#Your_psycho Part_21+22

0
462

#Your_psycho Part_21+22
#A_Devils_Love

#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.

.

.
রশ্নি আর ইয়াশের গায় হলুদ একসাথেই হচ্ছে।

ইয়াশ সেই কখন থেকে বসে রশ্নির জন্য ওয়েট করছে কিন্তু তাদের সাজানো যেন শেষই হচ্ছে না।

ইয়াশ পার্লারের মেয়ে গুলোকে বলে দিয়ে এসেছে যেন রশ্নিকে সুন্দর করে সাজিয়ে দেয় আর তা জোর করে হলেও।

তবে ইয়াশ আতঙ্কের মাঝেও আছে!
এই না আবার খবর আসে
বেশি জোরাজোরি করার কারনে রশ্নি ওদের মার্ডার করে দিয়েছে।

কোনো ভরসা নেই এই মেয়ের
সব কিছু করতে পারে।

বেশ কিছুক্ষণ পর রশ্নিকে আনা হলো।

তবে রশ্নিকে আজ দেখতে একদম নিরীহ লাগছে।
যেন অবলা একটা পাঠাকে বলি দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

রেহেনা আর নিলাসা বেগম রশ্নিকে নিয়ে গিয়ে ইয়াশের বসালো

ইয়াশ হা করে তাকিয়ে আছে রশ্নির দিকে কারন ওকে আজ সিম্পলের মধ্যেও গর্জিয়াস লাগছে।

কিন্তু ইয়াশ আজ রশ্নির মুখের সেই তেজটা খুঁজে পাচ্ছে না।
এদিকে ইয়াশের এভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে অনেকে অনেক হাসি ঠাট্টা শুরু করে দিয়েছে।

কিন্তু সেগুলো আজ রশ্নিকে ইফেক্ট করছে না। ও কাঠের পুতুলের মতো সোজা হয়ে বসে আছে।

.

একের পর এক মানুষজন এসে রশ্নিকে হলুদ লাগিয়ে দিচ্ছে।
আর আজাইরা যত কথা আছে সব বলছে। যেমন একজন আন্টি বললো:-
“আগের বার তো তোমার মা বাবার বিয়েতে আসছিলাম! আর এবার তোমার বিয়েতে আসলাম। আমাদের চিনতে পারছো? চিনবেই বা কি করে তখন তো তুমি জন্মই হও নি। হেহেহে”

বলে ওরা নিজেরা নিজেরাই হাসতে লাগলো।

কিন্তু ইয়াশ এদের কথার মাঝে হাসার মতো কিছু দেখছে না।

আবার ভদ্রমহিলা বলা শুরু করলেন-
– কিন্তু ইয়াশ বাবা তোমার তো আমাদের মনে থাকার কথা। তখন তো তুমি বয়স ২-৩ বছরের ছিলা।

ইশশশশশ….ভাবছিলাম আমাগো সাদিয়া বা মিম বড় হইলে যে কোনো একটারে ইয়াশ বাবার গলায় ঝুলাই… না মানে ইয়াশ বাবার সাথে বিয়ে দিব ভাবছিলাম।

কিন্তু ওমা কয়েক বছর পর দেখি হঠাৎ কোথাথেকে এই মেয়ে জন্ম নিলো তারপর ইয়াশ বাবার এরে মনে ধইরা গেল।

আর আমাগো সাদিয়া মিম…..

নিলাসা বেগম বুঝতে পারলো ইয়াশের সহ্যের বাঁধ যে কোনো সময় ভেঙে যেতে পারে তাই উনি তাড়াতাড়ি করে ভদ্রমহিলাকে সেখান থেকে নিয়ে গেলেন।

কিন্তু রশ্নি তাও ওভাবেই পুতুলের মতো বসে আছে।

বান্ধবী…!!!!

“বান্ধবী” বলে চিল্লানো শুনে রশ্নি সামনের দিকে তাকালো।

ওর পুরা বাদর বাহিনী থুক্কু টিম তুফানি
লাফাতে লাফাতে এসে রশ্নিকে জড়িয়ে ধরলো।

সুপ্তি: মাম্মা পুরাই সেই লাগতাছে।
আমি পোলা হইলে তোরে তুইলা নিয়া যায়া বিয়া করতাম।

অনু: সত্যিই তোরে এর আগে কখনো এভাবে দেখি নাই। পুরা অন্য রকম লাগতাছে।

শুভ: দেখতে হবে না বোনটা কার।

কাশিকা রশ্নির কানের কাছে ফিসফিস করে
বললো:- আমার ক্রাশটারে নিয়ে নিলি হালি।

ওর কথা শুনে অন্তর ওর মাথায় বাড়ি মারলো।

কাশিকা: আউচ্!
অন্তর চোখ রাঙিয়ে তাকালো!
কাশিকা: 😏
অন্তর: কিন্তু তুই কিছু বলতাছস না কেন? (রশ্নিকে ঝাঁকিয়ের)
রশ্নি: হুম…সানা আসে নি?
রাতুল: না রে! সেই যে নানু বাড়ি গিয়েছিল এখনো কোনো খোঁজ খবর নাই।
রশ্নি: ও!
বলে আবার নিচের দিকে তাকিয়ে বসে রইল।
অন্তর: তবে রশ্নি কিন্তু বলছিল ও কখনো বিয়ে করবো না কিন্তু আজ আমাদের সবার আগে করে ফেললো।
সবাই একসাথে হেসে দিলো।

