#Your_psychoPart_15+16

0
463

#Your_psychoPart_15+16
#A_Devils_Love

#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)

.

.

.

হঠাৎ কাঁধে কারো শীতল স্পর্শ পড়ায় ডায়না ম্যাম কেঁপে উঠেন!!

তবে পিছনে ফিরে এবারো কারো দেখা মিলে না।

কিন্তু যেই না সামনে ফিরলেন…নিজের থেকে কিছুটা দূরে সাদা রঙের একটা অবয়ব দেখতে পেলেন….

ডায়না ম্যাম এর গলা দিয়ে যেন কোনো কথাই বের হচ্ছে না…তবুও কোনো রকম হালকার উপর ঝাপসা চিৎকার করলো

ডায়না: আআআআআ!!

— এই একদম চুপ কর…গরিবের রানু মন্ডল

কিন্তু দুইটায় পার্থক্য কি?🤔
হোয়াটেভার!

ডায়না: ককে কে আপনি?

— তোর আশিক…

আমি সেই নার্সারি থেকে তোকে পছন্দ করতাম!

কিন্তু তুই আমার প্রপোজাল এক্সেপ্ট করিসনি।
তাই আমি খান হেলালএর গান শুনে তিলে তিলে নিজেকে শেষ করে দিয়েছি..

আর এখন সেটার প্রতিশোধ নিতে এসেছি😈

ডায়না: আআমার তো এম এমন কারো কথা মনে নেই যে আমাকে নার্সারি তে থাকতে প্রপোজ করেছিল😰

👻– মনে থাকবে কি করে, তখন তো তুই নার্সারি তে ছিলি..!!

ডায়না: তাহলে আপনিও ভুলে যান না😭

👻– এত সহজে না বেবি.. তোমার কাছে পৌঁছায় আমার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে
এবার তোমাকে ডায়না থেকে নিজের ডায়নি বানিয়েই নিয়ে যাবো….হিহিহিহি!!!!

এই বিকট হাসি শুনে ডায়নার পুরো শরীর থরথর করে কাপা শুরু করে দিয়েছে।

সাদা অবয়ব টা আস্তে আস্তে ডায়নার দিকে এগোতে শুরু করলো..!!

ডায়না: নো প্লিজ😭

এবার অবয়ব টা তাকে জড়িয়ে ধরার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লো…
আর ডায়না ম্যাম ঐখানেই বেহুশ🐍

রশ্নি এবার সাদা চাদর টা থেকে বেরিয়ে আসলো,
আর সানা হরার সাউন্ড ইফেক্টটা বন্ধ করে দিলো।

সবাই একসাথে: 🤣😹😆😂😹😆🤣

রশ্নি: দিপু ভিডিও করসস তো?

দিপু: হু…

রশ্নি: চল ম্যাম এর এই চমৎকার পোজের সাথে কয়েকটা ছবি তুলি।

সানা: গুড আইডিয়া!

.

After clicking more than 10000000….. Of pictures:-

রশ্নি: কেউ পানির ছিটা মাইরা এরে উঠা তো!
.

কিরে কি হলো? দে!!

হঠাৎ কি হলো এদের কে জানে..
সবাই মুখে এক রাশ আতঙ্ক নিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে পড়লো।

এবার রশ্নির কাধেও কেও হাত রাখল কিন্তু রশ্নি এতে একটুও ঘাবড়ালো না..নিজের ড‍্যাম কেয়ার এ্যাটিটিউডটা বজিয়ে রাখলো।

রশ্নি: আমি মানুষরে ভয় দেখানোতে পিএইচডি করে রাখছি আর তোরা আমারে ভয় দেখাতে চাস?

আহা অনু সর তো ভাল্লা……আআআআআআআ!!!

নিনিনীল ভা ভা ভাইয়া তু তু তুমি…!!??
.

.
— আমি রশ্নির মতো শয়তান মেয়ে আর দুইটা আর দুইটা দেখিনি!

আমি এমনিতেই সফ্ট হার্টেড
আর আমার এই সফ্ট হার্টটার উপর আপনার মেয়ে এ্যাটেক করতে চলেছিল!
করতে চলেছিল কি অলরেডি করে দিয়েছে।

কথা গুলো এক দমে বলে জোরে জোরে স্বাস নিতে লাগলেন মিস ডায়না।

এদিকে রশ্নি আর ওর পুরো টিম মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

রাশিদ: রশ্নি উনি এই মাত্র এসব কি বললেন?

