#আলতা_রাঙা_পা পর্ব ১৪

0
356

#আলতা_রাঙা_পা পর্ব ১৪
#রোকসানা_রাহমান

বাসায় ঢুকতে শাশুড়িমার মুখোমুখি হলাম। দূর থেকেই সন্দেহ করে বসলেন। কী হয়েছে জানতে চাইলেন। আমি তাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। মুখটা যথাসম্ভব লুকিয়ে রাখলাম। রুম পর্যন্ত এগুতে অমিতের আপুর ডাক পেলাম। পেছন ফিরলাম না। তাদের নানান প্রশ্ন থেকে মুক্তি পেতে রুমের ভেতরে ঢুকলাম হনহনিয়ে। দরজা আটকে রুদ্ধশ্বাসে বসে থাকলাম অনেক্ষণ। চিন্তা-ভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে শুধু তাদের পাশাপাশি কল্পনা করলাম। নিজের মতো অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সাজিয়ে ঘৃণার থুতু জমালাম। সারা শরীর কেঁপে উঠলে দাঁড়িয়ে পড়লাম বসা থেকে। মনে মনে উচ্চারণ করলাম, এখানে আর এক মুহূর্তও না!

নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিলাম দ্রুত। দরজার সিটকানি খুলতে অমিতের মুখদর্শন হলো। ভেতরে ঢুকল জোর খাটিয়ে। আমাকে ভেতরে রেখে দরজা লাগিয়ে দিচ্ছিল। আমি বাঁধা দিলে তিনি শুনলেন না। বাইরে উন্মুখ হয়ে থাকা সকলের উদ্দেশ্যে বললেন,
” যার যার কাজে যাও। এখানে কেউ দাঁড়াবে না। ”

তার সেই ঠাণ্ডা শাসানিকে ভয় পেল সকলেই। এক মুহূর্তও দেরি করল না। চোখের পলকে রুমের আশপাশে ছড়িয়ে পড়ল। সেই সুযোগে দরজায় সিটকানি দিলেন অমিত। আমার দিকে ফিরেই বললেন,
” এসব কী তায়্যিবাহ? ”

আমি রক্তিম চোখে তাকালাম। ভাবভঙ্গিতে উগ্রতা। নিশ্বাসে বজ্রের মতো গর্জন।

” আমাকে কিছু বলার সুযোগ তো দেবে? ”

অমিতের কণ্ঠ করুণ শুনাল। চোখে-মুখে অসহায়ত্ব। আমার মায়া হওয়ার বদলে রাগ চড়াও হলো। চোখে চোখ রেখে দৃঢ় স্বরে বললাম,
” আমি বাড়ি যাব। ”

অমিত এক মুহূর্ত চেয়ে থাকল আমার পানে। নীরব চাহনি আগুনের মতো পুড়িয়ে দিতে চাইল আমার রূঢ়ভাব। আমি সেই সুযোগ দিলাম না। বিদ্রুপ করে বললাম,
” আলতা এত পছন্দ হওয়া সত্ত্বেও বিছানায় তার দাগ মেনে নিতে পারলেন না। টি-শার্টকে টুকরো করলেন। অথচ সর্বাঙ্গে দাগ মাখিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই কলঙ্কের দাগ কী করে পরিষ্কার করবেন? চামড়া ধুয়ে নাকি টুকরো করে? খসে ফেললেও কি দাগ মিটবে? ”

