মেঘবতী_কন্যা পর্ব ১৯

0
1164

#মেঘবতী_কন্যা পর্ব ১৯
#সুমাইয়া আক্তার মিম

গভীর রাত!নিকষ কালো অন্ধকার আজ সেজেছে নতুন সাজে, বাহারি রঙের আলোতে নিজেকে আলোকিত করেছে। ঘড়ির কাঁটা বারোটার ঘরে টিকটিক করতে চারিদিকে চিৎকার চেঁচামেচি,হৈ হুল্লোড় মেতে ওঠে। বারোটা বাজার সাথে সাথে একটি পুরাতন বছর কে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের আগমনে মেতে উঠেছে সম্পূর্ণ পৃথীবি। কারোর জেনো উল্লাসের শেষ নেই সকলের চোখে মুখে আনন্দের ছায়া। পরিবার-প্বরীজন, আত্মীয় স্বজন সকলকে নিয়ে নতুন বছরের আনন্দে নিজেদের রাঙিয়ে তুলছে সবাই।নিউ ইয়র্ক শহরের কোণায় কোণায় আজ খুশির আমেজ,পথ শিশুরা পর্যন্ত নিউ ইয়ার উৎসব পালন করতে সামিল হয়েছে সকলের মাঝে। রাস্তায় রাস্তায় এক মুখরিত পরিবেশ,রাতের এই সময়টাকেও দিনের মতো হৈচৈ ব্যস্ত লাগছে।
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।
রাস্তার পাশে একদল যুবক যুবতী হাঁসি মজায় আড্ডায় মেতে উঠেছে। জায়গায় জায়গায় জড়ো
হয়ে সকলে,ভাজি ফুটাছে।একটু পর পর আকাশে ভেসে উঠছে হ্যাপি নিউ ইয়ার। সেদিকে তাকিয়ে রূপ আনমনে হেসে দিলো।খুব ভালো লাগছে তাঁর।এই প্রথম নিউ ইয়ারে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে,যাকে বলে একটু অতিরিক্ত ভালো লাগা। বারোটা বাজার সাথে সাথে সর্ব প্রথম বারিশ তাকে খুব সুন্দর সারপ্রাইজের মাধ্যমে ইউ ইয়ার উইশ করে। কথাটা ভাবতেই গাল দুটো অটোমেটিক লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছে। তাঁর জীবনের বেস্ট নিউ ইয়ার।খুব খুশি সে।বারিশের বলা কিছু কথা,

‘এখন থেকে তোমার সব নিউ ইয়ার নিয়ে আসবে তোমার জন্য নতুন নতুন আনন্দ, খুশি, ভালোবাসা। শুধু মাত্র আমার হাত ধরে।খুব ভালোবাসি তোমায় রূপজান।আরো ভালবাসতে চাই তোমাকে,যতোটা ভালোবাসলে তুমি উপলব্ধি করতে পারবে আমার হার্ট বিটে থাকা তোমার নাম।তোমার প্রতিটি লোম কূলে থাকবে শুধু আমার নাম।অতিরিক্ত চাই তোমায় মেঘবতী।’

পরিবারের সকলের সাথে কিছুক্ষণ আগে ভিডিও‌ কনফারেন্সে এর মাধ্যমে কথা হয়েছে। আকাশের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো,আকাশে আজ এক মস্ত বড় চাঁদ। চারিদিকে ভীষণ ঠান্ডা তবুও জেনো তা অনুভব হচ্ছে না।দরজার খট আওয়াজ হতে সেদিকে তাকিয়ে দেখলো বারিশ রুমে প্রবেশ করছে তাকে দেখে মন্ত্রমুগ্ধকর হাসি উপহার দিলো। রূপের মুখ বরাবর দাঁড়িয়ে হাল্কা ঝুঁকে আলতো হাতে কপালের চুল গুলো সরিয়ে সেখানে ভালোবাসার পরশ এঁকে দিলো, আবেশে চোখ বুজে এলো রূপের। চওড়া হেঁসে মিনমিনে গলায় বলে উঠলো,

‘এই নিয়ে একহাজার একশত আটানব্বই বার।’

রূপের কথার মানে বুঝতে পারলো না বারিশ।ভ্রু কুঁচকে রূপের দিকে তাকাতেই রূপ অন্য দিকে তাকিয়ে নির্দ্বিধায় বলে উঠলো,

