The_boss Part:17,18

0
638

#The_boss
Part:17,18
Aarizona Ella
17

ঢাকায় ফেরার পর যে যার মতো তাদের বাড়ি ফিরে গেলো,সব মিলিয়ে প্রায় সন্ধ্যা হয়েছে ফিরতে। প্রথমে মায়া ভেবেছিলো ইয়ানা সিলেটে থাকে আর সে ইলমাজের বাড়ি বেড়াতে এসেছে কিন্তু পরক্ষণেই মায়ার ভ্রম ভাঙ্গলো আর জানতে পারলো যে ইয়ানাও ঢাকার তাই একসাথে ফিরেছে৷।।

রাত ৯ টা প্রায় খুবি ক্লান্তি অনুভব করছে ইলমাজ,বিছানায় বেশ কিছুক্ষন শুইয়ে থাকার কারনে বিরক্তি ও লাগছে তার।।তাই ভাবলো একটু ড্রাইভ করে মাইন্ড রিফ্রেশ করে আসা যাক।।

ইলমাজ শার্ট গায়ে দিয়ে কানে এয়ারফোন লাগিয়ে বেরিয়ে পড়লো।।

সবসময় মায়ের ঔষধের কথা মনে পড়ে রাতেই বেলায়।।সারাদিন খেয়াল কোথায় থাকে আল্লাহ জানেন,😤অবশ্যই আমিই তো ছিলাম না তাই রাতে বলেছে,,কিন্তু মা সবসময় এমন করে😭আর ভাই,আস্তো একটা গন্ডার সবসময় কামচুরি করে।। ঔষধের প্যাকেট হাতে রাস্তায় এলোপাথারি হাটছে আর নিজে নিজেই বক বক করছে।।।

রাস্তার মাঝখানে হাটার কারনে গাড়ির হর্ণ বেজে উঠলে মায়া চেচিয়ে একসাইডে এসে দাড়াঁয়,কারটা কিছুদুর গিয়ে আবার পিছনে ব্যাক করে মায়ার সামনে এসে দাড়াঁলো।।
মায়া চমকে তাকিয়ে আছে গাড়িটির দিকে,গাড়ি থেকে ইলমাজকে বের হতে দেখে মায়া আবারও টাস্কি খেয়ে গেলো।।

গাড়ি থেকে বের হয়ে মায়াকে বলতে লাগলো,,

একটা মানুষ এর কমনসেন্স এতটা গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকে তা তোমাকে না দেখলে কখনোই জানতাম না।।(ইলমাজ)

ম,,ম,,মানে কি স্যার?( মায়া)

মানে,রাস্তার মাঝখানে এমন করে কি ভেবে হাটছিলে?জুরাসিক পার্ক ভেবে??এটা বাংলাদেশ ভাগ্যিস, আমি ছিলাম,অন্য কেউ হলে এতক্ষনে স্মরনীয় শহীদদের নামের সাথে মায়া আজহারিকে ও স্মরন করতো।।(ইলমাজ)

ন,না মানে স্যার আসলে রিক্সা পাচ্ছিলাম না তাই মেজাজ বিগড়ে গেছিলো 😦আমতা আমতা করে বললো মায়া।।

হুম,,,একটা ব্যাপার বুঝি না,,রেলি করো নাকি প্রায় সময় রাস্তায় দেখা যায় কেন তোমাকে? (ইলমাজ)

স্যার আসলে মায়ের মেডিসিন নিতে গেছিলাম,ফেরার সময় রিকশা পাচ্ছিলাম না তাই হাটতে হাটতে এতটুকু চলে এসেছি।(মায়া)

সবসময় রাতেই লাগে মেডিসিন?😒(ইলমাজ)

স্যার সারাদিন বিজি থাকি,রাতেই সময় পায় তাই রাতেই ওটা কাজে লাগাই।।😔(মায়া)

গাড়িতে বসো,আমি বাসায় পৌছে দিচ্ছি।।(ইলমাজ)

কিন্তু স্যার,,,,(মায়া)

চুপচাপ বসো।।মায়াকে থামিয়ে দিয়ে বললো ইলমাজ।

মায়া আর কিছু না বলে পিছনের সিটে বসতে যাবে এমন সময় ইলমাজ ধমক দিয়ে উঠলো।।

ওখানে বসতে যাচ্ছো কেন?আমি কি ড্রাইভার নাকি?😠(ইলমাজ)

মায়া ভ্যবাচ্যাকা খেয়ে গাড়ির দরজা ধরে ইলমাজের দিকে তাকিয়ে আছে।।।

কি সমস্যা দাঁড়িয়ে আছো কেন?(ইলমাজ)

