বডিগার্ড থেকে বর . Part – 13 & End

0
1329

গল্প – বডিগার্ড থেকে বর
.
Part – 13 & end
.
writer – #ArFin_SuMon (Mr. Romio)
.
.
আমিঃ- আমাকে ফাঁসানোর জন্য এটা বলছে।
ম্যাডামঃ- আমি এতকিছু শুনতে চাই না। তোর সাথে সম্পর্ক আছে ওর না হলে তোরে জান ডাকলো কেনো? তুই কোন কথা বলবি না।
.
হনহন করে বাসায় চলে গেলো। ট্রিট আর দেওয়া হলো না। এই ইভার জন্য এতকিছু হলো। কি দরকার আমাকে জান বলে ডাকার। বিয়ের এত দিন পর বউ কে থুক্কু ম্যাডাম কে শর্পিং করে দিতে চাইছিলাম সেটাও হলো না এই ইভাটার জন্য।
বাড়িতে গিয়ে দেখি ম্যাডাম দরজা বন্ধ করে বসে আছে। ভিতর থেকে ফুঁফানোর শব্দ আসছে। শুধু শুধু ইভার জন্য আজকে ম্যাডাম কাঁদছে। শালার মাইয়া তোর জন্য আমার লক্ষি বউটা কাঁদছে। ইচ্ছে করছে ইভা মাইয়াটারে মেরে নাক ভেঙ্গে দিই।
.
আমিঃ- ম্যাডাম খেতে আসুন।
ম্যাডামঃ- খাবো না। তুই খা তোর ইভা কে নিয়ে।
আমিঃ- ম্যাডাম বিশ্বাস করেন ওই মাইয়া এটা আপনাকে রাগানোর জন্য বলছে আমি শিউর।
ম্যাডামঃ- তোরে আমি বিশ্বাস করি না।
আমিঃ- আমি যে ভালো না সেটা আমি জানি। এবার খেতে আসুন।
ম্যাডামঃ- খাবো না বলছি খাবো না। আবার যদি খেতে ডাকিস তাহলে তোর খবর আছে।
আমিঃ- আচ্ছা ঠিক আছে ডাকবো না। তবে আন্টি ফোন দিয়ে যেতে বলছে যাবেন নাকি?
ম্যাডামঃ- সেটা দেখা যাবে। তুই কোন কথা বলবি না।
আমিঃ- আমার এত ঠেকা পড়ে নাই আপনার সাথে কথা বলতে।
ম্যাডামঃ- আমার সাথে কথা বলা লাগবে কেনো তোর তো অনেকে আছে কথা বলার জন্য। লুইচ্ছা পোলা। দূর হও আমার সামনে থেকে।
আমিঃ- আমি কি আপনার সামনে নাকি যে দূর হবো?
ম্যাডামঃ- চুপকর লুইচ্ছা পোলা। ঘরে বউ রেখে অন্য মেয়ের পিছনে পড়ে থাকিস। তোর সাথে কোন কথা নেই।
আমিঃ- আমার এত শখ নেই আপনার সাথে কথা বলার।
.
কে ঝগড়া করবে এই পাগলিটার সাথে। কখন বাঘীনির মতো তেড়ে আসবে তার কোন ঠিক নাই।চিড়িয়াখানায় আছে থুক্কু রুমে আছে ওখানে ঠিক আছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ধাক্কাধাক্কি করে দরজা খুলে ম্যাডামের রুমে ডুকে দেখি নিচে শুয়ে আছে।একটা মেয়ের রুম মনে হচ্ছে না বিছানা, বালিশ সব ছড়িয়ে চিটিয়ে আছে পুরো রুমে। মনে হয় আমাকে মারতে না পেরে বিছানা বালিশের সাথে যুদ্ধ করছে। দেখে মনে হচ্ছে ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানে না। কি মায়াবি লাগছে পাগলি টাকে।
কাঁপছে দেখে কপালে হাত রেখে বুঝতে পারলাম জ্বরে অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ডাক্তারের কাছে ফোন দিলাম। একটু পরে ডাক্তার এসে দেখে গেলো মাথায় পানি দিতে বলে গেলো।
ডাক্তার যাওয়াা পর থেকে পানি দিচ্ছি। অনেক্ষন পর চোঁখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।
.
আমিঃ- ম্যাডাম কেমন লাগছে?
