সিঁদুরশুদ্ধি #নাফিসামুনতাহাপরী #পর্বঃ২৬

0
677

#সিঁদুরশুদ্ধি #নাফিসামুনতাহাপরী #পর্বঃ২৬

___

খুশির অনেক রঙ্গে যে হাঁসি থাকেনা তো। দিন-রাত্রি সাথে বাঁধা, তবু সাথে চলে নাতো। অশ্রু সুখের-দুঃখের, চাই হোক তো শুধু জলতো। চোখের জলের কোন আর নাম হয়না তো….. (গান)

অভি বিদ্যার উপর থেকে নেমে ওর পাশেই সুয়ে পড়ে। বিদ্যা ওর দুই হাতের মুঠো শক্ত করে উপরের দিকে চেয়ে কেঁদেই চলছে। বিদ্যাও কাঁদে, অভিও নিঃশব্দে চোখের জল ফেলে।

অভি ওর চোখের জল মুছে বলল,

-” বিদ্যা, আন্টি বলছিল তোমার সাথে আমার পূর্বজন্ম নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। আমি বিশ্বাস করিনা এগুলো। ঐ সিঁদুর দানীতে নাকি আমার হাতের ছোয়া পড়েছে। তাই আমার উপর তোমার ব্লাকম্যাজিকটা কাজ করেছে। তুমি বল, আমার চেহারা তোমার হাবির মত আর আন্টি বলে আমার পূর্বজন্মের সাথে তোমার গভীর মিল রয়েছে। তুমিই সব কিছুর জবাব দিতে পারবে। তোমার উপর আমার কেন এত আকর্ষন! তোমার অপুর সাথে কি হয়েছিল আমাকে বলবে?”

অভির কথা শুনে বিদ্যা কোন শব্দ না করেই এক টানে উঠে বসে পড়ল। তারপর কাঁপা কন্ঠে বলে উঠলো,

–” প্লিজ আমায় বাসায় যেতে দাও।”

অভি সোয়া অবস্থায় বিদ্যার বাম হাতটা শক্ত করে ধরে বলল,

–” আমি তোমাকে সত্যি খুব ভালোবাসি বিদ্যা। আমার ভালোবাসায় কোন খাদ পাবেনা। আই রেলি লাভ ইউ বিদ্যা।”

বিদ্যা অভি হাত ঝিটকে ফেলে ওয়াশরুমে চলে গেল। তারপর দরজা বন্ধ করে জলের কল ছেড়ে দিয়ে আয়নার সামনে দাড়িয়েই চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠলো। অনেকক্ষন ধরে কান্না করলো তারপর বললো,

–” অভি, তুমি আমার আপনজন নও কিন্তু আমার পরও নও। আমি আমার মনের দুয়ার খুলে তোমাকে কখনো ডাকতেও পারবোনা। কি চায় এ মন আমি কিছুই বুঝিনা। তোমাকে ফিরে পেয়েও নিজেকে বড্ড একা লাগছে। আমার কাছে ব্যাপারটা খোলসা হয়ে গেছে। তোমার পূর্নজন্ম হয়েছে।”

বিদ্যা নিজের মাথা থেকে সম্পূর্ন সিঁদুর ধুয়ে ফেলে ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে এসে দেখলো, অভি কারো সাথে ফোনে কথা বলছে। বিদ্যার মনে ঝড় বয়ে চলছে। অভির ভিতর অপুদার পূর্নজন্ম না হলেই ভাল হত। সব কিছু জানার পরও কাছের মানুষকে দুরে রাখতে হবে।

বিদ্যা অনেক আগেই বুঝতে পেরেছে অভিই অপু। কারন ঐ খাজকাটা পাথর ওকে ছোয়াতেই ওটার রং পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অভিকে ওর আশে-পাশে কখনোই আসতে দেওয়া যাবেনা। যদি ভুলেও আমাদের পরিচিত কোনো অঘোরী বা তান্ত্রিক টের পায় যে অভিই অপু তাহলে অভি হবে ওদের তন্ত্র-মন্ত্রের আসল মসলা। অপুর কবর থেকে ওর দেহাবশেষ সংগ্রহ করতে কেউ আর বাধা দিতে পারবেনা।