মায়া তারাতাড়ি সামনে ড্রাইভিং সিটের পাশের সিটে গিয়ে বসলো।। ইলমাজ ড্রাইভিং করা স্টার্ট করলো।।
সে ড্রাইভ করছে আর বার বার মায়ার দিকে তাকাচ্ছে।। ইলমাজের এভাবে তাকিয়ে থাকাটা মায়ার কাছে খুব সংকোচজনক মনে হচ্ছে।।মায়া হাল্কা গলা ঝেড়ে ইলমাজকে বলতে লাগলো,,

স্যার এটা বাংলাদেশ,, সামনের দিকে না তাকিয়ে আমার দিকে তাকালে এবার স্মরনীয় শহিদদের নামের সাথে আমাদের দুজনের নাম ও স্মরন করা হবে।।😒(মায়া)

মায়ার এমন কথায় ইলমাজ থতমত খেয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে ড্রাইভিংয়ে মনযোগ দিয়ে বলতে লাগলো,,

আমার চয়েজ এতটা বাজে না তা আগেও বলেছি,তোমার নাকের একপাশে কালি লেগে আছে ওটার দিকেই লক্ষ করছিলাম।।(ইলমাজ)

কি???!!😱!!!!কোন দিকে??😧চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো মায়া।।

ইলমাজ আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে দেখিয়ে দিলো।।মায়া তার অনুসরণ করে নাকের একপাশে হাত দিয়ে মুছে জিজ্ঞেস করলো,,

এখন ঠিক আছে স্যার?(মায়া)

হুম,ইলমাজ আড়চোখে তাকিয়ে জবাব দিলো।।

বাড়ির লোকেশন?? মায়াকে জিজ্ঞেস করলো।।

মায়া হাত দিয়ে তার বাড়ির রাস্তা দেখিয়ে দিলো।মায়ার বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামালো।।মায়া গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ালো।
ইলমাজ মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে,,ড্রাইভিং সিটের জানালার পাশে গিয়ে মায়া ইলমাজকে বলতে লাগলো,,

স্যার,আমি জানি না বলা উচিত হবে কিনা কিন্তু না বলাটাও মানানসই না,,

ইলমাজ ভ্রু কুচকে সিরিয়াস মুড নিয়ে মায়ার কথার দিকে মনযোগ দিলো,,

স্যার আমি জানি আপনি অনেক বড় আর স্বনামধণ্য একজন লোক, আপনি এখানে পা রাখার মতো যোগ্যতা ও আমাদের নেই,,এরপর ও বলছি যদি একবার ঘরে আসতেন মা অনেক খুশি হতো।।।

মায়ার এমন কথায় ইলমাজ যেনো আকাশ থেকে পড়লো,মন খারাপ হয়েছে আবার রাগ ও লাগছে মায়ার উপর।। ইলমাজ রাগে গাড়ির গিয়ারে হাত রাখে সামনের দিকে তাকালো।।।
ইলমাজের এমন রিয়্যাকশন আর কথার কোন রেস্পন্স না পেয়ে মন খারাপ করে বলতে লাগলো,,

সরি স্যার আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যায় করানোর জন্য।। আল্লাহ হাফেজ।।বলা মাত্র মায়া তার ঘরের দিকে এগুতে লাগলো।। গাড়ির দরজা বন্ধের আওয়াজ পেয়ে মায়া আবার ফিরে তাকালো।।ইলমাজ গাড়ি থেকে বেরিয়ে এদিকেই আসছে দেখে মায়া অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ইলমাজের দিকে।।ইলমাজ মায়ার সামনে এসে দাড়াঁতেই মায়া আবার জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো ইলমাজের দিকে।।

বাসায় আসার জন্য ইনভাইট করেছো,আর না নিয়েই চলে যাচ্ছো?(ইলমাজ)

মায়া হেসে বললো,,

অবশ্যই স্যার আপনাকে স্বাগতম বলে মায়া হাটতে লাগলো আর ইলমাজও তার পিছে পিছে যেতে লাগলো।।

দরজায় বেল দিচ্ছে মায়া প্রায় দু তিনবার বেল দেয়ার পর ঝাড়ু হাতে দরজা খুললেন মায়ার মা,হাপাচ্ছেন তিনি।
মায়ের হাতে ঝাড়ু দেখার জন্য মোটেও প্রস্তত ছিলো না মায়া।।ইলমাজও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তাকিয়ে আছে।।😮

