হারাতে_চাই_না_তোমায় #পর্ব-৫০

0
607

#হারাতে_চাই_না_তোমায়
#পর্ব-৫০
#লেখিকাঃ_উম্মে_বুশরা

১ মাস পর,
মাঝে চলে গেছে আরো ১ মাস।আরু এখন ওর বাবার বাসায়।আরুর দিন কাটে এখন চার দেওয়ালের মাঝে।আগে থেকে অনেকেই শুকিয়ে গেছে।চোখের নিচে কালো দাগ পরে আছে।অনেক চেষ্টা করেও ওকে কেউ রুম থেকে বের করতে পারে নি।
—–
সেদিন আয়ানকে কথদ শুনার পর আরু নিজের বাকশক্তি মনে হয় হারিয়ে ফেলেছে।আরু ইচ্ছে করছিলো দৌড়ে গিয়ে আয়ানকে জড়িয়ে ধরে বলতে ‘আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না আর না তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে।আমি ভালোবাসি তোমাকে’।কিন্তু এমন কোনো কথাই আরু বলতে পারেনি।আয়ান চলে যাওয়ার পর এক জায়গায়ই বসে ছিলো সারারাত।সকালে আজানের শব্দে আরুর হুস আসে।ওর আশেপাশে তাকিয়ে দেখে ও ফ্লোরে বসে আছে।পুরো রুম চোখ বুলায় না রুমের কোথাও আয়ান নেই।তাহলে কী সারারাত আয়ান রুমে আসেনি?আর যদি না আসে তাহলে গেলো কোথায়?আরু এসব ভেবে উঠতে নিলেই পায়ে ব্যাথা পায়।সারারাত একভাবে বসে থাকার কারনে পা ব্যাথা করছে।আরু অনেক কষ্টে বেড কানিশ ধরে উঠে বসে।আস্তে আস্তে পাটা একটু চাপ দিতে থাকে।এখন একটু ঠিক আছে।উঠে কর্ভাডের কাছে গিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়।ওয়াশরুমে গিয়ে সাওয়ার ছেড়ে দাড়িয়ে পরে।আর কাল রাতের কথা গুলো ভেবে কান্নারা উপছে পরছে।কেনো আয়ান এমন করছে?এতোগুলো দিন পর।ও তো এখন আয়ানকে চায় তাহলে কেনো আয়ান সেটদ বুঝে না।কেনো আয়ানের চোখে ওর ভালোবাসাটা পরে না।নাকী আয়ান সেই আগের মতো হয়ে গেলো?আয়ানকে আবার বিশ্বাস করে ও কী ঠকে গেলো?আয়ান যদি সত্যি এবার এমন কিছু করে তাহলে আরু পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না।
এসব বিভিন্ন ধরনের চিন্তা ওর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।আর চোখের পানি ফেলছে।সাওয়ারের পানির সাথে চোখের পানি মিলে যাচ্ছে।ওর ইচ্ছে করছে চিৎকার করে কাদতে।
প্রায় ১ ঘন্টা পর আরু সাওয়ার নিয়ে বের হয়েছে।বের হয়েও পুরো রুমে চোখ বুলালো কিন্তু আয়ানকে কোথাও দেখে নি।ফযরের নামাজ পরে বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়ালো।বাহিরে এখনো আলো ফুটে নি।আবছা অন্ধকার।আরুর জীবনটাও যেন এখন এমন।আবছা অন্ধকার।আলো যেনো ওপর জীবনে ধরাই দিচ্ছে।
সকালের সূর্য উদয় হচ্ছে।সেই সূর্যের কমলা হলুদ আভা চারদিকে ছড়িয়ে পরছে।সূর্যের পুরো রশ্মি আরু মুখে পরছে।আরুও চোখ বন্ধ করে রেখেছে।সারারাত না ঘুমানোর কারনে আর অতিরিক্ত কান্নার ফলে চোখ লাল হয়ে আছে আর নাক মুখ ফুলে আছে।এতেই যেনো আরুকে আরো আকর্ষনীয় লাগছে।
হটাৎ আরু চোখ খুলে তাকালো।ওর মনে হলো কেউ ওকে দেখছে।আশেপাশে তাকালো কিছু কাউকে দেখতে পাচ্ছে না।পরে মনের ভুল ভেবে আর মন দিলো না।
এভাবে কতোক্ষন ছিলো আরু জানে না।কিন্তু রুম থেকে কিছুর শব্দ পেয়ে রুমের দিকে তাকালো।দেখে আয়ান কর্ভাড থেকে জামা কাপড় বের করছে।আরু আর দেরী না করে রুমে এসে আয়ানের পিছনে দাঁড়ালো।আয়ান জামা নিয়ে পিছনে ফিরে আরুকে দেখে কিছুটা অবাক হলো।সাথে সাথে দুপা পিছিয়েও গেলো।আয়ান ভ্রু কুচকে আরুর দিকে তাকিয়ে আছে।আরুর মাথা নিচে।আয়ান বললো,
আরুঃ এতো সকালে উঠলে যে?কিছু বলবে,?