সবাই একসাথে উড়াধুরা ডান্স করছে এদের দেখে মনে হচ্ছে যেন এদের উপর ভূত পেত্নী ভর করেছে।
(ঢাকাইয়াদের বিয়ে বলে কথা🥴)

হঠাৎ একটা হাত এসে রশ্নির গালে গভীর স্পর্শ করল।
হ্যা এই হাত আর কারো না! আমাদের ইয়াশ ওরফে সাইকোরই।

ইয়াশ হলুদ হাতে নিয়ে রশ্নির গালে স্পর্শ করছে।
তবে হলুদ টা শুধুই উসিলা! আসল উদ্দেশ্য তো নিজের প্রিয়সীকে ছোয়া!

এতক্ষনে রশ্নি মুখ তুলে ইয়াশের দিকে তাকালো।

রশ্নির চোখ গুলো রক্তবর্ণ ধারণ করে আছে যার
মাঝে হাজার ক্ষিপ্ততা আর কষ্টের অনুভূতিগুলো পানির রূপ ধারণ করে রেখেছে।

ইয়াশের সহ্য হচ্ছে না রশ্নির এই অবস্থা কিন্তু ও নিজেও নিরুপায়। না চাইতেও রশ্নির ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেতে হচ্ছে।

রশ্নি ইয়াশের হাতটা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না।

ইয়াশ এবার নিজের মন মতো রশ্নিকে হলুদ দিয়ে রাঙিয়ে দিয়ে নিজেই হাত সরিয়ে নিল।

এর মধ্যে অনু আর দিপু এসে ইয়াশকে নাচার জন্য নিয়ে গেল।

রশ্নিকে চেয়েছিল কিন্তু ওর চোখ গরম করা দেখে আর সাহস হয়ে উঠেনি।

.
রাতে–◆●৹>

রশ্নি হাটু তে মুখ গুজে কাঁদছে।
তার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না ও সেই মানুষটাকেই বিয়ে করতে যাচ্ছে যাকে ও সব থেকে বেশি ভয় পায়।

তার থেকেও বড় কথা,
তার পাপাইও তাকে বিশ্বাস করলো না।

ভাবতেই বুকটা ফেটে যাচ্ছে।

–“ভালোই হবে আমার বিয়ে হয়ে গেলে!
ওই জল্লাদ চৌধুরীর হাতে দুই বেলা নাহয় দুটা থাপ্পড়ই খাবো। কিন্তু সেখানে আমার মিষ্টি তো আছে
আমাকে আদর করার জন্য। মিষ্টিই তো একমাত্র মানুষ যে আমাকে ভালোবাসে,বিশ্বাস করে।
আর এই বাড়িতে আসবো না।”

বলে আবার কাঁদতে লাগলো।

হঠাৎ দরজার ঠকঠক শব্দ শুনে রশ্নি সেখানে তাকায়।
দরজা খুলে যাওয়াতে তার মুখে এক গুচ্ছ আলো এসে
পরে….

দরজার ওপারের মানুষটা এবার ভিতরে প্রবেশ করলো।

তাকে দেখেই রশ্নি ভ্রু কুচকালো!
–তুমি?

.

●◆■—পরের দিন—■◆●

আজ ইয়াশ রশ্নিকে দেখে শুধু অবাকই হচ্ছে।

কারন রশ্নিকে কালকের মতো একদমই মনমরা লাগছে না। সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে।

আর একটা আজব ব্যাপার,
ইয়াশের সাথে চোখাচোখি হয়ে যাওয়াতে ব্লাশ করছে।

ইয়াশএর কেন যেন খটকা লাগছে।

.

না ইয়াশের কিছুতেই রশ্নির হাব ভাব ভালো ঠেকাচ্ছে না। রশ্নির সাথে কথা বলতে হবে।

ইয়াশ রশ্নিকে আলাদা কথা বলার জন্য বারবার আই কন্ট্রাক্ট করার চেষ্টা করছে,
কিন্তু এই মেয়েটা বারবার লজ্জায় মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে।🙄

ইয়াশের এই নেকামোটা জাস্ট বিরক্তিকর লাগছে।
শেষে রশ্নির লজ্জা ওভারলোড হয়ে সেখান থেকে উঠেই চলে গেল।

ইয়াশ: WTF😑

এর মধ্যেই নিলাসা বেগম ইয়াশকে তার কাছে ডাকলেন।

ইয়াশ: হ্যা বলো।

নিলাসা: এটা আজ রশ্নি বিয়েতে পড়বে। দেখ তো লেহেঙ্গা টা কেমন?

ইয়াশ: এসব আমাকে দেখাচ্ছ কেন?

নোভা: বাহ রে যার বউয়ের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে তার পছন্দ হতে হবে না?

ইয়াশ: তো রশ্নিকে জিজ্ঞেস করো।

নিলাসা: ওকে দেখানো হয়েছে আর ওর খুব পছন্দও হয়েছে ডিজাইনটা।

ইয়াশ: আমার দরকার টা কি জানতে পারি?

