#বাতাসী_বউ
— অন্না
পর্ব ৭
আবিরের বাবা কিছু পরার শব্দ শুনে দরজায় আবিরকে দেখে দারিয়ে যায়। আবিরের মা এসে আবিরকে দেখে আৎকে উঠে।আবির কিছু শুনতে পায় নি তো,,,
আবিরের মা :::: বাবা তুই এখানে এভাবে বসে আছিস কেন???কি হয়েছে?? কেউ কিছু বলেছে? উঠ!উঠনা,,,
,
আবির ওর মা এর দিকে অগ্নিময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে উঠে রুম এ চলে গেলো,,
(আবিরের মা মনে মনে ভাবলো আবির কিছু শুনতে পায় নি। যাক বাবা বাচা গেলো).
কিন্তুু তার ধারনা ভুল। আবিরেে রুম থেকে ভাঙা চুরার শব্দ ভেসে আসে।। আর ক্রমস তা বেরেই যাচ্ছে। আবিরের মা এবার সিউর যে আবির সব শুনছে
। আবিরের মা, বাবা দৌড়ে চলে যায় আবিরের রুম এ। গিয়ে দেখে আবির ঘরের সব জিনিস ভেঙে পুরা ঘর উল্টা পাল্টা করে দিছে। আর আবিরের বাবা বলতে থাকে,,,,,,
,
,বাবা:::::: আমায় মাফ করে দে বাবা। আমি us. থেকে আসার পর সব জানতে পারি।সেদিন তোকে যা দেখানো হয়েছিলো সব সাজানো ছিলো। আমি কি করে বলতাম বল তোর মা নিজে হাত এ তোর জিবন টা নষ্ট করছে,,,,,
,
মা ::: আমি যা করছি এতে আমার কোনো আফসোস নাই। আমি যা করছি তোর ভালোর জন্য করছি। ওই মেয়ে আমাদের স্ট্যাটার্স এর সাথে কোনো ভাবেই যায় না,,,,,
,
আবিরের বাবা::::: তুমি ভুলে যাচ্ছো আবিরের মা তুমি সামান্য স্কুল দারোয়ানের মেয়ে। আমি কোনোদিন তোমায় ছোট চোখে দেখিনি। ভুল করেছিলাম তোমায় আমি বিয়ে করে। তাহলে আজ আর এ দিন দেখতে হতো না,,,,
,
আবিরের মা :::: তুমি এই কথা বলতে পারলে,,,,,
,
আবিরের বাবা:::: হ্যা পারলাম। তুমি বাধ্য করছো। ছেলেটার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখেছো একবার কেমন আছে ও। সেদিন তোমার কাজের জন্য আমার ছেলে প্রতিশোধের আগুনে হ্রিংস হয়ে গেছে। মেয়েটারসাথে ও কি কি করছে তোমার জানা আছে,,,,,,
,
আবিরের মা :::::: সুপ্তি,,,,, সুপ্তিকে কই পাইলা তোমরা,,,,,
,
আবিরের বাবা :::: হা হা হা হা ভয় পেয়োনা ও তোমার ছেলেকে কিছু বলে নি।
,
আবির::::: সুপ্তি কি বলবে? ওকি সব জানতো????
