#সুখের_নেশায় পর্ব ২৮

0
787

#সুখের_নেশায় পর্ব ২৮
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা

রাতের কালো অম্বর হুট করেই গুড়ুম গুড়ুম শব্দে ডেকে চলেছে। সঙ্গে সঙ্গে বজ্রপাতের আওয়াজ তরঙ্গিত হতেই চৈত্রিকার পুরো শরীর নড়ে উঠল। দেহের প্রত্যেক ভাঁজে ভাঁজে কম্পন ছড়িয়ে পড়ল তৎক্ষনাৎ। সাফারাত পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে উত্তেজিত সুরে বলে উঠল,
‘ ঠিক আছেন আপনি চৈত্র? জানালার ধারে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?সরে আসুন। ‘
চৈত্রিকা কম্পায়মান স্বরে প্রতুত্তর করে,
‘ ঠিক আছি আমি। অস্থির হবেন না।’
‘ পাগল বানিয়ে বলবেন অস্থির হবেন না। সেটাও শুনতে হবে আমার?’
সাফারাত গম্ভীর স্বরে কথাটা বলতেই চৈত্রিকার অধরযুগলে মৃদু হাসি খেলে গেল। ঘাড় ফিরিয়ে মাথা উঁচিয়ে তাকালো সাফারাতের দিকে। আচ্ছা সাফারাত কি শুনতে পাচ্ছে ওর বুকের দ্রিম দ্রিম শব্দ? বজ্রপাতের আওয়াজে চৈত্রিকা কেঁপেছিল সামান্য এবং ক্ষীণ। কিন্তু সাফারাতের স্পর্শ,ছোঁয়া, আলিঙ্গন প্রকটভাবে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ,হৃদপিণ্ড কাঁপিয়ে তুলছে। শরীরে,গালে তীব্র উত্তাপ অনুভব করছে চৈত্রিকা। অকস্মাৎ তাপমাত্রার বেড়ে যাওয়ার ফলে কি সাফারাত দায়ী?হৃদস্পন্দন তড়িৎ বেগে স্পন্দিত হচ্ছে। কোনো মতেই স্বাভাবিক হওয়ার নাম নিচ্ছে না।

চৈত্রিকার শাড়ি ভেদ করে উন্মুক্ত কোমরে হাত দু’টো শক্ত করে চেপে সাফারাত আরো কাছে টেনে নিল। হলদে আলোতে অমায়িক লাগছে তার বুকে অবস্থিত মেয়েটার ফর্সা মুখশ্রী টা। ওষ্ঠদ্বয় কেমন কাঁপছে। নড়বড়ে করে দিচ্ছে সাফারাতের সমগ্র সত্তাকে। শক্ত মনের সাফারাত যেন নিমিষেই দুর্বল হয়ে পড়ে চৈত্রিকার সন্নিকটে। চৈত্রিকা নরম স্বরে প্রশ্ন করে,
‘ সিনথিয়া,আয়ান কোথায়?’
‘ রোমান্স করছে। বাহিরে বৃষ্টির আগমনি বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে প্রকৃতিতে, সেই সাথে মন বার্তা দিচ্ছে রোমান্সের। আপনার কি ওদের রোমান্স করা সহ্য হচ্ছে না চৈত্র? আপনি চাইলে আমি আপনাকে নিয়ে প্রেমময় পুকুরে ডুব দিতে পারি। ‘
সাফারাতের তীক্ষ্ণ কন্ঠে এহেন কথা শুনে চৈত্রিকা থমকে গেল। চরম লজ্জা অনুভূত হলো ওর। নিজেকে সামলাতে সাফারাতের বুকের কাছের শার্ট খামচে ধরে নত মস্তকে বলে উঠল,

