“আমাদের বিরুদ্ধে পু’লি’শ কে’স করেছিলিস তুই?তোর এত্ত বড়ো সাহস!তোকে মেরেছি বলে তুই আমাদের বিরুদ্ধে পু’লি’শ কে’স করলি?শাহরিয়ার শৈবালের বিরুদ্ধে পু’লি’শ কে’স হাহ্!আমার বন্ধু তো শুধু তোর সুন্দরী বোনকে বা’জে কমেন্ট করেছিলো।যার জন্য তুই আমার বন্ধুর গা’য়ে হাত দিয়েছিস।কিন্তু আজ আমি তোর চোখের সামনে তোর বোনের গা’য়ে হাত দিবো।দেখি তুই কি করতে পারিস!”
অত্যন্ত অ’শ্লী’ল শব্দোচ্চারণ শেষ করে শৈবাল নিজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটাকে ধা’ক্কা দিয়ে হসপিটালের বিছানায় ফেলে দিলো।এবং সোজা গিয়ে ওর বোনের শ’রী’রে থাকা উ’ড়’না টা একটান দিয়ে সরিয়ে দিলো এবং মেয়েটাকে জ’ঘ’ন্য ভাবে চে’পে ধরে।ঘটনার আকষ্মিকতায় মেয়েটি নিজের শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে শৈবাল কে ঠেলে সরিয়ে দিতে চেয়েও পারলো না।শৈবালের বলিষ্ঠ,উদ্যোগী দেহ কে এক বিন্দুও সরাতে সক্ষম হয়নি মেয়েটি।জো’র পূ’র্বক মেয়েটিকে আরও শক্ত করে ধরে ঠোঁ’টে ঠোঁ’ট রেখে কি’স করে নিজের ঠোঁ’ট মুছে ক্রুর হাসি দিলো সে।
কাজ টা এতো তারাতাড়ি হয়ে গেলো যে মেয়েটির ভাই কিচ্ছু করতে পারলো না।নিজের বোনকে এমন বিশ্রী ভাবে দেখতে হবে সে ভাবতেও পারেনি।নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে অক্ষম আর অধম ভাই মনে হলো তার।কাপুরুষ,শিরদাঁড়াহীন সে।যে নিজের বোন কে রক্ষা করতে অক্ষম।নিজের বোনের দিকে তাকানোর সাহস পেলো না আর।সে কিভাবে এই মুখ নিজের বোন কে দেখাবে।
মেয়েটার সারা শরীর কাঁপছে থরথর করে এই বিদগ্ধ ঘটনায়।ঘেন্নাপিত্তি নিয়ে নিজের মুখ ইচ্ছে মতো ডলছে।পারলে নিজের মুখ টা ছুলে ফেলবে।অসহায়ের মতো মেঝেতে ধপ করে বসে হাটু মুরে কাঁদতে থাকে মেয়েটি।ভয়ে ত্রস্থ হয়ে মাথা নিচু করে রইলো সে।কারণ চাইলেও কিছু বলতে পারবে না।আর যদি কিছু বলে তাহলে শৈবাল ওর ভাইকে মে’রে’ই ফেলবে এবার।আর ও এটাও জানে পুলিশও কিছু করতে পারবে না।তাই সে মুখ বুঝে অপমান টা সহ্য করলো!
শৈবাল ক্রুদ্ধ হয়ে নিজের বন্ধুকে বললো,”কি রে শিশির তোর কি ওই মেয়েকে লাগবে নাকি?লাগলে নিয়ে যেতে পারিস!শৈবাল এঁটো জিনিস দ্বিতীয় বার ছুয়ে দেখে না এটা তো জানিস তুই।”
ছেলেটা হরবর করে এসে শৈবালের পায়ে পরে করুন স্বরে বলে,”আমার বোনকে ছেড়ে দাও তোমরা!আমি আর কখনোই তোমাদের নামে কমপ্লেইন করবো না।দোহাই লাগে তোমরা আমার বোনের সাথে বাজে কিছু করো না।প্লিজ!”