রশ্নি: ম্যাম পাপা শুনতে পায় নি তাই আরেকবার যদি একটু বলতে…..

রাশিদ: জাস্ট শাট আপ!!

ডায়না: এত কিছু করার পরও এদের একটুও লজ্জা হচ্ছে না।

রাশিদ: তোমারা এই বাজে কাজটার জন্য অবশ্যই শাস্তি পাবে।

রশ্নি: কানে ধরুম? নাকি স্কেলের বারি?🥱

রাশিদ: ডায়না ম্যাম তোমাদের যে শাস্তি দিবেন তোমাদের সেটাই মাথা পেতে নিতে হবে।

সানা: বারি কি মাথায় মারবো? 😨

রশ্নি: ডায়নার ফোনে ওই সময়ের ভিডিওটা সেন্ড করে দিলো।

হঠাৎ ফোনে নোটিফিকেশন আসায়
ডায়না চেক করে দেখেন রশ্নি একটা ভিডিও পাঠিয়েছেন যা তার ভয় পাওয়ার টাইম থেকে শুরু করে বেহুশ হওয়া পর্যন্ত।

ভিডিওটা দেখে ডায়না ম্যাম রাগী+অসহায় দৃষ্টিতে রশ্নির দিকে তাকালেন।

রশ্নি: ম্যাম আমাদের যেই শাস্তি দিবেন আমরা সেটাই মেনে নিব🥺

ডায়না: এখন এদের কোনো শাস্তি দিতে গেলে নিশ্চই ভিডিওটা সবাইকে দেখিয়ে দিবে তার থেকে ভালো আজকে ছেড়ে দেই। মনে মনে।।

ডায়না– না মানে বলছিলাম কি…ভুল তো মানুষই করে আর এই বাচ্চাদের এখন আবার কি শাস্তি দিব…

রশ্নি– নো ম্যাম..উই রিয়েলি ডিসার্ভ পানিশমেন্ট!
প্লিজ আমাদের শাস্তি দিন!!

ডায়না: না না তোমরা নিজেদের ভুলটা বুঝতে পেরেছ এটাই অনেক।

রশ্নি: দেখেছিস ম্যামের মনটা কত্ত বড়!!

সানা: হুম..একদম! মহাশূন্যের থেকেও বড়।

রশ্নি: আচ্ছা ম্যাম এত বড় মন এতটুকু একটা শরীরে কিভাবে এডজাস্ট করেন বলুন তো।

রাশিদ: হয়েছে এবার চুপ করো।
উনার মনটা সত্যিই অনেক বড় বলে আজ তোমরা বেঁচে গেলে!

এবার সবাই সবার টেন্ট এ গিয়ে ঘুমাও!!

বলে রাশিদ নিজের টেন্টএ ফিরে গেলেন।

রশ্নি ইয়াশের দিকে তাকিয়ে একটা কিলার লুক দিয়ে সামনের চুল গুলো হাত দিয়ে পিছনে সরিয়ে দিল।

.
.
.

পরেরদিন––★

সন্ধ্যায় সবাই ঘুরতে যাবে বলে বের হয়েছে কিন্তু হঠাৎ
আকাশের রঙ পাল্টে যায়!!

“হয়তো বৃষ্টি হবে” বলতে না বলতেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়া শুরু করলো!!

এখন আবার বজ্রপাতও এতে যোগ হয়েছে।

.
ইয়াশ: আজ আর যাওয়া হবে না!
তবে এখানেও তো থাকা যাবে না।

রাশিদ: সমস্যা নেই সামনেই আমার একটা ফ্রেন্ডের ফার্ম হাউজ আছে, আর আমার কাছে সেখানের চাবি আছে তো আমরা আজকের রাতটা সেখানে কাটাতে পারি।

রাশিদ তার বন্ধুর সাথে কথা বলে নিলো।

.
সেখানে যাওয়ার জন্য সবাই বেরিয়ে পড়েছে।

এবারও রশ্নি ইয়াশের পাশে বসেছে কিন্তু এখন আর ওর বমি আসছে না উল্টো ইনজয় করে যাচ্ছে!

