#Your_psychoPart_04
#A_Devils_Love
#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)
.
.
.
রেহেনা বেগম সোফায় বসে ইয়াশের জন্য অপেক্ষা করছেন।
কিছুক্ষনের মধ্যেই ইয়াশ সেখানে উপস্থিত হয়।
ইয়াশ: কিছু হয়েছে ছোট আন্টি?
রেহেনা: তুমি বসো আমি সব বলছি।
উনার কথায় ইয়াশ তার সামনের সোফাটাতে গিয়ে বসল।
তারপর রেহেনা বেগম এক এক করে রশ্নির করা সব কান্ড ইয়াশকে বললো।
ইয়াশের রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে,
কিন্তু রাগটা রশ্নির উপরে নয়,
ওর মামীর উপর,
তার ভালোবাসাকে অন্য একটা ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু যাক রশ্নিও আজকে ফার্স্ট টাইম কোনো ভালো কাজ করলো।
সে যাই হোক কিন্তু ইয়াশের এখন রাগলে চলবে না!
বরং সুযোগের সৎ ব্যাবহার করতে হবে।
রেহেনা: এত কি ভাবছো ইয়াশ? রশ্নিকে ঠিক করার কি তোমার কাছে কোনো উপায় নেই? ও তো তোমাকে ভয় পায় তাই তুমি একটু চেষ্টা করে দেখো না!
ইয়াশ: বেটা ইয়াশ এখনই ঠিক সময়,
লোহা গরম আছে হাতরা মেরে দে; (মনে মনে)
ইয়াশ: হুম…….চেষ্টা করে দেখতে তো পারি।
কিন্তু শুধু আপনি আর আমি মিলে কিছুই করতে পারবো না। এর জন্য ছোট মামারও হেল্প লাগবে।
রেহেনা: আরেহ ওকে আমি ম্যানেজ করে নিব।
ওরা কথা বলছিল, হঠাৎ রশ্নি আর রাশিদ চলে আসে।
রশ্নি তো ইয়াশকে দেখা মাত্রই নিজের রুমে চলে গেল।
রাশিদ: কিরে ইয়াশ কেমন আছিস?
ইয়াশ: জি মামা ভালোই।
রেহেনা: এই তুমি এখানে এসে বসো কথা আছে।
রাশিদও গিয়ে ওদের মাঝে বসলো।
রেহেনা: শুন আমরা তোমার ঘাড় ত্যারা মেয়ের ঘাড় সোজা করার প্ল্যানিং করছি। আর সেটার মধ্যে তুমি আমাদের সাহায্য করবে। আর যদি একটু তিড়িং বিড়িং করেছ তো, আমি তোমার ডাইট রুটিন আবার চালু করে দিব।
নো মিষ্টি নো মশলা।
রাশিদ: এ দেখি সরাসরি হুমকি।😤
রেহেনা: যা খুশি ভাবতে পারো।
রাশিদ: আমি তোমার উপর পুরুষ নির্যাতনের কেইস দিয়ে দিব।😡
রেহেনা: আরেহ যাও যাও ঐসব পুরুষ নির্যাতন টিরজাতন বলতে কিছু হয় না😆😆
ইয়াশ: তোমরা থামবে প্লিজ?
রাশিদ: তোর মামীকে থামতে বল আমাকে নিরোহ অবলা পেয়ে খালি নির্যাতন করে।
ওনার কথায় রেহেনা বেগম চোখ রাঙিয়ে তাকান।
রাশিদ: তো ইয়াশ তোমার প্ল্যানিং এর ব্যাপারে বলো, আমি অবশ্যই তোমার সাহায্য করবে।
তারপর ইয়াশ তাদেরকে ওর পুরো প্ল্যান টা সাজিয়ে বললো।
রেহেনা: ওয়াহ তোমার প্ল্যান টা তো জোস, কিন্তু তুমি(রাশিদকে উদ্দেশ্য করে) পরে পল্টি খাবা না তো?
রাশিদ: তোমার আমাকে অমন মনে হয়?🥺
রেহেনা: হ্যা হয়,😒 কারন তুমিই আজকে জোৎস্না খালাকে দিয়ে রশ্নিকে সবটা জানিয়েছিলে।
রাশিদ: তুমি জানলে কিভাবে?
রেহেনা: হুহ এমনি এমনিই আমি লয়েআর হয়ে যাই নি।😎
রাশিদ: হ্যা আমিই রশ্নিকে বিয়েটা ভাঙতে সাহায্য করেছিলাম কারন ও বিয়েটা করতে চায়নি। তোমরা যা খুশি করো আমি কিছু বলবো না কিন্তু আমার মেয়েকে জোর করে বিয়ে দিতে চাইলে;
আমি সবার বিরুদ্ধে গিয়ে ওর পাশে দাঁড়াবো।
ইয়াশ: আঙ্কেল আমি কিছু বলতে চাই!
রাশিদ: হ্যা বলো না!
ইয়াশ: আমার মনে হয় এটাই বেস্ট টাইম আপনাদের কথাটা বলার জন্য!