মা,আমাকে ঝাড়ু দিয়ে স্বাগতম করছো তুমি?😐(মায়া)

তোর ভাইয়ের জ্বালায় আর পারছি না,জ্বীনে ধরেছে তাকে তাই ঝাড়ু দিয়ে একটু ঝেড়ে দিচ্ছিলাম।।রাগান্বিত স্বরে বললো মায়ার মা।

ইলমাজ প্রায় বেকুবের মতো তাকিয়ে আছে।।এমন পরিস্থিতিতে মায়া লজ্জায় পড়ে গিয়েছে,বসের সামনে এমন কিছু হবে তা মেটেও আশা করে নি মায়া।

মা শান্ত হও,আমার অফিসের বস এসেছে,বিড়বির করে মাকে বললো মায়া।।

মায়ার মা তড়িঘড়ি ঝাড়ু মেঝের একপাশে রেখে দরজার বাহিরে হা করে তাকিয়ে আছে।।

আম,ম,,মা ইনি আমার অফিসের বস,,রিক্সা পাচ্ছিলাম না,রাস্তায় দেখা হয়েছে তাই স্যার আমাকে এখানে ড্রপ করতে এসেছিলেন।।

মায়ার মা একগাল হেসে বলতে লাগলো,,

বাবা ভিতিরে আসো না প্লিজ।।

ইলমাজ মাকে হ্যালো বলে ভিতরে প্রবেশ করলো।।

স্যার বসুন আমি এক্ষুনি আসছি।।মাকে সাথে করে ভিতরে চলে গেলো মায়া।।

মা,উনি অনেক সম্মানিত একজন লোক, ভাই কে বলবে যেনো উনার সামনে কোন তামাশা না করে,সতর্কীকরন করে সামনের ঘরে চলে গেলো মায়া।।

মায়াকে দেখে ইলমাজ বলতে লাগলো,,

মায়া আমি এবার আসি,অনেক লেট হয়ে গেছে।।

স্যার এককাপ চা তো খেতে পারেন?আমি চা ওতো মন্দ বানায় না(মায়া)

ওকে বাট বি কুইক প্লিজ।।(ইলমাজ)

অফকোর্স স্যার,,স্বাচ্ছ্যন্দের সাথে সোজা কিচেনের দিকে চলে গেলো মায়া।।

প্রায় দশ মিনিট পর চা নিয়ে ইলমাজের সামনে হাজির হলো মায়া।।

ইলমাজ চায়ের কাপ হাতে নিয়ে চুমুক দিতেই মুখ থেকে একটা এলাচি বের করলো, 😨,আবার চুমুক দিতেই একটা দারচিনির টুকরা বের করলো, পরের চুমুকে ছোট একটা আদার টুকরো মুখ থেকে বের করে মায়ার দিকে তাকালো😒,,মায়া অসহায়ের মতো ইলমাজের দিকে তাকিয়ে জিহবায় কামড় বসিয়ে রেখেছে।।

চা বানাচ্ছো ভালো কথা,ছেকে নেয়াটা কি বারন?(ইলমাজ)

সরি স্যার চা ছাকনি পাচ্ছিলাম না😫(মায়া)

পাচ্ছিলে না যেহেতু এতগুলো মশলা দেয়ার দরকার ছিলো? (ইলমাজ)

স্যার এটা স্পেশাল চা ছিলো,, (মায়া)

তাহলে মরিচের গুড়ো,হলুদের গুড়ো,আর লবন বাদ রাখলে কেন?তা ও দিয়ে চা টা কে স্পেশালের শেষ সিমান্তে পৌছে দিতে ।(ইলমাজ)

সরি স্যার😫(মায়া)

ইলমাজ আড়চোখে তাকিয়ে নিজের হাসি কনট্রোল করার চেষ্টা করছে,।

আর বেশিক্ষণ থাকলে হাসি আটকে রাখতে পারবো না,তাই সময় থাকতে কেটে পড়ি।।মনে মনে বললো ইলমাজ।

চা সব একঢোকে গিলে সেখান থেকে কেটে পড়লো ইলমাজ।।

স্যার কোথায় যাচ্ছেন,সরি স্যার চেচিয়ে বলতে লাগলো।।

ইলমাজ গাড়িতে হাতে হেলান দিয়ে হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়ছে।

চলবে।।

#The_boss

Aarizona Ella

Part: 18

সকালে মায়া অফিস গিয়ে বেশ থতমত করছে,যে কিভাবে সে ইলমাজকে ফেস করবে।।খুব্বলজ্জা লাগছে তার এমন স্বভাবে।।