পুরো বাসটা অন্ধকার শুধু ড্রাইভারের সামনের লাইটটা জ্বলছে।

সবাই গান,কবিতা,শয়তানি,ফাজলামি,ঝগড়া,আন্তাকসারি গেম,রোমান্স করতে করতে যাচ্ছে।

ইয়াশও ভেবেছিল বিজলি চমকানো আওয়াজে ভয় পেয়ে রশ্নি ওকে জড়িয়ে ধরবে!

কিন্তু বেচারার ভাগ্যটা যে অতটাও ভালো না!

যেখানে বাসের সবাই বজ্রপাতের আওয়াজে কাচুমাচু হয়ে যাচ্ছে সেখানে রশ্নি সেই বজ্রপাতের শব্দ ফোনে রেকর্ড করছে নিউর রিংটন দিবে বলে [°_°]

ইয়াশ নিজেই নিজেকে শান্তনা দিয়ে গালে হাত রেখে বসে পড়লো।

এদিকে সানা অস্বস্তির সাগরে ডুবে আছে।

কারন এই সেহের বারবার তার ঠোট কামড়াচ্ছে।

সানা: সেহে….

সেহের আবার সানার ঠোঁট কামড়ে দিলো।

সানা: দারা ব‍্যাটা দেখাচ্ছি মজা…আমাকে কামড়ানো তাই না…(মনে মনে)

সানা সেহেরের গালে হাত রাখল তারপর আস্তে আস্তে নিজের একদম কাছে নিয়ে আসলো!

সেহের: 😳

সানা এবার জোরে সেহেরের ঠোঁটে কামড় বসিয়ে দিল।

সেহের চিৎকার করতে যেয়েও মুখে হাত চেপে সামলে নিলো।

সেহের: যা করলে..এটা এখন তোমার উপর ভারী পড়বে জান!

ফিসফিস করে বলে সেহের সানার ঠোঁট নিজের দখলে নিয়ে নিল।
খুব ডিপলি কিস করতে লাগলো….🙈

.

কিছুক্ষনের মধ্যেই ওরা রাশিদের বন্ধুর ফার্ম হাউজে এসে পৌছালো।

সানা: আজকের দিনটা পুরো ফিকে হয়ে গেল😞

সেহের: বাহিরে না হোক এখানে থেকেও তো আমরা ইনজয় করতে পরি।

রশ্নি: হাউ ব্রুহ হাউ?

সেহের: মিউজিক প্লেয়ার তো এখানে আছেই সো লেটস হ্যাভ সাম মিউজিক এন্ড ইনজয় দা নাইট!

অন্তর: আই গট ইওর বিট😁

রাশিদ: আমরা তো খুবই টায়ার্ড
রুমে গেলাম…তোমরা ইনজয় করো।

রশ্নি: ইন্টেলিজেন্ট মাইয়ার ইন্টেলিজেন্ট ফাদার🥴

.

সেহের আর সানা একসাথে ডান্স করছে।

দোনোজনের ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি আর আই কন্ট্রাক্ট তো আছেই।

কাশিকা বাসের ওই কিউট ছেলেটার সাথে ডান্স করছে😂

সুপ্তি: তোর চিপসের প্যাকেটটা বেশি বড়..ওটা আমারে দে।

দিপু: আরেহ দুইটা একই।

সুপ্তি: এত বুঝলে..দিতাছস না কেন?

দিপু: কজ এটা আগে আমি পাইছি।

সুপ্তি: তুই দিবি নাকি আমি ছিনায় নিমু?

দিপু: 😒

সুপ্তি দিপুর হাত থেকে চিপসটা নিয়ে নিল আর এমন একটা ভাব নিলো যেন বিশ্বজয় করে ফেলেছে।

সবাই:🤦🏻‍♀️

এদিকে অন্তর আর অধরা পাশাপাশি বসে আছে।
অন্তরএর ভয় হচ্ছে অধরাকে ডান্সএর জন্য প্রপোজ করতে।

শেষে অধরাই বলে ফেললো।

অধরা: চলো আমার সাথে ডান্স করবে!