‘ শুনুন। ‘
সাফারাত কোমরের বাঁধন শিথিল করে গভীর দৃষ্টিতে চৈত্রিকাকে পর্যবেক্ষণ করে বললো,
‘ বলুন। ‘
‘ একটা প্রশ্ন করতে চাই সাফারাত। আসলে প্রশ্নটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। যদি আপনি বিরক্ত না হন, অনুমতি দেন তবেই করব। ‘

আমতা আমতা করে বলে চৈত্রিকা। সাফারাত চকিতে তাকালো। অনিমেষ দৃষ্টি নিবদ্ধ করে রাখতেই চোখে বিঁধে চৈত্রিকার চেহারায় ভয় ভয় ভাব। হয়ত সাফারাত রেগে যাবে ভেবে মেয়েটা ভিতরে ভিতরে ভয় পাচ্ছে। পুরুষালি ভরাট কন্ঠটা নরম করে অত্যন্ত আদরমাখা স্বরে বলে উঠল,
‘ করতে পারেন। ‘

একটু আগেই চৈত্রিকা, সিনথিয়া,আয়ান সকলে খাবারের পার্ট চুকিয়ে চিলেকোঠার ছোট ঘর টায় এসেছে। সিনথিয়া ও আয়ান একসাথে বাহির টা একটু ঘুরে দেখবে বলে রেস্ট নিতে আর ভেতরে আসে নি। ঘরের ভিতরে আসার পর চৈত্রিকার মস্তিষ্ক নানা প্রশ্নে জমে গেল। মনটা প্রচন্ড অনুশোচনায় ভুগছে। সাফারাত ও তার মাকে ওর জন্য অপমানিত হতে হয়েছে ভাবলেই চৈত্রিকার বুক টা ফেটে যাচ্ছে। চক্ষু কোটর জলে টুইটুম্বুর হয়ে উঠছে। মনে মনে পণ করেছে চৈত্রিকা সাফারাতকে সর্বোচ্চ সুখ দিবে ও। ভয়ংকর ভাবে ভালোবাসবে। কলংক মুছে দেওয়া যায় না তবে ঢেকে দেওয়া যায়। নতুনভাবে সুখে ভরিয়ে দেওয়া যায় মানুষের জীবন। তা-ই করবে ও। চৈত্রিকা মায়াময়,রিনঝিনে স্বরে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় সামনের বলিষ্ঠ পুরুষের নিমিত্তে।

‘ দিহান ও ওর মা যে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল তাতে আপনার সম্মতি ছিল?আপনি আগে থেকে জানতেন?’
সাফারাত স্বাভাবিক দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। চৈত্রিকার নেত্রে প্রবল আগ্রহ,উদ্দীপনা উত্তর জানার জন্য। তাৎক্ষণিক নির্লিপ্ত জবাব তার।
‘ জানতাম না। ‘
‘ মানে?’
‘ অফিসে ছিলাম। দিহান হঠাৎ ফোন করে জানায় তার সাথে জরুরি এক জায়গায় যেতে হবে। পরে গিয়ে দেখি আপনাদের বাসা। প্রথমে চমকে যায়। পরমুহূর্তে আন্টির কাছ থেকে জানতে পারি পাত্রী দেখতে এসেছে এখানে। আমি তখন অবাকের সর্বোচ্চ সীমায়। দিহান ও আন্টিকে কিভাবে দমাবো বুঝতে পারছিলাম না। আন্টির কাছ থেকে বায়োডাটা নিয়ে বলি আপনি ভালোভাবে মেয়ের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছেন আন্টি। তৎপরে উনি বলে মেয়ের বয়স একটু বেশি। মন তো মানছে না তবুও এক পলক দেখে আসি। তাতে যা বুঝার বুঝে গেলাম। আন্টি আর যা-ই হোক আপনাকে পুত্রবধূ বানাবেন না। কারণ উনার স্বভাব সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত আমি। উনি ঠিক পাশের বাসার আন্টিদের মতো। ‘
চৈত্রিকা কটাক্ষ করে বললো,
‘ পাশের বাসার আন্টি মানে?’
সাফারাত চৈত্রিকার মাথায় হাত রেখে বলে,
‘ আপনাকে বেশি বেশি শাকসবজি, বাদাম,মাছ,দুধ,ডিম খাওয়াবো যেন বুদ্ধি হয়। মাথামোটা মেয়ে। পাশের বাসার আন্টি বুঝেন না?যাদের স্বভাব অন্যের সংসারে ঘাটাঘাটি করা। সমালোচনা করা। মেয়েদের বিয়ে না হলে অথবা বেশি বয়স হলে তিরস্কার করতে করতে নাওয়া খাওয়া ঘুম ছেড়ে দেওয়া। এমন টাইপ আরকি!দিহানের মা’র স্বভাবও ঠিক তেমন। ‘