নিলাসা: হ্যা এখন তুই গিয়ে এটা ওকে দিয়ে আয়।

ইয়াশ: আমি কেন দি……ঠিক আছে দাও।

বলে নিলাসা বেগমের হাত থেকে লেহেঙ্গার প্যাকেটটা নিয়ে রশ্নির রুমের দিকে চলে গেল।

সবাই: 🙄

.

ইয়াশ রশ্নির কাছে ব্যাগটা দিতে যায়।

রশ্নি: আরেহ আপনি? আর ওটা আপনার হাতে কি?

রশ্নি গিয়ে ইয়াশের হাত থেকে লেহেঙ্গা টা নিয়ে দেখতে থাকলো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে রশ্নি বেশ খুশি।

ইয়াশ: হঠাৎ এত পরিবর্তন?

রশ্নি: মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।

ইয়াশ: ওহ রিয়েলি? তোমার কি মনে হয় আমি এতটাই বোকা যে তুমি যা বলবে আমি তাইই বিশ্বাস করে নিবো।

রশ্নি: বিশ্বাস না করতে চাইলে তো আর আমি জোর করতে পারি না।

ইয়াশ: বিশ্বাস করার কথাও না। তুমি আর মানিয়ে নেওয়া? কখনো সম্ভব?
তোমার আর মানিয়ে নেওয়ার মাঝে যে ফ্রিজ আর চেয়ারের মতো সম্পর্ক সেটা কি আমি জানি না।

রশ্নি: ফ্রিজ আর চেয়ার আবার কিভাবে রিলেটেড

ইয়াশ: সেটাই তো! যেমন তাদের মাঝে কোনো সম্পর্ক নেই তেমনই তোমার আর মানিয়ে নেওয়ার মাঝে কোনো সম্পর্ক নেই।

রশ্নি: হাহাহা ফানি ছিল।

ইয়াশএর এবার প্রচুর রাগ উঠছে।

ইয়াশ রশ্নির বাহু চেপে ধরে নিজের দিকে ঘুরালো।
ইয়াশ: কি হয়েছে? হঠাৎ এত পরিবর্তন হলো কেন তোমার? কোনো ঝামেলা করছো না সব কিছু মেনে নিচ্ছ ব্যাপার কি?

রশ্নি: আমি আবার কবে ঝামেলা করলাম?

ইয়াশ: রশ্নি…..

রশ্নি: আমি না মেনে নিলে কি আমায় ছেড়ে দিবেন?
আপনিই তো বলেছেন, আমি না মানলেও আমি আপনার তাহলে আমার মানা বা মানা দিয়ে কি আসে যায়?

রশ্নির কথা শুনে ইয়াশ আর কিছু বলতে পারল না। ওকে ছেড়ে দিলো।

.

সন্ধ্যায়—-★★★

ইয়াশ ল্যাপটপে ইম্পরট্যান্ট কিছু কাজ করছিল
তখনই হঠাৎ ওর দরজায় নক পরে।

ইয়াশ গিয়ে দরজাটা খুলে দেয়। রশ্নি এসেছে।

ইয়াশ কিছু বলতে যাবে তার আগেই
রশ্নি গিয়ে হঠাৎ ওকে ঝাপটে ধরে।

ইয়াশ বেশ অবাক হয়।

ইয়াশ: রশ্নি তু…

ইয়াশের কথা শেষ হওয়ার আগেই রশ্নি ওর ঠোট দখল করে নেয়।

ইয়াশএর মাথায় মহাশূন্য ভেঙে পড়ল!

ইয়াশ ওকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিলো।

ইয়াশ: কি হয়েছে তোমার?

রশ্নি গিয়ে আবার ইয়াশকে কিস করলো।
ইয়াশ আবার রশ্নিকে সরিয়ে দিল।
ইয়াশ: রশ্নি…..!!!!

রশ্নি এবার ইয়াশকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলো।
তারপর ওর উপর উঠে ওর গলায় মুখ ডুবালো।

ইয়াশ কিছু বুঝে উঠার আগে রশ্নি ইয়াশের শার্টের বোতাম খুলতে শুরু করলো।

ইয়াশ এবার রশ্নিকে ঘুরিয়ে নিজে ওর উপর নিজের ভার ছেড়ে দিলো।

তারপর ওর হাত বিছানার সাথে চেপে ধরলো।

ইয়াশ: পাগল হয়ে গিয়েছো তুমি?

রশ্নি: হ্যা আপনার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছি আমি। আপনি পাগল করেছেন আমায়।

বলে আবার ইয়াশকে কিস করার জন্য মুখ এগিয়ে নিয়ে গেল।

ইয়াশ রশ্নিযে রেখে উঠে গিয়ে দরজা লক করে দিলো।

ইয়াশ: কি হয়েছে তোমার? এমন করছো কেন? যদি কেউ দেখে ফেলতো তাহলে ভাবতে পারছো কি হতো?

রশ্নি নিজের মুখের ড‍্যাম কেয়ার ভাবটা আবার ফুটিয়ে তুললো।

রশ্নি: আই ডোন্ট কেয়ার।
বলে ইয়াশের রুম বেরিয়ে গেল।

ইয়াশ: এর যে কি কি হয়।🙄

.

