#বাতাসী_বউ
পর্ব :১৩
—– অন্না
,
আবির সুপ্তিকেশক্ত করে চেপে ধরে,,,,
,
আবির :::: তুমি চাচ্ছো আমি আগের আবির এ পরিনত হই?
,
সুপ্তি- ভাইয়া আমার লাগছে,,,,,
,
আবির:::: shat up! just shat up….. তোর কোন জন্মের ভাই আমি???
,
সুপ্তি- সরি স্যার,,,,
,
আবির :::: সুপ্তি তুই কিন্তুু আমার রাগ চরমে উঠাচ্ছিস ,,,, নাম নাই আমার নাম ধরে ডাকতে পারিস না,,, রাজ কে তো কোনোদিন তোকে আপনি করে বলতে শুনি নাই,,,, কিসের এত্ত ঢং ওর সাথে??? বাইক এ চুইংগাম এর মতো চিপকে বসতে হয়,, কোই কোনোদিন ও তো আমার সাথে ওমন করে বসিস নাই। যেখানে আমি তোর শরীরে কোনোদিন টাচ্ করি নাই সেখানে নীল কি করে তোর কোমড়ে হাত দিয়ে ধরে রাখতে পারে,,,,
,
সুপ্তি- স্যার রাজ এর কথা যেখনে বললেন রাজ আমার বাগদত্তা আমি ওর সাথে যা ইচ্ছা করতে পারি সেখানে আপনার নাক না গলালেও চলবে,,, আর নীল এর সাথে যা হইছে তা কেবল দুর্ঘটনা,,,
,
আবির::: এ্যা,,,,,, নীল,, কিসের নীল হ্যাঁ,,, কিসের নীল,, ভাইয়া বলবি ওকে,,,,
,
সুপ্তি- কেনো ভাইয়া বলবো কেনো,, নীল আমার কোন জন্মের ভাই,,,,,
,
আবির কিছু বলতে যাবে তখন সুপ্তির ফোন আসে,,,, আবির সুপ্তিকেছেরে দিলেও এক হাত ধরে থাকে যাতে সুপ্তি পালাতে না পারে,,,, আবির সুপ্তির থেকে ফোন নিয়ে দেখে রাজ ফোন করছে,,, আবির ফোনটা রিসিভ করে লাউস স্পিকার ওন করে সুপ্তিকে ইশারায় কথা বলতে বলে ,,,
,
সুপ্তি- হ্যালো,,,
,
রাজ::::: আমার বাবুটা কি করছে???
,
আবির সুপ্তির দিকে রাগি চোখে তাকায়,,,
,
সুপ্তি::::: এইতো কাজ করছি বাবু,, তুমি কি করছো জান???
,
আবির সুপ্তির কথা শুনে ফোনটা নিয়ে দিলো জোরে আছার,,, ফোনটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো,,,,
,
সুপ্তি- স্যার,,,, এটা আপনি কি করলেন এখন আমি আমার বাবুটার খবর,,,,,
,
সুপ্তি কথাটা শেষ করতে পারে না তার আগেই আবির সুপ্তিকে জরিয়ে ধরে সুপ্তির ঠোঁট নিজের আয়ত্তে করে নেয়,,,, সুপ্তি অনেক বাধা দিলো কিন্তু আবিরের সাথে ও পেরে ওঠে না, অনেকক্ষন কিস পরে আবির সুপ্তিকে ছেরে দেয়,,,,,,
,
আবির::::: অন্য কাউকে জান বলার অধিকার তোমায় আমি দেইনি……
,
সুপ্তি কিছু না বলে রাগে গজগজ করতে করতে কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়,,,,নিজের ডেস্ক এ গিয়ে,,,
,
সুপ্তি- পাইছে টা কি ও,,,, সালা বজ্জাট ব্যাটা,,, তুই চিনিস আমারে রাজকে কেনো জান বলবো না আমি,,, ১০০ বার বলবো ১০০০ বার বলবো,,, তুই বলার কেরে?
,
আবির ::::: আমি কে তাই না????
