সিঁদুরশুদ্ধি #নাফিসামুনতাহাপরী #পর্বঃ১৯

0
870

#সিঁদুরশুদ্ধি #নাফিসামুনতাহাপরী #পর্বঃ১৯

.
অভির কথায় বিদ্যা কিছু বলতে পারছেনা। বিদ্যা নিজেও কনফিউজড হয়ে যাচ্ছে। আসলেই কি সে অভির প্রতি দুর্বল?

বিদ্যার চুপ থাকা থাকা দেখে অভি বিদ্যাকে ছেড়ে দিয়ে আলমারি থেকে একটা শার্ট বের করে সেটা গায়ে জড়িয়ে বিদ্যার কাছে এসে দাড়িয়ে বলল,

-” বিদ্যা, আমার শার্টের বোতামটা খুলে গেছে একটু লাগিয়ে দিবা? আসলে এটা আমার একটা পছন্দের শার্ট। অনেক দিন হল খুলে গেছে। এটা লাগানোর মত যোগ্য কোন মানুষকেই এতদিন পাইনি। তুমি কি আমাকে সাহার্য্য করবে এটা লাগাতে?”

বিদ্যা কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা। আমি এসব কাজ করতে পারিনা। তাছাড়া এখানে সুচ এবং সুতা নেই।

আমার কাছে আছে। একটু ওয়েট করো বলে অভি দ্রুত গিয়ে ড্রয়ার খুলে একটা বক্স নিয়ে এসে বিদ্যার হাতে সেটা দিল। তারপর একদম সোজা বিদ্যার খুব কাছে দাড়িয়ে পড়ল।

বিদ্যা কিছুটা বিব্রতবোধ করলো। কিন্তু না করতে পারলোনা। বক্সটা খুলে দেখল, সুচে সুতা লাগানোই আছে। তারমানে অভি অনেকদিনই এটা প্রস্তুত করে রেখেছিল। বিদ্যা কিছু না বলে অভির শার্টে বোতাম লাগাতে মনযোগ দিল।

বিদ্যার মাঝে মাঝে হাতের আঙ্গুলের স্পর্শে অভি চোখ বন্ধ করে চুপ করে সময়টা উপভোগ করছে। বিদ্যা ওর কাজ কমপ্লিট করে সুতা কেটে কেবল অভির কাছ থেকে সরে যাবে এমন সময় অভি বিদ্যার হাত ধরে হাতটি অভির বুকের বাম পাশে চেপে ধরল।

বিদ্যার পুরো শরীর শিহরিত হয়ে গেল। এ কেমন অনুভুতি! অভি বিদ্যাকে বার বার ওর দিকে আকৃষ্ট করছে। বিদ্যা চট করে পিছন ফিরেই অভির দিকে চাইলো।

অভি গম্ভীর মুখে বলল,

-” চোখের ভাষা কারা পড়তে পারে সেটা তুমি জানো!”

সেদিনের কথা অভি আবার তুলেছে। বিদ্যা চট করে হাত সরিয়ে নিয়ে বলল,

-” না, আমি জানিনা।”

-” শুধু ভালবাসলেই চোখের ভাষা বোঝা যায়না। এর জন্য মানুষটাকে বোঝার চেষ্টা করতে হয়। আর যে চেষ্টা করে সে অবশ্যই বুঝতে পারে।

বিদ্যা হঠাৎই কথার প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বলল,

-” আমার এসব জানার প্রয়োজন নেই। আমি রুমে যাব।”

বিদ্যা, তোমার এই অবহেলা আমার জন্য খুব কষ্টদায়ক। আমি আর পারছিনা! তোমার কি আমার প্রতি কোনই ফিলিংস নেই?

ফিলিংস….! কথাটি অনেক আনন্দময় একটা শব্দ। সত্যিই কি আমার অভির প্রতি কোন ফিলিংস আছে? না আমি জোর করে ফিলিংস আনার চেষ্টা করছি। মাথা ঘুরছে।
অভির পিছু ডাককে পাত্তা না দিয়ে বিদ্যা কেবল দরজা একটু খুলেছে আর তখনই দেখলো, কড়িডোড়ে শর্মিষ্ঠা কাকি আর সাজিত কাকাই কি জানি বিষয় নিয়ে কথা বলছে। বিদ্যা চট করে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে অভির দিকে অসহায়ের মত চাইল।

