সিঁদুরশুদ্ধি #নাফিসামুনতাহাপরী #পর্বঃ১৬

0
761

#সিঁদুরশুদ্ধি #নাফিসামুনতাহাপরী #পর্বঃ১৬

.
অভি বিদ্যার কানে ফিসফিসিয়ে বলল,” আমার ছবি এত দেখার কি আছে বিদ্যা! আমাকে কি ভালোবেসে ফেলেছ!”

অভির কথায় বিদ্যা চেঁচিয়ে বলে উঠলো,
-” উমহ্ আমায় ছাড়ো। কেন আমাকে জড়িয়ে ধরেছে? তোমার এত হিম্মত আসে কোথা থেকে!”

অভি বিদ্যার দিকে না তাকিয়েই বেশ শান্ত গলায় বলে উঠলো,
-” চোখের ভাষা বুঝতে পারো?”

বিদ্যা বিরক্ত হয়ে বলল,
-” মাঝে মাঝে বুঝতে পারি।”

-” তাহলে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখতো? আমার চোখ কি বলছে?”

-” আমার মোটেও তোমার চোখের দিকে তাকানোর শখ হয়নি। ছাড়ো আমায়।”

-“আমার বিষয়ে যদি তোমার এত আগ্রহ না থাকে তাহলে আমার পিক দিয়ে তুমি কি করছিলে? মানুষতো আর এমনি এমনি পিক দেখেনা।”

অভির কথা শুনে বিদ্যা একদম স্থির হয়ে গেল। কি ভয়ংকর কথা বলছে অভি। বিদ্যা রাগী ভাব নিয়ে নাক টেনে বলল,” মোটেওনা। আমি তো তোমার সম্পর্কে জানার জন্য ট্রাই করছিলাম। তুমি আমার বিষয়ে এত কথা জানো কিভাবে?”

-” অহ্ আচ্ছা আচ্ছা, আপনি আমার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছিলেন? তা এভাবে না জেনে সরাসরি আমাকে জিঙ্গাসা করলেই তো হয়।”

-” তোমাকে সোজাসাপ্টা কিছু বললে কি জবাব দিতে? আমাকে ছেড়ে দাও।”

অভি বিদ্যাকে ছেড়ে দিয়েই চোখ বন্ধ করে রইল। অভি চোখ বন্ধ করতেই বিদ্যা ওর দিকে চেয়ে মনে মনে বলল,
-” নীল আইরিশ ছাড়া তোমায় একদম বেমানান লাগে অভি।”

অভি হাসিমুখে বলল,
-” আমি কি চোখ খুলব ম্যাম?”

অভির কথা শুনে বিদ্যা খটকা মন নিয়ে জিঙ্গাসা করলো,
-” তোমাকে চোখ বন্ধ করতে কে বলেছে! আর শোন, এখুনি রুম থেকে তুমি বের হয়ে যাও।”

অভি মাথাটা দুলিয়ে চোখ বন্ধ করেই মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
-” ম্যাম, আপনার টাওয়ালটা খুলে গেছে। দয়া করে ওটা ঠিক করুন।”

অভির কথা শুনে বিদ্যা ভড়কে গেল। সাথে সাথে নিজের দিকে চাইতেই ওর লজ্জা গিয়ে আকাশচুম্বীয় ঠেকল।

-” আমি চোখ বন্ধ করেই আছি। তুমি গিয়ে ড্রেস পরে আসো।”

বিদ্যা সাথে সাথে টাওয়ালটা ঠিক করেই চট করে অভির চোখে হাত দিয়ে বলল,
-” হেই তুমি কিন্তু আমাকে দেখার ট্রাইও করবেনা। ”

উমহ্ বিদ্যা, কেন আমাকে এত এলোমেলো করে দাও বলতো! এখুনি গিয়ে যদি চেঞ্জ না করো তাহলে তোমাকে দেখা থেকে আমায় কেউ বাধা দিতে পারবেন। এমনকি তুমিও পারবেনা। যাও ঝটপট চেঞ্জ করে নাও।

বিদ্যা আর কোন কথা না বলেই প্রায় এক দৌড়েই ড্রেস নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেল। ওয়াশরুমে এসেই অনুভব করলো ওর পায়ে কোন ব্যাথা নেই। এটা কি করে সম্ভব! ব্যাথা উধাও হল কি করে? মাঝে মাঝে মনে হয় অভির কাছে ম্যাজিকাল পাওয়ার রয়েছে। আবার কখনও মনে হয়, নাহ্ নিজেরই সব ভূল। কিন্তু পা ব্যাথা সারল কিভাবে!