,
সুপ্তি পিছে ঘুরে দেখে আবির হাত এ কফি মগ নিয়ে অগ্নিমুর্তি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,, মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে সুপ্তিকে ধ্বংস করে দিবে,,,,,
,
সুপ্তি- না মানে স্যা,,,,,,র পানি খাবো,,,,
,
আবির:::: এটা খাও,,,
,
সুপ্তি,:::: ( মগ টা নিয়ে পুরা টুকু ঢকঢক করে খেয়ে ফেললাম, কিন্তুু টেষ্ট টা কেমন যানি) স্যার আপনি এটা আমায় কি খাওয়ালেন? কোল্ড কফি তো মনে মনে হলো না,,,, কিন্তুু খুব টেষ্টি,,,,
,
আবির :::::; সব বাচ্চাদেরই এটা ভালোলাগে,,,
,
সুপ্তি- বাচ্চা মানে???
,
আবির ::::: কমপ্ল্যান ছিলো এইটা,,,
,
সুপ্তি- কিইইইইইইইইইইইই,,,,,,,,,
,
আবির :::: তারাতারি এই ফাইলগুলা শেষ করে আমার কেবিন এ আসো,,,,
,
সুপ্তি- পারবোনা আমি কিছু করতে,,,,
,
আবির আবার সুপ্তির দিকে তাকায়,,,,,
,
সুপ্তি- যাচ্ছিতো,,,,, যাচ্ছিতো,,,,
,
আবির মনে মনে ভাবে,,,,,,
,
কি করতে চাচ্ছি আর কি হচ্ছে এ ভাবে চলতে থাকলে তো আমি সুপ্তিকে কখনোই ছারতে পারবো না।কিন্তুু ওর সাথে অন্য কাউকে দেখলে তো আমার সহ্য করতে পারি না,, আর মেয়েটাকে আমি যতই দূরে সরাইতে চাই মেয়েটা ততই আমার কাছে চলে আসে,
,
,
এদিকে আবির অনেকক্ষন সুপ্তিকে দেখতে না পেয়ে সুপ্তিকে ডেস্ক এ যায়,,, গিয়ে দেখে নীল আর সুপ্তি খুব হাসাহাসি করছে,,,, আবির খুব করে চেষ্টা করছে নিজেকে কন্ট্রোল করার জন্য ,,,, এক পর্যায়ে নীল সুপ্তির কপাল থেকে চুল টেনে কানের কাছে গুজে দেয়,,,,, আবির আর নিজেকে টেনে রাখতে পারে না ডেস্ক এ ঢুকে সুপ্তিকে কসে থাপ্পর মেরে দেয়,,,,,
,
নীল ::::: আবির কি করছিস ভাই,এভাবে কেউ কাউকে মারে,,,,,
,
আবির :::: তুই আমার অফিস দেখতে আসছিস নাকি ওকে??.
,
নীল::: ভাই তুই অহেতুক রাগ করছিস,,,, আমি তো শুধু ওর,,,
,
আবির :::: তুই জানিস ওর বিয়ে ঠিক হইছে,,,, সামনের মাসে ওদের বিয়ে,,,, আর ২০ দিন আছে,,,,
,
নীল::::: আমি সব জানি, যেখানো ওর সমস্যা হচ্ছে না সেখানে তোর কেনো সমস্যা,,,, এটা তোর কাছে আশা করিনি,,,,,, গেলাম আমি,,,,
,
নীল চলে গেলো,,,,,
,
সুপ্তি- এতই যখন আমার পাশে কাউকে সহ্য করতে পারো না তখন আমায় নিজ দায়িত্বে অন্য কারো কাছে ঠেলে দিচ্ছো???যাক সেসব কথা কাল তো আপনাদের এংগেইজমেন্ট এর পার্টি,,,, তো ভাবি কে এটা আমার তরফ থেকে দিয়ে দিয়েন,,,,,
,
আবির :::: কি এটা,,,,
,
সুপ্তি- ( এটা শাড়ি বের করে দিলো, এটা আবির সুপ্তিকে ওর জন্মদিনে গিফ্ট করছিলো) স্যার চিন্তা করেন না এটা আমার শরির এ একবার ও জরায় নি,,, কারে সৃতি রেখে দিছিলাম,,,
,
আবির :::: আমার দেওয়া সব জিনিস নিজের থেক। সরিয়ে দিচ্ছো???
