#এটা গল্প হলেও পারতো
#পর্ব ১৩
অর্ক কাল থেকেই একটু গম্ভীর হয়ে আছে, আজ ওই ছেলে মেয়েগুলোই আবার আসবে, অদিতির ওপর ঠিক ভরসা রাখতে পারছে না ও। একে তো কিভাবে কে জানে দিতির সন্দেহ বাতিক হওয়া নিয়ে কলেজে অনেকদিন আগে থেকেই একটা রটনা ছড়িয়েই আছে, তার মধ্যে যদি আজ আবার সবার সামনে কিছু করে বসে ও, তাহলে আর কলেজে মুখ দেখানোর জায়গা থাকবে না ওর। কিন্তু ওরও তো কোনো উপায় নেই, ওদের সিলেবাস টা তো শেষ করাতেই হবে ওকে। পরীক্ষার আগে ওদের কোনো ভাবেই বিপদে ফেলতে পারবে না ও।
সকাল থেকেই নিজের মনের ভেতরের ওঠা ঝড় টাকে শান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দিতি, কোনো মতেই আজ নিজেকে ওই সন্দেহর জালে জড়াতে দেবে না ও। অর্কর সম্মান ওর হাতে এখন, ওকে কোনো ভাবেই স্টুডেন্টদের সামনে ছোটো হতে দেওয়া যাবে না।
খাটে বসে ছেলে কে আদর করতে করতে অর্ক ওর দিকেই তাকিয়ে আছে লক্ষ্য করছিলো দিতি। ওর খুব খারাপ লাগছিলো, অর্ক কি ওকে একটুও বিশ্বাস করছে না! কাল ও ওরকম বলে ফেলেছে ঠিকই, কিন্তু ওদের ঠোঁটের মুচকি হাসিটা ও কল্পনা করেছে, এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে ওর। কিন্তু ওকে কেউ বিশ্বাস করেনা এখন, এমন কি নিজেই নিজেকে বিশ্বাস করেনা ও, তাই অর্ক যখন বললো ওটা ওর কল্পনা ও সেটা মেনে নেবার চেষ্টাই করলো তর্ক করে লাভ নেই! ওর কারোর কাছে কিছু প্রমাণ করার নেই, শুধু একটাই চেষ্টা ওর সঙ্গে অর্কর যেনো আর কোনো সমস্যা তৈরি না হয়।
অর্ক তো নিজেও যে সরে যাচ্ছিলো এটা স্বীকার করলো না, কিন্তু ও তো স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলো ওটা, কিন্তু আর জটিলতা বাড়াতে চায়না ও। কিন্তু অর্কর ওর দিকে এইভাবে তাকিয়ে থাকা টা ওর খুব খারাপ লাগছে, সত্যিই নিজেকে পাগল মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে, এই অপমানটা ও কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না, নিজের কান্না লোকাতে ওখান থেকে উঠে গেলো দিতি।
আজ ছেলে কে ঘুম পাড়াতে এসেও কিছুতেই ওর নিজের ঘুম আসছে না আর, খাটে শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে দিতি। ড্রইং রুম থেকে অর্কর পড়ানোর আওয়াজ ভেসে আসছে, বিকেল হয়ে এসেছে, চায়ের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আজ আর উঠলো না দিতি। ও যদি বেরিয়েই ওই রকম কিছু দেখে আবার! তার থেকে এই ভালো, অর্ক আগে উঠে এসে ডাকুক ওকে, তখন না হয় উঠবে ও।
উঠেছ ঘুম থেকে? চা করবে নাকি?
অর্কর গলার আওয়াজে উঠে বসলো ও,
হ্যাঁ করছি, যাও তুমি, আমি চা নিয়ে আসছি,
শান্ত মুখে কোনো দিকে আর না তাকিয়েই সোজা রান্না ঘরে ঢুকে গেলো দিতি। চা করে বেরিয়ে ওদের সামনে রাখতে গিয়ে দেখলো অর্ক আবার পড়াতে শুরু করেছে, এবার একটা আলাদা চেয়ারে একা বসে আছে ও। স্টুডেন্টরা সব সোফায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, ও কারো দিকে না তাকিয়েই চায়ের ট্রেটা রেখে ঘরে ঢুকে এলো।
অর্ক কে আলাদা চেয়ারে বসে থাকতে দেখে ভীষণ লজ্জা লাগছে ওর, ইস নিশ্চয়ই কাল ওর ঐ রকম কথার জন্যেই অর্ক আজ আর কারোর সঙ্গে সোফায় বসে নি। নিজের কাছে নিজেই ছোটো হয়ে যাচ্ছিলো ও, বড্ড নোংরা মন হয়ে গেছে ওর!