ছেলেটা শৈবালের পা ধরে ক্ষমা চাইছে আর শৈবালের বন্ধুরা তিরস্কারের হাসি হাসতে শুরু করলো।ছেলেটার এই করুন কান্নায় শৈবালের নির্দয়তা কমলো না।কি নিষ্ঠুর তার হৃদয়!নিজের এই পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের জন্য এতোটুকুও অনুতপ্ত তার মধ্যে দেখা গেলো না।ছেলেটার কান্না তার নিকৃষ্ট মনের গহীনে বিন্দু মাত্র দয়ার সঞ্চার ঘটে নি।তবুও সে কোনো ঝামেলায় পড়তে চাইছে না এই মুহুর্তে। তাই সে বলে উঠলো,
“ওকে!ওকে!আজ তোকে শেষবারের মতো ছেড়ে দিলাম।আর যদি কখনো,কোনো দিন,এমনটা করিস,তাহলে তোকে নয় সোজা তোর বোনকে তুলে নিয়ে যাবো।তারপর কি করবো তোর বোনের সাথে তোকে আশা করি সেটা বলে বুঝাতে হবে না।”
এই বলে শৈবাল আর ওর বন্ধুরা হসপিটালের ক্যাবিন থেকে বেরিয়ে গেলো।মুখে ছিলো তার কুৎসিত, বিদঘুটে, বিষাক্ত সেই হাসি।যার বিষ ঢেলে দিয়ে গেলো মেয়েটির সুন্দর জীবনে।একুশ বছরের এই তরুনীর হইতো আর খিলখিল করে হাসা হবে না!আর বুঝি তার জীবনে প্রতিটি আনন্দের সাধ নেওয়া হবে না এই তিক্ত দিনটির জন্য।
ছেলেটা ওর বোনকে ধরে কাঁন্না করে দিলো।মেয়েটার নাম তানহা এতোক্ষন ধরে ওঁকে আর ওর ভাই তৌহিদ মাহবুবকে হুমকি দিচ্ছিলো ওদের কলেজের সিনিয়র স্টুডেন্ট শাহরিয়ার শৈবাল।বড় লোকের বখে যাওয়া ছেলে।যার কাজই সারাদিন ঝামেলা করা, র্যা’গিং দেওয়া আর কলেজের রাজনীতির মধ্যে দিয়েই চলে সে।ধরতে গেলে বড়ো পলিটিশিয়ান দের মাথা সে।কলেজের প্রতিটি মানুষ তাকে যমের মতো ভয় পাই।
•
আজ তানহার কলেজের প্রথম দিন ছিলো। ওর ভাই তৌহিদ এসেছিলো ওদের কলেজে তানহাকে পৌঁছে দিতে। কিন্তু কলেজে এসেই যে সিনিয়রদের রীতিমতো বাজে সমালোচনার মুখে পড়তে হবে তা বুঝতে পারেনি সে।কতগুলো ছেলে এসে সরাসরি তানহাকে আর ওর ভাইকে শুনিয়ে বলল,
“দেখ ভাই দেশটা কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে।ভার্সিটিতে আসেনি তো যেনো কোনো পার্কে এসেছে।কিভাবে হাত ধরে রেখেছে।”
আরেক জন বলে উঠলো,”আরে এভাবে না ধরলে যদি পরে আবার বয়ফ্রেন্ড কোথাও পালিয়ে যায়।”
অন্য জন বলল, ”কি অভদ্র ঘরের সন্তান রে বাবা ভার্সিটিতেও কেউ এভাবে চলাচল করে ছিঃ! কিরে পাবলিকে পড়ছিস বলে কি তোদের এতো বেপরোয়া, বেহায়া হতে হবে।”
