রৌদ্রর_শহরে_রুদ্রাণী #পর্বঃ৫৫

0
669

#রৌদ্রর_শহরে_রুদ্রাণী
#পর্বঃ৫৫
#Saiyara_Hossain_Kayanat

“তুমি চিন্তা করো না আমি আছি তো। আমি থাকতে তোমার বিয়ে অন্য কারও সাথে হতে দিবো না। আমি আজকেই বাসায় তোমার কথা বলবো। তুমি নিশ্চিন্তে…”

নীল আর পুরো কথা শেষ করতে পারলো না। তার আগেই আরশি রেগেমেগে নীলের পিঠে সজোরে এক থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। হঠাৎ আরশির থাপ্পড়ের চোটে নীল তাল সামলাতে না পেরে সামনের দিকে পরে যেতে নিয়েও কৃষ্ণচূড়া গাছের সাহায্যে বেঁচে যায়। ফোনটা হাত থেকে ছিটকে গিয়ে কিছুটা দূরে পরলো। নীল এক হাত পিঠে দিয়ে ঠোঁট কামড়ে চাপা আর্তনাদ করে উঠে। চোখে ভয়ংকর কৌতূহল নিয়ে পেছন ফিরে তাকায়। আরশি লাল রঙের কুর্তি আর কালো ওড়না গাঁয়ে জড়িয়ে চোখমুখ শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে। দু চোখে দিয়ে যেন অগ্নিগিরির জ্বলন্ত লাভা বের হচ্ছে। চাহনি দিয়েই নীলকে ঝলসে দেওয়ার মতো রাগ দেখা যাচ্ছে আরশির চোখে। নীলের ভ্রু জোড়া খানিকটা কুচকে এলো। ফোনটা তুলে নিয়ে পকেটে রেখে আরশির দিকে এগিয়ে আসলো। চাপা কন্ঠে জিজ্ঞেস করল-

“এটা কি হলো আশু? আমাকে মারলি কেন? তা-ও আবার এতো জোরে!! আমার পিঠ আগুনের মতো জ্বলছে। এতো শক্তি কই থেকে আসলো তোর মতো চিকনীর শরীরে!”

নীলের কথায় আরশির রাগ যেন আকাশ ছুঁই ছুঁই অবস্থা। প্রচন্ড রাগে যেন মুখ দিয়ে কথাই বের হচ্ছে না। নীলা আর নির্বান রৌদ্রর সাথে কথা বলতে বলতে আরশির দিকে এগিয়ে আসে। নির্বান আরশির কাছে এসেই হাসি মুখে জিজ্ঞেস করল-

“কেমন আছো পাশের বারান্দায় ওরফে ক্রাশ ভাবি? আচ্ছা এক মিনিট কিছুদিন পর তো তুমি আমার শালিও হয়ে যাবে। বাহ এটা দেখছি থ্রি ইন ওয়ান হয়ে গেল।”

নির্বান কথা গুলো বলেই হেসে দিল। রৌদ্র আর নীলাও হাসছে। নীল হাসতে গিয়েও আরশির রাগান্বিত চেহারা দেখে আর হাসার সাহস দেখালো না। আদ্রাফ কাসফিয়ার হাত ধরে হেঁটে আসতে আসতে জিজ্ঞেস করল-

“কি নিয়ে এতো হাসাহাসি হচ্ছে এখানে!”

নীলা তাদের দু’জনের দিকে এক অপলক তাকিয়ে নির্বানের হাসি মুখের দিকে তাকালো। একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলল-

“তেমন কিছু না। কেমন আছিস তোরা?”

কাসফিয়া হাল্কা হাসি দিয়ে বলল-

“আমরা ভালো আছি। তোদের কি অবস্থা? আশু তুই কেমন…”

কাসফিয়া আরশির দিকে তাকাতেই চুপ হয়ে যায়। আরশির চোখমুখের অবস্থা দেখে কিছুটা চিন্তিত গলায় জিজ্ঞেস-

“কিরে আশু তোর কি হয়েছে? এভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেন! চোখমুখ এমন দেখাচ্ছে কেন তোর?”