,
সুপ্তি- স্যার যখন মানুষটার জীবনে আমার কোনো মূল্য নাই সেখানে তার জীনিস গুলা আমার কাছে থাকলো আর না থাকলো তাতে ওর কোনো কিছু যাবে আসবে না,,,,
,
আবির :::;:: সুপ্তি,,,,,,,
,
সুপ্তি- আপনার দেওয়া এই জিনিসটা আমার কাছে এখনও আছে ,,,
( সুপ্তি ওর পায়জামা পায়ের কাছে তুলে পা এর নুপুর দেখালো)
,
আবির :::::: তুমি এটা এখনো,,,,
,
সুপ্তি- যেদিন আমি মরে জাবো সেদিন এইটা আমার পা থেকে খুলবে,,,,,,,, তার আগে না,,,, সরি স্যার আপনার অনেক টাইম নিলাম,,,,,
,
আবির দেখলো সুপ্তি হাত দিয়ে আবার রক্ত বের হচ্ছে,,,,,
,
আবির::::: সুপ্তি তোমার হাত,,,,,
,
সুপ্তি- আমি দেখছি স্যার আপনাকে ভাবতে হবে না,,,, আপনি বরং ভাবির কথা ভাবেন,,
,
সুপ্তি অফিস থেকে বেরিয়ে আসে,,,, বের হয়ে রিক্সায় উঠতে যাবে তখনই আবিরের মা রিক্সার সামনে এসে দারায়,,,,
,
আবিরের মা :::: তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে,,,, একটু সময় হবে????
,
সুপ্তি- উঠে আসেন,,,,, মামা সামনের পার্ক টাতে যান তো,,,,,,
,
সুপ্তি, আবিরের মা দুজনি চুপচাপ,,,,, সুপ্তি উনার মুখ দেখেই বুঝতে পারে অনেক টেনসনে আছেন উনি,,, অনেক শুকিয়ে গেছে, চোখের নিচে কালি পরে গেছে,,,,,
,
সুপ্তি- ম্যাম আপনি কিছু বলবেন আমায়,,,,,
,
আবিরের মা আচমকাই সুপ্তির পা জরিয়ে ধরে কাদতে লাগে,,,
,
সুপ্তি- আরে আরে আন্টি কি করছেন টা কি ছারুন আমায় উঠেন।,, উঠেন বলছি,,,,
,
আবিরের মা ::::: আমায় তুই মাফ করে দে মা, আমি অনেক বড় একটা ভুল করে ফেলেছি,,,, আমি মেয়ে হয়ে তোর সম্মানের সাথে খেলেছি,,,, আমায়। মাফ করে দে মা,,,,,
,( বলে কাদতে থাকে আবিরের মা,,, সুপ্তি ওর ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে দিয়ে,,,,,) ,
,
সুপ্তি- পানি খান
,
আবিরের মা পানি নিয়ে খেয়ে চুপ করে থাকে,,,,,
,
সুপ্তি- আন্টি আপনি যা করছেন তা আপনার ছেলের ভালোর জন্য করছেন, আপনার ওপর আমার কোনো রাগ বা অভিযোগ কেনো কিছুই নাই,,, আপনি নিজেকে এভাবে কষ্ট দিয়েন না,,,,
,
আবিরের মা:::::: মা রে তুই আমার ছেলেটাকে বিয়ে কর, আমি সারাজীবন তোর দাসি হয়ে থাকতে রাজি,,,, আমার ছেলেটা এক মাস বাসায় থাকে না,,, কোথায় যায় কি খায় কি করে কেউ যানে না,,,, আমায় মা বলে ডাকে না,,, আবিরের বাবা আমার সাথে কথা বলে না,,, আমি পারছি না আর এভাবে থাকতে,,,,, আমার একমাত্র ছেলেটা দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে আমি চোখে দেখতে পারছিনা না মা।। আমার জন্য আমার ছেলের জীবনটা নষ্ট করে হয়ে যাচ্ছে আমি চোখে দেখতে পারছি না,,, মা রে আমারর ছেলের জীবন টা বাচা মা,,,,
,
সুপ্তি- আন্টি আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন আমি সব ঠিক করে দিবো,,, আপনি বাসায় যান,,, কোনো টেনসন করেন না,,,,,
,
সুপ্তি আবার অফিসে চলে যায়,,,, আবিরের কেবিন এ ঢুকতেই দেখে নীলা আবির কে জরিয়ে ধরে দারিয়ে আছে,,,,
,
চলবে,,,,,,,#বাতাসী_বউ
পর্ব ১৪
—- অন্না
,
সুপ্তি আবিরের রুম এ এসে দেখে নীলা আবিরকে জরিয়ে ধরে দারিয়ে আছে,,, ওদের ওভাবে দেখে সুপ্তি হাত এ লান্স বক্স টা ধুপ করে পরে যায়,, আবির আর নীলা আওয়াজ শুনে তাকিয়ে দেখে নীলা দারিয়ে আছে,,, আবির কিছু বলতো তার আগেই সুপ্তি দৌড় দিয়ে বের হয়ে চলে আসে ,,,,
,
আবির মনে মনে ভাবে যা হইছে ভালই হলো, সুপ্তি এর পর থেকে তো ওকে ঘৃনা করবে,,,,,
,
রাত ৮ টা,,,, স্বস্তি আবিরের ফোন এ ফোন করে,,,,
,
স্বস্তি ::::: ভাইয়া আপু কি আপনার সাথে আছে???