রাতে–★★★

রশ্নির সব ফ্রেন্ডসরা রশ্নিকে সাজিয়ে দিচ্ছে।
আর সবাই একসাথে বসে আড্ডা মারছে।

কাশিকা: তবে একটা জিনিষ ভালো হয়েছে। রশ্নির বিয়েটা একদম কাছাকাছি হচ্ছে।
বিদায়ের টাইমে কেঁদে মেকআপ নষ্ট হবে না😁

সবাই: 🤦

তখন সেখানে শাহানা বেগম আসেন।

শাহানা: তোমরা সবাই একটু বাহিরে যাও তো আমার রশ্নির সাথে একটু আলাদা কথা আছে।

সবাই বাহিরে চলে গেল।

আমার রিডার্সদের আবারো অবাক করে দিয়ে
রশ্নি গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলো।

রশ্নি: সরি বড় আম্মু আমি তোমায় এতদিন ভুল বুঝেছিলাম
কিন্তু আসলে তুমিই আমায় বুঝো।

শাহানা বেগম রশ্নির থুতনি ধরে মুখটা উপরে তুললেন তারপর ওর কপালে চুমু খেলেন।

.

প্রায় আধা ঘন্টার ঘন্টার বেশি হয়ে গিয়েছে
কিন্তু রশ্নির আসার কোনো নামই নেই।

কাজী সাহেব বারবার তারা দিচ্ছেন।

আরো পনেরো মিনিট পর–
ইয়াশ: সুপ্তি রশ্নি কোথায়?

সুপ্তি: ও তো নিজের রুমেই ছিল।

ইয়াশ: আমার মনে হয় এবার আমাদের নিজেদের গিয়ে দেখা উচিৎ।

রাশিদ: হ্যা ইয়াশ ঠিক বলছে। আমি যাচ্ছি।

সবাই রশ্নির ঘরের দরজায় একের পর এক বাড়ি দিয়েই চলেছে কিন্তু রশ্নির কোনো সাড়া শব্দ নেই।

অন্তর: কি করবো এখন?
রাতুল: দরজা ভাঙবো?
শুভ: আমারও মনে হয় তা করাই ঠিক হবে।
ইয়াশ: হুম!

ইয়াশ: আমার আগেই সন্দেহ হচ্ছিল
আমি জানতাম এই মেয়ে এত সহজে সবটা মেনে নিবে না। কিন্তু সুইটহার্ট আজ যদি তুমি বাই মিসটেকও যদি তুমি লিমিট ক্রস করেছ তো এটাকে আমি তোমার সব থেকে বড় ভুলে রূপায়ন করে দিব–মনে মনে)

ইয়াশ গিয়ে এক ধাক্কাতেই দরজাটা ভেঙে দিলো।

.

সবাই অবাক! কারন সেখানে রশ্নি নেই।

শুধু মাটিতে রশ্নির লেহেঙ্গার স্কার্টটা পরে আছে।
আর সেখানে একটা লেটারও আছে।

সবাই ইয়াশের রিয়েকশন দেখার জন্য ওর দিকে তাকিয়ে আছে।

ইয়াশ এবার বুঝতে পারছে কেন রশ্মি ওই টাইমে ইয়াশের কাছে এসেছিলো।

ইয়াশ কোনো ভাবে নিজেকে কন্ট্রোল করে সেই লেটার টা হাতে নিলো। তারপর ওটা খুলে পড়া শুরু করলো।
সেটার মধ্যে লিখা;

Huh….সবাইকে চমকে দিলাম তো?
শুনো আমি তোমাদের থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছে সো আমাকে খোঁজার চেষ্টাও করো না।
আর মাই ডিয়ার আম্মাজান,
কি ভেবেছিলে? রশ্নিকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিবে তাও আবার ওই উগান্ডার প্রেসিডেন্টের সাথে?
আর তা রশ্নি মেনেও নিবে, লাইক সিরিয়াসলি?
তোমরা এটা ভাবলেও কিভাবে? এতটা dumb কবে হলে?
আর পাপাই তুমিও আমার সাথে এমনটা করতে পারলে?
আমি জানি আমি আজ যা করেছি তা তোমরা এক্সপেক্ট করোনি বাট আমিও তোমাদের থেকে এটা এক্সপেক্ট করিনি।
আর এবার নিশ্চই তোমরা ওই ড্রামাটিক লাইন টা বলবে যে আমি তোমাদের মান সম্মানের কথাও ভাবলাম না, রাইট?
ডু ইউ নো হোয়াট গাইজ? রশ্নি এনায়াত খান ওসব স্টুপিড মেয়েদের লিস্টে পরে না।
তোমরা তো জানোই আমি কতটা সেলফিশ। তাই আমার কাছে কারো মান সম্মান থেকে নিজের জীবনটা অনেক বেশি দামি। আর তাদের মান সম্মান থেকে তো বেশিই যারা নিজের মেয়েকে বুঝে না, জোর করে বিয়ে দিয়ে দেয়।
এক বস্তা আলসেমির কারনে আর কিছু লিখতে পারলাম না সো বায়…. নো নো নো ওয়েট ওয়েট…
মাই ডিয়ার সো কল্ড হবু জামাই মিস্টার জল্লাদ চৌধুরীকে তো কিছু বললামই না।
তো জল্লাদ চৌধুরী…. এবার নিজেই নিজেকে বিয়ে করে নিন আর রশ্নিকে বিয়ে করার ডে ড্রিম দেখা বন্ধ করুন,,নাও বায়!!
,
ইয়াশ মুচড়ে কাগজ টা ফেলে দিলো।


।#Your_psycho
#A_Devils_Love
#Part_22

#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.

