মেঘবতী_কন্যা পর্ব ১০

0
868

#মেঘবতী_কন্যা পর্ব ১০
#সুমাইয়া আক্তার মিম

~আধঘন্টা যাবত ওয়াশরুমের মিররের সামনে দাঁড়িয়ে আছে রূপ। মিররের নিজের প্রতিচ্ছবির দিকে একমনে তাকিয়ে আছে সে। ঠোঁট টা অসম্ভব লাল হয়ে আছে, আলতো হাতে ছুঁইয়ে দিতে বুঝতে পারলো বেশ গরম হয়ে লাল হয়ে কিছুটা ফোলেও গিয়েছে।।নাক মুখ কুঁচকে বিরবির করে বলতে লাগলো,,,

–অসম্ভব নির্লজ্জ বালিশ। একদম কামড়িয়ে আমার ঠোঁটটা লাল স্ট্রবেরী বানিয়ে ফেলেছে। ইস্ কী অদ্ভুত দেখতে লাগছে।অসহায় দৃষ্টিতে ঠোঁট পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।
কিছুক্ষণ আগে বারিশ তাকে কিস করতে বললে সে লজ্জায় মাথা নিচু করে কাঁপতে লাগলো।লজ্জার কারনে মাথা পর্যন্ত তুলতে পারছে না। তা দেখে বারিশ বাঁকা হেসে রূপের ঠিক নিকট আসতে নিলে ছুটে সেখান থেকে পালিয়ে আসে রূপ কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।বারিশ তাকে খপ করে ধরে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে দিলো। দীর্ঘ পাঁচ মিনিট পর রূপের যখন শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল, চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি ঝরতে লাগল তখন বারিশ রূপের ঠোঁটে ডিপ কিস করে ছেড়ে দিলো। ঠোঁট ছাড়া পেতে ঘনঘন নিশ্বাস নিতে লাগলো রূপ। মনে হচ্ছিল কতো দিন হয়ে গেল শ্বাস নিতে পারেনি সে।বারিশ রূপের গালে হাত রেখে কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে বিরক্তির সাথে গম্ভীর গলায় বললো,,

–ঠিক মতো কিসও করতে জানো না রূপজান। এতো অল্পতে কেউ হাঁপিয়ে যায়। সমস্যা নেই আস্তে আস্তে সব শিখিয়ে দিবো কেমন। বাঁকা হেসে।

বারিশের কথা শুনে হালকা ঢোক গিলে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,,,

–আ,,,আমি ফ্রেশ হবো। তাড়াহুড়ো করে।

বারিশ আর কিছু না বলে বাঁকা হেসে রূপকে ছেড়ে দিলো।ছাড়া পেতে রূপ যখন দৌড় দিতে নিবে পুনরায় বারিশ তাকে পেছন থেকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে। এইবার ইচ্ছে করছে চিৎকার করে গলা ফাটিয়ে কান্না করতে।বারিশ কানের কাছে ফিসফিস করে বলতে লাগলো,,,

–বারিশ খান নিজের জিনিস খুব ভালো করে আদায় করে নিতে জানে।আর তুমিতো আমার ব্যক্তিগত প্রপার্টি তোমাকে নিয়ে একচুল হেরফের নয়।

বারিশের ধীরে ধীরে কথাগুলো রূপের ছোট মনে অন্যরকম অনুভূতি নাড়া দিচ্ছে।বারিশের প্রত্যেকটি কথা গভীর থেকে গভীরতা।যা আগেও কখনো বুঝেনি আর এখন সামনে থেকেও বুঝতে পারছে না।বারিশ জেনো এক রহস্যের বই যেটা তাঁর সামনে উন্মুক্ত হয়ে আছে। কিন্তু সে কোথায় থেকে রহস্যের উদঘাটন করবে বুঝতে অক্ষম। কিন্তু একদিন সে ঠিক এই রহস্য মানবের রহস্য উন্মোচন করবে এবং তাঁর গভীর থেকে গভীরতার মাঝে প্রবেশ করবে।

বারিশের হাত আলগা হতে এক ছুটে ওয়াসরুমের ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় রূপ। বুকে হাত দিয়ে ঘনঘন শ্বাস নিতে লাগলো। মিররে সামনে গিয়ে নিজের প্রতিচ্ছবির দিকে তাকিয়ে হতভম্ব হয়ে যায় সে। ঠোঁটের একি নাজেহাল অবস্থা করেছে বারিশ। একদম লাল হয়ে গিয়েছে। ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে বিরবির করতে লাগলো সে।। মনে মনে ইচ্ছেমত বারিশ কে বকতে লাগলো।।

