#বিষাক্তফুলের_আসক্তি পর্ব-২৯

0
308

#বিষাক্তফুলের_আসক্তি পর্ব-২৯
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা

বাসায় ফিরে শানের পা থমকে গেলো। ফ্ল্যাটের খোলা দরজার সামনে সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে রেখা। কিছু সময়ের জন্য শান যেনো থমকে গেলো। হুঁশ ফিরতেই দ্রুত এগিয়ে গেলো রেখার দিকে। গালে থাপ্পড় দিয়ে কয়েকবার রেখা রেখা বলে ডেকেও রেখার রেসপন্স পেলো না। রেখাকে সেখানে রেখে ভেতরে গেলো দৌড়ে। তন্নতন্ন করে খোঁজেও শায়িনীর কোনো চিহ্ন পেলো না। ড্রয়িংরমে তার খেলনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে কেবল। শান এক গ্লাস পানি নিয়ে এগিয়ে এলো রেখার কাছে। চোখেমুখে পানি ছিটিয়ে গালে থাপ্পড় দিতে লাগলো। বেশ কিছুটা সময় ধীরে ধীরে চোখ খুললো রেখা।

শায়িনী কোথায় রেখা আর তুই এখানে এভাবে পড়ে আছিস কেনো ?

রেখার মাথা ঘুরছে তখনো। মেডিসিনের রেশ কাটেনি পুরোপুরি। রেখা মনে করার চেষ্টা করলো কী হয়েছিলো।

শান অস্থির গলায় রেগে বললো, কী হলো রেখা চুপ করে আছিস কেনো ?

রেখা নিজের মাথা চেপে ধরে বললো, আসলে ভাইয়া আমি মনে করেছি তুমি এসেছো। তাই শায়িনীকে কোলে নিয়ে দরজা খোলে দিয়ে দেখি একটা অচেনা লোক দাঁড়িয়ে আছে। পরিচয় জানতে চাইলে লোকটা তোমার আর ভাবির নাম বলে জিজ্ঞেস করলো এটা তোমাদের বাসা কিনা। আমি হ্যাঁ বলতেই মুখে কিছু স্প্রে করে দিলো তারপর ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ হয়ে আসে আমার। এরপর কী হয়েছে কিছু মনে নেই।

শান রেগে গেলো রেখার কথা শুনে, তুই কে এসেছে না দেখে দরজা খুলেছিস কেনো ?

রেখা কাঁদো কাঁদো গলায় বললো, আমি ভেবেছি তুমি এসেছো।

শান নিজের মাথার চুল খামচে ধরলো। কী করবে বুঝতে পারছে না সে। মেয়েটা যে তার আর মৌয়ের জান। মৌ পাগল হয়ে যাবে মেয়েকে হারালে। শান ভাবলো মৌকে এখনই জানাবে না। আগে পুলিশকে ইমফর্ম করতে হবে। পুলিশকে কল করার জন্য পকেট থেকে ফোন বের করতেই মৌয়ের কল এলো।

শান ভয়ে ভয়ে কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ভেসে এলো মৌয়ের ভেজা গলা, আমার শায়িনী কোথায় শান ?

শান অবাক হলো মৌয়ের কথায়। মৌ কোনোভাবে জেনে গেছে কিনা সেটাই ভাবছে।

শান কিছু বলবে তার আগেই মৌ বললো, আমাকে মিথ্যা বলবেন না শান। আমার কাছে কল এসেছিলো অচেনা নাম্বার থেকে, সে বলছে শায়িনী তার কাছে আছে তাই সত্যিটা বলুন।

শান বুঝতে পারলো মৌকে মিথ্যা বলে লাভ নেই তাই সবটা খোলে বললো।

মৌ অস্থির গলায় বললো, আপনি পুলিশকে ফোন করবেন না। তাহলে আমার মেয়েটার ক্ষতি করে দিবে। আমি না আসা পর্যন্ত কাউকে কিছু বলবেন না।

শান ব্যস্ত গলায় বললো, তুমি কোথায় যাবে ?

মৌ অসহায় গলায় বললো, জীবনে করা কিছু ভুলের মাশুল দিতে।

অস্থির হয়ে উঠলো শান, মৌ তুমি কোথাও যাবে না আমি এখনই আসছি তোমার কাছে।

শানের কথা না শুনে মৌ কল কেটে দিলো। শান ব্যস্ত ভঙ্গিতে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হল।

৩৩.
একটা পুরনো বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নামলো মৌ। এতক্ষণ চোখ বাঁধা অবস্থায় গাড়িতে বসে ছিলো মৌ তাই বুঝতে পারছে না জায়গাটা কোথায়। মেয়েকে পেতে হলে হসপিটালের সামনে থাকা গাড়িতে উঠে বসতে বলেছিলো ফোনে আর মৌ তাই করেছে। মেয়েটা যে তার জান।