‘বিয়ের পরের দিন সকাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এতো গুলো কিস হয়েছে।’

রূপের কথার মানে বুঝতে পেরে বারিশ বাঁকা হেসে রূপের গাল টিপে নিজের দিকে ঘুরিয়ে মাথাটা আরেকটু নিচু করতে অটোমেটিক চোখ দুটো বড় বড় হয়ে যায় রূপের। মুখটা কানের কাছে আনিয়ে ফিসফিস করে বলতে লাগলো,

‘সো…কিউট রূপজান! তুমি আমার দেওয়া ভালোবাসার পরশ গুলো গণণা করে রেখেছো।সো নটি হা!’

বারিশের এমন বেশরমের মতো কথা শুনে রূপ চোখ মুখ কুঁচকে নিলো।এই ছেলে সবসময় তাকে নাকানিচুবানি খাওয়ার মোডে থাকে,সবসময় হেনস্থা করবে।রূপ বারিশের দিকে রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো,

‘একদম বাজে কথা বলবেন না। আপনি এতো এতো নির্লজ্জের মতো চিপকো টাইপের কাজ করেন যা মনে রাখতে না চাইলেও মনে পড়ে যায়। আবার বেশরমের মতো গর্ববোধ করে বলা হচ্ছে।’

রূপের এমন দ্বারা থতমত কথা শুনে বারিশ উচ্চ স্বরে হেসে দেয়,সেদিকে তাকিয়ে রূপ আরো বেশি রেগে যায়। রূপের নরম তুলতুলে গাল দুটো টিপে উচ্চ স্বরে দু’গালে চুমু খেলো।রূপ টিপটিপ চোখে তাকিয়ে আছে খুব মায়াবী লাগছে দেখতে।এতো আদুরে সারাক্ষণই আদর করতে ইচ্ছে করে।বারিশ রূপের থুতনিতে আলতো করে ছুঁয়ে বললো,

‘নাও তোমার একহাজার দুইশত চুমু পূর্ণ।ছোট মনে এতো জোড় দেওয়ার প্রয়োজন নেই আর এসব গণনা বাঁধ দিয়ে দাও কজ এতো এতো রোমান্স গণনা করা তোমার মতো পিচ্চি সুন্দরীর দ্বারা সম্ভব নয়।তাই এখানেই থেমে যাও।’

চোখ টিপে।বারিশের কথা শুনে বেশ লজ্জা পেলো রূপ। সবসময় নিজের বোকামির জন্য তাকে লজ্জা পেতে হয়।বারিশও কোনো কমতি রাখে না তাকে লজ্জা দিতে।এই মানুষটির মাঝে এতো এতো বুদ্ধি কোথায় থেকে আসে রূপ বুঝতে পারে না। এখন ইচ্ছে করছে পাশের দেয়ালের সাথে চারটি বাড়ি দিতে মাথাটাকে,যদি একটু বুদ্ধিসুদ্ধি হয় তো মন্দ হবে না।