কাসফিয়ার কথায় সবাই কিছুটা বিস্ময় নিয়ে আরশির দিকে তাকায়। আরশি চোখমুখ শক্ত করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। নীল জোড়ালো শ্বাস ফেলে বলল-

“ভূতে ধরছে ওরে। এসেই আমার পিঠে কত্তো জোরে একটা থাপ্পড় মারছে। আল্লাহ! ওর এতো শক্তি!! আমার তো আগে জানা ছিল না। আদ্রাফ ভাই দেখ তো আমার পিঠে ওর হাতের ছাপ পরছে কি-না!”

নীল আদ্রাফের দিকে এগিয়ে যেতেই আরশি দাঁতে দাঁত চেপে শক্ত গলায় বলল-

“এই হারামি আমাদের কাউকে না জানি প্রেম করে বেড়াচ্ছে। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে প্রেমিকাকে বিয়ের জন্য স্বান্তনা দিচ্ছে। ভাবতে পারছিস তোরা ও কতো দূর চলে গেছে! ফোনে প্রেমালাপ করতো আর আমাদের শোনাতো যে অফিস থেকে জরুরি কল এসেছে।”

আরশির কথা শুনে নীল চুপসে যায়। কিছু বলার মতো মুখের ভাষা তার নেই। বাকি সবাই বিস্ফোরিত বোমার মতো চোখ দুটো বড় বড় করে নীল আর আরশিকে দেখে যাচ্ছে। আদ্রাফ ভয়াবহ উত্তেজনা নিয়ে জিজ্ঞেস করল-

“কিরে নীল এসব কি সত্যি বলছে আশু?”

নীল কিছু বলছে না। নিচের দিকে তাকিয়ে কাচুমাচু করছে৷ আরশি আবারও ক্ষিপ্ত গলায় বলল-

“এই হারামজাদা রে কি জিজ্ঞেস করছিস!! আমি নিজ কানে শুনেছি ও ফোনে কথা বলছিল।”

নীলা সরু চোখে নীলের দিকে তাকিয়ে ভাবুকতার সাথে বলল-

“এখন বুঝলাম কেন তুই যখন তখন ফোনের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসতি।”

আদ্রাফ ডান হাতে নীলের গলা শক্ত করে পেচিয়ে ধরে। নীলের মাথা আদ্রাফের হাতের মাঝে রেখেই বুকের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। নীল আদ্রাফের হাত ধরে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে রইলো। আদ্রাফ রাগান্বিত কন্ঠে বলল-

“শালা তুই লুকাইয়া লুকাইয়া প্রেম মারাছ আর আমাদের সবাইরে মিথ্যা কথা কছ!! আমরা কি তোর গার্লফ্রেন্ড নিয়া বাইজ্ঞা যাইতাম না-কি হারামির বাচ্চা! তুই তো ফ্রেন্ড নামের কলঙ্ক নীল।”

নীল আদ্রাফের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে অস্বস্তির সাথে বলল-

“আদ্রাফ ব্যথা পাচ্ছি তো। আমাকে ছাড়। আমি সব বুঝিয়ে বলছি।”

নীলা আর কাসফিয়া এক সাথে চেচিয়ে বলে উঠলো-

“আদ্রাফ ওরে ছেড়ে দিলে আজ তুইও মাইর খাবি বলে রাখলাম।”

কাসফিয়া নীলের কাছে এসে পিঠে ঘুষি মেরে ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলল-

“তুই আমাদের সবার কাছে কথা লুকিয়ে রাখলি কি করে!! কুত্তা, বাটপার… তুই আমাদের সত্যি সত্যিই বন্ধু মনে করিস কি-না সন্দেহ হচ্ছে।”

নীলা এগিয়ে এসে নীলের পায়ে লাথি মেরে রাগান্বিত কন্ঠে বলল-

“সয়তান বজ্জাত পোলা… আমি তোর মায়ের পেটের এক মাত্র যমজ বোন। আমার কাছেও কিভাবে লুকিয়ে রাখলি তুই!”