,
আবিরের বাবা::::: তুই নাকি ওরে ভালোবাসতি এইটুকু বিশ্বাস ছিলো না তোর ওর ওপর? এই তোর ভালোবাসা??? যে তোর মা এর অন্যায় মুখ বুজে মেনে নিয়েছে শুধু তুই তাকে অবিশ্বাস করছিস তাই।
,
আবির :::: ও একটিবার আমায় বলতে পারতো,,,,
,
আবিরের বাবা:::: কি বলতো ও তোকে??? একটা মেয়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিয়ের পিরিতে বসে।সেদিন সবাই যখন বিয়ে নিয়ে ব্যাস্ত ছিলো তখন নিলা ওকে জুসের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। যা তোর মা এর বুদ্ধি তে সম্পন্ন হয়। তারপর লোক ভারা করে সুপ্তির পাশে শুয়ে রাখে যা তোর সামনে আসে,,,,,
,
আবিরের মা :::::: সুপ্তিকে যখন তুই বাসায় নিয়ে আসিস আমার সাথে পরিচয় করানোর জন্য তখনই আমার ওকে পছন্দ হয় নি। মিডিল ক্লাস মেয়ে সামান্য স্কুল মাস্টারের মেয়ে ইকবাল আহমেদ্ এর পুত্রবধু হবার যোগ্যতা রাখেনা। আমি চাইনি আবিরের কাছে আমার মূল্য কমে যাক। আর এদিকে নিলা আবিরের জন্য প্রায় রাতে কান্না করতো। আমি বুঝছিলাম ও আবিরকে ভালোবাসে তাই আমি বিয়ের দিন আগেই নিলাকে সুপ্তির কাছে পাঠিয়ে দেই। সব কাজই প্ল্যান মতোই হয়,,,, আবির ওই ছেলেকে সুপ্তির সাথে দেখে ওকে ভুল বোঝে আর বিয়ে টা ভেঙে যায়,,,,, কিন্তুু ২ দিন পর সুপ্তি আমাে সাথে দেখা করে বলে ও সব জানতে পারছে,,, ও আবিরকে সব কথা বলে দিবে এমনটা বলে কিন্তুু ও বলেনি,,,, কারন নিলা ওরে ভয় দেখায় যে তোর,,,,,,,,
,
আবির :::;; আমার,,,,,,,,
,
আবিরের মা ::::::: তোর ক্ষতি করবে। আর ওর বাড়ির আসেপাশের মানুষ বিয়ের রাত এক কথায় নানা রকম কুকথা রটাতে থাকে পরে বাধ্য হয়ে ওরা বাড়ি বিক্রি করে চলে যায়।যাবার আগে ও আমার পা ধরে বলে গেছে আমি যেনো তোর খেয়াল রাখি।
দেখ বাবা আমি যা করছি তা তোর ভালোর জন্য করছি তুই ওকে ভুলে যা আর লিজাকে বিয়ে কর,,,,,,,,
,
আবির ::::::: ছিঃ মা ছিঃ। তুমি না মেয়ে? একটা মেয়ে হয়ে আর একটা মেয়ের মান সম্মান নিয়ে কি করে খেলতে পারো? তোমাকে মা বলতে আমার ঘেন্না করছে,,,,,, আমার সামনে থেকে বেরিয়ে যাও তুমি, তোমার মুখ আমি দেখতে চাইনা,,,,,,
,
আবিরের মা চলে যায়,,,,
,
আবিরের বাবা:::::: মেয়েটা ওনেক ভালো রে। কিন্তুু তুই ওর ভালোবাসার যোগ্য না। ৩ বছর ও আমার কাছে আছে কোনোদিন আমি ওর ব্যবহার এ খারাপ দেখিনি। আর তুই ওকে ভালোবাসতি।
,
আবির :::: ও কেনো আমার সাথে এমন করলো,,,, একটাবার আমায় সব বলতে পারতো বাবা। তুমি জানোনা আমি ওর সাথে আজ কি কি করছি,,,,আমার কথা ভেবে ও আমার থেকে দুরে চলে গেছে আর আমি ওকে,,,,,,,,,,,
,
আবিরের বাবা::::::: ভালো কথা। তৈরি হও ওর খাটিয়া ধরার জন্য। সেটাই তো চাইছিলে তুমি। তো জানাজা কখন হবে ঠিক করো,,,
,
আবির :::::: ওর কিছু যদি হয়ে যায় তো আমার জানাজা আগে হবে,,,,,,
,
বলে দৌড় দিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেলো সুপ্তির বারির উদ্দেশ্যে।
সুপ্তিকে বাড়ির সামনে গাড়ি ঠামিয়ে খালি পায়ে একপ্রকার দৌরে সুপ্তির বারির কলিং বেল চাপতে লাগলো। সুপ্তির ছোটো বোন দরজা খুলে দেয়। কাউকে কিছু না বলে সুপ্তির ঘরের দিকে পা বারায়,,,, তখনি সুপ্তির মা আবিরের সামনে দারায়,,,,,,,,,
,
সুপ্তির মা ::::: কেনো এসেছো এখানে? আর কিছু বাকি আছে? মেয়েটাকে তো সেস করেই দিছো। এখন কি করতে আসছো।???