♥♥♥

অভি বিদ্যার ল্যাপটপে দ্রুত হাত চালিয়ে কাজ করছে। বিদ্যা ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে অভিকে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করা দেখে আধা দৌড় দিয়ে অভির পাশে এসে দাড়িয়ে কৌতুহল গলায় বলে উঠলো,
-” এই, আমার ল্যাপটপ নিয়ে তুমি কি করছো! আর পাসওর্য়াড কিভাবে পেলে?”

অভি ল্যাপটপ থেকে মুখ না তুলেই বলল,
-“ম্যাম আমি একজন খুব দক্ষতাসম্পন্ন হ্যাকার। তাই পাসওয়ার্ড বের করা আমার পক্ষে কোন ব্যাপার নয়। আপনার প্রজেক্টের ফাইলটা রেডী করছি। আপনাকে দ্বারা এই কাজ সম্ভব নয়।”

বিদ্যা কিছুটা অভির দিকে ঝুকে গিয়ে বলল,
-” আমার কাজ আমি করতে পারি। আমার ল্যাপটপটা এখুনি আমাকে দাও।”

-” সবসময় শুধু অরুচিকর কথাবার্তা বলতেই থাকো। একটু চুপ করে থাকতে পারোনা! কাজটা করা তোমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি এটা কমপ্লিট করেই চলে যাব।”

বিদ্যা আর কোন কথা না বলে অভির পাশে দাড়িয়ে ওর কাজ করাগুলো মনযোগ সহকারে দেখতে লাগল। বিদ্যা ভালো করেই জানে ওর দ্বারা এই কাজটা করা সম্ভব নয়। ফ্রীতে কাজ কম্পলিট হলে মন্দ হয়না। বিদ্যা ল্যাপটপের স্কীনে মনযোগ দিয়ে সব দেখতে লাগল।

-” আমি ভাবছি, তোমার মত এত অদক্ষতা নারীকে এই রকম কাজের দায়িত্ব দিয়ে কেন পাঠালো তোমার কম্পানি! তুমি তো দেখছি, আর্কিটেকচারের “আ” সম্পর্কেও কিছু জানোনা। যদি জানতে তাহলে এভাবে আনাড়ি কাজ করতে না।”

অভির কথাটা বিদ্যা আর হজম করতে পারলোনা। অভির কথা এসে একদম বিদ্যার মাইন্ডে লাগলো। গাল ফুলিয়ে নাকটা লাল করে কেবল অভিকে উচিত কয়খানা কথা শুনাতে যাবে এমন সময় অভি বিদ্যাকে আবার একটা প্রশ্ন ছুড়ে মারলো।

-” এই প্রফেশনটা তুমি কেনো পছন্দ করলে? অার্কিটেকচার থেকে তো তুমি ইচ্ছা করলে, আর্কিওলজিস্ট, ফটোগ্রাফার, সাহিত্যিক অথবা মিউজিক ডিরেক্টর হতে পারতে। এত চমৎকার চমৎকার পেশা থাকতে এই পেশাটাই কেনো বেছে নিলে?”

-” কেন, এই পেশা কি খুব খারাপ?”

-” নাহ্ খারাপ না, কিন্তু তোমার কাজের ধরন দেখে বুঝলাম তুমি এর জন্য পারফেক্ট নও। তোমার কাজেরর মান একদমই ভালো নয় । বললে না, কার ইচ্ছাতে এই পেশাতে জয়েন্ট করেছ?”

বিদ্যা অসুন্তষ্ট দৃষ্টিতে অভির দিকে তাকালো। তারপর গলা ঝেড়ে বলল,
-” আমার হ্যাসব্যান্ডের ইচ্ছা ছিল তাই এই পেশাটা বেছে নিয়েছি।”

কই, আমিতো তোমায় এমন ইচ্ছার কথা কোনদিনও জানায়নি! আমার যদি ইচ্ছার প্রাধান্য দেওয়া হত তাহলে তোমায় ফটোগ্রাফার হতে বলতাম। সারাদিন আমার আর আমাদের বাচ্চাদের পিক উঠাইতে বলতাম বলে অভি মুচকি হেঁসে আবার কাজের মধ্য ডুবে গেল।

-” এই, এই এক সেকেন্ড…। তুমি কি বললা একটু আগে? আমি স্পষ্ট শুনতে পেলাম তুমি কিছু একটা বললে। তোমার ইচ্ছার প্রাধান্য মানেটা কি?”

বিদ্যা কথাগুলো বলে প্রশ্নবিদ্ধ চোখে হাতের পাঁচ আঙ্গুল এক অদ্ভুত ভঙ্গিতে মেলিয়ে ইশারা করলো অভিকে।

অভিও সাথে সাথে কাজ থামিয়ে ল্যাপটপ থেকে মুখ তুলে বিশ্ময় স্বরে বলে উঠলো,
-” কই আমি কি কিছু বলেছি নাকি?