প্রায় সন্ধ্যে হয়ে গেছে, এই সময় প্রতিদিনই একটা ব্রেক দেয় অর্ক, একসঙ্গে বেশিক্ষন টানা পড়ানো স্টুডেন্টরাও নিতে পারেনা। এই সময় আরেক বার চা করতে হবে, ছেলে ঘুম থেকে উঠে গিয়েছে, ওকে কোলে নিয়েই ঘর থেকে বেরিয়ে এলো দিতি। দু তিনটে ছেলে নিচে নেমে গেলো, বোধহয় একটু ঘুরে আসবে, কয়েকজন অর্কর সঙ্গে স্টাডি তে ঢুকেছে, তিনটে মেয়ে সোফায় বসে নিজেদের মোবাইল দেখতে ব্যস্ত।
ওকে ছেলে কে নিয়ে রান্না ঘরে ঢুকতে দেখেই ওদের মধ্যে থেকে একটা মেয়ে উঠে এলো, মেয়েটা কে ও বোলপুর স্টেশনে দেখেছিলো মনে পড়লো দিতির,
ম্যাম, ওকে আমাকে দিন,
ছেলের দিকে হাত বাড়িয়ে ওর দিকে তাকিয়ে হাসলো মেয়েটা, ওর সুবিধাই হলো, ছেলে কে নিয়ে চা করা একটু অসুবিধের, গরম সসপ্যানে হাত দিয়ে দেয় ও।
নাম কি তোমার?
চায়ের জল প্যানে ঢালতে ঢালতে ছেলে কে কোলে নিয়ে ওর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটা কে জিজ্ঞেস করলো ও।
তিয়াসা,
অদিতি একটু চমকে উঠে সামলে নিলো নিজেকে, এর কথাই না অর্ক বলেছিলো ওকে! এই তো গয়না কেনার সময় মতামত দিয়েছিলো। কিন্তু এই মেয়েটা তো সেই মেয়েটা নয়, যাকে ও নাম জিজ্ঞেস করেছিলো, সেতো অন্য মেয়ে ছিলো। কথা বলতে বলতে একটু পরেই বেশ ভালই লাগলো মেয়েটাকে, টুকটাক গল্প করছিলো ওর সঙ্গে, সেদিনের অর্কর ওপর সন্দেহের জন্যে লজ্জাই লাগছিলো একটু।
কথা বলতে বলতেই হটাৎ করে স্টাডি থেকে বেরিয়ে এসে অন্য একটা মেয়ে সরাসরি রান্না ঘরে ঢুকে এলো, এই মেয়েটাই তো ওকে নিজের নাম রিয়া বলেছিলো, মনে পড়লো অদিতির।
ম্যাম, আপনি ঘরে যান, আমি করে নিচ্ছি, আমরা কফি খাবো এবার,
ও কিছু বলার আগেই তাকের ওপর থেকে কফির কৌটো আর চিনির কৌটোটা নিয়ে নিলো মেয়েটা।
তুমি কফি কোথায় আছে জানলে কি করে?
অবাক গলায় বললো অদিতি, ও নিজের বিস্ময় আর চেপে রাখতে পারছিলো না, মেয়েটা ওর বাড়িতে কোথায় কি থাকে জানে সেটা!
আমি তো এখানে এলেই মাঝে মাঝেই কফি করে খাওয়াই ওকে,
কি বললো মেয়েটা? মাঝে মাঝেই খাওয়ায়? তাও আবার ওকে বললো? স্যার না বলে!
কয়েক সেকেন্ডের জন্যে স্তম্ভিত হয়ে গেলো দিতি, ওদের কথা বলতে দেখে আস্তে আস্তে করে বাইরে বেরিয়ে গেছে আগের মেয়েটা লক্ষ্য করলো ও। এই তবে সে যে ওর না থাকার সময়ে বাড়িতে আসে!
সেই সময় রান্নার দিদির কথা শুনে ওর মনে হয়েছিলো যে অর্ক কারোর জন্যে কফি করেছিলো, অর্ক কফি করা কবে শিখলো এটাই তো ও ভেবে গেছে এতোদিন! কিন্তু এখন বুঝতে পারছে আসলে অর্ক নয় কফি এই মেয়েটা বানিয়েছিল, যে কাপ রান্নার দিদি দেখেছিলো। এই মেয়েটাই তো গয়না পছন্দ করেছিলো ওর জন্য! সব পুরনো ঘটনাগুলো যেনো চোখের সামনে কেউ সাজিয়ে দিলো ওর! এতদিন ধরে কি সম্পূর্ন অন্ধকারে ছিলো ও!