,
আবির ::::: (কিছু না বলেই উনার পা জরিয়ে ধরলাম) আন্টি আমাকে একবার ওর কাছে যেতে দিন আন্টি প্লিজ। আমার অনেক বড়ো ভুল হয়ে গেছে। আমি ওকে ছারা বাচবো না আন্টি প্লিজ ( কাদতে কাদতে)
,
সুপ্তির বোন ::::::: মা আপুকে কখন থেকে ডাকছি এখনও তো দরজা খুলছে না আর কোনো সারা শব্দ ও নাই,,,,,
,
আবির দৌরে চলে গেলো সুপ্তির রুমের দরজার কাছে।
,
আবির::’:: সুপ্তি প্রিজ দরজা খোলো প্লিজ,,,, ( চিৎকার করে)
,
সুপ্তির মা :::: দরজা খোল মা। কিছু করিস না মা আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে।। আমার মেয়ের যদি কিছু হয় তোমাকে আমি ছারবো না আবির মনে রেখো
,
ভেতর থেকে কোনো সারা না পাওয়ায় আবির দরজা ভাঙতে শুরু করে,,,,,,
দরজা ভেঙে আবির সুপ্তি বলে চিৎকার করে দরজার কাছে হাটু ভাজ করে বসে পরে)
,
চলবে,,,,,,,#বাতাসী_বউ
—- অন্না
পর্ব : ৮
,,,,,সুপ্তির মা সুপ্তিকে দেখে সুপ্তি,,,, বলে চিৎকার করে উঠে। সুপ্তি ফ্লোরে পরে আছে ওর কোনো সেন্স নাই ওর পাশে ব্লেড পরে আছে, ওর হাতটা দেখে আবির স্তব্ধ মেরে গেছে,, ফ্লোরে রক্ত দিয়ে মেখে গেছে। আবির সুপ্তিকে বুকের মধ্যে জরিয়ে হাউ মাউ করে কান্না করতে থাকে,,,,,,,,
,
,,,,,,,,,, তুমি এটা কেনো করলে। আমি অনেক বড় অন্যায় করে ফেলছি।আমার অন্যয় এর শাস্তি তুমি এই ভাবে দিলে। আমায় একা রেখে চলে গেলে। আমার কেউ রইলোনা। আমি করে থাকবো। কে আমায় বকবে, কে আমায় শাষন করবে, কে আমায় ভালোবাসবে, আমি মরে যাবো তোমায় ছারা, কেনো এমন করলে কেনো,,,,, ,,
,
( এর মধ্যে আবিরের বাবা আসে)
,
আবিরের বাবা::::: হায় আল্লাহ্ এটা তুমি কি করলে।।। আবির মেয়েটাকে বাচাতে হবে জলদি হাসপাতাল এ নিতে হবে,,,,,,,,,
,
আবির ::::: সুপ্তি এই সুপ্তি চোখ খোলোনা একবার চোখ খোলোনা,,, আমি তোমাকে দেখতে পারছিনা এ ভাবে ওঠোনা। তোমাকে বলছিলাম না তোমার গায়ে টোকা দিলে আমি তাকে ছারবো না। আমি নিজে তোমায় মেরে ফেললাম। বাবা ওকে বলো না চোখ খুলতে
,
আবিরের বাবা:::: আল্লাহ্ আল্লাহ কর বাবা জলদি চল,,,,,
,
আবির সুপ্তিকে কোলো নিয়ে দৌর দিলো। পুরা রাস্তা আবির সুপ্তিকে বুকের মধ্যে জরিয়ে নিয়ে হাউমাউ করে কান্না করতে থাকে,,,,,
গাড়ি থেকে নেমে আবির সুপ্তিকে কোলে নিয়ে ক্লিনিক এর মধ্যে যেতে থাকে। সুপ্তির রক্তে আবিরের পুরা শরির ভিজে যায়। সবাই আবিরের পাগলামি দেখতে থাকে। ও ডাক্তারের পাজরিয়ে ধরে,,,,,
,
আবির :::::: দয়া করে আমার ওকে ঠিক করে দিন,, আমি ওরে ছারা থাকতে পারবো না, প্লিজ ডাক্তার প্লিজ( কাদতেই থাকে)) ,,,,,
,
ডাক্তার ::::::: প্লিজ নিজেকে সামলান মি,আবির আমরা সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো,,,