এবার অভির পালা এসেছে। অভি ইচ্ছা করলে এখন অনেক কিছু করতে পারে। অভি একপা -দু’পা এগিয়ে বিদ্যার কাছে এসে বলল,

-” আজ আমি না চাইতেই তুমি এখানে হাজির হয়েছ। মনে করো আমার জন্য ঈশ্বর তোমায় পাঠিয়েছে। তাই এখানেই এখন তোমার অবস্থান করতে হবে।”

বিদ্যা নিরুপায় হয়ে বলল,

-” আমার প্রচুর ঠান্ডা লাগছে অভি। তুমি একটু আমাকে হেল্প করো। ওদের সাথে কথা বলে নিচে নিয়ে যাও। আমি এই সুযোগে বের হয়ে যাব।”

-“আমাকে তুমি খুব বিশ্বাস করো তাই না! না মানে এমন ভাবে অনুরোধ করছো সেটা দেখে যে কেউই বলবে, বিশ্বাস না করলে কেউ কাউকে এত কনফিডেন্সের সাথে অনুরোধ করবেনা।”

বিদ্যা মাথাটা নিচু করে মনে মনে বলল,

-” তোমাকে খুব বিশ্বাস করতে মন চায় অভি। কিন্তু আমি শিউর না হয়ে কখনো তোমার পাশে ঘেষবনা। আমার কাছে পৃথিবীর সব কিছুর থেকে দামী আমার অপুদা। তাকে আমি কখনো ভুলতে পারবোনা। সে আমার নিঃশ্বাসের অস্তিত্ব।”

অভি আর কথা না বাড়িয়ে দরজা খুলে রুম থেকে বের হয়ে গেল। তারপর ওদের কাছে গিয়ে বলল,

-” হ্যালো মিসেস. সাজিত, দেখেনতো আমায় কেমন লাগছে? মাই ফেভারিট শার্ট।”

শর্মিষ্ঠা অভির কথায় কিছুটা চমকে উঠেই অভির দিকে চাইল। শর্মিষ্ঠা তো সেই লেভেলের খুশি। বেশ গদগদকণ্ঠে বলে উঠলো,

-” ওয়াও, তোমাকে খুব ভালো লাগছে অভি। আমি ভাবছি তোমাকে এই কালারের একটা শার্ট গিফট্ করবো।”

অভি হাতটা বাড়িয়ে বলল, চলেন একসাথে লান্স করি।

সাজিতের আর পাত্তা নেই শর্মিষ্ঠার কাছে। অভির হাত ধরে খুশি মনে নিচে চলে গেল। এদিকে সাজিত আর একা থেকে কি করবে! সাজিতও নিচে চলে গেল আর এই সুযোগে বিদ্যা রুম থেকে বের হয়ে গেল।

♥♥

সবাই লান্স করতে বসেছে। বিদ্যা চটজলদি করে এসে চিয়ার টেনে বসতেই অভি এসে ওর পাশে বসলো। শর্মিষ্ঠা বলে উঠলো,

-” অভি, এখানে এসে বস।”

-” ধন্যবাদ, আমি এখানেই ঠিক আছি।”

দেখছিস, বুড়ো বয়সে কেমন ভিমরতি! এই মহিলাকে দেখলেই গা জ্বলে ওঠে। পাশে কাকাইকে রেখেও ভিমরতি দেখছিস?

টুম্পার কথায় জেসি টুম্পাকে চিমটি কেটে বলল,

-” ওনি তো একটা গোল্ড ডিগার মহিলা।”

আহ্ জেসি, শব্দের অপব্যবহার করিস কেন! কথা না বলে খেয়ে নে বলে টুম্পা খাবারে মনযোগ দিল।

আজ অনেক পদের রান্না হয়েছে। সব রান্না সাধনা দেবী আর রিয়ার মা করেছে। বিদ্যার বড় বৌদি বিদ্যাকে খুব ভালবাসে। এটারও একটা ইতিহাস রয়েছে। রিয়ার মা যখন প্রথম সন্তান জন্ম দেয় সেই সন্তান ১৮ দিন পর মারা যায়। প্রচন্ড ভেঙ্গে পরে রিয়ার মা। তারপর কয়েক মাস পর ওর শাশুড়ী বিদ্যাকে এই বাসায় নিয়ে আসে আর সেদিন ওর মৃত বাচ্চাকে স্বপ্নে দেখে। বাচ্চাটা হেসে বলছে, মা আমি আবার তোমার কাছে এসেছি। সেদিন থেকে নিজের মেয়ের মত করে মানুষ করে বিদ্যাকে। তারপর দীর্ঘদিন পরে রিয়া হয়েছে।