সাফারাত চৈত্রিকাকে বুঝাতে বুঝাতে হাঁপিয়ে গেল। মুখে বিরক্তভাব স্পষ্ট ও অতীব। অতিরিক্ত কথা বলা তার ধাঁচে নেই। তবুও দাঁতে দাঁত চেপে চৈত্রিকা কে বুঝাতে মাঠে নেমে পড়ল সে। চৈত্রিকা যেন এবার চট করে বুঝে নিল। মাথা দুলিয়ে উৎফুল্ল কন্ঠে বললো,
‘ বুঝেছি। ‘
‘ ধন্যবাদ আপনাকে মিসেস চৈত্র। বুঝে আপনি সাফারাত এহমাদ কে ধন্য করেছেন। ‘
চৈত্রিকা কিঞ্চিৎ লজ্জা পেল সাফারাতের কথায়। সাফারাত বুঝি উপহাস করল তাকে নিয়ে?
‘ যা-ই হোক। আমি সেদিন অনেক বছর পর প্রথম মুখোমুখি হয়েছিলাম আপনার। আপনি জানেন চৈত্র আমি আপনার ব্যাথায় বারংবার ওড়নার নিচে লুকিয়ে ফেলা দাগ পড়ে যাওয়া হাত টা দেখে পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম প্রায়? আমার ইচ্ছে করছিল আমি আপনাকে ছুঁয়ে দিই। আপনার সকল ব্যাথা নিজের মধ্যে কেঁড়ে নেই। আঁড়চোখে আমি সারাটা সময় শুধু আপনাকেই পর্যবেক্ষণ করেছি। আমার ভাবনায় ছিল আন্টি বিয়েটা নাকচ করে দিবে কিন্তু ওইভাবে অপমান করবে আমি কল্পনাও করি নি। একদম অপ্রত্যাশিত ছিল চৈত্র। আপনাকে কষ্টে দেখার ক্ষমতা আমার নেই। কেবল আমি জানি কত কষ্টে আন্টির সেই কটু বাক্য হজম করে নিজেকে সামলিয়েছি। ‘

সাফারাত এটুকু বলে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে। টিনের চালে বৃষ্টির ফোঁটা ঝমঝম আওয়াজ তুলছে। তীক্ষ্ণভাবে তা কর্ণ গহ্বরে প্রবেশ করছে দু’জনের। সেই সাথে চৈত্রিকা পুনরায় শুনতে পেল সাফারাতের গম্ভীর স্বর।

‘ সেদিন আপনার হাতে আঘাতের কারণ কি আপনার বাবা ছিলেন চৈত্র? আমি খেয়াল করেছি আপনি ঘাবড়াচ্ছিলেন, ভয় পাচ্ছিলেন আপনার বাবাকে। ‘

‘ বাবা!’ এই শব্দটা চৈত্রিকার অভ্যন্তরে ঝড় তুলল। সাফারাতকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল চৈত্রিকা। বুকে মুখ গুঁজে কেঁদে দিল না চাইতেও। সাফারাত বাহুবন্ধনে শক্ত হাতে আবদ্ধ করে জানাল,