ম্যাডামঃ- তোর জন্য সব হইছে।
আমিঃ- ম্যাডাম বেশি কথা বলা যাবে না চুপচাপ শুধু উওর দিবেন।
ম্যাডামঃ- তবে রে।
আমিঃ- কেমন লাগছে বলেন?
ম্যাডামঃ- ভালো না।
আমিঃ- মাথাটা মুছে নিন আমি নাস্তা রেডি করে আনি।
ম্যাডামঃ- খাবো না।
আমিঃ- দেখা যাবে।
.
আমিঃ- ম্যাডাম হা করুন।
ম্যাডামঃ- আমি খেতে পারবো তোর কষ্ট করতে হবে না। (কাঁপা কাঁপা হাতে নাস্তার প্লেট হাতে নিয়ে)
আমিঃ- তাহলে খেয়ে নিন। আমি মেডিসিন নিয়ে আসি।
ম্যাডামঃ- আমি মেডিসিন নিবো না।
আমিঃ- নিতে তো হবে না হলে সুস্থ হবেন কি করে?
ম্যাডামঃ- সুস্থ হওয়া লাগবে না তোর জন্য তো আমার এই অবস্থা।
আমিঃ- বেশি দিন সহ্য করতে হবে না। চলে যাবো।
ম্যাডামঃ- কি বললি? আবার বলতো শুনতে পাইনি।
আমিঃ- না ম্যাডাম কিছু না।
.
একটু একটু করে সুস্থ হচ্ছে ম্যাডম দুই দিন পর রাতে আবার জ্বর আসে ম্যাডামের। সারারাত মাথায় পানি দিয়ে সকালে নাস্তা রেডি করে নিয়ে গেলাম। খাইয়ে দিতে চাইলাম,কিন্তু ম্যাডাম আমার হাতে খাবে না। নিজেই কাঁপা কাঁপা হাতে খেলো।কত স্বপ্ন ছিলো বউ নিজের হাতে আমাকে খাইয়ে দিবে আমিও নিজের হাতে বউ কে খাইয়ে দিবো।রাতে বউ আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবে। গভীর রাতে দুজনে একসাথে চন্দ্রবিলাস করবো এক মগে কপি খাবো। নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে দুজনে এক সাথে গৌধুলি বিকাল দেখবো।
কিন্তু কিসের কি। স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেলো।
রাতে ম্যাডামের জন্য খাবার নিয়ে গেলাম।ম্যাডামের হাতে প্লেট দিয়ে দিলাম, জানি আমার হাতে খাবে না তাই দিয়ে দিলাম।

.
আমিঃ- ম্যাডাম খেয়ে নিন।
ম্যাডামঃ- খাইয়ে দে।
আমিঃ- ম্যাডাম খেয়ে নিন তো ঘুমাবো ভাল্লাগছে না।
ম্যাডামঃ- আমাকে খাইয়ে দে না হলে খাবো না।
আমিঃ- খাইয়ে দিতে পারবো না। খেলে খাবেন না খেলে উপোস থাকেন।
ম্যাডামঃ- তুই তো জানিস আমি উপোস থাকতে পারি না। খাইয়ে দে না।
আমিঃ- আমি পারবো না। তাছাড়া এখন তো আপনি অনেকটা সুস্থ নিজের হাতে খেতে পারবেন।
ম্যাডামঃ- তাহলে তুই খাইয়ে দিবি ন
আমিঃ- না।
ম্যাডামঃ- তাহলে আমিও খাবো না।
আমিঃ- এয়য়য় যখন খাইয়ে দিতে চাইছিলাম তখন তো খেতে চাওনি এখন কেনো খাইয়ে দিতে হবে?
ম্যাডামঃ- সেটা আমার ব্যাপার। তুই খাইয়ে দিবি কি না বল?
আমিঃ- আচ্ছা বাবা ঠিক আছে আমি খাইয়ে দিচ্ছি হা করেন।
ম্যাডামঃ- এইতো লক্ষী বর আমার।
আমিঃ- দরকার নেই আপনার বর হওয়ার।
ম্যাডামঃ- অন্য কারো হতে যা,তারপর দেখবি আমি কি করি।
আমিঃ- বকবক না করে খেয়ে নিন তো।
ম্যাডামঃ- খাচ্ছি তো।
আমিঃ- ম্যাডাম আপনি তো এখন সুস্থ?