রিয়ার মা, সবার উদ্দেশ্যে বলল,

-” আজ সব কিছু বিদ্যার সাফল্যর জন্য রান্না হয়েছে। ও ওর প্রজেক্টটা হাতে পেয়েছে। ওর এখানে আসার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। এই সাফল্য আমাদের সবার।”

বিদ্যা শুধু একটা স্মিত হাসি দিল সবার দিকে চেয়ে। অভি সাথে সাথে টেবিলের নিচেই বিদ্যার এক হাত চেঁপে ধরে বলল,

-” এইটুকুতে চলবেনা। বিদ্যা, এর জন্য আমাদের একটা পার্টি চাই। সবাই কি বল!”

রিভা চিয়ার থেকে লাফ দিয়ে উঠে বলল,

-” ইয়েশ, ইয়েশ, অভিদা তুমি একদম ঠিক বলেছ। বিদ্যা পিসি আমাদের কিন্তু ট্রিট চাই।”

আয়ানের বাবা চট করে বলে উঠলো,

-” আমি বিদ্যার হয়ে পার্টি দিব। বল তোরা কি কি খেতে চাস!”

ঐপাশ থেকে মিতু বলে উঠলো,

-” ইশ, বিদ্যা দিদির মত যদি আমারও এমন দাদা থাকতো তাহলে আমিও এত এত গিফট্ পেতাম।”

মিতুর কথা শুনে শর্মিষ্ঠা ধমক দিয়ে বলে উঠলো,

-” এই আমি কি তোদের কোন চাওয়া কমতি রাখি! বরং ওর থেকে তোদের বেশি দেই। কোথায় তোরা আর কোথায় ও?”

সাজিত শর্মিষ্ঠাকে চাপা ধমক দিয়ে বলল,

-” এসব কি হচ্ছে? তোমার কি কোন দিনও স্বভাব ঠিক হবেনা? মানুষকে এত খোঁচা দিয়ে কেন কথা বল?”

সবাই কোন কথা না বলে খাবারে মনযোগ দিল। কিন্তু অভি অনেক যত্নে বিদ্যার বাম হাত ধরে ওর কোলের উপরে রেখেছে আর বাম হাতে চামচ দিয়ে খাবার তুলে খাচ্ছে। অভি বাম হাতে সব কাজ করতে অভ্যস্ত। এমনকি লেখেও বাম হাতে।

বিদ্যা কয়েকবার হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু বার বারই ব্যার্থ হয়েছে। তাই বাধ্য মেয়ের মত ওভাবেই খাবার মুখে তুলছে।

কিছুক্ষন পর বিদ্যার খাওয়া শেষ কিন্তু অভি এখনও ওর হাতটা নিজের মুঠের ভিতর ধরে রেখেছে। বিদ্যা কিছু বলতেও পারছেনা। বিদ্যার বসে থাকা দেখে রিতু বলে উঠলো,

-” একি দিদি, তোমার খাওয়া শেষ তবুও তুমি বসে আছো?”

কে কি বলল, অভির তাতে যায় আসেনা। অভি শান্ত ভঙ্গিতেই ওর খাবার খাচ্ছে।

বিদ্যা একটু হাসার চেষ্টা করে বলল,

-” সবার সাথে বসে থাকতে ভাল লাগছে। তুমি খাও। ”

এবার বিদ্যার চোখে মুখে রাগ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। বিদ্যা নিচু গলায় বলল,

-” অভি, এসব কি হচ্ছে! হাত ছাড়ো বলছি?”

——————————–!

অভির কোন রেসপন্স না পেয়ে বিদ্যা দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

-” ভাল হচ্ছেনা কিন্তু! আমি কি সবার সামনে সিনক্রিয়েট করবো?”