আরুর তো ইচ্ছে করছে কতো কথা বলতে কিন্তু সব কথা যেনো ওর গলার কাছে এসে আটকে রয়েছে।
আয়ান আবার বললো,
আয়ানঃ কিছু কী বলবে?

আরু শুধু মাথা নাড়লো।যে হ্যা ও বলবে।
আয়ানঃ বলো কী বলবে?
আরুঃ সারারাত কোথায় ছিলেন?
আয়ানের মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো।কি শুনতে চেয়েছিলো আর কী বললো🤦‍♂️।আয়ান বিরক্ত নিয়ে বললো,
আয়ানঃ বাড়িতেই ছিলাম।কেনো?
আরুঃ বাড়িতে থাকলে রুমে আসেন নি কেনো?
আয়ানঃ আমার বাড়ি আমার রুম।ইচ্ছে হলে রুমে আসবে না হলে আসবো না।

আরু আর কিছু বললো না।আরুকে এমন মাথা নামিয়ে রাখতে দেখে আয়ানের রাগ যেনো আরো বেরে গেলো।কিন্তু ও এখন আরুর সামনে রাগ দেখাতে চায় না।তাই আরুকে পাশ কাটিয়ে ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়।হটাৎ পিছনে ফিরে আরুকে বলে,
আয়ানঃ আর হ্যে?তুমি চাইলে ডির্ভোস পেপার আসার আগ পর্যন্ত এখানে থাকতে পারো বা তোমার বাসায় চলে যেতে পারো।কেউ তোমায় আটকাবে না।এবার সব তোমার ইচ্ছে।

আয়ান চলে গেলো ওয়াশরুমে।আর দাঁড়ালো না।আয়ান যেতেই আরু দুচোখ দিয়ে লোনাজল গুলো গড়িয়ে পরলো।আরুও আর দাড়ালো না এক দৌড়ে ছাদে চলে গেলো।
প্রায় দুপুরের দিকে চম্পা গিয়ে আরুকে ডেকে নিয়ে আসে।আরুও নিচে চলে গেলো।নিচে গিয়ে আয়ানের মা’য়ের সাথে টুকটাক কথা বললো।কিন্তু আরু একটা জিনিস খেয়াল করেছে আয়ানের মা-ও আজ কেমন যেনো আরুর সাথে গা ছাড়া ভাব নিয়ে কথা বলছে।মনে হচ্ছে মন থেকে নয় ওনাকে কেউ জোর করেছে তাই আরুর সাথে কথা বলছে।আর এর মাঝে একবার জেনে নিলো আয়ান আজ তাড়াতাড়ি অফিস চলে গেছে।আর ফিরতেও দেরী হবে।কিন্তু আয়ান এই ব্যাপারে আরুকে কিছু বলে নি।এই কয়েকমাসে তো আয়ানের দেরী হলেও আরুকে জানিয়ে যেতো বা অফিসে গিয়ে কল করতো।কিন্তু আজ তো বলেও গেলো না।এসব আরু আর নিতে পারছে না।চোখের পানি গুলো আবার ভির জমেছে।আরু আর দাঁড়ালো না চলে এলো রুমে।
এভাবেই সারাদিন আয়ান একটা কলও করলো না।সারাদিন গিয়ে রাত ১২ টায় আয়ান এলো।আরু বসে ছিলো।আয়ান রুমে এসে আরুর দিকে এক পলক তাকিয়ে কিছু না বলে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।ফ্রেশ হয়ে এসে এবারও আরুকে কিছু না বলে নিচে গিয়ে ডিনার করে নিলো।আরু ভেবেছে আয়ান ডিনার করার সময় আরুকে ডাকবে কিন্তু না।অনেক্ষন পর যখন আয়ান এলো না রুমে তখন আরু নিচে গেলে।কিন্তু গিয়ে কোথাও পেলো না আয়ানকে।আরু তাড়াতাড়ি নিচের সব জায়গায় খুঁজলো কিন্তু পেলো না।তাই উপরে এসল পরলো।কিন্তু ওদের রুমে যাওয়ার আগে যেই রুম পরে তার ভিতর থেকে ডিমলাইটের আলো আসছে।আরুর ভাবছে এই রুমে কে?তাই ও দরজাটা খুলে ভিতরে তাকিয়ে দেখে আয়ান শুয়ে আছে।এটা দেখে আরুর বুক ফেটে কানা আসছে সেখানা আর না থেকে রুমে চলে এলো।এসে বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদতে লাগলো।
———-
এভাবেই চলতে থকলো দিন।কিন্তু এই বাড়ির কেউই আরুর সাথে প্রয়োজনের বেশি কথা বলে নি।আরু এসব আর নিতে না পেরে ১০ দিন পর ওই বাড়ি থেকে চলে আসে।আসার সময় আয়ানের মা’কে বলে এসেছে।কিন্তু আয়ানকে বলতে পারে নি।কারণ ও অফিসে ছিলো আর যখন বাসায় ছিলো তখন অভিমানের কারনে বলতে পারে নি।আয়ানের মা’কে যখন বললো ও চলে যাবে এটা শুনে আয়ানের মা তেমন কোনো রিয়েক্ট করেনি।শুধু ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেছিলো,
আফিয়া রাহমানঃ দোয়া করি খুব তাড়াতাড়ি সবার মনের ইচ্ছা পূরন হয়।আর মা আমার ছেলেটার উপর রাগ করো না।ও যা করেছে ভালোর জন্যই করেছে।আর একদম খাওয়া নিয়ে অনিয়ম করবে না।বউ দেখতে এসে পরে যেনো কেউ না বলে বউ পাট কাঠির মতো শুকনা।যদিও এমনিতেও আমার মেয়ে দেখতে পুরো রাজকন্যার মতো।