আসলে আমি রশ্নিকে অনেক আগের থেকেই পছন্দ করি, আর……
রেহেনা: আরেহ ওয়াহ! তাহলে তো হয়েই গেল।
ইয়াশ: মামা তুমি কি বলো?
রাশিদ: তুমি ছেলে হিসেবে খুবই ভালো, আমরাও তোমাকে পছন্দ করি কিন্তু রশ্নি?
ইয়াশ: ওকে আমি দেখে নিব।
রাশিদ: কিন্তু……
ইয়াশ: আমাকে ২ মাসের সময় দিন এর মধ্যে যদি ওর মনে নিজের জন্য জায়গা গড়ে তুলতে না পারি, তাহলে প্রমিজ করছি ওর লাইফ থেকে চলে যাবো।
রাশিদ: ঠিক আছে, তাহলে আমিও তোমাকে সম্পূর্ন ভাবে সাহায্য করবো।
ইয়াশ: ঠিক আছে তাহলে কালকের থেকে দেখা হবে। এখন আসি।
.
●◇◆◇★◇◆◇●পরের দিন●◇◆◇★◇◆◇●
ভোর– ৬ টা বেজে ০৩ মিনিট…..
গেইটে নক পড়ায় বেশ উৎসাহর সাথে গেইট টা খুলতে গেলেন রেহেনা বেগম!
রেহেনা: আয় বাবা আয় তোর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম!
ইয়াশ মুচকি হাসলো!
ইয়াশ: রশ্নি নিজের রুমে আছে তো?
রেহেনা: হ্যা রুমেই আছে।
ইয়াশ: ঠিক আছে।
রেহেনা: আচ্ছা শুনো!
ইয়াশ ফিরে তাকালো
রেহেনা: একটু সাবধানে যেও কেমন।
ইয়াশ মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো তারপর রশ্নির রুমের দিকে পা বাড়ায়।
ওর রুমের গেইটের উপর একটা কাঠের নেইম প্লেট আছে,
যেটার উপর “Danger zone” লিখা
ইয়াশ ওইটার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো।
তারপর দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতে গেল,
আর হঠাৎ করে একটা স্পাইডারের মতো কিছু ওর সামনে এসে পড়ে।
ইয়াশ চেক করে দেখল এটা রাবারের তৈরি,
আর সুতার সাথে বাধা।
রশ্নি এটাকে দরজার সাথে এমন ভাবে বেঁধেছে যেনো
দরজা খুলার সাথে সাথে এটা মুখের সামনে এসে পড়ে।
— সো লেম😑
ইয়াশ রাবারের স্পাইডারটাকে পিছনে ফেলে দিলো।
রশ্নির রুমটা অনেক বড় আর আনকমন।
পুরো রুমটা কালো রং করা, এক দিকে গিটার,ড্রাম সেট, ইত্যাদি সব মিউজিক ইন্সট্রুমেন্টস।
রুমের মাঝখানে বেতের রাউন্ড দোলনা।
আর রশ্নি পুরো রুমটাকে পুরাই জঙ্গি বাহিনীর আস্তানা করে রেখেছে।
ইয়াশ এবার রশ্নির বেডের দিকে এগোলো;
রশ্নি উল্টো হয়ে শুয়ে আছে,
রশ্নির এক পা কোল বালিশে জড়ানো,
অন্যটা জানালার গ্রিলের মধ্যে আর ওই পায়ের ট্রাউজার টা হাঁটুর কিছুটা নীচে উঠে আছে,
ডান হাতের মাঝে আরেকটা কোল বালিশ, আর বাম টা
বেডের নীচে ঝুলছে।
আর লম্বা চুল গুলো চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
ইয়াশ: এই কখনো মানুষ হবে না।
ইয়াশ রশ্নির এভাবে ঘুমিয়ে থাকার পিকটা তোলার জন্য ফোনটা বের করলো।
ইয়াশ কয়েকটা পিক তুলে সেগুলো দেখছিল
আর হঠাৎ হাত থেকে মোবাইলটা পরে যায়।
আর কেমন যেন একটা শব্দ হয়ে।
ইয়াশ নীচে তাকিয়ে দেখে,
ওর ফোনটা একটা ইঁদুর ধরার ফাদের মাঝে বন্ধি
আর তার পাশেই আরেকটা ফাঁদ।
ফাঁদএর সাথে চিটের মতো কিছু একটা লাগানো!
ইয়াশ ওটা সামনে নিয়ে দেখে!
চিট টার মধ্যে লিখা;
“It is a punishment for waking the queen”
ইয়াশ বুঝতে পারলো এটা একটা ফাঁদ!
মানে, যদি কেউ রশ্নিকে জাগাতে আসে তাহলে সে ভুল বসত এটার মধ্যে পা দিয়ে দিবে!
আর সেটা হবে, তার রশ্নিকে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠানোর পানিশমেন্ট।
ইয়াশ: এবার বুঝলাম কেন ওই টাইমে ছোট আন্টি সাবধানে যেতে বলেছিল।
এখন এই ফাঁদ খুলতে লাগবে আধা ঘন্টার মতো,
এই মেয়েটা………..