.

.
রাতের শহরে রশ্নি বাইক চালিয়ে দিশাহীন ভাবে এগিয়ে চলেছে। পরনে জিন্স আর তার উপর লেহেঙ্গার টপটা। আর হাতে কোকের বোতল।

সরু রোডের দুই পাশের গাছপালা গুলো বাতাসের সাথে সুর তুলছে
যা আকাশ থেকে অশ্রু ঝরার আগে মুহূর্তের জানান দিচ্ছে।

সব মিলিয়ে মন মাতানোর মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

তবে এত সুনসান একটা জায়গায় একা থাকার পরেও রশ্নির মনে কোনো ভয় কাজ করছে না।

তার শুধু মনে হচ্ছে আজ সে তার নিজের জীবনের সব থেকে বড় আর সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বড্ড খুশি আজ সে।
কিন্তু কেন যেন চোখ দিয়ে পানির ধারা বয়ে যাচ্ছে।

কেন তা জানা নেই। খুশির কান্নাও না আবার কোনো কষ্ট বা অনুষচনও অনুভব করতে পারছে না।

চোখের পানি মুছে নিল। তারপর দুই হাত উপরে উঠিয়ে মন খুলে একটা চিৎকার দিলো।

রশ্নি– হুহ ওই জল্লাদ চৌধুরী ভাবে সে একাই বুদ্ধিমান আর আমাদের মাথায় ঘিলু নাই।
বুঝতেও পারলো না যে ওই টাইমে আমি কিভাবে ওকে নিজের জালে ফাঁসিয়ে ওর থেকে নিজের বাইকের চাবি নিয়ে চলে এসেছি।😆

কিন্তু আমার ওই সাইকোটাকে কিস করতে হলো!😖

কিন্তু পিও শাহরুখ খান বলে না
Kabhi kabhi jeetne ke liye kuch haarna bhi padta hai … aur haar kar jeetne waale ko baazigar kehte hai😎

আর ওটা ফার্স্ট টাইমও ছিল না সো চিল!

Huh….আসছিল রশ্নিকে বিয়ে করতে। নে এখন নিজেই নিজেকে বিয়ে কর।

বলে রশ্নি কোকের বোতলটা পিছনে ফেলে দিলো কিন্তু আজব ব্যাপার কোনো আওয়াজ হলো না.. যাক রশ্নি সেদিকে ধ্যান দিলো না।

বাইকের স্প্রীডআপ দিলো।
.

বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর রশ্নি লক্ষ করলো কিছুটা দূরে সাদা রঙের কিছু দেখা যাচ্ছে।

রশ্নির এখন ভয় হচ্ছে! কেমন যেন গলা শুকিয়ে আসছে।
যদি কোনো ভূত টুত হয়?

ভূত দেখার রশ্নির অনেক আগের থেকেই ইচ্ছে ছিল তবে এভাবে একা না।
যদি ঘাড় টার মোটকে দেয়😐

রশ্নি ইগনোর করে সাহস নিয়ে এগিয়ে গেলো।

আগে বেরেও গেল কিন্তু হঠাৎ পিছন থেকে কে যেন ডেকে উঠলো!

রশ্নি তাড়াতাড়ি ব্রেক লাগায়।

রশ্নি: আমার চল্লিশায় কাওকে দাওয়াতও দেওয়া হলো না!

রশ্নি এসব ভাবছে তখনই কেউ ওর কাঁধে হাত রাখল…

রশ্নি: আআআআআআআ আম্মুঊঊঊঊঊঊ…..
— কাম ডাউন কাম ডাউন….ভয় পাওয়ার কিছু নেই আমি তোমার কোনো ক্ষতি করবো না।

রশ্নি নিজেকে সামলে নিল তারপর সামনে থাকা বেক্তিটিকে পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করলো

রশ্নি দেখলো একটা মহিলা দাঁড়িয়ে আছে।
ড্রেসআপ দেখে বুঝা যাচ্ছে মহিলাটা খ্রিষ্ঠান কারন তার পরনে মাদারদের ড্রেস। (আমার ড্রেসের নামটা জানা নেই)

রশ্নি: উফ আমি তো ভয়েই পেয়ে গিয়েছিলাম আগে বলবেন তো আপনি মানুষ😒

— সরি?

রশ্নি: ইটস ওকে!

বলে রশ্নি কেটে পড়ছিল কিন্তু মহিলাটা আবার ডাক দেন।

রশ্নি: দেখুন আন্টি আমার এখন কথা বলার টাইম নেই আমি খুব তারায় আছি সো আপনি আমাকে আপনার ফেসবুক আইডি দিয়ে দিন ওটার মধ্যে কথা বলবোনে।

— 🙄🙄

রশ্নি: আচ্ছা বুঝেছি ফেসবুক আইডি নেই। তাহলে আর কিছু করারও নেই আমার এখন যেতে হবে বায়।

— প্লিজ শুনো আমার এখন তোমার হেল্প এর প্রয়োজন!