কথা গুলো বলেই হাসাহাসি শুরু করলো সবাই।আসলে তানহার এটা ছোট বেলার অভ্যাস কোথাও গেলে ওর ভাইয়ের হাত ধরে থাকবেই।ওর ভাই যখন ওকে ক্লাস অব্দি রেখে আসতে যাচ্ছিলো তখন তানহা ওর ভাইয়ের হাতটা চেপে ধরে যাচ্ছিলো।এতোক্ষন ওদের বলা সব কথা সহ্য করছিলো তৌহিদ কারণ তানহা যেভাবে হাত ধরে হাঁটছিলো যে কেউই এমন কথা বলবে কিন্তু শেষের কথাটা আর সহ্য করতে পারলো না তৌহিদ।তবুও যথেষ্ট শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলো নিজেকে।বোনের কলেজে প্রথম দিন কোনো রকম ঝামেলা চাইছিলো না সে।কিন্তু পরবর্তীতে আবার অতীব নোং’রা কথা কানে এলো।
একটা ছেলে বলে উঠলো, “যাই বলিস মাম্মা৷ মেয়েটার যা ফি’গা’র!উফফ জাস্ট মা’খ’ন!যদি একটু* আর বলতে পারলোনা-
সঙ্গে সঙ্গে তৌহিদ এসে ছেলেটার নাকে একটা পাঞ্চ করলো।ছেলেটা ছিটকে গিয়ে পড়লো আর নাক দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়তে শুরু করলো।
তৌহিদ থু’তু ফেললো ওঁদের মু’খে প্রচন্ড ক্ষো’ভে আর ক্ষ্যা’পাটে গলায় বলে,
“ইউ ব্লা’ডি, বা’স্টা’র্ড, শি ইজ মাই সিস্টার!মাই লিটিল সিস্টার আন্ডারস্টুড ব্লা’ডি!আর তোরা আমার বোন আর আমাকে কেন্দ্র করে এসব নোংরা কথা বলছিস।ধিক্কার তোদের!
শৈবাল সবে মাত্র কলেজ এসেছে।কলেজে এসেই নিজের বন্ধু শিশিরকে এভাবে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে শৈবাল ভীষণ ভাবে রেগে গেলো।তার ওপর বন্ধুর নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে দেখে শৈবালের মাথায় যেনো আগুন ধরে যায়।শৈবাল বাইকটা রেখে হেলমেট টা খুলে ঘটনা শুনেই সোজা এলোপাতাড়ি তৌহিদকে মারতে শুরু করলো।তানহা এসব দেখে কি করবে বুঝতে পারলো না।ও কান্না করতে করতে আটকানোর চেষ্টা করলো শৈবাল কে৷ কিন্তু শৈবাল যেনো শুনছিলোই না।তৌহিদ আসলে এসব মা’র’পি’টে অভ্যস্ত না তাই শৈবালের সাথে পেরে উঠে না।তানহা এখন কি করবে?চারপাশে সবাই যেনো মুখে কুলুপ এঁটে হা করে দেখছে।কেউ কিচ্ছু বলার সাহস পাচ্ছেনা।শৈবালের বন্ধু গুলো পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তানহার ভাইকে মা’রা উপভোগ করছে।এতোগুলো ছেলের মধ্যে তানহা ওর ভাইয়ের কাছে পৌঁছাতে না পেয়ে দৌড়ে প্রিন্সিপালকে ডেকে আনলো।প্রিন্সিপালকে দেখে শৈবাল থেমে গেলো।শৈবালের মা’রে’র চো’টে তৌহিদ র’ক্তা’ক্ত এখন।তানহা ওর ভাইকে হসপিটাল নিয়ে আসে।তৌহিদ পুলিশ কর্মকর্তার কাছে কমপ্লেইন করে শৈবাল আর ওর বন্ধুদের নামে।তৌহিদ পুলিশ কমপ্লেইন করলেও পুলিশ শৈবাল আর ওর বন্ধুদের ধরে নিয়ে যেতে পারে নি।ক্ষমতার জোরে ওঁদের কে আটক করা সম্ভব হয়নি।খোঁজ পেয়ে চলে আসে এই হসপিটালে।
•