,
( ডাক্তার চলে যায় অপারেশন রুমে আবির যেতে চাইলে ওকে যেতে দেয় না, আবির ওর বাবাকে জরিয়ে কান্না করতে থাকে,,,,
,
আবিরের বাবা :::: নিজেকে শক্ত কর। তোর ভুলের জন্য আজ মেয়েটা মরতে বসেছে। মেয়েটার কিছু হইলে পারবি নিজেকে ক্ষমা করতে,,,,,,,
,( এর মধ্যে ডাক্তার বেরিয়ে আসে,,,)
,, আবির :::::: ডাক্তার কেমন আছে ও
,
ডাক্তার ::::: আসলে রোগির অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল। অনেক রক্ত বের হইয়ে গেছে শরির থেকে। আর উনার বিপি টা একদম লো কন্ট্রোল করতে পারছি না। আমরা তো চেষ্টা করবে বাকি সব আল্লাহর হাত এ।
,
আবির ::::: চেষ্টা করবি মানে কি? সুপ্তির কিছু হইলে তোকে আমি দেখে নিবো, তোকে। এই হাসপাতাল আমি ভেঙে গুরিয়ে দিবো। সেই ক্ষমতা আমার আছে ,,,,,( ডাক্তারের কলার ধরে)
,
আবিরের বাবা:::: আবির কি হচ্ছে টা কি,,,,,, ছার, ছার উনাকে,,,,,
,
আবির ::::: ও কেনো বলবে সুপ্তির কিছু হবে,,, কিছু হবে না ওর কিছু হতে দিবে না ওর আমি,,,,,
,
ডাক্তার চলে যায়, আবির তারাতারি গগিয়ে ওযু করে নামাজ করতে চলে যায়,,,,,,
,
নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করে,,,,,,,,,,
আবির::::হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে কনোদিন কিছু চাই নাই। আজ আমার জন্য সুপ্তির এ অবস্থা। আমি যদি কনোদিন কনো ভালোকাজ করে থাকি তার সোয়াব এর মুল্যে তুমি আমার সুপ্তিকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও আল্লাহ্, নয়তো তুমি আমার জান নিয়ে ওর জান ফিরিয়ে দাও,,,,,,,
,,
এর মধ্যে সুপ্তির বাবা আবিরের কাধে হাত রাখে,,
,
সুপ্তির বাবা::::: সুপ্তির আজ যা হইছে তা ওর কপালে লেখা ছিলো। আজ আমি অনেক খুসি আমার মেয়েটা ভুল মানুষকে ভালোবাসেনি। সে আজ ও ছেলেপক্ষের সামনে বসতে চায় নি। আমি জোর করছি তাই,,,,, আর তুমি কাজ গুলা মোটেই ভালো করোনি। তুমি ডে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছো এটাই অনেক । তোমার সাথে বিয়ে টা ভাঙার পর আমার মেয়েটা কনোদিন ও রাতে ঠিকমতো ঘুমায়নি। আগের মতো হাসেনা, কথা বলেনা। ভাবছিলাম বিয়ে দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে কিন্তুু আমার মেয়েটা আজ দুনিয়া ছেরে যেতে বসেছে,,,,,
,
আবির ;;;;; আংকেল আমায় মাফ করে দিন। আমি আমার মা এর কথা শুনে ওর ওপর অবিশ্বাস করছি,, ওর কিছু হবেনা,,,,,,
,
সুপ্তির বোন ::::: আব্বু আ,,,,,,পুু
,
আবির , সুপ্তির আব্বু ::::::: কি হয়েছে????
,
চলবে,,,,,,,#বাতাসী_বউ
—– অন্না
পর্ব,,, ৯
,
আবির, সুপ্তির বাবা;:: কি হয়েছে???
