ্তি- তুমি এগুলা কই পেলে আমি তো এগুলা বিক্রি করে,,,,,

( কথা টা শুনার সাথে সাথেই আবির সুপ্তির গালে আর একটা থাপ্পর মেরে দেয়,,,, সুপ্তি গালে হাত দিয়ে আবিরের দিকে তাকিয়ে থাকে,,,, )

,
আবির:::::: ইচ্ছে করছে তোকে কুচিকুচি করে কেটে ফেলি,,,, সাহস কি করে হয় তোর আমায় ছেরে যাওয়ার,,,,

,
সুপ্তি আবিরের কথা শুনে বিছানার এক কোনায় গিয়ে গুটিশুটি মেরে চুপ করে বসে পরে,,,,

,
আবির::::: কি ভয় লাগছে??? যাবার আগে ভয় করেনি যে আবির যদি জানে তো তোর কি অবস্থা করবে,, তুই দেখতে চাস আমি তোর কি করতে পারি,,,, বল দেখতে চাস???,,, আমাকে ভয় করে না তোর,,,,????? হাত পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখবো,,, চিল্লিয়ে,,,,

,
আবিরের মা বাহিরে থেকে দরজায় টোকা মারছে আর আবিরকে বারন করছে যেনো সুপ্তিকে না মারে,,,,

,
আবির:::::: আপনি এখান থেকে যাবেন নাকি আমি বাসা থেকে বের হয়ে যাবো,, ,

,
আবিরের মা:::: আমি চলে যাচ্ছি তুই ওরে কিছু বলিসনা বাবা,,,,
,
সুপ্তি- আন্টিকে ধমকাচ্ছেন কেনো,, যা বলার আমাকে বলেন।

,
আবির ::::: তুই আবার কথা বলছিস,,,??? জানিস আমি সারাদিন তোকে কোথায় কোথায় খুজছি??? পা খুব লম্বা হইছে??? খুব সাহস বেরে গগেছে,,,, কিছু বলিনা জন্য মাথায় উঠে গেছিস???

,
সুপ্তি- আমি বাসায় যাবো,,, আমি আম্মুর কাছে যাবো,,,,

,
আবির:::: আর একবার ও যদি এই কথা শুনি,,,,, তাহলে কিন্তুু ,,, যাও ফ্রেস হয়ে আসো,,, আমি বসে আছি,,,

,
সুপ্তি একপ্রকার দৌরে বাথরুমে চলে যায়,,, আবির আজ বড্ড রেগে গেছে সুপ্তির ওপর,,, সারাদিন ওরে খুজছে আর ও আবিরের কাছ থেকে দুরে চলে যাবার চেষ্টা করছে,,, আজ যার কাছে সুপ্তি ওর বালা বিক্রি করে সে আবিরের এক আংকেল, তাই সুপ্তিকে তিনি ভালো করেই চিন্তেন , উনিই আবিরকে ফোন দিয়ে বলে বালা বিক্রির কথা,, আবির গিয়ে বালা উনার কাছ থেকে নেয়, আর খুজতে খুজতে বাস্টপ এ গিয়ে সুপ্তিকে দেখে টিকিট কেটে বাস এ উঠতে,,, আবির তখন নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না সুপ্তিকে টেনে থাপ্পর মেরে দেয়,,,,

,
গোসল করে সুপ্তি চুপচাপ দারিয়ে থাকে,,, দেরি করে বের হলে আবির চলে যাবে সেইটা ভেবে,,,, ১ ঘন্টা পর সুপ্তি আস্তে আস্তে দরজা খুলে বেরিয়ে আসে,,, কিন্তুু বের হইয়ে দেখে আবির সেইভাবেই সুপ্তির দিকে তাকিয়ে আছে,,,, সুপ্তি আবিরের দিকে তাকিয়ে আবারও ভয় পেয়ে যায়,,, আবির সুপ্তিকে আসতে দেখে খাবার বারতে থাকে,,,,