ঠিক আছে, তুমি কফি করো তাহলে,
যা বলার ও অর্কর সঙ্গেই কথা বলবে, এখানে একটা কথাও বলবে না ও, আর কোনো কথা না বলে দাঁত দিয়ে নিচের ঠোঁট চেপে ধরে বাইরে বেরিয়ে আসা কান্নাটাকে গিলে নিয়ে,মেয়েটা কে রান্না ঘর ছেড়ে দিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে এলো অদিতি।
কফি খাওয়া পর্ব শেষ করে স্টুডেন্টরা আবার পড়তে শুরু করেছে, ঘর থেকে শুয়ে শুয়েই শুনতে পাচ্ছিলো দিতি। ওর ঘরে ঢুকে আসার কিছু পরেই ছেলে কে ওর কাছে ফেরত দিয়ে গিয়েছে তিয়াসা, হাতে ওর মোবাইলটা নিয়ে বসে আছে ছেলে, ওকে কোনো জ্বালাতন করছে না, চোখটা বন্ধ করে নিলো দিতি। এতদিন পরে ও সব কিছু পরিষ্কার বুঝতে পারছে, ওর রান্না ঘরে ঢুকে কি সুন্দর ওকেই বার করে দিলো মেয়েটা!
ও তো বিশ্বাসই করে নিয়েছিলো সব কিছু, অর্ক কে একটুও সন্দেহ করছিলো না, আজ যদি এই ঘটনা টা সামনে না আসতো তবে তো ও কোনোদিনও জানতে পারতো না এই ব্যাপার টা। অর্কও এক মুহূর্তের জন্যেও ওকে বুঝতে দেয়নি কিছু! কি সুন্দর অভিনয় করে গেছে আজ প্রায় বছর দেড়েক ধরে! আর ও ও নিজেকে পাগল ভেবে গেছে শুধু! ও রান্নার দিদির কাছে কফির কাপের গল্প শোনার পরেও কেনো জিজ্ঞেস করলো না অর্ক কে কিছু, এখন খুব আফসোস হচ্ছে!
স্টুডেন্ট দের ব্রেক দিয়ে স্টাডিতে এসে পরের দিনের জন্যে নোটসগুলো গুছিয়ে রাখছিলো অর্ক, কাল আবার একটা নতুন ব্যাচ আসবে, আজ এদের শেষ হলো। ওর পেছনে পেছনে কয়েকজন ঢুকে এসেছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে নিজেদের মতো বই দেখছিলো তারা।
আর চা খেতে ইচ্ছে করছে না, কফি খাবো এবার, তোরা খাবি কেউ,
অর্ক ঘুরে তাকিয়ে দেখলো, রিয়া কফি আনার জন্যে উঠে দাঁড়িয়েছে ততোক্ষনে।
কে করবে তুই? খাওয়া যাবে তো?
পেছন থেকে দীপের টিপ্পনির আওয়াজ ভেসে এলো, রিয়া কোমরে হাত দিয়ে অর্কর দিকে তাকিয়ে তৎক্ষণাৎ আবদারের গলায় বললো,
স্যার, আপনি বলুন আপনাকে আমি করে খাইয়েছি না কফি, ভালো করিনি?
অর্ক হেসে ফেললো,
হ্যাঁ, রিয়া ভালো কফি করে, খেয়ে দেখতেই পারো, সেদিন অনেকেই ওর কফির প্রশংসা করেছিলো,
কিন্তু রিয়া রান্না ঘরে ঢুকলে আবার বিরক্ত হবে না তো দিতি, মুখে হ্যাঁ বললেও মনে মনে একটু চিন্তায় পড়লো অর্ক। ও তো বোধহয় এতক্ষনে চা করতে শুরু করে দিয়েছে, এখন আবার কফি! রিয়া কে এখন ও আটকাতেও তো পারছে না আর, অন্যরাও কফি খেতে চাইছে! কি করবে না করবে ভেবে ওঠার আগেই ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো রিয়া।
রিয়া কফি নিয়ে ফিরে আসার পর ওর দিকে তাকিয়ে পরিস্থিতি বুঝতে চেষ্টা করেছিলো অর্ক। ওকে কি খুব অপমান করেছে দিতি! কিন্তু দেখে তো সেটা মনে হচ্ছে না, বেশ তো খুশি মুখেই কফি নিয়ে ঢুকলো, একটু একটু করে টেনশন টা কাটিয়ে উঠছিলো অর্ক। দিতির কোনো রাগের গলাও শোনা যাচ্ছে না, তাহলে কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি নিশ্চয়ই। ও এতো করে বুঝিয়েছে অদিতি কে তারপরে আর নিশ্চয়ই কোনো বোকামি করবে না ও। কফি শেষ করে আবার চেয়ারে বসে পড়াতে শুরু করলো অর্ক।
আরো প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পরে পড়ানো শেষ হলো, এক এক করে স্টুডেন্টরা বেরিয়ে যাচ্ছে, অদিতির ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ালো ও। শেষ পর্যন্ত যে ঠিক মতো কোনো অশান্তি ছাড়াই মিটে গেছে আজকের দিনটা এটা ভেবেই আনন্দ হচ্ছিলো ওর। দিতি চোখের ওপর হাত চাপা দিয়ে শুয়ে আছে, পেছন ফিরে, ওর কি শরীর খারাপ! ছেলে একমনে মোবাইল নিয়ে খেলছে ও ফিরেও দেখছে না!
