মেঘবতী_কন্যা পর্ব ১৪

0
807

##মেঘবতী_কন্যা পর্ব ১৪
#সুমাইয়া আক্তার মিম

হালকা মিহি বাতাসের ঝাপটানি গায়ে মাখিয়ে ধীরে ধীরে অদূরে মিলিয়ে যায়। আকাশে মেঘেদের খেলা, কালো হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো দেখতে লাগছে তাদের। মেঘেদের ভিরে সূর্যিমামা নিজের জায়গা করে নিতে অক্ষম,একটু পরপর উঁকি দিয়ে আবার মিলিয়ে যাচ্ছে মেঘেদের ভিরে।এই জেনো মেঘ, সূর্যের খেলা।কী দারুণ দেখতে লাগছে তাদের!সেদিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে রয়েছে রূপ।রূপটফের ছোট কাঁচের টেবিলের উপর গালে হাত দিয়ে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছে সে। একটু পর পর হাতে থাকা ধোঁয়া উঠানো চায়ের কাপে ঠোঁট ভিজিয়ে দিচ্ছে। আজকাল সারাদিন জুরে শুধু টুপটাপ বৃষ্টি হচ্ছে কোনো থামাথামি নেই।শীতের আগমন শুরুতে এমন বৃষ্টি হতে থাকে সবসময়। গায়ে পেঁচানো শালটিকে আরেকটু গভীর ভাবে জড়িয়ে নিলো,প্রচন্ড শীত শীত লাগছে।শীত,বর্ষা, বসন্ত এই তিনটি রূপের পছন্দের মৌসুম। এদের মাঝে শীত তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। কুয়াশা মুড়ানো শীতের সকাল তাঁর কাছে চিত্র শিল্পীর রং তুলিতে আঁকা এক অপূর্ব রূপকথার দৃশ্য মনে হয়।

কিছুক্ষণ আগে বারিশকে কয়েকটি কড়া কথা শুনিয়ে দিয়েছে সে কথাটা ভাবতেই মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠে।এডমিশন হতে না হতেই একগাদা বইদের ভিরে ডুবিয়ে দিয়েছিল রূপকে তা নিয়ে আচ্ছামতে কথা শুনিয়েছে সে বারিশকে।ভাঙ্গিস তখনি বারিশের একটি ইমপ্যটেন্ট কাজ পড়ে গিয়েছিল নাহলে আজকে রূপের রক্ষে ছিল না নিশ্চত।বারিশ যাওয়ার পূর্বে তাকে শাসিয়ে গিয়েছে,বাড়ী ফিরে তাঁর ক্লাস নিবে। হঠাৎ রূপের ভাবনার ব্যঘাত ঘটিয়ে ধপ করে তার পাশের চেয়ার টেনে বসে পড়লো রিনি। সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে নিজের মতো করে পুনরায় চায়ের কাপে চুমুক দিতে লাগলো।রিনি রূপের দিকে তাকিয়ে উৎফুল্ল হয়ে হাঁসি হাঁসি মুখ করে বললো,

‘উফ্ পুতুল ভাবি তুমি আমার সাথে আমার ভার্সিটিতে পড়বে খুব মজা হবে। আমার তো খুব এক্সাইটেড লাগছে?’

রিনির কথা শুনে রূপ বিরক্তি হয়ে তাঁর দিকে তাকালো।নাক মুখ কুঁচকে বললো,

‘খুব খুশি লাগছে জিলেপি বিতরণ করবো’।

রূপের এমন কথা শুনে রিনির হাসি উধাও হয়ে যায়। সে রূপের আরেকটু কাছ ঘেঁষে বসে বললো,

‘কী হয়েছে রূপস ভাবি ভাইয়া কী আজ কিছু দেয়নি। এমন মুখ ফুলিয়ে কেনো রেখেছো’