বলে অন্তরএর প্রতিত্তরের অপেক্ষা না করেই বেচারাকে টেনে নিয়ে গেল।

অনু: আজ সিঙ্গেল বলে।
রশ্নি: সিঙ্গেল লাইফ ইজ ঝাকানাকা😎

ওদের কথা শুনে মুচকি হাসলো রাতুল।

গিয়ে যেই না অনুকে ডান্স করার জন্য বলবে এর আগেই শুভ এসে ওকে নিয়ে যায়।

রাতুলএর খারাপ লাগে ঠিকই কিন্তু কিছু না বলে বসে পড়ে।

এদিকে ইয়াশ রশ্নিকে দেখিয়ে নোভার সাথে নাচছে।

আর রশ্নির এক্সপ্রেশন বি লাইক
“আই ডোন্ট ইভেন গিভ এ শিট এবাউট ইট”🥴

কিন্তু ভিতরে ঠিকই “ফাইট্টা যায় ফাইট্টা যায়” গান চলতেছে😂

(ব্রো ইউ হ্যাভ টু বুঝতে হবে এটা “রশ্নি”😏)

হঠাৎ (জানি ভাই, এই ওয়ার্ডটা অনেকবার ইউজ করে ফেলছি, বাট প্লিজ ডোন্ট বি বিরক্ত এ্যাট মি : ] )

তো হঠাৎ একটা ছেলে রশ্নির সামনে আসে।

— উইল ইউ বি মাই ডান্স পার্টনার?

কন্ঠটা শুনে সামনে তাকিয়ে রশ্নি পুরাই অবাক।

রশ্নি: নাহিদ আপনি?

নাহিদ: ইয়াহ! আমিও এই ভার্সিটিরই স্টুডেন্ট।

রশ্নি: এতক্ষন তো দেখি নি?

নাহিদ: তুমি বিজি মানুষ আমাদেরকে কি আর চোখে পড়বে।

রশ্নি: 🙄

নাহিদ: তুমি কিন্তু এখনো আমাকে রিপ্লাই দাও নি।

রশ্নি একবার ইয়াশকে দেখে নিলো। ও আর চোখে এদিকেই তাকিয়ে আছে।

রশ্নি নাহিদের হাতটা ধরে ওর প্রপোজাল এক্সেপ্ট করে নিলো

.

রশ্নি বুঝতে পারছে যে নাহিদ ওকে খুব বাজে ভাবে টাচ করার চেষ্টা করছে!

ইয়াশও এটা লক্ষ করলো কিন্তু কিছু বললো না।

রশ্নির রক্ত মাথায় উঠে যাচ্ছে।

নাহিদ এবার আস্তে আস্তে ওর কোমরের দিকে হাত বাড়াতে লাগলো।

রশ্নির মেন্টাল ব্যালেন্স এবার পুরো বিগড়ে গেল

রশ্নির নাহিদের হাতটা মুচড়ে ধরে ঠাস করে একটা চড় কষিয়ে দিলো।

হঠাৎ এমন কিছু ঘটায় পুরো মহলটা থমথমে হয়ে গেল।

রশ্নি: আজ তোর ভাগ্য ভালো বলে ছেড়ে দিলাম…
অন্য কোনো দিন হলে কেটে বারবিকিউ বানিয়ে দিতাম।

বলে বড় বড় কদম ফেলে আজ ও যেই রুমটায় থাকবে সেখানে চলে গেল!

নাহিদ গালে হাত দিয়ে রশ্নির যাওয়ার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

— আমি এই অপমানের প্রতিশোধ নিব! মিস রশ্নি এনায়াত খান!

.#Your_psycho
#A_Devils_Love
#Part_16

#Written_by_Aruhi_khan (ছদ্মনাম)



Tamma tamma loge
Too premee aaha, mai premee aaha
Too raajee aaha, mai raajee aaha
Phir kya daddy kya amma
Ik bas too hee pyaar ke kaabil, saara jahan hai nikamma
Tamma tamma loge…

Tujhe jarurat mere jaise yaar kee
Mujhe jarurat tere jaise yaar kee
Jale jo usako aur jalaao, naacho chhama chham chhamma
Tamma tamma loge…

ভার্সিটিতে আজ রশ্নিদের ক্লাসের সবাই একসাথে মিলে উড়াধুরা ডান্স করছে।

কারন ডায়না ম্যাম জানিয়েছেন আজ ইয়াশ ওদের ক্লাস নিবে না কারন ও কিছু সমস্যার করে ভার্সিটিতে আসে নি।

আর তাই এতদিনে ইয়াশ ওদের জীবনটা তামা তামা করে ছেড়েছে।

ছেলেরা তো ভয় পায়েই তার সাথে এখন মেয়েরা একটু একটু ক্রাশ খায় আর একটু ভয় পায়।

আর ওরা যে শুধু নাচানাচি করছে তাই না
সাথে কেক, পার্টি বোম্ব, চারদিকে স্ত্রিমার্স দিয়ে ডেকোরেট করা মানে পুরাই ঝাকানাকা পার্টি!

