মেঘবতী_কন্যা পর্ব ২৩

0
696

#মেঘবতী_কন্যা পর্ব ২৩
#সুমাইয়া আক্তার মিম

__
শীতের রাত।চারিদিকে ঘনকালো কুয়াশা।কুয়াশার কারণে রাতের আঁধার আরো বেশি ভয়ানক এবং নিস্তব্ধ, নিস্তেজ লাগছে।গা ঝমঝম পরিবেশ জেনো অন্ধকার দৈত্য গ্ৰাস করতে আসছে ধরনীর বুকে।নিরব রাস্তাঘাট, আশেপাশে মানুষজনের চলাচল কমে এসেছে। অল্প সময় জেনো মাঝরাত।নিউ ইয়র্ক এর এই জায়গাটিতে মানুষের আগমন খুবই কম।দূর দুরন্ত কোনো বাড়ি ঘর নেই শুধু বিশাল রাস্তা আর মাঠ।রাস্তার দুই পাশে ছোট ছোট পাহাড় আর পাহাড়ে রয়েছে বিশাল বিশাল বাঁশ ঝাড়ের ন্যায় পাহাড়ি গাছ।রাস্তার প্রতিটি কোণা কে আলোকিত করছে স্টেডিয়িমের আলো। নিউ ইয়র্ক এর শেষ অংশের পরিত্যক্ত এই জায়গাটিতে গাড়িঘোড়া খুব কম চলাচল করে। অপরাধ করার জন্য এই জায়গাটি অপরাধকারীদের জন্য সবচেয়ে মোক্ষম জায়াগায়।রাতের আঁধার হলে একদল নর্দমার কীট নেমে আসে শহরের বুকে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য।

শু শু করে তিনটি গাড়ি এসে থামতেই সেখান থেকে বেশ কিছু ফরেনি লোক নেমে আসলো।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করছে আর নিজেদের মাঝে কথা বলছেন। সকলের মাঝে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে সাথে রয়েছে সকলের মাঝে ভীষণ ভয়। অপরিচিত জায়গায়,যেকোনো সময় বিপদ হানা দিতে সময় নিবে না। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম। মিনিট খানেক এর মাঝে আরো দুটো গাড়ি সেখানে উপস্থিত হলো।ছায়ান সিত্তিস এর গাড়ি দেখতে পেয়ে প্রতিনিধি লোকেরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হেসে এগিয়ে আসলো।গাড়ি থেকে নেমে আসলো মি. রিপন এবং কয়েকজন গার্ড। চারিদিকে কোনো বিপদ জনক কিছু আছে কিনা ভালো করে পরক্ষ করে নিলেন।বেশ কিছু কথাবার্তা হওয়ার পর মি.রিপন ছায়ান এর গাড়ির গ্লাসে টোকা মারতে সেটা কিছুটা খোলে আসে।মি.রিপন ইশারায় বুঝিয়ে দিলেন সব ঠিকঠাক।বেশ কিছু সময় পর ছায়ান হিরোদের মতো বেশ ভাব নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে আসলো, সকলে তাঁর সাথে কুশল বিনিময় করতে চাইলে সে পাত্তা না দিয়ে কোনো সময় অপচয় না করে কাজ শুরু করতে বললো।ছায়ান একপাশে দাঁড়িয়ে এটিটিউটের সাথে সিগারেটে সুখটান দিতে লাগলো। সকলে যখন নিজেদের মাঝে কাজে মগ্ন হয়ে পরলো হঠাৎ অন্ধকার রাস্তাগুলো আলোকিত হয়ে উঠলো।সকলে বেশ চমকে চোখে হাত দিয়ে বন্ধ করে নিলো। পাহাড়ের পাশ থেকে দশ থেকে বিশ জনের মতো কালো পোশাক পরিহিত গার্ডরা চারিদিক থেকে তাদের আটক করে ফেলেছেন। সকলে চারিদিক থেকে তাদের দিকে লাইট মারার কারনে ঠিক ভাবে তাকাতে পারছে না কেউ। ধীরে ধীরে আরো অনেকগুলো গার্ড যুক্ত হতে শুরু করলো এককথায় সম্পূর্ণ এরিয়া দখল করে নিয়েছে নিজেদের পজিশন মোতাবেক।এমন কিছু উপস্থিত সবার জন্য খুবই ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।এটা যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটেছে তা খুব ভালো করে ধারণা করেছে ছায়ান।হাতের সিগারেটটি মাটিতে ফেলে পা দিয়ে পিষে ফেললো।রাগে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে তার। চোখ বন্ধ করে এদিক সেদিক করে কটমট দৃষ্টি নিক্ষেপ করে সকলের দিকে। দিকবিদিক না করে নিজ গাড়িতে উঠে বসে সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি অপজিট সাইট দিয়ে শু শু করে বেরিয়ে যায়।তাঁর পাশাপাশি তাঁর লোকদের গাড়িটিও বেরিয়ে যায়।
এতোক্ষণে সকলকে আটক করে ফেলেছে গার্ডরা।বারিশের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সকলকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে বারিশের গার্ড।ছায়ানের লোকেরা কিছুটা দূরে ছিল বিধায় তাদের ঠিক ভাবে কারো চোখে পরেনি যার কারণে পালাতে সক্ষম হয়েছে। কোটি টাকার ড্রাগস মাটিতে পড়ে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে।সকলকে নিয়ে গার্ডরা রওনা হলো নিজেদের কাজের জায়গায়। আজকে আবার নতুন ভাবে নতুন কোনো নিয়মে এদের শাস্তি দিয়ে আগামীকাল এর হ্যাডলাইন তৈরি করবে,কালো বিজনেস জগতের আরো কিছু নিকৃষ্ট জীব নিঃশেষ হয়েছে।