গাড়িতে থাকা লোকটা কর্কশ গলায় বললো, ভেতরে চলে যান।

মৌয়ের নিজের জন্য ভয় হচ্ছে না। তার মনে হচ্ছে ভেতরে গেলে মেয়েকে পেয়ে যাবে তাই দেরি না করে ভেতরে চলে গেলো।

দরজার ওপারে পা রাখতেই কেউ বলে উঠলো, ওয়েলকাম মিসেস সুফিয়ান আহমেদ শান।

আওয়াজটা চিনতে এক সেকেন্ড সময় লাগলো না মৌয়ের, রায়হান তুই ?

যাক চিনতে পেরেছিস তাহলে। আমি তো ভাবলাম সুখের সাগরে ভাসতে ভাসতে আমাকে ভুলেই গেছিস বোধহয়।

কথা বলতে বলতে রায়হান দুতলার সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলো। মৌ তখনো দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

আমার মেয়ে কোথায় রায়হান ?

বাহ্ মেয়েকে দেখছি খুব ভালোবাসিস। তোর ভালোবাসা ঠিক বুঝতে পারি না আমি। তুই নাকি পাগলের মতো ভালোবাসতি তাজকে। অথচ তাকে ভুলে ঠিক অন্যজনের সাথে সুখের সংসার করছিস। তাহলে মেয়ের জন্য এতো অস্থির হচ্ছিস কেনো বল তো ? আরেকটা মেয়ে দিয়ে এই মেয়ের অভাব পূরণ করে ফেলবি।

রায়হানের কথায় রাগে থরথর করে কাঁপতে লাগলো মৌ, রায়হান ভালোয় ভালোয় আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দে।

সামনের একটা চেয়ারে আরাম করে বসলো রায়হান, আগে বল তো তাজকে ভুলে অন্যকারো সাথে কীভাবে সংসার করছিস ? না মানে আমি চেষ্টা করতাম তোকে ভুলে অন্যকারো সাথে জীবন সাজানোর।

একজনকে মনে রেখে অন্যকারো সাথে জীবন কাটানোর কষ্ট তুই বুঝতে পারবি না। একজনকে ভুলতে না পারার কষ্ট আর অন্যজনকে ভালোবাসতে না পারার কষ্ট প্রতিনিয়ত একটু একটু করে শেষ করে দেয় ভেতরটা।

গলা কাঁপছে মৌয়ের। মানুষকে উপর থেকে যতটা সুখী মনে হয় ভেতর থেকে সে কী ততটাই সুখী। এই উত্তরটা কারো কাছেই সহজ নয়। রায়হান মৌকে অনেক কিছু বলবে ভেবেছিলো কিন্তু বলতে পারছে না। তাজ যেদিন মৌয়ের বিয়ের কথা বলেছিল যন্ত্রণায় বুকটা জ্বলে পুড়ে গেছে রায়হানের কিন্তু তাজকে বুঝতে দিতে চায়নি। রায়হানও মৌকে সত্যি ভালোবেসেছিল হয়তো স্বার্থপরের মতো। তার ভালোবাসার ধরনই হয়তো ভিন্ন ছিলো।

কাউকে আসতে বললো রায়হান আর মৌয়ের দিকে তাকিয়ে বললো, শেষবারের মতো নিজের মেয়েকে দেখে নে।

মৌ ভীত গলায় বললো, মানে ?

রায়হান মুচকি হেসে বললো, তোকে পাইনি তবে আমার বেঁচে থাকার জন্যও তো কাউকে প্রয়োজন। আজ থেকে শায়িনী আমার মেয়ের পরিচয়ে বড় হবে। তোদের সবাইকে তার স্মৃতি থেকে মুছে দিবো আমি।

একটা মেয়ে শায়িনীকে কোলে নিয়ে সামনে এলো। মৌ নিজের মেয়ের দিকে এগিয়ে যেতে গেলে আরেকটা মেয়ে তাকে ধরে ফেললো। মৌ চিৎকার করে বলছে তাকে তার মেয়ের কাছে যেতে দিতে কিন্তু কেউ শুনছে না তার কথা। হঠাৎ ঘাড়ে সুচালো কিছু অনুভব করলে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যেতে লাগলো মৌ। এবার শায়িনীকে মৌয়ের কাছে দেওয়া হলো। মৌ আলতো করে বুকে জড়িয়ে নিলো মেয়েকে। তারপর ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করে ফেললো।

চোখ খোলে নিজেকে হসপিটালের বেডে আবিষ্কার করলো মৌ।

ধীরে ধীরে সব মনে পড়লে আশেপাশে তাকিয়ে নিজের মেয়েকে খুঁজতে লাগলো, আমার মেয়ে কোথায় ?