রশ্নি: সরি কিন্তু এখন আমার যেতে হবে টাটা।

আন্টি: প্লিজ এমন করো না আমার সাহায্যের খুবই প্রয়োজন। আমার গাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে আর এখন আমার হোস্টেলএ পৌঁছাতে হবে আমি সেখানের কেয়ার টেকার আমি এখন না পৌঁছালে আমার অনেক প্রবলেম।

রশ্নি: কিন্তু আপনাকে পৌঁছাতে গেলে আমার আর এক ঘন্টা যাবে আর তাহলে তো অনেক লেট হয়ে যাবে।
আর আমি এখন আমার নানুর বাড়ি যাচ্ছি
সেখানে ১২ টা ওভার হয়ে গেলে সেখানে গেট লাগিয়ে দেওয়া হয় আর এখন অলরেডি পনে এগারোটা বাজে এখন না গেলে আমার সারা রাত রাস্তায়েই থাকতে হবে।

— কিন্তু…..

রশ্নি: সরি আন্টি আমি আপনাকে হেল্প করতে পারবো না নাও বা-বায়…

বলে রশ্নি চলে আসছিল আর তখনই রশ্নি খেয়াল করলো মহিলাটা কাওকে ইশারা করছে।
রশ্নি পিছনে ফেরার সাথে সাথে ওর রুহু কেঁপে উঠলো।

কারনটা সবাই অলরেডি আন্দাজ করে ফেলেছে😪
হ্যা রশ্নির সামনে এখন ইয়াশ দাঁড়িয়ে আছে।

পুরো মুখ লাল টমেটোর মতো হয়ে আছে।
চোখ থেকে তো যেন এখনই রক্ত ঝরবে।
রাগের কারনে নাক বারবার ফুলে লাল বর্ণ ধারণ করছে।

রশ্নির ভাগ্য ভালো যে ইয়াশ ওকে ভালোবাসা নাহলে
ইয়াশ রশ্নিকে এখন মেরেও ফেলতে পারবে।

এদিকে রশ্নি ফ্রিজড হয়ে দাঁড়িয়ে আছে
আজ যে ও শেষ সেটা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে।

ইয়াশ রশ্নির দিকে তাকিয়ে ভদ্র মহিলাকে উদ্দেশ্য করে বললো
ইয়াশ: থ্যাংকস আন্টি এতক্ষন ওকে কথার জালে বেঁধে রাখার জন্য।
আর আমি আপনার পেমেন্ট টা আপনি পেয়ে যাবেন।

রশ্নি: বেডি তোর জীবনেও ভালো হইবো না এটা একটা মৃত্যু যাত্রীর অভিশাপ (মনে মনে)

ভদ্রমহিলা মুচকি হেসে সেখান থেকে চলে গেলেন

ইয়াশকে দেখে রশ্নির হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে কিছুটা কাপাকাপিও হচ্ছে।

ইয়াশ রশ্নির দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো….

রশ্নি: আ আ আমি…

হঠাৎ রশ্নি ওর পকেট থেকে পাউডার জাতীয় কিছু বের করে ইয়াশের চোখে ছুড়ে মারলো।

ইয়াশ: আআআ……

সেই সুযোগে রশ্নি বাইক নিয়ে পালালো

ইয়াশ: রশ্নি স্টপ আদারোয়াইজ ইউ হ্যাভ টু পে ফর দিস….

রশ্নি– রাখ তোর পে মে ছে আমি আগে পালায় বাঁচি
জান বাঁচানো ফরজ।

.

রশ্নি এখন অনেকটা দূরে চলে এসেছে।

পিছনে ফিরে ইয়াশকে দেখা যাচ্ছে না।

তাই এবার একটু হাফ ছেড়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ড্রাইভিং করতে শুরু করলো।

রশ্নি: সাইকো টা এখানেও চলে এসেছে উফ।

কিন্তু খেয়াল করছে একটা গাড়ি ওর পিছু নিচ্ছে।
রশ্নি দেখেছে ওটা ইয়াশের গাড়িও না।

রশ্নি ব্যাপারটা হালকার উপর নিলো কিন্তু
কিন্তু রশ্নি যেদিক যেদিক যাচ্ছে গাড়ি গাড়িটাও সেভাবেই যাচ্ছে।

রশ্নি এখন বিরক্ত লাগছে তাই ও বাইকটা এক সাইডে থামিয়ে গাড়িটাকে আগে যাওয়া সুযোগ করে দিলো কিন্তু গাড়িটাও সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে।

রশ্নি মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছে কিন্তু নিজেকে কন্ট্রোল করে আবার বাইক স্টার্ট দিলো।

ফ্রন্ট মিররে দেখতে পাচ্ছে
যে গাড়িটা এখনো ওর পিছনে আসছে।

রশ্নি: এখন এই মাইর খাইবো।

রশ্নি বাইক থেকে নেমে গেল আর এ্যাজ ইউজুয়াল ওই গাড়িটাও।

রশ্নি গিয়ে গাড়ির কাচে সামনে দাঁড়ালো।
গাড়ির কাচ আগের থেকেই নামানো ছিল।
কিন্তু ভিতরে কাওকে দেখতে না পেয়ে রশ্নির আবার ভয় হচ্ছে।

তখনই পিছন থেকে কেউ কোল্ড ভয়েসএ “Sweetheart” বলে ডাক দেয়!