ইয়াশ এবার রশ্নিকে ঝাকাতে লাগলো!
হাজারবার ডাকার পরও রশ্নির ঘুম ভাঙলো না!
ইয়াশ: সরি সুইটহার্ট এটা আমি করতে তো চাইনি কিন্তু তুমি আমায় বাধ্য করলে।
বলে ইয়াশ রশ্নির গলায় কামড় বসিয়ে দেয়।
যার ফলে চিৎকার করে উঠে!
চোখ খুলে সামনে ইয়াশকে দেখে আর চমকে যায়।
রশ্নি: আহ পাপাআআআ!!! বাঁচাও তোমার মেয়েকে এই ড্রাকুলাটা খেয়ে ফেলল।
ইয়াশের ভাগ্য ভালো রুমটা সাউন্ড প্রুফ তাই শব্দ বাহিরে যায়নি।
ইয়াশ: এই কি বলছো এসব
রশ্নি: আমার আগেই মনে হয়েছিল যে নীল একটা রক্ত চোষা ড্রাকুলা!!
দেখো একদম আমার কাছে আসবে না নাহলে কিন্তু আমি তোমার গলা কেটে ড্রাকুলা কাটলেট বানিয়ে ফেলবো।
ইয়াশ জানে এখন একে কিছু বলে লাভ নেই। তাই আর কোনো কথা না বলে, ওকে কোলে উঠিয়ে বাথরুমে নিয়ে বাথটাবে ফেলে দিলো।
বাথটাবে আগের থেকেই পানি ভরা ছিল,
তাই হঠাৎ পানিতে পড়ায় রশ্নি সেখানেই ডুবে যায়।
ইয়াশ দুই হাত গুঁজে ওকে দেখছে।
কিছুক্ষন বাদে রশ্নি নিজেই উঠে গেল।
রশ্নি এখন বুঝতে পারলো এতক্ষন তার সাথে কি কি ঘটেছিলো।
রশ্নি: আপনি কি মানুষ নাকি? একটা মেয়ে ডুবে যাচ্ছে দেখছেন তারপরও ওভাবে দাঁড়িয়ে আছেন।
ইয়াশ: বাথটাবে ডুবে যাওয়ার স্পেশাল ট্যালেন্ট টা না শুধু তোমার মাঝেই থাকতে পারে।
রশ্নি সেখান থেকে বেরিয়ে আসলো।
রশ্নি: আমাকে এই কুটকুটে অন্ধকার মাঝরাতে উঠিয়েছেন কেন..?😡
ইয়াশ: রশ্নি এখন ছয়টা ষোল বাজে।
রশ্নি: হোয়াটেভার আমার কাছে এখন মাঝ রাতই
আর তাই আমি এখন ঘুমাতে যাচ্ছি।
রশ্নি ইয়াশ পাশ কেটে চলে যাচ্ছিল দেখে
ইয়াশ ওর হাত চেপে ধরলো।
ইয়াশ: তা তো হচ্ছে না সুইটহার্ট,
আমরা এখন জিমএ যাবো।
রশ্নি: নো ওয়ে, রশ্নি এখন ঘুমাবে।
ইয়াশ ওর দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকালো!
রশ্নি: রশ্নি এখন জিমে যাবে🥳😍
ইয়াশ: এই তো গুড গার্ল (বাঁকা হেসে)
ইয়াশ তারপর বাহিরে চলে গেল,
কিছুক্ষন পরে হাতে একটা ব্যাগ নিয়ে আসলো।
ইয়াশ: এটার ভিতর জগিং সুট আছে,
ফ্রেশ হয়ে এটা পরে নীচে চলে এসো আমি ওয়েট করছি।
বলে ইয়াশ ওকে ছেড়ে নীচে চলে গেল।
রশ্নি: আমি কাইন্দা দিমু। 😭😭
কিছুক্ষন পর রশ্নি কালো রঙের জগিং সুটটা পরে নীচে চলে আসলো
রশ্নির অবস্থা বেহাল,
ঝিমুতে ঝিমুতে হাঁটছে।
রশ্নি আসতে আসতে একটা দেয়ালের সাথে বাড়ি খেতে নেয় তখনই ইয়াশ গিয়ে ওকে ধরে ফেলে।
ইয়াশ: কি করছো তুমি?
রশ্নি ইয়াশকে টাইটলি জড়িয়ে ধরে, এতে ইয়াশ অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকায়।
ইয়াশ লক্ষ্য করলো রশ্নি বিড়বিড় করে কিছু বলছে!
ইয়াশ ওর কান টা রশ্নি মুখের দিকে একটু এগিয়ে নিয়ে গিয়ে শুনে রশ্নি গান গাচ্ছে
🎸👩🏻🎤🎶– তোমারও বউ নাই আমারও জামাই নাই চলো আমরা সংসার কইরা খাই! [~_~]
.
.
.
To be continued………