,
স্বস্তি :::: আব্বু ডাক্তার বের হইছে অপারেশন রুম থেকে,,,,,
,
( দৌরে চলে যায় ডাক্তারের কাছে. আবিরের বাবা আবির কে দেখে জরিয়ে ধরে বলে,,,,
______ আল্লাহ্ তোর দোয়া কবুল করছে অপারেশন সাকসেসফুল। একটুপর ওরে কেবিন এ নেওয়া হবে,,,,
,
আবির:::::: আল্লাহ্ অনেক অনেক সুকরিয়া তোমার দরবারে।
,
সুপ্তির বাবা:::::: আমি সুপ্তির মা কে জানিয়ে আসি,,,,,
,
( সুপ্তিকে কেবিন এ নেওয়া হলো, কিন্তুু ওর সেন্স এখনও আসে নি। সবাই একনজর দেখে বাসায় চলে গেলো। অবশ্য যেতে চায় নাই। আবির জোর করে পাঠিয়ে দেয়। আবির সুপ্তির হাত ধরে বসে থাকে।সুপ্তি এর আগেও হসপিটাল এ ভর্তি ছিলো। কলেজ থেকে ফেরার পথে কুকুরের তারা খেয়ে উল্টে পরে গিয়ে মাথা ফাটিয়ে নিছিলো। অজান্তেই সুপ্তির কপালে আলতো করে
তখনই আবিরের চোখ যায় সুপ্তিকে হাতের আংটি দেখে। মনে পরে যায় সেদিন গুলোর কথা,,,,,,,
,
আবির::::::: সেই কখন থেকে বসে আছি মেডাম এর খবর নাই।
( এর মধ্যে নিলা আসলো। নিলা আবিরের খালাতো বোন। আর সেই মেয়েটি যে আবিরের হাত ধরে দারিয়ে ছিলো। কিন্তুু সুপ্তি যানতো না।)
,
নিলা :::: কিরে ক্যাম্পাস এ একা একা বসে কি করিস। ‘আমায় ডাকলি না কেনো,,,,( আবিরের হাত ধরে)
,
এর মধ্যে সুপ্তি আসে, ওদের ওভাবে দেখে রাগে অগ্নিমুর্তি ধারন করে,, আবির ওকে দেখতেই উল্টোদিক এ চলতে থাকে,,,,,
,
আবির::::: না আসলে,,,,,,,,( এই রে বাতাসী মনে হয় রেগে গেছে।)… নিলা তুই ২ মিনিট বস আমি আসতেছি।।।।
,,,,,,
বলেই দৌড় সুপ্তির দিকে,,,,
,
আবির :::: এই মেয়ে দাড়াও, দাড়াও বলছি,,,,
,
সুপ্তি কানে না নিয়ে রাগে গজগজ করতে থাকে কিন্তুু এই যা,,,,,,,,, সুপ্তির আবার উল্টে গেছে। আবির গিয়ে টেনে তুললো,,,,,
,
আবির :::: এই মেয়ে তুমি দেখছি আমার মান সম্মান সব নষ্ট করবা,,, চোখ কই রেখে হাটো হ্যাঁ এখনি কি হতো???
,
সুপ্তি- কি হতো হ্যাঁ কি হতো। আমার হাত পা সব ভেঙে যেতো তাতে তোর কি? আমি মোরলেই তো তোর শান্তি।
,
আবির ::::: কি যা তা বলছো,,,,, আমি আবারর কি করলাম???
,
সুপ্তি- তোর কিছু করতে হবে না যার হাত ধরে বসে ছিলি তার কাছে যা,,, ওর কোলে বসে থাক যা,,,, খবরদার আমার সাথে কথা বলবি না,,,,
,,
আবির :::: হা হা হা হা আরে ও তো আমার,,,,,
,
সুপ্তি- আমি শুনতে চাইনা,,,,,
,
আবার ::: ঠাস করে একটা থাপ্পর মেরে মুখ টা ফাটিয়ে দিবো এসো আমার সাথে,,,,, (বলে হাত ধরে টানতে টানতে নিলার কাছে নিয়ে গেলো)
,
আবির :::::: নিলা এ হলো সুপ্তি। এ কলেজ এই পরে। এবার hsc দিবে। আর সুপ্তি এ আমার বোন নিলা। তোমার সিনিয়ার আপু,,,,,
,
সুপ্তি- ( কি বলবো বলার কিছু পাচ্ছি না) নাইস টু মিট ইউ আপু….