রশ্নি: লেটস নাচো💃
হঠাৎ কে যেন গেইটটা নক করলো।

রশ্নি: এখন আবার কে আসলো?

সানা: মনে হয় অন্তর আসছে! ও তো এখনো আসে নাই।

সানা: উম মেবি।

সানা: দারা আমি যায়া গেইট খুলে দিয়ে আসি।

রশ্নি: ওকে।

সানা হাতে কেক নিয়ে গেল যাতে খুশির খবর আর কেক একসাথেই খাওয়াতে পারে।

রশ্নি: Dono milkar jo hota hai ho gaya
Mai tujhame aur too bhee mujhame kho gaya
Dekhake tujhko mai bhee pighalu, jaise pighalatee hai shamma

TAMMA TAMMA…….!!

গেট খুলার পর!!!!!

সানা: আ আম্মা……😱

কারন গেইটের বাহিরে যে স্বয়ং ইয়াশ দাঁড়িয়ে আছে।

ইয়াশ ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে তাকিয়ে আছে তারপর ক্লাস রুমের ভিতর তাকালো।

ইয়াশ: কি হচ্ছে এখানে?

রশ্নি: কিরে চল… আজকে পুরা ফাটাইলামু জীবনের সব দুঃখ বেদনা ভুইলা এই দিনটাতে আনন্দ ফুর্তি কইরা শখ আনন্দ মিটাইলামু….!!

সানার মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।

রশ্নি: বোবা হয়ে গেলি নাকি?

সানা: সামনে দেখ (ফিসফিস করে)

রশ্নি: কেন আমার জামাই আসছে নাকি😆

সামনে তাকিয়ে ওর অবস্থাও খারাপ হয়ে গেল।

রশ্নি: মাম্মা😨
আমার গেবনেই এত বদনা কিনু?

ইয়াশ চোখ রাঙিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

ইয়াশ: জীবনের আনন্দ ফুর্তি শখ মিটানো হয়ে গিয়ে থাকলে এখন কি আমি জানতে পারি এখানে কি হচ্ছে?

রশ্নি: আনন্দ ফুর্তি তো শেষ হইছেই

ইয়াশ জোরে ধমক দিয়ে উঠলো।
ইয়াশের ধমকে সবাই ইয়াশের দিকে তাকায় আর তাড়াতাড়ি মিউজিক অফ করে দেয়।

ইয়াশ: কিছু জিজ্ঞেস করছি….

রশ্নি কি বলবে বুঝতে না পেরে তাড়াতাড়ি সানার হাত থেকে কেক টা নিয়ে ইয়াশের সামনে ধরলো।

রশ্নি: হ্যাপি বার্থডে নীল ভাইয়া… মানে স্যার😅

ইয়াশ– ওহ রিয়েলি? তা আজ যে আমার বার্থডে সেটা আমি জানলাম না তোমরা জানলে কিভাবে?
আর কেকও দেখছি অলরেডি আমাকে রেখেই কাটা হয়ে গিয়েছে।

রশ্নি: ইয়ে মানে…..
ইয়াশ: শাট আপ…

ইয়াশের চিৎকার শুনে সবাই কেঁপে উঠে!

.

.

.