ম্যাডামঃ- তো।
আমিঃ- আন্টি ফোন দিয়ে বলছে যেতে।
ম্যাডামঃ- তো।
আমিঃ- যেতে হবে। আমাকে বাড়িতে যেতে হবে আপনাকে রেখে।
ম্যাডামঃ- তুই যাবি না।
আমিঃ- যাবো তো। চলেন কালকে রওনা দিই।
ম্যাডামঃ- আচ্ছা ঠিক আছে।
আমিঃ- হুম।
.
রাতে ম্যাডামের জ্বর আসতে পারে ভেবে সোফাতে শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ পর মোবাইলটা ডেকে উঠে তাকিয়ে দেখি কানন ফোন দিছে। হঠাৎ করে কানন ফোন দিলো কেনো? ভাবতে ভাবতে ফোন রিসির্ভ করলাম। তাকিয়ে দেখি ম্যাডাম ঘুমাচ্ছে।
.
আমিঃ- হ্যালো কানন বলো।
কাননঃ- দুলাভাই কি করছেন?
আমিঃ- শুয়ে আছি। তোমার কি খবর?
কাননঃ- এইতো আছি। আমাদের বাসায় কবে আসবে
আমিঃ- কালকে আসবো।
কাননঃ- তাহলে কালকে দেখা হবে কথা হবে এখন রাখি, বাই।
আমিঃ- হুম,বাই।
.
ম্যাডামঃ- ওই এদিকে আয়।
আমিঃ- কি হলো ম্যাডাম? মাথায় পানি দিতে হবে?
ম্যাডামঃ- না, এদিকে আয়।
আমিঃ- বলেন।
ম্যাডামঃ- কার সাথে লুতু পুতু করছিস?
আমিঃ- ছি ছি কি বলেন এসব ম্যাডাম। আমি তো কারো সাথে কিছু বলি নাই বা করিও নাই।
ম্যাডামঃ- আর মিথ্যা বলতে হবে না, আমি সব নিজের কানে শুনেছি।
আমিঃ- কি শুনছেন হ্যাঁ? কানন ফোন দিয়ে জানতে চাইলো আমরা কবে যাবো।
ম্যাডামঃ- চুপ তোর কোন কথা আমি বিশ্বাস করি না।
আমিঃ- আচ্ছা মুশকিল তো। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যাপার আমি সত্যিটা বলে দিছি।
ম্যাডামঃ- তুই কালকে আমাকে আমাদের বাড়িয়ে রেখো আসবি। থাকবো না তোর সাথে।
আমিঃ- আচ্ছা ঠিক অাছে।
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে বেরিয়ে পড়লাম। সন্ধ্যায় গিয়ে শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছালাম। সবার সাথে আড্ডা দিয়ে নিজের বাড়ির দিকে রওনা হলাম। বাড়িতে গিয়ে কয়েকটা দিন আব্বু আম্মুর সাথে কাটাবো। কিছু বন্ধু আছে ওদের সাথে কিছু সময় কাটাবো কখন আবার দেখা হবে। রাতে খেয়ে শুয়ে পড়লাম। আব্বু আম্মুও জানে আমি যে চলে যাবো তবে ম্যাডামদের বাসার কেউ এখনো বিষয়টা জানে না। ভাবছি যেদিন ফ্লাইট সেদিন জানাবো।
.
৩০ তারিখে রাত দুইটার সময় ফ্লাইট সব কিছু ঠিক ঠাক। ইচ্ছে ছিলো যেদিন যাবো সেদিনই ম্যাডাম কে জানাবো, সবাইকে জানাবো। কিন্তু এত খুশি লাগছে যে কি বলবো তাই ফোন দিলাম।
.
আমিঃ- অাস্সালামু ওয়ালাইকুম আন্টি।
আন্টিঃ- ওয়াইলাইকুম আস্সালাম। কেমন আছো বাবা?
আমিঃ- জ্বি, আন্টি ভালো। আপনি কেমন আছেন?
আন্টিঃ- আমিও ভালো। তবে তুমি কিন্তু খুব খারাপ একটা কাজ করছো। ওদিন না থেকে চলে গেলে কেনো?