নীল অসহায় কন্ঠে বলল-

“আরে বোইন আমারে কিছু বলার সুযোগ তো দিবি তোরা না-কি!”

আরশি জ্বলন্ত চোখে নীলের দিকে তাকায়। বাঘিনীর রূপ ধারন করে নীলের কাছে এসে নীলের চুল গুলো নিজের হাতের মুঠোয় বন্দী করে নেয়। সাথে সাথেই নীল চেচিয়ে ওঠে। আদ্রাফ নীলের পেছনে একটা লাথি মেরে বলল-

“চুপ থাক শালা। একদম চেচামেচি করবি না।”

আরশি নীলের চুল ধরে মাথা উঁচু করে আরশির মুখোমুখি করে। আদ্রাফ এখনো নীলের গলা পেচিয়ে ধরে আছে। নীলের জান যায় যায় অবস্থা দেখে রৌদ্র আর নির্বান একে অপরের দিকে চাওয়াচাওয়ি করে। নির্বান একটা শুকনো ঢোক গিলে বলল-

“ভাই এই গুলার এমন মাস্তানি রূপ তো আগে দেখি নাই। বাপরে বাপ কি রাগ এই মেয়ে গুলার!!”

রৌদ্র আর নির্বান দু জনেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে বেঞ্চিতে বসে পরে। পায়ের উপর পা তুলে দিয়ে পেছনের দিকে হেলান দিয়ে রৌদ্র আর নির্বান বেশ আরাম করে বসে আছে। তাদের দু’জনকে দেখে মনে হচ্ছে তারা কোনো মজাদার এ্যাকশন মুভি দেখছে। খুব এনজয় করছে তাদের মারামারি দেখে।

“এবার বল সব কিছু। কে তোর সেই নায়িকা যাকে আমাদের সবার কাছ থেকে আড়াল করে সিন্দুকে তালা মেরে রেখেছিস!”

নীলা আরশির হাত ধরে চুলের বাধন কিছুটা হাল্কা করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। আমতা-আমতা করে বলল-

“এই ভার্সিটির-ই আমাদের জুনিয়র। তোরা সবাই চিনিস ওকে।”

নীলা নীলের মাথার পেছন দিকে একটা চাপড় মেরে বলল-

“নাম বল কুত্তা”

“আরে আমাদের পাশের ক্লাসের শুভ্রতা।”

নীলের কথা শুনে সবাই যেন আরেক দফা চমকে উঠলো। চার জন একসাথে জোরে চেচিয়ে বলল-

“কিইইইই!!”

আদ্রাফ নীলের গলা ছেড়ে দিয়ে বিস্ময় নিয়ে নীলের দিকে তাকালো। কাসফিয়া অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল-

“শুভ্রতা মানে আমাদের ভার্সিটির টিচারের মেয়ে!!”

নীল মাথা ঝাকালো। আরশিসহ বাকি সবার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম। আদ্রাফ উৎকন্ঠা হয়ে বলল-

“তোর সাহস তো কম না নীল। তুই স্যারের মেয়ের লগে টাংকি মারছ। এই কারণেই শুভ্রতা আমাদের সামনে আসলে লজ্জায় কাচুমাচু করতো।”

নীল একটা বোকা হাসি দিয়ে বলল-

“আসলে শুভ্রতা আমাকে না করেছিল আমাদের সম্পর্কের কথা কাওকে না বলতে। আমাকে দিয়ে প্রমিজ করিয়েছিল। তাই তোদের কিছু বলিনি।”

আরশি ড্যাবড্যাব করে নীলের দিকে তাকিয়ে সন্দিহান কন্ঠে জিজ্ঞেস করল-

“কবে থেকে চলছে এসব?”

