#Journey episode9

0
229

#Journey episode9

#৯

আজ আকাশের অবস্থা ভাল না,সেটা জেসমিন হোটেলের ঘরের জানালার পর্দা সরিয়েই বুঝেছে,পুরো শহর জুড়ে বিষাদ নেমে এসেছে যেন,আর সেই বিষাদে রঙীন সব বাড়ি গুলো মুখ কালো করে আছে।জেসমিন ভ্রু কুঁচকে বিরক্তবোধ করে।বৃষ্টি এসে আবার সব ভন্ডুল করে দিবে না তো? বৃষ্টি যতই আসুক,এখানে বসে থাকা চলবে না।ফোন বের করে জাফারের নাম্বার ডায়াল করে,ট্রেনে থাকতেই নাম্বার এক্সচেঞ্জ করেছে দুজন।

“জাফার ভাই,ঘুম ভেঙেছে?”
“হুম,ভাঙল,ফ্রেশও হলাম।তা বেরুবে কখন?”
“এইত লাঞ্চ করার পরই।চলুন বেরোই”
“হুম,আমি রেডি প্রায়।৫মিনিট সময় লাগবে”
“অকে”

দুজন ১০ মিনিটের মাঝে বেরোয়,অহ,দুজন না,তিনজন! সেলিম আজ জেসমিনের হাত ধরে রেখেছে।জেসমিনের পরনে কালো জিন্স আর নেভিব্লু রঙের লং শার্ট,মাথায় পেঁচানো ম্যাচিং হিজাব,চোখে একটা অনেকটা স্বচ্ছ সানগ্লাস।সেলিমের পরণে সবুজ রঙের টিশার্ট আর গ্রে রঙের হাফ প্যান্ট।জাফার পড়েছে কমলা রঙের একটা পোলো শার্ট, সাথে মাটি রঙের থ্রিকোয়ার্টার প্যান্ট। ওর চোখে কোন গ্লাস নেই।এই মুহুর্তে ওদের দেখে যে কেউ স্বামী স্ত্রী বলে ভুল করবে না হয়ত,কিন্তু সেলিমকে নির্ঘাত জেসমিনের ছেলে মনে করবে।দুজনেরই মুখ গম্ভীর,যেন কি গভীর চিন্তায় মা-ছেলে ডুবে আছে!

লাঞ্চের পর ওরা একটা টেক্সি নিয়ে খুঁজতে বের হয়।সাবিনার দেয়া ঠিকানা আর অস্পষ্ট লোকেশন নিয়ে তিনজন ঘুরতে থাকে।এদিক ওদিক ঘুরে খোঁজ নেয়,আশেপাশের মানুষকে জিজ্ঞাসা করে,আবার কোথাও ওরা থেমে শুধু খোঁজ নেয় না,ছবিও তোলে।একটা শপিং মলের সামনে মেকিমাউস এর পোশাকের একটা লোককে দেখে সেলিমের সে কি লাফালাফি! সে ছবি তুলবেই!আবার ওরা একটা চার্চের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।অনেক পুরোনো চার্চ,অন্তত ছয়শ বছরের পুরোনো তো হবেই।একেবারে ধবধবে সাদা দেয়ালগুলো,উচ্চতায় তিনতলা বাড়ির সমান হবে।শ্বেতশুভ্র চার্চটা দিনের আলোয় ঠায় দাঁড়িয়ে আছে,যেন আকাশের সাথেই মিলে যাবে আরেকটু হলেই।চার্চের আশেপাশে তেমন কোন স্টোর বা শপিং মল নেই,তাই কিছু ছবি তুলেই চলে আসে।আসার সময় দেখে একদল টুরিস্ট সেখানে ঢুকছে।

এভাবে ঘুরে ঘুরে ৪ঘন্টা পেরিয়ে যায়,তবুও রাইফের কোন খোঁজ নেই।ওরা বেরিয়েছে সেই দুপুর ১২টার দিকে,আর এখন ৪টা বেজে গেছে।আরো দু’ঘন্টা খোঁজাখুঁজি করে ওরা হোটেলে ফিরে আসে।ঘরে গিয়ে জেসমিন দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসে চোখ বন্ধ করে।আনমনে আওড়াতে থাকে,
“রাইফ!এত কঠিন কেন তোমাকে খোঁজা?কোথায় কোথায় থাক,আমি কেন জানি না!কেন পাচ্ছি না?প্লিজ,আমার এত কষ্ট সব বিফলে যেতে দিও না!”