তিক্ত স্মৃতির পাতায় ভাটা পরলো নার্সের আগমনে।ঘড়িতে তখন বিকাল তিনটে বাজে।তখনো তানহার চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে।কলেজের প্রথম দিন তার জীবন টা যে বিভীষিকাময় করে দেবে সে টা কি ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পেরেছিলো সে।যেখানে মানুষ বিদ্যান হতে যায় সেখানে গিয়ে মানুষ অন্যায় করছে।যে পড়াশোনা তার জীবনের পাতা বদলে দিলো সে পড়াশোনা আর সে করবে না। হ্যাঁ করবে না সেই পড়াশোনা।বন্দী করে নেবে নিজেকে চার দেয়ালের মধ্যে।এখন তার মনে হচ্ছে সুন্দর হয়ে জন্মানোটাও পাপ!বড্ড পাপ!সুন্দর বলেই তো আজ তার ভাইয়ের এই অবস্থা।তার নিজের এই অবস্থা আজ।কুৎসিত কেন হলো না সে?এদের কি কখনোই শাস্তি হবে না যারা অন্যায় ভাবে মানুষের উপর জু’লু’ম জা’হে’র করে।কেন তার সাথেই এমন টা হলো।কেন?কেন?কেন?ডুকরে উঠলো তানহা।নার্স টি তানহার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে চাইলেও চুপ রইলো।সে হইতো ভাবছে মেয়েটি ওর ভাইয়ের জন্য কান্না করছে।কিন্তু হায়!সেকি আর জানে তার জীবনের সবচেয়ে বিষাক্ত এই দিন টি।সে কি আর দেখতে পাচ্ছে তার মনের মধ্যকার সেই করুন হাহাকার!
পাশে হসপিটালের বেডে ওর ভাই ঘুমিয়ে আছে।চোখ-মুখ ফুলে গেছে ওর কান্নার ফলে।সদ্য একুশ বছরের তরুণীর জীবনটা যেনো রাতারাতি বদলে গেলো এক ধাক্কায়।আজ কলেজে ঘটা ঘটনা থেকে শুরু করে হসপিটালে শৈবালের বা’জে স্প’র্শ।সে মুহুর্তের পর থেকে যেনো সবকিছু বদলে গেছে।যেনো তানহার বেঁচে থাকায় অর্থহীন হয়ে উঠেছে।
•
শাহরিয়ার শৈবাল।বাবা নামি দামী বিজনেসম্যান শাহরিয়ার সাইফের একমাত্র ছেলে।বাবার অর্থ আর যসের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে বিপথের সাগরে গা ভাসিয়ে দিয়েছে শৈবাল।বাবার অর্থ আর যশের সাথে এসেছিলো যেনো ওর বিপথে যাওয়ার হাতছানি।কিন্তু খারাপ ভালো পথ নিয়ে ভাবেনি শৈবাল।সবসময় চেষ্টা করে জীবন টাকে উপভোগ করার।বাবার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, দামী গাড়ি,আর নিত্য’নতুন না’রীর স’ঙ্গ!যেনো নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছে ভো’গের সমুদ্রে।শৈবালের এক কথায় যেকোনো মেয়ে সবকিছু দিতে রাজি হয়ে যায়।হবে না-ই বা কেন?ওমন সুদর্শন,টগবগে যুবকের সান্নিধ্য কে বা না পেতে চাইবে।কিন্তু কেউ কেউ তাকে ভয় পাই বলেই নিজেকে সঁপে দিয়ে থাকে।আর শৈবাল?ওর নজর একবার যার উপর পরে তাকে সে যেভাবেই হোক নিজের করেই ছাড়ে।নারী শরীর তার কাছে নেশার মতো।কিন্তু ইদানীং এসব কিছু যেনো ওর পো’ষা’চ্ছে না।আসলে মানুষ যা সহজে পেয়ে যায়,তা পেতে পেতে একসময় মানুষ সে জিনিস গুলোর প্রতি একঘেয়েমি হয়ে যায়।শৈবালের ক্ষেত্রে ও তেমনি হয়েছে।