কুয়াশা মুড়ানো শীতের রাতে প্রিয়জনের সাথে এক চমৎকার সময় কার না ভালো লাগে!এই জেনো রূপকথায় মুড়ানো সবকিছু।শু শু বাতাসে রূপের অবাধ্য পাতলা স্লিকি চুল গুলো উড়িয়ে দিচ্ছে আর
বারিশ বরাবর নিজের আলতো হাতে সেই চুল গুলো কানের পিছনে গুঁজে দিচ্ছে।তাকে দেখে মনে হচ্ছে তাঁর শুধুমাত্র তাঁর রূপজানের চুল ঠিক করে দেওয়া বিন্দুমাত্র অসুবিধা যাতে স্পর্শ করতে না পারে সেগুলো দেখাই তাঁর একমাত্র মূল্যবান এবং প্রধান কাজ। রূপের সেদিকে কোনো মন নেই সেতো মুগ্ধ নয়নে রাতের আকাশ দেখতে ব্যস্ত। খুব ফিল করে সব কিছু উপভোগ করছে সে বারবার হাত নাড়িয়ে এটা সেটা দেখাচ্ছে বারিশকে।বারিশও খুব মনোযোগ সহকারে প্রতিটি কথা শুনছে এবং রূপকে এটা সেটার সাথে পরিচিত করাচ্ছে। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।আজ সারাদিন অনেক জায়গায় ঘুরেছে দুজন তাই রূপ ভীষণ খুশি আজ।প্রিয় মানুষের সাথে ছোট ছোট জিনিস উপভোগ করার মতো আনন্দ আর কিছুই হতে পারে না আর বারিশ তো তাকে বিশাল বিশাল আনন্দের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। তাঁর প্রতিটা দিন হচ্ছে খুব স্পেশাল সুন্দর আর আনন্দদায়ক।রূপের কাছে সবসময় মনে হয় সে জেনো এক স্বপ্নপুরীতে আছে সব কিছু কেমন স্বপ্নময়। তাঁর ইচ্ছে করছে সময়টাকে এখানেই থমকে দিতে।সময়টা যদি এখানেই থেমে যেতো তাহলে কতোই না ভালো হতো।বারিশের দিকে তাকিয়ে দেখলো সে মোবাইল স্ক্রোল করছে তাকে তাকাতে দেখে মুচকি হেসে কপালে চুমু খেয়ে বললো,

‘কেমন লাগছে!’