আমিঃ- আন্টি বাড়িতে একটু কাজ ছিলো। আন্টি যে কথা বলার জন্য ফোন দিছি তা হলো ৩০ তারিখে রাত দুইটার সময় আমার ফ্লাইট।
আন্টিঃ- কি বলছো এসব? আজকে আমাকে জানাচ্ছো সবকিছু ঠিক করে।
আমিঃ- আগে জানাইনি তো কি হয়েছে? এখন তো জানতে পারছেন। ম্যাডাম জানে না ওনাকে জানিয়ে দিয়েন।
আন্টিঃ- তারমানে আমরা কেউ জানি না?
আমিঃ- না, আন্টি কাউকে বলা হয়নি।
.
যা এটা কি হলো লাইন কেটে দিলো কেনো? জানানোর প্রয়োজন ছিলো জানিয়ে দিয়েছি।
আজ সেই কাঙ্ক্ষিত দিন। আজকে আমি উড়াল দিবো আমার স্বপ্নের দেশ সৌদি।
সবাইকে বিদায় জানিয়ে গাড়িতে উঠে বসলাম।সাথে দুই হৃদয় & অভি।
রাত ১১:৩০ সব কিছু শেষে বিমানের দিকে পা বাড়ালাম। ঠিক সেই সময় কেউ একজন পিছন থেকে আমার হাত টেনে ধরলো। তাকিয়ে দেখি আঙ্কেল।
.
আমিঃ- আঙ্কেল আপনি এখানে কেনো?
আঙ্কেলঃ- আমি এখানে কেনো সেটা তুমি পরে জানতে পারবে। এখন আমার সাথে এসো।
আমিঃ- আঙ্কেল আমি কোথাও যেতে পারবো না একটু পরে আমার ফ্লাইট।
আঙ্কেলঃ- কোথাও যাওয়া হবে না তোমার। কি ভেবেছো তুমি আমাদের কিছু না জানিয়ে চলে যাবে?
আমিঃ- আমি তো আন্টি কে জানিয়েছি।
আঙ্কেলঃ- সেটা জানাইছো জানি। তুমি কেনো সৌদি যেতে চাও সেটা বলো?
আমিঃ- আঙ্কেল দেশে থাকতে ভালো লাগছে না।তাছাড়া আমার কোন পড়ালেখাও নাই যে আমি কোন চাকরি করবো। তাই বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছি, সেখানে আমার বন্ধুর সাথে এক সাথে থাকবো।
আঙ্কেলঃ- আমি তোমাকে কাজ দিবো। এখন চলো।
আমিঃ- কিন্তু..
আঙ্কেলঃ- কোন কিন্তু না। তোমার আন্টি জানালো তোমার ফ্লাইট রাত ২ টায়। আমিও ১০ টার সময় দেশে এসেছি। তারপর তোমার জন্য বসে আছি এখানে।
আমিঃ- আমি তো কোন এয়ারপোর্ট দিয়ে যাবো সেটা বলিনি।
আঙ্কেলঃ- চট্রগ্রাম আর ঢাকা এই দুইটার একটা দিয়ে তুমি যাবে আমি জানতাম। তাই চট্রগ্রাম এয়ারপোর্টে তোমার ছবি পাঠিয়ে দিয়েছি। ওখান দিয়ে তুমি যেতে পারবে না তোমাকে আটকাবে আর এখানে আমি আছি।
আমিঃ- তাহলে কি আমার যাওয়া হবে না?
আঙ্কেলঃ- না হবে না। এখন তুমি আমার সাথে বাসায় যাবে।
আমিঃ- কিন্তু…
আঙ্কেলঃ- কোন কথা শুনতে চাই না।
.
অবশেষে আমি আমার শ্বশুরের বাসায়। ম্যাডামের রুমের সামনে দাড়িয়ে। এখানে আসার পর থেকে শুনছি ম্যাডাম রুম থেকে বের হচ্ছে না, খাচ্ছে না।শুধু কেঁদে যাচ্ছে আর বলছে রমিও কে এনে দাও।
কয়েক বার ডাকার পরও ম্যাডাম দরজা খুলছে না। তারপর আর কি আমার দানবের মতো দেহটা দিয়ে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে দেখি ম্যাডাম ফ্লোরে বসে আছে। চোঁখ দুটো লাল হয়ে আছে।
.
আমিঃ- ম্যাডাম আসবো?
ম্যাডামঃ- (তাকিয়ে আছে কোন কথা বলছে না)
আমিঃ- ম্যাডাম। (একটু এগিয়ে গিয়ে)
ম্যাডামঃ- (আগের মতো তাকিয়ে আছে)
আমিঃ- ম্যাডাম কথা বলবেন নাকি চলে যাবো?