,
নিলা:::: নাইস টু মিট ইউ টু সুপ্তি,আবির ইটস নট ফেয়ার তুই এতো কথা বলিস আর এটা আমার কাছে লুকালি কেনো।?
,
আবির ::::: তোকে আর মাকে একসাথে সারপ্রাইজ দিকে চাইছিলাম কিন্তুু ( বলে সুপ্তির দিকে তাকায়)
,
নিলা :::: আচ্ছা তোরা থাক আমার ক্লাস আছে,,,,
,
আবির :::: আচ্ছা যা,,,,
নিলা চলে গেলো,,,,,
,
সুপ্তি- আই এম সরি জান, আমি আসলে ভাবছিলাম,,,,,
,
আবির :::: কি? কি ভাবছিলা তুমি? আমার গালফ্রেন্ড ও।। তুমি কি বাচ্চা বুঝনা? ভালোবাসা খেলনা না।
,
সুপ্তি ::::: আমায় মাফ করে দাও প্লিজ। আর জীবনেও এমন ভুল করবোনা ।।প্লিজ জানু প্লিজ,,,, তুমি আমার জান পাখি না,,,,,
,
আবির ::::: থাক থাক আর বলতে হবে না,,,, ২ দিন পে থেকে পরিক্ষা সেই টা ভাবো।। পরিক্ষা শেষ হয়ে গেলে আম্মুর কাছে তোমায় নিয়ে যাবো।। আর একটা রিকুয়েস্ট আছে রাখবা????
,
সুপ্তি- রিকুয়েস্ট কেনো অর্ডার করো,,,
,
আবির:::: তুমি প্লিজ কমপ্লেইন খাওয়া শুরু করো,,,,, হাহাহাহাহা
,
সুপ্তি- স্টপ ইট,,,,,,,
,
আবির ::::ওকে ওকে,,, তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে চোখ বন্ধ করো,,,,,
,
সুপ্তি- মারবেনা তো আবার,,,,,,
,
আবির :::: নিতে হবে না সারপ্রাইজ। যাও বাসায় যাও
,
সুপ্তি- কথায় কথায় রাগ করো কেনো??? এই তো চোখ বন্ধ করলাম,,,,,
,
আবির :::: এবার চোখ খোলো,,,,
( সুপ্তি তাকিয়ে দেখে আবির তার সামনে হাটু গেরে বসে আছে হাত এ কি যেনো নিয়ে)
,
আবির ::::: আমি জানি না ভালোবাসার প্রকাশ কি করে করতে হয়। আমি জানি না মিষ্টি কথায় কি করে কাউকে ভালো রাখতে হয়। কিনতু আমি জানি তুমি ছাড়া আমার জীবনের কোনো মূল্য নাই। সুপ্তি আমি তোমার সাথে নিঝুম দিপে পাড়ি দিতে চাই,,,,, জোসনা রাতে তোমার সাথে হারিয়ে যেতে চাই,,,,,ঝুম বৃষ্টিতে দুজনে একসাথে ভিজতে চাই,,,,,,প্রতিদিন ভোরে তোমার সাথে সূর্য ওঠা আর সূর্য অস্ত দেখতে চাই,,,,,, মরার আগ পর্যন্ত প্রতিটা নিঃশাষ তোমার সাথে নিতে চাই,,,,, আমার রুমে শুধু একটা মাত্র মেয়ের শরিরের গন্ধ থাকবে আর সে হলো তুমি,,,,,
আমি যানিনা তোমার জিবনে আমার মূল্য কি? কিন্তুু তুমি বিনা আমি অপরিপূর্ণ,,,,,,,, সুপ্তি তুমি কি আমার অপরিপূর্ণ জীবনটা পরিপূর্ন করতে সাহায্য করবে,,,,, will you marry me shupti plzzzzzzz
,,,
plz don’t say no আমি মরে যা,,,
( কথাটা শেষ করতে পারে না। তার আগেই সুপ্তি আবিরের ঠোঁটে নিজের ঠোঁটে দিয়ে হালকা একটা ভালোবাসার পরস একেঁ দেয়)
,
সুপ্তি- প্লিজ জান কোনো দিন এই কথা মুখেও এনো না। কোনো প্রিয়োজনই চাইবে তার ভালোবাসার মানুষ তার সামনে এই কথা বলুক। আর আমি কখনও তোমায় ছেরে যাবো না।তোমার ভালোর জন্য আমি নিজের জীবন দিয়ে দিবো,,,,,, i love you .. i love you… i love you jan ,,,,,,,,,,,
,
আবির :::::: তোমার হাত টা দাও,,,,
,
( সুপ্তির হাত এ আবির আংটি পরিয়ে দেয়).