_
রাত একটা পনেরো মিনিট!বাড়ির বাগানের ফাঁকা জায়গায় জুরে সকল সদস্য মিলে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে। কারোর চোখে জেনো ঘুমের রেশ টুকুও নেই। সকলে মিলে ভাজি ফুটাছে।রূপ মন খারাপ করে স্মাইলিকে নিয়ে দোল খাচ্ছে,পাশে বারিশ তাঁর গা ঘেঁষে বসে মোবাইল স্ক্রল করছে। মাঝে মাঝে আড়চোখে রূপকে দেখে নিচ্ছে আবার পুনরায় নিজের কাজ করছে।দেখেই বোঝা যাচ্ছে তাঁর এসব হৈ হুল্লোড় মোটেও ভালো লাগছে না, সম্পূর্ণ মুখ জুড়ে বিরক্তির ছাপ। শুধুমাত্র রূপের জিদের জন্য এতো রাতে এসব সহ্য করতে হচ্ছে তাকে।রূপ মন খারাপ করে সকলের দিকে তাকিয়ে আছে তাঁর খুব হিংসে হচ্ছে সকলের প্রতি,কেমন নির্দয়ের মতো তাকে ফেলেই আনন্দে মেতে উঠেছে।রূপ বারিশকে অনেক বলে বাগানে এসেছে ভাজি ফুটানো দেখার জন্য।বারিশের সাফ সাফ মানা কিছুতেই ভাজির ধারের কাছেও যেতে পারবে না সে,কথাটা শুনে ভীষণ খারাপ লাগে রূপের।এতো সুন্দর সকলে মজা করছে কিন্তু তাকে বারিশ নামের খবিশটা তা করতে দিচ্ছে না। কেমন লাগে, ইচ্ছে করছে বারিশের স্লিকি চুল গুলো টেনে ছিঁড়ে ফেলতে। যেখানে ভাজি ফুটাচ্ছে সেখান থেকে একশো হাত দূরত্ব রেখে রূপকে নিয়ে দোলনায় বসেছে সে। সকলের প্রতি কড়া নির্দেশ, দূরত্ব রেখে সাবধানে ভাজি ফুটাতে হবে যাতে কোনোরূপ ঝামেলা না হয়।রূপ বেশ কয়েকবার জিদ করলেও বারিশ তাকে ভাজির ধারের কাছেও যেতে দেইনি উল্টো ধমকিয়ে বসিয়ে রেখেছে।বারিশের মতে,ভাজির আগুনের ফুলকি রূপের জন্য বিপজ্জনক যদি আঘাত পায় তো!যদি পুড়ে যায়! অনেক সমস্যা হতে পারে। রূপের যেই বিষয়ে বিন্দুমাত্র কষ্ট হবে সেটা বারিশ কখনো রূপের ধারের কাছেও ঘেঁষতে দিবে না।সেটা সামন্য ভাজি হোক আর বিশাল কোনো জিনিস। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।বাড়িতেও রূপের আব্বিজান কখনো ভাজির ধারের কাছে তাকে ঘেঁষতে দেননি।মেয়ের ছোট ছোট বিষয়ে খুব সচেতন ছিলেন,ভীষণ আদরের একটি মাত্র মেয়ে তাই চোখে চোখে রেখেছেন যাতে কোনো বিপদ তাকে ছুঁতে না পারে। বাবার কথা মনে পড়তে হেঁসে দিলো রূপ,কেউ ঠিক বলেছে প্রতিটি মেয়ে তাঁর স্বামীর মাঝে তাঁর বাবাকে খুঁজে কারন একজন বাবা যেমন মেয়েকে আগলে রেখেছেন বাকি জীবন তারোই মতো কেউ তাকে আগলে রাখবে এটাই মেয়েদের স্বপ্ন। কথাগুলো ভেবে বারিশের দিকে তাকালো। তাঁর জীবনে পাওয়া শ্রেষ্ঠ গিফট, তাঁর স্বপ্নের রাজকুমার।বারিশের থেকে চোখ সরিয়ে স্মাইলির দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো স্মাইলিও তাঁর মতো কাচুমাচু করে নিশ্চুপ গুটিসুটি মেরে বসে আছে। রূপ স্মাইলির শরীরের ছোট লাল কাপড়টি আরেকটু পেঁচিয়ে দিতে আয়েশি ভঙ্গিতে নড়াচড়া করে হামি তুললো স্মাইলি, সেদিকে তাকিয়ে হেসে দিলো রূপ।একটুখানি ধবধবে সাদা বিড়াল ছানাটিকে আজকে সকালে বারিশ তাঁর জন্য নিয়ে এসেছে। দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি কিউট, রূপের ভীষণ পছন্দ হয়েছে।বিড়াল ছানাটিকে পেয়ে সে এতোটা খুশি হয়েছে বারিশকে টাইট করে কিছুক্ষণ জড়িয়ে রেখেছিলো, আশেপাশের কিছুই তাঁর মনে নেই।সবার সামনে তখন এমনটা করার কথা ভাবলে এখনো গাল দুটো অনায়াসে লাল হয়ে উঠে।বারিশ তখন কেমন বাঁকা চোখে তাকিয়ে ছিলো তাঁর দিকে, বারিশের মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছিল সে এমন কিছু হবে পূর্ব ধারণা করেছিলো।এই ঘটনা নিয়ে কম লজ্জায় পড়তে হয়নি সারাদিন বারিশের কাছে ভাবতেই আড়চোখে বারিশের দিকে তাকাতে দেখতে পেলো সে আপাতত তাঁর দিকে দৃষ্টি স্থির রেখেছে।চট করে রূপ চোখ সরিয়ে সামনের দিকে তাকালো। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।