অভির হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নিয়ে কলটা ডিসকানেক্ট করে অভির দিকে আঙ্গুল তুলে বিদ্যা দৃঢ় গলায় বলল,

–” আমার সাথে যোগাযোগ করার একদম চেষ্টা করবেনা। ইউ আর নাউ ব্লাকলিস্টেড। আমার আর অপুদার মধ্য কখনো ইন্টার ফেয়ার করতে আসবেনা। ডোন্ট ক্রস ইউর লিমিট।”

অভি বিদ্যার এমন ব্যবহারে কিছু বললোনা। শুধু বিদ্যার দিকে অপলক ভাবে চেয়ে রইলো। বিদ্যা সমস্ত সিঁদুর মুছে ফেলেছে। চুল দিয়ে টপটপ করে জল ঝাড়ছে। ঝড়ে পড়া জলের দৃশ্য চেহারার উপর বিড়াট প্রভাব ফেলেছে। মেয়েটা এত সুন্দর কেন? তার চোখের চাহোনি দেখলেই মনে হয়, ঐ চোখ দিয়েই ঘায়েল করবে যেকোন কাউকে। অভি ওর কল্পনার শহর থেকে বের হয়ে বিদ্যার খুব কাছে এসে বলল,

–” কত বার তোমায় বোঝাব বল! তুমি ছাড়া আমার চলবেনা। আমি চাই তুমি আমার জিবনের সমস্ত কাজে ভাগ বসাও। একটা মুহুত্ত্ব আমাকে ছাড় না দাও।”

অভি কথাগুলো বলে ওর ফোনটা নিয়ে রুম হতে বের হয়ে গেল। বিদ্যাও আর দেরী না করে বাসার পথে রওনা দিল।

শ্যামল বাবুকে বকুনির উপর রেখেছে সাধনা দেবী। বুড়ো বয়সে কি ভিমরতি জেগেছে? মেয়ে চলে যেতে চাইলো বলেই তাকে যেতে দিতে হবে? এই তোমার জন্যই একদিন মেয়েটা আমার বিপদে পড়বে। মিলে নিও আমার কথা।

বেচারা শ্যামল বাবু মাথা নিচু করে ফালফালিয়ে হাসছে। শ্যামল বাবুর এহেন কান্ডে সাধনা দেবী তাজ্জব বনে গেল। বৃদ্ধ হলে নাকি সবার স্বভাব শিশুসুলভ হয়ে যায়। কিন্তু তাই বলে এমন শিশুসুলভ কেউ হয় সেটা তিনি আজ প্রথম দেখলের নিজের স্বামীকে দেখে। কাকে কি বলছি আমি? বলে চটে উঠলো সাধনা দেবী।

এমন সময় বিদ্যা বাসাতে ঢুকেই বলল,

–” উফ্ মা, আবার বাবার সাথে তুমি লেগেছ? আমি এখানে এসে থেকে দেখছি, তুমি বাবাকে বড্ড শাসন করো। কোথায় বাবা তোমাকে শাসন করবে তা না তুমি বাবাকে অত্যাচার কর। আমিতো ভাবছি বাবাকে আবার একটা বিয়ে দিব। যে বাবার আদেশ শুধু মেনে চলবে। কি বাবা, আমি ঠিক বলছি তো?”

মেয়ের কথা শুনে শ্যামল বাবু বাচ্চাদের মত অট্টোহাসিতে ফেটে পড়ল। অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে বলল,

–” আমার কষ্টটা শুধু আমার মায় বোঝে। তোর মা আমাকে বড্ড জ্বালায় মা।”

সাধনা দেবী রাগী গলায় বলল,

–” তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কালই তোকে ডাক্তার দেখাব। পৃথিবীর কোন মেয়ে কখনো এমন কথা বলে! কিন্তু দেখ, আমার মেয়ে অবিলায় তার বাপের বিবাহ সম্প্রদান করতে চাচ্ছে।”

আমার মনে হয় আপনার মেয়ের বিয়ে করার সখ জেগেছে বৌদি! নিজেরটা বলতে পারছেনা বলে বাবাকে দিয়ে আমাদের ইঙ্গিত দিচ্ছে। দেখেন তলে তলে সে কি করছে। না হলে কাল রাতে এমনি সুইসাইড করতে গিয়েছিল?