,
আবির:::: না তো, কেনো ও বাসায় যায় নি,,, ?
,
স্বস্তি ::::: না তো ভাইয়া,,,, ফোন তো ওফ বলছে ,,, আব্বু, আম্মু খুব টেনশন করছে,,,
,
আবির :::: আচ্ছা আমি দেখছি,,, আর আংকেল আন্টিকে বলো ও আমার কাছেই আছে,,,, বাই
,
আবির সুপ্তিকে ফোন দিয়েই যাচ্ছে কিন্তুু ফোন ফোন ওফ তখন আবিরের মনে হয় ও সুপ্তির ফোন টা ভেঙে ফেলছে , ,,, আবিরের রাগ চরমে উঠে যায় তখন ফোন টা না ভাঙলে আর এসব হতো না ,,, সুপ্তির কলেজ, কোচিং, অফিস বান্ধবিদের বাড়ি কোনো যায়গায় কোনো যাগাতেই সুপ্তিকে খঁুজে পায়না। আবির হঠাৎ পার্কে চলে যায় গিয়ে দেখে সুপ্তি একটা ব্রেন্ঞে মাথায় হাত দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে বসে আছে,,, আবির ওর কাছে যাবার আগে যাবার আগেই তিনজন ছেলে সুপ্তির সামনে গিয়ে দারায়। ওরা সুপ্তিকে কিছু বলছিলো কিন্তুু আবির শুনতে পাচ্ছিলো না একজন ছেলে সুপ্তির হাত ধরলো,,,,, তখনই ছেলেটার নাক বরাবর কেউ পান্চ মারলো,,, ছেলেটা ছিটকে পরলো একটু দুরে,,, আবির সুপ্তির দিকে ভয়ংকর দৃষ্টিতে তাকালো। আবির ওই ছেলেকে তুলে ইচ্ছা মতো মারতে লাগে,, বাকি ২ জন আবিরকে দেখেই পালালো,,, আবির ওকে বেধম হারে মারতে থাকে,, ছেলেটি যেন আবিরের জান টা নেবার চেষ্টা করছে,,,, মারতে মারতে ছেলেটা সেন্স লেস হয়ে পরে,, আবির এবার সুপ্তির সামনে দাড়ায়,,, সুপ্তির মুখ ভয়ে শুকিয়ে গেছে ভয়ের চোটে কাপতে শুরু করছে,,,,, আবির সুপ্তিকে ঝারি মেরে ওঠে,,,
,
আবির ::::: আবার এ রকম কিছু করার চিন্তা মাথাতেও আনলে আমি নিজ দ্বায়িত্বে তোকে মেরে মাটি চাপা দিয়ে দিবো,,, ,,,,,
,
আচমকাই সুপ্তি আবিরকে জরিয়ে ধরে জোরে জোরে কাদতে থাকে, সমস্ত শক্তি দিয়ে আজ আবিরকে জরিয়ে ধরছে,,, আবিরের ব্যাথা লাগল ও ও সুপ্তিকে কিছু বলে না ওর রাগ এখনও কমে নি,,, কিন্তুু সুপ্তির হঠাৎই আবিরকে ছেরে দিয়ে আবিরের শার্ট ঠিক করে দিয়ে একটু দুরে দারায়,,,,
,
আবির ::::: কি হলো এটা????