আরু শুধু ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছে।কি বলছে এসব?মনের ইচ্ছা পূরণ,আয়ান ভালোর জন্য করেছে,বউ দেখতে আসবে,শুকনা।এসব কেনো বলছে।ওর মাথা কিছুক্ষন হ্যাং হয়ে ছিলো।কিন্তু নিজেকে সামলে বিদায় নিয়ে চলে এলো।গাড়িতে বসে পুরো রাস্তা চোখের পানি ফেলেছে।ওদের বাসার সামনে গাড়ি থামতেই আরু নেমে পরে।ড্রাইভার ওর ব্যাগ ভিতরে রেখে চলে যায়।আরুও আস্তে আস্তে বাসায় ঢুকে।ও এসে দেখে ওর মা হাসি মুখে ওকে জড়িয়ে ধরেছ।মনে হচ্ছে উনি অপেক্ষায় চিলেন কখন আরু আসবে।আরুর মা ওকে বললে,
আদিরা আহমেদঃ কেমন আছিস মা?
আরুঃ ভালো মা।তুমি?
আদিরা আহমেদঃ আমিও ভালো।যা আগে ফ্রেশ হয়ে আয় সব কথা পরে হবে।
আরুঃ হুম।কিন্তু তন্নি কোথায়?
আদিরা আহমেদঃ তন্নি একটু ওর বাবর বাসায় গেছে।চলে আসবে বিকালে।
আরুঃ ওহহ।আর বাবা?
আদিরা আহমেদঃ তোর বাবা বাজারে গেছে।তোর জন্য চিংড়ি মাছ আনতে।
আরুঃ ওহহ।…..কিন্তু বাবা কিভাবে জানলো আমি আসবো?
আদিরা আহমেদঃ আব….এমনিই গিয়েছে।সন্তান কাছক আসলে বাবা মা এমনিই বুঝে যায়।এখন এসব কথা রাখ ফ্রেশ হতক যা।
আরুঃ আচ্ছা।

