গল্প – বডিগার্ড থেকে বর
.
Part – 01
.
writer – #ArFin_SuMon (Mr. Romio)
.
.
–আম্মু আম্মু ভূমিকম্প ভূমিকম্প, চাল ডাল
কি আছে প্যাক করে রাখ আমি একটু ঘুমাই। (আমি)
আম্মুঃ-………………….
আমিঃ- ও আম্মুম্মুম্মু ভূমিকম্প।
আম্মুঃ- কি? ভূমিকম্প কোথায়।
আমিঃ- এক্ষুনি তো হলো, তুমি কই ছিলা।
আম্মুঃ- ওরে বান্দর ভূমিকম্প আবার কখন হলো।
আমিঃ- খেয়াল করে দেখো আবার শুরু হইয়ে।
আম্মুঃ- তোর মোবাইলে ভূমিকম্প হচ্ছে।
আমিঃ- কে করছে দেখো।
আম্মুঃ- আমি কেনো তোর ফোন রিসির্ভ করবো।
আমিঃ- এত সাধু সাজতে হবে না,আমি জানি তুমি
আমার মোবাইল সবসময় চেক করো। তাহলে
আজকে রিসির্ভ করছো না কেনো? ফোন
রিসির্ভ করে কথা বলো আমি ঘুমাই।
আম্মুঃ- সারাজীবন তো ঘুমাইলি,মানুষ তো আর
হইলি না।
আমিঃ- আম্মু আমি কি মানুষ না?
আম্মুঃ- তুই দেখতে মানুষের মতো কিন্তু মানুষ না।
আমিঃ- ওকে ওকে,বুঝতে পারছি কেনো বাঁশ
খাচ্ছি। তুমি যাও ঘুম থেকে উঠতেছি।
.
হাই,আমি বান্দর থুক্কু বাবা মার দেয়া নাম আরফিন সুমন আর সবাই ডাকে রমিও সো আই এম মিস্টার রমিও। আর যার সাথে
কথা বলছিলাম ওনি আমার আম্মু। সুখের
সাগরে ডেউ খেতে খেতে ঘুমাচ্ছি, হঠাৎ
মনে হলো ভূমিকম্প হচ্ছে। কিন্তু না
পরক্ষনে আম্মু আবিস্কার করলো ভূমিকম্পন
হচ্ছে না আমার মোবাইলে সুনামি হচ্ছে।
একটু শান্তিতে আলাপ করতে দিবে না
আম্মুটা। আম্মুগুলো কেনো যে এমন হয় কিচ্ছু
বুঝিনা।
এই গেলো মোবাইল নিয়ে কথা বলতে,
আবার কথা বলে চলেও আসছে।
.
আম্মুঃ- এই বান্দর তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
তোর মামার সাথে একটা জায়গায় যাবি
তোর কাজের ব্যবস্হা করে দিবে।
আমিঃ- আম্মু তুমি কি সত্যি আমার আম্মু?
আম্মুঃ- কেনো,কি হয়েছে?
আমিঃ- তুমি যদি আমার আম্মু হতে তাহলে বলতে
বাবা উঠে ফ্রেশ হয়ে নে, একটা জায়গায়
যেতে হবে তাড়াতাড়ি করে নাস্তা করে
নে।
আম্মুঃ- বান্দর পোলা বকবক না করে তাড়াতাড়ি
রেডি হয়ে নে।
আমিঃ- উঠতেছি উঠতেছি….যাও তুমি।
আম্মুঃ- হুম।
.
.
নাস্তা শেষ করে মি. কাজল মামার সাথে
বের হলাম। দেখি না কি হয়, কি কাজের
ব্যবস্হা করলো একটু দেখি।
২ ঘন্টা পর একটা বিশাল বড় বাড়ির সামনে
এসে দাড়ালাম।
বাড়ির চার পাশে বাউন্ডারি
করা,গোল্ডেন কালারের রং করা
চারপাশে।
.
আমিঃ- ওই মি.কাজল মামা এখানে আমাদের
কাজ কি।
কাজল মামাঃ- আমাদের না শুধু তোর।
আমিঃ- আমার মানে , আমি কি করবো এখানে?
কাজল মামাঃ- কাজ করবি।
আমিঃ- কিসের কাজ করবো বলো?
কাজল মামাঃ- যেটা ঠিক করা হয় কথা বলে সেটা করবি।
আমিঃ- ঠিক করবা মানে,আমি আগে থেকে বলে
দিচ্ছি আমি বাড়ির কেয়ারটেকারের কাজ
করতে পারবো না বলে দিলাম। যদি রাজি
থাকো তাহলে বাড়ির ভিতরে যাবো না
হলে বাড়ির ভিতরে ডুকবো না।
কাজল মামাঃ- ধুর পাগল, চল ভিতরে যাই।
আমিঃ- আগে বল তুমি রাজি কি না।
কাজল মামাঃ- চল আমি রাজি।
.
আহহ্ কি সুন্দর বাড়ি এমন যদি একটা শুশ্বর
বাড়ি হতো তাহলে ঘর জামাই থাকতে
আমি দুই পায়ে রাজি।
বাড়ির সামনে দক্ষিণ পাশে সেই একটা
বাগান। সব ধরনের ফুল আছে। মনে হয় যত ফুল
জন্মায় বাংলার মাটিতে সব ফুলের গাছ এ
বাড়িতে।
বাড়ির ভিরতরটা আরো সুন্দর বাইরে থেকে
অতটা বুঝা যায় না। বাড়িটা মাটির উপরে ২
তলা মাটির নিচে পুরো ৩ তলা।আমাদের
বাড়ির থেকে ৫ মিনিটের পথ, সেখানেও
একটা বাড়ি আছে মাটির নিচে ৩ তলা
মাটির উপরে ১ তলা।
.