এমন কথা শুনে রূপ বড়বড় চোখ করে তাকালো রিনির দিকে। লজ্জায় তাঁর মুখ লাল হয়ে গিয়েছে তা দেখে রিনি ফিক করে হেসে দিলো।রূপ মনে মনে ভাবতে লাগলো,যেমন ভাই তাঁর তেমন বোন। একদম নির্লজ্জ।
দুজনে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে নিচে চলে গেলো।


হলরুমের সোফায় বসে রিনি,রূপ দুজনে মিলে টিভিতে কার্টুন দেখছে আর হাসাহাসি করছে। মিথিলা খান সার্ভেন্টদের সাথে দুপুরের খাবার টেবিলে সাজিয়ে রাখছে। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।দুজনকে এমন হাসতে দেখে মিথিলা খানের মুখেও হাসি ফুটে উঠে।দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রূপকে দেখতে লাগলো। এতো দিন পর জেনো তাঁর পরিবারটি হাঁসি খুশিতে পরিপূর্ণ হয়েছে।বেশ অদুরে রূপ, অল্পতে সব কিছু মানিয়ে নিতে পারে। তাঁর প্রান উজ্জ্বল হাঁসি, দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রাখবে যেখানে থাকবে। দীর্ঘ কালের বিশাল বড় একটি টেনশন থেকে মুক্তি পেয়ে নিজের কাছে খুব শান্তি শান্তি অনুভব করছেন মিথিলা খান। রূপের সাথে তাঁর সম্পর্কটি শাশুড়ি বৌমার থেকে বান্ধুবী বান্ধবী বেশি। তাঁর সাথে প্রতি দিন নিয়ম করে কথা না বললে রূপের দিনটি ভালো যাবে না। তাঁর কাছেও বারিশ রিনি থেকে রূপ বেশি আদরের। মৃদু হেসে রূপের থেকে চোখ সরিয়ে পুনরায় নিজের কাজে মনোযোগ দিলেন।
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।
হঠাৎ হলরুমের দরজা দিয়ে বড় বড় পা ফেলে বারিশকে ভেতরে আসতে দেখে রূপের মুখের হাসিটা মিলিয়ে যায়।বারিশ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে তাঁর দিকে বেশ কিছুক্ষণ রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে গটগট পায়ে উপরে চলে যায়।তখনকার বারিশের শাসিয়ে যাওয়ার কথা মনে পড়তে রূপের মুখটা ছোট হয়ে যায়।রূপ একবার ভেবেছিল যাবে উপরে পরক্ষনেই মুখ ভেঙ্গিয়ে পুনরায় নিজের কাজে মনোযোগ দিলো।

একজন সার্ভেন্ট বেশ কিছু রজনীগন্ধা ফুল এনে টেবিলের উপর ফুলদানি তে সাজিয়ে রাখতেই সারা রুমে ফুলের মৌ মৌ গন্ধে সতেজ হয়ে উঠে। রজনীগন্ধা ফুলের গন্ধ নাকে আসতেই রূপের মুখের হাঁসি টা তখনাত উধাও হয়ে যায়।চোখ দুটো মিনিটে বড় বড় হয়ে গিয়েছে।হাত পা শীতল হয়ে উঠছে চোখ মুখ লাল হয়ে গিয়েছে। বুকে হাত দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে চেষ্টা করছে কিন্তু শ্বাস নিতে পারছে না।রূপকে হঠাৎ এমন করতে দেখে পাশ থেকে রিনি ভয় পেয়ে জোরে জোরে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিলো।
হঠাৎ এমন চিৎকার শুনে বাড়ির সবাই ভয় পেয়ে এক জুট হয়ে যায়। মিথিলা খান এসে রূপকে জড়িয়ে ধরে আঁতকে উঠে,সারা মুখের নাজেহাল অবস্থা চোখ চেপে বন্ধ করে শ্বাস নিতে চাইছে।বারিশ রূপের এই অবস্থা দেখে বেশ ভয় পেয়ে যায়। রূপকে নিজের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে উত্তেজিত কন্ঠে বলতে লাগলো,

‘কী হয়েছে রূপজান!এমন করে কাপছো কেনো? কোথায় কষ্ট হচ্ছে আমাকে বলো!’