আজ মায়া খুব তারাতাড়ি অফিস এসেছে,,আর আসা মাত্রই ইলমাজের কেবিনে গিয়ে হাজির।কিন্তু ইলমাজ এখনো আসে নি তাই মন বেশ খারাপ হয়েছে তার।।বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর ইলমাজের ক্যাবিনের বাহিরে এসে এনির রুমে গিয়ে বসলো।।

সারাদিন ইলমাজ আসার অপেক্ষা করলো সে,,কিন্তু ইলমাজ আজকে আসলোই না,।
মায়াকে এভাবে চিন্তিত দেখে এনি বলতে লাগলো,,

কি হয়েছে এভাবে গাল ফুলিয়ে রেখেছো কেন?(এনি)

ক,,কই না তো,কিছুই হয় নি,চাপা হেসে বললো এনি।।

এভাবে এক সপ্তাহ কেটে গেলো কিন্তু এখনো পর্যন্ত মায়া ইলমাজের চেহারা একবারও দেখলো না।।
গালে হাত দিয়ে এনির ক্যাবিনের চেয়ারে বসে আছে মায়া।।
হটাৎ এনিকে জিজ্ঞেস করে বসলো,,

এনি ম্যাম স্যারের কি কিছু হয়েছে?উনি অফিস আসছেন না যে?(মায়া)

আম,,শুনেছি তিনি নাকি অসুস্থ বেশ সপ্তাহ পাড় হয়েছে,তাই আসছেন না,,আর তুমি কেন জিজ্ঞেস করছো৷ হ্যাঁ?(এনি)

ন,না মানে স্যার তো অনেক পাংচুয়াল, এভাবে একসপ্তাহ আসতে না দেখেই জিজ্ঞেস করলাম।(মায়া)

বুঝেছি,এবার কাজ করো😒(এনি)

ওকে কিন্তু স্যারের বাড়ির লোকেশন টা একটু দিলে ভালো হতো, 😨আমতা আমতা করে বললো মায়া।

ওকে যাবার সময় মেসেজ করে দিব নাউ কাজ করো ইউ স্টুপিড।।😤(এনি)

ও,,ওকে ম্যাম।।

অফিস ছুটিতে যাওয়ার সময় মায়া ইলমাজের বাড়ির লোকেশন মেসেজ করে দিল,,আর সে অনুযায়ী মায়া ইলমাজের বাড়ির দিকে রওয়ানা হলো।। ঠিকানা অনুযায়ী এসে পৌছালো মায়া।।বাড়ির গেট দেখে চমকে উঠলো সে।।আর বলতে লাগলো,,

এটা কি বাড়ির গেট নাকি কোন সংসদ ভবন?😱কত্তবড় রে বাবা।।বাইরে থেকে গেটের ভিতরে উকি দিতেই মায়াকে সিকিউরিটি লক্ষ করে বাহিরে বেরিয়ে আসলো তারা দুজন ছিলো,,

মায়া থতমত খেয়ে দাঁড়িয়ে রইলো,, মায়াকে এমন করতে দেখে তাফের একজন বলতে লাগলো,,

কে আপনি?কা কে চাচ্ছিলেন?এখানে এভাবে উঁকি দিচ্ছিলেন কেন?

আ,,আস,,আসলে আমি বলতে চাচ্ছিলাম।,,এটা কি ইলমাজ রেহমানের বাড়ি??(মায়া)

হ্যাঁ কিন্তু আপনি কে?

আ,,আমি ইলমাজ স্যারের অফিসের এম্পলয়।।(মায়া)

নাম কি আপনার?

জ,,জ্বী মায়া আজহারি।।(মায়া)

আচ্ছা,একটু ওপেক্ষা করুন।

ফোনে কারও সাথে কথা বলে মায়ার দিকে এগিয়ে এসে ভিতরে যেতে বললো।। মায়া ভিতরে ঢুকে আবারো হা করে তাকিয়ে আছে,,যেনো সে তাজমহল এর বাহিরের দৃশ্য দেখছে,এতটা দারুন ভাবে আকৃত সব,,চারপাশে বাগান আর পানির ছোট ছোট কৃত্তিম ঝর্ণা আর তার মাঝখান থেকে নানান রঙের আলো জ্বলে জ্বলে উঠছে আর বাড়িটা যেনো রাজপ্রাসাদ।। মায়া যেনো স্বপ্ন দেখছে আর এই স্বপ্নের মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে তার।।

সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে ভিতরে প্রবেশ করলো সে,ভিতরে আরও অদ্ভুত রকমের সুন্দর যা মায়াকে আরও বেশি অবাক করছে।।

মায়া হা করে গোটা ঘর খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে,দেখতে দেখতেই কারও সাথে খুব স্বজেরে ধাক্কা খেয়ে গোঙ্গিয়ে উঠলো মায়া।।

আহহ,,,,(মায়া)

মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে লোক টি,যদিও সে আর কেউ না ইলমাজ।।ইলমাজকে দেখতেই ঢোক গিললো মায়া আর বলতে লাগলো,,

স,,স,,সরি স্যার,আমি খেয়াল করিনি।।(মায়া)

হ্যাঁ খেয়াল করবেন কি করে?আপনি যেভাবে আমার বাড়িকে নজর দিচ্ছিলেন।।(ইলমাজ)

ন,,না স্যার ত,,তেমন কিছু না😰(মায়া)

তাহলে কি?(ইলমাজ)

আমিতো আপনাকে খুজছিলাম!!(মায়া)

মায়ার কথায় ইলমাজ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো,,

আমাকে খুজছিলেন?ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো ইলমাজ।

না,মানে আপনি অসুস্থ শুনেছি আর সাতদিন অফিস আসেন নি,আর আমি এদিকেই যাচ্ছিলাম তো ভেবেছি আপনাকেও একটু দেখে যাবো।। (মায়া)

okay,,i m glad!! যে আপনি আমাকে দেখতে এসেছেন,,(ইলমাজ)

কয়েকজন কাজের লোক হল রুম পরিস্কার করছিলো,, তাই ইলমাজ মায়াকে বলতে লাগলো,

এখানে ক্লিনিং কাজ চলছে আপনি আমার সাথে আমার রুমে চলুন।।(ইলমাজ)বলা মাত্র ইলমাজ সিড়ি বেয়ে তার রুমের দিকে যেতে লাগলো, মায়াও তার পিছু পিছু যেতে লাগলো,,

ইলমাজের রুমে গিয়ে মায়া আবারও হা করে তাকিয়ে আছে,,বেশ রাজকীয় 😷।।

বসো,, সোফার দিকে ইশারা কিরে বললো ইলমাজ।

মায়া গিয়ে বসলো,,

তো কফি খাবে নাকি চা?(ইলমাজ)

না স্যার কিছু লাগবে না,ধন্যবাদ।। (মায়া)

আচ্ছা তো বলো কিভাবে আসা হলো? (ইলমাজ)

না স্যার আসলে আপনি গত কয়েকদিন যাবত অফিস আসছিলেন না,,আর এনি ম্যাম বলছিলেন আপনি অসুস্থ, আর আমি এদিকে যাচ্ছিলাম তো ভেবেছি আপনাকে একটু দেখে যায়।।(মায়া)

আহ আচ্ছা,,(ইলমাজ)

স্যার বাড়িতে কি আওঅঅনি একা থাকেন?মানে পরিবারের আর কাউকে দেখছি না যা

বাড়ির সবাই কাজিনের বিয়েতে গিয়েছে(মায়া)

তো আপনি যান নি যে?(মায়া)

আমার পক্স আই মিন এলারজি মে বি এটা হয়েছে,আর তাই দাদির কড়া আদেশ ঘর থেকে যেনো এক পা বের নাহয়।।(ইলমাজ)

ওহ,,এখন ঠিক আছেন তো? (মায়া)

হুম,,যা ই হোক, এদিকে কোথায় যাচ্ছিলে?(ইলমাজ)

উম,একটা ফ,,ফ্রেন্ড এর বাসায় যাচ্ছিলাম।।(মায়া)

তো এটা আমার বাড়ি তুমি কিভাবে জানলে?(ইলমাজ)

আ,,এনি ম্যামকে বলতে শুনেছিলাম তাই।।[মায়া)

আমাকে মিস করছিলে?(ইলমাজ)

ইলমাজের এমন প্রশ্নে রীতিমতো অবাক হলো মায়া।।

না স্যার,,আমি মিস করছিলাম না,হুদাই মিস করার কি আছে।।আচ্ছা আমি আসি এখন।।বলে মায়া উঠে যেতে লাগলো,,

মায়ার হাত ধরে হ্যাচকা টান দিতে ইলমাজের কোলে এসে বসলো মায়া।।মায়া চোখ ছানাবড়া করে তাকিয়ে আছে ইলমাজের দিকে।।।ইলমাজ তীক্ন দৃষ্টিতে মায়ার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।।।

চলবে।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here