কাজল মামাঃ- ওই রমিও বস তো,আর দেখা লাগবে না।
আমিঃ- আরে মামু বাড়িটা তো আগে দেখতে দাও
এত সুন্দর একটা বাড়ি। যদি এমন একটা শুশ্বর
বাড়ি হতো।
কাজল মামাঃ- ওই চুপ কর, শুশ্বর বাড়ির চিন্তা করিস না
তাহলে চাকরি হবে না।
আমিঃ- চাকরি না হলে নাই, আমার তাতে কি।
আমি তো……
–কাজল কেমন আছো? (কেউ একজন বলে
উঠলো)
কাজল মামাঃ- জ্বি ভালো আছি। আপনার কি খবর?
–এইতো ভালো। সাথে কি তোমার ভাগ্নে
নাকি?
কাজল মামাঃ- জ্বি, ওর কথায় বলছিলাম আপনাকে।
–তা বাবা কেমন আছো?
আমিঃ- জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। আপনি কেমন আছেন?
–এইতো ভালো। তা কি নিয়ে মামার সাথে
কথা বলছিলা?
আমিঃ- দেখেন না আঙ্কেল, আমি শুধু বলছি এমন
একটা যদি শুশ্বর বাড়ি হতো আমার তাহলে
ঘর জামাই থাকতাম। আর মামা বলে শুশ্বর
বাড়ির চিন্তা করলে চাকরি হবে না।
বলেন তো আঙ্কেল, আমি কি ভুল বললাম।
–কাজল ও তো কিছু ভুল বলে নাই।
আমিঃ- হুম,,,আমারে কেউ বুঝে না।
–কাজের কথায় আসি কি বলো।
আমিঃ- আঙ্কেল আমার একটা কথা আছে।
–কি কথা?
আমিঃ- আমি বাড়ির কেয়ারটেকারের কাজ করতে
পারবো না।
কাজল মামাঃ- ওই তুই চুপ করবি,,
আমিঃ- আমি তো চুপ করে আছি।
–রমিও বাবা তুমি কি কি কাজ পারো।
(আঙ্কেল)
আমিঃ- যেমন….
–গাড়ি চালাতে পারো।
আমিঃ- হুম,পারি।
–বাইক চালাতে।
আমিঃ- এটা কোন ব্যাপার।
–তোমাকে একটা কাজ দিবো করতে
পারবে?
আমিঃ- অবশ্যই পারবো,তবে….
–আর বলতে হবে না আমি তোমাকে সে
কাজ দিবো না।
আমিঃ- তাহলে রাজি।
–তোমার কাজ হলো আমার মেয়ের
বডিগার্ড হয়ে থাকা। সবসময় ওর পাশে
থাকতে হবে। ওর যেনো কোন বিপদ না হয়
দেখবা।
আমিঃ- আপনি চিন্তা করবেন না আমি সব
সামলিয়ে নিতে পারবো।
–তাহলে বিকালে চলে এসো। আর আসার
সময় কিছু আনতে হবে না সবকিছুর ব্যবস্হা
আমি করে রাখবো।
আমিঃ- তাহলে এখন আসি আঙ্কেল। ভালো
থাকবেন।
–বিকালে চলে আসবে কিন্তু।
আমিঃ- হুম,আসি।
.
যাক বাঁচা গেলো,শেষ পযর্ন্ত বাড়ির
কেয়ারটেকার হতে হলো না। বডিগার্ড
হলাম একটা মেয়ের।
আমাকে বডিগার্ড হিসাবে পছন্দ না করার
মতো কিছু নাই,দানবের মতো চেহারা।
হ্যান্ডসাম, দেখতে সুন্দর।আর কি চাই
বলেন। তবে পড়ালেখায় বাঁশ। কিচ্ছু পারি
না। তাই তো সব ছেড়ে দিয়ে বসে আছি।
যাইহোক মামার কারনে একটা কাজের
ব্যবস্হা হলো।
.
কাজল মামাঃ- রমিও শুন,কাজটা ঠিক মতো করিস।
আমিঃ- আরে মামা চিন্তা করো না,।মে হু না।
কাজল মামাঃ- হিন্দি মারিস না। যেটা বলবে সেটা
করবি।
আমিঃ- করবো, কিন্তু ওনি কে।
কাজল মামাঃ- অনেক বড় ব্যবসায়ী। ওনি বেশির ভাগ সময়
দেশের বাইরে থাকে। বলতে পারিস সব
ব্যবসা দেশের বাইরে।
আমিঃ- তো এখানে কে কে থাকে।
কাজল মামাঃ- ওনার একমাএ মেয়ে,ওনার বউ আর উনার
ভাই,ভাইয়ের বউ, ছেলে মেয়েরা থাকে।
আমিঃ- ওহহহহ,চল বাড়িতে যাই। বিকালে কি তুমি
আসবে আমার সাথে?
কাজল মামাঃ- না।
আমিঃ- ওকে,,,চল এবার।
.
.
চলবে……………………