অমিত নিরুত্তর। একদৃষ্টিতে চেয়ে থাকলেন আমার দিকে। আমি গুছিয়ে নেওয়া ব্যাগ বগলদাবা করতে গিয়ে থামলাম। বাসর রাতে উপহার পাওয়া কাচের বোয়ামটার দিকে তাকালাম। মুহূর্তে ঝাপসা হয়ে আসল দৃষ্টি। ঠোঁট কামড়ে নিজের দুর্বলতাকে গুপ্ত করলাম। বোয়ামের মুখ খুলে দিলাম চোখ বন্ধ করে। অমিতকে পাশ কাটিয়ে বন্ধ দরজা খুললাম। তিনি তখনও নীরবে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছেন ঝড়ো হাওয়ায় বেঁকে যাওয়া খুঁটির মতো। আমি সদর দরজা পেরিয়ে রাস্তায় পা রাখতে একটি গাড়ি এসে থামল আমার সামনে। রঙ দেখেই চিনতে পারলাম এটা অমিতের অফিসের গাড়ি। তার অফিসে যাওয়ার সময় হয়েছে তাই নিতে এসেছে। আমি গাড়িটাকে ফেলে ডানদিকে হাঁটা ধরলে অমিতের গলা পেলাম। চেঁচিয়ে বলছেন,
” রমিজ, তুমি অফিসে ফিরে যাও। আজ আমি ড্রাইভ করব। ”

তারপরেই আমার উদ্দেশ্যে বললেন,
” উঠে বসো। ”

আমি অনিচ্ছা প্রকাশ করে সামনে হেঁটে যেতে চাইলাম। তিনি তৎক্ষণাৎ সাবধান করে দিলেন,
” আমি শক্তি প্রয়োগ করলে কিন্তু পেরে উঠবে না। ”

আমি কঠিন দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে তিনি নরম হয়ে বললেন,
” বাড়িতে যাবে তো? আমি সেখানেই দিয়ে আসব। উঠো। ”

আমি আর এগুনোর সাহস পেলাম না। ভয় পেতে শুরু করলাম তাকে। চুপচাপ গাড়িতে বসলাম। তিনি ড্রাইভিং সিটে বসে রমিজকে ফিরে যাওয়ার ভাড়া দিলেন। বাতাসে শোঁ-শোঁ শব্দ তুলে ছুটে চলছেন আমাকে নিয়ে। চলতে চলতে অকস্মাৎ ব্রেক কষলেন। আমি ভাবলাম বাড়িতে চলে এসেছি। চটপটে নেমে দেখি অন্য জায়গা।

“আমার সাথে এসো। ”

অমিতের আহ্বানে আমি সাড়া দিলাম না। নিজের স্থানে স্থির থেকে চারপাশে নজর রাখছিলাম। বামপাশে একটি বড় হাসপাতালে চোখ পড়তে হাতে কারও স্পর্শ পেলাম। আমি সচকিত হয়ে মানুষটির দিকে তাকাতে দেখলাম অমিত। আমার ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে তোয়াক্কা না করে বললেন,
” চুপচাপ আমার সাথে এসো। ”

অমিত আমাকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে এগিয়ে গেলেন। কয়েক কদম এগিয়ে আমার হুঁশ এলো। মনে পড়ল, এই হাতে তিন্নিকে জড়িয়ে ছিল। খোলা কাঁধে মাথা ছুঁয়েছিল। আমি দাঁড়িয়ে পড়তে চাইলাম। তার হাতের বাঁধন থেকে মুক্ত হতে চাইলাম, পারছিলাম না। পুরুষ হাত যে এত শক্ত হয় এই প্রথম উপলব্ধি করলাম। শারীরিক ক্ষমতায় তাদের এগিয়ে থাকার কারণ অনুধাবন করতে পারলাম। শারিরীক শক্তিতে ব্যর্থ হয়ে বললাম,
” ছাড়ুন। আমি কিন্তু চিৎকার করব। ”

তিনি নিরুদ্বেগে বললেন,
” করো। ”
” মানুষ জড়ো করব। ”
” আচ্ছা। ”
” আপনাকে স্বামী হিসেবে অস্বীকার করে মার খাওয়াব। ”
” হাসপাতালেই আছি, সমস্যা কী? ভাগ্যে থাকলে চিকিৎসায় বেঁচে যাব নাহয় মরে যাব। ”