রূপ চমৎকার হেসে বললো,

‘অসাধারন লাগছে। খুব খুব ভালো লাগছে।থেংক ইউ।’

বারিশ হেসে বুকে জড়িয়ে নিলো মাথা হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,

‘ক্লান্ত লাগছে!অনেক তো হলো এইবার বাড়ি যাওয়া যাক!’

‘উহু। খুব ভালো লাগছে।আরো কিছু সময় থাকতে চাই প্লিজ।’

বারিশ রূপের দিকে শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আর কিছু বললো না।রূপ বারিশের বুকে মাথা রেখে বাহিরের দৃশ্য দেখতে লাগলো। জীবনের স্পেশাল মুহূর্ত‌গুলো আটকিয়ে রাখা গেলে সবার প্রথমে রূপ সেগুলো কাঁচের বোতলে বন্দি করে রাখতো,যখন ইচ্ছে করবে তা খুলে খুলে দেখতে। কথাগুলো ভেবে আনমনে হেসে দিলো রূপ। হঠাৎ করে কেমন জানি হালকা হালকা ভয় হচ্ছে মনে কারনটা তাঁর অজানা।সে জানে বারিশ থাকতে একটা ফুলের টোকাও পরতে দিবে না তাঁর গায়ে তাহলে এমন হঠাৎ ভয় হওয়ার কারন কী? রূপের জীবনে যা ঘটবে তা শুধু বারিশের সাথে সম্পৃক্ত যার সীমানায়ই বারিশ সেখানে কিছু বারিশের পিঠ পিছনে হতেই পারে না যা হবে সম্পূর্ণ বারিশের তৈরি করা সীমানায় হবে।তাই ,সেখানে রূপের ভয় পাওয়া নেহাত হাস্যকর আর বোকামি।

~বারিশে রাজ্যে এসে কেউ রূপকে আঘাত করার মানে নিজের মৃত্যুকে সন্দিহান করা।বারিশের বিছানো জালে পা ফেলা। ভীষণ চতুর সুদর্শন এই ব্যক্তিটি রহস্যে ঘেরা যার সম্পূর্ণটা জুরে শুধু রহস্য রহস্য গন্ধ।~

মোবাইলের টিংটাং আওয়াজ হতে বারিশ মোবাইলের স্কিনের দিকে গম্ভীর দৃষ্টিতে একপলক দেখে রূপের দিকে তাকালো।রূপ তাঁর বুকে মাথা রেখে নিজের মতো করে বাহিরের জাঁকজমক দৃশ্য দেখছে মাঝে মাঝে আলোকিত রাস্তার ভিডিও করে নিচ্ছে।বারিশ রূপের কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে রূপের মোবাইলে কানেক্ট করে দিলো।রূপ মাথা তোলে তাকাতেই বারিশ মৃদু হেসে গান প্লে করতে বললো বিনিময়ে রূপ কিছুটা হেসে গান প্লে করে শুনতে লাগলো।বারিশ মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে গম্ভীর ভাবে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে কল রিসিভ করলো।কল রিসিভ হতে অপর পাশ থেকে ভিতু কন্ঠে বলে উঠলো,

‘স্যার কাজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিরোধী পক্ষের একদলকে আটক করা যায়নি ওরা পালিয়ে গিয়েছে। আমাদের লোকজন ছড়িয়ে পড়েছে খুব শীঘ্রই যেখানে লুকাবে না কেনো ঠিক আপনার সামনে হাজির করবো।লোক আর মাল দুটোই এখন আমাদের হাতে।’

বারিশ দাঁতে দাঁত চেপে চোখ বন্ধ করে নিলো।কিছু একটা ভেবে বাঁকা হেসে বললো,

‘পালিয়ে যাবে কোথায়। যার প্রতি আমার নজর পরে যায়, আমার অনুমতি ছাড়া এই দেশের বাহিরে বের হওয়া একদমই অসম্ভব হয়ে পড়বে তাঁর জন্য। এখানে আসবে নিজ মর্জিতে কিন্তু যাবে আমার মর্জিতে। তল্লাশি জারি রাখবে চব্বিশ ঘন্টা এদের মূল কীট আমার চাই।’