,
সুপ্তি- আমার খিদে নাই,, দুটো থাপ্পর আর বকা খেয়ে পেট ভরে গেছে,,,

,
আবির::::: কার কি হয়েছে আমি শুনতে চাই না,, অনেক কষ্টে রাগ কন্ট্রোল করছি,,, কেউ যেনো রাগ না উঠায়,,, চুপচাপ খেয়ে নেয়,,,,

,
সুপ্তি দারিয়েই ছিলো,,, আবির সুপ্তিকে টেনে বিছানায় বসিয়ে খাইয়ে দিতে লাগলো,,, সুপ্তি কান্না করছে আর খাচ্ছে,,,,

,
আবির::::( আমাকে মাফ করে দাও সুপ্তি,,, তোমাকে যে আমি হারাতে পারবো না,,) মনে মনে
,
সুপ্তি- +(( মেরে বকে আবার ঢং দেখানো হচ্ছে,,, তোমার মার এ আমার কষ্ট লাগেনি আবির,, কষ্ট লাগছে তুমি যখন নীলাকে জরিয়ে ধরছিলে,) আপনি খাবেন না???

,
আবির::::,,,,,,

,
সুপ্তি- আপনি না খেলে আমিও খাবো না,,,,

,
তখন আবির ২-১ বার খেয়ে সব থালাবাসন সাইড করতে গেলো,,, তখন সুপ্তি টান হয়ে বিছানায় শুয়ে পরলো,,, একটু পর আবির হাত এ দড়ি নিয়ে ঘরে ঢুকলো,,,,,

,
সুপ্তি আবিরের হাত এ দড়ি দেখে লাফিয়ে উঠে বসে পরে,,, আর আবির দড়ি নিয়ে সুপ্তির দিকে এগিয়ে আসে,,,,,