❁❁❁
~~বিশাল বড় এক কাঁচের টেবিলে কয়েকজন র্সাভেন্ট মিলে সকালের নাস্তা সাজিয়ে রাখছে। খাবার সাজানো হলে সবাই এক এক করে উপস্থিত হলেন খাবার টেবিলে।।নিলয় খান টেবিলে বসেই মুখের সামনে ম্যাগাজিন খোলে ধরেন।এটা তাঁর রোজকার কাজ।ম্যাগাজিন না দেখলে তাঁর দিনটি শুরু হবে না। ভীষণ ম্যাগাজিন দেখতে ভালোবাসেন তিনি।এর জন্য সবসময় মিথিলা খান বিরক্তি প্রকাশ করেন স্বামীর প্রতি। সবসময় চোখের সামনে ম্যাগাজিন নিয়ে বসে থাকবে।।।

‘রিনি জলদি জলদি নিচে নেমে চারিদিকে তাকিয়ে দেখলো বারিশ আছে কিনা।না বারিশ এখনো খাবার টেবিলে উপস্থিত হয়নি। আজকে সে লেইট করে ঘুম থেকে উঠেছে তাই দেরি হয়ে গিয়েছে উপস্থিত হতে।বাড়ির সব কিছু টাইম টু টাইম করতে হবে সকলের। খাবার টেবিলে সকলকে সময় মতো উপস্থিত থাকতে হবে ।যে থাকবে না বারিশের রাগী চেহারার মুখমুখি হতে হবে তাকে।।রিনি মিথিলা খান আর নিলয় খানকে জড়িয়ে ধরে এক সাথে বলে উঠে,,

—গুভ মর্নিং আব্বি,আম্মি।

—গুড মর্নি প্রিন্সেস।(এক সাথে)

—থ্যাংক গড ভাইয়া এখনো টেবিলে উপস্থিত হয়নি।।

রিনির কথা শুনে মৃদু হেসে শিড়ির দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো রূপ আর বারিশ নামছে। তাদের দেখে সকলের মুখে হাসি ফোটে উঠলো।কী দারুণ লাগছে দুজনকে।মেইড ফর ইচ আদার।বারিশকে নিচে আসতে দেখে নিলয় খান চটজলদি ম্যাগাজিনটি বন্ধ করে একজন র্সাভেন্টের হাতে দিয়ে সোজা হয়ে বসেন।খাবার টাইম ফ্যামেলি টাইম। তখন অন্য কোনো কাজ এলাউ নয়। নিজে যেমন শের ছেলে তাঁর তার থেকেও বড় শের সেখানে তাঁর কথাও চলবে না। নিজের ছেলেকে নিয়ে বেশ গর্বিত তিনি।।। বিজনেস জগতে নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করেছে বারিশ কারোর সাহায্য ছাড়াই।।।বারিশ সোজা এসেই সকলকে গুড মর্নিং জানিয়ে নিজের বরাদ্দকৃত প্রথম চেয়ারটিতে বসে পরলো । নিজের পাশে তাকিয়ে দেখলো রূপ না বসে হা করে চারিদিকে পর্যবেক্ষণ করছে।বারিশ বুঝতে পারে না এই মেয়ে সারাদিন কী এতো দেখে।সব সময় বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উল্টিয়ে রাখবে আর কিছু দেখার সময় মাথা হালকা কাত করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখবে।। ব্যাপারটা এমন বিষয়টির সম্পর্কে না জানলে তাঁর বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।।
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মীম।।।বারিশ নিচের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে।এই পিচ্চি পরীটার ছোট ছোট কাজ গুলোকে সে নিখুঁত ভাবে ভালোবাসে।দিনকে দিন মাত্রারিক্ত ভাবে তাঁর ভালোবাসাগুলো বেড়েই যাচ্ছে।এই ভয়ংকর সুন্দরী পরীটা শুধু তাঁর ভাবতেই বারিশের চোখ মুখ জ্বলজ্বল করতে লাগলো খুশিতে। পৃথিবীতে নিজের সবচেয়ে দামি জিনিসটাকে নিজের কাছে যত্ন করে ভালোবাসার সাথে মুড়িয়ে রাখার মতো প্রশান্তি আর কিছু হতেই পারে না।।
বারিশ নিচের দিকে তাকিয়ে তৃপ্তিময় নিঃশ্বাস ত্যাগ করে বিরবির করে বলে উঠলো,,,

–একটু একটু করে খুব নিখুঁত ভাবে ভালোবাসবো তোমায় মেঘবতী।যাতে করে চাইলেও তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে পারবে না।আই প্রমিস,,,,,,,,,,,