মৌয়ের আওয়াজ শুনে শান দ্রুত এগিয়ে এলো। চোখমুখ লাল হয়ে গেছে শানের, চোখের নিচে কালি পড়েছে। দুদিন ধরে মৌয়ের জ্ঞান ছিলো না আর এদিকে মেয়ের কোনো খোঁজ নেই। পুলিশ কোনো খোঁজ পায়নি শায়িনীর। অজ্ঞাত কেউ মৌকে হসপিটালে পৌঁছে দিয়ে গেছে।

মৌ শানের দিকে তাকিয়ে অস্থির গলায় সবটা খোলে বললো শানকে তারপর বললো, আমাদের শায়িনী কোথায় শান ?

কী উত্তর দিবে শান ? তার কাছে যে এই প্রশ্নের উত্তর নেই। মৌয়ের সাথে একটা চিরকুট পেয়েছে শান।

“আপনার বউকে ফিরিয়ে দিলাম তবে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিন।”

টপ করে এক ফোটা নোনাপানি গড়িয়ে পড়লো শানের চোখ থেকে।

শানের চোখে পানি দেখে মৌ বললো, তারমানে রায়হান সত্যি নিয়ে গেছে আমার শায়িনীকে।

দু’জন যখন থম মেরে আছে তখনই কেবিনে ঢুকলো তাজ আর আহান। একই শহরে থেকেও দীর্ঘ পাঁচ বছর পর দেখা মৌয়ের সাথে তাজের। ইকবাল খান হসপিটাল থেকে রিলিজ হওয়ার পর আর কোনোদিন মুখোমুখি হয়নি দু’জন। তাজ তাকিয়ে দেখলো এক সন্তান হারানো বিধস্ত মাকে। কী বলে শান্তনা দিবে বুঝতে পারছে না। তাজ ভেবেছিলো রায়হান হয়তো নতুন করে তার জীবনে আবার কোনো ঝড় নিয়ে আসছে। কিন্তু সে ঢাকায় পৌঁছানোর আগেই রায়হান মৌয়ের জীবন এলোমেলো করে দিয়ে উধাও হয়ে গেছে৷ কোথায় গেছে কেউ জানে না। বাংলাদেশে নেই সেটা নিশ্চিত হয়েছে তাজ, কারণ গত পাঁচ বছর আগের তাজ আর এখনকার তাজের অনেক তফাৎ। আগের তাজ কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাইতো না তাই সবসময় জীবনের সোজা পথে হেঁটেছে। তবে এই তাজ সোজা পথের সাথে বাঁকা পথটাও চিনে নিয়েছে। সেই বাঁকা পথের সাহায্যেই তাজ জেনেছে রায়হান দেশ ছেড়েছে সমুদ্র পথে। সেই খবর শানকে জানাতে এসে দেখলো মৌয়ের জ্ঞান ফিরেছে। মৌ কান্না করছে না কেমন থম মেরে বসে আছে। এতবছর পর তাজকে দেখেও তার কোনো রিয়াকশন হলো না। তাজ শানকে একটু অন্যদিকে ডেকে সবটা খোলে বললো রায়হান দেশ ছেড়ে চলে গেছে। শান পড়ে যেতে নিয়েও দেয়াল ধরে নিজেকে সামলে নিলো। অসহায় চোখে তাকালো পুতুলের মতো বসে থাকা মৌয়ের দিকে।

৩৪.
দেখতে দেখতে কেটে গেলো বেশ কয়েকটা দিন। মৌ একদম চুপ হয়ে গেছে। সেদিনের পর মুখে একটা শব্দ উচ্চারণ করেনি সে আর না একটুও কান্না করেছে। শান মৌকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে চলেছে। একদিকে মেয়েকে হারিয়ে, অন্যদিকে মৌয়ের এমন অবস্থায় শান নিজেও ভেঙে পড়েছে। দুজনের বাবা সব জেনে চলে এসেছে তাদের কাছে। সবাই মিলে মৌকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে কিন্তু ফলাফল শূন্য। এদিকে পুলিশ আর রায়হানের কোনো খোঁজ পায়নি আর না তাজ পেয়েছে।

আহান এয়ারপোর্টের দিকে যাচ্ছে সবাইকে নিয়ে। রায়হানের জন্য কয়েকদিন পিছিয়ে গেছে লন্ডন ফিরতে। তবে আজ চলে যাচ্ছে কিন্তু তাজ আসেনি তাদের ছাড়তে। আসার আগে আহানের হাত ধরে শুধু বলেছে ধ্রুবকে সারাজীবন এভাবেই আগলে রাখতে। আহান বুঝতে পারছে না তাজের এমন শান্ত আচরণের মানে।