ঘুমোচ্ছো নাকি?
খাটে বসে জিজ্ঞেস করলো ও, চোখ থেকে হাত সরিয়ে দিয়ে উঠে বসলো অদিতি।
রিয়া? তাই না? এই নামই তো মেয়েটার? ওকেই বিয়ে করতে চাও তুমি?
ঠান্ডা গলায় ওর দিকে তাকিয়ে বললো অদিতি,
রিয়া! ছি ছি, তুমি একদম পাগল হয়ে গেছো দিতি, ও আমার ছাত্রী,
চমকে উঠে বললো অর্ক, এই ভয়টাই তো এতক্ষন পাচ্ছিলো ও।
ছাত্রী বুঝি বউ বাড়িতে না থাকলেই এসে কফি বানিয়ে খাওয়ায়? স্যার কে ও বলে ডাকে?
মানে? ও বলে ডাকবে কেনো? স্যার বলেই ডাকে!
তাই! আর কফি? সেটাও বানায় না তো?
শ্লেষের গলায় বললো অদিতি,
ও একবারই এর আগে এখানে এসেছিলো দিতি, তখন বানিয়েছিল, তুমি ছিলেনা তখন, তোমাকে বলা হয়ে ওঠেনি আর,
তাই? বলা হয়ে ওঠেনি তাই না! নাকি বলতে চাওনি? আজ ধরা পড়লে, তাই বলতে বাধ্য হলে তাই তো? একদিন বানিয়েছিল? কিন্তু ও তো বললো অনেকবার বানিয়েছে,
ও বললো তোমাকে? এতবড় মিথ্যে কথা! কেনো ও এই মিথ্যে কথাগুলো অহেতুক বলবে তুমি বলতে পারো আমাকে? নিজের কল্পনাগুলো কে নিজের মতো করে অন্যের মুখে বসিয়ে দিও না দিতি। ওদের সামনে পরীক্ষা, আজকের পরে আর কোনোদিনও ওরা আসবে না এখানে, আমার সঙ্গে আর দেখাও হবেনা হয়ত সারাজীবনেও। এই কথাগুলো কলেজে ছড়িয়ে পড়লে আমার সমস্যা হবে, সেটা তুমি বুঝতে পারছো কি!
আর ও যে আমাকে স্যার বলেই ডাকে, এটা প্রমাণ করতে আমার এক সেকেন্ড লাগবে, কিন্তু তার জন্যে অন্য স্টুডেন্ট দের ডাকতে হবে, সেটা করলে আমার সম্মান বলে আর কিছু থাকবে না দিতি। এতো করে বোঝালাম তোমাকে, তাও তুমি একই জিনিস করেই যাচ্ছ বারবার।
আমি ছেলের কথা ভেবেই তোমার এই পাগলামি গুলোকে এতো দিন ধরে মেনে নিচ্ছিলাম কিন্তু সত্যিই আমি আর পারছি না বিশ্বাস করো। এবার তোমার যা মনে হয় করো তুমি, আর আমি আটকাবো না তোমাকে, যদি থাকতে চাও আমার সঙ্গে তাহলে থাকো, কিন্তু থাকতে না চাইলে যা ইচ্ছে তাই করো, আর কোনো রকম অভিযোগের জবাব আমি তোমাকে দেবো না,
কথাগুলো বলেই বেরিয়ে যাবার জন্যে পেছন ফিরেই চমকে গেলো অর্ক, তিয়াসা ওর সামনেই দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। এতক্ষন ধরে চলা ওর আর দিতি র সব কথাই যে ও শুনে ফেলেছে সেটা ওর মুখ দেখেই বুঝতে পারছিলো ও।
স্যার, আমার মোবাইল টা,
ওকে ওর দিকে ঘুরতে দেখেই কাঁচুমাচু মুখে বললো ও, অর্ক ওর দৃষ্টি লক্ষ্য করে তাকিয়ে দেখলো ওর ছেলের হাতে ধরা তিয়াসার মোবাইল। কোনো কথা না বলেই ছেলের হাত থেকে মোবাইল টা নিয়ে ওর হাতে দিয়ে দিলো অর্ক, ওর পেছন পেছন বাইরে বেরিয়ে এসে দরজা বন্ধ করে দিয়ে সোফায় এসে মাথা নিচু করে বসে পড়লো ও, আর কারোর জানতে বাকি থাকবে না এবার, তিয়াসার কল্যাণে কালকের মধ্যেই এই কথাগুলো সারা কলেজে ছড়িয়ে পড়বে।
ক্রমশ