-” সাহস থাকলে করে দেখাও। আই ডোন্ট কেয়ার।”

এবার বিদ্যার সব দম ফুস করে উড়ে গেল। সত্যি বিদ্যার সাহস নেই। তাই ওকে বাধ্য হয়ে চুপ করেই থাকতে হল।

অভি ওর খাবার শেষ করে বিদ্যার হাত ছেড়ে দিয়ে উঠে গেল। বিদ্যা এবার যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল। চিয়ার থেকে উঠে দ্রুত পায়ে এগিয়ে গেল বিদ্যা। তারপর রুমে এসে এক ঝুড়ি অভিকে গালি দিয়ে ফুসতে লাগলো।

দুপুরের অলস বেলায় শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিতেই ঘুম চলে এল বিদ্যার। কিন্তু ঘুমালে চলবেনা। দিপ্তীদের সাথে দেখা করতে হবে।
একটু রেষ্ট নিয়ে উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লো। আজ বড়দাদা বিদ্যাকে অফিসে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল।

♥♥

অভি কাবিরের শিয়রে বসে আছে। আজ বিকালেই তারা চলে যাবে। কাবির ডাইভারকে ফোন দিয়েছে। শুধু ডাইভার গাড়ী নিয়ে আসার অপেক্ষায়।

-” তোর পায়ের অবস্থা কেমন?”

-” ব্যাথা অনেকটা কমে গেছে। তোর সব প্যাক করা হয়ে গেছে?”

-” হুম।”

এদের কথার মধ্যই শান্তি এসে বলল,

-” দাদা বাবু, আপনাগো গাড়ী চইলা আইসে।”

ওকে তুমি যাও। অভি কথা গুলো বলে কাবিরকে নিয়ে বের হয়ে গেল। সবার সাথে সাক্ষাৎ করে বিদায় নিয়ে কাবির আর অভি গাড়ীতে উঠলো। রিয়া বার বার কাবিরকে বলে দিল, ও যেন নিজের খেয়াল রাখে।
এবার গাড়ী চলতে লাগলো। খানিকটা দুরে এসে কাবির বলল,

-” সবাইকে দেখলাম কিন্তু বিদ্যাকে দেখলাম না যে! ও কোথায়?”

অভি বাহিরের দিকে চেয়ে বাহিরের পরিবেশ দেখছিল। কাবিরের প্রশ্নের প্রত্তুরে শুধু বলল,

-” ও অফিসে গেছে।”

কাবির আর কিছু বললোনা। চুপ করে রইল।

সেদিন জেসি আর টুম্পারাও ওদের বাসায় চলে গেল।

♥♥

দিপ্তী আর মৌপ্রিয়া আজ এসেছে। নিখিলকে দেখতে না পেয়ে বিদ্যা বলল,

-“মৌপ্রিয়া, নিখিল কই?”

-” নিখিল দেশে ফিরে গেছে। ওর বদলে নতুন একটা স্টার্ফ আসছে। দু’দিন পরে আসবে। নতুন নাকি জয়েন্ট করেছে। আমাদের বস ওকেই পাঠাবে।”

-” কি বলিস! নিখিল চলে গেল একটা কথাও বলে গেলনা!”

-” বাদ দে তো! চিরিত্রহীন কে দেখার আবার কি আছে?”

দিপ্তীর কথা শুনে বিদ্যা আর মৌপ্রিয়া চুপ হয়ে গেল। দিপ্তী কথাটা মিথ্যা বলেনি। এবার সবাই কাজে লেগে গেল।

সব কাজ শেষ করে রাত আটটার দিকে ওরা তিনজনে অফিস থেকে বের হয়ে এল। মৌপ্রিয়া আর দিপ্তী শ্যামলিতে যাবে কিন্তু বিদ্যা উত্তরায় যাবে। মৌপ্রিয়া আর দিপ্তীকে বেশ জোড় করেই পাঠিয়ে দিল বিদ্যা। ওরা বিদ্যাকে ছেড়ে যেতে চাইছিলনা।

বিদ্যা রাস্তায় দাড়িয়ে আছে। আজ আসার সময় ফোনটাও ভূলে নিয়ে আসেনি যে বাসায় কল দিবে। যে কটা গাড়ী পেল তারা ওদিকে যাইতে চাইলোনা। তাই বিদ্যা হাটতে লাগলো। সামনে আর একটু হাটলে মেন রাস্তা পাওয়া যাবে। সেখান থেকে অনেক গাড়ীই ঐ দিকে যাবে।

যা দিনকাল খারাপ পড়েছে রাতে রাস্তাতে হাটাও দায়। বিদ্যা রাস্তার এক পাশ দিয়ে হাটতে লাগল। এমন সময় কেউ ওকে উদ্দেশ্য করে বাইকের হর্ন বাজাতে লাগলো।

