আলো_আধারের_খেলা পর্ব_০৬

0
474

আলো_আধারের_খেলা
পর্ব_০৬
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ

রুয়েল মনে মনে ভাবতে লাগলো জান্নাত কে তো আর কাছ থেকে দেখতে পারবো না অন্তত তার গ্রামে গিয়ে মনটাকে একটু শান্ত্বনা দেই।জান্নাতের জন্য রুয়েল এতোটাই পাগল হয়ে গেছে যে তার মন সবসময় এখন শুধু জান্নাতের কথাই ভাবছে।
দিনরাত বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডা দেওয়া রুয়েল আজ না দেখা সেই মায়াবী রাজকন্যার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।রুয়েল নিজের জন্য সবসময় সেরা জিনিস টা ইউজ করে।সেজন্য জান্নাতকে দেখার পর থেকে তার মনে হয়েছে,এইরকম মেয়েই তার দরকার।যাকে কোনো পুরুষমানুষ দর্শন পর্যন্ত করে নি।তার বউ হবে সবার থেকে আলাদা।যাকে শুধু সেই দেখবে।সেজন্য তার ভাই আর ভাবী জান্নাতকে পছন্দ না করলেও সে ভীষণ ভাবে আকৃষ্ট হয়েছে তার প্রতি।
অথচ রুয়েল জানেই না জান্নাত আসলে দেখতে কেমন!রুয়েল আসলে জান্নাতের আচার আচরণ আর চরিত্র দেখে বিয়ে করতে চাচ্ছে।যাতে সে বিদেশ চলে গেলেও জান্নাত শুধু তাকেই ভালোবাসে।রুয়েলের ভাই রুবেল ঊর্মিকে রেখে বিদেশ চলে গেলে সে পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে।ঊর্মি তখন ছোট ছিলো আর সে তাদের ফুপাতো বোন বলে সবাই তাকে মাফ করে দিয়েছে।
সেজন্য রুয়েল চায় না তার বউ ঊর্মির মতো এমন চরিত্রহীন হয়ে যাক।সে জান্নাতের মতো এমন নেককার স্ত্রীই চাই।
রুয়েল ঠিক করলো এবার একা একাই যাবে গ্রামে।ওর বন্ধুদের নিয়ে যাবে না।কারণ ওরা গ্রামে গেলে ভীষণ দুষ্টামি করে।গ্রামের মেয়েদের সাথে নিজের থেকে কথা বলতে চায়।কিন্তু গ্রামের মেয়েরা কথা বলা তো দূরের কথা তাদের দেখলেই দূরে সরে যায়।রুয়েল বার বার তার ফ্রেন্ডদের বোঝায় শহরের মেয়েদের থেকে গ্রামের মেয়েরা সম্পূর্ণ আলাদা।তবুও তার ফ্রেন্ডরা কথা শোনে না।

রুয়েল রেডি হতেই হিয়া আর হৃদয় দৌঁড়ে এলো রুয়েলের কাছে আর জিজ্ঞেস করলো, চাচ্চু তুমি কই যাচ্ছো?
রুয়েল তখন হিয়া আর হৃদয় কে কোলের মধ্যে নিয়ে বললো,তোমার চাচীকে দেখতে যাচ্ছি?
হিয়া সেই কথা শুনে ভীষণ আশ্চর্য হলো আর কৌতুহল বশত জিজ্ঞেস করলো,চাচ্চু তুমি আবার কোনদিন বিয়ে করলে?
রুয়েল তখন হাসতে হাসতে বললো, এমনিতেই মজা করলাম আম্মু।আমি বিয়ে করলে তোমরা জানতে না?হৃদয় তখন বললো, তাহলে তুমি কই যাচ্ছো সেটা তো বলো।
–গ্রামে যাচ্ছি।
গ্রামের কথা শোনামাত্র হিয়া আর হৃদয় ঠিক করলো তারাও যাবে গ্রামে।কারণ তাদের গ্রাম খুবই ভালো লাগে।কিন্তু রুবেল আর ঊর্মি যেতে দেয় না গ্রামে।তাদের মতে গ্রামে গেলে নাকি ছেলেমেয়েরা নষ্ট হয়ে যাবে।অথচ তারা একসময় সবাই গ্রামেই ছিলো।শহরে যাওয়ার পর থেকে রুবেল আর ঊর্মি গ্রামকে প্রায় ভুলেই গেছে।তাদের মনের মধ্যে অহংকার জন্ম নিয়েছে।

হিয়া তখন বললো, চাচ্চু,আমাদের কে একটু গ্রামে নিয়া যাবে?আব্বু আর আম্মুকে কত করে বলি কিন্তু ওনারা কেউ নিয়ে যায় না।
হৃদয় ও জিদ ধরে বসলো সেও গ্রামে যাবে।রুয়েল তখন হিয়া আর হৃদয় কে কোলের মধ্যে নিয়ে বললো,ঠিক আছে নিয়ে যাবো।যাও তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে এসো।