,
চলবে♥♥♥#বাতাসী_বউ
পর্ব ২১ ( শেষ পর্ব)
—- অন্না
,
আবির দড়ি নিয়ে সুপ্তির দিকে এগিয়ে যায়,,, আর সুপ্তি চিৎকার করে ওঠে,,,,
,
—- না,,,,,,,,,,,,,,,,,, আপনি আমার মারবেন না,আমি মরতে চাই না, আমায় মাফ করে দিন, আমি আর কখনও এমন কাজ করবো না, আপনি চাইলে নীলাকে আপনার সাথে এনে রাখতে পারেন, আমি কিচ্ছু বলবোনা কিন্তুু আমার মারবেন না,,, গলায় দড়ি দিয়ে মরতে আমার অনেক কষ্ট হবে,,,
,
আবির::::চুপ করতে কয়টা থাপ্পর লাগবে????
,
সুপ্তি চুপ মেরে যায় আবির কিছু না বলে সুপ্তির কাছে চলে যায়,,, অনেক কাছে,,,, এত্ত কাছে যে সুপ্তির নিশ্বাস আবিরের মুখে এসে বারি খাচ্ছে, আবির সুপ্তির কাছে আসাতে ও বিছানা থেকে উঠে যেতে লাগলে আবির সুপ্তির কোমড় টেনে বসিয়ে দেয়,,, আর সুপ্তির হাত বেধে খাটের সাথে শক্ত করে বেধে দেয়,,,
,
সুপ্তি- কি হচ্ছে টা কি??? আমাকে কি গরু, ছাগল পাইছেন নাকি যে এভাবে বেধে রাখছেন???
,
আবির:::: আমার জরুরি কাজ আছে বাহিরে যাইতে হবে, আসতে দেরি হবে,,
,
সুপ্তি- তো ভালো কথা আমায় বাধছেন কেনো???
,
আবির:::: তুমি এতটাও বাচ্চা না যে বুঝতে পারছো না কেনো বেধে রাখছি,,,চুপচাপ ঘুমিয়ে পরো,, কাল অনেক কাজ আছে,,,
,
সুপ্তি- কাল কি??
,
আবির::: কালকেই দেখতে পাবে,,
,
সুপ্তিকে বেধে রেখে আবির চলে গেলো, কারন আবির চায় না সুপ্তি আবার পালিয়ে যাক তাই ওকে বেধে রেখে গেলো,,, “,,,
,
সুপ্তি- আমাকে এভাবে বেধে রাখা??? তুমি ভাবতেই পারছো না আমি তোমার কি অবস্থা করবো ,,, খচ্চর লোক একটা, সত্তি পালিয়ে যাবো আমি দেখো,,, ছারা পাই একবার,,,,
,
ভাবতে ভাবতেই সুপ্তি ঘুমিয়ে পরলো,,, আবির অনেক রাত এ এসে ঘুমিয়ে পরলো সুপ্তির পাশে,,, আবির সুপ্তির ঘুমন্ত মুখটা অপলোক চোখে তাকিয়ে দেখতে লাগলো,,,তখন আবিরের চোখ গেলো সুপ্তির হাত এর দিকে,,, ফর্সা হাত দুটোতে লাল দাগ হয়ে গেছে, আবির তারাতারি সুপ্তির হাত এর বাধন খুলে দেয়,, আবির সুপ্তির হাত এ হালকা করে চুমু খেয়ে ভাবতে খাকে,,,
,
,,,,,,,, আমায় মাফ করে দাও জান, আমার জন্য তোমার অনেক কষ্ট হলো,, আমার কিছু করার নাই, তোমাকে আমি আর হারাতে পারবো না, কাল তেমাকে আমার একদম কাছে টেনে নিবো, এত্ত ভালোবাসবো আমাকে আর কখনও একা ছেরে যেতে পারবে না, কখনও কখনও এমন সময় আসে যেকাজ টা গায়ের জোরে করা যায় না সেটা ভালোবাসা দিয়ে করা সম্ভব হয়,, আর তোমাকে তো গায়ের জোরে আটকে রাখতে পারবো না তাই ভালোবাসার জাল এই তোমাকে আটকে রাখতে হবে,,
,
আবির সুপ্তির কপাল এর চুলগুলো সরিয়ে আলতো করে কিস করে,,, সুপ্তি ঘুমের মধ্যে আবিরকে জরিয়ে ধরে ,,, আর আবির ও দেরি না করে সুপ্তিকে বুকের মধ্যে আগলে ঘুমিয়ে পরে,,,,
,
আবির ভোরে ঘুম থেকে উঠে সুপ্তির কপালে চুমু খেয়ে বেরিয়ে যায়,,,,
সুপ্তি ঘুম থেকে উঠে বিছানায় দেখে, আর হাত টা খোলা, কিন্তুু আবিরকে বিছানায় না পেয়ে সুপ্তির টেনশন শুরু হয়ে গেলো,,, সুপ্তি ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখে ১০-৩০ টা বাজে,,,
,
