#বিষাক্তফুলের_আসক্তি পর্ব-০২

0
501

#বিষাক্তফুলের_আসক্তি পর্ব-০২
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা

তিতির মনে মনে আওড়াতে লাগলো, আমাকে বাঁচতে হবে ?

নিজের সর্বশক্তি দিয়ে তাজকে ধাক্কা দিলো। তাজ খানিকটা পিছিয়ে গেলো তিতিরের থেকে। কিছুটা ড্রাংক থাকায় তাজকে সরাতে সক্ষম হয়েছে তিতির। তাজ সরে যেতেই তিতির কাশতে কাশতে নিচে বসে পড়লো। চোখ থেকে অঝোরে পানি গড়িয়ে পড়ছে তার। নিয়তি বরাবরই তার জন্য নিষ্ঠুর। গত দুই বছর তো ভালোই ছিলো সে। তাজ অসম্ভব ভালো একজন মানুষ। হাসিখুশি আর বন্ধুসুলভ সবার জন্য। এতো বড় একজন মানুষ হয়েও বিন্দুমাত্র অহংকার নেই তার মধ্যে। তিতিরকে কতোটা সাহায্য করেছে সেটা একমাত্র তিতির বলতে পারবে। আজ অসহায় হয়ে সেই মানুষটার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে তিতির। বলতে গেলে যার নুন খেয়েছে তার সাথেই নিমকহারামি করেছে। কিন্তু তিতিরের যে হাত-পা বাঁধা। দু’হাতে মুখ লুকিয়ে চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো তিতির।

ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ায় দিগুণ রেগে গেলো তাজ। এগিয়ে এসে তিতিরের চুলের মুঠি ধরে দাড় করালো। ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলো তিতির কিন্তু মুখে একটা শব্দও করছে না।

তাজ দাঁত খিঁচিয়ে বললো, এতবড় সাহস তোর ? এই তাজওয়ার খান তাজকে ধাক্কা দিস। যার বিছানা সঙ্গী হওয়ার জন্য এতো বড় নাটক করলি তাকেই ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিচ্ছিস কেনো ? তুই এতবড় অভিনেত্রী আগে জানলে আমার মুভির হিরোইন বানাতাম।

তিতির চোখ বন্ধ করে আছে। এখন পর্যন্ত একবারও চোখ তুলে তাকায়নি তাজের দিকে। এবার পিটপিট করে তাকালো তাজের দিকে। তিতিরের মুখ থেকে মাত্র কয়েক ইঞ্চি দূরে তাজের মুখখানা। রাগে পুরো মুখ লাল হয়ে আছে, যে চোখ দেখে তিতির একসময় তার প্রেমে পড়েছিলো সেই চোখদুটো আজ ভয়ংকর লাগছে তিতিরের কাছে। তাজের গায়ের এলকোহলের গন্ধে তিতির নাড়িভুড়ি দলা পাকিয়ে বের হয়ে আসতে চাইছে যেনো।

তিতির অনেক কষ্টে বললো, স্যার আমার লাগছে, প্লিজ ছাড়ুন।

তিতিরের কথায় তাজ আরো রেগে গেলো যেনো। হাতের মুঠোয় আরো শক্ত করে ধরলো তিতিরের চুল।

তাজ বুকের বা পাশে আঙ্গুল রেখে বললো, আমারও লাগছে ঠিক এখানে। তোর জন্য আজ আমি কী কী হারিয়েছি তোর কোনো ধারণা আছে ? তোকে প্রথম যেদিন দেখেছিলাম মনে হয়েছিলো ফুটফুটে পবিত্র একটা ফুল। কিন্তু তুই তো বিষাক্তফুলের রুপ নিলি আমার জীবনে।

তিতির আবারও কেঁদে উঠলো। নোনাজল গাল বেয়ে নিচে নামতে লাগলো। তাজ বা’হাতে তিতিরের চুল ধরে আছে। ডান হাতের তর্জনী আঙ্গুলের ডগায় তিতিরের এক ফোটা চোখের পানি তুলে নিলো।

গম্ভীর গলায় বললো, এটা তো কেবল শুরু মিসেস তিতির। আজ থেকে তোমার জীবনের প্রতিটা মুহুর্তে এই নোনাজলের স্বাদ পাবে তুমি। যতটা কষ্ট আমাকে দিয়েছো তার থেকেও হাজার গুণ কষ্ট তোমাকে ফিরিয়ে দিবো। স্বপ্ন ভাঙার কষ্ট ঠিক কতটা হাড়ে হাড়ে টের পারে। আপন মানুষগুলোর ঘৃণার দৃষ্টি কতটা ক্ষত বিক্ষত করে তুমি বুঝতে পারবে।