ধুর আজকেও কানে ধরতে হলো!
যখন থেকে এই জল্লাদ চৌধুরী টা এসেছে না
আমার জীবন টা পুরো তেজ পাতা বানিয়ে রেখে দিয়েছে।

রশ্নি এগুলো বলতে বলতে বাসায় যাওয়ার জন্য রিকশা খুঁজছিল কারন ওর বাইক রিপেয়ারিংএর জন্য পাঠানো হয়েছে।

আর ও গাড়িতে বমি করে তাই রিকশা
[And riksha is love😍❤️]

তখন রশ্নি খেয়াল করলো
দুইটা ছেলে সিগারেট খাচ্ছে আর রশ্নির দিকে তাকিয়ে দাঁত কেলাচ্ছে…

কিছুক্ষন পর ওরা এগিয়ে আসতে লাগলো।

রশ্নি: উফ আবার না😩
Ugh….আসো আসো কারাটে আমার বাপে তোমাগো লগে পিরিত করবার লেগা শিখায় নাই।

রশ্নি কিছু বলতে যাবে তার আগেই কোথাথেকে একটা হুডি পড়া ছেলে এসে ওই ছেলেটার হাত মুচড়ে এক ঝটকায় ভেঙে দেয়।

রশ্নি: উমা!😱

ছেলেটা:-
“ঝাল ছাড়া সস,
আর মেয়েদের দিকে বাজে নজর”
আমি কখনোই সহ্য করি না!

রশ্নি: কেয়া বাত কেয়া বাত👏😲👏

ছেলেটা: এই এটাকে এখান থেকে নিয়ে যা।

ওই সিগারেট খোরটার সঙ্গী এসে ওকে নিয়ে গেল তাও আবার কাঁপতে কাঁপতে।

সেখানে অমন কেউ ছিল না তাই
এটা কারো চোখে পড়েনি।

ছেলেটা চলে যাচ্ছিল
দেখে রশ্নি তাড়াতাড়ি দৌড়ে তার কাছে গেল।

রশ্নি: আরেহ আরেহ কই যান?
শোনামুখ খানা টা তো দেখি,,,,কে ওদের এভাবে ধুয়ে দিলো।

রশ্নির কথায় ছেলেটা মুচকি হাসলো।
তারপর নিজের মাথা থেকে টুপি টা সরিয়ে দিল।

রশ্নি: আরেহ মাম্মা তুই…….😱😱😱

রশ্নি গিয়ে ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরলো।

রশ্নি: আই মিসড ইউ সো মাচ আরু বেবি!🥺

(ছেলেটার নাম আরিয়ান কিন্তু রশ্নি আরু বলে ডাকে
এন্ড ছেলেটা রশ্নিকে রশ বেইব বলে ডাকে আর হ্যা এটা রশ্নির ছোট বেলার ফ্রেন্ড
আরিয়ানের বাবার ট্রান্সফার হওয়াতে ওরা বাসা ছেড়ে চলে যায়)

আরিয়ান: আই মিসড ইউ টু বেইব।

রশ্নি: এখন আমাদের বাসায় যাবি চল।

আরিয়ান: তোদের বাসায়েই যাচ্ছিলাম বাট রাস্তায় তোকে দেখলাম তাই ভাবলাম ফলো করি পরে সারপ্রাইজ দিব বাট তার আগেই ওই ছেলে গুলো চলে আসলো।

রশ্নি: কিন্তু ছন্দের দিক দিয়ে কিন্তু তুই রিপনদাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিস।

আরিয়ান: হাহাহাহা সো ফানি!😑

তারপর ওরা একসাথে রশ্নিদের বাসায় চলে আসে।

.

.

ইয়াশের এই নতুন নমুনাটাকে দেখে প্রুচুর মেজাজ খারাপ হচ্ছে।

রশ্নিকে আজ ও কানে ধরিয়েছিলো বলে ওর সাথে বাড়ি ফিরেনি কিন্তু দেখো এই আরিয়ানের সাথে ঠিকই ফিরেছে..ডিসগাস্টিং!

আর রশ্নি টা না এই আরিয়ানকে নিয়ে একটু বেশিই মাতামাতি করছে…ডিসগাস্টিং!

এগুলা ভাবতেও এখন ইয়াশের জাস্ট ডিসগাস্টিং লাগছে।

.

.

সন্ধ্যায় আরিয়ান চলে যাওয়ার পর;
রশ্নি নিজের রুমে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিলো।

হঠাৎ কোথাথেকে ইয়াশ এসে এক টানে রশ্নির কান থেকে হেডফোন খুলে ফেলে।

রশ্নি: 😨

তারপর ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে পড়ার টেবিলে বসায়।

ইয়াশ: পড়া স্টার্ট করো!