,
সুপ্তি আবার গিয়ে নিজের ওরনার আচলটা তুলে আবিরের শার্ট এ হালকা করে বারি দেয়,,, এমন ভাব করে যেনো নোংরা লাগছে,,,,
,
আবির :::: what you doing ,,,, are you mad???
,
সুপ্তি- আমি আসলে ঠিক আপনাকে জরিয়ে ধরতে চাই নাই স্যার, আমার হুস ছিলো না, সরি স্যার আমার ভুল হয়ে গেছে,, কিন্তুু আমার শরিরের কোনো নোংরা আপনার শার্ট এ লাগেনি স্যার, পরিস্কার করে দিছি,,, ছিঃ ছিঃ ভাবি জানতে পারলে কষ্ট পবে,,, স্যার আমার জন্য আপনার আর ভাবির অনেক কষ্ট হলো,,, আপনি ভাবির কাছে যান,,, ভাবি আপনার জন্য,,,,,,
,
বলতেই আবির টানতে টানতে সুপ্তিকে গাড়িতে তুলে নিজের বাসায় নিয়ে আসে,,, সুপ্তি ভালো করেই বুঝতে পারে ওর কপাল এ দুঃখ আছে,,, আবির সুপ্তিকে বেডরুম এ নিয়ে এসে বিছানায় ফেলে দিয়ে একটান এ শার্টের বোতাম গুলো ছিরে ফ্লোরে ফেলে দেয়, সুপ্তি আবিরের চোখে কোনো মায়া দেখতে পাচ্ছে না, রাগে আগুন হয়ে আছে ,, আবির সুপ্তির কাছে গিয়ে সুপ্তির ওরনাটা টেনে ফ্লোরে ফেরে দিয়ে সুপ্তির হাত দুটো বিছানায় শক্ত করে চেপে ধরে সুপ্তির ঠোটে নিজের ঠোট চেপে ধরে,,,, অনেকক্ষন পর ঠোট ছেরে আবির সুপ্তির গলায় পাগলের মতো কিস করতে থাকে,,,
,
সুপ্তি- আবির প্লিজ ছেরে দিন আমায়,,, নীলা জানতে পারলে খুব কষ্ট পাবে ,,,, প্লীজ স্যার প্লিজ,,,,
,
আবির নীলার কথা শুনে সুপ্তির গালে দুহাত দিয়ে বলে,,,
,
আবির:::: ,, তুমি কি করে বলতে পারলে তুমি আমায় জরিয়ে ধরলে আমার শার্ট নোংরা হয়ে যাবে, তুমি বোঝোনা আমার বুকটা তোমার জন্য সব সময় ফাকা হয়ে থাকে,,, তোমার কি ধারনা আমি নীলার সাথে এখানে শুয়ে আছি??? নীলাকে আমি কোনোদিন ভালোবাসিনি আর না বাসবো,, কিন্তুু ওকে আমি বিয়ে করবই, আর তোমাকে ও রাজকে বিয়ে করতে হবে,,, তুমি না চাইলেও বিয়ে টা হবেই , রোজ রাতে রাজের ভালোবাসায় তুমি আমাকে ভুলে যাবে,,,,,,
,
সুপ্তি রাজের কথা শুনে কিছু বলে না,,, ওর চোখ দিয়ে অনর্গল পানি বেরিয়ে যাচ্ছে,,,, আবির সুপ্তির চোখে চুমু খেয়ে বলে,,,,
,
আবির ::::: কেদনা প্লিজ আমার কলিজাটা ছিরে যায় তুমি কাদলে,,,,
,
আবির আবার সুপ্তির ঠোট দুটো নিজের আয়ত্তে করে নেয়,, কিছুক্ষন পরে সুপ্তিকে ছেরে দেয় ,, সুপ্তি তখনি বলে ওঠে,,,,
,
সুপ্তি- আবির,,,,,
,
আবির :::: বলো জান
,
সুপ্তি- কালকে তোমায় আমি একটা সারপ্রাইজ দিবো,,,,
,
আবির ::::: কালকের টা কার দেখা যাবে আগে খেয়ে নাও,,,
,
আবির খাবার এনে সুপ্তিকে নিজের হাত এ খাইয়ে দেয়,,,,,, নিজেও খেয়ে সুপ্তিকে ওর বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসে,,,, বসায় এসে ওর মা এর ঘরে যায়,,,,
,
সুপ্তি- মা আসবো???