বিদ্যা পিছন ফিরে দেখল, বাইকের আলোর ঝলকই শুধু দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বাইকের চালককে দেখা যাচ্ছেনা।

বাইকটা বিদ্যার পাশে এসেই ব্রেক কষল। বিদ্যাও সাথে সাথে দাড়িয়ে পড়ল।

অভি হেলমেটের গ্লাসটা উপরে উঠিয়ে বলল,

-” এত রাত অবদি অফিসে কেন থাকতে হবে! দেখছোনা দিলকাল কত খারাপ? বাসায়ও তো জানাওনি এখানে আসছো?”

তুমি আমাকে কি সব সময় ফলো কর! আমাকে কি শান্তিতে থাকতে দিবেনা নাকি? সব সময় আমার পিছু নাও কেন!

-” পিছু কেন নেই তুমি বোঝনা! কথা না বাড়িয়ে বাইকে ওঠো।”

-” স্যরি, আমি তোমার সাথে যাচ্ছিনা। তুমি এখুনি এখান থেকে চলে যাও। আমার তোমার মুখও দেখতে ইচ্ছা করছেনা।”

বিদ্যা যে এমন ভাবে কথা বলবে অভি সেটা কল্পনাও করেনি। অভিও রেগে গিয়ে বলল,

-” ওকে থাকো, আমার কি!”

অভি বাইকের গিয়ার তুলে বিদ্যার চোখের সামনে থেকে চলে গেল। কিন্তু বেশি দুর যেতে পারলোনা তার আগেই একটা পাথরের সাথে টক্কর লেগে অভি বাইকসহ পড়ে গেল।

বিদ্যার চোখের সামনে অভি বাইকসহ পড়ে যেতেই বিদ্যার মাথা খারাপ হয়ে গেল। বিদ্যা অভি বলেই প্রান পনে দৌড়াতে লাগল। এক দৌড়ে বিদ্যা অভির কাছে এসে দেখে অভি রাস্তায় পড়ে আছে। ডাল রাস্তায় এমন দুর্ঘটনার জন্য রাস্তায় কোন লোকও ছিলনা যে তাদের কাছে হেল্প চাইবে বিদ্যা।

বিদ্যা ওর পার্সটা ছুড়ে ফেলেই কাঁদতে লাগলো। অভি, অভি তোমার কি হল! আমিতো এমনি কথাগুলো বলেছি। ওঠো অভি বলেই বিদ্যা অভিকে ঝাকাতে লাগল। বিদ্যার দু’চোখ দিয়ে জল পড়ে যাচ্ছে। অ…ভি ওঠো। হেলমেটের গ্লাসটা উপরে উঠিয়ে বিদ্যা অভির মুখের উপর ঝুকে অভিকে কেবল চেক করতে যাবে এমন সময় অভি চোখ মেলেই বিদ্যার গালে শব্দ করে একটা কিস করেই বলল,

-” তুমি অপুকে ভুলে এতদিন কাটিয়ে দিয়েছ কিন্তু এই অভিকে ছাড়া তুমি একদিনও থাকতে পারবেনা।”

[] চলবে……[]

বিদ্রঃ কেবল লেখা শেষ করলাম তাই রিভাইজ দেওয়া সম্ভব হলনা। অপেক্ষা জিনিসটা খুব কষ্টকর সেটা আমি ভালো বুঝি তাই ছোট করে হলেও গল্পটা দিলাম। কারন কাউকে অপেক্ষা করানো আমার একদম অপছন্দের বিষয়।

খুব বিজি ছিলাম। কি লিখেছি নিজেই বুঝতে পারছিনা। অনুগ্রহ করে কষ্ট করে সবাই পড়িয়া লইবেন।

সরাসরি ওয়েবসাইট এ পড়ুন: https://nafisarkolom.com/2020/10/sidur-suddhi-19/

………………………………..
লেখিকা,
নাফিসা মুনতাহা পরী
———————————
© কপিরাইট: উক্ত কন্টেন্টটি লেখিকার সম্পদ। লেখিকার নাম এবং পেজ এর ঠিকানা না দিয়ে কপি করে নিজের নামে চালিয়ে অন্য কোথাও পোষ্ট করা আইনত দন্ডনীয়।
———————————-
আমার ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্ট: https://www.facebook.com/nafisa.muntaha

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here