রশ্নি: এতক্ষনে কয়েকজনকে চল্লিশায় দাওয়াত দেওয়া যেত হুদদাই টাইম গুলা নষ্ট করলাম!🙂

রশ্নি সামনের দিকে ঘুরলো।

রশ্নি: ভাইয়া এবারের মতো…না মানে ফাইনাল ওয়ালা লাস্ট টাইমের মতো কি মাফ করে দেওয়া যায়….

রশ্নি আর বলতে পারল না এর আগেই একটা হাত তীব্র গতিতে এসে রশ্নির গালে পরে।

আর ওর সামনে সব কিছু ঝাপসা হয়ে আসে।
চোখ গুলো সম্পূর্ন বন্ধ হওয়ার আগে শুধু
মাটিত নিজের একটা দাঁত পরে থাকতে দেখেছিল।

এর পর আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান হারিয়ে ইয়াশের বুকে ঢলে পড়ে।

.

ইয়াশ বাড়ির সবার সামনে রশ্নিকে কাঁধের উপর নিয়ে এসে সোফায় রাখে।

সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে কারন ওরা হয়তো প্রথম বার কোনো বউকে লেহেঙ্গা আর জিন্সএ একসাথে দেখছে🙄

রেহেনা: ওকে কোথায় পেলে?
ইয়াশ সবটা খুলে বললো।
রেহেনা: এই যে কবে মানুষ হবে।
ইয়াশ: চিন্তা করবেন না আন্টি, আমি তো আছি।

জ্ঞান ফেরার পর রশ্নি নিজেকে একটা সোফায় শোয়া অবস্থায় পায়।

ডান গালটায় প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে।

চারপাশটা দেখে বুঝতে পারলো ও এখন নিজের বাড়িতে আছে।

রশ্নির গলা আবার শুকিয়ে আসছে।
(উফ এরে কেউ পানি দে😑🙄)

রশ্নি এগুলো ভাবতে ভাবতে সামনে তাকালো।
আর সামনে তাকিয়ে একটা পিচ্চি হার্ট অ্যাটাক করলো।

ওর বাড়ির সবাই সেখানে উপস্থিত আর সবাই ওর দিকে অগ্নিমূর্তি হয়ে তাকিয়ে আছে।

রশ্নি ওদের দিকে তাকিয়ে একটা ডামি স্মাইল দিলো।
কিন্তু তাতে যেনো কোনো লাভ হলো না।

আর পাশে তাকানোর পর তো বড় সর একটা হার্ট অ্যাটেক হলো।
কারন ইয়াশও ওর পাশে বসে আছে।

ইয়াশকে দেখে রশ্নির হাত আপনি আপনি নিজের গালে চলে গেল।

রশ্নি: আআআ…

তারপরই শুরু হয় ফ্যামিলির মেলোড্রামা! লাইক–
এমনটা কিভাবে করতে পারলি? কেন করলি? আমাদের কথা ভাবলি না?
আমরা তোর কেউ না? ব্লাহ ব্লাহ ব্লাহ…..

রশ্নি: নিউ কিছু পারলে বলো এগুলোর আনসার অলরেডি লেটারএ লিখে দিয়েছি😒

সৌভিক খান: দেখো এই মেয়ের এখনো কোনো গিল্ট ফিল করছে না।

রশ্নি: গিল্টি ফিল করার কি আছে? আমি তো জানি আমি ঠিক করেছি😒

সৌভিক: বেয়াদব!

রশ্নি: আজ নতুন জানলে নাকি😆

রাশিদ: রশ্নি…..

রশ্নি: আই এ্যাম নট ইন্টারেস্টেড টু টক টু ইউ!

শুভ: এভাবে কথা বলতে হয় না রশ্নি!

রশ্নি: তুই তো চুপই থাক। তুইও মীরজাফরের দলের মেম্বার বের হইলি। আর এরা কারা যে এদের সাথে কথা বলবো?

— বলি কি বিয়ে পড়ানো টা কখন শুরু করবো? না মানে আমার বাসায়ও যেতে হবে….প্লিজ আমাকে তাড়াতাড়ি যেতে দিন😭😭

কথাটা শুনে রশ্নি পাশে তাকালো।
আর আরেকটা ঝটকা খেলো।

কারন একটা বয়স্ক মতো লোক একদম ফ্রিজড হয়ে বসে আছে আর তার সামনে একটা বন্দুক।

রশ্নি বুঝলো ইয়াশ কাজী সাহেবকে বন্দুক ঠেকিয়ে এতক্ষন বসিয়ে রেখেছে। আর রশ্নি একে চিনে। নিশ্চই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার জন্য প‍্যান প‍্যান করেছিল তাই এই অবস্থা।

ইয়াশ কাজী সাহেবের দিকে টেডি স্মাইল দিয়ে তাকালো

কাজী সাহেব: আরেহ আমি তো এমনিই বলছিলাম😅

ইয়াশ: না না আপনি ঠিক বলেছেন। স্টার্ট করেন।

রশ্নি: মানে কি স্টার্ট করেন? আমি বিয়ে করবো না।

ইয়াশ: তুমি কি তোমার সব কয়টা দাঁতই হারাতে চাচ্ছ?

রশ্নি: 😭😭😭

ইয়াশ: আপনি শুরু করেন।

.

কাজী সাহেব ইয়াশকে জিজ্ঞেস করার পর এখন রশ্নিকে কবুল বলতে বললো।

রশ্নি: কবুল বকুল ককুল!🙄

ইয়াশ:নিজেকে কি খুব বেশি চালাক ভাবো?