পরদিন তিনজন আবার বের হয়,তবে আজ জেসমিনকে দেখে একটু দুশ্চিন্তাগ্রস্তই মনে হয়।
“কি ব্যাপার জেসমিন?একদিনেই হতাশ হয়ে গেলে?”
“একদিন আর কোথায়!আমার ছুটির দুদিন তো শেষ!আর বাকি চার দিন।চারদিনের এক দিন লাগবে ভেনিসে ফিরে যেতে।এর মাঝেই ওকে খুঁজতে হবে,আপনি বুঝতেছেন জাফার ভাই?আজকে যদিও না পাই,আর বাকি থাকবে আর দুদিন!আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে!”
মুখে ঠেসে ঠেসে রুটি পুরতে পুরতে জেসমিন কথাগুলো বলে।এরপর পাশে রাখে ম্যাংগো জুস এক টানে অর্ধেক খেয়ে নেয়।আবার রুটিতে কামড় বসায়।তিনবার চাবিয়ে সেটা গিলে কফি হাতে নেয়।ওর টেনশন হলে খাবারের পরিমাণ বেড়ে যায়,তখন সে গপগপ করে খেতে শুরু করে।এখনও তাইই করছে।জাফার জেসমিনের খাওয়া দেখছে আর মিটমিটিয়ে হাসছে।
“জেসমিন,তুমি জানো,তোমাকে ছোটখাট মন্সটার লাগছে,মনে হচ্ছে কত দিন খেতে পাও না!”

জাফারের কথা শুনে খাওয়া থামিয়ে তাকায়।তারপর মাথা নাড়তে নাড়তে মুখে সদ্য ঢোকানো একটা ডাম্পলিং চাবানোর চেষ্টা করতে করতে কোনমতে বলে,
“আমি কি করব!টেনশনে থাকলে আমার অনেক ক্ষুধা লাগে!মন চায় সব খেয়ে ফেলি,সব!”
সেলিম আঙুল তুলে ভাঙা ভাঙা ইটালিয়ান ভাষায় বলে,
“আন্তি কেইকি হয়ে যায়,কেইকি!দ্যা কেইক মান্সটার!”
সবাই হেসে ফেলে।জেসমিন হাত বাড়িয়ে সেলিমের এলোমেলো কোকড়া চুলগুলো আরো এলোমেলো করে দেয়,মন বলে,he is the cutest thing ever happened to me!

সেদিন বেরোয় মার্সালার উদ্দেশ্যে।সেখানে কয়েক্টা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে কিছুই পায় না,রাইফের ছবিও দেখায়।কেউ চিনতে পারে না।সেখানে কোথাও কোন বাঙালি কাজ করে না,তাই সেখানে রাইফ আগে ছিল,এটা ভাবারও সুযোগ নেই।একটা ছোট ক্যাফেতে বসতে বসতে জাফার বলে,
“আচ্ছা,ও ফেসবুকে যেসব যায়গা গুলোতে চেক ইন দিয়েছে,ওসবে তো দেখতে পার,নাকি?”
জেসমিন কথাটা উড়িয়ে দেয়,
“পাগল নাকি?ওসবে ও কি কাজ করে নাকি যে কেউ চিনবে?ওগুলো তো ওর কাজের যায়গা না।ওখানে গেলে বলবে,আমাদের এখানে তো অনেক কাস্টমাররাই আসে,আমরা কি চেহারা চিনে রাখতে পারব? তাছাড়া এটা আমি আগেই ভেবেছি।রাইফের বেশিরভাগ চেকইন দেওয়া যায়গা গুলোই ত্রাপানি আর মার্সালার বাইরে।পেলারমো,মেসিনো,মাউন্ট এটনা,ওদিক কার চেক ইন এগুলো।সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, রাইফ সোশাল মিডিয়াতে খুব একটা এক্টিভ না!”