‘ মানুষ একটা সময় বুঝতে পারে নিজের ভুল। কিন্তু স্বভাব ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারে না। অভিমানের পাল্লায় সিক্ত হয়ে মানুষ জীবনে যেই ভুল টা করে বসে তা অনেক সময় সংশোধন করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আপনার বাবার কাছেও হয়ত কঠিন ছিল। চেয়েও শেষ সময়ে হয়ত সংশোধন করতে পারেন নি। ‘

অবাক নেত্রে তাকালো চৈত্রিকা। সাফারাত কি বলছে এসব?এসবের অর্থ কেন উদ্ধার করতে সক্ষম হচ্ছে না ও?কোনো প্রশ্ন করার আগেই সাফারাত তাড়া দিয়ে বলে উঠল,

‘ থাকবেন না-কি আজ এখানে?থাকলে কিন্তু একদম ছাড়ব না। বিয়ে করেছি অথচ বাসর টা কিন্তু এখনও বাকি। আপনি চাইলে আজ হয়ে যেতে পারে। ‘

চৈত্রিকার পেট মোচড় দিয়ে উঠল মুহুর্তেই। চোখের দৃষ্টি এদিক ওদিক করতে লাগল অনবরত। সাফারাতের ঠোঁটে বাঁকা হাসি। চৈত্রিকার রক্তিম গালে ঠোঁট ছুঁয়ে বলে,

‘ একটা ছাতার ব্যবস্থা করেছি। চলুন। আর সিনথিয়ারা চলে গেছে। ওর ছেলে আবার মাকে বেশিক্ষণ দেখতে না পেলে তুফান করে ফেলে। ‘
হতবাক হয়ে পড়ল চৈত্রিকা।
‘ সিনথিয়ার ছেলে আছে?’
‘ ছয় বছরের। আপনার সাথে ওর মিট করাবো ইনশাআল্লাহ। ‘
.
.
এক ছাতার নিচে কি দু’জন আঁটে?তাও সাফারাতের মতো বলিষ্ঠ,সুঠাম দেহের পুরুষ থাকলে?চৈত্রিকা যেন না ভিজে সাফারাত সম্পূর্ণ দেহ ছাতার বাহিরে রেখে নিজের অর্ধাঙ্গিনীর কোমল দেহ টা রক্ষা করে উপরে ছাতা ধরে। চৈত্রিকা অনেকবার বলার পরেও সাফারাত জানায় ও ভিজতে অভ্যস্ত। কিন্তু তা মিথ্যে কথা। নয়ত চৈত্রিকা রাজি হত না। মেয়েটার ছোট বেলায় একবার নিউমোনিয়া এসেছিল। এটা সাফারাতের জানা। তাই কোনো মতেই ভিজতে দেওয়া যাবে না ওকে। গাড়ির দরজা খুলে বসিয়ে দিল সাফারাত চৈত্রিকাকে। তন্মধ্যে ভিজে সে চুপচুপে। সাদা শার্ট গায়ের সাথে মিশে গেছে একদম। চোখ মুখ, নাক লাল হয়ে গিয়েছে।