শর্মিষ্ঠার আর লজ্জা হলোনা। সাজিত শর্মিষ্ঠাকে ধমক দিতেই শর্মিষ্ঠা রাগী গলায় বলল,

–” সাজিত, তুমি কিন্তু ইদানিং আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করছো। এমন চললে কিন্তু আমি বাপের বাড়ি গিয়ে উঠবো।”

রাস্তা ফাকা আছে। চাইলে এখুনি যেতে পারো বলে সাজিত বিদ্যার কাছে এসে নরম গলায় বলল,

–” কাল ওমন কাজ কেন করতে গিয়েছিলে মা! আমাদের কথা কি একটুও তখন মনে পড়েনি! তুমি হয়ত জানোনা, আমরা তোমাকে কত ভালবাসি।”

সাজিতের কথা শুনে শর্মিষ্ঠা মুখ বাঁকা করতেই বিদ্যা এক মুহুত্ব থেমে বলল,

–” আমি বুঝতে পারিনি কাকাই। ঐ অবস্থায় আমার মন বলছিল শুধু রক্ত চাই, রক্ত চাই।”

বিদ্যা কথাগুলো বলেই নির্দিধায় উপরে উঠে গেল। কিন্তু বিদ্যার কথার প্রভাব সাজিত, শ্যামল আর সাধনা দেবীর উপর বেশ পড়লো। অজানা ভয়ে তাদের অন্তর আত্ত্বা অবদি কেঁপে উঠলো। বিদ্যা এ কথা কেন বলল! তাহলে কি ও ওর মায়ের মতই হয়ে গেল?

শর্মিষ্ঠাকে আর কে আটকায়! দিদি এটা সত্যিই কি আপনার মেয়ে? না মানে, ইন্ডিয়ায় চুরেল নামক নর খাদক মেয়েদের কথা শুনা যায়। ওরকম বিদ্যার রুপ বদলে তারা আসেনিতো? তাছাড়া বিদ্যা এমন কথা বলবে কেন?

রিয়ার মা কঠোর গলায় প্রতিবাদ করে বলল,

–” কি বলেন কাকি! সিরিয়াল দেখে দেখে আপনার মাথা দেখছি পুরোটাই গেছে। আমারও বিয়ের আগে এমন হয়েছিল তাই বলেকি আমি ডাইনী?”

–” বিয়ের আগে তুমি এমন ছিলে কই আমাদের তো তোমার বাবা কথাটি বলেনি।”

–” কি বলেন কাকি! বাজার থেকে মালপত্র কিনার পর সেটা যাচাই করলে কি চলে?”
কথাগুলো বলে রিয়ার মা হাঁসতে হাঁসতে কিচেনে চলে গেল।

সবাই হাসি তামশাই কথাটি উড়ে দিলেও সাজিত, শ্যামল আর সাধনা মোটেও ঠাট্টার ভিতর কথাটি ফেললোনা। কিছু হয়ে যাওয়ার আগেই সব ব্যবস্থা তাদের নিতে হবে।

বিদ্যা রুমে এসে সোজা ব্যালকুনিতে চলে গল। তারপর রিলাক্সে দোলনায় বসে চোখ বন্ধ করলো। আজকের ঘটনায় যেন খানিকটা আশার আলো দেখতে পেল বিদ্যা। অন্ধকার অমাবস্যার রাতে পথ চলতে গিয়ে পথভ্রান্ত পথিক যেমন উজ্জ্বল ধ্রুবতারার সন্ধান পায় ঠিক তেমনি আজ অভিকে সেই অন্ধকারময়ের উজ্জ্বল ধ্রুবতারার মত লাগছে বিদ্যার কাছে।

বিষন্ন মুখটায় একটুকরো হাসি ফুটে উঠলো বিদ্যার। বিদ্যা সুধারামকে কল দিয়ে বসল। সুধারাম সাথে সাথে কল রিসিভ করে বলল,

–” আমি তোমাকে কতবার কল দিয়েছি মা। তুমিতো ফোনই রিসিভ করোনা। বাদ যাক সে কথা। আগে বলতো, ঐ ছেলেটাই কি অপু! তাহলে অপুর পূর্নজন্ম হয়েছে?”