রশ্নি: উমা!😨

ইয়াশ: যা বলছি তা করো।

রশ্নি: কিন্তু আমার পড়ার টাইম তো বিকেলে (আমতা আমতা করে)

ইয়াশ: দেখো আমার মেজাজ খারাপ করবা না
পড়া বের কর।

রশ্নি আজকেও পড়া শিখে নি তাই আতঙ্কে আছে।

রশ্নি: ইয়ে মানে ভাইয়া আমি..

ইয়াশ: আজও শিখ নি রাইট?

রশ্নি মাথা নিচু করে বসে আছে।

ইয়াশ স্কেলটা দিয়ে টেবিলে জোরে একটা বাড়ি মারলো।
এতে ওর হাতও পুরো লাল হয়ে গিয়েছে
ফেটে রক্ত বের হচ্ছে।

রশ্নির এখন প্রচুর হচ্ছে, ইয়াশের হাতটা যে একটু ছুঁয়ে দেখবে তারও সাহস পাচ্ছে না।

ও বুঝতে পারছে না আজ হঠাৎ ইয়াশ এমন কেন করছে।

রশ্নি: ভা ভা ভাইয়া….তোমার হাত দিয়ে রক্ত পর….

ইয়াশ: চুপ!!!!

রশ্নি চুপ হয়ে গেল।

ইয়াশ গিয়ে এবার জোরে রশ্নির দুই বাহু চেপে ধরলো।
তারপর ওকে ঝাকিয়ে বলতে লাগলো

ইয়াশ: রশ্নি বুঝতে পারছো?
আমি আমার বিজনেস ফেলে রেখে তোমার জন্য তোমার ব্রাইট ফিউচারের জন্য রোজ এখানে এসে তোমায় পড়াই। তোমার কাছে সেটার কোনো মূল্য নেই তাই না?

রশ্নির চোখ ছলছল করছে শুধু পানি টা গড়িয়ে পড়ার অপেক্ষা।

ইয়াশ: হাহ কাকে কি বলছি! তুমি তো কখনো কোনো কিছু সিরিয়াসলিই নাও না…আমিই শুধু শুধু নিজের টাইম ওয়েস্ট করছি।

বলে রশ্নিকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়।

.
.

রাতে—-★

রশ্নি ডিনার করতে আসেনি।

রাশিদ: রশ্নি কোথায়?
জোৎস্না খালা: হেতিরে তো দেখলাম এত্তো গুলা
চিপস,চকোলেট,জুস টুস নিয়া রুমে গেল।

রাশিদ একবার রেহেনার দিকে তাকালো তারপর নিজেই খাবার ছেড়ে উঠে রশ্নির রুমে চলে গেল।

.

অন্ধকার রুম, চারদিকে চিপস,চকলেটের প্যাকেট কোকের বোতল ছড়ানো ছিটানো।

তার মাঝে রশ্নি নিজের চুল গুলোকেও তাদের সঙ্গী বানিয়ে ছড়িয়ে শুয়ে আছে।

কানে হেডফোন যেটার মধ্যে গান বাজছে।

রশ্নির যখন মন খারাপ হয় তখন ও অনেক বেশি খায়।
আর গান শুনে কান্না করে।

.

রাশিদ রুমে নক করলেন।

শুনে রশ্নি চোখ মুখ মুছে উঠে বসলো
— কাম ইন।

রাশিদ: কি হয়েছে আমার স্ট্রং কুইন এর? কাঁদছে কেন?

রশ্নি: আমি কাঁদছি না।

রাশিদ: ওহ তাই?
3……2……1
এটা বললে রশ্নি নিজের কান্না ধরে রাখতে পারে না।

তাই এবারও বাবাকে ধরে কেঁদে দিলো।

রাশিদ: ইয়াশ কিছু বলেছে?
রশ্নি: হু😭
রাশিদ: কি করেছ তুমি?

রশ্নি সব কিছু খুলে বললো।

রাশিদ: ওহ তোমার ভালো চায় বলেই তোমাকে বকে।
রশ্নি: 😞
রাশিদ: আচ্ছা চলো তোমাকে একটা মেয়ের জীবনের গল্প শুনাই।
রশ্নি: হুম!