সুপ্তি- আল্লাহ্ এত্ত বেলা হয়ে গেছে আর আমায় কেউ ডাকেই নি,,, আবিরটাই গেলো কই,, আমায় তো সবাই ভুলেই গেছে,,,
,
বলতে বলতেই সুপ্তি নিচে চলে যায়, নিচে গিয়ে সুপ্তির চোখ চরকগাছ,,, সুপ্তি দেখে পুরা বাড়ি ডেকোরেটর করা,,, মনে হচ্ছে কারো বিয়ে,,,,
,
সুপ্তি- আজ তো আমাদের বিয়ের রিসিপসনের ডেট না,, তাহলে আজ কি?ওহ্ তার মানে নীলাকে নিয়ে আসবে হয়তো, ভালো,, থাকবো না এ বাড়িতে চলে যাবো আমি,,,,,,
,
আবির:::: কই যাচ্ছো???
,
সুপ্তি- যাহান্নামে,,,,
,
আবির:::: এখন যাওয়া হবে না, বাসায় অনুষ্ঠান আছে, গেস্ট আসবে, যাও ফ্রেস হয়ে নাও, পার্লার থেকে তোমাকে সাজাতে আসবে,,,
,
সুপ্তি- আমি রেডি হতে পারবেনা যার জন্য এসব করছেন তাকে সাজান গিয়ে,,,
,
আবির:::আর একটা কথা নয়,,, চুপচাপ গিয়ে তৈরি হয়ে নাও, আমাকে খারাপ কিছু করতে বাধ্য করো না,,,
,
সুপ্তি- থাকবো না আমি এ বারিতে চলে যাবো,, আপনার গেস্ট আসলে,,, আমার মরা মুখ দেখবেন আমায় আটকালে,,,
,
আবির::;; সুপ্তি,,,,,,,
,
সুপ্তি চলে গেলো,,, আবির ঠায় দারিয়ে থাকলো সুপ্তির যাবার দিকে,,, সুপ্তির কথা গুলো শুনে আবিরের চোখ থেকে দুফোটা জল গরিয়ে পরলো,,, আবির নিজেকে কন্ট্রোল করে নিচে চলে যায়,,,
,
সন্ধ্যায় সুপ্তিকে সাজানো কমপ্লিট হলো,,, আজ সুপ্তিকে লাল আর সাদা মিক্স করা শারি পরানো হয়েছে,হালকা মেকাপ, ভাড়ি গহনা একদম পারফেক্ট সাজ,,, আবিরকেও আজ কম সুন্দর লাগছে না,, হোয়াইট সুট, প্যান্ট,টাই পরছে আজ আবির,,,,, সব মেয়েই আবিরের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,,, কিন্তুু আবিরের চোখ সুপ্তির দিকে,,, সুপ্তিকে দেখে আবির একটা পলক দেখে চোখ ফিরিয়ে নিলো,, কারন আজ সুপ্তির বলা কথাটা আবিরকে অনেক কষ্ট দিয়েছে,,, সে আর চায়না সুপ্তিকে জোর করে আটকিয়ে রাখতে,,,, আবিরের এ কাজটা সুপ্তির একদমই ভালো লাগেনা,,,
,
সুপ্তি- হ্যা এখন তো আমাকে আর ভালো লাগবেনা, চোখে তো আর আমাকে দেখবেনই না, ওই চুন্নি টা আছে যে তাই না,,,
,
এর মধ্যে আবির নীলা আর একটা ছেলেকে সুপ্তির সামনে নিয়ে আসে,,
,
আবির:::: তিয়াস এই হচ্ছে সুপ্তি তোমার ভাবি,, আর সুপ্তি- এই হচ্ছে তিয়াস নীলার হাসবেন্ড,,
,
সুপ্তি আবিরের কথা শুনে আবিরের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে,,, কি বলবে ভাষা হারিয়ে ফেলে,,,
,
তিয়াস::: ভাবি আপনাকে কিন্তুু গরজিয়াস লাগছে,,, যে দেখবে সেই প্রেমে পরে যাবে,,, ভাই ভাবিকে সামলান নয়তো কেউ নিয়ে চলে যাবে,,,
,
আবির:::: যে যাবার সে এমনি যাবে , চলো আব্বুর সাথে তোমাদের দেখা করিয়ে দেই,,,
,
নীলা:::: তোমরা যাও আমি আসছি,,,
,
তিয়াস::: তারাতারি আসো বেবি তোমায় ছারা আমার মন বসবে না,,,
আবির আর তিয়াস চলে গেলো
,