-” না আমি স্পষ্ট শুনতে পেয়েছি। এখানে তোমার ইচ্ছা আসলো কোথা হতে?”

-” অহ্ আমি এমন কথা বলেছি বুঝি! কই আমার তো মনে পড়ছেনা! আর কথাগুলো সত্য হলে মন্দ হতোনা। কিন্তু আমিতো তোমাকে এসব কথাই বলিনি। আমি তো বলেছি আমার রসগোল্লা মানে অভির রসগোল্লা কে।”

বিদ্যা প্রচন্ড রেগে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ দৃষ্টিতে অভির দিকে চাইলো। তারপর ক্ষোভের সাথে বলল,
-” অভি কথা ঘুরানোর চেষ্টা করবেনা। তুমি কে বলতো! তোমার হাতের ছোয়ায় কিভাবে আমার পায়ের ব্যাথা সেরে উঠলো। তুমি আমার অতীত সম্পর্কে কিভাবে এত সুন্দর আর নিখুত বর্ননা দাও। আজ তোমার সমস্ত রহস্য আমার সামনে উন্মোচন করতেই হবে। বল তুমি কে?”

বিদ্যার এত এত প্রশ্ন এসে যেন অভির গলা চেপে ধরলো। আজ অভির মুখ থেকে সব কথা বের করে ছাড়বেই ছাড়বে। অভিও এমন ভাব করলো যেন ও বিদ্যার কোন কথায় শোনেনি।

-” অভি আমি কিছু বলেছি!”

অভি পকেট থেকে একটা জেল মেডিসন বের করে বিদ্যার হাতের মুঠোতে দিয়েই বলল,
-” আমার যদি এত পাওয়ার থাকতো তাহলে তোমাকে এত দিনে আর আমার কাছ থেকে দুরে রাখতামনা। আপন করেই ছাড়তাম।”

-” তুমি কি সত্যিই আমায় ভালোবাস! আমি তো তোমার থেকে অনেক বড় তবুও তুমি এসব কথা কেন আমাকে বল! তোমার কি কমনসেন্স বলতে কিছুই নেই!”

অভি বিদ্যার কথা শুনে ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
-” বয়সটা কোন ফ্যাক্ট না বিদ্যা। ভালোবাসাটা সম্পূর্ন মনের ব্যাপার।”

-“তুমিতো UK তে বড় হয়েছে। আমার সম্পর্কে তোমার এত ধারনা কিভাবে আসলো? তুমি কি আগে আমাকে কোথায়ও দেখেছ?”

অভি ওর ফোনটা পকেট থেকে বের করে একটা পিক দেখালো বিদ্যাকে। এটাকে আমি সব সময় স্বপ্নে দেখতাম।

বিদ্যার মাথা খারাপ হয়ে গেল পিকটা দেখে। বিদ্যার ছোটবেলার পিক পেন্সিল দিয়ে খুব সুন্দর করে আর্ট করা হয়েছে। একদম নিখুত আর্ট। এটা কি আদৌ সম্ভব? প্রশ্নকাতরে বিদ্যা অভির দিকে চাইলো। বিদ্যার চোখদুটো ছলছল করছে। এই বুঝি জল বের হয়ে আসবে চোখ নামক খাঁচা থেকে।

অভি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে আবার কাজে ডুবে গেল। বলবিদ্যা, গনিত, অটোক্যাড, ম্যাটল্যাব, আঁকাআঁকি সম্পর্কে কেমন তোমার দক্ষতা বিদ্যা!

বিদ্যা চোখের পানি মুছে বলল,
-” তুমি ভালো করেই জানো এগুলোর সম্পর্কে কারও ভালো অভিঙ্গতা না থাকলে অার্কিওলজিস্ট হওয়া যায়না।”

ভালো বলেছ। আসো একরাতের জন্য তোমার শিক্ষক হয়ে যাই। অভি বিদ্যার হাত ধরে টেনে একপ্রকার জোড় করেই অভির পাশে বসালো।
দেখ, তোমার সমস্ত কাজ সহজ ভাবে আমি তোমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
ডিজাইনের কাজ করতে অটোক্যাড আর অটোডেক্স সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হয়। আর থ্রিডি অ্যানিমেশনের কাজে, থ্রিডি ম্যাক্স, স্কেচ আপ, ভি-রে, রেভিট, রাইনো দ্বারা কাজ করতে হয়।

তাছাড়া ডিজাইনের ফাইনাল রেন্ডারিংয়ের জন্য, ফটোশপ বা ইলাস্ট্রেটরের কাজ জানা জরুরি। সব কিছু বুঝে দিয়ে অভি বিদ্যার দিকে চেয়ে বলল,
-” সব কিছু মনে থাকবে তো?”

