#অন্যরকম_নেশা পর্ব ৬
#ঊর্মি_আক্তার_ঊষা
সারাদিন আর তানভীর স্যার এর সাথে দেখা করিনি আমি। অফিস ছুটির পর বাসায় এসে ডিনার করে মাম আর শাম্মির সাথে গল্প করছি।
মাম : তোর অফিসে কোনো সমস্যা হয় না তো মা?
আমি : না মাম আমার কোনো সমস্যা হয় না।
মাম : তোর স্যারটা খুব ভালো। সেদিন যদি উনি টাকা গুলো না দিতেন তাহলে শাম্মির অপারেশনটাই করাতে পারতাম না।
আমি : হ্যাঁ মাম। তোর পড়াশুনা কেমন হচ্ছে বোন?
শাম্মি : ভালোই আপু।
অন্যদিকে তানভীর…..
মিস ঊর্মি যতই পালাই পালাই করো আমার থেকে তোমার নিস্তার নেই আর এখন তো মিসেস তানভীর আহমেদ।
পরের দিন অফিসে……….
আজ অফিসে এসে উর্মি একবারও তানভীর এর কেবিনে যায়নি। ঊর্মি বসে ম্পিউটারে কাজ করছিল এমন সময়……
তানভীর : ঊর্মি?
ঊর্মি তানভীর কে দেখেও না দেখার ভান করে কম্পিউটার এর দিকে তাকিয়ে আছে।
তানভীর : কেবিনে আসো কথা আছে।
ঊর্মি দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে আছে।
তানভীর : ঊর্মি?
ঊর্মি : (চুপ)
এবার তানভীর এর মাথায় রক্ত উঠে যায়। এমন সময় তানভীর ঊর্মির হাত ধরে ঊর্মিকে টানতে টানতে নিজের কেবিনে নিয়ে যায়। অফিসের সবাই তো অবাক।
আমি : করছেন টা কি আপনি?
তানভীর : (চুপ)
আমি : ছাড়ুন আমার হাত।
তানভীর : (চুপ)
আমি : আমাকে এভাবে নিয়ে আসার মানে কি?
তানভীর : মানে একটু পর এই দেখতে পাবে (মনে মনে)
আমি : ছাড়ুন আমাকে নয়তো আমি চিল্লাবো।
তানভীর : একদম চুপ (ধমক দিয়ে)
আমি : কেন চুপ করবো?
তানভীর : আমি বলেছি তাই। সাহস দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে তাই না। কাল থেকে দেখছি কোনো কথা নেই দেখা নেই।
আমি : আপনার যখন ইচ্ছা আমার সাথে যা তা ব্যবহার করতে পারবেন না।
আরো কিছু বলতে যাবে এমন সময় তানভীর ঊর্মির ঠোঁটের উপর নিজের ঠোঁটের ছোঁয়া বসিয়ে দিল। ঊর্মি চোখ বড় বড় করে তানভীরকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তার বুকে কিল ঘুসি বসিয়ে দিচ্ছে। বেশ কিছুক্ষণ পর তানভীর নিজের ঠোঁট দুটো সরিয়ে নিয়ে।
তানভীর : আমি কি করতে পারি তা তোমার ধারনার বাইরে ভালোই হলো তোমার এই হাঁসের মতো প্যাক প্যাক এর কারনে তোমার মিষ্টি ঠোঁটের পরশ পেলাম (চোখ টিপ দিয়ে)
আমি : আপনার মতো বদমাশ লোক আমি জীবনে দেখি নি। ছিঃ আপনি এতো নিচে নামতে পারেন Assistant এর সাথে….
তানভীর : একদম চুপ।
আমি : চুপ না করলে কি করবেন আপনি?
তানভীর : কি করতে পারি তা তোমার ধারনার বাইরে।
আমি : যা দেখার আর যা ভাবার সব এই দেখে নিয়েছি।
তানভীর : তাই (এগিয়ে আসতে আসতে)
আমি : এ….এভাবে এগুচ্ছেন কেনো?
ঊর্মি দৌঁড়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে যেতে নিলে তানভীর তাড়াতাড়ি ঊর্মিকে পাজোকোলে তুলে নিল।
আমি : করছেন টা কি আপনি? নামান আমাকে। কেউ এসে পড়লে খারাপ ভাব্বে।
তানভীর : তো কি হয়েছে? আমার বউ কে আমি কোলে নিতে পারি না?
আমি: বউ মানে?
তানভীর : এই মেয়ে তুমি কি সব ভুলে গেছো? এক সপ্তাহ আগেই তো আমাদের বিয়ে হয়েছে।
আমি : আপনি কি সেটাকেই সিরিয়াস ভেবে নিয়ছেন স্যার? দেখুন স্যার আমি আপনার যোগ্য না আর আপনার আর আমার স্ট্যাটাস ও মিলে না তাই আমি এই বিষয়ে কথা বলতে চাই না। (বলেই বেরিয়ে গেলাম কেবিন থেকে)
তানভীর : ঊর্মি…..
নিজের কেবিনে বসে আছি এমন সময় মাম কল করেছে।
আমি : হ্যাঁ মাম বলো।
মাম : এক্ষুনি ছুটি নিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় আসতে পারবি?
আমি : কেনো মাম কিছু কি হয়েছে?
মাম : তুই আয় তো আগে বাসায়।
আমি : আচ্ছা আমি আসছি।
অফিস থেকে ছুটি নিয়ে তাড়াতাড়ি বাসায় এসে দেখি বাসায় ক’জন মেহমান সাথে আমার কলেজ লাইফের পুরোনো বন্ধু সুজন। মাম এর কাছে যেতেই…..
মাম : এসে পড়েছিস মা? যা তৈরি হয়ে নে তোকে সুজন এর পরিবার থেকে দেখতে এসেছে।
আমি : মাম আমি এখন বি…..
মাম : প্লিজ এখন বারন করিস না মা।
বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যে শাম্মি আমাকে একটা মেরুন রঙের শাড়ি পড়িয়ে তৈরি করে সবার সামনে আনলো। সবাইকে দেখে বুঝাই যাচ্ছে ওদের আমাকে পছন্দ হয়েছে।সুজন চুপচাপ সোফায় বসে আছে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলো আংটি পড়িয়ে যাবে। আংটি পড়ানোর আগ মুহূর্তে তানভীর এসে হাজির।
তানভীর : অন্যের বউকে আংটি পড়ানোর দায়ে কি আপনারা জেল খাটতে চাইছে?
মুহূর্তের মধ্যে সবার হাসি মুখ মলিন হয়ে গেছে।
মাম : কি বলতে চাইছেন? কে আপনি?
তানভীর : আমি আপনার বড় মেয়ের জামাই শাশুড়ী মা।
মাম : ঊর্মি উনি যা বলছেন তা কি সত্যি?
আমি : (চুপ)
মাম : কি হলো বলছিস না কেনো?
চলবে?…….
ফোন আপাতত হাতে নেই তাই গল্পের পার্ট গুলো দিতে দেরি হয়ে যাচ্ছে🥺🥺 keep supporting🙂