পরেরদিন শৈবাল কলেজের ক্যান্টিনে বসে খাবার খাচ্ছে।রোজকার মতো আজও এসেছে হিয়া শৈবালকে বুঝাতে।কিন্তু শৈবালের এসব কথায় পাত্তা না দিয়ে মনের সুখে একের পর এক পিজ্জাতে কা’মড় দিয়ে যাচ্ছে।আর একটু পর পর কোকের বোতলের পাইপে চুমুক দিচ্ছে।হিয়ার কথা ওর কান অব্দি ঠেকছে কিনা কে জানে?শৈবাল যেনো এবার বিরক্ত হলো।খাবার ছেড়ে টিস্যু দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে হিয়ার দিকে তাকালো।
ক্ষিপ্র হয়ে বললো,
“আর কতবার বললে বুঝবে বলো তো হিয়া?তুমি কি আমার বাংলা ভাষা বুঝোনা?এখন কি অন্য ভাষায় তোমাকে বুঝাতে হবে।”
শুধু হিয়া না কলেজের প্রায় অনেক মেয়েকে শৈবাল ইউস করে ইউজার টিস্যু পেপারের মতো ছুড়ে মারে।যাদের ভালো লাগে তাদের সাথে ফ্লার্ট করে।আর নিজের কার্য হাসিল করে অপমানের পর অপমান করে।কেউ তার কাছে কোনো রকম অধিকার চাইতে পারবে না।তার উপর এক মাত্র অধিকার শুধুই তার নিজের।সে যেনো মেয়েদের অপমান করে পৈ’শা’চিক এক আনন্দ পায়!
হিয়া শৈবালের চোখে চোখ রেখে করুন স্বরে বলল,
“প্লিজ শৈবাল আই লাভ ইউ!আই রেইলি লাভ ইউ শৈবাল!তোমার রা’গ,তোমার হাসি,তোমার সাথে কাটানো প্রত্যেকটা মুহুর্ত আমাকে পা’গ’ল করে তুলছে।তোমার সবকিছু আমার মন কেড়েছে শৈবাল।তোমার দিকে তাকালেই কেমন মনের ভিতরটা উ’ম্মা’দ হয়ে উঠে।প্লিজ শৈবাল তুমি আমাকে রিজেক্ট করোনা।এভাবে আমাকে ইগনোর করতে পারোনা তুমি।”
শৈবাল হালকা হেসে ঠান্ডা মেজাজে হিয়াকে বলল,
“এসব প্রেম ভালোবাসার ভূ’ত মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো।আমার সাথে টাইম পাস করে তুমিও যেমন এনজয় করেছো তেমন আমিও এনজয় করেছি।ব্যাপারটা এই পর্যন্তই রাখো।আমি তো আগেই বলেছিলাম তোমাকে এসব সিরিয়াস ভাবে না নিতে।কারণ আমি এসব প্রে’ম ভালোবাসায় বিশ্বাসী না!”
হিয়া এবার অসহায়ের মতো তাকিয়ে ভাঙ্গা জড়ানো গলায় বলে, “এমন করে বলোনা শৈবাল।প্লিজ আই লাভ ইউ।আই লাভ ইউ সো মাচ্।আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি তা তোমাকে বলে বুঝাতে পারবোনা।আমি সারাটা জীবন তোমার সাথে কাটাতে চাই।দিবে কি একটি বার সুযোগ আমায়?”
কিন্তু বিধিবাম!হিয়ার এতো পরিমান রিকুয়েষ্টে দেখে শৈবালের আরও রাগ উঠে গেলো।শৈবাল কিছু না বলে চোখটা বন্ধ করে নিজের রাগটা চেপে রাখার চেষ্টা করলেও পারলো না।হিয়ার কথা গুলো তার কাছে অবান্তর আর উদ্ভট মনে হলো।উপায়ন্তর না পেয়ে শৈবাল হিয়াকে দিলো এক রাম ধমক।হিয়া শৈবালের এমন ধমকে কেঁপে উঠে কেঁদে ফেলল।
#চলবে
গোধুলীর_শেষ_প্রহরে
সূচনা_পর্ব
#রাউফুন (ছদ্মনাম)