কিছুটা সময় চুপ করে তিতিরের দিকে তাকিয়ে রইলো তাজ। কতটা নিষ্পাপ মেয়েটার মুখ। কেউ কী বিশ্বাস করবে এই মেয়েটা এমন জঘন্য একটা কাজ করেছে। এই মায়াভরা মুখটা দেখে যে কেউ ধোঁকা খেয়ে যাবে। ফর্সা মুখটা লাল বর্ণ ধারণ করেছে কাঁদতে কাঁদতে। নাকের ডগা টকটকে লাল হয়ে গেছে, লাল রঙা ঠোঁট দুটো মৃদু কাঁপছে।

তাজ হঠাৎ কঠিন গলায় বলে উঠলো, আচ্ছা বল তো কার পাপের ফসল আমার উপর চাপিয়ে দিলি ? আমি কখনো কল্পনাও করিনি মানুষ চিনতে আমার এতটা ভুল হবে। তোকে দেখে বরাবরই নিষ্পাপ আর পবিত্র মনে হয়েছে। কিন্তু তুই তো একটা চরিত্রহীন মেয়ে। তোর পেটের পাঁপটা কার বল তো।

তিতির অসহায় চোখে তাকালো তাজের দিকে। যে মেয়ের হাত কোনো ছেলে এখন পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারেনি তাকে আজ চরিত্রহীন অপবাদ শুনতে হচ্ছে। কিন্তু সে কিছুই বলতে পারছে না। চিৎকার করে বলতে পারছে না আমি চরিত্রহীন নই, নেই কারো পাপের ফসল আমার পেটে, নই আমি চরিত্রহীন। আমি তো কেবল কারো নোংরা খেলার একটা গুটি মাত্র। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল আপনার চাকরিটা করা। তা নাহলে আজ এতবড় একটা মিথ্যা অপবাদ নিজের কাঁধে নিতে হতো না। আপনি সব হারিয়ে থাকলে আমিও সব হারিয়েছি। কারণ আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের কাছে তার সম্মানই সবকিছু। যেটা আমি সারাদেশের মানুষের সামনে নিজ হাতে জলাঞ্জলি দিয়েছি।

তাজ তিতিরের থেকে দূরে সরে দাঁড়িয়ে বললো, যার পাপ পেটে নিয়ে ঘুরছিস তার কাছে না গিয়ে আমাকে কেনো ফাঁসালি ? তাজওয়ার খান তাজের স্ত্রী হওয়ার লোভে ? পাওয়ার, প্রোপার্টি এসবের লোভে ?

এলকোহলের নেশা অনেকটাই কেটে গেছে তাজের। এসবে অভ্যস্ত না থাকায় খেতে পারেনি খুব একটা। এলকোহলের নেশা কেটে গিয়ে তাজের মাথায় প্রতিশোধের নেশা চেপে বসেছে।

তিতিরের দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো, খুব শখ সুপারস্টার তাজওয়ার খান তাজের স্ত্রী হওয়ার। আজ সেই শখ পূরণ করবো আমি তোর। নরক যন্ত্রণা ভোগ করবি আজ তুই।

তিতির মাথা নিচু করে কাঁদছিলো। তাজের কথা শুনে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকালো তার দিকে। তিতির কিছু বুঝে উঠার আগেই তাজ হাত বাড়িয়ে তিতিরের চুল মুঠি ধরে কাছে টেনে আনলো। ব্যাথায় চোখ বন্ধ করে করে ফেললো তিতির। ঠোঁটে আরেক জোড়া ঠোঁটের অস্তিত্ব অনুভব হতেই বড়বড় চোখে তাকালো। জীবনের প্রথম কোনো পুরুষের স্পর্শ পেয়ে শিহরিত হওয়ার আগেই তীব্র ব্যাথায় কুঁকড়ে গেলো। তীক্ষ্ণ ধারালো দাঁতের আঘাতে মুহূর্তে ঠোঁট কেটে নোনতা স্বাদের তরল বেড়িয়ে এলো। এতে হেলদোল হলো না অপর পাশের ব্যক্তির। সে নিজের রাগ মেটাতে ব্যস্ত। অনেকটা সময় পর তাজ ছেড়ে দিলো তিতিরকে। ব্যাথায় চোখ বন্ধ করে আছে তিতির।