বিদ্যা মাথা নাড়িয়ে শুধু হুম বলল। তারপর অবক্তস্বরে বলল,
-” তুমি কি এই বিষয়ে পড়াশোনা করেছ?”

অভি বিদ্যার কথা একটু হেঁসে বলল,” আমি নৃবিজ্ঞান নিয়ে পিএইচডি করেছি। এটা আমার মমের পছন্দ ছিল। তাই তার স্বপ্ন পুরুন করেছি।”

-” তুমি পিএইডি ড্রিগীধারী।”

-” সার্টিফিকেট তো সেই কথায় বলে!”

বিদ্যা আরো কিছু বলতে যাবে এমন সময় অভির ফোনে একটা কল এল। তাও ভিডিও কল।

অভি ফোন চেক করতেই ওর মন খুঁশিতে ভরে উঠলো। ইনা কল দিয়েছে। অভি কল রিসিভ করেই সম্পূর্ন ইংলিশে কথা বলতে লাগলো।

-” ইনা! কেমন আছিস? তোকে ফোনে অনেক ট্রাই করেছি কিন্তু তোর রেসপন্স পাইনি। নিজেকে এভাবে লুকিয়ে রেখেছিস কেন?”

অভি একটা মেয়ের সাথে কথা বলছে সেটা বিদ্যার কাছে খুব একটা ভালো লাগছেনা। একটু আগ্রহ নিয়ে ফোনে দিকে নজর দিতেই বিদ্যার চোখ বন্ধ হয়ে গেল। অহ্ গড, মেয়েটা শুধু বিকনি আর জিন্স পড়ে আছে। লজ্জার বালাই নেই এদের। বিদ্যা শক্ত হয়ে বসে রইলো। আর অভি আপন মনে কথা বলতে লাগল।

-” অভি, তুই রুম থেকে এখুনি বের হ। ঐ রুমে তোর জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে। বের হ ইয়ার।”

“ইনা” কথা শেষ করতে পারেনা। তার আগেই কলটা কেটে যায়।

কল কেটে যেতেই অভি চট করে উঠে দাড়ালো। বিদ্যাকে কিছু বুঝতে না দিয়ে পা বাড়াতেই বিদ্যা বলে উঠলো,
-” আমার কাজটা যদি সাকসেস হয় তাহলে তোমায় ট্রিট দিব। না হয় অনেক রসগোল্লা খাওয়াবো। তুমি তো আবার রসগোল্লা বলতেই পাগল।”

অভি পিছন ফিরে রহস্যময় একটা হাসি দিয়ে বলল,
-” কাজটা তো তুমি অবশ্যই পাবে। আর সাকসেসও হবে। আর হ্যা তোমার সাফল্যতে আমিতো অন্য কিছু নিব। আমি রসগোল্লা খাবনা, আমিতো তোমার রক্ত পান করতে চাই। দিবে কি তোমার রক্ত!”

বিদ্যা ভেবে পেলোনা এমন কথার সে কি জবাব দিবে? সব কিছু অভির মস্করা মনে করে অভি বলে ডাকতেই দেখল অভি রুমে নেই। এর মধ্য সে কই গেল? নানা চিন্তা-ভাবনা ঘূর্নিপাকের মত ঘুরতে লাগল বিদ্যার মনের ভিতর। বিদ্যা ল্যাপটপের দিকে চাইতেই দেখলো অভির আইডি লগইন করা। এর মধ্য ওর নিজের আইডি আমার ল্যাপটপে লগইন করলো? বিদ্যা সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে মনযোগ দিল অভি সম্পর্কে জানার জন্য। সব কিছু চেক করতেই বিদ্যার চোখ কপালে উঠলো।

♥♥

অভি রুমে এসে দরজা বন্ধ করে পিছন ফিরতেই দেখলো, দুইটা নারী আর একটা পুরুষ ওর বেডে বসে আছে।

[] চলবে……[]

সরাসরি ওয়েবসাইট এ পড়ুন: https://nafisarkolom.com/2020/10/sidur-suddhi-16/

………………………………..
লেখিকা, নাফিসা মুনতাহা পরী
———————————
© কপিরাইট: উক্ত কন্টেন্টটি লেখিকার সম্পদ। লেখিকার নাম এবং পেজ এর ঠিকানা না দিয়ে কপি করে নিজের নামে চালিয়ে অন্য কোথাও পোষ্ট করা আইনত দন্ডনীয়।
———————————-
আমার ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্ট: https://www.facebook.com/nafisa.muntaha

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here