।
,
——-এই আংটি টা আমার ভালোবাসার প্রতিক। এটা কখনও খুলো না। আর আমি তোমায় অনেক ভালোবাসবো। আমায় ছেরে কখনও যেওনা,,,,
,
সুপ্তি- যাবনা রে পাগলা। তুই শুধু আমার। নিজের জিনিস রেখে কেউ কখনও থাকতে পারে??
,
আবির ::::: মানে কি হইলো???? আমায় তোমার জিনিস মনে হয়????
,
সুপ্তি- হাহাহাহাহা
,
আবির :::: আজ যে কাজ করলে তা আর ভুলেও করবা না। আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবো না। আর কন্ট্রল হারালে কি করবো জানো????
,
সুপ্তি- জানি না আর জানতে ও চাই না :-/
…
আবির :::: জান আমি তোমাকে আমার অধিকার এ আপন করে নিতে চাই,,,, আমার ভালোবাসা আমি পবিত্র করে রাখতে চাই।। আপাততো সব বাসর ঘরের জন্য তুলে রাখলাম।
,
জান ওই দেখো কুকুর,,,,,,,,
,
( আ,, আ,,,আ,,,,,,,,,,কই কই কই কুকুর)
আবির :::: হাহাহাহা
,
সুপ্তি- আবির তোমাকে আমি আজ খেয়ে নিবো,,,,,,,,,
বলেই আবিরের পিছু দৌড়। আবির ও দৌড়,,,,
,
( এভাবেই আবিরের আর সুপ্তির খুনশুটির মধ্যে দিয়ে ৩ মাস কেটে যায়। এর মধ্যে সুপ্তির পরিক্ষাও শেষ হয়ে যায়,,,,, আজ আবির সুপ্তিকে ওর মা এর সাথে দেখা করাতে নিয়ে যাবে,,,,,,,,,,,))))))) ভাবতে ভাবতেই সুপ্তির হাত নরে উঠে,,,,,,,,
,
আবির দৌড়ে যায় ডাক্তারকে ডাকতে,,,, ডাক্তার রুমে যায় চেকআপ করে বলে সুপ্তির সেন্স ফিরেছে । আবির ওর বাবা কে আর সুপ্তির বাবা কে ফোন করে জানিয়ে দেয়। আবির সুপ্তির কাছে গিয়ে ওর বেড এর পাশে চেয়ার টেনে বসে, কিছু বলতে যাবে ,, এর মধ্যে লিজা আসে,,,,,
,
লিজা::::: আবির চলো বাসায় চলো, খালামনি তোমার জন্য ওয়েট করছে,,,,
,
আবির ::::: তোকে এখানে আসার পারমিশন কে দিছে??? দেখ এমনি আমার মন মেজাজ ভালো না । তুই যা এখান থেকে,,,,
,
লিজা::::: আমি তোমাকে না নিয়ে যাবো না। চলো আমার সাথে। কার জন্য এখানে পরে আছো তুমি। যে কাল অন্য কারো সাথে বিয়ে করার হন্য তৈরি হচ্ছিলো? ওর জীবন এ তোমার কোনো ভ্যালু নাই তুমি বোঝার চেষ্টা করো আমি তোমায়,,,, ও অভিনয় করছে , ও এত্ত সহজে মরবে না,,,,
,
কথাটা লিজা শেষ করতে পারে না তার আগেই আবির ঠাস করে থাপ্পর মেরে দেয়,,,,
,
লিজা:::: তুমি আমায় যত খুসি মারো কিন্তুু তুমি সুপ্তির থেকে দুরে থাকো ও ভালো মেয়ে না, কাল তুমি ছিলে আজ রাজ কাল অন্য কেউ,,,,
,