কথায় আছেনা, বিপদের সময় মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়! বিদ্যাও ঠিক মাথা ঠান্ডা রেখে ওর কাজ চালিয়ে গেল। কিছুটা কাঁদো স্বরে বলে উঠলো,

–” মামা, আমরা ভুল ছিলাম। সে অন্য ছেলে। শুধু শুধু আপনাকে কষ্ট দিলাম আমি। পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন।”

সুধারাম মনে মনে যেন কিছু ভাবলেন। তারপর হতাশ গলায় বলে উঠলেন,

–” আমি বুঝতে পারছি, তোমার কোথাও ভুল হয়েছে।আমি বিষয়টা আরো ভাল করে দেখবো। আচ্ছা মা তাহলে রাখি।”

ওকে মামা বলেই বিদ্যা কল কেটে দিল। কলটা কেটে দিয়েই বিদ্যা মনে মনে ভাবলো,
যত বড়ই সুবিধাবাদী ধুরন্ধর হোকনা কেন, একটা সুত্র মনের ভুলে ফেলে রেখে যাবেই সে। ঠিক তেমনি সেদিন সুধারামের কথা শুনেও বিদ্যা বুঝেছিল, ও যদি ঘুনাক্ষরেও টের পেত অভির কথা তাহলে সব শেষ করে দিত এতক্ষনে। কেন যে তাকে বলতে গিয়েছিলাম! এখন সেটার ফলাফল হারে হারে টের পাচ্ছি। সুধারাম অভির কাছে পৌছার আগেই সব প্রমান আমাকে দ্রুত মুছে ফেলতে হবে। ও আগে অপুদার কবরেই আঘাত হানবে।

বিদ্যা দ্রুত বিজয়কে কল করলো। বিজয়ও দ্রুত কল রিসিভ করে বলল,

–” বৌদি, অপুর বিষয়ে কিছু জানতে পারলেন?”

দাদা আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে বলতেই বিদ্যার চোখ উপচে জল পড়তে লাগল। বিদ্যার দম বন্ধ হয়ে আসছে। কথা আটকে আটকে যাচ্ছে।

–” বৌদি শান্ত হোন একটু। কি হয়েছে আমাকে খুলে বলেন।”

দাদা আমি অপু দাদার খোঁজ পেয়েছি। কিন্তু সমস্যা হয়েছে আপনার মামাকে নিয়ে বলে সব খুলে বলল বিদ্যা। আপনি আমাকে সাহার্য্য না করলে আমি বিপদে পড়ে যাব দাদা। তাকে হারানোর মত আমার শক্তি নেই। আপনি কিছু একটা করেন।

বিজয় সব শুনে বলল,

–” কাদছেন কেন বৌদি! আমি আছিনা? আমার জিবন থাকতে মামাকে কোনদিনও সফল হতে দিবোনা। অপুর কবর সেফটির কথাতো! ওটা আমি আজ রাতেই করে আপনাকে কল দিয়ে সব জানাবো।”

ওকে দাদা বলে বিদ্যা কল ডিসকানেক্ট করে দিল। বিদ্যা হাত জোড় করে বলল,

–” ঈশ্বর, যে মূল্যবান জিনিস আমাকে দিয়েছ তা আর কেড়ে নিওনা। যদি তুমি আমায় আধ্যাত্বিক শক্তি দিতে তাহলে আমার থেকে অভিকে আর কাউকে কেড়ে নিতে দিতামনা। আমার কিছু শক্তি নেই কিন্তু তোমার আছে। তা দিয়ে আমাকে সাহার্য্য করো।”

বিদ্যা অভির পিকগুলো ফোনে বের করে মুগ্ধ নয়নে দেখতে দেখতে বলে উঠলো,

–” এবার আমার সময় এসেছে তোমাকে সব বিপদ থেকে নিরাপদে রাখা। আমার শরীরের শেষ রক্তবিন্দু থাকতে, তোমার দিকে কাউকে আঙ্গুল উঠাতে দিবনা।”