হিয়া আর হৃদয় রুয়েলের কথা শোনামাত্র খুশিতে লাফ দিয়ে উঠলো।সেজন্য তারা তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে আসলো।এদিকে সবাইকে গ্রামে যাওয়া দেখে রুবেল আর ঊর্মি ঠিক করলো তারাও যাবে গ্রামে।রুয়েল যখন নিজের থেকেই গ্রামে যেতে চাচ্ছে তখন এই সুযোগ টা তাদের কাজে লাগানো উচিত।জান্নাতের সাথে রুয়েলের বিয়ে টা তারা সারপ্রাইজ হিসেবে রাখতে চাইলো।রুবেল আর ঊর্মি চাচ্ছে যে করেই হোক রুয়েল তাদের উপর থেকে যেনো তার রাগটা কমিয়ে নেয় এবং আবার আগের মতো তাদের বিশ্বাস করতে শেখে।

——— ——— ——— ——— ——— ——— ———

জান্নাত আর তার দাদী একসাথে বসে আসরের নামায পড়ছে।তাদের বাড়িতে শুধুমাত্র জান্নাত আর তার দাদী নামায পড়ে।জান্নাতের আম্মু এক ওয়াক্ত পড়লে আর পরের ওয়াক্ত পড়ে না।তিনি কাজের অজুহাত দেখিয়ে চলে যায়।জান্নাত এজন্য তার আম্মুকে অনেক বোঝায়।তখন জান্নাতের আম্মু এক গাদা কথা শুনিয়ে দেয়,বসে বসে সারাদিন খাও তো কেমনে বুঝবা আমার কষ্ট।সারাদিন কাজ কাম করেই তো কূল পাই না।কখন এসব নামায কালাম পড়ি?যেটুকু পড়ি এতেই আল্লাহ কবুল করে নেবে।জান্নাত তখন বলে আম্মু আগে নামায পড়তে হবে,তারপর সংসারের কাজ। সেই কথা শুনে জান্নাতের আম্মু বলে,সংসার হোক আগে, তারপর বুঝবা কেমনে দিন যায়।তিনবেলা ভাত তরকারি রান্না করতে করতেই সময় শেষ হয়ে যাবে।তখন মনে হবে আমার কথা।অন্যদিকে জান্নাতের আব্বু শুধু শুক্রবারের জুম্মার নামায টা পড়ে।আর কোনো ওয়াক্তের নামাযই পড়ে না।জান্নাত তার বাবাকে যদি নামাযের কথা বলে তখন তিনিও উলটো বকাঝকা করেন।বলে সারাদিন দোকানে থাকি। কখন নামায পড়তে যাই?

জান্নাত ছোটো থেকে তার দাদী আর দাদুর সাথে থাকে।সেজন্য সে তাদের মতো হয়েছে।জান্নাতের দাদু আবার খুবই আল্লাহ ভক্ত লোক ছিলেন।তিনি এক ওয়াক্ত নামাযও কাযা করতেন না।জান্নাতের দাদু বুড়ো বয়সেও গাদা গাদা ইসলামিক বই কিনতেন আর সেগুলো পড়তেন।জান্নাত সময় পেলেই তার পাঠ্যবই এর পাশাপাশি এই ইসলামিক বই গুলো পড়তো।যার কারনে জান্নাত এতো বেশি আল্লাহভক্ত আর পর্দাশীল হয়েছে।সে যখন বুঝতে পারলো একটা মেয়ে মানুষের সৌন্দর্য তার স্বামী ব্যতীত অন্য কোনো পুরুষ মানুষ কে দেখানো যাবে না।আর দেখালে মাটির তলে গিয়ে এরজন্য অনেক বড় শাস্তি ভোগ করতে হবে তখন থেকেই জান্নাত এভাবে নিজেকে আড়াল করে রাখে।এ জন্য তাকে অনেক বেশি অপমানও সহ্য করতে হয়।

রাস্তা দিয়ে হাঁটলে গ্রামের কিছু ছেলে তাকে নিয়ে হাসি মস্করা করে।আবার কিছু কিছু মেয়েরা তো হিংসার ঠেলায় বলে,এখন কাজ কাম নাই,তাই সারাক্ষন ঘোমটা দিয়ে থাকতে পারে।কিন্তু যখন বিয়ে হবে তখন কি করবে?ধান সিদ্ধ আর শুকানোর সময় কি করবে?তখনও কি এভাবে থাকতে পারবে?আর কেউ কেউ তো বলে বিয়ের পর আর এই ন্যাকামি থাকবো না।কাজ কাম করার সময় যখন গরম লাগবে তখন এইসব বোরকা ছুঁড়ে ফেলে দিবে।জান্নাত কাউকে কিছু বলে না।সে শুধু মনে মনে আল্লাহ কে বলে,আল্লাহ আমার সহ্য ক্ষমতা বাড়িয়ে দাও।আর আমি যেনো সারাজীবন এভাবেই পর্দার সহিত চলতে পারি সেই তৌফিক দান করো আমাকে।