হতাশায় ডুবে জেসমিন এখানে বসেই তিন আউটেম অর্ডার দিয়ে বসে।যদিও মাত্র দুই ঘন্টা পেরিয়েছে,এর মাঝেই আবার এত গুলো খাবার জেসমিন কিভাবে খাবে,ভেবেই জাফারের চোখ কপালে উঠে।
“তুমি যে এতগুলো অর্ডার দিলে,খেতে পারবে??!”
“না পারলে অর্ডার করতাম নাকি!আমি খাবার নষ্ট করা পছন্দ করি না জাফার ভাই”
“আচ্ছা,সমস্যা নেই,তুমি না পারলেও আমি হেল্প করব,থাক খাও তুমি”
“নারে ভাই,আমাকে হেল্প করতে হবে না!আপনি কি কিছু খাবেন?তাহলে আপনার জন্যে অর্ডার দিচ্ছি”
“না না,কি বল!আমরা কেউ এত খাব না!ব্রেকফাস্ট করলাম,সেটাই তো বেশিক্ষণ হল না!”
“কি যে বলেন না!আমার তো মনে হচ্ছে,কত দিন খাইনি!পেটে এক্টুও খাবার নেই আমার”
“হা হা হা,তোমার তো আবার…হা হা হা!আচ্ছা,তুমি যে খেতে বসেছ,আবার যদি এভাবে একটু পর পর খাও,সময় লেগে যাবে তো।রাইফকে খুঁজবে কখন?আবার লাঞ্চের জন্যেও তো থামতে হবে”
“ধুর ভাই,থামেন তো!আগে পেটপূজা,তারপর সারা দুনিয়া!”

জাফার ওর বাচ্চামিতে হাসতে থাকে।খাবার পৌঁছে গেলে জেসমিন শুরু করে গপগপ করে আবারো খাওয়া।এবার ১০মিনিটের আগেই সব শেষ।জাফার মাথা নাড়ে,এই মেয়েকে নির্ঘাত কোন খাবারের কম্পিটিশানে নিয়ে যাওয়া যাবে!মনে মনে হাসতে থাকে।

খাওয়া শেষে ওরা আবারো খুঁজতে থাকে।কিন্তু তাতে কিছুই লাভ হয় না।সারাদিন ঘুরে ঘুরে দুজনেই আবারো হতাশ হয়ে যায়।যখন ওরা হোটেলে ফিরে আসছে,তখন ওরা একজন বাঙালির দেখা পায়।ছেলেটা ছোটখাট, তবে ভদ্র বেশ।ওর সাথে কথা বলার জানতে পারে,এখানে বাঙালি কমিউনিটিতে খোঁজ নিতে পারে,সেখানে গেলেই জানতে পারবে রাইফ এই শহরে থাকে কিনা।ঐ ছেলের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে ওরা একটা বাসার ঠিকানা নিয়ে আসে।উনি হলেন সিসিলির বাঙালি কমিউনিটির সেক্রেটারি।বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে বাঙালীদের মিলনমেলা গুলো আয়োজন করতে যারা অবদান রাখেন,উনি তাদেরই একজন,নাম সাদ্দাম সাদেক,সবাই সাদ্দাম ভাই ডাকেন।

হোটেলে এসেই শাওয়ার নেয় জেসমিন।তারপর নাইট ড্রেস পড়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই মনে হয়, নাহ,কাজ এগোচ্ছে!কালই হয়ত রাইফের দেখা পাবে!উফ,ভাবতেই আনন্দ হচ্ছে,মন চাচ্ছে দুটো লাফ দিতে!আর কিছু না হোক,বন্ধু হিসেবে ওকে যদি পাওয়া যায়,তবুও শান্তি! জেসমিনের মন চায় আজ সারারাত নেচে নেচে পার করে দিতে।ফোনের প্লে লিস্টে গান বের করে-

♪ আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে,
দেখতে আমি পাইনি তোমায়,
দেখতে আমি পাইনি।।