রাশিদ বলা শুরু করলেন:-

এক গ্রামে একটা ছোট মেয়ে ছিল।
তার পড়া লেখা করতে খুব ভালো লাগতো। কিন্তু একটু বড় হওয়ার পর তার ফ্যামিলি তার পড়ালিখা বন্ধ করে দিয়ে তার বিয়ের জন্য পাত্র সন্ধান করা শুরু করে দিলো।

তবে সে যে বিয়ে করবে না কারন তার সপ্ন যে আকাশ ছোয়ার ছিল।

কিন্তু সে তো নিরুপায় ছিল। মধ্যবিত্ত পরিবারের একটা অসহায় মেয়ে একা নিজের ফ্যামিলির এগেইনস্ট গিয়ে কিই বা করতে পারতো।

যখন সব আশার আলো শেষ হয়ে যায় তখন তার জীবনে আসে তার প্রিন্স চার্মিং।

সে তাকে সেখান থেকে নিয়ে যেয়ে পড়া লেখা করায় আর নিজের পায় দার করায়

নাও শি ইজ এ লয়েআর

অবশ্য সে শুধুই উসিলা ছিল আসল হিরো তো ওই মেয়েটা যে নিজের পায় দাঁড়িয়ে তার পরিবারদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে সে পারে।

কিন্তু দুঃখের বিষয় একটাই ওই মেয়েটা তার প্রিন্স চার্মএর সাথে সারাক্ষন ঝগড়া করে😞

রশ্নি: বাই এনি চান্স তুমি কি আম্মুর জীবনের গল্প শুনালে?

রাশিদ: ইয়েস😁

বাট আমি তোমাকে যা বুঝাতে চাইছি টা হলো

তোমার কাছে এখন সব আছে
বই,খাতা,কলম,নিজের ডেস্ক,ফ্যামিলির সাপোর্ট

কিন্তু তুমি এগুলো অবহেলা করছো কিন্তু অনেকে আছে যাদের কাছে এগুলোর কিছুই নেই কিন্তু তারা পড়তে চায় তাই……

কিছুর শব্দ পেয়ে দোনজন পিছনে ঘুরে দেখে রেহেনা বেগম দাঁড়িয়ে আছে।

রশ্নি: আম্মু জানো আব্বু বলছিল তুমি নাকি সারাদিন আব্বুর সাথে ঝগড়া করো।

রাশিদ: বললাম কি বুঝলো কি😱

রশ্নি: সবসময় তুমি বেইমানি করো তাই এবার আমিও খেলে দিলাম😎

রেহেনা: সব তো বলে দিলে কিন্তু ওটা বলেছ তো যে তুমি আমায় তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলে (ফিসফিসিয়ে)

রাশিদ: হুশশশশ…..!!

রশ্নি: তোমরা কি বলছো?

রাশিদ: কিছু না।

রেহেনা: একে বুঝিয়ে লাভ নাই
সব উল্টোই বুঝবে। শুন তোর ইচ্ছা
পড়া লেখা করলে করবি তোর ভবিষ্যৎ ভালো আর না করলে জামাইর বাড়ি যায়া কাম করিস!

রশ্নি: পড়ালেখা করলে জামাইর বাড়ি যায় কাজ করতে হইবো না?😒

রেহেনা বেগম কিছুক্ষন ভেবে উত্তর দিলেন
— তখন তোর বাপের মতো একটা জামাই খুইজা দিমু যে বাসার সব কাজ করতে পারবো।

রাশিদ+রশ্নি: 😐

রেহেনা সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন।
কিছুক্ষন পর রাশিদও চলে গেলেন।

রশ্নি: হুম আজকের থেকে নিজের ফিউচারের ব্যাপারে সিরিয়াস হবো, পড়ালেখায় মনোযোগ দিব😊

টুকুশ….(নটিফিকেশন)

রশ্নি চেক করে দেখল টিম তুফান গ্রূপ থেকে ম্যাসেজ আসছে “আয় পাবজি খেলি”

তারপর আবার পড়ালেখার কথা মনে পড়ে।

রশ্নি একবার বই গুলোর দিকে তাকায় একবার ম্যাসেজের দিকে।

রশ্নি বই গুলোর দিকে এগিয়ে যায়।

রশ্নি: কালকের থেকে!🥴

তারপর আবার ফোনে।

রশ্নি: আই এ্যাম কামিং বেইবে!😍

To be continued…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here