অমিত আমাকে নিয়ে সিঁড়ি কাটছেন। তার পায়ের সাথে তাল মেলাচ্ছিনা দেখে বার বার হোঁচট খাচ্ছি। একবার তো পড়েই যাচ্ছিলাম, তিনি সামলালেন। সিঁড়ি শেষ করে করিডোর পার হচ্ছেন। আমি দাঁত চেপে বললাম,
” আপনি বলেছিলেন, আমাকে বাড়িতে দিয়ে আসবেন। তাহলে এখানে কেন? ”

অমিত উত্তর দেওয়ার বদলে হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিলেন। একটা রুমে ঢুকে বললেন,
” তোমাকে সত্যের সামনে দাঁড় করানোর জন্য। ”

আমি ভ্রু কুঁচকে নিলে তিনি আবার বললেন,
” চোখের দেখায়ও যে ভুল থাকতে পারে সেটা প্রমাণ করার জন্য। এই মুহূর্তে আমাকে তোমার বিশ্বাস হবে না। তিন্নিকেও না। তাই আসল অপরাধীর সামনে এনে দাঁড় করেছি। আশা করছি, তাকে বিশ্বাস হবে। ”
” অপরাধী? ”

আমার কণ্ঠে কিঞ্চিৎ বিস্ময়। অমিত চোখের ইশারায় পাশে তাকাতে বললেন। আমি তাকিয়েই আশ্চর্য হলাম। অমিতের বয়সী একটি ছেলে শুয়ে আছে। মাথায় ব্যান্ডেজ। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিহ্ন। হাতে সুই লাগানো। অমিত হেঁটে গিয়ে ছেলেটির পাশে দাঁড়ালেন। গালে থাপ্পড় মেরে ডাকলেন,
” রিংকু? ”

ছেলেটি চোখ মেলেই কেঁপে উঠল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল চোখে-মুখে। সুইবিদ্ধ হাত তুলে ক্ষমার ভাব ধরলে তিনি বললেন,
” তিন্নির সাথে ঘটানো প্রত্যেকটা ঘটনা বিস্তারিত এনাকে শোনা। ”

অমিতের কণ্ঠে স্পষ্ট শাসানি। রিংকু আমার দিকে তাকাল ভীত দৃষ্টিতে। তন্মধ্যে অমিত ধমকে উঠলেন,
” একটু কিছু যেন বাদ না পড়ে। একদম শুরু থেকে বলবি। ”