রশ্নি: এ্যা?

ইয়াশ: ভালো ভাবে কবুল বলো।

রশ্নি: ভালো ভাবেই তো বললাম।

ইয়াশ: আমরা সবাই শুনেছি যে তুমি বকুল বলেছ।

রশ্নি: এহ নাহ😨

ইয়াশ: ছোট আন্টি প্লাস্টারটা দাও তো…

রশ্নি: কবুল কবুল কবুল😭

ইয়াশ বাঁকা হাসলো।

এবার ম্যারেজ রেজিস্ট্রি পেপারে সাইন করার পালা।

রশ্নির এবারো নখরা শুরু।

ইয়াশ: এবার কিন্তু তুমি সত্যিই মার খাবা।

রশ্নি: মিথ্যা মিথ্যা মারছস কবে হালা? (বিড়বিড় করে)

ইয়াশ চোখ রাঙিয়ে তাকালো।

রশ্নি: একটা সেলফি তুলে নেই প্লিজ? নাহলে কাশিকা রাগ করবে🥺

ইয়াশ: তুমি…

রশ্নি: পিলিগ🥺

ইয়াশ: ফাস্ট…

রশ্মি এক দের হাজারটা ছবি তুলে নিল।

ইয়াশ: এখন সাইন করো

রশ্মি: আমার খুদা পেয়েছে ইট্টু চক্কেট খাই?🥺

চারদিকে মানুষের জন্য ইয়াশ কিছু বলতেও পারছে না।

ইয়াশ: হুম

রশ্নি: থ্যাংকু!

রশ্নি অনেক গুলো চকলেটও খেয়ে নিল।
এখন কি বাহানা বানাবে বুঝতে পারছে না।

ইয়াশ: সাইন করো।

রশ্নি: কিরাম ডা লাগে জামাই বলে বিয়ার দিন এমন করে🙄

ইয়াশ আবার চোখ রাঙিয়ে তাকালো।

রশ্নি: আ আ আমার না প্রচুর ঘুম পাচ্ছে
এক দুই ঘন্টা ঘুমিয়ে নাহয়….

ইয়াশএর এখন ভাঙচুর করতে মন চাচ্ছে।

ইয়াশ: আন্টি প্লাসটা আনো।

রশ্নি: করছি তো😭

রেহেনা বেগম ইয়াশকে প্লাস টা দিলো।

রশ্নি: এইডা আমার মা না😨

ইয়াশ: অনেক চান্স দিয়েছিলাম কিন্তু বাঁদরামি ছুটার কোনো নামই নেই। আজ দাঁত তো পড়বেই।

ইয়াশ রশ্নির গেল চেপে ধরলো।

রশ্নি: আর এমন হবে না প্লিজ ছেড়ে দাও😭

ইয়াশ: ভদ্র মেয়েদের মতো সাইন করবে?

রশ্নি: হ্যা😭

ইয়াশ রশ্নির হাতে পেন দিলো।

রশ্নি: সাইন করার আগে আরেকবার ইয়াশএর দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো।

ইয়াশ প্লাসটা ঠাস করে লাগিয়ে রশ্নিকে ভয় দেখালো আর রশ্নি সাথে সাথে সাইন করে দিলো।

রেহেনা: আমরা তাহলে এখন যাই। একে তোমরা সামলে নিও।

বলে উনি চলে গেলেন।

রাশিদও চলে গেলেন

রশ্নির বুক ফেটে কান্না আসছে। কিভাবে বিয়ে হওয়ার সাথে সাথে পর করে দিলো।

নিলাসা বেগম এসে রশ্নিকে নিয়ে যাচ্ছে। রশ্নির ভাবতেই কেমব যেন লাগছে। যে বাড়িটাকে ও নিজের বাড়ি বলতো সেটা এখন থেকে পর হয়ে গেল।

কাব্য: এত ইমোশনাল হওয়ার কিছু নেই এটা এখনো তোমার বাড়িই।
আর আমাদের বাড়ি তো হাজার মাইল দূরে নয়। আমাদের এভাবেও আসা যাওয়া লেগেই থাকে।

রশ্নি: ঠিকই তো..আমি ইমোশনাল ফুল হচ্ছি কেন আর আমি এখানে থেকে বেশি তো মিষ্টিদের বাসাতেই থেকেছি।

চলো তো মিষ্টি..আমরা আর এই মীরজাফর ভিলায় আসবো না হুহ।

কাব্য: 😂🤦

নিলাসা বেগম রশ্নিকে নিয়ে নিজেদের বাড়ি চলে গেলেন।

সেখানে এখন শুধু শাহানা বেগম আর ইয়াশ আছে।

ইয়াশ আসার সময় শাহানা বেগমের সাথে চোখাচোখি হলো।

তাকে দেখে ইয়াশ একটা “মাইরা ফেলমু” লুক দিলো😂

.

নোভা রশ্নিকে জোর করে বাসর ঘরে বসিয়ে রেখে গিয়েছে।

রশ্নির এখন ভয় আবার হাত পা কাঁপছে।
একা বসে থাকায় ওর মাথায় এতক্ষনে ঢুকেছে
যে ও কি করেছে এর জন্য ইয়াশ নিশ্চই ওকে এমনি এমনি ছেড়ে দিবে না।

To be continued……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here