কথাটা বলে গট করে মোবাইলটি রেখে দিলো বারিশ।রূপ একমনে গান শুনছে সেদিকে তাকিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো।

__
নিঝুম অন্ধকার রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে ছায়ানের লোকরা।গাড়ির ছাদের উপরে শুয়ে একের পর এক সিগারেটে ফু দিচ্ছে ছায়ান। এলোমেলো চুল রক্তিম মুখমন্ডল, শার্টের গুছানো ভাব আগের মতো নেই। এককথায় খুবই ভয়ংকর লাগছে তাকে। মাথা নিচু করে তাঁর লোকরা দাঁড়িয়ে আছে।মি.রিপন থরথর করে কাঁপছে। তাঁর একদমই এসব বিষয়ে ধারণা ছিল না। তাঁর বুঝতে বাকি রইল না এই লোক আসলে কারা।বারিশ খানকে সে খুব ভালো করে জানেন। নিজের পায়ে হেঁটে মৃত্যুর দরগাহ পৌঁছে গিয়েছেন তিনি।বারিশ খান মানে আতংকের আরেক নাম। এখন কী করবেন তিনি ভয়ে কলিজার সব পানি শুকিয়ে গিয়েছে। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম। আপাতত ছায়ানের দৃষ্টি তাঁর উপর নেই,পাশে উপস্থিত এক ক্লাইন্ট এর উপর নাহলে এতোক্ষণে এর হাতেই মারা পড়তো সে।কী করে বলবে বারিশ খানের কথা।যতো দ্রুত সম্ভব ছায়ানকে বলতে হবে এবং এখান থেকে এবং এই দেশ থেকে প্রস্থান করতে হবে জলদি নাহলে একটাও জীবন নিয়ে বাড়ী ফিরতে পারবে না। তিনি নিজেও জানেন না আজো এটা সম্ভব কিনা। ডিলারদের মাঝে একজন বেঁচে ফিরেছে সেই ভদ্রলোক কটমট করতে করতে ছায়ানের উদ্দেশ্য করে বলে উঠেন,

ইংরেজি ভাষা আমি বাংলায় লিখছি,
‘কী হয়েছে মি.ছায়ান সিত্তিস। আপনার এতো এতো কাজের সুনাম কোথায় গিয়েছে। শুধুমাত্র আপনার উপর বিশ্বাস রেখে দুই দেশ পেরিয়ে এখানে এসেছি এই ক্ষতির জন্য।আর এতো এতো রেকর্ড কোথায় গিয়েছে সেই তো কুকুরের মতো লেজ গুটিয়ে পালিয়ে এসেছেন সাথে সব লস এবং আমার সাথিদের আটক হতে হয়েছে।এই ক্ষতি আপনাকে পোষাতে হবে বলে দিচ্ছি।’

লোকটির কথা শুনে উপস্থিত সকলে থরথর করে কাঁপছে।কী বলছে এই লোক সয়ং ছায়ান সিত্তিস কে এসব বলছে। ছায়ানটের সামনে এমন কাথা বলার দুঃসাহস কারোর নেই।আজ এই লোক আর বাঁচবে না এর মাথা কেটে বক্সিং খেলবে ছায়ান। বুদ্ধি লোপ পেয়েছে তাই মৃত্যু কে আপন করার জন্য পা বাড়াচ্ছে মৃত্যুর দিকে। তিনি জেনো আজ ভুলে বসেছে কী বলছেন এবং কাকে বলছেন?ছায়ান সিত্তিস এর মতো ক্যাটাগোরি সাইকোর সাথে এমন ভাবে কথা বলছেন।যখনি বুঝতে পারলো সে কি করছে হঠাৎ বুকের মাঝে খুব জোরে লাথি অনুভব করলো,ধরাস করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। উপস্থিত সকলে জেনো এটার জন্য অপেক্ষা করছিলো উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো মাটিতে লুটিয়ে পড়া লোকটির দিকে।ছায়ান রাগে পাগলের মতো লোকটিকে মারতে লাগলো। প্রথম থেকে রাগ তাঁর কন্ট্রোলের বাহিরে তাঁর উপর এমন কথা জেনো কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে। চারজন লোককে ইশারা করতে লোকটির পা দুজন হাত দুজন শক্ত করে আটক করে নিলো। নিজের মৃত্যুকে এতো কাছ থেকে দেখে লোকটি উচ্চ স্বরে চিৎকার করে কান্না করছে, ছটফট করছে।ছায়ান এইবার পাগলের মতো হেসে হাতের সিগারেটে শেষ টান দিয়ে হাঁটু মুড়িয়ে বসে পরলো।লোকটি তাঁর কাছে জীবন ভিক্ষা চাইছে সেদিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে হাতের সিগারেটটি লোকটির বুকের সাথে খুব শক্ত করে চেপে ধরলো যার কারণে দিগুন জোরে চিৎকার করে উঠলো।ছায়ান ধমকে বলে উঠলো,