রিংকু গল্প বলার মতো করে জবানবন্দি শুরু করল। সেই জবানবন্দি থেকেই জানতে পারলাম রিংকু অমিতের কলেজ বন্ধু। কলেজে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই অমিতের বাসায় ঢুকা হতো। এদিকে তিন্নিও ছুটি পেলে চাচার বাসায় বেড়াতে যেত। সময়ে সময়ে দুজনের দেখা হতো। সেখান থেকেই নাকি তিন্নিকে ভালো লাগে। কিন্তু অমিতের ভয়ে কখনও প্রকাশ করতে পারেনি। তারও বছর কয়েক পর তিন্নির কাছ থেকে একটি চিঠি পায়। সেই চিঠিতে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় তিন্নি। ততদিনে আবার রিংকু প্রেম করছে অন্য কারও সাথে। এদিকে তিন্নিকে কাছে পাওয়ার একটা লোভ জন্ম নিয়েছিল। তাই মিথ্যে বলে সেও তাকে ভালোবাসে। তাদের প্রেম শুরু হয়। ফোনে কথা, মুঠো বার্তা, বাইরে দেখা করা সবই চলছিল লুকিয়ে। তিন্নিকে বার বার সাবধান করে দিয়েছিল অমিত যেন না জানে। তবুও সে জেনে গেল। কী করে যেন তিন্নির দেওয়া সে প্রেমপত্র তার হাতে চলে গেল। বন্ধু হওয়ার সুবাদে রিংকুর অন্য গার্লফ্রেন্ডের কথা অমিত জানত। তাই সে খুব ক্ষেপে যায়। তর্কাতর্কি থেকে মারামারি পর্যায়ে পৌঁছায়। তিন্নির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করতে বলে। রিংকু প্রথমে ভয় পেয়ে যোগাযোগ বন্ধ করতে চেয়েছিল কিন্তু তিন্নির পাগলামির জন্য পারছিল না। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মনের স্বাদ পূরণ করতে চেয়েছিল রিংকু। সে জানত অমিতের থেকে লুকিয়ে বেশিদিন যোগাযোগ রাখতে পারবে না। আবার তিন্নিকে কাছে পেয়েও ভোগ না করে ছাড়তে পারছিল না। তাই একটা নোংরা পরিকল্পনা করে। সে কল্পনা প্রকাশ করার আগেই রিংকুর অন্য প্রেমিকার ছবি পায় তিন্নি। আবার অন্য প্রেমিকাও তিন্নির কথা জেনে ফেলে সম্পর্ক শেষ করে দেয়। সেসময় তিন্নি অস্বীকার করলেও রিংকু বুঝে গিয়েছিল এটা অমিতের কাজ। তার খুব রাগ হলো। মনের ভেতর জেদ চেপে বসল। এই মেয়েকে সে বিছানায় আনবেই। আর এটাই হবে অমিতের হার। সে চিন্তাই বেশ কয়েকদিন যোগাযোগ বন্ধ রাখে রিংকু। এসময় অমিতের বিয়ের খবরও পায়। রিংকু ভেবেছিল অমিত সংসারে পুরোপুরি মনোযোগী হয়ে পড়লে তিন্নির সাথে সরাসরি দেখা করবে। হাত জোর করে ক্ষমা চাইবে, কান্নাকাটি করবে। তিন্নি গলতে শুরু করলেই মোক্ষম চাল চালবে। রিংকু তাই করেছিল। তার ভাবনাকে সত্যি করে তিন্নি ক্ষমাও করে দিয়েছিল। শর্ত দিয়েছিল, তাকে বিয়ে করতে হবে। রিংকু শর্ত মেনে নেয়। তবে অমিতকে এ ব্যাপারে এখনই জানাতে নিষেধ করে। বলেছিল, বিয়ের পর তাকেসহ দুজনের পরিবারকেই জানাবে। বোকা তিন্নি সব বিশ্বাস করে নিয়েছিল। রিংকুর কথামতো লুকিয়ে বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। কাজী অফিসের পরিবর্তে যখন একটি হোটেলে এসে উঠে তখনই তিন্নির সন্দেহ হয়। টনক পড়ে। অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ টের পায়। সে তৎক্ষনাৎ অমিতকে ফোন করে সবটা জানায়। প্রথমে রিংকু জানতে না পারলেও পর মুহূর্তে বুঝে যায়। তিন্নির সাথে খারাপ ব্যবহার করে। মারধোর করে। এক পর্যায়ে ধর্ষণের মতো পাপ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। তিন্নির ভাগ্য ভালো যে অমিত ঠিক সময়ে পৌঁছে তাকে বাঁচিয়ে নেয়।

” তোমার ক্যাম্পাসে তিন্নির সাথে দেখা হওয়ার পরই আমার সন্দেহ হয়েছিল। তাই বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামে ওর সাথে আলাদা কথা বলি। তোমার সামনেই কথা বলতে পারতাম কিন্তু বলিনি। কারণ, আমি চাইনি, তুমি আরও একটি খারাপ পুরুষকে দেখ। আর আমার থেকে দূরত্ব বাড়াও। ঠিক একই কারণে তিন্নিও তার সমস্যার কথা তোমার সাথে শেয়ার করতে পারেনি। ”