আহান চিন্তা করছে তাজ কেনো ফিরে চাইলো না ধ্রুবকে। আহানের হঠাৎ তিতিরের কথা মনে পরে গেলো। তিতির চিঠিতে লিখে গিয়েছিলো তাজ যদি ধ্রুবকে ফিরে চায় তবে ধ্রুবর আঠারো বছর হলে সে ঠিক করবে তাজের কাছে ফিরে যাবে কিনা। হয়তো তাজকেও এমন কিছুই বলেছে ডাইরিতে। কিন্তু তিতির তো ভেবেছিলো তাজ বিয়ে করে নিজের জীবনে সুখী আছে তাই ধ্রুবকে ফিরিয়ে দিতে চায়নি। ভেবেছিলো ধ্রুবর থাকা না থাকায় তাজের খুব একটা অসুবিধা হবে না। সেসব তো ঠিক নয়, তাজ ভালো নেই সেটা আহান নিজের চোখের সামনে দেখেছে। আহান তাকালো ধ্রুবর দিকে, সে আহানের কোলে বসে বাইরেটা কৌতুহলী চোখে দেখছে। আসার সময় তাজের জন্য কান্নাও করছিলো, কয়েকদিনে তাজের প্রতি ধ্রুবর একটা মায়া তৈরি হয়েছে আহান বুঝতে পারছে। তাজকে ফেলে আসতেই চাইছিলো না, হয়তো এটাই রক্তের টান। তাজ ধ্রুবকে কোল থেকে নামিয়ে তিতিরের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে আর বের হয়নি।

আহান কিছু চিন্তা করে ব্যস্ত গলায় বললো, ড্রাইভার গাড়ি ঘুরিয়ে খান ভিলায় চলুন।

আহানের কথায় সবাই খানিকটা অবাক হলো। আধঘন্টার মধ্যে তাদের ফ্লাইট আর আহান এখন ফিরে যাওয়ার কথা বলছে।

ন্যান্সি বললো, কী হলো মাই সান ?

আহান চিন্তিত গলায় বললো, আমার কিছু একটা গন্ডগোল লাগছে। এখনই খান ভিলায় না পৌঁছালে বিপদ হয়ে যাবে।

তিতিরের রুমে বসে আছে তাজ। একহাতে তিতিরের একটা ওড়না আর অন্যহাতে পি*স্ত*ল। তিতির হুট করে চলে যাওয়ায় তার সব জিনিস এই রুমেই থেকে গিয়েছিলো। আট মাস পরে তাজ দেশে ফিরে একরাতে তিতিরের রুমে গিয়েছিলো অজানা কারণে। রুমে ঢুকতেই ভ্যাপসা গন্ধ আর ধুলো নাকে এসে লাগে। নিজের হাতেই রুমটা পরিষ্কার করেছিলো আর তারপর থেকে নিজেই এই রুমটা পরিষ্কার করে। তিতির হয়তো তাড়াহুড়ায় চেঞ্জ করা জামা ভুলে বেডে রেখে গিয়েছিলো। তাজ সেটা বেডেই পড়ে থাকতে দেখে ধুলোয় মাখামাখি হয়ে। জিনিসগুলো আগের মতোই রেখেছে তাজ। মনটা বড্ড বেশি অস্থির হয়ে উঠলে এই রুমেই দরজা বন্ধ করে বসে থাকে আগে থেকেই ৷ তাই আজ ইরিনাও মাথা ঘামায়নি বিষয়টা নিয়ে। ইকবাল আর ইরিনা ধ্রুবকে রাখার কথা বলতে চেয়েছিল আহানকে কিন্তু তাজের কঠোর নিষেধাজ্ঞায় আগানোর সাহস পায়নি।

তিতিরের ওড়না হাতে পেঁচিয়ে পি*স্ত*লে গুলি লোড করতে লাগলো তাজ আর মাত্র কয়েকটা মিনিট তারপর তো ধ্রুবকে নিয়ে আকাশে উড়ে যাবে ফ্লাইট আর হয়তো তাজের প্রাণও তখনই মুক্তি পাবে দেহ থেকে।

গাড়ি থামতেই ধ্রুবকে নিয়ে দৌড়ে ভেতরের দিকে যেতে লাগলো আহান।

লোড করা হয়ে গেলে পি*স্ত*লের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো তাজ, আম কামিং মুসকান, আম কামিং। জীবনটা নিজের কাছেই বোঝা হয়ে গেছে আর বইতে পারছি না।

চোখ বন্ধ করে পি*স্ত*ল মাথা লাগাতেই কেউ দরজায় নক করলো তাজের কানে ভেসে এলো ধ্রুবর গলা, বাবা।

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here