নীল চুল গুলো ঠিক করে শার্টের কলার ঠিক করতে করতে লাজুক চেহারায় বলল-

“আমি তো অনেক আগে থেকেই পছন্দ করতাম কিন্তু…”

নীল থেমে যায়। নীলা ভ্রু কুচকে বিরক্তির সাথে বলল-

“নেকামি না করে বল কবে থেকে প্রেম করে যাচ্ছিস?”

নীল মাথা চুলকিয়ে একটা মেকি হাসি দিয়ে বলল-

“এই তো বেশি দিন না। হবে হয়তো এক দেড় বছর।”

নীল কথাটা বলেই দাঁত কেলিয়ে হাসে৷ নীলের হাসি দেখে যেন সবার শরীরে জ্বলজ্বল করে আগুন জ্বলে উঠলো। আরশি চেচিয়ে বলল-

“হারামির বাচ্চা তুই দেড় বছর ধরে প্রেম করছিস অথচ আমাদের কাউকে কিছু বলিস নি!! আমাদের বেলায় তো খুব ভাব নিয়ে আসিস ভাই সেজে জ্ঞান দিতে এখন কই গেল তোর ভাই গিরি!!”

কাসফিয়া নীলের দিকে তেরে এসে তেজি কন্ঠে বলল-

“ওরে তো ইচ্ছে করছে এখনেই পুতে ফেলি। ধোকাবাজ বন্ধু তুই। বাটপার পোলা।”

আদ্রাফ কাসফিয়ার হাত ধরে থামিয়ে দিয়ে বলল-

“তুমি এখানেই দাঁড়াও বেশি নাড়াচাড়া করো না। ওরে তো আমরা সবাই দেখে নিবো।”

আদ্রাফ, নীলা আর আরশি নীলকে মারতে আসলেই নীল দৌড়ে দূরে চলে যায়। আদ্রাফ নীলকে ধরার চেষ্টা করেও পারে না। আরশি আর নীলাও পেছন পেছন দৌড়াচ্ছে। রৌদ্র আড়মোড়া ভেঙ্গে তাদের দিকে গম্ভীরভাবে পা ফেলে এগিয়ে যায়। আরশির সামনে এসে আরশির হাত ধরে থামিয়ে দেয়। গম্ভীর গলায় শাসনের সুরে বলল-

“এই সময় এভাবে দৌড়ানো সেফ না আরু। তুলতুলের কথা ভুলে যেও না। নিজের সাথে সাথে তুলতুলের-ও খেয়াল রাখতে হবে তোমার।”

রৌদ্র কথা শুনে সবাই থেমে যায়। ভ্রু বাঁকিয়ে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রৌদ্র আরশির দিকে। আরশি মাথা নিচু করে ফেলে রৌদ্রর কথায়। নির্বানসহ বাকি চারজন রৌদ্রর দিকে এগিয়ে আসে। নির্বান বিস্ময় নিয়ে জিজ্ঞেস করল-

“এই সময় মানে কি ভাই! আর তুলতুল আবার কি?”

আরশি লজ্জায় মাথা নুয়ে ফেলে। রৌদ্র কোনো বিনীতা না করেই বলে দিলো-

“তুলতুল মানে তোর ভাই আর পাশের বারান্দার অনাগত সন্তান।”

রৌদ্রর কথায় সবার চোখ রসগোল্লার মতো গোলাকৃতি হয়ে গেল। অপ্রত্যাশিত কিছু শুনে ফেলেছে মনে হচ্ছে। কাসফিয়া কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করল-

“আপনার আর আশুর অনাগত সন্তান!!”

রৌদ্র দু হাত আড়াআড়ি ভাবে ভাজ করে বলল-

“হুম আমাদের সন্তান।”

“মানে আমাদের আশু প্রেগন্যান্ট??”