নীলা::::: সুপ্তি ও হচ্ছে তিয়াস,, একসাথেই পরতাম। অনেক আগে থেকেই ও আমায় খুব ভালোবাসতো, কিন্তুু আমি আবিরের জন্য,,,,,, যাক সে কথা তোমাদের বিয়ের দিন আবির যখন তোমার কাছে চলে যায় তখন তিয়াস আমার পাশে এসে দাড়ায়,, সেদিন আমি আর ওকে ফেরাতে পারি না,, সেদিন রাতেই আমরা বিয়ে করি,,, আর কাল দুপুরে আমি আবিরকে শপিংমল এ ডেকেছিলাম। সারপ্রাইজ দিবো বলে, সেখানে আবির আমার জরিয়ে ধরে কনগ্রেস জানায় খুশির চোটে , আমার পাশে তিয়াস ও ছিলো,,,, সুপ্তি আবির তেমাকে অনেক ভালোবাসে, বিশ্বাস করো এ দুদিন এ তিয়াস আমায় একবার ও আবিরের কথা মনে করতে দেয় নি, আমি তিয়াসকে নিয়ে বাচতে চাই, আবিরের মনে আমার জন্য কোনো ফিলিংস ছিলোনা,, আর হবেও না, কারন আবিরের মনে শুধু তুমি আছো অন্য কেউ না,,, ভুল বুঝে ওকে সরিয়ে দিয়ো না,, খুব কষ্ট পাচ্ছে ও, ,,, আমি চাই তোমরা সব সময় ভালো থেকো,,,,
,
তিয়াস:::: কি গো তোমার হয় নাই???
,
নীলা:::: আসতেছি,,, ভালো থেকো সুপ্তি,,,সরি সরি ভাবি,,,
,
নীলা চলে যায়,, সুপ্তি অনুসুচনায় ভুগতে থাকে
,
সুপ্তি- , কি করে আমি এত্ত বর ভুল করলাম, আবিরকে মুখ দেখাবো কি করে,,,
,
রিসিপসন শেষ হয়ে যায় কিন্তুু আবির একটিবার এর জন্য সুপ্তির সামনে আসে না , সুপ্তি ছটফট করতে থাকে আবিরের কাছে মাফ চাবার জন্য,,,,, রাত বারোটারর সময় আবির ঘরে আসলো, এসে দেখে সুপ্তি রুমের মধ্যে পায়চারি করছে,,,,
,
সুপ্তি- এতক্ষন কই ছিলা???
,
আবির সুপ্তির কথার কোনো উত্তর না দিয়ে ওয়াসরুমে চলে যায়,,, সুপ্তি ঠায় দারিয়ে থাকে,,,, একটু পর আবির বের হয়ে আসে,,,,,
,
আবির:::: ড্রাইভার কে বলে দিছি উনি তোমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসবে,,,,
,
সুপ্তি দৌড়ে গিয়ে আবিরের পা চেপে ধরে,,,,
,
সুপ্তি- আমায় তুমি মাফ করে দাও আমর অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে,,,, আমি না বুঝে তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলছি,,,,
,
আবির:::: সুপ্তি হচ্ছে টা কি পা ছারো,,, ছারো বলছি,,,
,
সুপ্তি- আগে বলো তুমি আমায় মাফ করে দিছো ,,
,
আবির:::: তুমি তো কোনো কনো ভুল করনি যে মাফ করতে হবে,,, তুমি আমাকে খুব খারাপ মনের মানুষ ভাবে, আর খারাপ চরিত্রের ও, তোমার যা মন চাইছে করছো, আমার বলার কিছু নাই,,, অনেক রাত হইছে আমি খুব ক্লান্ত, আমাকে ঘুমাতে দাও,,,
,
বলেই আবির সোফায় গিয়ে শুয়ে পরলো,,, আর সুপ্তি রাগ করে গহনা গুলো খুলে খুলে বিছানায় ছুরে ফেলে দিতে লাগলো,,, আবির উঠে বসে সুপ্তির কাজ কর্ম দেখতে থাকে,,, সুপ্তি এবার আবিরের সামনেই শাড়ি টা খুলে বিছানায় ছুরে ফেলে দিলো,,, আবির সুপ্তির এই কাজের জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলো না,,, ,, সুপ্তির ওয়ারড্রপ থেকে একটা সুতি শাড়ি বের করে পরে নিলো,,, তারপর ওর পার্স টা বের করে রুম থেকে বের হওয়ার জন্য যেতে লাগে,,, ঠিক তখনই আবির সুপ্তির সামনে এসে দাড়ালো,,,,
,
আবির::::আর এক ধাপ এগুলে পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখবো,,,
,
সুপ্তি- আমার সামনে থেকে সরো,, আমাকে যেতে দাও, আমি কারো বোঝা হয়ে থাকতে চাই না,,,
,
আবির সুপ্তির কথা শুনে ঠাস করে থাপ্পর মেরে দেয়,,,