শালের উপর দিয়ে নিজের কোমড়ে এক জোড়া ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেতে কেঁপে উঠলো রূপ। চোখ বড়বড় করে পাশে তাকানোর সাথে সাথে বারিশ টেনে নিজের সাথে শক্ত করে মিশিয়ে নিলো।বারিশ রূপের মুখে আলতো ফু দিতে ক্ষানিকটা কেঁপে উঠলো… সেদিকে তাকিয়ে বারিশ মৃদু হেসে কপালে চুমু খেতে রূপ লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছে। চোখ বুলিয়ে আশেপাশে তাকিয়ে নিলো..উহু কেউ দেখিনি।এই ছেলে কি তাকে লজ্জায় লজ্জায় মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছে নাকি!হতেও পারে যা ব্রিটিশ, তাঁর দ্বারা সবই সম্ভব।বারিশ তাঁর নাক টিপে বেশ অদুরে গলায় বলে উঠলো,

‘এমন ড্যাবড্যাব করে তাকিও না সুন্দরী তাহলে মিনিটে হাজার বার বুকে ব্যথা অনুভব হয়। ইশ্ এতো সুন্দর করে কেউ তাকায়!আমাকে মারার প্ল্যান করছো তাইতো।শুনে রেখো মেয়ে,মরলে একা মরবো না আমার দহনে তোমাকেও মারবো। বুঝতে পেরেছো।’

শেষের কথাটা শাসনের সুরে বললো।রূপ বারিশের কথা শুনে ঠোঁট উল্টিয়ে বললো,

‘আমার চোখ.. শুধু ড্যাবড্যাব করে কেনো যেমন খুশি তেমন করে তাকাবো।আপনার ইচ্ছে হলে আপনি চোখ বুজে রাখতে পারেন..হু।’

‘আমার বউ আমি যেমন খুশি তেমন ভাবে তাকাবো তাঁতে তোমার কী? তোমাকে সব এ্যঙ্গেলে দেখার রাইট আমার আছে চাইলেও তুমি কিছু করতে পারবে না জান। অবশ্যই তুমিও আমাকে সব এ্যঙ্গেলে দেখতে পারো….সব এ্যঙ্গেল মানে সব…।’

চোখ টিপে কথাটা বলে হেসে দিলো বারিশ। রূপ হা করে তাকিয়ে আছে বারিশের দিকে।যখন কথার মানে বুঝতে পারলো তখন চিৎকার করে বলে উঠলো,

‘ছিহহ।কী বাজে লোক, সব সময় বাজে বাজে কথা।যান যান পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখটা ভালো করে ধুয়ে আসুন সাথে মাথাটাও খুলে পরিষ্কার করে আসুন..সব বাজে হয়ে গিয়েছে।’

রূপের এমন কথা শুনে বারিশ হুহু করে উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো।রূপ লজ্জায় গাল দুটো লাল হয়ে গিয়েছে ইচ্ছে করছে মাটি খুঁড়িয়ে ভেতরে ঢুকে যেতে। ইশ্ কী লজ্জা।কেমন নির্লজ্জ কথাবার্তা।