বাহির পানে চোখ মেলেছি,
বাহির পানে!
আমার হৃদয় পানে চাইনি,
আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে,
দেখতে আমি পাইনি তোমায়,
দেখতে আমি পাইনি ♪

পরদিন বেশ সকাল সকাল জেসমিন আর জাফার সেলিমকে নিয়ে সাদ্দামের বাড়িতে রওনা দেয়।আজ জেসমজন পড়েছে একটা সবুজ রঙের গাউন,সাথে ম্যাচিং স্কার্ফ। হাল্কা মেকাপও নিয়েছে।নিজেকে দেখে নিজেরই মনে মনে প্রশান্তি অনুভব করে।প্রচন্ড উত্তেজনা নিয়ে সাদ্দামের ধবধবে সাদা বেড়ার দরজা খুলে ওরা পা রাখে।বাড়িটা দেখেই ওদের মন জুড়িয়ে যায়।কি সুন্দর গোছানো সব কিছু!বিশাল কটেজ জাতীয় আকাশের মত নীল রঙের বাড়ি,এক পাশে ছোট পুকুর আছে,তাকে ঘিরে বাড়ির সীমানার বেড়া বেয়ে নানারকম লতাগুল্ম জাতীয় গাছ বেয়ে বেয়ে উঠে গেছে।কিছু কিছু লতা আবার ধারণ করেছে লাল আর হলুদ রঙের ফুল।অপরদিকে ছোট বাগান, তাতে একটা গাড়ি পার্ক করে রাখা।বাড়ির কাছে গিয়ে বেল টিপতেই একজন পৌঢ় ভদ্রলোক দরজা খুলে এগিয়ে আসেন।তার পরনে নেভিব্লু ট্রাউজার,সাদা ডেনিম শার্ট,মাথায় আধাপাকা চুল,মুখে চাপ দাড়ি,উচ্চতায় ৫.৯’ হবেন,গায়ের রঙ এশিয়ানদের মতই,বাদামী রঙের।বাড়ির মত মানুষটাকে দেখেও বেশ গোছানো মনে হয়।তার চেহারা দেখে কিছুটা বিদেশী ভাব দেখা গেলেও স্পষ্ট বাংলা উচ্চারণে তিনি ওদের বলেন,
“আসসালামু আলাইকুম।আপনারা কি বাঙালি, যদি আমার ভুল না হয়ে থাকে?”

জেসমিন বেশ অবাক হয় তার বুঝে ফেলার শক্তি দেখে,মনে মনে প্রশংসা না করে পারে না তার।হেসে বলে,
“জ্বী।আমার নাম জেসমিন,উনার নাম জাফার,আর এটা উনার ছেলে সেলিম।”
সাদ্দাম হেসে জাফার আর সেলিমের সাথে হাত মেলান।হাসিমুখে বলেন,
“সাদ্দাম সাদেক।আমি আপনাদের কিভাবে সাহায্য করতে পারি?”
“আমি এই শহরে এসেছে আমার এক বন্ধুকে খুঁজতে।এটুকু শুধু জানি যে,ও এখানেই আছে,কিন্তু কোথায় আছে জানি না।অনেক খুঁজেছি,কিন্তু লাভ হয়নি।আমার হাতে সময় কম,তার উপর এই শহর পুরোপুরি অচেনা।কাল কামাল নামের একজনের সাথে দেখা হয়,তিনিই আপনার ঠিকানা দেন।”
“ওহ,আচ্ছা আচ্ছা!ইন্টারেস্টিং স্টোরি!আসুন,আপনারা ভেতরে এসে বসুন”

ওরা পুতুল বাড়ির মত দেখতে বাড়িটায় প্রবেশ করে।সেখানে পা রেখে নাকে লাগে ল্যাভেন্ডার ফুলের তাজা ঘ্রাণ।লোকটার রুচির প্রশংসা না করে পারে না জেসমিন কিংবা জাফার।দুজনে মুগ্ধ চোখে চারপাশটা দেখতে দেখতে সোফায় বসে।ওদের বসিয়ে রেখে সাদ্দাম ভেতর থেকে নাস্তার ব্যবস্থা করে নিয়ে আসেন।দুজনের জন্য দু কাপ লেবু চা আর কিছু কুকিজ।নাস্তার ট্রে নিজ হাতে রাখতে রাখতে বলেন,
“আমার স্ত্রী আবার একটু বাইরে গেছে কিনা,তাই নিজেরই আনতে হল। আমার চা বানানোর হাত খারাপ না,তাই আশা করছি চা ভালোই লাগবে!”