জান্নাত যখন ক্লাস সিক্সে উঠলো তখন স্কুলে স্কুল ড্রেস ছাড়া তাকে ঢুকতে দিতো না।স্যার ম্যাডাম রা নানাভাবে তাকে বকুনি দিতো।
তখন জান্নাত বাধ্য হয়ে স্কুল ড্রেসের কাপড় দিয়েই বোরকা হিজাব আর নিকাব বানিয়ে নিয়েছে।প্রথম প্রথম তার ক্লাসের ছেলে মেয়েরা এ জন্য ভীষণ হাসাহাসি করতো।কিন্তু জান্নাত কারো কথায় কান দিতো না।সে তার নিজের মতো করে চলাচল করতো।টিফিন পিরিয়ডে মেয়েদের কমন রুমে বসেই যোহরের নামায আদায় করতো।এইভাবে জান্নাত তার ক্লাস সিক্স লেভেল শেষ করলো।কিন্তু যখন জান্নাত সবাইকে চমকে দিয়ে ক্লাস সেভেনে তিন রোল করলো তখন সবাই অনেক বেশি অবাক হলো।ধীরে ধীরে স্যার ম্যাডামরাও তাকে ভালোবাসতে শুরু করলো।জান্নাতের দুই তিনজন বান্ধুবীও হলো।কারন সবাই বুঝে গেলো জান্নাত শুধু পর্দাশীল মেয়েই নয়,তার আচার আচরণ ভালো হওয়ার পাশাপাশি সে একজন মেধাবী স্টুডেন্ট ও।জান্নাতের দেখাদেখি তার বান্ধুবীরাও বোরকা পড়ে আসতে লাগলো ক্লাসে।তারাও টিফিন পিরিয়ডে জান্নাতের সাথে নামায পড়া শুরু করে দিলো।আস্তে আস্তে ক্লাসের সকল মেয়ে জান্নাতকে ভালোবাসতে লাগলো।শুধু ক্লাসের এক আর দুই রোল ছাড়া।তারা জান্নাতকে হিংসা করতে লাগলো।কারন তারা এক আর দুই রোল করেও জান্নাতের মতো এতো ভালোবাসা পায় না।এইভাবে জান্নাত ক্লাস সেভেন লেভেল শেষ করলো।