নিলয় খান রূপের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলেন,

–গুড মর্নিং মামুনী।। নতুন জায়গায় কোনো অসুবিধা হয়নি তো।(নিলয় খান)

—গুড মর্নি পাপা। কোনো অসুবিধা হয়নি।আড় চোখে বারিশের দিকে তাকিয়ে পুনরায় নিলয় খানের দিকে তাকিয়ে কিছুটা হাসার চেষ্টা করলো।।

—গুড মর্নি পুতুল ভাবি।রিনি হেসে বলল।।।

—গুড মর্নি। মৃদু আওয়াজে।গুড মর্নিং মামুনি। মিথিলা খানের উদ্দেশ্য করে বলেন।

–গুড মর্নিং। মৃদু হেসে।

একজন র্সাভেন্ট বারিশের পাশের চেয়ার টেনে দিতে সেখানে বসে পরলো রূপ।সবার দিক একবার আড়চোখে তাকিয়ে দেখলো সবাই নিজের মতো খাবার খেতে শুরু করে দিয়েছে।। শুধু তাঁর আর বারিশের চেয়ারটা খুব কাছাকাছি আর সবাই খুব বেশি দূরত্ব রেখে বসেছে। পনেরো থেকে বিশ জনের ফ্যামেলি টেবলটিতে মাত্র পাঁচ জন লোক।যার কারণে বেশ দূরত্ব মনে হচ্ছে সবাইকে তাঁর কাছে।।বেশ অদ্ভুত লাগছে তাঁর কাছে বিষয়টি।আর বড় টেবিল বলে কি এতো দূরত্ব রেখে বসতে হবে। হঠাৎ নিজের বাড়ির কথা মনে পরে যায় রূপের। তাদের ফ্যামেলিতে মানুষ সংখ্যা অনেক বেশি।বাবা,মা,চাচা,চাচী চাচাতো ভাই,ভাবি, সাথে পুচকো বাচ্চারা মিলে বিশাল বড় পরিবার। ভীষণ মিস করছে সকলকে।।। সকলের কথা মনে পড়তে মন খারাপ হয়ে গিয়েছে তাঁর।।

–কী হয়েছে? এমন মুখ ফুলিয়ে রেখেছো কেনো?ভ্রু কুঁচকে।

–কি,,,, কিছু না। মিনমিনে গলায়।

–মিথ্যা কথা আমি একদম পছন্দ করি না রূপ জান।।। সেটা তুমি জানো।আই নো তোমার বাড়ির কথা মনে পড়ছে। খাবার শেষ হলে রুমে গিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সকলের সাথে কথা বলে নিবে।।কথাও হবে এবং দেখাও। ঠিক আছে। নেক্সাস্ট টাইম,,,মিথ্যা কথা প্লাস কিছু লুকিয়েছো তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো কী হবে। আলতো হাতে সামনের চুল গুলো কানের পিছনে গুঁজে দিয়ে।।

রূপ জলদি মাথা নাড়িয়ে সায় জানালো।সে বেশ বুঝতে পেরেছে। বারিশ তাকে এতো পরিমাণ ভয় দেখায় একদিন দেখা যাবে ভয়ের কারণ ইন্না লিল্লাহি হয়ে গিয়েছে।। এমন হলে বিষয়টি কী অদ্ভুতই না লাগবে।

রূপ কে মাথা নাড়াতে দেখে বারিশ বাঁকা হেসে গম্ভীর গলায় বললো,,

–গুড।

‘বারিশের ভীষণ ভালো লাগে যখন রূপ তাকে ভয় পায়। ভয়ের কারণে ভীতু হওয়া রূপের মুখটি অসাধারণ লাগে তাঁর কাছে।’