সুপ্তি গালে হাত দিয়ে দারিয়ে থাকে,,, আবার আবির সুপ্তিকে এক ঝটকায় কাছে টেনে নিয়ে বুকের মধ্যে সমস্ত শক্তি দিয়ে জরিয়ে ধরে,,, সুপ্তি ও আবিরকে সমানভাবে জরিয়ে ধরে,,,, আবির সুপ্তি দুগালে হাত রেখে চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে ,, কেউ কোনো কথা বলে না, আজ দুজনের কথা হচ্ছে চোখে চোখে,,, দুজনের চোখের ভাষায় দুজন বুঝতে পারছে কতটা অসহায় একে অপরকে ছারা,, আবির সুপ্তির গালে, চোখে কপালে কিস করে,,, আবির তাকিয়ে দেখলো সুপ্তির ঠোট দুটো কাপছে,,, আবির চট করে সুপ্তির ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দিয়ে পাগলের মত কিস করতে থাকে, সুপ্তিও আবিরের সাথে সমানভাবে তাল মেলাতে থাকে,,, আবির এক পর্যায়ে সুপ্তিকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে,,,,
,
সুপ্তি- আবির আজ আমার একটা কথা রাখবে,,,,
,
আবির:::: আজ কনো কথা হবে না,,,শুধু ভালোবাসা হবে,,,
,
সুপ্তি- প্লিজ,,,,
,
আবির সুপ্তিকে বিছানায় বসিয়ে হাত ধরে বলে
,,,, বলো কি চাই তোমার???
,
সুপ্তি- আমি চাই আজকে বাবা,মা এর দোয়া নিয়ে আমাদের নতুন জিবন শুরু করি,,, মা কে মাফ করে দাও, উনি আর আগের মতো নাই,,,
,
আবির কিছু বলে না,,, সুপ্তির হাত ধরে ওর মা বাবার কাছে নিয়ে আসে….
,
আবির:::: মা আসবো???
,
আবিরের মা:::: আবির তুই, আমাকে মা বলে ডাকলি বাবা,,,
,
আবির:::: হ্যা মা আমাকে মাফ করে দাও,,,
,
আবিরের মা:::: তুই আমাকে মাফ করে দে মা, আমি এ রকম কাজ আর কখনও করবো না,,,
,
আবিরের মা আবিরকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে,,,
,
আবিরের বাবা:::: আরে তোমরা মা,ছেলে আমায় ভুলে গেলে,,, আজব তো আর কোনো কান্না কাটি হবে না, মা সুপ্তি সব তোর জন্য সম্ভব হলো, তোকে যে কিভাবে ধন্যবাদ দিবো,,,
,
আবিরের মা :::: তুই যে আমার ঘরেে লক্ষি মা,,,, আমাকে ক্ষমা করে দিস মা , তুই তোর কথা রেখেছিস মা, আমি সারাজীবন তোর দাসী হয়ে থাকবো,
,
সুপ্তি- মা কি সব বলছেন??? আপনি যেমন আছেন তেমনি থাকবেন, আমি এই সংসার সামলাতে পারবো না, আমার হাত এ এত্ত সময় নাই,,,
,
আবিরের মা সুপ্তিকে জরিয়ে ধরলো,, আবির আর সুপ্তি উনাদের সালাম করে নিজেদের রুমে চলে আসে ,,,
,
আবির:;;; বাতাসী বউ
,
সুপ্তি- বলো,,
,
আবির:::: একটা কথা বলবো???
,
সুপ্তি- বলো….
,
আবির:::: এবার তুমি খুসি তো,,,,,,
,
সুপ্তি- সবচেয়ে বেশি,,,
,
আবির :::; তাইলে এখন?????
,
সুপ্তি আবিরের কাছে যেতে নিলেই পা এর সাথে পা বেধে ওইযে আবিরের ওপর পরলো,, আবির সুপ্তিকে নিয়ে বিছানায় উল্টে পরলো,,,
,
আবির:::: এমনি কি আর তোমাকে আমি বাতাসী বলি,,,
,
সুপ্তি আর আবিরকে কোনো কথা বলতে দিলোনা, তার আগেই আবিরের ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দিয়েছে,,, ওরা পারি দেয় সুখের ঠিকানায়,,, হারিয়ে যায় এক অন্য জগৎ এ, সুপ্তি আর আবিরের ভালোবাসার প্রকাশ পায়,,,,,,,,,,,
,
সমাপ্ত
,
আপনাদের অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ, আমার পাশে থাকার জন্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here