গভীর রাত। শশ্মান ঘাটে দুইটা ছেলে উপস্থিত হয়েছে। আজ পূর্নিমা তিথী। চাদের আলোয় শশ্মান ঘাটের এপার থেকে ওপার পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। দু’জনের গা থেকে বিদঘুটে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তারা শরীরে অপবিত্র নোংরা তৈল মেখেছে কার্য সিদ্ধি করতে। তারা একে অপরের কাছে দাড়াতে অবদি পারছেনা দুর্গন্ধে। ওরা খানিকটা দুরে দুরে অবস্থান করছে। তারা দুইটা কাজ করতে এসেছে শশ্মান ঘাটে। তারা দু’জনেই মুসলমান। তারা কবিরাজের কাছে দীক্ষা নিয়ে একটা হিন্দু মৃত মেয়ের গলা কাটতে এসেছে। আর অপুর কবরে একটা ছোট্ট পুটলি পুঁতে রাখতে এসেছে।

রবিবারে বিষ খাওয়া একটা মেয়েকে এখানে পুতে রাখা হয়েছে। রফিক আর জামিল নামের ছেলে দু’টো কোদাল দিয়ে পুতে রাখা জায়গাটা খুড়তে লাগলো। খুড়তে খুড়তে তারা লাশের দেখা পেল। জামিল বিভিন্ন মন্ত্র পরতে পরতে কবরে নামল। লাশের শরীর থেকে মাটি সরিয়ে জামিল উপরে দাড়িয়ে থাকা রফিকের দিকে চাইতেই দেখলো, দুরে একটা অর্ধনগ্ন নারী দাড়িয়ে আছে। জামিল ফিসফিসিয়ে বলল,

–” দেখ রফিক, আমাদের মত সেও হয়তো লাশের মাথা কাটতে আসছে।”

রফিক এদিক ওদিক চেয়ে দেখল, কেউ নেই। রফিক জামিলকে একটা ধমক দিয়ে বলল,

–‘ কথা না বলে দ্রুত কাজ কর। এটা করে ঐ কাজ করলেই অনেক টাকা পাওয়া যাবে।”

জেনে রাখা ভালো, রফিক আর জামিল দু’জনেই ছিল উলঙ্গ। কারন তাদের গুরু বলেছে সম্পূর্ন নগ্ন হয়ে কাজটি করতে হবে।

জামিল রফিকের কথা শুনেই দা’টা নিয়ে কেবল কবরে তাকিয়েছে ওমনি লাশ চোখ মেলে জামিলের গলা চেঁপে ধরেই খিটখিট করে হেঁসে উঠলো।

রফিক চাদের আলোয় দেখল, লাশটা এবার উঠে বসেছে আর জামিলের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে দিয়েছে। রফিক কোন দিশা না পেয়ে আল্লাহ্ আকবার বলেই জামিলকে গায়ের শক্তি দিয়ে টেনে তুলেই প্রানপনে দৌড়াতে লাগল। যেখানে ওরা কাপড় রেখেছিল সেখানে এসে কোনমতে কাপড়টা পড়েই ওখানে ধপ করে পড়ে গেল। কন্ঠস্বরও আজ ওদের সাথে বেইমানি করতে লাগল। মুখে কোন আওয়াজ হচ্ছেনা। অনেক কষ্টে শুধু দু,জনের ভীত মুখ থেকে কেবল একটাই কথা বার বার উচ্চারিত হতে লাগল।
♥আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ্♥

[] চলবে…….[]

বিদ্রঃ জানিনা গল্পটা কেমন হয়েছে। বাসার কাছেই আমার ফ্রেন্ডের বাবা মারা গেছে। মনটা প্রচন্ড খারাপ ছিল। ভাবলাম আজ গল্প আর দিবনা। মন বার বার বাধা দিচ্ছিল, আজ সে গল্প লিখতে পারবেনা। শেষে গল্পটা লিখে ফেললাম। ভুলক্রুটি মার্জনা করিয়া সকলে পড়িয়া লইবেন।

সরাসরি ওয়েবসাইট এ পড়ুন: https://nafisarkolom.com/2020/10/sidur-suddhi-26/

………………………………..
লেখিকা, নাফিসা মুনতাহা পরী
———————————
© কপিরাইট: উক্ত কন্টেন্টটি লেখিকার সম্পদ। লেখিকার নাম এবং পেজ এর ঠিকানা না দিয়ে কপি করে নিজের নামে চালিয়ে অন্য কোথাও পোষ্ট করা আইনত দন্ডনীয়।
———————————-
আমার ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্ট: https://www.facebook.com/nafisa.muntaha

চাইলে আমার গ্রুপে জয়েন করতে পারেন: https://www.facebook.com/groups/nafisarkolom

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here