অমিত আমার কাছাকাছি এসে দাঁড়ালেন। বললেন,
” যে আমি সামান্য দাগ সহ্য করতে পারি না সে আমি চরিত্রে দাগ নিয়ে বেঁচে থাকব এটা ভাবলে কী করে, তায়্যিবাহ? তিন্নিকে আমি ছোটবোনের মতো স্নেহ করি। ”

আমার মাথা ঝুকে এলো। তখনই মনে পড়ল গত কয়েকদিনে অমিতের ব্যবহারের কথা। আমি চোখ তুলে জিজ্ঞেস করলাম,
” তাহলে এ কয়দিন আমাকে এড়িয়ে চলেছেন কেন? ”
” লজ্জায়। ”
” কিসের লজ্জা? ”
” আমি কথার খেলাফ করে ফেলেছি। ”
” কোন কথা? ”
” তোমার অনুমতি ছাড়াই তোমাকে স্পর্শ করেছি। আলতা পরাতে গিয়ে তোমার পায়ে চুমু খেয়েছি। কিভাবে যে ভুলটা হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। আমার সাথে স্বাভাবিক ব্যবহার করছিলে যে তার প্রভাব পড়েছিল। হয়তো তুমি জানতে পারনি, কিন্তু আমি তো জানি। আর জানি বলেই এই অন্যায়টা মানতে পারছিলাম না। আমি বার বার তোমার কাছে দোষ স্বীকার করতে চেয়েছি, পারিনি। ভয় পেয়েছি যদি ভুল বুঝো? দূরে সরে যাও? আমাকেও তোমার চেনা পুরুষদলের মধ্যে ফেল? আবার না বলেও থাকতে পারছিলাম না। ভুলতে পারছিলাম না, তাই নিজেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখতে চাচ্ছিলাম। যাতে এক ভুল বার বার না করি। ”

আমি কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। নির্বোধের মতো তাকিয়ে থাকলে তিনি বললেন,
” চলো। ”

আমি বাধ্য মেয়ের মতো তার পেছন পেছন হেঁটে চললাম। গাড়িতে বসলাম। ইঞ্জিন চালু করতে উদাস হয়ে পড়লাম। সেই উদাসভাব কাটল অমিতের গলায়,
” তোমার বাড়ি চলে এসেছি। নামো। ”

আমি অবাক হয়ে আমার বাড়ির দিকে তাকিয়ে থাকলাম। কিছু একটা বলার জন্য ঠোঁট কেঁপে উঠতে তিনি বললেন,
” আমি একবারের জন্যও বলিনি, আমাকে ভালোবাসো। বার বার বলেছি, আমাকে বিশ্বাস করো। আর সেই বিশ্বাসটুকু জন্ম দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। নিজের উপর আস্থা ছিল বলে ভেঙে পড়িনি কখনও। হতাশ হয়নি। থমকে যাইনি। কিন্তু আজ আমি ভেঙে পড়েছি। আস্থা হারিয়েছি। মন থেকে মেনে নিচ্ছি আমি ব্যর্থ। তায়্যিবাহ, আমাকে হারিয়ে দিয়ে তুমি জিতে গেছ। স্ত্রীর জিতে স্বামীর খুশি হওয়া উচিত, তাই না? কিন্তু আমি পারছি না। আমি এখানেও ব্যর্থ। ”

অমিত আমাকে রেখে গাড়িতে উঠে বসলেন। চলে যাওয়ার আগে বললেন,
” পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও। ভালো থেকো। ”

চলবে

[] রমজান উপলক্ষে আমার লিখিত দ্বিতীয় বই ‘বউ সোহাগি’ পাওয়া যাবে মাত্র ২০০ টাকায় []

বিস্তারিত: https://www.facebook.com/102175672032505/posts/300117108905026/?app=fbl

বর্ণলিপিতে নক করলে ওনারা অর্ডার প্রসেস বলে দেবেন।

পেজ লিংক,

https://www.facebook.com/bornolipi.prokashoni/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here