ম্যাডামঃ- (জড়িয়ে ধরে কাঁদছে)
আমিঃ- আরে ম্যাডাম কাঁদছেন কেনো? আমি তো কোথাও যাইনি।
ম্যাডামঃ- তুই কি করে ভাবলি আমি তোকে যেতে দিবো। আমার কথা একবারও মনে পড়েনি? বল আমাকে একা করে কেনো চলে গেলি?
আমিঃ- কোথায় গেলাম?
ম্যাডামঃ- যেতে তো চাইছিলি। বল কেনো এমন করলি? তোরে ছাড়া আমি থাকতাম কি করে বল?
আমিঃ- সেটা আমি কি করে বলবো?
ম্যাডামঃ- কি করে বলবি মানে? আমার বুকের বা পাশে জায়গা করে নিয়ে এখন বলছিস তুই কি করে বলবি? তুই জানিস না আমি তোরে ভালোবাসি।
আমিঃ- ম্যাডাম আপনার কিন্তু নজর খারাপ।
ম্যাডামঃ- হ্যাঁ নজর খারাপ হয়েছে আমার। এমন একটা ছেলে চোঁখের সামনে থাকলে যে কোন মেয়ের নজর খারাপ হবে।
আমিঃ- তাহলে ইভার দোষ কি?
ম্যাডামঃ- তুই আবার ওই প্রেত্নির নাম নিয়েছিস? তোরে আজকে….
আমিঃ- কি আর করবেন?
ম্যাডামঃ- দেখ কি করি..উম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্ম্মা।
আমিঃ- ম্যাডাম সত্যি বলছি আপনার নজর পুরো খারাপ হয়ে গেছে।
ম্যাডামঃ- আমি তোর ম্যাডাম না তোর বউ ঠিক আছে। তাছাড়া নজর তো অন্য কারো জন্য খারাপ হয়নি আমার বরের জন্য খারাপ হয়েছে।
আমিঃ- তবে আমি কিন্তু একটা জিনিস খুব মিস করবো।
ম্যাডামঃ- কি?
আমিঃ- থাপ্পড়।
ম্যাডামঃ- তোরে তো প্রতিদিন থাপ্পড় দিবো।
আমিঃ- আমি রান্না করতে পারবো না আজ থেকে।
ম্যাডামঃ- আমি সব করবো তুই শুধু আমাকে ভালোবাসবি আর কোন মেয়ের দিকে তাকাতে পারবি না।
আমিঃ- ঠিক আছে মহারানী আমি রাজি।
ম্যাডামঃ- আমাকে আজ থেকে তুমি করে বলবে।ভুলেও যেনো ম্যাডাম ডাক না শুনি।
আমিঃ- আচ্ছা ঠিক আছে।
কাননঃ- দুলাভাই আপনাদের রোমান্স শেষ হলে এবার খেতে আসুন।
.
খেয়ে শুয়ে পড়লাম আমি আগে যে রুমে থাকতাম সে রুমে।
একটু পরে ম্যাডাম থুক্কু বউ আসলো।
.
জুলিঃ- কি ভাবছো?
আমিঃ- ভাবছি বিয়ে করছি বউ পাইছি,ভালোবাসাও পাইছি।
কিন্তু…
জুলিঃ- কিন্তু আবার কি?
আমিঃ- বাসর রাত তো পাইলাম না।
জুলিঃ- তবে রে বান্দর পোলা।
.
এই বলে ম্যাডাম থুক্কু বউ আমাকে জরিয়ে
ধরলো। লাইট অফ। আর কিছু জানতে হবে না।
আপনাদের বাসর রাতে দেখতে পাবেন যা হবে।
আচ্ছা মুশকিল তো আপনাদের বলছি না লাইট
অফ। এখনো এখানে কি হু? অনেক তো দেখলেন যান এবার।
.
.
★★★★সমাপ্ত★★★★


(একজন পাঠক অনুরোধ করেছিল ‘বডিগার্ড’ একটা গল্প দিতাম তাই দিলাম। পুরো গল্পটি কেমন লেগেছে আপনাদের কাছে অবশ্যই ঘটনামূলক মন্তব্য করে জানাবেন। ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট ও শেয়ার করেন। ♥ধন্যবাদ♥)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here