( বলতেই আবির লিজার মুখ চেপে দেওয়ালের সাথে আটকে ধরে,,,সুপ্তি ওদের শুধু দেখছিলো, কিন্তুু আবিরের কাজ দেখে ও ভয় পেয়ে যায়,,,,,, ও আবির কে ডাকতে থাকে কিন্তুু আবিরের রাগ কন্ট্রোল এর বাহিরে চলে গেছে,,,,,)
,
আবির ::::: তোকে আমি আগেও বারন করছি সুপ্তিকে নিয়ে কনো কথা বলবি না। আমার ওপর অধিকার শুধু ওর। ওর যা ইচ্ছা আমায় নিয়ে করবে তুই কে বলার।।। তোর জন্য আজ আমার সুপ্তির এ অবস্থা তুই আমাদেে জীবনটা নষ্ট করে দিছিস আজ তোকে আমি মেরেই ফেলবো বলেই আবির নিলার গলা চেপে ধরে,, ,,,,,
,
সুপ্তি আর সহ্য করতে না পেরে উঠে এসে আবিরের পিঠে হাত দেয়,,,,আবির পিছে ঘুরে সুপ্তিকে দেখে লিজাকে ছেরে ওকে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরে,,,
এই সুযোগ এ লিজা রুম থেকে বেরিয়ে যায়,,,,
,
আবির:::: এই মেয়ে কি চাও কি তুমি হ্যাঁ, আমাকে শান্তিতে থাকতে দিবে না সব সময় আমায় টেনশনে রাখতে খুব মজা পাও? চুপচাপ শুয়ে পরো কনো কথা হবে না,,,,
,
সুপ্তি- শুয়ে থাকতে ভালো লাগছে না,,
,
আবির সুপ্তিকে হেলান দিয়ে বসিয়ে দেয়,,,,,,আবির আবির সুপ্তির কোল জরিয়ে বসে বলতে থাকে,,,,,,,
,
আবির::::: আমাদের মধ্যে এমন কথা তো ছিলো না সুপ্তি কেউ কারো কাছ থেকে কোনো কিছু লুকাবো না। কিন্তুু তুমি আমাদের জীবনের এতবর সিদ্ধান্ত একাই নিয়ে নিলে। আমায় জানানের প্রয়োজন মনে করোনি আমি কি তোমার জীবন এ বোঝা হয়ে গেছিলাম যে আমায় তুমি এইভাবে দুরে সরিয়ে দিলে,,,আমায় একটিবার তো বলতে পারতে,,,,, তোমার ২ লাইন বেশি বোঝা আর আমার রাগেে জন্য তোমায় সারাজিবনের জন্য হারিয়ে ফেলতাম।।।। আমায় মাফ করে দাও সুপ্তি আমায় মাফ করে দাও ( কাদতে থাকে)
,
সুপ্তি কোনো কথা বলে না চুপ করে থাকে,
,
এর মধ্যে নার্স আসে
,,,,
সুপ্তি- সিস্টার,,,,
,
নার্স :::: ইয়েস মেডাম
,
সুপ্তি- খুব পানি পিপাশা লাগছে একটু পানি খাবে,,,,,,
,
নার্স ::: yes mam,,, wait a just minit
,
আবির ::::: তুমি পানি খাবে আমায় কেনো বলনি????
,
সুপ্তি-………
,
নার্স ::::: ম্যাম পানি
,
সুপ্তি- প্লিজ হেল্প আমি একা পারবো না,,,,
,
আবির :::: আমি দিচ্ছি দিন আমায় পানির গ্লাস টা,,,,,
,
আবির পানির গ্লাস টা নেবার আগেই রাজ পানির গ্লাস টা নিয়ে সুপ্তিকে পানি খাইয়ে দেয়,,,,,
,
চলবে,,,,,,,