রূপের শ্বাস নিতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি ঝরতে লাগলো।বারিশ পাগলের মতো রূপকে বলছে কী হয়েছে কিন্তু রূপ কোনো কথা বলতে পারছে না জোরে জোরে শ্বাস নিতে চেষ্টা করছে।বারিশ বুঝতে পারছে রূপের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে একদিক সেদিক তাকিয়ে কিছু খুঁজতে লাগল। রূপের কিসের জন্য শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তা খুঁজতে লাগলো সে। পুনরায় সকলের উদ্দেশ্যে করে চিৎকার করে বলতে লাগলো,

‘রূপের এই অবস্থা কী করে হয়েছে?কি করছিলে সবাই বলেছিমনা সকলে খেয়াল রাখবে।যদি ওর কিছু হয় তাহলে কাউকে ছাড়বো না একদম মেরে ফেলবো সবাইকে।’

বারিশকে ভীষণ হিংস্র লাগছে।বারিশের রাগের প্রতি সকলের ধারণা রয়েছে।শান্ত বারিশ রেগে গেলে খুব হিংস্র হয়ে ওঠে তখন তাঁর সামনে কেউ পরলে তাঁর নির্ঘাত মৃত্যু। রূপের কোনো বিষয়ে হেরফের একদমই পছন্দ নয় তাঁর।রূপকে নিয়ে ভীষণ প্রজেটিব সে।সবাই ভয়ে কাঁপতে লাগলো বারিশের রাগ দেখে। মিথিলা খান কী করবেন বুঝতে পারছেন না ছেলেকে এখন বুঝানো মুশকিল। রূপ বারিশের কী তাঁর থেকে ভালো অন্য কেউ জানেনা। রূপের সামান্য কিছু হলে বারিশের শ্বাস নিতে কষ্ট হয় চারিদিকের সব কিছু ভুলতে বসে সে। ছেলেকে বাঁচাতে রূপের প্রয়োজন অনেক অনেক বেশি। মিথিলা খান দিশেহারা হয়ে পড়েছেন,জলদি করে নিলয় খানকে বিষয়টি জানাতে অগ্ৰগতি হলেন। এতোক্ষণে শান্ত পরিবেশটি অশান্ত বেসামাল হয়ে গিয়েছে। সকলে এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি করছে কী কারণে রূপের এই অবস্থা হয়েছে হঠাৎ বারিশের চোখ গেলো টেবিলের উপরের রজনীগন্ধা ফুল গুলোর উপরে। সাথে সাথে চোখ দুটো লাল হয়ে গিয়েছে তাঁর।রূপকে নিজের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে ফুলের দিকে ইশারা করে হুংকার দিয়ে বলে উঠলো,

‘ এই ফুল গুলো এখানে কী করে এসেছে।এখনি এই ফুল গুলোকে বাহিরে ফেলে আসো। নাহলে একটাকে বাঁচিয়ে রাখবো না।সব কটা অকাজের, ইডিয়েটের দল।’