,
সুপ্তির মা :::: এখন আসার টাইম হলো???
,
সুপ্তি- মা আমি কালকেই বিয়ে টা করতে চাই,,,,
,
সুপ্তির মা. বাবা দুজনেই সুপ্তির কথা শুনে সক খায়,,,,
,
সুপ্তির মা :::: পাগল হইলি তুই???
,
সুপ্তি- কালকে বিয়ে টা না হইলে আমি সুসাইট করবো,,,,
,
সুপ্তি ওর রুমে চলে আসলো,,, বাথরুম এ এসে সাওয়ার ছেরে জোরে জোরে কাদতে থাকে,,,,,, গোসোল করে ঘুমিয়ে পরে,,,,
,
আজ সুপ্তির বিয়ে,,,, ওদিক এ আবির আর নিলার এনংগেইজ পার্টি,,, সকাল থেকে সুপ্তি ফোনে কার সাথে যেনো কথা বলছে,,,, এর মধ্যে সুপ্তির মা আসে,,,,,,
,
সুপ্তির মা :::: তুই যা করছিস ভেবে করছিস?
,
সুপ্তি- মা জানো আজ আমি এই শাড়ি পরবো,,, আর এই জুয়েলারি,,, কেমন লাগবে বলো তো। আমার বিয়েতে তোমরা খুসি না??? তোমাদের ঘার থেকে এত্তবড় একটা বোঝা নেমে যাবে,,,
,
সুপ্তি- কাজগুলা তোমরা মোটেই ভালো করোনি,,, আজকের কাজ এর জন্য সবাই পস্তাবে,,,
,
সুপ্তির মা :::: কোন কাজের কথা বলছিস আর কি করবি তুই,,,,
,
সুপ্তি- টাইম হইলেই দেখো,,, এখন যাও,,, প্লিজ,,,,
,
আবির সবথেকে পস্তাবে তুমি,,,,
একে একে সব নিয়ম করা হলো বিয়ের,,, এক রাতের মধ্যে বিয়ের আয়োজন করা কি আর করা যায়,,, কিন্তুু এটা কোনোদিক দিয়েই বিয়ে বাড়ি মনে হচ্ছে না,,
,
অলি ””” আপু কাজ টা কি ঠিক হচ্ছে???
,
সুপ্তি- আবির যা চাচ্ছে তাই হচ্ছে,,,,
,
সুপ্তি- সবাইকে বলে দেয় যে আজ অলি ওরে সাজাবে ,, বাহিরের কাউকে আনতে হবে না সাজাবার জন্য,,,
,
আবির আর নিজেঠিক থাকতে পারছে না,,, আজ তার প্রান পাখির বিয়ে,,, কিন্তুু ও কি করে নিজের কাছে রাখবে ও যে নিরুপাই,,,,,
,
সন্ধ্যায়,,,,,,,,,,
,
সুপ্তি আবির কে ভিডিও ফোন দেয়,,,,, অলির ফোন থেকে আবির ফোন ধরতেই সুপ্তির মুখটা ভেসে ওঠে,,, আবির অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে সুপ্তির দিকে, আজ ওকে বেশিই সুন্দর লাগছে, একদম পারফেক্ট, চোখই ফেরাতে পারছে না আবির…….কিন্তুু এ সাজতো ওর জন্য নয় অন্য কারো জন্য,,,
,
সুপ্তি- কি তাক লাগিয়ে দিলাম তো??? খুব সুন্দর লাগছে না আমায়??? আমি জানি অনেক সুন্দরি আমি,,, কিন্তুু নীলার মতো না,,,
,
বলতেই সুপ্তির চোখ থেকে এক ফোটা পানি গরিয়ে পরলো,,,,,
আবির ::: ধুর পাগলি কাদছো কেনো,,, আজতো,,
,
সুপ্তি- আমি কিছু বলতে চাই একটু টাইম দিবা আমায় শেষ বারের মতে???