তাজ তিতিরের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেঁসে বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে তিতিরের ঠোঁটের রক্ত মুছে নিয়ে রক্তমাখা আঙ্গুলের দিকে তাকিয়ে বললো, তাজ এই প্রথম কোনো মেয়েকে স্পর্শ করলো। কেমন লাগলো মিসেস তিতির ? আমার যদিও এটা প্রথম কিন্তু আপনার তো প্রথম নয়। আগে হয়তো স্বর্গ সুখ উপভোগ করেছিলেন এবার নরক যন্ত্রণা ভোগ করবেন। নিজেকে তো আমি নির্দোষ প্রমাণ করবোই তার আগে তোর জীবন নরক করে দিবো।

কথাটা শেষ করে তিতিরের চুলের মুঠি ধরে টেনে রুমে নিয়ে বিছানায় ছুঁড়ে ফেললো। তিতির তাজের দিকে তাকিয়ে ভয়ে কুঁকড়ে গেলো। তাজ নিজের শেরওয়ানীটা খোলে ফেলে দিলো ছুঁড়ে। রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে তাজ। মৌ ছাড়া কোনো মেয়ের সাথে তাজ কখনো ফ্রী ভাবে কথাও বলেনি। হিরোইনদের সাথেও কাজের বাইরে খুব একটা কথা হয় না তার। সেই ছেলেটাকে সবাই চরিত্রহীন উপাধি প্রদান করেছে এই মেয়ের জন্য ৷ কীভাবে মেনে নিবে তাজ ? তাজের সব শেষ করে দিয়েছে মেয়েটা। এবার তাকে শেষ করে তাজ। হিংস্র বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লো তিতিরের উপর। তাজ ব্যস্ত নিজের রাগ মেটাতে আর তিতির নরক যন্ত্রণায় ছটফট করছে।

৩.
তাজের মা মিসেস ইরিনা রহমান নিচু গলায় বললো, এভাবে তাড়াহুড়ো করে বিয়েটা দিয়ে কী ঠিক করলেন আপনি ? নিজের ছেলেটার কথা একবার বিশ্বাস করতে পারলেন না। একবার সত্যি মিথ্যা যাচাই করা উচিত ছিলো না কী ?

ইকবাল খান ইজি চেয়ারে বসে আছে চোখ বন্ধ করে। স্ত্রীর কথা শুনে তার দিকে তাকিয়ে বললো, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছিলো। কোনটা ঠিক কোনটা ভুল ভাবার সময় ছিলো না। তবে এখন কেনো জানি মনে হচ্ছে অনেক বড় ভুল হয়ে গেলো। আমাদের শিক্ষা তো এমন নয়। আমাদের ছেলে এমনটা করতে পারে না।

ইরিনা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বললো, আপনি চাইলেই সত্যিটা যাচাই করতে পারতেন খুব সহজে।

এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়লে কারো মাথায় ঠিকভাবে কাজ করবে না। এখন তো অনেক কিছুই মনে হচ্ছে। কথায় আছে না, “চোর গেলে বুদ্ধির উদয় হয় “। এখন নিজের অবস্থা তেমনই মনে হচ্ছে।

ইরিনা বললো, তিতির মেয়েটাকেও আমি ভালো করেই চিনি। খুবই ভদ্র আর শান্তশিষ্ট একটা মেয়ে। ঐ মেয়েটাই বা মিথ্যা বলবে কেনো বুঝতে পারছি না।

আমাকে ভাবতে দাও ইরি। এখানে অনেক বড় ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে মনে হচ্ছে।

এদিকে বিয়ের বেনারসিটা এখনো গায়ে জড়িয়ে আছে মৌ। চোখের পানিও শুকিয়ে গেছে তার। এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না তাজ এমনটা করেছে। একই সাথে বড় হয়েছে তারা। তাজ মৌয়ের দেড় বছরের বড়, তবু তাদের বন্ধুত্ব ছোটবেলা থেকে। তাজ বরাবরই মেয়েদের থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখতো। এজন্যই মুভিতে কাজ করতে গিয়ে প্রথম দিকে হিরোইনদের সাথে কাজ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাকে। পরে ধীরে ধীরে সহজ হয়েছে। তবে কী এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তাজের এতোটা অধঃপতনের কারণ। তাজের ফিল্মে যাওয়া নিয়ে ইকবাল খানকে মৌ রাজি করিয়েছিলো অনেক কষ্টে। সেটাই জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল মনে হচ্ছে মৌয়ের কাছে।

হঠাৎ মৌয়ের মনে হলো, আচ্ছা আমি কোনো ভুল করলাম না তো ? তাজ তো বলছিলো মেয়েটা সব মিথ্যে বলেছে। কিন্তু একটা মেয়ে কীভাবে নিজের নামে এতবড় একটা মিথ্যা বলবে ? আর রিপোর্টটা তো ফেইক ছিলো না, সেটা বুঝতে আমার ভুল হতে পারে না। আর সেই ছবিগুলো, সেগুলো দেখেই তো আমার দুনিয়া উলটপালট হয়ে গেছে। সত্যি মিথ্যা যাচাই করার শক্তিটুকুও ছিলো না।