আরু দুপুরে খেয়ে একটু শুয়েছিলো আর বার-বার ফোন হাতে নিয়েছে।ওর মনে হয়েছে আয়ান ওকে কল করবে কিন্তু না করে নি আয়ান।বিকালে তন্নি এলে সারা বিকাল আর সন্ধ্যা তন্নির সাথে কথা বলে সময় কাটিয়েছে।এর মাঝে আয়ানের কথা কিছুটা ভুলেই গিয়েছিলো।রাতে খাবার টেবিল আরু অনেক বার বলতে চেয়েছে ওর আর আয়ানের ডির্ভোসের কথা কিন্তু বলতে পারেনি।
খাওয়া শেষে রুমে এসে শুয়ে পরেছ।কিন্তু ঘুম নেই।এতো মাসের অভ্যাস।কীভাবে হটাৎ পরিবর্তন হয়।ওর তো আয়ানের বুকে ঘুমানের একটা বদ অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।সারারাত এপাশ ওপাশ করতে করতে শেষ রাতে ঘুম হয়েছে।
সকালে উঠে নিচে গেলো।আজ ঠিক করেছে কথাটা বলবে।তাই নিজেকে প্রস্তুত করে নিচ্ছে।খাওয়ার মাঝেই আরু কথাটা বললো।বলতে গিয়ে ওর গলা কাপছিলো।ভিতর থেকে কান্না আসছিলে কিন্তু নিজেকে সামলে নিয়েছ।কথাটা বলেই ও মাথা নিচু করে রাখলো।প্রায় অনেকক্ষন পর যখন কারো গলার স্বর পায়নি তখন মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে সবাই স্তব্ধ হয়ে বসে আছে।কারো মুখে কোনো কথা নেই।আরুর জানতো ওর পরিবার এটা মেনে নিতে পারবে না।সবাই কষ্ট পাবে।
এসব শুনে আরুর বাবা শুধু বলেছে,
আশরাফ আহমেদঃ এটাই তোমাদের ফাইনাল ডিসিশন?
আরুঃ…..
আশরাফ আহমেদঃ কথা বলো আরু।চুপ করে থাকলে তো হবে না।
আরুঃ……..
অনিমঃ ও কী বলবে?ওকে কিছু বলতে হবে না।এই ব্যাপার নিয়ে আমি আয়ানের সাথে কথা বলবো।আরু তুই চিন্তা করিস না।…আমি আসছি সবাইকে আল্লাহ হাফেজ।
অনিম চলে গেলে।কিছুক্ষন পর আরুর বাবাও চলে গেলো।কিছুই বললো না আর।আরুর মা বললো,
আদিরা আহমেদঃ তোদের জীবন তোরা ভালো বুঝিস।ছোট থেকে তোরা যা চেয়েছিস তাই দিয়েছি আর পাশেও ছিলাম সবসময়।কারন যানতাম আমার ছেলে মেয়ে কোনো ভুল করবে না।তাই এখনও আমরা তোর পাশে আছি।কিন্তু বলবো এটাই যা করতে চলেছিস একবার ভালো মতো ভেবে নিস।পরে যেনো আফসোস করতে না হয়।
কথা গুলো বলে আরুর মা চলে গেলো।আরু শুধু সবার কথা শুনে যাচ্ছে।তন্নি ওর কাধে হাত রেখে বললো,
তন্নিঃ মামনির কথা গুলো ভেবে দেখিস।একবার অতন্ত্য ভেবে দেখ।সবটা ঠিক করে নে।আয়ান ভাইয়ার সাথে কথা বল।
আরুঃ………
তন্নিঃ সব কিছু হাতের বাহিরে যাওয়ার আগে নিজের হাতের মুঠোয় নে।শক্ত হাতে সবটা আগলে নে।

তন্নিও চলে গেলো।আরু কিছু সময় পর নিজের রুমে চলে গেলো।আর সেই দিন থেকে প্রয়োজন ছাড়া রুম থেকে বের হয়নি।কিন্তু আরু একটা জিনিস ভাবছে এই কথাটা শুনার পর ওর বাসার সবাই কেমন যেনো রিয়েক্ট কম করলো।মনে হলো বেশি মাথা ঘামানোর ব্যাপার না এটা।
কিন্তু আরু এসব একবার ভেবে আর মাথায় আনলো না।
—————-
তন্নির ডাকে অতীত থেকে বেরিয়ে এলো।আরু এতোক্ষন বেলকনিতে বসে সেদিনের কথা গুলো ভাবছিলো।দুপুরের খাওয়ার পরযে বেলকনিতে এসেছে এখন প্রায় বিকাল।এতোটা সময় পেরিয়ে গেলো আরু বুঝতে পারেনি।তন্নি বলে,
তন্নিঃ কখন থেকে ডাকছি কোথায় হারিয়ে গিয়েছিস?
আরুঃ কিছু না।বল কী বলবি?
তন্নিঃ শপিংয়ে যাবো চল।
আরুঃ আমার ভালে লাগছে না।তুই যা।
তন্নিঃ এমন করছিস কেনো? চল না?
আরুঃ ভালে লাগছে না বললাম তো।মারুকে বল আসতে ওকে নিয়ে যা।
তন্নিঃ ও আসতে পারবে না।তুই চল।(নিজের পেটে হাত রেখে)দেখেছো বেবি তোমার ফুফি তোমার সাথে যেতে চাইছে না।তুমিই তো বললে,’ তোমার ফুপির সাথে ঘুরতে যেতে চাও’ তাই না?কিন্তু এখন দেখো তোমার ফুফি যাবে।তোমাকে একটুও ভালোবাসে নদ তোমার ফুফি।
আরুঃ প্লিজ ইমোশনাল ড্রামা বন্ধ কর।
তন্নিঃ তুই চল।তাহলে বন্ধ করবো।
আরু দীর্ঘশ্বস ছেড়ে বললো,
আরুঃ চল

ওরা বেরিয়ে গেলো শপিংয়ের উদ্দেশ্যে।আর ওদের জন্য অপেক্ষা করছে একজন সেই কখন থেকে

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here