নীলার প্রশ্নে এবার রৌদ্র ভ্রু জোড়া কুচকে এলো। ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে বলল-

“হ্যাঁ আমাদের আরু প্রেগন্যান্ট।”

নীল আরশির দিকে এগিয়ে আসে। আরশি লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে। অস্বস্তিতে হাত কচলাচ্ছে। গাল দুটো হাল্কা লাল আভা ধারণ করেছে। নীল আরশির দিকে থেকে মুখ ঘুরিয়ে রৌদ্রর দিকে চেয়ে নির্লিপ্ত গলায় বলল-

“আপনি সত্যি বলছেন!”

রৌদ্র একটা হতাশ নিঃশ্বাস ফেলে। বিরক্তি প্রকাশ বলল-

“হুম সত্যি। তিন সত্যি, হাজার সত্যি।”

সাথে সাথেই সবাই একসঙ্গে খুশিতে চেচিয়ে উঠলো। নীল আরশিকে জড়িয়ে ধরে। চোখ দুটো পানিতে চিকচিক করছে নীলের। খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছে। আনন্দের ঝলক চোখের পানি হয়ে উপচে বেরিয়ে আসতে চাইছে। কিন্তু ছেলেদের যে কান্না করতে নেই। সমাজের সকলের তৈরি সেই পুরনো নিয়ম মানতেই নীল নিজের চোখ দুটোকে বাধা দিচ্ছে। চিকচিক করা অশ্রু গুলো চোখের মাঝে রেখেই আরশির দিকে মাথা তুলে তাকায়। আরশির দু কাধে হাত রেখে জড়ানো কন্ঠে বলল-

“আমি তোকে বলেছিলাম না তুই ব্যর্থ না। দেখলি তো আমি মামা হবো এখন। তুই মা হবি আশু। তুই ব্যর্থ না।”

আরশির অশ্রুসিক্ত চোখেই মুচকি হাসি দিয়ে মাথা নাড়ালো। কাসফিয়া এসে আরশিকে জড়িয়ে ধরেই কান্না করে দেয়। আরশি কাসফিয়ার পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। কাসফিয়া শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রেখেছে আরশিকে। কান্নারত অবস্থায় কাসফিয়া জোড়লো শ্বাস ফেলে। থেমে থেমে বলল-

“আজ আমি অনেক খুশি আশু। আমি জানতাম আল্লাহ কখনো তোকে এভাবে কষ্ট দিবে না। তোর মতো মেয়ে কখনো কষ্ট পেতেই পারে না। এখন থেকে তুই নিশ্চয়ই নিজেকে ব্যর্থ মনে করবি না আশু তাই নাহ!! বিশ্বাস হয়েছে তো এবার তুই যে ব্যর্থ না।”

নীলাও এসে আরশিকে জড়িয়ে ধরে। কাঁদোকাঁদো গলায় বলল-

“অবশেষে তোর জীবনের সকল কষ্ট মুছে গেল আশু। আজ থেকে তুইও আর দশটা মেয়ের মতোই নিজেকে মনে করবি। তুই সম্পূর্ণ একটা মেয়ে। পরিপূর্ণ মেয়ে। তুইও বাকি মেয়েদের মতো মাতৃত্বের স্বাদ পাবি। খুব তাড়াতাড়ি তুইও মা ডাক শুনবি। তোর মাঝেও নতুন এক অস্তিত্ব বেড়ে উঠবে।”

চলবে….

[গল্পের শুরু থেকেই সবাই নীলের জন্য নায়িকা চেয়ে আসছেন। আজ আপনাদের সকলের চাওয়া পূরণ করে দিলাম। সবার গঠনমূলক কমেন্ট আশা করছি। ধন্যবাদ আর ভালোবাসা সবাইকে।❤️❤️]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here