,
আবির :::: আবির মাথা ঝাকিয়ে হ্যাঁ বলে,,,,,
,
সুপ্তি- জানো আবির সব মেয়ের একটা স্বপ্ন থাকে এমন কেউ থাকবে যে তাকে অনেক ভালোবাসবে,,অনেক,,,, আমার জীবনেও এমন একজন আসে যে আমায় তাে নিজের জীবনের চাইতে বেশি ভালো বাসে ,, কিন্তুু কপালে নাই তাই তো তাকে পেয়েও হারিয়ে ফেললাম।।। যাক সেসব কথা,,,, নীলা খুব ভালোবাসে তোমায়,,, আমি যখন আর থাকলাম না তখন ওকে আর কষ্ট দিও না,,,,
,
চলবে,,,,,,,,,,,#বাতাসী_বউ
পর্ব ১৫
—- অন্না
,
,,, জানো আবির আমি রোজ রাতে স্বপ্ন দেখতাম তোমার আমার ছোট্ট একটা সংসার হবে, আমরা খুব শুখে থাকবো আমরা,,, তুমি যখন সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত হয়ে বাসায় আসবা তখন আমি তোমায় আমার বুকের মধ্যে শক্ত করে ধরে তোমার সব ক্লান্তি দুর করে দিবো,,,, তোমায় নিজের হাতে খাইয়ে দিবো,,, প্রতিদিন রাতে তোমার বুকে মাথা রেখে আমার প্রতিটা রাত পার করবো,,,, আমার প্রতিটা দিন শুরু হবে তোমার ছোয়ায় আর প্রতিটা রাত শেষ হবে তোমার আদরে,,, আমার ওপর শুধু তোমার অধিকার শুধু তোমার,,, কিন্তুু তুমি তোমার অধিকার থেকে আমায় খু সহজেই বন্ঞিত করে দিলে,, তোমার ওপর অধিকার করার দায়িত্ব অন্য কাউকে দিয়ে দিলে,,,,,,
,
তুমি কাল আমায় বললা কি করে আমি রোজ রাতে রাজের ছোয়ায় তোমায় ভুলে যাবো, কথাটা বললা কি করে তুমি ,,, আমি তোমায় বিয়ে করতে চাই আবির, তোমার সাথে সংসার করতে চাই, তোমার বাচ্চার মা হতে চাই অন্য কারো না , আমার নিঃশাষে মিসে আছো তুমি,,, আমি তোমায় খুব ভালোবাসি আবির খুব ভালোবাসি,,,
,
, তুমি যদি আমায় বলতে আমি তোমার বোঝা হয়ে গেছি তো তোমার জীবন থেকে আমি চিরোজীবনের মতো চলে যাইতাম,,,, তুমি আমায় এভাবে ছুরে না ফেলে না দিলেও পারতা,,,,, তোমার ওপর আমার কোনো অভিযোগ নাই,,, আমার ওপর তোমার নেশা কেটে গেছে এই তো এতে তোমার কোনো দোষ নাই,,
,,
এবাব্বা তোমার অনেক টাইম নষ্ট করে দিলাম,,,, ভাবি অনেক রাগ করবে,,,,
,
আবির :::: সুপ্তি যাস্ট স্টোপ আমি আর শুনতে পারছি না,,,,,
,
সুপ্তি- আমি জানি আমার কথা আর তোমার ভালো লাগবে না ভাবি যে পাশে আছে,,,,
,,
আবির::::: সুপ্তিইইইইইইই
,
সুপ্তি- আর কিছুক্ষন পরে আমার বিয়ে,,, জানো আমি আশায় ছিলাম তুমি আর যাই করো আমার বিয়ে টা অন্য কারো সাথে হতে দিবে না,,,,, কিন্তুু তুমি তো আমায় জিবন্ত মেরে ফেললে,,,, এত্তটা বোঝাহয়ে গেলাম তোমার কাছে বুঝতেই পারি নি,,,, আমায় লাইফ থেকে সরানোর জন্য তুমি নিলাকে,,,,,,,,,
হাউমাউ করে কেদে উঠে সুপ্তি,,,,
আবির এটা তুমি নিয়ে যেও প্রিজ,,,
,
আবির :::: তুমি নুপুরটা খুললে কেনো????
,
সুপ্তি- আমায় ডাকছে আবির,,, আমায় যেতে হবে,,,, খুব ইচ্ছা করছে তোমায় একবার জরিয়ে ধরতে কিন্তুু সে টা তো সম্ভব না,,,সেই অধিকারতো তো আর আমার না নিলার,,,, আবির একটা কথা বলবে সত্তি করে???
,
আবির::::: হুম,,,
,
সুপ্তি- তুমি সত্তি আমায় ভালোবাসো????
,
আবির::……….