প্রায় কয়েক ঘন্টায় লম্বা রাস্তা অতিক্রম করে চৈত্রিকারা ঢাকা পৌঁছাল। অবাক করা ব্যাপারে এখানে কোনো বৃষ্টি নেই। ছিটেফোঁটাও নেই পানির। গাড়ি চালানোর সময় বাতাসে সাফারাতের শার্ট কিছুটা শুকিয়ে গেছে।
গেইটের সামনে গাড়ি থেকে নেমে পড়ল চৈত্রিকা। পিছু পিছু নামল সাফারাত। সাফারাতের দিকে এক পলক চেয়ে চৈত্রিকা আসি বলেও থেমে গেল। ঘাড় ফিরিয়ে বিচলিত নয়ন নিক্ষেপ করে সাফারাতের মুখ পানে। এক ভ্রুঁ উঁচিয়ে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকায় সাফারাত। চৈত্রিকা সময় নেয় না। চারপাশে চোখ বুলিয়ে লাফ দিয়ে সাফারাতের গলা আঁকড়ে ধরে। হতভম্ব, বিস্মিত হয়ে পড়ে সাফারাত। নরম দেহটা আঁকড়ে ধরতেই পা দুটো উঁচিয়ে কপালে ভালোবাসার প্রথম পরশ একেঁ দেয় চৈত্রিকা। উম্মাদ করে তুলে সাফারাতকে। নিমেষে হাতের বাঁধন তীব্র থেকে তীব্র কঠিন করে বলে,

‘ যেতে দিতে ইচ্ছে করছে না আর চৈত্র মাস। ‘
_______________

আজ সকাল সকাল অফিসে চলে আসে চৈত্রিকা। গত রাতে সাফারাতকে অনেক বুঝিয়ে বাসায় যাওয়ার সুযোগ পায় ও। সাফারাত যেন গতরাতে অতিরিক্ত জেদী ও একরোখা হয়ে গিয়েছিল। চৈত্রিকার অসহায় দৃষ্টিতে শেষমেশ ছাড়তে বাধ্য হয় সে। তবুও বাসায় গিয়ে অনেক রাত অব্দি কথা বলতে হয় ফোনে সাফারাতের সাথে। ঘন্টা পেরিয়ে যেতেই সাফারাতের গম্ভীর সেই চিরপরিচিত স্বর অন্যরকম ঠেকছিল। কেমন যেন কথাগুলো কন্ঠনালিতে জড়িয়ে আসছিল। চৈত্রিকার মনে হচ্ছে সাফারাত অসুস্থ। সকাল বেলা অনেক ফোন করেও পাওয়া যায় নি তাকে। তাই অফিসে এসেছে কি-না দেখার জন্য তাড়াতাড়ি এসে হাজির হলো। এসেই দেখে মোনা নিজের হাত ব্যাগ নিয়ে কোথায় যেন যাচ্ছে। হন্তদন্ত হয়ে ছুটে গেল চৈত্রিকা মোনার কাছে। তড়তড় করে উচ্চারণ করে,

‘ গুড মর্নিং ম্যাম। ‘
মোনার চোখে ক্ষোভ। মুখে বললো,
‘ বেড মর্নিং। আমি স্যারের বাসায় যাচ্ছি। তুমি আমার ডেস্কের ফাইলগুলো গুছিয়ে পিয়ন কে দিয়ে স্যারের বাসায় পাঠিয়ে দিও।’
‘ কেন?’
না চাইতেও চৈত্রিকার মুখ দিয়ে প্রশ্নটা বেড়িয়ে এলো। নিজের উদ্বিগ্নতা চেপে রাখতে পারছে না। মোনার ভ্রুঁ যুগল কিঞ্চিৎ ললাট ছুঁয়ে দেয়। সন্দেহের তীর মেরে বললো,
‘ স্যারের জ্বর। ভীষণ সিক তিনি। কিন্তু তুমি এতো উদগ্রীব কেন?’
সাফারাতের জ্বর?চৈত্রিকার মনে হলো কেউ ওর অন্তস্থলে ছুরি আ/ঘা/ত করেছে। তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,
‘ এমনি। ‘
মোনার সন্দেহ গেল না। চৈত্রিকা কে একটা শিক্ষা দেওয়ার ইচ্ছে জাগে মনে। হতে পারে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। এই মেয়েকেও সাফারাতের আশেপাশে দেখতে হবে না। মুখে মেকি হাসি টেনে বলে উঠল,
‘ এক কাজ করো। ফাইল গুলো নিয়ে এসো। তুমিও যাবে আমার সাথে। ‘

#চলবে,,,!

(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here