বারিশের কথা মতো তক্ষুনি ফুল গুলো বাহিরে ফেলে আসেন একজন গার্ড। রজনীগন্ধা ফুল দেখে বেশ আঁতকে যান মিথিলা খান। এখন বুঝতে পারছেন রূপ কেনো এমন করছিলো। রূপের রজনীগন্ধা ফুলে এলার্জি রয়েছে যার কারণে ফুলের তীব্র গন্ধের কারনে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু বাড়িতে এই ফুল কে আনিয়েছে। সকলে তো জানা আছে এই ফুল বাড়িতে প্রবেশ নিষেধ। রূপের যেই যেই জিনিসে সমস্যা সেগুলো বাড়ির ভিতরে এলাউ না বারিশের কড়াকড়ি নির্দেশ। বাড়িতে তো কোনো রজনীগন্ধা ফুল গাছ নেই তাহলে ফুল গুলো কে আনিয়েছে।রিনিসহ কয়েকজন গার্ড মিলে সারা রুমে স্প্রে করে দিয়েছে এখন আর ফুলের গন্ধ আসছে না। ফুলের গন্ধ নাকে না আসতেই রূপ ধীরে ধীরে কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এখন শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে না।ঘাড় এলিয়ে বারিশের বুকে মাথা রেখে জোরে জোরে শ্বাস টেনে নিচ্ছে।বারিশ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে রূপের কপালের ঘাম টুকু মুছে দিয়ে কপালে চুমু খেলো। একজন গার্ড পানি ভর্তি গ্লাস নিয়ে আসতে রূপের মাথায় হাত রেখে তাকে পানিটুকু খাইয়ে দিলো। এতোক্ষণে কিছুটা ভালো লাগছে।বারিশ অধির হয়ে শান্ত গলায় বললো,

‘এইবার ঠিক লাগছে মেরি জান। কোনো কষ্ট হচ্ছে না তো!’

রূপ মাথা নাড়িয়ে সায় জানালো সে ঠিক আছে।বারিশ রূপের দিক থেকে চোখ সরিয়ে অগ্নি দৃষ্টিতে সকলের দিকে তাকালো। তাঁর তাকানো দেখে সকলে ভয়ে মাথা নিচু করে ফেললো। মিথিলা খান ছেলের কাঁধে হাত রেখে শান্ত গলায় বলেন,

‘এখন রূপ অসুস্থ ওকে রুমে নিয়ে যাও। রূপের রেস্টের প্রয়োজন।’

বারিশ কোনো কথা না বলে রূপকে কোলে তুলে নিয়ে উপরে চলে যায়। নিজেদের রুমে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে শরীরের ব্ল্যানকেট জড়িয়ে কপালে চুমু খেয়ে গম্ভীর গলায় বললো,

‘তুমি রেস্ট করো আমি দশ মিনিটের মাঝে ফিরে আসছি।’

বলে চলে আসতে নিলে রূপ বারিশের হাত টেনে ধরে।সে বেশ বুঝতে পারছে বারিশ খুব রেগে আছে নিশ্চয়ই কিছু একটা ঘটাবে সে।বারিশ ঘুরে রূপের ধরে থাকা হাতের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রূপের দিকে ঝুঁকে পড়লো।বারিশকে এমন ঝুঁকতে দেখে রূপ কিছুটা কেঁপে উঠে আস্তে করে বারিশের হাত ছেড়ে দিলো।বারিশ মৃদু হেসে বলল,

‘কী হয়েছে রূপজান ছাড়তে ইচ্ছে করছে না।আরো আদর প্রয়োজন। ওকে আমি তো প্রতিনিয়ত তোমাকে আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে রাজি। আমার কোনো সমস্যা নেই।’

বাঁকা হাসতে লাগলো।বারিশের এমন লাগামহীন কথা শুনে রূপ চোখ মুখ কুঁচকে বলে উঠলো,

‘ছিহহহহ! সত্যি আপনি খুব নির্লজ্জ।’

রূপের এমন কথা শুনে বারিশ হু হাহা করে হেঁসে দিলো।বারিশকে এমন করে হাসতে দেখে রূপ হা করে সেদিকে তাকিয়ে রইলো।
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।বারিশ সহজে কখনো হাসতে দেখিনি রূপ।হাসলে বেশ লাগে বারিশকে দেখতে।এই ছেলেটা এতো সুন্দর তাঁর সাথে জড়িত প্রতিটি জিনিস চরম মাত্রায় সুন্দর।একদম আগুন সুন্দর যাকে বলে।রূপ আনমনে বারিশের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,