রূপ মাথা নিচু করে আড়চোখে বারিশের দিকে তাকালো যে এখন খুব সুন্দর করে খাবার দিয়ে তাঁর প্লেট সাজিয়ে দিচ্ছে।বারিশ একটি অফ হোয়াইট কালারের শার্ট পরেছে যার হাতা কনুই পর্যন্ত গুটানো। ধবধবে সাদা শরীরে হালকা গ্লোডেন কালারের স্বল্প মাত্রার পশম গুলো বেশ আকর্ষণীয় লাগছে। মাত্রারিক্ত সুন্দর লাগছে তাকে এই ড্রেসে। অফ হোয়াইট রঙটি জেনো শুধু বারিশের জন্যই তৈরি। অবশ্যই বারিশ অতিরিক্ত সুন্দর যার কারণে সব রঙেই তাকে মানাই।রূপ বুঝতে পারে না এই ছেলে এতো সুন্দর কেনো। সৌন্দর্য তো মেয়েদের জন্য।মেয়েরা বেশি সুন্দরী মানায়।ছেলেরা বেশি সুন্দর হলে রূপের কাছে বিষয়টি কেমন জানি মনে হয়।যেখানে একজন ছেলে হা করে একটি মেয়েকে দেখার কথা সেখানে একজন মেয়ে হয়ে একটি ছেলেকে দেখছে বিষয়টি বেশ বিরক্তিকর।না চাইতেও নির্লজ্জ চোখ দুটো আকারে দিগুন হয়ে বারিশকে পর্যবেক্ষণ করছে। আজকে জেনো সে বারিশের সৌন্দর্যের রহস্য উদঘাটন করেই ছাড়বে।। হঠাৎ রূপের চোখ আটকে যায় বারিশের গলা আর ঘাড়ের মাঝ বরাবর কালো টকটকে তিলটির উপর।ফর্সা শরীরে এই তিলটি জেনো দূর থেকেও যেকোনো মেয়েকে ঘায়েল করতে সক্ষম। ভীষণ রাগ হলো রূপের। মনে মনে বিরবির করে বলতে লাগলো,,,,এতো সুন্দর হওয়ার কী প্রয়োজন ছিল। এখন কোথাও গেলে সব মেয়েরা হা করে তাকিয়ে থাকবে!না জানি কতো গুলো মেয়ের হার্ট অ্যাটাক করিয়েছে এই পর্যন্ত আল্লাহ জানেন।দূর ছাই ভালো লাগে না।কতো পরিকল্পনা করেছি নিজের থেকে অধিক সুন্দর ছেলে বিয়ে করবো না কিন্তু আল্লাহ তো ছোট বেলায় আমার স্বপ্ন সব গুলিয়ে দিয়েছে। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।

‘রূপ একবার বারিশের হাতের দিকে তাকায় একবার নিজের দিকে।কে অধিক সুন্দর সেটা পরিক্ষা করছে সে।। অনেকক্ষণ ঠোঁট উল্টিয়ে পর্যবেক্ষণ করেও সে কিছু বুঝতে না পেরে বিরক্ত হয়ে পর্যবেক্ষণ বন্ধ করে গাল ফুলিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলো।

–কী এতো তাড়াতাড়ি পর্যবেক্ষণ করা শেষ!আমি তো ভেবেছি আজকে আমাকে নিয়ে বই লিখবে। কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি পর্যবেক্ষণ করা শেষ হলে তো আমাকে নিয়ে কিছুই লিখতে পারবে না।কজ এতো সহজে আমার রহস্যের উন্মোচন করা তোমার মতো পিচ্চি সুন্দরীর দ্বারা সম্ভব নয় বুঝলে পরীজান।
বাঁকা হেসে।

বারিশের কথা শুনে বড় বড় চোখ করে তাকালো রূপ। তারমানে সে যে এতোক্ষণ ধরে তাকে পর্যবেক্ষণ করছিল তা সব দেখেছে। অবশ্যই এইভাবে হা করে তাকিয়ে থাকলে যে কেউ বুঝতে পারবে ‌। এখন নিজের উপর বেশ বিরক্ত রূপ কেনো যে তাকাতে গেলো এখন নাজেহাল অবস্থা করবে তাঁর।।।।।
বারিশ রূপের মুখে খাবার দিতে দিতে পুনরায় গম্ভীর গলায় বললো,,

–নিজেকে নিয়ে একদম গবেষণা করতে যাবে না। তোমাকে নিয়ে গবেষণা করার অধিকার শুধু আমার।আমি শুধু তোমাকে পর্যবেক্ষণ করবো গভীর থেকে গভীর ভাবে।তোমরো কোনো অধিকার নেই নিজেকে নিয়ে গবেষণা করার।তাই নিজেকে নিয়ে পুনরায় গবেষণা করবে না। দাঁতে দাঁত চেপে।

বারিশের কথার মানে বুঝতে পারেনি রূপ তাই ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রইল বারিশের দিকে।কী বললো বারিশ,,, নিজেকে নিয়ে একদম গবেষণা করতে যাবে না। তোমাকে নিয়ে গবেষণা করার অধিকার শুধু আমার।মানে কী???

–এই ছোট মাথায় এতো জোর খাটাতে হবে না। কারন কিছুই ঢুকবে না।তাই মাথায় প্রেশার না দিয়ে জলদি খাবার শেষ করো।পুনরায় গম্ভীর গলায় বললো।

রূপ আর কথা বলেনি চুপচাপ খেতে লাগলো।নিজে নিজের মনে মনে বারিশের শেষের কথা গুলো ভাবতে লাগলো,,,,,,,,,,,

#চলবে,,,❣️

[লেখিকা-সুমাইয়া আক্তার মীম✵]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here