জেসমিন চা হাতে নিতেই নাকে লেবুর ঘ্রাণ নাকে এসে ঠেকে,কি সুন্দর ঘ্রাণ!মনে হচ্ছে একেবারে বাগানের তাজা লেবু দিয়েছেন।চোখ বুজে এক চুমুক দিতেই মনে ভরে যায়।একই অবস্থা জাফারেরও।সত্যিই চায়ে বুঝি যাদু মেশানো আছে।জেসমিন চা খেতে খেতে সাদ্দামের চা, বাড়ি,তার রুচি,সব কিছুর প্রশংসা করে।সাদ্দাম অমায়িক হাসি হাসেন।
“এসব কিছুই না।কিছু মনে করবেন না,আপনারা কি স্বামী স্ত্রী?”
সাদ্দামের এমন প্রশ্নে জাফার বিসম খেল,বিসম খেয়ে কাশতে শুরু করে।জেসমিনের সাথে বিব্রতকর চাহনী বিনিময় হল।জেসমিন হেসে ফেলল,ও জানত এরকম কিছু হতেই পারে।হাসিমুখে খালি কাপ।পাশে রাখতে রাখতে বলে,
“না,উনি আমার পরিচিত একজন।আমার বন্ধুকে খুঁজতে সাহায্য করছেন শুধু”
“ওহ!আমি খুব দুঃখিত, আপনাদের বিব্রত করে ফেললাম!”
“না না,ঠিক আছে।”
“তা,কাকে খুঁজছেন আপনারা?নাম কি উনার?”

জেসমিন সব কিছু খুলে বলে।সাদ্দাম সব শুনে বাম হাতে দাড়িতে হাত বুলাতে থাকেন ভ্রু কুঁচকে।রাইফ নামের কাউকে উনি ঠিক চিনতে পারছেন না।এরকম কেউ তার পরিচিত আছে নাকি এখানে?
জেসমিনের কাছে ছবি দেখতে চান।ছবি দেখার পরও চিনতে পারেন না।রাইফের ছবি তাকে দিয়ে যেতে বলেন,আর পুরো নামটা নেন।যদিও চিনতে পারেন নি,তবুও জেসমিন আর জাফারকে কথা দেন যে,রাইফকে খুঁজে বের করবেন।

যতটা উত্তেজনা নিয়ে সেখানে পা রেখেছিল,ততটাই দুঃখ নিয়ে বাড়ির বাইরে তাদের পা রাখতে হয়।আরো একটা ব্যর্থ দিন গেল,এই ভেবে জেসমিনের হাতাশা তিন গুণ বেড়ে যায়।টেক্সিতে বসেই জানালা দিয়ে আনমনে বাইতে তাকিয়ে থাকে।জাফার আর টেক্সি ড্রাইভারের বার বার জিজ্ঞাসা করার পরও কিছু বলতে ইচ্ছা করে না।ইচ্ছের বিরুদ্ধেই বলে,

“সমুদ্র পাড়ে নিয়ে চলেন,সোজা সেখানে যাবেন”

আবারো মন দেয় বাহিরটা দেখার।দীর্ঘশ্বাস গোপন করে জেসমিন আর মাত্র একদিন বাকি ওর হাতে!

লেখনীতে, #AbiarMaria

বিঃদ্রঃ জেসমিনের জীবনের বিপর্যয় লিখতে নিজের জীবনেই বিপর্যয় চলে এসেছে😢পারিবারিক,মানসিক সব দিক থেকেই বিপর্যস্ত হওয়ায় গল্প দিতে এত দেরী,তবে চেষ্টা করব কয়েকদিনে সেটা পুষিয়ে দিতে।সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ এবং অপেক্ষায় রাখার জন্য দুঃখিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here