‘আপনি ভীষণ সুন্দর মি.এরোগেন্ট ম্যান আর আপনার হাসিটা তো একদম মারাত্মক। আপনি সারাদিন এমন করে কেনো থাকেন মনে হয় হাসলে খুব বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’

রূপের এমন কথা শুনে বারিশ নিজের হাঁসি থামিয়ে দিয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে রইল।রূপ যখন বুঝতে পারলো সে কী বলে ফেলেছে তখনই কথা ঘুরানোর জন্য মেকি হেসে কিছু বলবে তাঁর পূর্বে বারিশ নিজের সম্পূর্ণ ভর রূপের উপর ছেড়ে দিয়ে রূপের গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো।রূপ ছুটোছুটি করতে নিলে দুই হাতের মাঝে রূপের হাত দুটো বন্দি করে নিলো।রূপ আসপাশ করে ছটপট করতে লাগলো। এতো জলদি বারিশ তাকে নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিয়েছে তাঁর বোধগম্য হতে পারেনি।রূপ কোনো রকমে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,

‘ছারুন মি.কোলবালিস।এতো ওজন আপনি আমার হাড় ভেঙে গুঁড়িয়ে যাবে তো।দয়া করে ছারুন না।’

রূপের কথা শুনে বারিশ আরো শক্ত করে চেপে ধরলো।বারিশের প্রতিটা ছোঁয়া ধিরে ধিরে গভীর হচ্ছে।রূপ বারবার কেঁপে উঠছে এখন শক্তি মিলছে না বারিশকে সরানোর জন্য।বারিশ রূপের গলায় নাক ঘষতে লাগলো ধীরে ধীরে অদূরে গলায় বলে উঠলো,

‘উহু পরিজান তুমি এমন করে প্রশংসা করেছো একটু তো আদর করতেই হয়। তুমি খুব অদূরে মেরি জান তাইতো একটু আদর করে পোষে না।আর আজকে সকালের পানিশমেন্ট তো বাকি ছিলো সেটাও পুষিয়ে নিতে হবে তাইতো!’

কথা গুলো শুনে রূপ ঠোঁট ফুলিয়ে বলে উঠলো,

‘আর কখনো আপনার প্রশংসা করবো না এবার তো উঠুন। আপনি খুব ভারি কী এতো খান বলুন তো। আমার নরম হাড্ডি গুলো মটমট করে ভেঙ্গে যাচ্ছে।’

রূপ কাঁদো কাঁদো গলায় এটা সেটা বলছে কিন্তু বারিশ এক চুলও না সরে আরো আষ্টেপৃষ্ঠে রূপকে জড়িয়ে ধরছে।রূপ আর কোনো কিছু বললো না চুপ করে মুখ ফুলিয়ে রাখলো।

#চলবে,,,,❣️

[লেখিকা-সুমাইয়া আক্তার মিম✵]

[দীর্ঘ দিন গল্প না লেখার কারণে গল্পটির থিম ভুলে গিয়েছি তাই গল্প লিখতে দেরি হচ্ছে। দুর্ভাগ্য বশত ডায়রি কিংবা অন্য কোথাও গল্পের থিম লিখে রাখেনি যার কারণে গল্প ভুলে যাওয়ার ফলে গল্পটি তেমন গুছিয়ে লিখতে পারছি না। তবুও আমি যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আপনাদের সকলের পছন্দ হবে এমন করে গল্পটা সাজানোর। সকলের প্রতি অনুরোধ রইল গল্পটির কোথাও ভুল হলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং গল্প দেরি করে পোস্ট করলে অপেক্ষা করার। ধন্যবাদ সবাইকে গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি।]
🚩গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ❌। লেখিকার নামসহ হলেও পোস্ট করতে পারবেন না। করলে বিনা নোটিশে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পাঠকদের কাছে অনুরোধ এমন চোখে পরলে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন এবং অবশ্যই আমাকে জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here