‘কী বলেছিলে! আমি কুকুরের মতো লেজ গুটিয়ে পালিয়ে এসেছি।আমাকে অপমান করেছিস,দ্যা ছায়ান সিত্তিস কে।গ্রেট! এর জন্য তোর মৃত্যু তোকে উপহার করা হলো। খুব একটা কষ্ট হবে না। খুব সুখ সুখ অনুভুতি হবে আই প্রমিস।নাও হ্যাপি।’

গালে হাত দিয়ে হালকা থাপ্পড় মেরে কথাগুলো বললো।ছায়ানের কথা শুনে লোকটি কেঁদে কেঁদে মাফ চাইছে তাঁর জীবন না নেওয়ায় অনুরোধ করে ভিক্ষা চাইছে।ছায়ান হিংস্র হায়েনার ন্যায় উঠে দাঁড়িয়ে পা দিয়ে গলায় খুব শক্ত করে চাপ দিতে লাগলো।ব্যথায় লোকটি একবিন্দু নড়াচড়া পর্যন্ত করতে পারছে না। নিষ্ঠুর পশু গুলো তাঁর হাত পা আটকে রেখেছে।একটু ছটফট করে এরা মরতেও দিবে না।হায় কী নিষ্ঠুর!ছায়ান সারা মুখ পায়ের বোট জুতো জোড়া দিয়ে পিষিয়ে দিচ্ছে, থেঁতলে দিচ্ছে।মি.রিপন ভয়ে ভয়ে গাড়ি থেকে বেশ কিছুটা বড় ছুরি নিয়ে এসে ছায়ানকে দিতে সেটা নিয়ে জীবিত অবস্থায় পিচ পিচ করে একেকটা অঙ্গ কাটতে লাগলো নিখুঁত ভাবে। তাকে দেখে কোনো ভয়ানক পশুর চেয়ে কম লাগছে না।লোকটি মারা গিয়েছে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে। পাপের ফসল পাপিকে ধংস করে। অন্ধকার জগত কখনো সুখের হয় না।এই তো লোকটির পাপের ফসল তাকে একাই ভোগ করতে হলো। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।

কাঁটা শেষ হলে ছায়ানের লোকরা লোকটিকে প্যাকেট করে নিলো সাথে সম্পূর্ণ জায়গা পরিস্কার করে নিয়েছে। দেখে মনে হওয়া অসম্ভব এখানে মাডার হয়েছে।ছায়ানের সম্পূর্ণ শরীরে তাজা রক্তে খুব বিদঘুটে লাগছে। হাতে সিগারেট জ্বালিয়ে টান দিতে নিবে তখন কিছু পড়ার শব্দে সেদিকে তাকালো।পাশ থেকে রিপন বলে উঠলো,

‘বস মেয়েটি আমাদের সব কাজ দেখে নিয়েছে সাথে ভিডিও!’

#চলবে,,,❣️
[লেখিকা-সুমাইয়া আক্তার মিম✵]
❌কার্টেসী ছাড়া গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ ❌
[কে সে মেয়ে যে ছায়ানের কুকর্ম দেখে নিয়েছে?কী হবে এখন মেয়েটির সাথে? সবাই গল্প সম্পর্কে দুই লাইন গঠন মূলক মন্তব্য করবেন। ধন্যবাদ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here