তবে জান্নাত মনে মনে ঠিক করলো সে আরো ভালো করে পড়াশোনা করবে। আর একদিন না একদিন সে এক রোল করবেই।ক্লাস এইটে অনেক ভালো পরীক্ষা দিয়েও জান্নাতের রোল তিনই থেকে গেলো।এতে জান্নাতের ভীষণ মন খারাপ হলো।তবুও সে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলো।শেষমেশ ক্লাস নাইনে এসে জান্নাত এক রোল করতে পারলো।এক রোল করার ফলে জান্নাতের দিকে সকল স্যার ম্যাডাম দের নজর পড়লো।সবাই এক নামে জান্নাতকে চিনলো।আর জান্নাতকে পিছন ফিরে তাকাতে হয় নি।ক্লাসের সকল মেয়েই এখন জান্নাত জান্নাত করে পাগল।জান্নাত যখন দেখলো সবাই তাকে ভালোবাসছে আর তার কথাই শুনছে তখন সকল স্টুডেন্ট দের সাহায্য নিয়ে জান্নাত স্যারদের রিকুয়েষ্ট করলো যাতে মেয়েদের নামায পড়ার জন্য আলাদা একটা নামাযের ঘর তৈরি করে।স্যার ম্যাডামরা জান্নাতের কথা ফেলতে পারলো না।তারা মেয়েদের জন্য আলাদা একটা নামাযের ঘর তৈরি করে দিলো।জান্নাত ক্লাস টেনেও এক রোল করেছিলো।এইভাবে পর্দার সহিত জান্নাত তার হাইস্কুল লেভেল শেষ করে।সে এখন এস,এস,সি পরীক্ষা দিয়ে বসে আছে।আর সেজন্যই তার বাবা মা বিয়ে দেওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গেছে।তারা গ্রামের বাকি মেয়েদের মতো জান্নাতকেও তাড়াতাড়ি করে বিদায় করতে চায়।তারা ভাবে আর কিছুদিন পরে জান্নাতের বয়স বেশি হয়ে যাবে তখন আর কেউ তাকে বিয়ে করবে না।কিন্তু জান্নাতের বাবা মা বুঝতেই পারছে না জান্নাত অনেক বেশি মেধাবী স্টুডেন্ট।তাকে আরো ভালোভাবে গাইড করলে সে ভালো কিছু করতে পারে।জান্নাতের বাবা মা যাকেই টাকাওয়ালা দেখে তার সাথেই তার বিয়ে ঠিক করতে ধরে।তারা বুঝতেই পারছে না জান্নাতের জন্য এমন এক ছেলে দরকার যে তার মতোই আল্লাহ ভক্ত আর নামাযী হবে।তবে জান্নাতের দাদী এ দিক দিয়ে খুব সচেতন। তিনি যেমন তেমন ছেলের সাথে জান্নাতের বিয়ে কিছুতেই দিতে রাজি নন।তিনি ভালো করে যাচাই করে তবেই জান্নাতের বিয়ে দেবেন।
রুয়েলকে জান্নাতের দাদী সেই ছোটো বেলা থেকেই দেখে আসছে।রুয়েলের আচার আচরণ কথাবার্তা খুবই ভালো লাগে তার।তিনি মনে করেন রুয়েলের সাথে বিয়ে হলে জান্নাত অনেক বেশি হ্যাপি হবে।কারণ তার বিশ্বাস রুয়েল জান্নাতকে অনেক বেশি ভালোবাসবে আর সুখে রাখার চেষ্টা করবে।কারণ রুয়েল বড়দের কে খুব বেশি সম্মান আর শ্রদ্ধা করে।আর ছোটোদের কে খুবই আদর করে।কিন্তু রুয়েলের ভাই আর ভাবী কে ভালো মনে হয় না তার।বিশেষ করে ঊর্মির আচার আচরণ চলাফেরা মোটেও ভালো নয়।এটা ভেবে জান্নাতের দাদী আবার চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছিলেন।তিনি তখন নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করতে লাগলেন এই বিয়ে টা দেওয়া কি ঠিক হবে?পরে আবার ভাবলেন যে যেমন সে তেমন ভাবে থাকবে।এমনও তো হতে পারে জান্নাতের দেখাদেখি ঊর্মি নিজেকে ঠিক করে নিলো।

তবে রুয়েলের মা ভীষণ ভালো একজন মানুষ। তিনিও নামায কালাম পড়েন।একসময় তার সাথে খুব ভাব ছিলো জান্নাতের দাদীর।কিন্তু শহরে চলে যাওয়ার পর থেকে আর দেখা হই নি তার সাথে।
অন্যদিকে রুয়েল যখন তার মাকে জান্নাতের কথা বলেছিলো,রুয়েলের মা জান্নাতের পরিচয় শোনামাত্র সাথে সাথে হ্যাঁ করে দেয়।কারণ তিনিও জান্নাতের দাদী আর দাদু সম্পর্কে ভালো করেই জানেন।রুয়েল সেজন্যই আরো বেশি আগ্রহী হয় জান্নাতের প্রতি।কারণ রুয়েল তার মাকে অসম্ভব ভালোবাসে।সে জানে তার মা সবসময় তার ভালোই চায়।আর এবার রুয়েল দেশে এসেছে শুধুমাত্র তার মায়ের জন্যই।তার মা তাকে এজন্যই দেশে আসতে বলেছে,যাতে রুয়েল এবার বিয়েটা করে।বয়স তো অনেক হলো।কিন্তু রুবেল আর ঊর্মি রাজি ছিলো না।তাদের ইচ্ছা ছিলো রুয়েল আরো কিছু বছর পর বিয়েটা করলে ভালো হতো।

আসরের নামায পড়া শেষ করে জান্নাত আর তার দাদী শুয়ে থেকে গল্প করছে।আর তখনি জাহান এসে খবর দিলো রুয়েলের পুরো পরিবার তাদের বাড়ির দিকেই আসছে।জাহান বাড়ির বাহিরে আম পারছিলো, সে সবাইকে দেখামাত্র তাড়াতাড়ি করে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে।
জান্নাতের দাদী রুয়েলদের কথা শুনে ভীষণ অবাক হয়ে গেলেন।কারণ ওদের তো আজকে আসার কথা ছিলো না।জহির তো ওদের আসার ব্যাপারে কিছুই বলে নি।তাহলে হঠাৎ আজকেই কেনো এসেছে সবাই?

#চলবে,
গল্পটা কেমন লাগছে সবার?যদি একটু ভালো লেগে থাকে তাহলে লাইক কমেন্ট করে তো আমাকে উৎসাহ দেওয়া যায়,যাতে করে গল্পটা আরো ভালোভাবে সাজাতে পারি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here