,
সুপ্তি- থাক উত্তর দিতে হবে না,,, ভালো থেকো
,
সুপ্তি ফোন কাটে না ফ্লোরে বসে কাদতে থাকে,,, আবির ও মাটিতে বসে কাদতে থাকে,,,, এমন সময় নীলা আবিরের কাধে হাত রাখে,,,,,
,
নীলা:::: আবির আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। কিন্তুু সুপ্তির থেকে বেশি না,,, ওর মতো তোমাকে কেউ ভালোবাসতে পারবে না,,, বিয়ে টা আটকাও,,, ওর ভালো চাইতে গিয়ে তুমি ওর ক্ষতি করে দিচ্ছো,,, ওকে আর কষ্ট দিও না,,, যাও,,,,,
,
আবির উঠেই দৌড় দেয়,,,, সুপ্তির বাবা,মা,অলি, সবার কাছে ফোন দেয় কিন্তুু কেউ ফোন ধরে না,,, আবির টেনসনে মরে যাচ্ছে,,,, বুকের ভেতরটা জ্বলে পুরে ছাই হয়ে যাচ্ছে,,,, সুপ্তির জন্য,,,,
,
আবির :::: আমি কি করতে যাচ্ছিলাম,,, সুপ্তির কাছে আমার মাফ চাইতে হবে,,, oh god save me plz
বিয়ে টা যেনো না হয়,,, কিনতু ও নুপুর কেনো খুললো,, ও সেদিন বলছিলো নুপুর ও পা থেকে সেদিনই খুলবে যেদিন ও,,,,, god plz save my jaan
,
সুপ্তির বাসার সামনে আসতেই আবিরের বুকের মধ্যে হুহু করে উঠে যদি সুপ্তিকে চিরতরে হারিয়ে ফেলি আমি বাচবো কি করে,,,,, প্রতিটি ধাপ ক্রমস ওকে ভয়ে ফেলে দিচ্ছে,,,সুপ্তিকে হারানোর ভয়,,,,
,
বাসার মধ্যে ঢুকেই আবির শুনতে পায় যে বিয়ে ঠিকঠাক মতো হয়ে গেছে,,,,কথাটা শুনেই আবিরের দুনিয়া ঘুরতে থাকে,,, কি হয়ে গেলো এটা,,, আবির দৌরে সুপ্তির রুমে গিয়ে দেখে সুপ্তি খাটের ওপর বড় করে ঘোমটা দিয়ে বসে আছে,,, ওর মুখটা ঘোমটার জন্য দেখা যাচ্ছে না,,, ঘর ভর্তি মানুষ,, মাত্রই বিয়ে শেষ হইছে,,,, আবির সুপ্তির সামনে গিয়ে ফ্লোরে বসে হাউমাউ করে কাদতে থাকে,,,,
,
আবির :::: তুমি কি করে এটা করতে পারলে,,, আমার কথা একবার ও ভাবলা না,,, তুমি ছারা আমি বাচবো কি করে??? আমার ওপর বিশ্বাস টা এত্ত সহজেই ভেঙে গেলো তোমার আমার জন্য আর একটু অপেক্ষা করতে পারলে না,,,
, আমি তোমার ভালোর জন্য এই কাজটা করতে চেয়েছিলাম। নিলার সাথে আমার কেনো এনংগেইজ হয় নাই, তুমি আমায় ভুল বুঝবা তাই এই কাজ করছি,,
,, আমি চাই নি আমার জন্য তোমার কোনো ক্ষতি হোক তাই সবাইকে দিয়ে কাজ টা করিয়েছি,,,, কিনতু আমি তোমাকে ছারা বাচতে পারবো না,,
,, তুমি ও আমার মতো ভুলকরে আমায় জীবন থেকে সরিয়ে দিলে,,,, আমি তোমায় খুব ভালোবাসি সুপ্তি খুব ভালোবাসি,,, এই বিয়ে আমি মানি না,, তুমি আমার সাথে চলো,,,,,,,,,
,
বলেই সুপ্তির হাত ধরে টানে,,,, আর আচমকা কেউ আবিরকে পিছে থেকে টেনে ঠাস্ করে থাপ্পর মেরে দিলো,,,, আবির পিছে ঘুরে। মানুষটাকে দেখেই বড়সড় ধাক্কা খায়,,,,
,
চলবে,,,,,,,