মৌ আর ভাবতে পারছে না। একবার মনে হচ্ছে তাজ সত্যি বলছে আবার মনে হচ্ছে মেয়েটার প্রমাণগুলো তো মিথ্যা ছিলো না। ক্লান্ত শরীর নিয়ে ওয়াশরুমে ঢোকে গেলো মৌ। বাথটবে গিয়ে শুয়ে পড়লো। চোখ বন্ধ করতেই চোখের কোণ বেয়ে নোনাজল গড়িয়ে পড়লো। চোখে ভাসতে লাগলো তাজের সাথে কাটানো হাজারো মধুর স্মৃতি। মুহুর্তে কেঁদে উঠলো মৌ।

তিনটা হাসোজ্জল মুখের ছবির দিকে তাকিয়ে আছে এক জোড়া চোখ। ঠোঁটের কোণে তার পৈশাচিক হাসি। একটা লাইটার দিয়ে ছবির এক কোণে আগুন জ্বালিয়ে দিলো লোকটা।

তারপর উচ্চ স্বরে হাসতে হাসতে বললো, দুই বছরের সাজানো খেলা এতো সহজে নষ্ট করতে পারবি না মিস্টার তাজওয়ার খান তাজ। দুই বছর ধরে খেলাটা সাজিয়েছি আমি। তারপর জাস্ট একটা চাল এতেই তোর সবকিছু চোখের পলকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিলাম। তোর মানসম্মান, ক্যারিয়ার, আপনজন, ভালোবাসা সব এক চালেই শেষ। অনেক কষ্টে সাজিয়েছি খেলাটা। বেচারি তিতির বোনটা আমার। ও তো আমার খেলার একটা গুটি মাত্র। যে গুটিটা চেলেছি আরো দুই বছর আগে। যত ইচ্ছে যাচাই করে নে কিন্তু কিছুতেই সত্যিটা সামনে আনতে পারবি না। রিপোর্ট তো সেটাই আসবে যেটা আমি চাইবো। আমি যে কাঁচা খেলোয়াড় নই। বাচ্চাটা তোর নয় সেটা প্রমাণ করা তো দূর তুই এটাই প্রমাণ করতে পারবি না তিতির প্রেগনেন্ট নয়। একটা সময় ছিলো তুই আমার থেকে এগিয়ে ছিলি কিন্তু এখন আমার ক্ষমতার কাছে তুই কিছুই না। এবার আমি যেমন চাইবো তেমনই হবে তোর জীবনে। শুধু তোকে হারাবো বলে অন্ধকার জগতে পা রাখার আগে একবারও ভাবিনি আমি।

চলবে,,,,,

[বিঃদ্রঃ বাপরে বাপ প্রথম পর্বে একেক জনের কমেন্ট দেখে আমি রীতিমতো ভয় পেয়ে গেছি। ইন্ডিয়ান সিরিয়াল আমি দেখি না ভাই, তাই জানিও না সেগুলো কেমন হয়। ছোটবেলায় একটা সিরিয়ালই দেখছিলাম বোঝেনা সে বোঝেনা। তারপর আর দেখার ইচ্ছে হয় নাই কোনোটা। তাই ইন্ডিয়ান সিরিয়াল হয়েছে কিনা আমি জানি না। গল্পটা এখনো ভালো করে শুরুই হয়নি এখনই কত কথা। গল্পে অনেক কিছু সামনে আসা বাকি আছে এখনো। যদি জানার ইচ্ছে থাকে তাহলে পড়তে থাকুন নাহলে আমি জোর করছি না পড়ার জন্য। আপনাদের কমেন্টের ভয়ে গল্প লিখতে ভয় করে এখন। বইয়ের কভার দেখেই সব বিচার করে ফেলেন আপনারা। আবারও বলছি যাদের পড়তে ভালো না লাগে এড়িয়ে যান। পুরো গল্প পড়ার পর আপনারা যা ইচ্ছে বলেন আমি কিছু মনে করবো না কিন্তু শুরুতেই এমন করলে আপনাদের কিছু বলার নাই। তবে এটুকু বলতে পারি সবাইকে আশাহত করবো না ইনশাআল্লাহ। বরাবরই আমি একটু ভিন্নতা পছন্দ করি। গল্পটার নাম খেয়াল করলেই তিতির চরিত্রটা কেনো এমন সেটা বুঝতে পারবেন আর রইলো নায়িকা তিতির কিনা ? সেটা দেখা তো সময়ের অপেক্ষা, নায়িকা কে। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here