___

হল ড্রিম স্পোর্ট ক্লাব। চারিদিকে হৈচৈ চেঁচামেচি।বক্সিং খেলা চলছে তাই চারিদিকে দর্শক মেতে উঠেছে খুশির জোয়ারে।সবার মুখে একটি নামের জয়ধ্বনি।সবার মুখের হাঁসি আর উচ্ছাসে বলে দিচ্ছে খুব ডেন্জারেস খেলোয়াড় নামতে চলেছে মাঠে।হঠাৎ একটি মেয়ে উচ্চ স্বরে বলে উঠলো ছায়ান সিত্তিস। মেয়েটির কথা শুনে সকলে পুনরায় আরো বেশি চিৎকার চেঁচামেচি করা শুরু করে দিলো। সবাই চিৎকার করে ছায়ান..ছায়ান নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছে।ছায়ান নামের লোকটি স্টেজে উঠে চারিদিকে তাকিয়ে অদ্ভুত হেসে শরীরের বড় কালো জ্যাকেটটি খোলে ফেলতে আবারো জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলো সকলে। নিজের বডি সো করতে মেয়েরা দিগুন উচ্ছাসে একে অপরের উপরে ঢলে পড়তে লাগলো, সেদিকে তাকিয়ে চোখ টিপে খেলার প্রস্তুতি নিলো।ছায়ান নিজের কাঁধ বাঁকা করে হাসতেই প্রতিনিধি বক্সারের অবস্থা নাজেহাল হয়ে যায়। সম্পূর্ণ বক্সার ওয়ার্ল্ড জানেন কতোটা বিপদজনক খেলোয়াড় ছায়ান।সকলে জমের মতো ভয় পায় তাঁকে,এক কিকে হয়তো কারোর হাড় ভেঙেছে কারোর বা মৃত্যুর কারণ হয়েছে। ভীষণ রকম ভয়ংকর সে,খেলার মাঝে রেগে গেলে সকলের সামনে মেরে ফেলতে পিছুপা হয় না। সম্পূর্ণ বক্সিং ওয়ার্ল্ড জানে বক্সিং চ্যাম্পিয়ন ছায়ান সিত্তিস একজন সাইকো।ইয়েস দিস্ ম্যান ইজ সাইকো। খুবই ভয়ংকর একজন চাইনিজ প্লেয়ার। তাঁর সাথে কেউ ভয়েও লাগতে আসে না যে আসে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত।সে শুধু বক্সার নয় একজন ড্রাকস এডিক্টেড।ড্রাকস সহ বিভিন্ন খারাপ নেশায় আসক্ত সে।সারা রাত দিন নেশায় আর মেয়েদের মাঝে বুঁদ হয়ে থাকা তাঁর প্রদান কাজ। হাজার হাজার মেয়ের জীবন অনায়াসে নষ্ট করে তাদের জঘন্য ভাবে মেরে ফেলা তাঁর বা হাতের কাজ।সব ধরনের খারাপ কাজ লিপ্ত।এই ভয়ংকর ধরনের লোকটি একজন হাতে কলমে লিখা সাইকো যার সামনে দিয়ে যেতেও মানুষের হাঁটু কাঁপে।বেশি একটা পরিচিত না হলেও যতোটুকু তাঁর ছায়া পরেছে তা সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। দেখতে শুনতে একজন প্লেয়ার হিসেবে চরম সুন্দরের অধিকার হওয়ার সুবাদে চুটকি বাজাতে হাজারো মেয়ে তাঁর সঙ্গ পেতে রাজি হয়ে যায়।গতবছর হ্যাড লাইনে তাঁর নামে মন্ত্রীর মেয়েকে খুব হিংস্র ভাবে খুন করার দায়ে এক বছর কারাবন্দী থাকতে হয়েছে। তবুও সে ক্ষান্ত হয়নি বরং দিগুন হিংস্র হয়ে ওঠেছে। তাঁর নামে হাজার হাজার মাডারের কেস্ থাকলেও ভয়ে কেউ একচুল বাঁকা করতে পারেনি। খুব দুর্দান্ত চতুর হওয়ার সাথে খুব বড় ধরনের প্লেয়ার প্লাস ভয়ংকর সাইকো হওয়ায় তাঁর সাথে কেউ পেরে উঠেনি।সবার ধারণা এমন হিংস্র নর্দমার কীট পরিষ্কার করতে এর থেকে হাজার গুণ হিংস্র মানুষের প্রয়োজন যার কাছে আহ্ করা পর্যন্ত চলে না।সে এতোটাই ভয়াবহ যে তাঁর কাছে হাজারো ছায়ান সিত্তিস সাইকোরা ভয়ে তাকাতেই পর্যন্ত পারে না,যার ভয়ে নিজের কবর নিজে করতে বাধ্য হবে।

চলবে,, ❣️
[লেখিকা~সুমাইয়া আক্তার মিম✵]
❌কার্টেসী ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ ❌
(ভিলেনের এন্ট্রি হয়ে গিয়েছে।পড়েই বুঝতে পারছেন ভিলেন একজন সাইকো আর এই সাইকোকে শুধু বারিশ খান সামাল দিতে সক্ষম 🙈। অনেকে মেয়ে ভিলেন চেয়েছিলেন কিন্তু ছেলে ভিলেনের পক্ষ বেশি থাকায় তাই ভিলেন ছেলে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে গল্প ইন্টারেস্টিং হতে চলছে। সকলের গল্পের প্রতি গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি ধন্যবাদ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here